আমি হাতের কাজ জানি এরই মাঝে আমি 20 জনকে সেলাইর এর প্রশিক্ষণ দিয়েছি
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
🍀🌹আমার বাস্তব জীবনের গল্প🌹🍀
সর্বপ্রথম আমি লাখো কোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট যিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং সুস্থ ও ভালো রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার প্রিয় মেন্টর লাখ লাখ তরুণ-তরুণী স্বপ্নদ্রষ্টা হাজার হাজার বেকার যুবক ভাই ও বোনদের হৃদয়ে স্বপ্নের বীজ বপন কারি।ভালো মানুষ গড়ার কারিগর যার অক্লান্ত পরিশ্রমে তিল তিল করে গড়ে ওঠেছে নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে..যার জন্ম না হলে হয়তো আমরা এত এত ভালো মানুষের দেখা পেতাম না স্যারের প্রতি রইল অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা আল্লাহ প্রিয় স্যারের সুস্বাস্থ্য ও নেক হায়াত দান করুক আমিন
প্রিয় প্ল্যাটফর্মের ভাই ও বোনেরা সকলে কেমন আছেন আশা করি ভাল আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি প্রিয় ভাই ও বোনেরা আমি অনেক কষ্ট করে আমার জীবনের গল্পটা লিখেছি আপনাদের কাছে অনুরোধ রইলো একবার হলেও আমার গল্পটা মনোযোগ সহকারে পড়ে আসবেন তাহলে আমার লেখাটা সার্থক হবে
____ আজ আমি ও তুলে ধরবো সংক্ষিপ্ত অাকারে--- আমার জীবনের গল্প---
😥গল্পটি অতি কষ্টে কিন্তু সব কিছু ডিটেলস বললে অনেক বড় হয়ে যাবে..তাই অনেক কিছু বাদ দিয়ে অল্প কথায় লিখার চেষ্টা করলাম....৷
আমার জানা মতে মানুষের জীবনে অনেক ঘটনা ঘটে উথান পথনের গৌরবে জয়ের কিংবা পরাজয়ের সে গুলো সত্যি ই স্বরন রাখে ইতিহাস ৷এমন আমার জীবনে ও এমন ঘটনা ঘটে গেছে৷👈
🌹আমাদের পরিবারিক জীবন......
আমাদের পরিবারে মোট লোক সংখ্যা ছিলাম চার বোন দুই ভাই৷ আমি ছিলাম বাবার খুবই আদরের মেজো মেয়ে... বোনদের মধ্যে মেজো বোন৷ বাবা আমাকে খুবই আদর করতেন৷ আমি বাবার সব কাজেই সাহায্য করতাম ....একথায় বলতে গেলে বাবা যে দিকে যেত আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে যেত ..বাবা আমাকে নিয়ে অনেক গর্ব করতেন ৷ আমি সবসময়ই বাবার কাছে থাকতাম তাই বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসতেন বাবার সব কাজে আমি সাহায্য করতাম
আমার বাবার অর্থসম্পদের অভাব ছিল না ৷এলাকার সব চাইতে ধনী ব্যাক্তি ছিল আমার বাবা ৷ আমার দাদা ,আমার বাবাকে ছোট রেখে মারা যায়। আমার বাবা চাচারা সম্পদ বন্টর করে তখন সে সম্পদ থেকে আমার বাবা কে বন্চিত করে ৷ বাবার চাচারা আমার বাবাকে ঠকায় সম্পদ থেকে ,, তখন আমার বাবার কোন সম্পদ ছিল না ৷অার বাবা ছিল তখন এতিম আমার বাবা ছোট বেলা থেকে অনেক কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তিল তিল করে আস্তে আস্তে সম্পদের মালিক হয় ৷ এক সময় আমার বাবা এলাকার মধ্যে ধনী ব্যাক্তি হিসাবে পরিচিত হয় ৷৷বছরে মাথায় ১৫০থেকে ১৮০মন ধান বিক্রি করত।
