আমি একজন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছি এবং নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছি ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম
💘"আমার জীবনের গল্প"💘
শুরু করছি মহান সৃষ্টিকর্তা পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালার নামে যার দয়ায় এই পৃথিবীতে এসেছি। সকল প্রশংসা পরম করুনাময় আল্লাহতাআলার জন্য । লাখো কোটি দরুদ ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর প্রতি ।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই শতাব্দীর স্রেষ্ট আবিস্কারক লাখো তরুণ তরুণীর আইডল প্রিয় মেন্টর শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি, যার অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" যা আজ সুবিশাল একটা প্লাটফর্ম যেখানে আজ পাচঁ লাখ পঞ্চাশ হাজার সদস্য ও তিন লাখ কুড়ি হাজার আজীবন সদস্য।
🍒আজ একটা গল্প শোনাব। আশা করি সবাই ধৈর্য্য ধরে শুনবেন ও পড়বেন, এটা আমার প্রত্যাশা।🍒
🍒 ঠিক গল্প নয় আমার জীবনের বাস্তব সত্য ঘটনা অবলম্বনে🍒
আমার নামঃ মোঃ জীবন হোসেন পিতাঃ মোঃ জালাল উদ্দিন মাতাঃ মোছাঃ জাহারা বেগম জন্মঃ ১৫ মে ১৯৮৭ ইং সাল।
👦 আমার শিশু কাল 👦
আমরা ৩ ভাই কোন বোন নেই আমি সবার ছোট। বড় ভায়ের জন্মের পর আমার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন । আমার মা অনেক চেষ্টা করে নিজের স্বামী সংসার নিয়ে একত্রে থাকার জন্য আপ্রান চেষ্টা করেন, ঠিক তার দের বছর পর আমি পৃথিবীর আলো বাতাস এ আসলাম,কিছু টা সময় গড়িয়েছে। আমার তখন পৃথিবীর কোন কিছু বুঝার বয়স হয়নি, কারন তখন আমি মায়ের কোলে,বাবার অবহেলা আর অনাদর এ আস্তে আস্তে বড় হতে থাকি। বাবা ২য় বিয়ে করার কারনে অবহেলা আর অবঙ্গার কারনে আমার মা নানা বাড়ির অংশ জমি সম্পদ বিক্রি করে আমার বাবাকে এনে দেন তার পরে ও আমার মা সহ আমরা অবহেলা অনাদরে বড় হতে থাকি। আমার মেঝো ভাইয়ের জন্মের দের বছর পর আমার জন্ম। আমার জন্মের পর থেকে বাড়তে থাকে আরো দূরত্ব অবহেলা আর অনাদর। দূরত্ব বাড়ার কারন বাবার দ্বিতীয় বিয়ে। আমার মা আবার ও কিছু জমি সম্পদ বিক্রি করে বাড়ি ও করেন দাদার গ্রামে যেন তার তিনটা সন্তান তাদের বাবার আদর স্নেহ ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত না হয়। আমার যখন সাত বছর বয়স তখন বাবার সাথে অশান্তি ও দুরুত্ব আরো বাড়তে থাকে। আমার মামারা এই সব দেখে ঘর বাড়ি ভেঙে নিয়ে আসে তাদের নিজেদের কাছে। বড় দুই ভাই কে রেখে দিলেন বাবার কাছে। আমি আমার মায়ের সাথে নানা বাড়িতে শুরু হলো আমার ও আমার মায়ের নতুন জীবন। একটু সময়ের ব্যাবধানে মায়ের আপ্রান চেষ্টা ও মামাদের সহযোগিতায় মায়ের অংশ শেষ সম্বল একটু জমির উপর নির্ভর করে হলো মাথা গোঁজার ঠাঁই। কৃতজ্ঞতা আমার মায়ের প্রতি শেষ সম্বল বাড়ির জমি টুকু আকরে ধরে রেখে আমাকে বড় করেছেন। গরু ছাগল হাসঁ মুরগী
পালনের মাধ্যমে আয় রোজগার যা আসতো তাই দিয়ে আমার মা আমাকে নিয়ে সংসার চালাতেন অভাব অনটনের মধ্যে অনেক কষ্ট করে,এভাবেই চলতে থাকলো আমাদের জীবন যাপন।
