মানবিক সামাজিক,ব্যাবসায়ীক সকল প্রকার শিক্ষা অর্জন করতে পারি
🌹বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম।🌹
🌷আমার জীবনের গল্প 🌷
🍉🍉আসসালামু আলাইকুম। সকল প্রসংশা আল্লাহর। যিনি আমাকে আশরাফুল মাকলুকাত হিসেবে পাঠিয়েছেন এই সুন্দর পৃথিবীতে। এবং হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর উম্মত হিসেবে পাঠিয়েছেন। যিনি ছাড়া আমরা কেউ বেহেশতে যেতে পারবো না। শুকরিয়া আদায় করছি আলহামদুলিল্লাহ।
🌷🌷শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি প্রিয় বাবা ও মাকে যাদের উছিলায় এই পৃথিবীতে আসছি এবং মায়ের গর্ব থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে জালাতন করছি তবুও মা নিঃ স্বার্থ ভাবে ভালোবেসে লালন পালন করেন এই মা বাবার ঋণ কখনও শোধ হবার নয়।
🌷🌷 কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যার কারণে আমি আজকে এই জিবন গল্প লেখার সুযোগ পেলাম মনের ভাব প্রকাশ করতে পারলাম। আমাকে আমি চিনলাম নিজেকে ভালোবাসতে শিখলাম।নিজের জিবন কিভাবে সাজাতে হয় তা বুজলাম। নিজেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে ব্রান্ডিং এর সুযোগ পেলাম। লাখ লাখ তরুণ তরুনির হৃদয়ের বন্দন।পথ হারা বেকার যুবকের পথের দিশারি মাথার তাজ, নয়নের মণি, ছয় লক্ষ মানুষের শিক্ষক,প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার আমি স্যারের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।
আমি আমার জীবনের গল্প শুরু করছি দয়া করে ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
🌷🌷আমি মোহাম্মদ খোকন গাজি বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার চলাভাঙ্গা গ্রামে ১৯৮৭ সালে জন্মগ্রহন করি মধ্য বিত্ত এক পরিবারে।আমার দাদার নয় ছেলে ও তিন মেয়ে এদের মধ্যে আমার বাবা ২য় ছেলে।আমি দাদির মুখে শুনতে পাইযে আমার দাদা ছিলেন পন্ঞ্চায়েত। জমির খাজনা আদায় করতেন বিচার সালীশি করতেন।তার সাথে আমার বাবা ও থাকতেন বিচার আচার ও করতেন। এরপর বাবা বিবাহ করলেন আলাদা সংসার সাজালেন খুব ভালো ছিল তার যাএা অনেক জমি ক্রয় করলেন শহরে বাসা করলেন অনেক সুন্দার ভাবে চলছিল তার জিবন যাপন। হঠাৎ করে ব্রেন্টে সমস্যা হয়ে গেল।বিভিন্ন ধরনের ডাক্তার কবিরাজ হুজুর দেখানো হলো কিছুতেই কিছু বোজা যায় না।শুরু হলো জীবনের নেগেটিভ সময়, চলে গেল ওপারে আমার দাদা, বাবার গার্ডিয়ান আর কেউ রইলো না, হয়ে গেলেন সাধীন শুরু করলেন জমি বিক্রি নেমে আসলো জীবনের ধস।আমরা পাঁচ ভাই তিন বোন দুইজন মা আমার মা ছোট, আমার বাবা যখন সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় ঠিক ঐ সময় আমি আসি পৃথিবীতে, ভাইদের সবার ছোট আমি আমার বোনটা সবার ছোট্ট আমি ছোট থাকতেই সব ভাইয়েরা আলাদা সংসার শুরু করে যাঁর যাঁর অবস্থান তৈরি করে নেয়, আমি যখন একটু বুঝতে পারছি তখন দেখি আমার মা কাকাদের বাসায় বিভিন্ন ধরনের কাজ করে মানবতার জীবন যাপন করে সংসার চালাতেন।