এভাবে আমাদের সংসার ছিল খুবই সুখের ৷আমাদের সংসারের কোন অভাব অনটন ছিল না ৷কোন দুঃখ কষ্ট ছিল না,,দুঃখ কষ্ট কি জিনিস কোন দিন দেখি নাই ৷সব সময় আনন্দ ঊল্লাসে দিন কাটাতাম ৷ইতি মধ্যে আমার বড় দুই বোনের বিয়ে হয়ে যায় ৷ সংসারে তখন আমরা দুই বোন দুই ভাই ,,ভাই বোনদের মধ্যে আমি ছিলাম ৫ম ৷
ভাই বোনরা সব সময় হাসি খুশিতে মেতে থাকতাম ,,হঠাৎ করে আমাদের সংসারে নেমে আসে এক কাল বৈশাখীর ঝড়৷ সংসারে একমাত্র ঊপাজর্ন কারী আমার বাবা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যায় ৷ তখন আমি ছোট্র ক্লাস তৃতীয় শ্রেনী তে পড়ি,,আর আমার ছোট বোন মায়ের কোলে , দুই ভাই একই ক্লাসে ৫ম শ্রেনী তে পড়ে ৷ আমার বাবার অসুস্থতা কারন টা না বললেই নয় ,, আমার বাবার গলায় ইলিশ মাছের কাঁটা ফুটে ছিল ,এখান থেকে আমার বাবার শুরু হয় জীবনের সাথে লড়াই ,আমাদের জেলার ভিতরে অনেক ক্লিনিকে ছোট কাট অনেক ডাঃ দেখালো, কোন কাজ হল না,অবশেষে আমার আম্মু বললেন ঢাকায় যাওয়ার জন্য ওখানে গিয়ে ভালো ডাঃ দেখালে ভালো হবে ৷ ঢাকা গিয়ে আমার বাবা ভালো ডাঃদেখায় ৷ডাঃ পরীক্ষা নিরিক্ষা করার পর ডাঃ বলল আপনার গলায় ঘা হয়েছে মানে ক্যান্সার হয়ে গেছে ৷কিমু থ্যারাপি দিতে হবে এক মাস পর পর৷এই কথা শুনে আমার বাবার মাথায় যেন অাকাশ ভেঙ্গে পড়ল ,,কি করবে বুঝতে পারছেনা ৷মন খারাপ করে বাড়িতে চলে আসল ৷অামার আম্মুর কাছে কথা গুলো বলতে লাগল অার দু চোখ দিয়ে অজস্র অশ্রু ঝড়তে লাগল ,যে আমার ঘরে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে রেখে যদি আমার কিছু হয়ে যায় তখন ওদেরকে -কে দেখবে ৷আমি খুবই ছোট্র আমি মাত্র তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ি, তবু ও কথা গুলি আমার স্পষ্ট মনে আছে৷ আম্মুর মনটাকে অনেক শক্ত করে বাবাকে বলতে লাগল যে আপনার কিছুই হবে না,,আল্লাহ ঊপর ভরসা রাখুন,,ইনশাআল্লাহ চিকিৎসা করলে সুস্থ হয়ে যাবেন৷ এদিকে বাবা প্রতি মাসে ঢাকায় যায় থ্যারাপীর জন্য ,,ইতি মধ্যে আমার বাবা নগত টাকা পয়সা যা ছিল সব শেষ হয়ে গেছে,৪-৫টা বড় বড় গরু ছিল৷ওই গুলো বিক্রি করে দেয় তারপর ও ৩৫শতাংশ জমি ও বিক্রি করে ৬০হাজার টাকা ধরে ৷চিকিৎসা করে তবুও কোন লাভ হল না,দিন দিন বাবার শরীলটা খুবই খারাপ হতে লাগল,,কোন কিছুই খেতে পারেনা,শুধু চিড়া বিজিয়ে পানি খেত ,, এদিকে আম্মু বলল ঢাকাতে চিকিৎসার কোন ঊন্নতি দেখলাম না,আপনি ইন্ডিয়া মাদ্রাজ চলে যান,শুনেছি ওখানে নাকি ক্যান্সারের ভালো চিকিৎসার হয়,,তখন বাবা বলল আর কোন লাভ হবে না চিকিৎসা করে৷ আমি যদি চিকিৎসা করার জন্য সব জমি ও বিক্রি করে দেই তাহলে ও আমি ভালো হবো না,,আর এদিকে জমি বিক্রি করে চিকিৎসা করলে ,তখন আমার ছেলেমেয়েরা অন্যের কাছ হাত পাততে হবে৷ এই কথা চিন্তা করে আমার বাবা আর জমি বিক্রি করে নাই,,,,ধীরে ধীরে বাবা আর ও অনেক অসুস্থ হয়ে যায় ,এভাবে কয়েক মাস যেতে না যেতেই বাবা বিছানায় পড়ে যায় এভাবে দীর্ঘ ১ বছর জীবনের সাথে যুদ্ধ করে ,অবশেষে অামার প্রিয় বাবা ২০০০ সালে মৃত্যু বরন করেন ....