আমি আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে নিয়েছি এবং প্রতিনিয়তো প্রয়োগ করার চেষ্টা করি।
বিসমিল্লাহির_রাহমানির_রাহিম,,,
#আসসালামুয়ালাইকুম_সবাইকে!!
আশা করি সবাই ভালো আছেন? আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়াতে ভালো আছি।
আজকে হাজির হয়েছি আমার জীবনের গল্প বলতে। আজ আমার জীবনের গল্প বলবো।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,💝💝#গল্প#💝💝💝💝
👏✌️সবার প্রতি আমার আকুল আবেদন সবাই আমার গল্পটা পড়বেন কেউ এড়িয়ে যাবেন না প্লিজ। 💌💌💌
🕋🕋সর্বপ্রথম শুকরিয়া আদায় করছি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে, যিনি আমায় এখনো সুস্থ, এবং হায়াত দিয়ে এই সুন্দর দুনিয়ায় রেখেছেন। সেই মনিবের দরবারে হাজারো লক্ষ কোটি বার আলহামদুলিল্লাহ। 🥰
🍃 শুরু করছি বিশ্বজাহানের মহান প্রতিপালক এবং জীব হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব দান কারি সেই দয়াময় প্রভুর নামে,,,যার করুনায় এখনো সুস্থতার সাথে আছি।যার অসীম রহমতে বেঁচে আছি শত দুঃখ সুখের মাঝে ও ধৈর্যের সাথে।যার দয়া না থাকলে কখনোই আজকে লিখতে পারতাম না ।
শত সহস্র বার সেই করুনাময়ের দরবারে শুকরিয়া 🍃
☘️ হৃদয় উজারকরা ভালোবাসা নিয়ে দরুদ ও সালাম পেশ করছি আমাদেরসেই মহামানব ,মানবতার শ্রেষ্টদূত প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রং ওজা মোবারকে।যার 63 বছরের
জীবনে ছিলো শুধু উম্মতের জন্য অগাধ ভালোবাসা আর ত্যাগ।🍃
💝💌 এরপর চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের প্রাণপ্রিয় মেন্টর, আমাদের প্রান প্রিয় শিক্ষক, জনাব #ইকবাল_বাহার_জাহিদ_স্যার এর প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমে, বিনা স্বার্থে এতো সুন্দর একটা ফাউন্ডেশন আমাদের দেয়া। সেই স্যার এর প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, এবং স্যারের জন্য অনেক দোয়া ভালোবাসা। 🤲💝
#চলুন_শুরু_করা_যাক👇👇👇👇
🌺✍️নিজের বলার মতো একটা গল্প প্লাটফ্রমের সকল ভাই বোনদের উদ্দেশেই আমার আজকের লেখা।আমার পরিবারে বাইরে এটা আমার আরেকটা পরিবার বলে আমি মনে করি।সবাইকে আমার পক্ষ থেকে হৃদয়ের গভীর থেকে অনেক বেশী দোয়া ও ভালোবাসা জানাই।
16তম ব্যাচ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত অনেক ভাই বোনের জীবনের গল্প আমি পড়েছি।আজকে আমার জীবনের গল্প সবার মাঝে শেয়ার কয়লাম।প্রায় বেশ কিছু দিন আমি প্রিয় প্লাটফ্রমে আপনাদের সুঃখ দুঃখে পাশে আছি এবং সারাজীবন থাকবো ।
♥️♥️♥️পরম ভালবাসা ও শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করতে চাই আমার সেই মা বাবার প্রতি যাদের কারনে সুন্দর এই পৃথিবী দেখার সৌভাগ্য হয়েছিলো।যাদের অসীম মমতা আর ভালোবাসা র যত্মে আজকে এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি।
🌺♥️জন্ম হয়েছে ধন্য আমার বাবা মায়ের জন্য।🌺♥️
