দিনের পর দিন রাতের পর রাত চলে যায় নিরবে একাকিত্ব কত প্রহর
🎋আসসালামু আলাইকুম🎋
প্রিয় স্যারের অক্সিজেনদেরকে নিয়ে আজকের জীবনের চরম বাস্তবতার গল্প।
☣ সবাই কে অনুরোধ করবো একটু কষ্ট করে পড়বেন,, কষ্ট করে আমার লেখাটি ☣
মা ও মা, মাগো আজ সারাদিন কিছুই খাইনি। সারাক্ষণ শুধু তোমাকে ভেবেছি মা। তুমি যখন কাছে ছিলে সকাল হতে না হতেই সকালের নাস্তা বানিয়ে অপেক্ষা করতে কখন আমার খোকা ঘুম থেকে উঠবে কখন নাস্তা করবে ভেবে ভেবে অস্থির হতে। আজ প্রবাসে কেউ বলেনা তোমার খোকা খেয়ে আছে নাকি না খেয়ে আছে। কি অদ্ভুত জীবন তাইনা?
দিনের পর দিন রাতের পর রাত চলে যায় নিরবে একাকিত্ব কত প্রহর। কেউ ফিরে তাকানোর প্রয়োজন ও মনে করে না সবাই যাকে তাকে নিয়ে বড্ড বেশি ব্যাস্ত।
কত রাত না খেয়ে কেটেছে কেউ দেখার নেই। কেউ বলেনা উঠো খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো, কেউ বলার নেই । বাস্তবতা কত কঠিন তাইনা? হা এটাই প্রবাস জীবন এটাই সত্য বাস্তবতা।
সকাল হতে না হতেই সুস্থ থাকি আর না থাকি চলে যেতে হয় কাজে। কেউ বলেনা আজ তোমার শরীর খারাপ থাক কাজে যেওনা আজ। ১০৪° জর নিয়ে ও কাজে লেগে থাকতে হয়। সব অসহ্য গুলো কে নিরবে সহ্য করে নিতে হয়। জী এটাই সত্য বাস্তবতা।
এত এত কাজ করার পরেও সামান্য ভুল হলে নিরবে সহ্য করে নিতে হয় চরম অপমান জনিত কথা গুলো। হা এটাই বাস্তবতা।
প্রথমেই ,,,,,,,
কৃতজ্ঞতা রবের প্রতি যার অসিম দয়ায় আমাদের কে এখনো সুস্থ সবল রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ্।
,,,.....................................................
কৃতজ্ঞতা প্রিয় মেন্টর জনাব বিংশ শতাব্দীর সেরা মানব জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। আমাদের কে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন আমাদের কে উপহার দেবার জন্য। যেখানে সুখ দুঃখ সব শেয়ার করতে পারছি। আলহামদুলিল্লাহ্।
আজ আপনাদের শুনাব আমার কিছু বাস্তব অভিক্ততা এবং আমি নিজে ফেস করা গঠনা গুলো। সত্যি নিঃমমতা গঠনা গুলো। আশা ও বিশ্বাস সবাই কষ্ট করে পড়বেন ইনশাআল্লাহ।
সৌদি আরব তায়েফ এর নির্মম এক বাস্তবতা।
বাস্তবতা ১
🎈🎈🎈
এক ভাই কুমিল্লা সদরের বসবাস করতেন কান্দিরপাড়। সৌদি আরব থাকেন ১৫ বছর ধরে। কত কষ্ট করতেন ভাই,, আমি নিজের চোখে দেখেছি কোম্পানির কাজ শেষে বাসায় এসে রেস্ট না করে বেড়িয়ে পড়তেন বালতি গুড়ো সাবুন আর ফেরি নিয়ে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে মানুষের কার ওয়াশ করতেন। একটু বাড়তি আয় করার জন্য। পরিবারকে সুন্দর আর সুখী রাখতে। আমার অনেক কষ্ট লাগত মাঝে মাঝে বলতাম এত কষ্ট করছেন ভাই কেন? জবাবে হেসে বলতো কি করবো ভাই বেতন কম নিজে খেয়ে পড়ে আর ফ্যামেলিকে দিয়ে কিছুই থাকেনা তাই তো কষ্ট করতেই হয়।
এত কষ্টের পরেও ভাই অনেক কষ্টে নিজের পরিবারকে নিয়ে এলেন সৌদি আরব। মা বৌ আর একটি মেয়ে বেবি। ইচ্ছে ছিল তার মা বৌ কে সৌদি আরব থাকতে থাকতে পবিত্র মক্কা আর পবিত্র মদিনা জেয়ারত করাবেন। আলহামদুলিল্লাহ্ নিয়ে ও এলেন ভাই পরিবার কে। পরিবার সৌদি আরব আসার ৩ মাসের মধ্যে ভাইটি হটাৎ করে স্টোক করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। পুরো পরিবারটি হয়ে গেলেন দিশেহারা। অজানা অচেনা এক দেশে কোথায় যাবেন কি করবেন ভেবে অস্থির। যাই হোক মালিক জানতে চেয়েছিল ভাইয়ের লাশ দেশে নিবে কিনা!! ওনার বৌ বলেছিলেন না লাশ নিয়ে কি করবো আমাদের টাকা দিয়ে দেন আমরা দেশে চলে যাব। আর ওনার মা বলেছিল আমার ছেলেকে নিয়ে যাব সাথে করে। বাস্তবতা বড় নিরর্মম মা হেরে গেলেন টাকার কাছে ছেলের লাশ ছাড়াই চলে যেতে হল সৌদি আরব ছেড়ে দেশে। কি পেলেন প্রবাসী ভাই বলতে পারেন???????