৷ ৷ অামার বাবার মৃত্যু সময় দুটি ছেলে কে পাশে পায় নি ,কারন তারা ফুফিদের বাড়িতে গেছিল বলতে যে বাবার অবস্থা খুবই খারাপ ফজরের সময় থেকে দেখতে চাইছে ফুফি তোমাদের যেতে বলছে এখনি ,এদিকে ভাই এসে দেখে বাবা অার পৃথিবীর বুকে নেই ,বাবা বাবা বলে চিৎকার দিয়ে ওঠে অামার ভাই ,কিছু ক্ষন পর পর অামাকে ধরে আামার অাপুকে ধরে বলে বোন রে বাবাতো অার নাই কাকে ডাকবো বাবা বলে অন্য দিকে আম্মু র জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে , তখন তো আমি ছোট সান্ত্বনা দেওয়ার মত আমার কোনো ভাষা ছিল না এই কথা গুলো লিখতে গিয়ে আমার দুচোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে লাগলো। সকলেই আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন,,,,আল্লাহ যেন আমার বাবাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন আমিন।
👉বাবা মারা যাওয়ার পর অামাদের
পরিবারের অবস্থা😥
বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের সংসারে নেমে আসে ঘুর অন্ধকার ,,আমাদের সংসারে হাল ধরার মতন কেঊ নেই ,,আমরা ছোট ছোট ভাই বোনদের নিয়ে আমার আম্মু পরে বিপাকে ৷ কী করবে বুঝতে পার ছিল না ,কিভাবে সংসার চালাবে,৷যে খানে আমাদের সংসারে তিন চার জন কাজের লোক থাকতো সারা বছর ,সে খানে বাবা অসুস্থ হওয়ার পরে চলে যায় লোক গুলি। বেতন দিতে পারবেন না বলে ৷ এখন আম্মু ও অসহায় হয়ে পড়ে ৷রাত দিন মা শুধূ কান্না করে ,কিভাবে কি করবে ছোট ছোট অামাদের ভাই বোনদেরকে নিয়ে ৷
😭বাবা হারানোর বেদনা😭
বাবা মারা যাওয়ার পর,, ভাবছিলাম আর লেখাপড়া করবো না ...বাবার কথা খুব মনে পড়ে যেত স্কুলে যখন মিটিং ডাকত সবার বাবা যেত অামার বাবা নাই স্কুলে যাবে কে এসব চিন্তা করে অনেক কান্না করতাম ,অামার আম্মু ছিল অন্য টাইপের লোক মানে পর্দা ভিতরে থাকত বাহির হত না, বাবা তাকাকালিনী কোথাই ও যেতে দিত না এখন তো স্কুলে ও যাবে না ,অামার অার পড়া লেখা হবে না ,,,গার্জিয়ান ছাড়া স্কুলে ডুকতে দেয় না ,তখন আমি বাড়িতে এসে খুবই কান্না করি ,আমার অাশপড়শি চাচাত বোন পড়ত অামার সাথে ওর বাবাকে আমি বলি যে আপনি বলবেন আমার গার্জিয়ান , তখন তিনি আমার গার্জেন হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন এভাবে গ্রামের স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেষ করি।
বাবার কথা মনে হলে ফুফিয়ে ফুফিয়ে কান্না করতাম ,বাবার কবরে পাশে বসে থাকতাম অার ভাবতাম সবারই বাবা অাছে ,অামার তো অার বাবা নাই ,,এত ছোট কালে কেন নিয়ে গেল অাল্লাহ অামার বাবাকে ,,রাতে বেলা বাবার জন্য লুকিয়ে লুকিয়ে কান্না করতাম ৷বাবা আমাকে খুবই আদর করতেন। সেই স্মৃতি টুকু ভুলতে পারি না
বাবার সেই আদর থেকে আমি আজ বঞ্চিত
হয়েছি ,বাবাকে খুবই মিস করি ,,,খুবই মনে পড়ে বাবা কে যার বাবা নেই সে বুঝে বাবা কি জিনিস।বড্ড ভালো বাসি বাবা ,বাবা তুমি নেই অাজ অামাদের মাঝে ,কত কষ্ট হয় পৃথিবীতে যার বাবা নেই সে বুঝে বাবা হারানোর বেদনা কত যে কষ্টের ৷বাবা ছাড়া বেঁচে থাকা......