🌺 শিক্ষা জীবন🌺
আমার বড় মামা আমাকে সংগে করে নিয়ে গিয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ভর্তি করে দেন। শুরু
হলো আমার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন। আল্লাহ্ আমার মামার নেক হায়াত দান করুন আমিন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র হিসাবে মোটামুটি ভালোই ছিলাম। প্রাথমিক বিদ্যালয় পেরিয়ে শুরু হলো হাই স্কুলের ছাত্র জীবন ভর্তি হলাম ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি রোল নাম্বার হলো ৬৩ । কিছু সময়ের ব্যাবধানে লেখাপড়ায় একটু মনোযোগ দেওয়ায় সপ্তম শ্রেণীতে রোল নম্বর হলো ১৭। আমার একটা দিক ভালো ছিলো বাংলা /সমাজ বিজ্ঞান / ধর্ম /এই সাবজেক্ট গুলো কম পড়ে ও পাস নম্বর অজ`ন করতে পারতাম। কিন্তু অংক ইংলিশ এ বেশি ভালো ছিলাম না। দিন যায় সময় গড়ায় বাবার অনুপস্তিতি ও অভাব বুঝতে পারি। দাদা বাড়ি নানাবাড়ি ও মায়ের কষ্টের জীবন একসময় ঠিক বুঝতে শুরু করেছি একটা সময় কিছুটা হতাশা গ্রাস করতে শুরু করলো, পড়ালেখায় অমনোযোগী হতে থাকি। ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে কোনরকম পাস করে উঠি সেভেন এ। বাড়তে থাকে পড়া শোনার খরচ মায়ের পক্ষে আর খরচ চালানো সম্ভব হয়ে উঠছিলো না। আরো একটা বিষয় ছিলো আমার বাবা যেহেতু কোন খরচ বহন করতো না মায়ের অভাবের সংসার বাবার অবহেলা অনাদরের কারণে লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে শেষ হয়ে গলো ছাত্র জীবন । ইতি টানলাম পড়ালেখার।
🍒 অভাবের দিন গুলো🍒
✳️আমি যখন স্কুলে যাবার আগে বলতাম আম্মু ১ টা টাকা দেবে টিফিন খরচের জন্য আম্মু তখন বলতো কোথা থেকে দেবো আমি তখন জেদ করতাম আমার আম্মু তখন বকাঝকা করতো তার পর ও কিছু বল্লে মার খেতাম। একজন মা তার সন্তানদের খুব সহজে কষ্ট দিতে চায় না। তখন না বুঝলেও এখন অনুভব করি। মায়ের সংসারে অভাবে আর যেন মা ও আমার জীবন যেনো আর চলেনা। মাঝে মধ্যে মা পাঠাতো বাবার কাছে কয়েক কিলো রাস্তা হেটে যেতাম বাবার কাছে। টাকা বা বাজার সমগ্রি যেনো আমাদের দেন, বাবা কখনো হয়তো দিতো আবার কখনো কখনো দিতো না। আমি জানি আমি বুঝি আমার আম্মু কিভাবে কতো কষ্ট করে সংসার চালাতেন নুন আনতে পান্তা ফুরায়, পান্তা আনতে নুন ফুরায় এটাই ছিলো আমাদের সংসার জীবন। কিছু গবাদিপশু ও হাস মুরগী পালনের মাধ্যমে চলে আম্মু আর আমার জীবন যাপন। আর আমার মামারা একটু দেখবে তারাও সে রকম সচ্ছল হয়ে উঠেনি। ইতিমধ্যে পর্যায় ক্রমে সময়ের ব্যাবধানে সবাই বিয়ে শাদী করে নতুন সংসার শুরু করে যে যার মতো ব্যাস্ত নিজ নিজ সংসার নিয়ে।✳️
☘️ কর্ম জীবন ☘️
অভাবের তাড়নায় শুরু হলো কর্মজীবন পা রাখলাম
