চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রতিবেদন
🌹বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রতিবেদন🌹
🕋বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম🕋
এক নজরে চুয়াডাঙ্গা জেলার তথ্যাবলীঃ
যা কিছু প্রথম ও চুয়াডাঙ্গা জেলার উৎপত্তিঃ
চুয়াডাঙ্গা জেলা বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। বাংলাদেশের প্রথম রেলপথ এবং বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন ১৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে চুয়াডাঙ্গাতে স্থাপিত হয়েছিল।১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে ১৫ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন চালু হলে নদীয়া জেলার চুয়াডাঙ্গা মহাকুমা সদর দামুড়হুদা থেকে চুয়াডাঙ্গায় স্থানান্তরিত হয়। যার ফলে চুয়াডাঙ্গা তখন নদীয়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ মহকুমা এবং বৃহত্তম ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে।১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় চুয়াডাঙ্গা মহকুমা কুষ্টিয়া জেলার সাথে সংযুক্ত হয়। ১৯৮৪ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলা কুষ্টিয়া থেকে ভাগ হয়ে একটি স্বতন্ত্র জেলা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ মুক্তিযুদ্ধের সর্বপ্রথম কমান্ড দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কমান্ডো গঠিত হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়।শের প্রথম ডাকঘর চুয়াডাঙ্গায় অবস্থিত। বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাজধানীর চুয়াডাঙ্গা জেলা।
চুয়াডাঙ্গা জেলার ভৌগলিক অবস্থান ও আয়তনঃ
চুয়াডাঙ্গা জেলার আয়তন ১১৭০.৮৭ বর্গ কিলোমিটার। চুয়াডাঙ্গা জেলার উত্তর-পূর্ব দিকে কুষ্টিয়া জেলা, উত্তর-পশ্চিমে মেহেরপুর জেলা,দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্বে ঝিনাইদহ জেলা, দক্ষিণে যশোর জেলা, এবং পশ্চিমে ভারতের নদীয়া জেলা অবস্থিত। জেলার মূল শহর চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত।
দর্শনীয় স্থানঃ
★ডিসি ইকোপার্ক-তালসারী, দামুড়হুদা। ★আটকবর-নাটুদহ,দামুড়হুদা।
★কেরু এন্ড কোম্পানি এন্ড ডিস্ট্রিলারী- দর্শনা।
★পুলিশ পার্ক- পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংলগ্ন।
★ঘোলদাড়ি জামে মসজিদ(১০০৬ খ্রিস্টাব্দে)--আলমডাঙ্গা।
★তিয়রবিলা বাদশাহী মসজিদ -আলমডাঙ্গা।
★ঠাকুরপুর মসজিদ।
★জামজামি মসজিদ।
★নীলকুটি-কার্পাসডাঙ্গা ও ঘোলদাড়ী।
★আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন -ব্রিটিশ আমলে নীলকুঠি হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
★খাজা মালিক উল গাউস এর মাজার।
★রাখাল শাহ এর মাজার।
★কুমারী জমিদার বাড়ি।
★আলমডাঙ্গা বধ্যভূমি।
★ভিটিআই।
★শরৎচন্দ্রের স্মৃতি বিজড়িত কাশিপুর জমিদার বাড়ি।
চুয়াডাঙ্গা জেলার নদ নদীঃ
চুয়াডাঙ্গা জেলায় অনেক গুলো নদী রয়েছে।
