◾পাছে লোকে কিছু বলে‼️
💥 জীবন থেকে নেওয়া 💥
👁️🗨️ ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিংয়ের টাকা জোগান দিতে একজন আত্মীয়ের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে বলে, " ঢাকা গিয়া কি হইবো, পড়ন লাগবো তো সেই চাঁদপুর সরকারি কলেজেই‼️"
তার কথায় পাত্তা না দিয়ে আব্বুকে রাজি করে কোচিং করতে ঢাকা চলে যাই৷ থাকা শুরু করি কল্যাণপুরে মেঝো ফুফুর বাসায়।
কোচিংয়ে যেতাম লেগুনাতে ঝুলে ঝুলে। মাঝে মাঝে মনে হতো উড়ছি। সকালে একটার জায়গায় দুইটা ক্লাসে কোচিং করেছি। তারপর বাসায় গিয়ে খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে উঠে পড়তে বসেছি, এভাবে টানা রাত এগারোটা পর্যন্ত ছোট মাল্টিমিডিয়া ফোন অন্যরুমে রেখে পড়েছি৷ সকালে ফজরের নামাজ পড়ে কোচিংয়ে যাবার আগে আবার পড়েছি। তারপর ঢাবিতে পরীক্ষা দিয়ে খ ইউনিটে চান্স পেয়ে যাই। ঐ আত্নীয়ের মুখ বন্ধ হয়ে যায় ✌️
👁️🗨️ ২০১৭ সালে ঢাবিতে পড়াকালীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর- বিএনসিসি তে যোগদান করলে বন্ধু বান্ধব, ক্লাসমেট সহ পরিচিত মানুষেরা হাসাহাসি করে আমাকে নিয়ে৷ বাসা থেকে সাফ জানিয়ে দেয় পড়ালেখার বাহিরে এসব করে সময় নষ্ট করার দরকার নেই ❎
কিন্তু দিনের পর দিন একটিভ থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নেই, দায়িত্ব পালন করি ✅
এবং ২০১৮ সালে বিএনসিসির সবচেয়ে সম্মানজনক "ইয়ুথ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম" এ বাংলাদেশের হয়ে ভারত সফরের জন্য পরীক্ষা দিয়ে দুটি ধাপ পার হই৷ তখনো বাসার কাউকে জানানো হয়নি!
👁️🗨️ পদবীতে আমার সিনিয়র একজন বলে, "এ ধাপ গুলাতো সহজ ছিলো বলে পারসো, পরের গুলাতে পারবা না‼️" 😏
আমি তার কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে রাত জেগে নোট করি, পড়ালেখা করি। ব্যয়াম করা, ডায়েট করাসহ নিজেকে যতভাবে প্রস্তুত করা যায় সেদিকে মনোযোগী হই 💯
২ টি লিখিত পরীক্ষা ও ৪টি ভাইবা মোট ৬টি ধাপ সাফল্যের সাথে অতিক্রম করে, বিএনসিসির সর্বোচ্চ পদবীধারী ব্যক্তি আর্মির বিগেডিয়ার জেনারেল স্যারের ভাইবা পার হয়ে ঐ প্রোগ্রামের জন্য বাংলাদেশের ৮জন রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির একজন হিসেবে নির্বাচিত হই 🥰
চিঠি আসে ভারতে সফরকালীন সময় বাংলাদেশের ডিফেন্স মিনিস্ট্রির কাজে নিয়োজিত আছি এমনটা গণ্য করা হবে 😇
পাসপোর্ট থেকে শুরু করে প্রস্তুতি নেওয়ার সকল খরচ বাংলাদেশ সরকার এবং ১২ দিন ভারতে থাকা, খাওয়া, ঘুরাফিরাসহ যাবতীয় খরচ ভারত সরকার বহন করেন ✅
শুধু তাই নয়, ভারতে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ সরকার কেনাকাটার জন্য ৪০০ ডলার হাতে ধরিয়ে দেয়৷ আমাদের সুবিধা অসুবিধা দেখার জন্য ভারতীয় আর্মির মেজর, কর্ণেল, সৈন্যরা সবসময় আশেপাশেই ছিলো৷ আমাদের কাজ ছিলো বুফে খাও, ঘুরো আর থড় মরুভূমিতে উট চালানো শিখো। উল্লেখ্য এ সফরের কারণে আমার চারবার বিমানে চড়ার সুযোগ হয় 😇
সিলেক্ট হওয়ার পর আমার ঐ বন্ধু বান্ধবরাও আমাকে নিয়ে গর্ব করে, ঐ সিনিয়রও আমার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে, পরিবারের লোকজন সানন্দে সবাইকে জানায় এ খবর 😊
টাকা,খানাপিনা, ঘুরারফেরার চেয়েও যে বিষয়টা আমার কাছে বেশি মূল্যবান ছিলো, গর্বের, ভালো লাগার ছিলো, তা হলো বুকে লাল সবুজ পতাকা নিয়ে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে পারা 🇧🇩
👁️🗨️ ২০২০ সাল৷ কাজ শুরু করি ইলিশ নিয়ে৷ শুনতে হয়," বিসিএস বাদ দিয়া এসব করবি ক্যান? তোর থিকা মাছ নিবে কে? পরিবারের মানসম্মান সব ডুবাইবি!! মাছই যখন বেঁচবি, লেখাপড়া করছস ক্যান ❓
কাজ শুরু করি৷ কাছের বন্ধু নাঈম সাপোর্ট দিতে ইলিশের বাড়ি'র প্রথম শুভাকাঙ্ক্ষী হয়৷ আশেপাশের মানুষের কটু কথার পাশাপাশি কিছু মানুষের আকুন্ঠ সাপোর্ট পাই 😇
১০০ কেজি বিক্রি হলে আমাকে নিয়ে নিউজ করে প্রথম আলো৷ দেশ বিদেশের অনেক মানুষ কল দিয়ে, ম্যাসেজ করে শুভকামনা জানায়৷ নিউজের নেপথ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই বড় ভাই, যাকে আগে থেকে চিনতাম না 😍
'ইলিশের বাড়ি'র একজন শুভাকাঙ্ক্ষী আমার থেকে ইলিশ নিয়েছিলেন৷ উনার হাজবেন্ড এনটিভির সিনিয়র রিপোর্টার, ফোন করে আমার 'ইলিশের বাড়ি'কে 'এখন যৌবন যার' নামক অনুষ্ঠানে তুলে ধরতে চান বলে জানান 😇
এবারো অনেক মানু্ষের শুভেচ্ছা, শুভকামনা পাই। 'ইলিশের ব্র্যান্ড' তৈরীর দিকে এগিয়ে যেতে থাকি আমি, যে যাত্রা এখনো চলমান 👣
🖋️ প্রথম আলো, এনটিভি এদের কাউকে আমি রিকুয়েষ্ট করিনি নিউজ করতে, তারাই আমার উদ্যোগকে তুলে ধরার মহৎ প্রয়াস নিয়েছিলো 💜
◾২০১৫ সালে লোকের কথা শুনলে ঢাবিতে পড়া লাগতো না, ২০১৭ সালে বন্ধু বান্ধবের হাসাহাসি, পরিবারের নিষেধ, ২০১৮ সালে সিনিয়রের ডিমোটিভেশনকে পাত্তা দিলে জীবনের সেরা প্রাপ্তির একাংশ মিস করতাম, ২০২০ সালে কাজ ছেড়ে দিলে কোন জাতীয় পত্রিকা প্রথম আলো, স্বনামধন্য টিভি চ্যানেল এনটিভিতে ইতিবাচকভাবে আমাকে দেখা যেতো না, 'ইলিশের বাড়ি''র সিয়াম নামে নতুন পরিচয় তৈরী হতো না 🚫
🖋️তাই আপনি যদি নিজে নিশ্চিত হন যে আপনি ভালো কিছু করছেন, যদি আপনার মন বলে এ কাজে আপনার সম্ভবনা আছে, তাহলে পুরো দুনিয়া কি বললো তা ভুলে নিজের কাজে সম্পূর্ণ মনোনিবেশ করেন, দেখবেন সফল হলে দুনিয়াই আপনাকে নিয়ে গর্ববোধ করবে,আপনার জন্য হাততালি দিবে 👏
দেখা হবে বিজয়ে 💪
'প্রধান স্বপ্নদ্রষ্টা'
🌺 'ইলিশের বাড়ি' ব্র্যান্ড 🌺
'চাঁদপুরের তাজা ইলিশে নিশ্চয়তায়' 🐟
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৩৬
Date:- ০৩/০২/২০২২ইং
🔰 সিয়াম 🔰
১২ তম ব্যাচ,
রেজিস্ট্রেশন নাম্বার- ৪৬৩৭৪