নতুন জীবনে। ভর্তি হলাম মটর গ্যারেজ এ মাস যায় বছর যায় ধীরে ধীরে কাজ গুলো হাতের মুঠোয় আসতে থাকে। মেকানিক্যাল কাজের প্রতি ছোট বেলা থেকেই একটু আদ টু আগ্রহ ছিলো। নিজের খেলনা গুলো নিজেই মেরামত করতে পারতাম। যে কারনে কাজ কে ভালোবাসতে আমার বেশী দেরি হয়নি ভালোবেসে ফেললাম টেকনিক্যাল কাজ কে, ঠিক তেমনি ভাবে কাজ ও সারা দিলো ব্যাপক ভাবে আমাকে । অন্য ছেলেদের ফুল কাজ শিখতে লাগতো ১২থেকে১৪ বছর আমার সাথে ও ছিলো এ রকম বড় ভাই কয়েকজন। আমার কাজ শিখতে সময় লাগলো ৫ থেকে ৬ বছর। আমার কাজ টা ছিলো গাড়ির টেকনিক্যাল ওয়ারিং যা কব্জা করতে খুব বেশি সময় লাগেনি। গ্যারেজে মোট৭- ৮ জন ছিলাম যাদের বাবা কেউ ড্রাইভার, কারো বাবা রিক্সা চালক, কারো বাবা ছোট খাটো ব্যাবসা বা কারো বাবা মুদি দোকানি আর আমার বাবা একজন স্বর্ণকার। তাদের কে দেখতাম সারা দিন রিকশা চালিয়ে গাড়ি চালিয়ে এসে রাত১২টা ১ টা নেই তাদের বাবারা সাথে করে নিয়ে বাড়ি যেতো। প্রথম প্রথম অতটা ফিলিংস ছিলো না বুঝতে পারতাম না। হঠাৎ একদিন তাদের দেখে আমার আব্বুর কথা মনে পরে যায়। ঐ দিনের কষ্টটার কথা মনে হয় কোনো দিন ভুলতে পরবো না, মুখ চেপে ধরে চলে যাই গ্যারেজের পিছনে,আমার বাবার অনুপস্তিতির
আবেগটা আর ধরে রাখতে পারিনি। কি বলবো এখনো ও চোখে পানি ছল ছল করছে। কয়েক বছর সময়ের ব্যাবধানে কাজ টা শিখে বাহির হলাম আলহামদুলিল্লাহ। এক পর্যায়ে নিজে গ্যারেজ করার
পরিকল্পনা করলাম। সমাজে মুরুব্বীদের মুখে শুনেছি কিছু করার উপযুক্ত সময় টা হলো বিয়ের আগ পর্যন্ত। ওখান থেকেই ভাবনা এখনই কিছু করার সময়। শুরু করে দিলাম একটা দোকান ঘড় নিয়ে টেকনিক্যাল কাজ গাড়ীর ওয়ারিং, চলতে থাকলো মোটামুটি ভালোই,নিজের গ্যারেজে নিজেই মিস্ত্রী। একটু সময়ের ব্যাবধানে পারিপার্শ্বিক কারন ও মায়ের বয়স বাড়ার কারনে বিয়েটা ও করতে হয়। বিয়ের পর কিছু রিতিনিতির কারনে যেমন শশুর বাড়ি যাওয়া আসা ওখানে সময় দেয়া বেড়ানো চলাকালীন, কাস্টমার এসে আমাকে না পাওয়া সব মিলিয়ে ব্যাবসার কিছুটা অবনতি হয়ে যায়, যেখান থেকে বের হওয়ার আপ্রান চেষ্টা করে ও আর সফল হতে পারলাম না। দুই বছরের ব্যাবধানে আমি কন্যা সন্তানের বাবা হলাম। ব্যাবসার আয়ের অর্থে কোন রকম পরিবার চললে ও ব্যাবসার মূলধনে ঘাটতি দেখা দিলো মুলধন ঘাটতি পুরন করা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি। কিছুটা হতাশা গ্রস্ত হয়ে পড়লাম। জীবন যাপন শুরু হলো উশৃংখল বন্ধু বান্ধব ও নিজের কিছু অনিয়ম এ ভরপুর হয়ে যায় কিছু টা সময়ের জন্য। দেখা দেয় অভাব অনটন টাকার জন্য কখনো গ্যারেজ এ বসি কখনো গাড়ি চালাতে যাই।কোনো ভাবেই যেন কুল কিনারা করতে পারছি না।নিজেকে শুধু এই বলে সান্তনা দেই পথ হারানো যাবে না। কারন তিন তিনটা জীবনের দায়িত্ব আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন আমার উপরে দিয়েছেন। চার পাশে খেয়াল করে নিজে নিজে সিদ্দান্ত নিলাম বিদেশ যাবো। বাড়ি তে জানালাম মা কে এক কথায় বলে দিলেন না। আমার গিন্নি কে বলার পর সেও আপত্তি করছে, সে বলেছে এতো টাকা কোথায় পাবো কে দিবে এতো টাকা। যাই হোক যে ভাবেই হোক টাকা একপর্যায়ে মেনেজ করেছি বিদেশে যাবার জন্য। কেউ ব্যাবসার জন্য টাকা দিতে রাজি হয়নি,এটা আমার জীবনে একটা বড় দুঃখ। বাধ্য হয়েই পাড়ি জমালাম সৌদি আরব। বুক ভরা আশা নিয়ে কর্মজীবন শুরু করলাম সৌদি আরব এ, আসলাম কতো আশা নিয়ে। সৌদি আসার পর বুঝে গেলাম ভালো কিছু নাই হলো তবু লেগে থাকলাম। এখন ভাবছি দেশে মনোযোগী হয়ে এখানকার মতো পরিস্রম বাংলাদেশে যদি করি অনেক ভালো কিছু করা সম্ভব। আমি একজন টেকনিক্যাল মিস্ত্রী হিসাবে দেশে ও ভালো ইনকাম করা সম্ভব, তা হলে কেনো এখানে পড়ে থাকবো
