তখন হতে চির চেনা মুখ ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার
🏆🏆আমার জীবনের গল্প🏆 🏆
বিসমিল্লাহ হিররাহ মানির রাহিম
🔥🔥কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা প্রকাশ করছি মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীনের যিনি আমাকে সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন এবং এ ভুবনে বিচরণ করার জন্য প্রসস্থ করে দিয়েছেন আর চাওয়ার আগের সব প্রয়োজন মিটিয়ে আমাকে করেছে সৃষ্টির সেরা।
🌰🌰ভালবসা ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি আমার মাতা পিতার প্রতি যারা আমাকে এ পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করে আজ এখনো আমার সুখের জন্য নিজের সুখ ত্যাগ করেছেন। সম্মানিত সেই দুজন মানুষের জন্য দোয়া করি যেন আল্লাহ তাদের সুস্থ রাখেন এবং নেক হায়াত দান করেন।
🍍🍍শত শত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি লাখ লাখ তরুণ তরুণীর অনুপ্রেরণা বেকারত্ব সমস্যা সামাধানের কান্ডারী পথ হারা ও আমি পারব না এমন চিন্তা কে যিনি না করে দিয়ে আশার আলো জালিয়ে স্বপ্ন পুরনের দিকনির্দেশনা দিয়ে সারা বিশ্বে কিংবদন্তি সৃষ্টি করেছেন যিনি আমার ভলান্টিয়ার স্পিকার ও মেন্টর পরামর্শদাতা জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি
🌨️🌨️আমার পরিচয়---
১২-০৩-২০০০ ইংরেজি সন ইং তারিখে ঐতিয্য বাহী নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলা ধর্মপাল ইউনিয়নের দোলনি পাড়া গ্রামে আমার জন্ম।
দাদা-দাদী ভালবাসে নাম রাখেন -আব্দুল মোতালেব।
পিতা মো; রহিদুল ইসলাম। মাতা মোছা; মোতাহারা বেগম।
আমরা ৬ ভাই বোন আমার উপরে বোন চারজন আমি ৫ম ভাই নিছে ছোট বোন রুপালী
🌨️🌨️আমার শৈশব কাল---
গ্রামের দিন মুজুরের ঘড়ে জন্ম হওয়ায় ধুলোবালির মাঝে আমার বেরে উঠা।।।।। পরিবারে একাধিক মেয়ে সন্তানের পর আমিই প্রথম ছেলে তাই গরীব হলেও আদর একটু বেশিই ছিল। মা বাবা দুজনেই মানুষের বাড়িতে কাজ করত তাই বেশি ভাগ সময়ে ২য় বোন হামিদা আপুর কলের ছিল আমার আসল ঠিকানা।
কান্না করলে গল্প কাহিনি আর গীত গাইতেন বড় বোন ছামিনা।। দিন শেষে সন্ধ্যা গরালে তবেই পেতাম মায়ের দেখা।।।।
🌨️🌨️আমার স্কুলে যাওয়া --
অন্য সবার মতো পাচ বছর বয়সে স্কুলের বারান্দায় যাওয়া আমার ভাগ্যে ছিল না।
৭-৮বছর বয়সে যখন বুঝলাম শিক্ষা আমার অধিকার তখন ভর্তি হই চৌপতি উত্তর পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।।।
ছোট খাটো কিছু বায়না আর পেট ভরা ভাত খাওয়ার লোভে বই রেখে ছোট ছোট কাজ করে দিতাম আলমগীর ভাইয়ের বাড়িতে ওর সাথেই কেটে যেতো প্রায় সারাদিন।
যখন চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হবো তখন ক্লাসে আমি সবার থেকে বড় একটু আটটু লজ্জা লাগাই স্বাভাবিক
চতুর্থ শ্রেণির উপর দিয়ে ভর্তি হই পঞ্চম শ্রেণির রুমে
🌨️🌨️আমার ষষ্ঠ শ্রেণি--
এর পরে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হই গোলনা ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসায়।।।।
এর মধ্যে বিয়ে হলো বড় বোন ছামিনার একে তো গরীবের ঘরে কিছুই নেই তাও গুনতে হয় যৌতুক।
সংসারে আবার অভাবে মরিয়া মা বাবা দিন যেন যায় না এমন অবস্থা। এর মধ্যে ছোট বোন রুপালী তখন ক্লাস ওয়ানে।।
আমার কাজ তখন রুপালী কে পরাশোর তাগিদ করা। সপ্তাহে দু দিন স্কুলে না গিয়ে কাজ করলে পেতাম ৪০ টাকা তাই দিয়ে রুপালী ও আমার কলম আর খাতা।
এভাবেই চলে গেলো ৩-৪ বছর এর মধ্যে বারীর ভিটে মাটি বিক্রি করে দিয়ে দিলো ২য় বোন হামিদা ও ৩য় বোন মমিনার বিয়ে
🌨️🌨️যখন আমি এস এস সি পরীক্ষার্থী---
মধ্যে রাতে হঠাৎ বাবার চিৎকার কি হলো কোমর নরাতে পারছি না সেই থেকে আর কোন শক্তির কাজ করতে পারে না অনেক ঔষধেও কোন ফল হলো না পরিশেষে বাবার চিকিৎসার জন্য আমার অল্প অল্প করে জমানো টাকার একটি গাভী কিনেছিলাম তার কিছু দিন আগে ওটা বিক্রি করে রংপুর নিয়ে গেলাম বিশেষজ্ঞ ডক্টর দেখানোর জন্য।।।।। একটু আরগ্যে হলেও কাজ করার শক্তি তেমন নেই সেই অবস্থায় চলছে আজো।