জীবনের যতো দুঃখ যতো অভিমান
নীরব যতো বেদনা যতো অপমান
সবি যাই ভুলে মাগো তুমায় কাছে পেলে
তুমি ছাড়া কে আছে আপন।
🍃আমি শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা, দোয়া,এবং ভালোবাসা ভরা হৃদয়ে আরো স্বরন করছি যিনি সকলের জন্য নিবেদিত প্রাণ।যার চিন্তা চেতনায় লাক্ষ লাক্ষ মানুষের সফলতার গল্প লেখার।যিনি নির্ঘুম রাত দিন শুধু সবার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা করেযান ব্যাকারত্ব ঘুচানোর চেষ্টা য়।যিনি বেঁধেছেন লক্ষ্য লক্ষ মানুষ কে একটি সূতায় গড়েছেন একটি পরিবার তৈরি করেছেন নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের এতো সুন্দর একটা প্লাটফ্রম।সেই অত্যন্ত প্রিয় শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি।🍃
🍃যেখানে এসে পেয়েছি অসংখ্য ভাই বোনদের অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা।
শিখেছি না ভেংগে নিজেকে গড়ার পথ।বলতে শিখেছি না বলা জমে থাকা অনেক কথা যা হয়তো এই প্লাটফ্রমে না আসলে কখনোই বলাহতোনা।হয়তো কখনোই নিজেকে একটু একটু করে গড়েতুলার সাহস কখনোই পেতাম না।যেটা প্রিয় স্যারের প্রতিটা সেশন থেকে একটু করে হৃদয়ে সঞ্জয় করছি প্রতি দিন।🍃
🍁🌺আমার জীবনের গল্পের কিছু অধ্যায় মাএ🌺🍁
🍁☘️মানুষের জীবনটা খুব ছোট্ট। কিন্তূ এই ছোট্ট জীবনের গল্প গুলো লিখে বা বলে কখনোই শেষ করা যাবেনা। ছোট্ট জীবনের গল্প গুলো লিখতেগেলে হাজারো কলম ফুরিয়ে যাবে কিন্তূ জীবন গল্পের কিছু টা অংশ ই হয়তো লেখা হবে।বাকিটা গল্প অসমাপ্ত ই রয়েযাবে।🍁☘️
🌿🍁আমার শৈশবের কিছু কথা,,,
সত্যি খুবই আনন্দময় হয়ে থাকে সবার জীবনে।
শৈশবের 10-12টা বছর সারাজীবনের সাথে তুলনা করলে সারাজীবনের তুলনায় এই 12বছরের খুশী আনন্দের পাল্লাটাই সবথেকে ভাড়ি হবে।
আমি পপি আক্তার, গাজীপুরের মেয়ে।আমার জন্ম অসাধারণ সুন্দর একটা গ্ৰামে।
চার ভাইবোনের মধ্যে আমি সবার ছোট ।তারপরে আমার বড় ভাই এবং বড় দুই বোন।সবার ছোট হওয়াতে সবার অনেক আদরেই বড় হয়েছি।
আমার জন্মের কিছু দিন পরেই আমার বাবার চাকরির প্রমোশন হয় ।তার পর থেকে বাবা আমার প্রতি আরো বেশী দুর্বল ছিলেন।বাবা বলতেন আমার মেয়েটা আমার জন্য অনেক লাকি।আমার নামটা বাবাই রেখেছেন পাপিয়া ।পাখির নামে নামটা রেখেছিলেন।সবাই আদর করে পপি বলে ডাকে।🍁☘️
🌿🍁বাবা সরকারি চাকরি করতেন কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলে টংগী তে।মাএ 200টাকা বেতন ছিলো।বাবা নিজে লাইফে অনেক কষ্ট করেছেন। কিন্তূ আমাদের কখনো তার আচ পর্যন্ত লাগতে দেয়নি।
আমার দাদা বাবা কে অনেক ছোট রেখেই মারাযান। পাঁচ বোন দুই ভাই ছিলো বাবার।বাবা সবার ছোট ছিলেন।আমার দাদা বাড়ি ছিলো কাওলা তে।
