শেষ দুইটা বছর আমার কোন প্রকার গোল বা স্বপ্ন ছিল না
_________প্রিয় পাঠক ভাই এবং বোনরা_______________
______🌹ফাউন্ডেশন থেকে আমার যা অর্জন🌹________
♻️ প্রথমেই সকল প্রশংসা প্রকাশ করছি আমার মহান সৃস্টিকর্তার প্রতি, যিনি আমাকে আপনাদের সকলের ভালোবাসায় সিক্ত ও প্রিয় করেছেন।
আমার প্রাণপ্রিয় বাবা-মায়ের প্রতি সহশ্র সালাম ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যাদের কল্যাণে আমি আজ “ Mahfujur Rahman Sujan ” নামে আপনাদের কাছে পরিচিত। আমি সবার কাছে দোয়া- আশির্বাদ চাই। আমি যেন আমার এবং আমার বাবা-মায়ের স্বপ্নকে সার্থক করতে পারি আমার কর্মের মাধ্যমে।
♻️ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সবার প্রাণপ্রিয় মেন্টর #Iqbal_Bahar_Zahid স্যারের প্রতি যার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং একাগ্র চেষ্টায় আমরা সবাই যুক্ত হতে পেরেছি এমন সুন্দর, বিনিয়ে, সহযোগিতা মনসম্পন্ন, বন্ধুত্বসুলভ এবং ভালোবাসায় ভরপুর একটা প্লাটফর্মে।
♻️ এছাড়াও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি Mohammad Sumon আমার শ্রদ্ধেয় আপন বড় ভাইয়ের প্রতি যার কারণে আমি এত সু্ন্দর একটা ফাউন্ডেশন এর সদস্য হতে পেরেছি, পেয়েছি অনেকগুলো ভাই-বোন এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ একটা ভালো মানুষের পরিবার।
সময়!সময় হলো পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় বেইমান। ভেবে ছিলাম হয়তো সময়টা খারাপ যাচ্ছে বলে, আজও খারাপ সময়ে আছি আমি। ভালো সময় আসলে হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সেই সময়টাই যে এলো না আমার জীবনে। জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপেই আমি ব্যর্থ। হোক সেটা বড় কি ছোট পদক্ষেপ সফলতা আমি কখনোই পাই নাই। এই ছোট্ট জীবনে আমার প্রতিটা পদক্ষেপ শুরুতেই শেষ হয়ে যায়, হয়তো তা দ্বিতীয় বারে হয়েছে বা কখনো দ্বিতীয়বারেও হয় নাই। সবচেয়ে হতাশাজনক ছিল এইটা যে,দৈনিক জীবনের ছোট খাট প্লানগুলো আমার কখনো প্লান মোতাবেক হয় না। এক সময়ে আমি খুবই হতাশ এবং ভুল নীতিতে চলতে শুরু করি। শেষ দুইটা বছর। হ্যা, শেষ দুইটা বছর আমার কোন প্রকার গোল বা স্বপ্ন ছিল না। জীবনে যা হবার তাই হবে আমার চাওয়াতে তো আর কিছু হবে না। এই নীতিতে শেষ দুইটা বছর পার করেছি। কিন্তু আমার আপন বড় ভাইয়ের কথায় "নিজের বলার মত গল্প" প্লাটফর্মে আসার পর এখন আবার স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করছে। ইচ্ছে করে নিজে কিছু করি বা অন্য সবার মত আমাকে দিয়েও কিছু হবে, সবাই পারলে আমি কেন পারবো না। ২০তম সেশনে পেয়েছিলাম এবং পড়েছিলাম প্রিয় মেন্টরের প্রিয় স্লোগানটি," স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন এবং লেগে থাকুন সাফল্য আসবেই" শুনার পর সেই ইচ্ছেটা আরো বেশি মজবুত হলো। আবারও নতুন স্বপ্ন নিয়ে প্রিয় ফাউন্ডেশন স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সময় দিতে শুরু করলাম শুরু করলাম বিভিন্ন ধরনের ভলেন্টিয়ারিং কাজ করা। সেই কাজ এবং ভলেন্টিয়ারিং করার সুবাধে প্রাণের ফাউন্ডেশনে প্রথম অর্জন।
১। আজীবন সদস্য থেকে কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার হলাম সবার ভালোবাসা এবং সহযোগীতা।
এরপর ফাউন্ডেশন এর প্রতি ভালোবাসাটা আরোও বৃদ্ধি পায় আবারও সময় এবং ভলেন্টিয়ারিং করে যাচ্ছিলাম। সেই ধারাবাহিতাই আমার দ্বিতীয় অর্জন।
২। ২৪/৭ লাইভ সাপোর্ট টিম মেম্বার হিসাবে ওয়েবসাইট কাজ করার সুযোগ পেলাম। এবং তার কিছু দিন পরেই আমার তৃতীয় অর্জন।
৩। এগ্রো ফোরাম ভলেন্টিয়ার টিম মেম্বার হিসাবে কাজ করার সুযোগ পেলাম।
৪। চতুর্থ অর্জন টপ টুয়েন্টি (Top-20) ক্লাব মেম্বার।
আমার চতুর্থ অর্জন ছিলো টপ টুয়েন্টি বিজয়ী হওয়া। যা আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না আমি টপ টুয়েন্টি বিজয়ী হয়েছি।
টপ টুয়েন্টি কনটেস্টে অংশগ্রহণের গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। টপ টুয়েন্টি নিয়ে কথা বললে কিছু মানুষের কথা না বললেই নয়। তাদের প্রতি আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ কৃতজ্ঞ।
"টপ টুয়েন্টি" হওয়ার আশা করেছিলেন?