🌨️🌨️এবার যখন আমি (আলিম)এইস এস সি।
পাড়ার কামলা লোকদের সাথে দলবেঁধে কাজ করে বেরাই সারাদিন মানুষের বাড়িতে কত কাজ মাঝে মাঝে বেহাল তবুও উঠে দারাতে হয় চালাতে হয় সংসার খাওয়া হয় ওষধ আর পরাতে হয় ছোট বোন রুপালী কে।
বাট মা বলে তুই একদিন অনেক বড় হবি ভালো কিছু করতে পারবি আমার দোয়া আছে সবসময়।।।
প্রতিদিনের কাজ শেষে সন্ধ্যার পর বই পরা আর রুপালিকে পরানো আমার আর একটা কাজ।।।
রুপালীর জন্য যেন আমার সব ত্যাগ আর ভালবাসা আমার আদর্শ গায়ে মেখে আস্তে আস্তে বড় হয়ে গেল আদরের বোন টি। ততো দিনে বড় চার বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।
🎗️🎗️🎗️কেটে গেল বেশ কিছু দিন
🌨️🌨️রুপালীর বিয়ে ---
অনেক ঝড় ঝামেলার মাঝেও কাজ করে সংসারের খরচ চালিয়েও জমিয়ে ফেললাম প্রায় দের লাখ টাকা।
সবাই বলতে লাগল এবার রুপালী বিয়ের সময় হয়েছে।
কথা মতো সোনা বোনের জন্য একটা ভালো ভদ্র বর দেখা শুরু করলাম।। কিছু দিনের মাথায় বিয়ের আয়োজন - বিয়ের খরচ আর যৌতুক দিতে গিয়ে আবার দিশেহারা আমি কিছুই বাকি রইল না।।।।।
আবার কাজ শুরু করছি এবং জমানোর অভ্যাস তো আছেই ঘুরে দাড়ানোর প্রবল আগ্রহ আর বড় হওয়ার স্বপ্ন এবার অনেক জেদি হয়ে গেছি।।।।
🌨️🌨️প্রথম ঢাকা যাই----
১৮ সালে মে মাস এক চাচাতো বোনের শ্বামি নিয়ে গেলো গাজীপুর মাওনা শ্রীপুর এম সি বাজার ---
চাকরি দিলো---
করতোয়া কুরিয়ার এন্ড পার্সেল এ
এবার হয়ে গেলাম চাকিনদার খুব মনোযোগ দিয়ে বসের দেওয়া কাজ গুলো করি আর হুটহাট করে মায়ের কথা মনে পরে।।।।।।।
🔥এক রাতে ঘুম আসছিলো না তাই ফোনে বিভিন্ন ভিডিও দেখছিলাম তখন হঠাৎ করে একটা ভিডিও পেলাম চাকরি করব না চাকরি দিবো শরীর শিহন দিলো একের পর এক ভিডিও দেখতে লাগলাম পুরো রাত শেষ।।।।।
তখন হতে চির চেনা মুখ ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার
এবং আদর্শের ফাউন্ডেশন--
নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন ---কিছু দিন পরে চাকরি ছেড়ে দিলাম এবং নিজে কোন উদ্যোগ নিবো ভাবলাম
🌨️🌨️এবার করব ব্যবসা---
কি নিয়ে কাজ করব ভেবে পাচ্ছি না অবশেষে লবনের বিজনেস শুরু করলাম চট্টগ্রাম পটিয়া থেকে পাইকারি দামে লবন এনে দোকানে হোল সেল শুরু করলাম বাট বাকির ঝামেলা আর আমার অল্প পুজি তাও আবার ধার করা তাই ব্যবসায় টিকে থাকতে পারলাম না।
🌨️🌨️এখন পরালেখা----
ছোট এ জিবনের পথটা অনেক বড় আর কল্পনার জগৎ টা খুব পরিস্কার আর সহজ তো বটে ----------
ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ফাযিল বি এ করছি
পাশাপাশি অনার্স চলছে।
🔥🔥পাশাপাশি
🌨️🌨️এখন আমি উদ্যেগতা---
জীবনেন সব সংগ্রাম কে জয় করে এখন আমার রয়েছে ছোঠ একটি গরুর খামার এর সাথে গরুর বর্জ্য পদার্থ দিয়ে তৈরী করছি ভার্মি কম্পোস্ট কেঁচো সার।
এখনো সফল হতে না পারলেও আশার আলো দেখছি।
এখন আমি খুব ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ
নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন আমাকে করেছে সম্মানিত দায়িত্বশীল এবং ভালমানুষ।।।।।।।
🌨️🌨️সবার কাছে দোয়া চাই---
আমি যেন আমার পিতা মাতার সেবা করতে পারি এবং কাজ করছি করব লেগে থাকব ইনশাআল্লাহ যেন তৈরী করতে পারি নিজের বলার মতো একটি গল্প।।
আমার অগোছালো লেখনির জন্য ক্ষমা প্রাথনা করছি
সময় দিয়ে পরার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল সকল ভাই ও বোনদের জন্য।।।।
এবং ধন্যবাদ
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৬২
তারিখ- ১০/০৩/২০২২
🌹🌹 আব্দুল মোতালেব আব্দুল্লাহ
🌹🌹জেলা নীলফামারী
🌹🌹উপজেলা জলঢাকা
🌹🌹ব্যাচ১৪তম
🌹🌹রেজী ৬৩৮১৬
🌹🌹ফোন ০১৭৯৩৮৫৩৯৬২
আমার বিজনেস পেইজ 🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