বাস্তবতা,,,২
🎈🎈🎈
অনেক বছর ধরে স্বামী স্ত্রী এবং এক ছেলে কে ভালোই কাটছিল এক ইন্দোনেশিয়ার এক পরিবার। ঐ ভাই কাজ করতো ড্রাইভিং আর ওনার ওয়াইফ একটা বিউটি পার্লারে কাজ করতো। আমার মার্কেটে সব সময় আসতে। খুবই চমৎকার ছিল পরিবার টি। হটাৎ ঐ ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েন হসপিটাল ভর্তি করার পরের দিন ইন্দোনেশিয়ান ভাইটি মারা যান। পরে জানতে পারলাম ক্যানসার হয়েছিল লাস্ট স্টেপে ছিল বাচানো সম্ভব হয়নি। ইন্দোনেশিয়ান বোনটি দিশেহারা। কি করবেন ভেবে পাচ্ছিল না। যাই হোক শেষ পযর্ন্ত সৌদি তে লাশ দাপন করেন। অনেক কষ্ট করে জীবন যাপন করতে লাগলো। বোন টি খুবই কম বেতন পেতেন থাকা খাওয়া বাচ্চা নিয়ে কঠিন বিপাকে। টাকার জন্য দেশেও যেতে পারছেন না। অনেক চেষ্টা করে বোন টিকে দেশে পাঠানোর আয়োজন করলাম কিন্তু পড়ে বোনটি দেশে যেতে রাজি হচ্ছেন না। কারন জানতে পেরে আমিও অনেক কষ্ট পেলাম। জানতে পারলাম বোনটির দেশে কিছুই নেই এমনকি থাকার জায়গা টুকুও ওনার রিলেটিভ রা নিয়ে গেছেন। কি অদ্ভুত জীবন তাইনা??
বোনটি কিভাবে সংসার চালাবেন খুবই চিন্তাই থাকতেন। টাকা দিয়ে কতদিন সাহায্য করা যায় বলুন? কি করা উচিৎ বুঝতে পারছিলাম না তখনই হটাৎ মনে পড়ল ঐ ফোনটি হাতের কাজ জানতেন। তাই ওনাকে একটি সেলাই মেশিন কিনে দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ্ বোনটি অনেক খুশি হলো এবং তাই দিয়ে নিজের জীবন বদলাতে শুরু করলো। আলহামদুলিল্লাহ্।
বাস্তবতা,,,, ৩
🎈🎈🎈🎈
এক পাকিস্তানি ভাই পরিবার নিয়ে সৌদি আরবের ইয়াম্বু সিটিতে থাকতেন দীর্ঘ ১৬ বছর ২ বাচ্চা আর ওনারা হাজব্যান্ড ওয়াইফ ৪ জন। খুবই ভালো একটি জব করতেন ভাই
অনেক বড় একটা ঘর নিয়ে থাকতেন। আমার সাথে প্রতিদিন কথা হতো দেখা হতো
হটাৎ করে অনেক দিন ওনাকে দেখিনা খবর নিয়ে জানতে পারলাম ভাই মারাত্মক একসিডেন্ট করে হসপিটাল আছেন মৃত্যুর সাথে লড়ছে। ওনার ১টি পা ১ হাত চলে গেল। হাসপাতালে প্রতিনিয়ত লড়ছেন জীবন যুদ্ধ আর মৃত্যুর সাথে। কিছু দিন পরে জানতে পারলাম ওনার ওয়াইফ ২ টি বাচ্চা নিয়ে পাকিস্তান চলে গেছেন ঐ অসহায় ভাইটিকে হাসপাতালে রেখে। কি অদ্ভুত কি নিরর্মম বাস্তবতা তাইনা? ঐ ভাইটিকে দেখার কেউ থাকল না, কি পেল ভাইটি প্রবাস জীবনে বলতে পারেন???????? জী এটাই প্রবাস জীবন কঠোর কঠিন বাস্তবতার জীবন।
এই রকম কত শত প্রবাসীদের জীবন অঝোরে ঝরে পরে জীবন থেকে, কত জনের খবর আমরা রাখি বলুন??
পরিশেষে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ভালোবাসা প্রিয় স্যারের প্রতি আমাদের জন্য এতো চমৎকার একটি প্লাটফর্ম তৈরি করে দেবার জন্য। হাজার বছর বেচেঁ থাকুন আমাদের মাঝে স্যার। Iqbal Bahar Zahid স্যার।
সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৪২
Date:- ১২/০২/২০২২ইং
নাবীর হোসেন নবীন
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
টপ টুয়েন্টি ক্লাব মেম্বার
বেচ..১২
রেজিষ্টশন.. ৪৪২২৮
দক্ষিণ মতলব
জেলা.. চাদঁপুর
বতর্মান সৌদি আরব রিয়াদ
ফাউন্ডার.... ড্রিম ফ্যাশন কর্নার
ফেসবুক পেইজ.. PAYLESS Bazaar