♻️ এক কথাই না। আমি কখনো আশাও করি নাই আমি টপ টুয়েন্টিতে আসতে পারবো। কেননা আমি খুবই কম সময় পায় মেইন গ্রুপে সময় দেওয়ার জন্য। বিশেষ করে লাইক,কমেন্ট এবং কমেন্ট এর রিপ্লাই দেওয়ার জন্য। এছাড়াও পোস্ট ও তেমন একটা করা হত না। আমার খুবই প্রিয় এবং শ্রদ্ধাভাজন Zahid Islam ভাইয়া সবসময় বলতেন গ্রুপে পোস্ট এবং কমেন্ট করার জন্য। বিশেষ করে এক্টিভ থাকার জন্য। তাই শুধুমাত্র আমাদের চট্টগ্রাম জেলার সেশন পোস্ট এবং প্রোমটিং টিম এবং এগ্রো ফোরামের এর যেসকল পোস্ট বা কনটেন্ট থাকতো তা নিয়ে পোস্ট এবং সেসকল পোস্টের কমেন্ট এবং রিপ্লাই দেওয়া হতো। এই ভাবে সময় দেওয়া হত ভালোবাসার ফাউন্ডেশনে।
তাহলে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিলেন কেন, এবং কিভাবে?
♻️ সত্যি বলতে আমার অংশগ্রহণ করার কোনো প্রকার ইচ্ছে ছিলো না শুরুতেই। একদিন Jasmine Akther Jui আপু আমাকে বলে আপনি তো ফাউন্ডেশন এবং আমাদের মেইন গ্রুপে খুবই এক্টিভ থাকেন। আর একটু বেশি সময় দিলে টপ টুয়েন্টি কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে পারেন।আমি আপুকে প্রথমেই না করে দি। আপু আমাকে ভেবে দেখতে বললো এবং এর উপকারিতা বিষয়ে আমাকে জানালো। এরপরে আমিও চিন্তা করে দেখলাম চেষ্টা করে দেখি। টপ টুয়েন্টিতে না আসলেও অনেক ভাই এবং বোনদের সাথে পরিচিত হতে পারবো।
১. নিজের ব্র্যান্ডিং হবে।
২. আমার নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পাবে।
৩.- আমার পন্যের মার্কেটিং করতে পারবো অতি সহজেই।
৪. প্লাটফর্মের যেই কেন বিষয়ে আমার অজানা অনেকে কিছু জানতে পারবো এবং শিখতে পারবো।
আপুকে পরে জানালাম যে আপু ১০ দিন তো চলে গেছে তাও আমি চেষ্টা করবো আপনার কথা রাখার জন্য।আপু সবসময় আমাকে উৎসাহিত করেছে এবং দু-একদিন পর পর খোজ খবর নিত কেমন চলছে? সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা।
ফলাফল আসার পর অনুভূতি কেমন ছিল?
♻️ ফলাফল আসছে তা আমি জানতাম না সর্বপ্রথম আমার প্রাণপ্রিয় ভাই আমাদের চট্টগ্রাম জেলার এক্টিভ সদস্য Mohammad Ibrahim ভাই যখন আমাকে অভিনন্দন জানালো আমি তো অবাক হয়ে গেলাম। জিজ্ঞেস করলাম অভিনন্দন কেন বললো টপ টুয়েন্টিতে নাকি আমি আসছি। আমি তো বিশ্বাসী করতে পারছিলাম আমি আসছি। কেননা যে পরিমাণ সময় দেওয়ার কথা ছিল তা আমি দিতে পারিনি বলে আমি ভাবছিলাম। কেননা শেষ কয়েকটা দিন আমার বাসায় আমার বাবা-মা অসুস্থ থাকায় বাসায় একটু সময় দেওয়ার জন্য মেইন গ্রুপে আমি সময় খুবই কম দিতে পেরেছিলাম। ফলাফলের দিনেও দুপুরে আমি বাবাকে দুপুরবেলার খাবার খাওয়ানোর পর মোবাইল হাতে নিতেই ইব্রাহিম ভাইয়ের মেসেজ পেয়ে জানতে পারলাম, আমি টপ টুয়েন্টি বিজয়ে হতে পেরেছি।
আমাদের সবার প্রাণপ্রিয় স্যার ৪৭তম সেশনের শেষে প্রিয় স্যার কিছু কথা বলেছিলেন যে," মা-বাবাকে অবহেলা করে সফল হয়েছে বা সুখে আছে, এমন একটি উধারনও কেউ দিতে পারবে না। সময় থাকতে মা-বাবার যত্ন নিন।
আপনার প্রতিদিনের কাজের জন্য এই দোয়া হবে একটা পাওয়ার।
এক সময় এই অতিরিক্ত ভালোবাসা আপনার অভ্যাসে পরিনত হবে। তখন আপনার সাথে ঘটতে থাকবে একের পর এক ম্যাজিক, চমক ও সৌভাগ্য ! " এই যেন সেই চমক ও সৌভাগ্য ছিল আমার জন্য।
বিজয়ী হওয়ার অনুভূতি কেমন?