নদীগুলো হচ্ছেঃ-মাথাভাঙ্গা নদী, নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী, ভৈরব নদ,ও কুমার নদ।
প্রশাসনিক কাঠামোঃ
★উপজেলাঃ৪টি।(চুয়াডাঙ্গা সদর, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা,ও জীবননগর)।
★পৌরসভাঃ৪টি।(চুয়াডাঙ্গা,আলমডাঙ্গা, দর্শনা ও জীবননগর)।
★ইউনিয়ন -৩৮টি।
★সংসদীয় আসন সংখ্যা-২টি।
★মৌজা -৩৭৬টি।
★হাট-বাজার -১০১টি।
★ইউনিয়ন ভূমি অফিস -২৯টি।
★মোট জমি ৯৭.৫৮২হেক্টর।
★মোট আবাদি জমি ৯৭৫৮২হেক্টর।★আশ্রায়ন প্রকল্প ১৯টি।
★আদর্শ গ্রাম ১৫টি।
★মোট জনসংখ্যা ১১২৯০১৫ জন।(পূরুষ ৫৬৪৮১৯জন ও মহিলা ৫৬৪১৯৬জন)।
শিক্ষা সংক্রান্তঃ
★বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১টি।★মহাবিদ্যালয় ১৯ টি।
★ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৪০ টি। ★সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৪৪৫ টি।
★মাদ্রাসা ৩৯ টি।
★টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট ৫ টি। ★যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ১ টি।
★টিটিসি ১টি।
★পিটিআই ১টি।
★মসজিদ ১৪১৭টি।
★মন্দির ৯৭টি।
স্বাস্থ্য সংক্রান্তঃ
★জেলা সদর হাসপাতাল ১টি। ★উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৪টি। ★ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩৮টি।
★মা ও শিশু সেবা কেন্দ্র ১টি। ★ডায়াবেটিক হাসপাতাল ১টি।
★চক্ষু হাসপাতাল ১টি।
চুয়াডাঙ্গা জেলার বিখ্যাত পন্য সমূহঃ
ব্লাক বেঙ্গল ছাগল খামারের জন্য বিখ্যাত। পান,ভুট্টা,ও খেজুরের গুড় এই জেলার বিখ্যাত পন্য,যা দেশ সহ বিদেশও রপ্তানি করা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় ১০০ টিরও বেশি হাট-বাজার সম্বলিত চুয়াডাঙ্গায় দৈনিক প্রায় ৫ কোটি টাকার সেল হয় , যার মূল পণ্য হলো পান,ভুট্টা,সকসবজি,খেজুরের গুড়, বিভিন্ন ধরণের ফুল ও ফল যা প্রায় ৯৭,৫৮২ হেক্টর আবাদি জমি থেকে উৎপাদিত হয়।
👉এবার আসি চুয়াডাঙ্গা জেলার নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর কার্যক্রমঃ
★মোট সদস্য (আনুমানিক)- ২০০জন।
★ জেলা এম্বাসেডর-২জন।
১.মোঃ নজরুল ইসলাম
২.ইঞ্জিঃ আরিফ আহমেদ।
★ উপজেলা এম্বাসেডর-৯জন।
চুয়াডাঙ্গা সদরঃ
১.সুমন রায়হান
২.তৌহিদুর রহমান।
৩.ফারহানা শিউলী।
আলমডাঙ্গা উপজেলাঃ
১.মোঃতারেক হোসেন।
২.জান্নাতুল ফেরদৌস ঊশা।
দামুড়হুদা উপজেলাঃ
১.মোঃসাগর রেজা।
২.মোঃকাবিল।
জীবননগর উপজেলাঃ
১.কাজী রাজন।
২.সজিব আহাম্মেদ।
★ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডর -১জন।
১.মোঃশাহরিয়র কবির।
★কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার-১৩জন।
১.মোঃতারেক হোসেন।
২.মোঃসুমন রায়হান।
৩.মোঃ সাকুর বিন শহিদ।
৪.মোঃশামিম হোসেন।
৫.মোঃনজরুল ইসলাম।
৬.আয়েশা আক্তার।
৭.লামিয়া তাসনিম।
৮.পাপিয়া সুলতানা।
৯.জান্নাতুল ফেরদৌস ঊশা।
১০.সুজা জামান
১১.আরিফ আহমেদ
১২.রবিউল হোসেন
১৩.তাসলিমা জামান লিমা
★24/7 লাইভ সাপোর্ট টিম মেম্বার-৪জন।
১.মোঃতারেক হোসেন। ২.মোঃনজরুল ইসলাম। ৩.ইঞ্জিঃআরিফ আহমেদ।