যে কত কষ্ট তা বূঝানোর ভাষা অামার কাছে নেই বাবা ছিল অামাদের মাথার ঊপর বট গাছে ছায়া সেই বাবাকে হারিয়ে অামরা যে বড্ড এতিম হয়ে গেলাম বাবার মুখখানা অাজ ও ভেসে ওঠে চোখের পাতায় ,,কত লান্চনা বঞ্চনা হয়েছি বাবা না থাকায়,,,
এদিকে বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মা সংসারে হাল ছেড়ে দিল কিভাবে কি করবে ,,এত গুলো ছোট ছেলে মেয়ে নিয়ে কি ভাবে সংসার চালাবে তখন আমার বড় ভাই পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তো তখন আমার বড় ভাই কোন কিছু উপায় না পেয়ে এই ছোট্ট বয়সে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে সংসারের হাল ধরেতে হল।
আমার মেজো ভাই তখন পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে আমার ছোট্র বোনটা মায়ের কুলে,আমার আম্মু যত বড় বড় গাছপালা ছিল তা বিক্রি করে দিল কারণ বাবা যে ঘর করেছে ওই ঘর প্লাস্টার করা হয়নি ওই ঘরের কাজ শেষ করল আম্মু অবশেষে চলাফেরার রাস্তা বন্ধ পরে জমি বন্ধক রেখে আমাদের পড়াশুনা করাত, আর সংসার চালাত ,,খুবই কষ্ট করে আম্মু সংসার টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে ,,বড় ভাইয়ের আর পড়া লেখা হয়ে ওঠেনি সংসারে হাল ধরতে হল ,,এদিকে আমি চতুর্থ শ্রেণী শেষ করলাম
আমার মেজো ভাই ৬ষ্টশ্রেনীতে ভর্তি হল
এরই মাঝে আমার মেজো ভাইকে বিদেশে পাঠাবে বলে সিন্ধান্ত নেয় আমার আম্মু।কারণ বড় ভাই যাবে না ও টাকা ধরে রাখতে পারবেনা বলে৷ এদিকে জমি জমা সব বন্ধক রেখে আমাদের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ করা হয় ৷কি করবে দুই ভাই কথা কাটা কাটি হয় ২ভাইয়ের মধ্যে বিদেশ যাওয়া নিয়ে ঝড়গা হয় আম্মু ও খুবই কষ্ট পেয়ে নানার বাড়িতে চলে যায় রাগ করে ,,আমার নানা নাই ,,ওনি ও মারা গেছে অার আম্মুকে খুবই অল্প বয়সে বিয়ে দেয় ,অামার আম্মুর কাছে শুনেছি'যখন ক্লাস 5এ পড়ত তখন নানা বড় ঘর দেখে বিয়ে দিয়ে দেয় ,আম্মু খুবই সুন্দর ছিল ,,আম্মু ইয়াং বয়সে আমার আব্বু কে হারায় ,, একজন স্ত্রী যখন তার স্বামীকে হারায় তখন তার কষ্টের সীমা থাকে না , কিন্তু সেই কষ্টটা আম্মু পেয়ে ছিল অামাদেরকে নিয়ে। আম্মু চলে গিয়েও থাকতে পারিনি সকালে গিয়ে বিকালে চলে আসে আমাদের বাড়িতে কারণ আমাদের ঘরে কোন খাবার ছিল না তাই আম্মু নানা বাড়ি থেকে চাল ডাল আলু নিয়ে আসে বাড়িতে আর আম্মু বললো দেখ মা ভাগ্যে কি নির্মম পরিহাস যে খানে ১৫০থেকে ১৮০মন ধান বিক্রি হতো অামাদের সে খানে কত লোক বাড়িতে রেখে খাওয়াছি, ,অাজ সে জায়গাতে অামার ছেলে মেয়ে অপোষ আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা এই বলে আম্মু কান্না করে দিল। তখন মেজো ভাই বলে আম্মু ভেঙে পড়ো না আমি আছিত মেজোভাই তখন টুকটাক বিদ্যুতের কাজ করে ঘরে হাট-বাজার আনে আর কিছু জমি হাতে ছিল ওইগুলো চাষ করে যে ফসল ফলাত তা দিয়ে বছর পার হত না এদিকে মেজো ভাই লেখা-পড়া বন্ধ করে দিতে
চাচ্ছে। কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না
আম্মু আর কত কষ্ট করে সংসার চালাবে এই ভেবে আমার বড় ভাইকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয় কিছু জমি বিক্রি করে বড় ভাই বিদেশে যাওয়ার পর আমাদের সংসার ভালো চলতে লাগলো বড় ভাই ভালো একটা কাজ পায় বিদেশে প্রতি মাসে 1 লক্ষ করে টাকা পাঠায় বাড়িতে এখন আমাদের আর কোন কষ্ট নাই চলতে লাগলো সুখের জীবন আমি আমার মেজো ভাই ও আমার ছোট বোন স্কুলে পড়তে লাগল।তখন আমি নবম শ্রেণীতে আর আমার মেজো ভাই দশম শ্রেণীতে পড়ে একই বই দিয়ে দুজনে পড়াশোনা করি সে এক বছর পিছিয়ে পরে। 