পুরান এয়ারপোর্টের কাছে।দাদার অনেক জমি জমা ছিলো।দাদা মারা যাবার পরে তাদের পরিবারে নেমে আসে অভাব। একমাত্র আয়ের উৎস ছিলো দাদা।ফুপুদের বিয়ে হয়ে গেছিলো।তাই তাদের তেমন কোন প্রবলেম হয়নি।চাচা বড় ছিলো তাই নিজেই রোজগার করতে পারতেন।তখন আমার বাবা মাএ 12-13বছরের ছিলেন। অনেক কষ্টে বোনের সংসারে থেকে পরাশোনা চালিয়ে যান।চাচা বড় ছিলো তাই অনেক জমি বিক্রি করে ফেলেন। কিছু দিন পরে দাদি ও মারাযান।
🌿🍁তখন বাবা খুব একা হয়ে পরেন।পরে ফুপুরা বাবাকে মাএ s a c পাশ করার পর ই বিয়ে করানোর সিদ্ধান্ত নেন।আমার আম্মু বাবার আত্মীয় ছিলেন।নানুবড়ি অনেক সচ্ছল ছিলো।তাই নানু বাবার কাছে আম্মু কে বিয়ে দিতে রাজি ছিলোনা।কারন তখন বাবার থাকার মতো একটা ঘর ও ছিলোনা।পরে ফুপুরা অনেক কে ধরে বিয়ের জন্য নানুকে রাজি করান।বিয়ের পরে আম্মু নানু বাড়িতেই থাকতো।বাবা চাকরির পাশাপাশি পরাশোনো করতেন।10দিন নাইট 10দিন দিনে এভাবে দিন রাত পরিশ্রম করে অনেক কষ্ট করে টাকা জমিয়ে থাকার জন্য জমি কিনেন।কোন রকমে একটা ঘর করে থাকার ব্যাবস্থা করেন।পরে ধিরে ধিরে ধানের জমি দোকান এবং গরু কিনেন।জমির ধানেই বছর খেয়েও শেষ করা যেতো না।
🌿🍁পুকুরে মাছ চাষ করতেন।নিজেদের সবজির খেত ছিলো।আর বেতনের টাকা দিয়ে জমি কিনতেন।
আস্তে আস্তে বাবার অবস্থা সম্পুর্ন ই চেন্জ হলো। সচ্ছলতা আসলো আমাদের পরিবারে।।তবে এতো কষ্টের মাঝেও আমরা কখনো অভাব চোখে দেখিনি।বাবা মার্কেটে নিয়ে যাতো আমাদের।যে জামাটাই পছন্দ করেছি সেটাই কিনে দিতেন। কিন্তূ বাবাকে খুব কম ই নতুন কাপড় পড়তে দেখেছি।খাবার দাবার কখনো কমতি ছিলোনা ঘরে। প্রতিদিন স্কুলে যেতাম বাবা 5টাকা দিতেন ।কাছেই বাসা তাই বাড়িতেই টিফিন করতাম।ঐ টাকা দিয়ে স্কুলে ফ্রেন্ডদের সাথে আচার ,চকলেট এগুলো কিছু নিতাম।বাবার মটরসাইকেল ছিলো।কোথাও একা দাওয়াত থাকলেও স্কুলথেকে পেছনে করে আমাকে নিয়েযেতেন।
মসজিদের পাশেই আমাদের বাড়িটা।তাই ছোট বেলা থেকেই নামাজ রোজা আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবেই শিখেছি।প্রতিদিন মক্তবে গেলে হুজুর নামাজের কথা জিজ্ঞেস করতেন।এক ওয়াক্ত বাদ গেলে 5টা বেত ।তাই ভয়ে নামাজ পড়তাম রেগুলার।প্রতি বৃহস্পতিবার একজন করে সামনে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়াতাম।এভাবে নামাজটা শুদ্ধ করে শিখা হয়।আর মাথায় কাপড় না দেখলেই হুজুর বেত মারতেন।তাই পর্দা করাও ছোট থেকেই শিখা।।
আমি ছোট বেলা থেকেই একটু শান্ত স্বভাবের ছিলাম।কেউ দুষ্টুমি করে কিছু বললেও কান্না করে দিতাম।নিজের জামা কাপড়টাও নিজে ধুয়ে পরিনি।আম্মুই সব করতেন।সংসারের সব কাজ আম্মু একাই করতেন কখনো কোন কাজের কথা বলতেন না।তবে আমার হাতের কাজের প্রতি অনেক আগ্ৰহ ছিলো ছোট থেকেই।যা দেখতাম তাই শিখতাম।আমাদের টেইলার্সের দোকানে গিয়ে কাটিং দেখতাম। পুতুলের জামা বানাতাম।এভাবে টেইলারিং কাজটা শিখেছিলাম।এছাড়াও পুঁতির কাজ,শাড়িতে হাতের কাজ,ব্যাগ শোপিস কুশিকাটার কাজ সব কিছু ই পারতাম।তবে বেশি দিন কোনটাই কন্টিনিউ করা হয়নি।কারন বাবা কখনোই আমাদের বাইরে যাওয়া এলাও করতেন না।তিনি যতোটা আদর করতেন ততোটাই কঠোর ছিলেন শ্বাসনের দিকে।আমাদের কিছু করার চিন্তা বাবার ভয়েই সেখানেই শেষ করে দিতাম।আবার এটাও ভাবতাম আমি কিছু করে কি করবো।এখন বাবার ঘরে পরে স্বামী র ঘর কোন অভাব নেই আমার কাজ করার দরকার কি।এমনি করেই সমস্ত ইচ্ছা ওখানেই শেষ করে দিতাম।