👨✈️আমার স্কুল জীবন শুরু
🇧🇩🇧🇩বয়স যখন ৪ বছর তখন শিশু শ্রেণিতে ভর্তি হই অনেক সময় না খেয়ে স্কুলে যাই এসে দুপুরের খাবার যা পাই তাই খাই আর বই নিয়ে ব্যাস্ত থাকি আমি ছোট বেলায় লেখা পরায় মনোযোগি ছিলাম,তাই কখনো ক্লাস ফাকি দিতামনা,আগে গিয়ে সামনের বেঞ্চে বসতাম, আমার রোল ছিল সবসময় ০১ প্রাইমারিতে এবং আমি ছিলাম সবার ছোট তাই বেন্চ কিম্বা উচু যায়গায় দাড় করিয়ে নামতা, শতকিয়া ছড়া কবিতা পড়াতো বলতেন স্যারেরা, ।। অন্য সহপাঠীরা যখন আমার সাথে সাথে পড়তেন তখন আমার খুব ভালো লাগত এবং সকলের ভালোবাসায় মুগ্ধ হতাম, এভাবেই চলে গেল ৪ টি বছর, জন্ম আমার ছোট বোনের, একেতো অভাব কাগজ কলম কিনতে পারি না পেটে নেই ভাত বাবার চলেনা ঔষধ এই অবস্থায় মা কি করবেন বুঝতে পারছিল না দিশেহারা হয়ে পরেন। তাই যে কোনো একজনের পরামর্শে আমাকে বলে বাবা তুমি তোমার ফুফুর বাড়ি যাও ওখানে তোমার খাবারের জন্য অভাব হবে না আমাদেরকেও খাবার দিতে পারবা,তাই চলে গেলাম সেখানে কিন্তু আমি বুঝতে পারছিলাম যে আমাকে গরু রাখাল হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে, চতুর্থ শ্রেনির ছাত্র বয়স ৮/৯ বছর, আমি মাঠে যাই গরু নিয়ে খুব ভয় লাগত তাই হাতে লাঠি নিয়ে দাড়িয়ে থাকতাম, মাঝে মাঝে বাড়িতে আসতাম বাবা মাকে দেখার জন্য,
এভাবে কেটে গেল অনেক দিন,একদিন মা বললেন তোর স্যার আসছিল তোমাকে দিয়ে সেন্টার পরিক্ষা দেওয়াবে,সব খরচ স্যার বহন করবে ভাগ্যের পরিহাস তবু্ও হলনা আমার সেন্টার পরিক্ষা দেওয়া।এরপরই আমি একটা অফার পেলাম আমার আপন ফুফাতো ভাই বলেন তুমি আমাদের বাড়ি চলো তোমাকে হাইস্কুলে ভর্তিকরে দিব বিনিময়ে তাদের বাড়ির হালকা কাজ করতে হবে, আমি আনন্দে টয়টম্বুর আবার লেখা পড়ার সুযোগ পাব,তাই চলে আসলাম কিন্তু আসার পর আমাকে দেয়া হল কাজের মানুষের সাথে মাঠের কাজে কোথায় স্কুল কোথায় বই খাতা আমার খবরই নেয় না আমি কোথায় আছি কি করছি তাই
বাড়ি চলে আসি আসার পর আমি ভাবছি আমার কিছু, একটা করতে হবে বা শিখতে হবে, বাড়ির পাশে ছিল এক কাঠমিস্ত্রী বড় ভাই তাকে শেয়ার করলাম, তিনি বলেন আমার সাথে চল আমি তোমাকে শিখাব চলে গেলাম তার সাথে কাজ শেখার জন্য ভালোই কাজের মন মানসিকতা দেখে আমাকে দৈনিক ২৫ টাকা দিতে শুরু করলেন আমি খুব খুসি হইলাম, আরও সুন্দর গতিতে কাজ করতে থাকলাম, কেটে গেল দুই বছর, আমাদের কাজ পরল হাই স্কুলের হেড স্যারের বাসায় আমি কাজে গেলাম সেখানে দেখি অনেক ছেলে মেয়ে লেখাপড়া করে আমার মনটা আবার কস্টে ভরে গেল অনেকে বলাবলি করে এত ছোট বাচ্চা লেখা পড়ার সময় দিছে কাজে কস্টভরা মনে কাজ করি কিছুই বলিনা,এক মামা ছিল হাইস্কুলে তাকে সব বললাম আমি কি করতে পারি আমার বাবা মাকে ও টাকা দিতে হবে আবার আমার লেখা পড়া ও করতে হবে