2009 সালে আমার ভাই এসএসসি পরীক্ষা দেবে তখন আমাদের সংসারে আবারো নেমে আসে এক কালবৈশাখী ঝড়। মানুষ বলে না কষ্ট যাদের জীবন গড়া তাদের আবার সুখ কিসের। আমার মেজো ভাই অনেক বিলিয়ান ছাত্র ছিল সে যেমন লেখাপড়ায় ভালো ছিল তেমনি খেলাধুলায়ও অনেক ভাল ছিল স্যার আমার ভাইকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত খেলাধুলার জন্য এক স্কুলে খেলতে গিয়ে আমার ভাইয়ের অন্ডকোষের মধ্যে আঘাত লাগে তারপর সেখানে রক্ত জমাট বেঁধে টিউমার সৃষ্টি হয়। টিউমার অপারেশন করানো হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজে কারণ ওখানে আমার খালা মনি থাকতো তারপর আমার ভাই সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসে। আবার ছয় মাস পর অপারেশনের জায়গা থেকে ইনফেকশন দেখা দেয় আবার ছুটে যায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ডাক্তার দেখানোর পর বলল ক্যান্সার হয়ে গেছে । আমাদের সংসারে আবার নেমে আসে ঘোর অন্ধকার ভাইয়ের চিকিৎসা করানোর জন্য অনেক টাকা-পয়সা খরচ করা হয়। ঢাকা-রাজশাহী অনেক চিকিৎসা করানো হয় তারপরও কোন পরিবর্তন আসেনি তারপর ডাক্তার বলল ইন্ডিয়া মাদ্রাজ যাওয়ার জন্য কি করবে কোন কিছুর ভেবে পাচ্ছিল না কাকে নিয়ে যাবে মাদ্রাজ সাথে একজন গার্জেন নিয়ে যাওয়ার দরকার কিন্তু কাউকে পাচ্ছিল না ওখানে তো পাসপোর্ট ছাড়া যাওয়া যাবে না কি করবে কাউকে না পেয়ে আমার ভাই একাই চলে যায় মাদ্রাজ চিকিৎসা করানোর জন্য।
মাদ্রাজ দীর্ঘ এক মাস চিকিৎসা করানোর পর আরো অবনতি ঘটে ডাক্তার বলল বাড়িতে চলে আসার জন্য ডাক্তার জিজ্ঞাস করে তোমার সাথে আর কে আসছে তার সাথে কিছু কথা বলবো তখন আমার ভাই ওই দেশে 8000 টাকা দিয়ে একজন গার্জেন বানিয়েছিল সেই লোকের কথা বলল ডাক্তার তখন ওই লোকের সাথে সবকিছু বিস্তারিত বলল ওই লোক পরে আমার ভাইয়ের সাথে সব কিছু খুলে বলল যে ডাক্তার বলেছে তুমি আর একমাস বেঁচে থাকবা এই কথা শোনার পর আমার ভাইয়ের দুচোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে লাগল আর ভাবতে লাগলো এত সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে আর মাত্র একটি মাস পর তার জীবনের প্রদীপ নিভে যাবে এই ভেবে ভেবে দুচোখ বেয়ে অঝর নয়নে পানি ঝরতে লাগল।
তারপর আমার ভাই বাড়িতে চলে আসে বাড়িতে আসার পর ও বসে থাকেনি বিভিন্ন কবিরাজের বাড়িতে ডাক্তারের কাছে যেতে লাগলো আর বলতে লাগলো আমাকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখো আমি যদি বেঁচে থাকি মসজিদে মসজিদে থাকবো তোমার এবাদত-বন্দেগি করব আরও বলল আমি বেঁচে থাকলে ডাক্তারের কাছে জিজ্ঞেস করবো কেন মানুষের মন ভেঙ্গে দেয় কেন বলল এক মাস বাঁচব এভাবে দিন যাচ্ছে আর আমার ভাই আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে আমার ভাই মঙ্গলবার দিন বলল বোনরে আমি আর তোমাদের কষ্ট দিব না আমি আর তিনদিন আছি আমাকে তোমারা মাফ করে দিও এই কথাগুলো শুনে আমার ভিতর একটা মোচড় দিয়ে ওঠে আমি কান্না করে বলতে লাগি এমন কথা মুখে আনবা না তোমাকে কে বলছে এসব কথা।ভাইয়া বলল দেখো তোমরা শুক্রবার দিন আমি চলে যাব এই পৃথিবী ছেড়ে কিন্তু শুক্রবার দিন সকালে আমরা ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় বিকেল বেলা বাড়িতে চলে আসি শুক্রবার দিন আসরের নামাজের পর আমার ভাই ২০০৯ সালে আগস্ট মাসের 7 তারিখে এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরপারে চলে যাই। কিন্তু কে জানত যে ওর কথা ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু ভাই জানত সে শুক্রবার দিন চলে যাবে কারণ ডাক্তার ভাইয়াকে বলেছিল তুমি এক মাসে বাঁচবা কিন্তু এই কথাগুলি আমাদের কাউকে বলেনি ভাইয়া আমার এক চাচার কাছে বলে যায় ওই চাচা ছিল আমার ভাইয়ের সমবয়সী ওনাকে বলে এই কথা আমাদের পরিবারে কারো কাছে বলবেন না। আমি মারা গেলে তারপর বলবেন কারণ আমার মা সহ্য করতে পারবেনা । ভাইয়া মারা যাওয়ার পর এই কথাগুলি চাচা আমাদের কাছে বলছে আর কান্না করছেন।
অনেক টাকা-পয়সা খরচ করিয়াও ভাই কে বাঁচাতে পারিনি মাদ্রাজ প্রায় 5 লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছিল দেশে আরো অনেক টাকা খরচ হয়েছিল তবুও ভাইকে বাঁচাতে পারিনি কিছুই করার নেই আল্লাহর পছন্দ হয়েছে তাই ভাইকে নিয়ে গেছে। আপনারা সকলেই আমার ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমার ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন আমিন।
😥 এদিকে আমার আম্মু স্বামী হারানোর শোক কাটতে না কাটতেই সন্তান হারিয়ে পাগলের মত হয়ে যায়। আম্মুকে
সান্ত্বনা দেওয়ার মত ভাষা আমার কাছে ছিল না আমি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম।
আমার ভাই মৃত্যুর ছয় মাস পর আমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসতে লাগল কিন্তু আমার আম্মু ও আমার বড় ভাই প্রবাস থেকে নিষেধ করে যে ওকে বিয়ে দেওয়া যাবে না এখন লেখাপড়া করতে হবে কিন্তু চাচারা বলল মেয়েকে এত লেখাপড়া করানোর দরকার নাই এখন যেহেতু বাবা নেই ওর মেজো ভাই নেই বড় ভাইটা প্রবাসে আছে এখন যেহেতু বিয়ের জন্য ঘর আসতেছে বিয়ে দেওয়াটাই উত্তম। বড় ভাইকে আম্মুকে চাচারা অনেক বুঝিয়ে রাজি করায় ওরা রাজি হয়ে যায় এদিকে আমি মাত্র টেস্ট পরীক্ষা দিলাম ফাইনাল পরীক্ষা সামনে এমতাবস্তায় আমার বিয়ের রেজিস্ট্রেশন হয়ে যায় ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখে যেহেতু সামনে এসএসসি পরীক্ষা সেহেতু আমাকে উঠাইয়া আনা হয়নি। তারপর আমার এসএসসি পরীক্ষার পর এপ্রিল মাসের 29 তারিখে অনেক বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শ্বশুরবাড়িতে উঠিয়ে আনা হয় আমাকে।
👩❤️💋👨♥💚বৈবাহিক জীবন💚♥👩❤️💋👨
প্রত্যেকটা মেয়ের জীবনের স্বপ্ন থাকে তার হাজবেন্ড কি রকম হবে তাহার শ্বশুর শাশুড়ি কেমন হবে সর্বোপরি শ্বশুরবাড়ি কেমন হবে এরকম স্বপ্ন দেখে আমিও স্বপ্ন দেখতাম আমি যে রকম স্বপ্ন দেখেছি আলহামদুলিল্লাহ তার চেয়ে ভালো পেয়েছি আমার হাজবেন্ড অত্যন্ত ভাল লোক সে অনেক কেয়ার করে আমাকে আমাকে পাগলের মত ভালবাসে আমার হাজবেন্ডের মতন এরকম ভালো মানুষ খুঁজে পাওয়া অনেক মুশকিল আমার হাজবেন্ড ঢাকায় একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতো বিয়ের তিন মাস পরে আমাকে ঢাকা নিয়ে যায়। আমার হাজবেন্ড যে টাকা বেতন পাই তো সেই টাকা দিয়ে রুম ভাড়া দিয়ে সংসার চালানো অনেক কষ্ট হয়ে যেত তাই আমি ৬ মাস পর বাড়িতে চলে আসি এবং হাজবেন্ডকে বলি চাকরি ছেড়ে বাড়িতে চলে আসতে যেই কথা সেই কাজ তখন হাজবেন্ড বাড়িতে চলে আসে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আর আমি ভর্তি হই কলেজে । হাজবেন্ড বাড়িতে চলে আসার পর সংসারে অভাব-অনটন বেড়ে যায় কারণ বসে গেলে রাজার ভান্ডার শেষ হয়ে যায় সামান্য কৃষি কাজ করে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়ে যেত তার উপর আবার আমার লেখাপড়ার খরচ চালাতে হয় আমার হাজব্যান্ড কখনো কোনো কাজ করিনি তার ওপরও কৃষিকাজ করা কষ্ট হয়ে যেত হাজবেন্টের কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আমি আমার হাসবেন্ড কে বললাম বিদেশে চলে যেতে আর আমার হাজবেন্ড রাজি হয়ে যাই আমার হাজব্যান্ড সিদ্ধান্ত নিল বিদেশে চলে যাবে বিদেশের জন্য টাকা জমা দিল এরইমধ্যে আমাদের কোল উজার করে এক রাজকন্যা আমার মেয়ে তাসফিয়া হাসান লামিয়ার জন্ম হলো সকলেই অনেক খুশি পরিবারের প্রথম সন্তান মেয়েকে নিয়ে