তখন প্রিয় সরকারের মতো একটা শিক্ষক যদিপেতাম আজ হয়তো সফলতার চূড়ায় পোঁছে যেতাম।নিজের সফলতার গল্পের সাথে আরো বহু গল্প লেখার সূচনা হতো আমার মধ্যদিয়ে। আস্তে আস্তে বড় হতে শুরু করি।
গ্ৰামের মেয়ে তাই স্থভাবত ই কম বয়সেই বিয়ের প্রস্তাব আসতো।বাবাও আমার বোনদের ও কম বয়সেই বিয়ে দিয়ে ছিলেন।তার ধারনা মেয়ে বড় হয়েগেলে নানা ন প্রবলেম হতে পারে।তাই আগেই বিয়ে দিয়ে ছিলেন।
যেনো সম্মান নষ্ট না ,হয়।
স্কুলে যাওয়া আসার সময় অনক ছেলেরা দাঁড়িয়ে থাকতো।ব ইয়ের মধ্যে চিঠি রেখে যেতো।
তবে বাবার ভয়ে কখনো প্রেমের কথা ভাবার সাহস পর্যন্ত হয়নি।
🌿🍁সেই আমি জীবনে দ্বিতীয় ভুল টি করেছিলাম বাবা-মায়ের অমতে বিয়ে করে।
মাএ 3 মাসের পরিচিত একজনের হাতধরে বাড়িথেকে পালিয়ে গিয়ে লাইফের দ্বিতীয় ভুলটি করি।যেই দুটি ভুল ই আমার সারাটা জীবন নষ্ট করার অন্যতম প্রধান কারন।
🌿🍁কেনো কোন পরিস্থিতিতে আমি এরকম একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সেই গল্পটুকু এখানে বলা হয়নি।সব বিষয় গুলো বলতে গেলে অফুরন্ত সময়ের প্রয়োজন।এবং ঐ বিষয়টা এড়িয়ে যাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
🌿🍁আমার বাবা-ছিলেন এলাকার সম্মানীয় দের মধ্যে একজন ।রাজনীতি করতেন ,ছোটবেলা থেকেই বাবার প্রতি আমাদের অনেক ভয় কাজ করতো।মা কখনো আমাদের ধমক পর্যন্ত দেননি ।কিন্তু বাবা ছিলেন শাসনের দিকদিয়ে কঠোর আবার অনেক সহজ ছিলেন আদরের দিকদিয়ে।বাবা মায়ের এতো আদর ভালোবাসা সব ছেড়ে মাএ এক কাপড়েই বাড়ি ঘর ছেরে পালিয়ে গেছিলাম। 6 মাস বাড়ি থেকে দূরে ছিলাম। বিয়ের একমাস পরেই বুঝতে বাকি রইল না আমার ভুল কতটা হয়েছে। ভেবেছিলাম সে অনেক ভদ্র সভ্য একজন আমাকে সবকিছু দিয়ে আগলে রাখবে।আমার কষ্টে ব্যাথিত হবে।চোখের আড়াল হলে অপলক নয়নে খুঁজে বেড়াবে।।দীর্ঘ তিন মাসের রিলেসনের সময় তিনি সব সময় আমাকে অনেক ভাবে বুঝিয়ে ছেন ওকে বিয়ে করার জন্য।কারন আমার বাবা মা কখনোই রাজিহতোনা ওর সাথে আমাকে বিয়ে দেবার ব্যাপারে।ওদের তুলনায় আমার বাবা অনেক টাই সচ্ছল ছিলেন।স্বভাবত ই সব বাবা মা চায় নিজের আদরের মেয়েকে একটা ভালো সচ্ছল পরিবারে বিয়ে দিতে।আমার বাবার সমাজে অনেক পরিচিত ছিলো।গাড়ি বাড়ি সবি আছে ।
আর স্বামীর থাকার মতো একটা বাড়ি ছাড়া তেমন কিছুই ছিলোনা।আমি সব জেনে শুনেই গেছিলাম।শুধু জানতাম না ওর সরলতার পেছনের চেহারাটা।যেটা মাএ বিয়ের একমাসের মধ্যে ই প্রকাশ পেতে থাকে। ব্যাকার নেশা গ্রস্থ স্বামীর ঘরে এসে বুঝতে পারি জীবনের আসল মানে।আমি ছোটবেলা থেকেই সিগারেট খাওয়া একদম পছন্দ করতাম না।আমার বাবার চা পান ছাড়া কখনোই অন্য কোন নেশা ছিলোনা।একভাই সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।তিনি চায়ের নেশাতেও নেই।আমার পরিবারের সবাই নামাজি। খুব ভদ্র একটা ফ্যামিলি আমাদের।বিয়ের মাএ একমাস পরেই জানতে পারি যাকে বিশ্বাস করে সব ছেরে দিলাম সে সম্পুর্ণ অন্ধকার জগতের একজন মানুষ।যখন সব জানতে পারি তখন পেছন ফেরার চিন্তা করতে পারিনি।কিভাবে যেতাম ফিরে।বাবা মায়ের অবাধ্য হয়ে সেই পথটা বন্ধ করেছিলাম নিজেই। শুরু হয় মানিয়ে নেয়া আর নীরবে যন্ত্রনা সহ্য করা।তার মুখের ভাষা এতোটাই চেন্জ হয়ে গেছিলো যে এই মানুষ টাকে চিনতে আমার কষ্ট হতো।
ধূলোজমে আছে ডায়রিটাতে,,,
হয়নি পড়া কতো গল্প,,,
হ য়নি লেখা কতো কবিতা,,
হয়নি পূরন কতো স্বপ্ন,,,।
🌿🍁সে অবলিলায় নিজে খেয়ে ঘুমিয়ে থাকতো। কখনো জানতেও চায়নি আমি খেয়েছি কি খাইনি।আর কিছু বললেই শুরু হতো আমার উপরে তার দেয়া আঘাতের চিহ্ন। শশুর শাশুড়ির টাকায় খেতাম।তারা আমাকে সাপোর্ট করতো ।তবে বেকার নেশাগ্ৰস্ব ছেলে এবং তার ব উয়ের দায়িত্ব কে নিতে চায়।তারা মাঝে মাঝে ই বেশ বিরক্ত বোধ করতেন তার ছেলের প্রতি।তার অনেক টা প্রভাব আমার উপরেই এসে পড়তো।সবার এতো কথা শুনে রাত দিন কাদতাম।আর নিজের ভূলের অনুশুচনায় দিন কাঁটাতাম।তবুও পেছন ফেরার সাহস পেতাম না।সময়ের ব্যাবধানে বছর খানেক পরে মা হলাম।সংসারে খরচ বাড়তে থাকে আর আমার কষ্টের সীমাও।ধীরে ধীরে ওরা বড় হতে লাগলো।
🌿🍁বাবার হার্টে র অপারেশন হয়।তখন পায়ে ধরে ক্ষমাচাই নিজের কাজের জন্য।বাবা সব মেনে নেন।
আমি বাবার খুব আদরের ছিলাম ।তাই আমার সব কিছু মেনে নিয়ে ক্ষমা করেছদেন ।বাবা শশুর দুই বাড়ি মিলিয়ে মুটামুটি চলতে থাকে আমার দিনকাল।আর আমার স্বামীর দিন যায় ঘুম আর নেশায়।একটা রাতো না কেঁদে ঘুমাতে পারিনি।সে অবলিলায়য় খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়তেন।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনেক কষ্ট করতে হয় বেবী দের নিয়ে।সে কখনোই আমাকে কোন কাজে হেল্প করতো না।
🌿🍁উল্টো কাজ নিয়ে সারাক্ষন দোষ ধরতো।এটা পারিনা ওটা হয়নি।অথচ একটা বেলার জন্য বাইরে গেলেও বেবী দের খাওয়া গোসল সেরে আমাকে যেতেহয়।বাবার বাড়িতে সব সময় কাজের লোক ছিলো।কখনো কোন কাজ আমাকে করতে হয়নি। কিন্তূ এখানে এসে সব কাজ নিজেই করতাম। তার পরেও কখনো সে আমাকে সাপোর্ট করতো না।আমার ফোনের টাকাটা ও মায়ের কাছে কে নিতাম।ধীরে ধীরে আমার প্রতি ওর অবহেলা আর ওর অবাধ চলাফেরা আমাকে একটু একটু করে শেষ করে দিচ্ছি লো।তখনি খুব ভালো ভাবে উপলব্ধি করলাম যে আমার নিজের সত্যি কিছু করার প্রয়োজন ছিলো।আজ যদি আমার নিজের কোন ইনকাম থাকতো তবে নিজের খরচে চলার সামর্থ্য রাখতাম।বাবা মা শশুর শাশুড়ি র উপরে নির্ভর করতে হতো না।