♻️*এই অনুভূতি মুখে প্রকাশ করার মতো নয়। বিজয়ী হতে পেরে আমি খুবই খুশি এবং অনুপ্রাণিত। এই বিজয় আমার দায়বদ্ধতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটা যেমন দায়বদ্ধতা বাড়িয়ে দিল, সেই সঙ্গে নতুন সূচনা। আমি ভালো কাজ করার কমিটমেন্ট যত দিন বেঁচে থাকব তত দিন রাখতে চাই। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন যেন আরও ভালো কাজ উপহার দিতে পারি।
♻️ ইতিমধ্যে, অনেকেই আমাকে ভালোবেসে ফেইসবুক, মেসেঞ্জার ও মোবাইলে ফোন করে টপ টুয়েন্টি ১১তম স্থানে মনোনীত হওয়ার পর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রথমেই সেই সকল শ্রদ্ধাভাজনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, এবং নানান ঝামেলায় কিংবা ভুলে যাওয়ার কারনে যারা আমাকে উইশ করতে পারেননি, তাদের জন্যও আমার ভালোবাসা থাকবে।
♻️ আপনাদের সকলের ভালোবাসা, আন্তরিকতা আর আমাকে নিয়ে আপনাদের চাওয়া পাওয়া। আজ আমাকে নতুন উদ্যোমে চলার প্রেরনা যুগিয়েছে।
♻️ আমি বুঝতে পেরেছি, আমার অগোচরে আমাকে ভালোবাসার অনেক মানুষ আছেন, যা আমি Top-20 কনটেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বুঝতে পেরেছি। আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি, ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে।
♻️ আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সবার প্রিয় মেন্টর Iqbal Bahar Zahid স্যারকে এত সুন্দর একটা কনটেস্ট রেখেছেন যার মাধ্যমে আমরা প্রতি মাসে গ্রুপের ২০ জন এক্টিভ সদস্যদের বিষয়ে জানতে পারি, কারা সুপার এক্টিভ এবং অনেক বেশি সময় দিয়েছেন সে বিষয়ে।
♻️ আমার ভালোবাসা, এবং কৃতজ্ঞতা আপনাদের জন্য আজীবন থাকবে। আমার অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে অফুরন্ত ভালোবাসা ও আন্তরিক অভিনন্দন সহ লাল গোলাপের অনাবিল সু-গন্ধিত শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের এই অফুরন্ত ভালোবাসা আমার হৃদয়ের গভীরে অনাবিল স্থান হয়ে থাকবে। আপনাদের স্মরণ রাখবো আজীবন। আমার জন্য সবাই দোয়া-আশির্বাদ করবেন। আমি যেন একজন ভালো মানুষ হতে পারি এবং একজন সফল মানুষ হয়ে আপনাদের সবার মাঝে আজীবন বেচে থাকতে পারি। এই প্রত্যাশা করছি!
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৪০
Date:- ১০/০২/২০২২ইং
🔰নামঃ মাহফুজুর রহমান সুজন
🔰 ব্যাচঃ ১৫ তম
🔰রেজিষ্ট্রেশন নংঃ৬৯৪৭৬
🔰কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার।
🔰টপ টুয়েন্টি ক্লাব মেম্বার।
🔰২৪/৭ লাইভ সাপোর্ট টিম মেম্বার।
🔰এগ্রো ফোরাম ভলেন্টিয়ার টিম মেম্বার।
🔰জেলাঃ চট্রগ্রাম (পতেঙ্গা জোন)
🔰থানাঃ সন্দ্বীপ
🔰বাসস্থানঃ হালিশহর বি-ব্লক।
🔰রক্তের গ্রুপঃ বি+ .
🔰আমার ফেইচবুক পেইজ লিংক:-
https://www.facebook.com/sujansemporium/
সবাই ভালোবেসে পাশে থাকবেন।