দেখতে দেখতে কেটে গেলো প্রায় পাঁচ টি বছর। আমার বেতন ভালো না মালিকের আচরণ বিচরণ ও খুব খারাপ একপর্যায়ে অতিষ্ঠ হয়ে হতাশা
গ্রস্ত হয়ে পড়লাম ভাবছি কি করবো না করবো চিন্তায় কোন কিছু ভালো লাগে না। আবার আমার মা ও মাঝে মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার চিকিৎসা ঔষধ সেবাযত্ন চলছে মুখ্য ভুমিকায় আছে আমার
গিন্নি। এলোমেলো ভাবনা ও এলোমেলো পথের পথিক যখন আমি, ঠিক তখনই আমার প্রিয় নানা ভাই মোঃ শাহজাহান আলী যিনি সম্পর্কে আমার
মায়ের মামা। নানা ভাই সম্পর্ক তো আছেই আরো আছে বন্ধুত্ব গভীর হাজারো সৃতি । নানা ভাই আমাকে সাহস দিলেন ভেংগে পরো না মনে সাহস নিয়ে চলতে থাকো। নানা ভাই আমাকে শোনালেন নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর গল্প,একপর্যায়ে ফলোয়ার করিয়ে দিলেন, কিছু সময়ের ব্যাবধানে রেজিষ্ট্রেশন করিয়ে নাটোর জেলা মেসেনজার গ্রুপ এ যুক্ত করে নিলেন। প্রিয় স্যারের
সেশন পোস্ট গুলো যতো দেখছি পড়ছি ও UTV LIVE শুনছি ও দেখছি এবং নাটোর জেলা টিম কতৃক আয়োজিত সেশন চর্চা ক্লাস এ প্রতিদিন যুক্ত
থাকছি যেখান থেকে প্রতিদিন শিখছি উদ্যোক্তা কি ভাবে হতে হয় বিজনেস কি ভাবে করতে হয়। আমি এখন বিশ্বাস করি যে আমি একজন পজিটিভ মানুষ। বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো আমি একজন ভালো মানুষ। কিছু টাকা পয়সা ইতিমধ্যে সঞ্চয় করেছি আরো ও কিছু জমিয়ে পরিকল্পনা মোতাবেক দেশে ফিরে উদ্যোক্তা জীবন শুরু করবো অন্তত ২/৩ জনের জন্য কর্মসংস্তানের ব্যাবস্তা ও করবো ইনশাআল্লাহ। প্রিয় মেন্টর শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার যে ভাবে অনুপ্রেরনা দিয়েছেন কৃতজ্ঞতা জানই স্যররের প্রতি।
স্বপ্ন দেখুন
সাহস করুন
শুরু করুন
লেগে থাকুন
সফলতা আসবেই
স্যারের এই বাণী শুনার পর থেকে ,আমি একজন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছি এবং নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছি ।
আজকের মতো আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিতে চাচ্ছি । বিদায় নেওয়ার আগে , আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এবং আমাদের ফাউন্ডেশনের সম্মানিত মডারেটর কোর ভলেন্টিয়ার এবং বিভিন্ন কাজে দায়িত্বে আছেন সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে লেখাটি শেষ করলাম।আল্লা হাফেজ ।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৪৩
Date:- ১৪/০২/২০২২ইং
জীবন হোসেন
ব্যাচ নং: ১৬
রেজিঃ নং: ৭৮৮৫৪
জেলা: নাটোর
সৌদি আরব প্রবাসী
ফাউন্ডার: হোসনেয়ারা ফ্যাশন