আমার মেয়ের যখন বয়স মাত্র 40 দিন তখন আমার এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় মেয়েকে বাবার কোলে রেখে আমি পরীক্ষা দিতে যাই এইভাবে আমি ছয়টার পরীক্ষা দেওয়ার পর আমার হাজবেন্ডের ভিসা চলে আসে। আমাকেও আমার মেয়েকে রেখে আমার হাজবেন্ড পাড়ি জমায় দূর প্রবাসে আমার হাজবেন্ড যেদিন বিদেশে চলে যায় ওই দিন আমি এতটাই কান্না করেছিলাম আশেপাশের সকল মানুষ এসে আমার বাড়িতে ভিড় জমায় আমার কান্না শুনে আমার মনে হয়েছিল আমার কি যেন কি হারিয়ে গেছে।
সবাই তো আমার কষ্টটা জানে।জেনে সবাই আমাকে সান্তনা দিতে শুরু করলো।
আমার হাজবেন্ড বিদেশে যাওয়ার পর আমি চলে যাই আমার বাপের বাড়িতে ওখানে গিয়ে আমার মেয়েকে নিয়ে বড় করতে লাগলাম এরই মধ্যে আমার জীবনে আবারো নেমে আসে আর এক কালবৈশাখী ঝড়। আমার আম্মু হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে আম্মুকে নিয়ে হাসপাতালে গেলাম ডাক্তার পরীক্ষা করে বলল হার্টের প্রবলেম হার্ট ব্লক হয়ে গেছে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে মাকে নিয়ে চলে গেলাম ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল সেখানে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ডাক্তার বলল এখানে রেখে লাভ নেই বাড়িতে নিয়ে যান কি আর করব আম্মু কে নিয়ে বাড়িতে চলে আসলাম কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস যেখানে আম্মু ভাইকে বিয়ে করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে পাত্রী দেখছে ভাইয়া আসবে বিদেশ থেকে ওনার ছেলের বউকে ঘরে তুলবে। ছেলেও আসলো বিদেশ থেকে কত স্বপ্ন দেখেছে কিন্তু অবশেষে সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না কিন্তু আম্মুর, তো মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে মনকে কিছুতেই বোঝাতে পাচ্ছিলাম না যে মা এত কষ্ট করে আমাদেরকে লালন পালন করেছে চোখের সামনে এভাবে মরে যাবে তাই আবারও নিয়ে গেলাম জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চেষ্টা তো আমাদের করতে হবে কিন্তু জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে আম্মু কে ভর্তি করেছিলাম কিন্তু আম্মু কে যখন আইসি রুমে রাখা হলো তখন ডাক্তার এর কাছে গিয়ে যখন হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করলাম তখন ফ্যামিলি ডাক্তার আমাকে সান্তনা দিয়ে বলল কেদোনা তোমার আম্মুকে টেনাসফার করে দেবে বড় ডাক্তার এসে দেখে ঢাকাতে কিন্তু তোমরা বরং বাড়িতে নিয়ে যাও। নিজ হাতে সেবা করে দাও তোমার আম্মুকে। আম্মু যখন ভাইয়া কে খুঁজতে লাগলো ভাইয়াও এসে হাজির হলো সেই মুহূর্তে আমার ভাইয়া দিকে এক পলক তাকিয়ে কিছু না বলে চোখ বুজে যায় আমাদেরকে অনাথ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বৃহস্পতিবার রাত 10:30 মিনিটে সেই দৃশ্যটা আজ ও চোখের সামনে ভেসে ওঠে আমি ছিলাম না কাছে আমি আমার আপুকে ডাকতে গেছিলাম আপু আম্মু তোমাকে দেখতে চাইছে তখন ভাই একটা চিৎকার দিয়ে গড়াগড়ি শুরু করে। আমি এটা বলতে পারব না আমাদের চিৎকার আর কান্না দেখে এমন কোন হাসপাতালে মানুষ ছিল না যে তাদের চোখ দিয়ে পানি বের না হয়েছে সকলেই আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমার মাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন আমিন।
চোখের সামনে আমার বাবাকে হারিয়েছি, ভাই কে হারিয়েছি, হারিয়েছি আমার মাকে এতগুলি প্রিয় জনের মৃত্যুতে আমি স্তব্ধ হয়ে গেছি আমার হৃদয়টা কত বিখ্যাত হয়ে গেছে আমি লিখে প্রকাশ করতে পারবো না কতটা কষ্ট পেয়েছি আমি কি আর করব বিধাতার লেখন সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে ।