মামা বললেন আমি তোমাকে ভর্তিকরা সহ সব বুজিয়ে দিব তুমি দিনে কাজ করবা রাতে লেখা পড়া করবা পরিক্ষার সময় একটু সময় দিবা,আমি তাই করলাম, যে বাড়ি কাজ করি ঐ বাড়ির স্যারের মেয়ে পরে সেভেনে আমি ওর টেবিলের একপাশে বসে পরলাম বললাম তোমার একটা বই দাও আমাকে গল্প কবিতা পরি সময় কেটে যাবে , এভাবেই শুরু হল প্রতি দিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাত কয়টা বাজে খবর থাকতনা আমার ঘরি ছিল হারিকেন ওর তৈল শেষ করে আমি ঘুমাতাম আবার সকালে কাজ করতাম এভাবে কেটে গেল ৩ বছর কাজও শেখা হয়ে গেল, ১৫০০ টাকা বেতন পাই মাসে,এরপর আমার মিস্ত্রি বললেন তুমি তো ভালো কাজ পার আমি
তোমাকে দায়িত্ব দিতে চাই নতুন একটা কাজ আছে ওটা তুমি করবা সাথে আর একজন মানুষ দেব ইনশাআল্লাহ করতে পারবা আমি ও আল্লাহর রহমতে শুরু করলাম আমি সাকসেস হলাম মানুষ বলাবলি করে এতটুকু মানুষ ভালো কাজ শিখছে এখন বেতন ও বেরেছে দৈনিক ২০০ টাকা কিন্তু আমাকে দিচ্ছে ১০০ টাকা তারপর ও আমার ভালো লাগে আস্তে আস্তে পরালেখা বন্ধ হয়ে গেল দায়িত্ব ওটাকার লোভে,হলনা এস এস সি পরিক্ষা দেওয়া।,কিন্তু আমার বোনকে মানুষ করানোর প্রতিগ্গা নিলাম, তাই কোন বাধা ছারাই একটানা ডিগ্রি পাশ করাই এবং একজন ভাল মানুষের হাতে তুলে দিই।
🇧🇩উদ্যোক্তা জীবন শুরু...
🇧🇩🇧🇩আমি একজন ভালো মিস্ত্রি তাই ফার্নিসার কারখানা শুরু করি ২০০৮ সালে এক বছর ভালোই চলছিল কিন্তু ২য় বছর আত্মীয় স্বজনরা অনেক মাল বাকি নিয়ে আমার টাকা ঠিক মত দিলনা তাই আমি কর্মচারি বিল ও দিতে পারিনা আমার চালান ছিল না তাই বন্ধ হয়ে গেল আমার বিজনেসটা,, ২০১১ সালে শুরু করি বয়লার মুরগির ফার্ম তাও আবার এনজিওর থেকে লোন নিয়ে, ভালোই মুরগির উতপাদন করতে পারছি কিন্তু সমস্যা একটাই বাকি দিতে পারি তুলতে পারি না,,কারন আমার দয়া বেশি কেউ এসে বলল আমার বিপদ আমাকে ৫০০০ টাকা দিয়ে সাহায্য কর ওমনি আমি দিয়ে দিতাম কিন্তু উঠাতে পারতামনা, তাই আবার ও ব্যার্থ হলাম আমার পুজি কম তাই লেগে থাকতে পারলামনা না আমার সেই শিক্ষা ও ছিল না, পরিবার থেকে অনেক চাপ আসল যে তোমাকে দিয়ে ব্যাবসা হবে না তুমি আগের কাজে যাও, কাজ করে টাকা জমাও বিদেশে যাবে, এবার মাথায় ঢুকল বিদেশ যাওয়ার প্যারা তাই কাজ করছি বিভিন্ন রকমের আমাকে বিদেশে যেতে হবে,ওখানে অনেক টাকা,, এরমধ্যে একভাই বললেন আমি বিদেশে লোক পাঠাই আমার কাছে ড্রাইভার ভিসা আছে তুমি গাড়ি চালানো শিখ আমি ভিসা দিব তাই আমি গাড়ি চালানো শিখলাম ড্রাইভিং লাইসেন্স
করলাম দেখলাম গাড়িতে ভালো টাকা আয় রোজকার হয় করতে লাগলাম ড্রাইভারি,ভিসার জন্য টাকা দিলাম ৪০হাজার জমা অনেক দিন ঘুরাতে থাকে দিতে পারলনা আমার ভিসা, আরও অনেক যায়গায় চেস্টা করলাম টাকা ও খরচ কেউ দিলনা একটা ভিসা হলনা আমার বিদেশ যাওয়া।সকল উদ্ধেগে যখন ব্যার্থ আবার চলে এলাম আমার প্রথম শেখা কাজ ফার্নিসারে সেই কাজে যুক্ত হলাম মোটামুটি ভালোই চলছিল আমার জীবন, আমি ঘাটে ঘাটে আঘাত পেলে ও আমার অনেক শিক্ষা অর্জন হয়েছে ইনশাআল্লাহ, এরপর থেকে আমি মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি লস করলেও সাহসী হয়ছি আমি অনেক, যে কোনো কারনে আমি এক সালিশ এর বৈঠকে যাই তখন দেখি অবহেলিত মানুষের সেবাও সহযোগিতা করার সুযোগ আছে তাই ভাবলাম আমি ও মানুষের সেবা করব অসহায় এর পাশে দারাব তাই আমিনশীপ সার্ভেয়ার ট্রেনিং করলাম যাতে করে আমর মত গরিবের হক নস্ট না হয়। অসহায় মানুষ দেখলে আমার মনে পরে যায় মায়ের কথা পশ্রমি মানুষ দেখলে মনে পরে যায় আমার ছোট্ট বেলা কস্টের কথা তাই আমি গরীব দুঃখি মানুষকে অনেক ভালোবাসি।
🇧🇩ফাউন্ডেশনের সফলতা:-🇧🇩
🇧🇩আমি ২০১৯সাল থেকে স্যারের ভিডিও পাই আমি তখন জানতাম না যে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন গ্রুপ আছে আমি বিজনেস আইডিয়া দেখতাম সাথে স্যারের ভিডিও দেখতে দেখতে আমি তার প্রেমে পরে যাই কেমন যেন ভিডিও না দেখে ঘুমাতেই পারতাম না, আমি জানতাম না যে ফেসবুকে স্যারের গ্রুপ আছে বা রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে তারপর শুনি লাইভে সফলতার গল্প বিভিন্ন জেলার মানুষের তখন মনে মনে ভাবি আমাদের বরগুনা জেলার কাউকে পেতাম হঠাৎ করে দেখি মানসুরা রীনা আপুকে স্যারের স্টুডিওতে সফলতার গল্প বলতে, আমি পাগল পারা হয়ে ছুটলাম কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করব অনেক চেষ্টা করলাম লিংকে ঢুকে পারলামনা অনেক মানুষকে কমেন্ট করলাম হলনা বরগুনা জেলার এক আপুর মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশন করলাম ১৬ তম ব্যাচে,শুরু হল সেসন চর্চা ক্লাস দায়িত্বশীল ভাই ও আপুদের সহযোগিতায় অনেক কিছু শিখতে পেরেছি শেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং লেগে আছি ১৬ তম ব্যাচ থেকে, নিজে অনেক পরিবর্তন করতে পেরেছি এবং পেয়েছি নতুন একটা জীবন পেয়েছি হাজার হাজার ভাই ও বোন মায়া মমতায় ঘেরা এই ভালবাসার প্লাটফর্ম।যার উছিলায় আজ আমি এত সুন্দর করে কথা বলতে পারি এবং মানবিক সামাজিক,ব্যাবসায়ীক সকল প্রকার শিক্ষা অর্জনকরতে পারি তিনি আমাদের শিক্ষক মেন্টর জনাব ইগবাল বাহার জাহিদ স্যার আমি স্যারের সুসাস্থ কামনা করি,, এবং প্লাটফর্ম এর সকলের জন্য দোয়া করি আল্লাহ সকলকে সুস্থ রাখুন,বরগুনা জেলার সকল দায়িত্বশীল সুপারএকটিভ ভাই বোনদের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি যারা আমাকে সববিষয় সহযোগিতা করে যাচ্ছেন,,, ধন্যবাদ সবাইকে।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৬০
তারিখ-০৮/০৩/২০২২
নাম মোঃ খোকন গাজি
জেলা বরগুনা
ব্যাচ নং১৬তম
রেজিঃ৭৯৭৪৮
বসবাসরত আমতলী