ঘরে বসে আমার সংসার ও বাচ্চা সবকিছু মিলিয়ে কিছু করতে পারি
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম
💘"আমার জীবনের গল্প"💘
শুরু করছি মহান সৃষ্টিকর্তা পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালার নামে যার দয়ায় এই পৃথিবীতে এসেছি। সকল প্রশংসা পরম করুনাময় আল্লাহতাআলার জন্য । লাখো কোটি দরুদ ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর প্রতি ।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই শতাব্দীর স্রেষ্ট আবিস্কারক লাখো তরুণ তরুণীর আইডল প্রিয় মেন্টর শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি, যার অক্লান্ত পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" যা আজ সুবিশাল একটা প্লাটফর্ম যেখানে আজ পাচঁ লাখ পঞ্চাশ হাজার সদস্য ও তিন লাখের বেশি আজীবন সদস্য।
🍒আজ একটা গল্প শোনাব। আশা করি সবাই ধৈর্য্য ধরে শুনবেন ও পড়বেন, এটা আমার প্রত্যাশা।🍒
🍒 ঠিক গল্প নয় আমার জীবনের বাস্তবতা।🍒
🔊🔊🔊নামঃ ফারজানা আক্তার,পিতাঃ মাওলানা আব্দুর রহিম, মাতাঃ মনোয়ারা বেগম।জন্মঃ ১ জুলাই ১৯৯২ সাল।
🍁🍁🍁আমার জেলা লক্ষীপুর,উপজেলাঃ রামগঞ্জ।
গ্রামঃ জগৎ পুর।
👦 আমার শিশু কাল 👦
আমি সর্বপ্রথম মহান আল্লাহ কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমাকে মুসলমানের ঘরে জন্ম দিয়েছেন। এবং এত ভালো বাবার ও মায়ের ঘরে জন্ম দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।
🥢🥢🥢আমরা চার বোন ১ ভাই। আমি সবার ছোট এবং আদরের।আমি ছোট কাল থেকে পড়ালেখায় ছিলাম ফাকি বাজ।শুধু খেলাধুলা করার অভ্যাস ছিল। মোটেও পড়ালেখা করতে চাইতামনা।শুধু পড়ালেখার জন্য সবার বোকা ও মার খেতাম। তখন বাধ্য হয়ে ও পড়তে হতো।
আমার বড় চার ভাই বোন সবাই মোটামুটি পড়ালেখা করেছে। সে সুবাদে আমাকেও লেখাপড়া করতে হবে। তাই অনিচ্ছাসত্ত্বেও পড়ালেখা করতে হবে। আমার পড়ালেখা ভালো ছিলো। দুষ্টামির জন্য করতে চাইতাম না।
🍒🍒🍒আমার মা-বাবা ছোট কাল থেকে আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করছেন। আমার বাবা পড়ালেখা শেষ করে চাকুরি করার জন্য অনেক চেষ্টা করে।কিন্তু হচ্ছে না চাকুরি।তাই বিজনেস করার জন্য চেষ্টা করেন। কিন্তু বারবার চুরি হয় দোকানে। তখন আমার বাবা ব্যবসা ছেড়ে দেন।
🌳🌳🌳আমাদের পারিবারিক সম্পদ ছিল বেশি সে সুবাদে আমাদের লেখাপড়া ও সংসার চলতে বেশি কষ্ট হতো না।আমাদের প্রচুর নারিকেল, সুপারি ও ধান হতো।
🌴🌴🌴আমার বাবা সাভার আশুলিয়া মাদ্রাসা অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার হিসেবে চাকুরি পান।তখন থেকে আমাদের সংসার খুব ভালো ভাবে চলছিলো। আমার বাবা আমার বড় দুই বোন বিয়ে দিয়ে দেন।আর আমরা এক ভাই ও দুই বোন পড়া লেখা করছি।
😢😢😢বাবা হারানো ব্যথা😢😢😢
আমার বাবা মাদ্রাসা ক্লাস নিচ্ছিলেন হঠাৎ সেখানে মাথা ঘুরে পড়ে যায়।এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তখন মাদ্রাসা শিক্ষকেরা হাসপাতালে নিয়ে যায়। এবং ভতি দেয় ডাঃ বিভিন্ন পরিক্ষা করান। তখন ধরা পড়ে লিভার নষ্ট হয়ে গেছে। এখন প্রায় ১ মাস হাসপাতালে ছিলো। তখন ডাঃ বললেন এখানে রেখে আর কোন লাভ নেই। আর খুব অল্প দিন বাচঁবে।বাড়িতে নিয়ে আশার ১ সাপ্তাহ মধ্যে মারা যায় আামার বাবা। বাবা হারানো ব্যথায় আমরা সবাই পাগলের মতো হয়ে যাই।২০০৫ সালে ১৭ এপ্রিল আমার বাবা আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়।