যে মানুষ টা বুক ফুলিয়ে চলেছে এতো দিন তাকে তখন অন্যের অধিনে প্রতিনিয়তো খাওয়া পরা নিয়ে কথা শুনতে হয় এটা একমাত্র যার সাথে ঘটে সেই বুঝতে পারে।এক অনিশ্চিত জীবনের পথে হাটাযে কতোটা বেদনার এক পথহারা পথিকেরি সেটা বুঝা সম্ভব।যে মানুষ টা কখনো কোনদিন জীবনের চিন্তা কি বোঝেনি তাকে প্রতিনিয়তো মানুষের কাছে খাওয়া পড়া নিয়ে কথা শুনতে হয়।যার পেছনে খাবার নিয়ে পরিবারের সবাই ঘুরতো সেই মানুষ টাকেই তার স্বামী ঘরে একবেলা খাবার নিয়ে শতো কথা আর অপমানিতো হতেহয়।
আজ মনেহয় তখন যদি নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশন টা থাকতো তাহলে হয়তো পেছনে ফেরার পথটা খুঁজে পেতাম।নিজের অসফল জীবনটাকে সফলতার দিকে নিয়ে আসতে পারতাম।নিজেকে ধীরে ধীরে এতোটা নিশ্ব হতে হতো না।
🌿🍁এভাবেই ধীরে ধীরে ভেতর থেকে সব হারানোর ব্যাথায় শেষ হয়ে যাচ্ছি দিন দিন।বাবা মা অনেক চেষ্টা করে এখান থেকে নিয়েযেতে। কিন্তূ বেবী দের দিকে তাকিয়ে সেটা করার চিন্তা আর জোরালো করতে পারিনা।আবার এতো অপমানিত হয়েও থাকতে পারছিনা।
কষ্ট ছিলো শুধু এটাই ভেবে যাকে ভালোবেসে এতো গুলো প্রিয় মানুষ গুলো ত্যাগ করলাম সে এতোবড় অন্যায় কাজ কিভাবে করতে পারলো।জেনে শুনে আমাকে সব কিছু থেকে বঞ্চিত করলো।আমার সুন্দর ভবিষ্যৎ টা নষ্ট করেদিলো।
হয়তো এভাবে চলে না আসলে জীবনটা অন্যরকম হতো। অনেক গুছানো,পরিপাটি লাইফ।যেখানে কোন কষ্ট হয়তো তাড়া করতো না।হয়তো জীবনের নিজের জন্য কিছু করা তো।
🌿🍁আমার লাইফটা তো আর একা নেই। তাই নিজের পাওয়া নাপাওয়ার দুঃখ কষ্ট গুলো বুকে চাপা দিয়ে বেবী দের ভবিষ্যত চিন্তা করতে শুরু করি। তখন থেকে একটা কথাই ভাবতাম আমার তো যা হবার হয়েছে ওরা যেনো একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ পায়।আমার মেয়েটাকে যেনো কখনো এমন পরিস্থিতি তে পড়তে না হয় যেনো কারো আধিন থেকে চলে গেলে তাকে নিজের লাইফ নিয়ে চিন্তা করতে হয়।সে যেনো ছোট থেকেই স্ব নির্ভর হয়ে বাচতে শিখে।মেয়েদের নিজের একটা পরিচয় না থাকলে সমাজে নিচু হয়ে থাকতে হয়।বাবার বাড়ি, শশুর বাড়ি সবখানেই মেয়েদের ছোট্ট প্রবলেমটা কেও অনেক বড় করে দেখা হয়।30দিন সবার কথা শুনে একদিন না শুনতে পারলেই নারীকে শুনতে হয় অবাধ্য আরো কতোকি।
আমার প্রবোল ভাবে ইচ্ছা জাগে নিজেকে তৈরি করার জন্য।যেখানে দিনশেষে কোন হিসেবের জন্য দাঁড়াতে হবেনা।আমার প্রয়োজনে কারো অধিনস্ত হতে হবেনা।
আমার প্রয়োজন নিয়ে কারো সামনে হাত পাততে হবেনা।নিজের সমস্ত কষ্ট আর বাস্তব থেকে শক্তি আর শিক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেই নিজের পরিচয় তৈরি করার জন্য।কাছের মধ্যে নিজের কষ্ট ভুলে থাকার যোদ্ধ নিয়েই উদ্যুক্তা হবার পথে পা বাড়াই।যেনো আমার থেকে দেখে আমার মেয়ে সহ আরো অসংখ্য নারীরা নিজের পরিচয় তৈরি করতে এগিয়ে আসার সাহস পায়। কষ্ট নিয়ে ধিরে ধিরে নিঃশেষ না হয়ে যেনো কষ্ট টাকে শক্তি হিসেবে কাজে লাগাতে পারে।
🍁যেহেতু বাবার কাপড়ের দোকান ছিলো তাই কাপড় সম্পর্কে একটু ধারনা আগেথেকেই ছিলো।তাই চিন্তা করলাম ক্লথ আইটেম নিয়েই শুরু করার জন্য।🍁
💝🌿মাএ 20হাজার টাকা দিয়ে আমার নতূন উদ্যুগ টির শুরু করি popy's wardrobe,,,
আস্তে আস্তে চেনা জানা শুরু হয় এবং শুরু হয় আমার জীবনের নতুন এক অধ্যায়।।।।
আমি একটু একটু করে নিজেকে শক্ত করে তুলেছিলাম।যে আমি কখনো নিজের জামাটা একা গিয়ে কিনতে পারতাম না সেই এখন দুর দুর্দান্ত থেকে বস্তার পর বস্তা কাপড় নিয়ে আসি বিজনেস এর জন্য।আমার সন্তানের মতোই আমার কাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হতে থাকে।সব কাজের ফাঁকে নিজের বিজনেস এ সময় দিতে থাকি।প্রথম বারেই রোজার মাসে আলহামদুলিল্লাহ 33হাজার টাকার ড্রেস সেলকরি।
ধিরে ধিরে আলহামদুলিল্লাহ সেল বাড়তে থাকে এবং ইনভেস্ট বাড়াতে থাকি।এখন আলহামদুলিল্লাহ আমার স্বপ্ন অনেক টাই সফল আল্লাহর রহমতে সবার দোয়ায়।প্রিয় প্লাটফ্রমের প্রিয় সরকারের দেয়া প্রতিটা শিক্ষা আমি আমার বিজনেস এ কাজে লাগাই।এবং আলহামদুলিল্লাহ আমার কাজের সুফলটাও সুন্দর ভাবেই পাচ্ছি।এখন আর আমার কষ্টের কথা ভাবার সময় পাইনা।
অসংখ্য ভাইবোনদের পেয়েছি নিজের কথা বলার জন্য।
কাজের অনুপ্রেরণা পাই সবার ঘুরে দারানোর গল্প শুনে।
যখনি শত কাজের ভিড়ে হতাশ হয়ে যাই,,,
প্রিয় স্যারের কথা গুলোতে মনে শক্তি খুঁজে পাই,,,
🧺🍁💝আমি আচার পিঠা বানাতে খুব পছন্দ করতাম অনেক আগেথেকেই।আচার করে রাখা এবং সবাইকে খাওয়ানো আমার খুব পছন্দ।তাই অনেক আচার করতাম। প্রিয় স্যারের বাণী টা আমার খুব ভালো লাগে। কোন একটা কাজে সীমাবদ্ধ না থেকে কয়েকটা কাজ নিয়ে চিন্তা করা।আমি কোন কাজগুলো ভালো পারি তা নিয়ে চিন্তা শুরু করলাম।সেই থেকেই ফুড আইটেম নিয়ে কিছু করার চিন্তা করি।সবার ভালো বাসা আর দোয়া য় আলহামদুলিল্লাহ ভালোই এগিয়ে যাচ্ছে Rannaghor by Popy l,,,
সবাই ভালোবাসে আচার ওয়ালী আপু বলে।এটাও আমার প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে বাড়তি পাওয়া।
🌿♥️16তম ব্যাচ থেকে নিজের বলার মতো একটা গল্প প্লাটফর্মে জয়েন করি। কিন্তু বহু আগে থেকেই প্রিয় স্যারের পোস্ট গুলো দেখতাম। সেশন গুলো পড়ে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করতো। ভেতর থেকে অনেক শক্তি এবং সাহস পেতাম। প্রত্যেকটা সেশন পড়ে যেন একটু একটু করে আমার ভেতরের ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগতে শুরু করে। চেষ্টা করি এবং রেজিস্ট্রেশন করে গ্রুপটিতে জয়েন করি। 16 তম ব্যাচ টানা 90 দিনে শেষ করতে করতে অসংখ্য ভাই বোনের সাথে পরিচিত হই। তাদের অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা নিয়ে আস্তে আস্তে স্বপ্ন পূরণের দিকে আরো অনেক অনেক ধাপ এগিয়ে যাই। প্রিয় স্যারের প্রতিটা সেশন মনের মধ্যে অসম্ভব শক্তি সঞ্চারণ করে। যখনই ভেঙে পড়ি আমাকে দিয়ে কিছু হবে না তখনই প্রিয় স্যারের সেশন গুলোতে আরো কয়েকগুণ মনের জোর বৃদ্ধি করে দেয়।
আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস এবং ভরসা আমার সবসময়ই ছিল। তবে মাঝে মাঝে অনেক হতাশায় ভুগতাম নিজের পরিস্থিতির জন্য। প্রিয় প্লাটফ্রমে এসে অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি ,বুঝেছি।
এখানে এসে বুঝতে পারলাম আসলেই অনেক কিছু শেখার বাকি আছে। আগে শুধু বিক্রির চিন্তা করতাম। এখন সম্পূর্ণ ভাবনাটাই পরিবর্তন হয়েছে। আগে শিখতে হবে জানতে হবে আমাকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। আমি যদি একজন ভালো মানুষ হতে পারি তবে আমি একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারবো। আমার কাজের যদি নিষ্ঠা আর সততা থাকে ইনশাল্লাহ আমার সফলতা কখনোই আটকাবে না।
🌿🍁আমার বিজনেস প্রায় দেড় বছর রানিং। শুরু থেকে এ পর্যন্ত কাজের প্রতি আমার অগাধ ভালোবাসা আর নিষ্ঠানিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছি। আমি দীর্ঘ পাঁচ বছর আমার টার্গেট রেখেছি। বিশ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করে আমি এখন এক লক্ষ+ টাকা ইনভেস্ট করেছি আলহামদুলিল্লাহ। 5 বছর পূর্ণ করতে করতে ইনশাল্লাহ আমার বিজনেসএ অন্তত কয়েকশো অসহায় নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে আশা করি। অসহায় দিকহারা স্বপ্ন ভাঙ্গা নারীরাই আমার কাছে অগ্রাধিকার পাবে সবার আগে।
🌿💝🌿💝🌿
💝🌿প্রিয় স্যারের বানী,,,💝🌿
🌿চাকরি করব না চাকরি দিবো।
🌿 জীবনে অন্তত একজন মানুষের ভাগ্য বদলাতে সাহায্য করবো।
🌿কাউকে কখনো খারাপ পণ্য বা সেবার দিবোনা। মানুষের উপকার করাবো ।
🌿সর্ব অবস্থায় পজেটিভ থাকবো।
কথাগুলো আমি আমার জীবনের সাথে জড়িয়ে নিয়েছি এবং প্রতিনিয়তো প্রয়োগ করার চেষ্টা করি।
আর আমি বিশ্বাস করি নিঃস্বার্থভাবে হৃদয় থেকে ভালো কিছু চাইলে মহান রাব্বুল আলামিন তা কখনোই অপূর্ন রাখেন না।।।
🍁জীবের সেবাই স্রষ্টার সেবা,,,🍁
💝🤲আমার প্রিয় প্ল্যাটফর্মের প্রাণের ভাই বোনেরা,,, আপনাদের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসা প্রকাশ করছি। যারা প্রথম থেকে এই পর্যন্ত আমার জীবনের গল্প টি ধৈর্য ধরে পড়েছেন। যদি আমার কথায় লেখায় কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন।
হৃদয়ের গভীর থেকে অনেক অনেক দোয়া, ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা এবং শুভকামনা প্রিয় প্ল্যাটফর্মের সবার প্রতি
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৬০
তারিখ- ০৮/০৩/২০২২
Popy Aktar
জেলা গাজীপুর
☘ব্যাচ 16
☘️রেজিস্ট্রেশন নাম্বার 76426
☘Member of promotion Team NBmegf
☘নিজের বলার মতো একটা গল্প প্লাটফ্রমের একজন আজীবন গর্বিত।।।
☘️ওনার অফ Popy's Wardrobe
☘️ওনার অফ Rannaghor by Popy ,,,