তিন বছর পর আমার হাজবেন্ড দেশে ছুটিতে আসে আমার মেয়ের বয়স তখন তিন বছর এরই মাঝে আমাদের কোল উজার করে আমাদের দ্বিতীয় সন্তান তাহমিদ হাসান লামিম এর জন্ম হয় তারপর আমাদের সংসার হাসিখুশিতে চলতে লাগলো আমার ছেলের বয়স যখন পাঁচ বছর তখন আমার সংসারে নেমে আসে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
🌹ভালোবাসার প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়া🌹
😭নিজের সন্তানকে হারিয়ে যখন হতাশাগ্রস্থ হয়ে রুমের মধ্যে শুয়ে থাকতাম সব সময় কান্না করতাম কোন কিছু ভালো লাগতো না সব সময় ছেলের কথা মনে হতো জীবনটা দুর্বিষহ হয়ে যায় এমন সময় আমি এবং আমার মেয়ে মাদ্রাসায়
ভর্তি হই ওখানে থাকতে পারে নি শুধু কান্না করতাম আর ছেলের কথা ভাবতাম মন বসত না ওখানে ও।আবার চলে আসলাম বাড়িতে এমন সময় আমার হাজব্যান্ড আমাকে নিজের বলার মত একটা গল্প প্ল্যাটফর্মের জয়েন হওয়ার কথা বলে আমি তখন ফেসবুকে নিজের বলার মত একটা গল্প প্ল্যাটফর্ম সার্চ দেই সাথে সাথে পেয়ে যাই প্রিয় প্ল্যাটফর্ম নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন তখন জয়েন হয়ে পরি ও রেজিষ্টেশন করে ফেলি।
নিজের বলার মত একটা গল্প প্লাটফর্মে জয়েন হওয়ার পর প্রিয় স্যারের একের পর এক সেশন পড়তে লাগলাম কিভাবে হতাশাগ্রস্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হয় কিভাবে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে হয় প্রিয় স্যারের সেশন থেকে আমি জেনে গেছি কিভাবে নতুন করে বাঁচতে হয় কিভাবে স্বপ্ন দেখতে হয় কিভাবে একজন উদ্যোক্তা হওয়া যায় সর্বোপরি কিভাবে একজন ভালো মানুষ হওয়া যায় প্রিয় স্যার আমাদের কে শিখিয়ে যাচ্ছেন প্রিয় স্যারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটা প্ল্যাটফর্ম নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন উপহার দেওয়ার জন্য এখানে না আসলে আমি কখনো এত এত ভালো মানুষের দেখা পেতাম না
🌷উদ্যোক্তা জীবন🌷
প্রিয় স্যারের নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে প্রিয় স্যারের শিক্ষা নিয়ে আমি হতাশাগ্রস্থ জীবন থেকে বেরিয়ে এসে আমি একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হতে পেরেছি আমি মাত্র 28 হাজার টাকা দিয়ে আমার উদ্যোক্তা জীবন শুরু করেছি আমি কাজ করছি মেয়েদের থ্রি পিস শাড়ি কাপড় ।থান কাপড় এগুলি নিয়ে আর আমি হাতের কাজ জানি এরই মাঝে আমি 20 জনকে সেলাইর এর প্রশিক্ষণ দিয়েছি আমি কাজকে ভালোবাসি এবং ভালবেসে কাজ করি আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন একজন সফল উদ্দোক্তা হতে পারি
♥আমার স্বপ্ন♥
আমি সব সময় স্বপ্ন দেখি আমি একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার নিজের ফ্যামিলির পাশাপাশি আরো অনেক হতদরিদ্র মানুষের সাহায্য করবো গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবো আরো কিছু বেকার ভাই-বোনদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব নিজে ভালো থাকার পাশাপাশি অন্যদেরকেও যেন ভালো রাখতে পারি অন্তত একজন মানুষের জীবন হলেও যেন বদলে দিতে পারি সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন আমিন।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা এতক্ষন যারা কষ্ট করে আমার জীবনের গল্প পড়েছেন সবাইকে আমার অন্তর অন্তর স্থল থেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আশা করি সকলেই একটা লাইক কমেন্ট করে আমার পাশে থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৪০
Date:- ১০/০২/২০২২ইং
🌹ইসরাত জাহান সুমি
🌹ব্যাচ নাম্বার :১৩
🌹রেজিস্ট্রেশন নাম্বার:৫২২১১
🌹নিজ জেলা : কিশোরগঞ্জ
🌹পেজ লিংকঃhttps://www.facebook.com/Tasfiya-Fashion-101204188667287/