৷৷৷ ৷৷৷৷ তখন আমাদের সংসার খরচ ও আমাদের পড়া লেখা নিয়ে খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমার মা আমাদের জন্য এতো কষ্ট করেন। তখন আমার মা বিভিন্ন কুটি শিল্পের কাজ করতেন। এবং বাড়ির আয় দিয়ে কোনো রকম চলতো।
🍁🍁🍁 তখন আমি অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আমার ভাই এস এস সি পরিক্ষাতী।আর বোন এইস এস সি পরিক্ষাতী।সবার পড়াশোনা ছাড়িনি। আলহামদুলিল্লাহ। এই ভাবে চলছিলো আমি এস এস সি পর থেকে নিজের পড়ার খরচ নিজেই চালাতাম। আমি প্রাইভেট পড়াতাম।আমি প্রায় মাসে ৫০০০ টাকা মতো ইনকাম করতাম।
🍓🍓🍓এই ভাবে নিজের পড়া শেষ করি।আমি এম এ কমপ্লিট করি। ২০১৮ সালে।
🌳🌳🌳আমার সেজ বোন এর ২০০৮ বিয়ে হয়ে যায়। আর আমার ভাই ডিগ্রী শেষ করে বিদেশে পাড়ি দেন ২০১১ সালে। আলহামদুলিল্লাহ তখন দেখে আমাদের অবস্থা মোটামুটি ভালো যাচ্ছে।
🏵️🏵️🏵️আমার ছোট কাল থেকে কিছু করার ইচ্ছা। আমি পড়া শুনার ভিতরে একটা চাকরি করি।২০১৭ সালে আমার বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ে পরে এম এ কমপ্লিট করি। কিন্তু আর চাকরি করতে পারি নি।পারিবারিক সাপোর্ট পাইনি। তাই আর চাকরি করা হয়নি।
🥀🥀🥀 আলহামদুলিল্লাহ ২০১৯ আমার ছেলে জন্ম হয়।
তখন থেকে আমি চাকরির আশা বাদ দিয়ে উদ্যোক্তা হওয়া চিন্তা করি।যাতে করে ঘরে বসে আমার সংসার ও বাচ্চা সবকিছু মিলিয়ে কিছু করতে পারি। আমি নিজেই কিছু ছোট ছোট উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু সবকিছু লচ হয়।এবং আরো মানুষের হাসির পাএ হই।কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। আমি যত চেষ্টা করছি ঠকেছি কিন্তু আমি কিছু শিখেছি।
🌹🌹🌹🌹আমি যখন সফল হচ্ছি না। তখন ইউটিউবে সার্চ দিয়ে আমি দেখতাম । নারীরা ঘরে বসে কি নিয়ে বিজনেস করা যায়। তখন আমি আমাদের প্রিয় স্যার"" ইকবাল বাহার জাহিদ "" স্যারের কিছু ভিডিও দেখি।
🥀🥀🥀আমি যত দেখি তত ভালো লাগে। আমি ২০২১ সালের প্রথম দিকে এক ভাইয়ের মাধ্যমে ১৩ ব্যাচে রেজিষ্ট্রেশন করি।আমার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার হলো ৫৫৯০১
❤️❤️❤️ আমি তখন দেখে
UTV LIVE শুনছি ও দেখছি এবং লক্ষীপুর জেলা টিম কতৃক আয়োজিত সেশন চর্চা ক্লাস এ প্রতিদিন যুক্ত
থাকছি যেখান থেকে প্রতিদিন শিখছি কি ভাবে হতে হয় বিজনেস কি ভাবে করতে হয়। আমি এখন বিশ্বাস করি যে আমি একজন পজিটিভ মানুষ। বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো আমি একজন ভালো মানুষ। কিছু টাকা পয়সা ইতিমধ্যে সঞ্চয় করেছি আরো ও কিছু জমিয়ে পরিকল্পনা করছি বিজনেস করবেন। আমি এই মূহুর্তে কিছু প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করছি। আমি চেষ্টা করছি এবং সবসময় লেগে আছি এবং থাকবো।
❤️❤️❤️ প্রিয় মেন্টর শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার যে ভাবে অনুপ্রেরনা দিয়েছেন কৃতজ্ঞতা জানই স্যারের প্রতি।দোয়া করি আল্লাহ স্যারের নেক হায়াত দান করুক।
🌺🌺🌺স্যারের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে তৈরি করেছেন আমাদের প্রিয় প্লেটপরম।স্যারের বানী.......
স্বপ্ন দেখুন
সাহস করুন
শুরু করুন
লেগে থাকুন
সফলতা আসবেই
স্যারের এই বাণী শুনার পর থেকে ,আমি একজন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছি এবং নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছি ।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৬০
তারিখ- ০৮/০৩/২০২২
ফারজানা আক্তার
ব্যাচ নংঃ৫৫৯০১
জেলাঃ লক্ষীপুর/ রামগঞ্জ
রক্তঃ এ পজিটিভ
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের গর্বিত সদস্য