৪.তাসলিমা জামান লিমা।
★সোশ্যাল মিডিয়া ফিডব্যাক টিম- ১জন।
১.মোঃতারেক হোসেন।
★রেজিস্ট্রেশন টিম মেম্বার-২জন।
১.সুুমন রায়হান।
২.ইঞ্জিঃআরিফ আহমেদ।
★টপ টোয়েন্টি ক্লাব মেম্বার-২জন।
১.মোঃতারেক হোসেন। ২.মোঃনজরুল ইসলাম।
★মোট উদ্যোক্তা ২৬ জন। পুরুষঃ১৩ জন ও নারীঃ১৩ জন।
★পুরুষ ১৩ জন।
১.নজরুল ইসলাম ২.আরিফ আহামেদ ৩.সুমন রায়হান ৪.তারেক হোসেন ৫.কাজী রাজন ৬.সুজা জামান ৭.আব্দুস শাকুর বিন শহিদ ৮.তৌহিদুর রহমান ৯.শামিম হোসেন আলোক ১০.সাজু তাওহীদ ১১.ইমরান দিপু ১২.আল মামুন ১৩.শিশির।
নারী ১৩ জনঃ
১.লামইয়া তাসনিম ২.পাপিয়া সুলতানা ৩.আয়েশা আক্তার ৪.জান্নাতুল ফেরদৌসী ঊশা ৫.আয়েশা সিদ্দিকা ৬.ফারহানা শিউলি ৭.তামান্না ৮.জয়নব ফারুক ৯.তাসলিমা জামান লিমা ১০.ফারজানা তন্নী ১১.তহমিনা খাতুন ১২.সুমাইয়া জান্নাত সুমি ১৩.শ্রেয়া স্মৃতি।
★অনলাইন মিটআপ -২০টি।★অফলাইন মিটআপ-৫টি।
১০০০তম দিন উপলক্ষে আমরা চুয়াডাঙ্গা জেলা টিম মনোমুগ্ধকর একটি অফলাইন মিটআপ করা হয়। ৩০+ সদস্য উপস্থিত ছিলাম।গত ১৯নভেম্বর ২০২১ সারাদিন ব্যাপী অফলাইন মিটআপের আয়োজন করেছিলাম। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর থানা অফিসার ইনচার্জ জনাব মহসিন কবির। আমাদের প্ল্যাটফর্মের কার্যক্রম দেখে শুনে তিনি এতই অভিভূত হয়েছিলেন যে,যেখানে উনার ১৫ মিনিট সময় দেওয়ার কথা ছিল সেখানে তিনি এক ঘণ্টারও বেশি সময় দিয়ে বারবার প্রিয় স্যার জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে ধন্যবাদ ও সালাম জানিয়েছিলেন।
সর্বশেষ ১৮ জানুয়ারি ২০২২ মাসিক অফলাইন মিটাপ ও পণ্য প্রদর্শনী করা হয।আমরা প্রত্যেকদিন প্রায়া ১৮/২০ জন সদস্য ঠিক রাত ৮ ঘটিকার সময় সেশন চর্চা ক্লাস করি।আজ আমাদের ১৬০ তম দিন চলছে। উল্লেখ্য গত ৫০ ও ১৫০তম সেশন চর্চা ক্লাস উপলক্ষে আমরা অনলাইন মেগা মিটআপের আয়োজন করি।যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার।
আমরা চুয়াডাঙ্গা জেলায় প্রথম সেশন চর্চা ক্লাস ও প্রিয় ফাউন্ডেশন কে নিয়ে স্যার কে উৎসর্গ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা টিমের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও তৈরি করেছি যা আমাদের প্ল্যাটফর্মের ফেসবুক পেজে ৫০০০+ ভিউ এবং ইউটিউব চ্যানেলে ৩০০০+ প্লাস ভিউ পেয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
মানবিক ও সামাজিক কাজঃ
১০ জানুয়ারি ২০২২ প্রিয় প্ল্যাটফর্মের পক্ষ থেকে আমরা হতদরিদ্রদের মাঝে ৩০ পিস কম্বল বিতরণ করি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ
১০০০+ নিবন্ধিত সদস্য তৈরি করা।
চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রত্যেকটি কলেজ পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম তুলে ধরা এবং উদ্দোক্তা ক্লাব গঠন করা।
প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সেই লক্ষে টিম গঠন করে কাজ করা।
পুরাতন ইনএকটিভ সদস্যকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা।