তাই লড়াই করার আগে জেনে নিয়ো কার সাথে নামছো
🌻জীবনের গল্প 🌻
🌷আসসালামু আলাইকুম
বিসমিল্লাহি রাহমানির রাহীম 🌷
আমার ছোটবেলা দিয়েই শুরু করি আমার ছোট বেলা টা কেটেছে ময়মনসিংহ ত্রিশাল জন্মস্থান ত্রিশাল হলেও আমার পড়াশোনার কারণে আমাকে নালিতাবাড়ী গিয়ে থাকতে হয় সেইখানে আমাদের বাড়ি আছে বংশপরম্পরায় আমাদের রাজবংশ মানে বাদশা বাড়ি বলেই সবাই চিনে ✍️
ছোটবেলাটা খুবই আনন্দে কেটেছে ৮ বছর বয়স পর্যন্ত আমার খুবই দুরন্তপনায় সময়টা কাটিয়েছি খেলাধুলায় বরাবরই চ্যাম্পিয়ন ছিলাম যেমন ক্যারামবোর্ড দাবা খেলা ক্রিকেট ফুটবল নিয়ে আমার এমন কোনোকিছু খেলা নেই যা খেলিনি এবং সব খেলাতেই ফার্স্ট হই ✍️
স্কুলে পড়াশোনা টা মোটামুটি ভাল ছিল স্যার মেমদের খুব৷ আদরের ছিলাম কিন্তু আমার পরিক্ষার খাতা যারা কাটে বা দেখেছে তারা বলবে এইটা কি ছাত্রী না অন্য কিছু কারন আমি কখনো গাইড বা বইয়ের হুবহু লিখিনাই সেটা যেকোন সাবজেক্ট হউক পদার্থবিজ্ঞানের হউক বা গনিত সব বানাইয়া লিখতাম নিজের মতো এই জন্য টিচার দের প্রশংসা পঞ্চমুখ ছিলাম ইচ্চা ছিলো বৃত্তি পাওয়ার
কিন্তু জীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ ৮/৯ সালের দিকে সিডর হয় ওই সময় আমাদের বাড়ির কাজ চলছিল পারিবারিক চাচাদের সাথে কলহ ছিল
আমদের বাড়ির পাশে ব্রহ্মপুত্র নদী আছে নদীর বাঁধ ভেঙে যায় পানি আসে সারারাত পানিতে কাটিয়েছি ঘর ভেঙে পড়েছিল আমার চাচ ঘর বিল্ডিং পানি উঠে নাই বা খতি হয়নি কিন্তু উনি আমাদের খুজ নেননি সারারাত আমরা কি করছি বা বেচে আছি নাকি ,,
আমার বাবা বিজনেস করেন তাই তখন ঢাকা ছিলেন
আমি আম্মু আর ছোট দুই ভাই খুব ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয় চারদিক শুধু পানি পানি ধান চাল সব ভেসে যাচ্ছে দেখছি ✍️✍️ আম্মু আমাদের নিয়ে বেচে থাকার লড়াই করছে আমি আম্মুর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখছি কি যেন এক আকুতি আল্লাহর কাছে তার সন্তানদের জন্য ✍️✍️
যাই হউক আমদের রাত কাটে দিনে উঠে বাজারে যাই আব্বুকে কল করি আমদের মোবাইল টা পানিতে ভেসে জাই তাই দোকান থেকে কলে আব্বুর সাথে কথা বলি আব্বু কারোর সাথে কথা বলেনি আমাকে চাইছে আব্বু আমাকে জিজ্ঞেস করে তুমি কি চাও তাই হবে বাড়ি থাকবা নাকি ঢাকা চলে আসবা আমার ভিতর রাত থেকে খুব কাজ করছিল ঘৃন্যা চাচার প্রতি তাই আমি বল্লাম না থাকবো না ঢাকা যাব তারপর আমাদের নিয়ে ঢাকার প্রস্তুতি শুরু হল কিন্তু আব্বু আমাকে আরেকটা কথা বলেছিল ঢাকা আসলে কাজ করে খেতে হবে এইখানে কাজের লোক পাবা না আর আমি পড়াশুনা করাতে পারবো না সিদ্ধান্ত তোমার গনিতে পাকা ছিলাম তখনি অংক টা করে ফেলি মাসে ৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবো বাবাকে বলি ঠিক আছে রাজি আছি যেদিন বাড়ি ছেড়ে আসছিলাম কোলা টা আমার হাতে ছিল নিজের সাথে৷ প্রতিজ্ঞা করেছিলাম এই বাড়ি একদিন কিনে নিবো✍️
কিন্তু ঢাকা আসার পর আমাদের স্কুল নিয়ে গেল আব্বু ভর্তি করানোর জন্য এডমিট হলাম বাসায় আসতেছিলাম আব্বু আমি আর ছোট ভাই আমরা দুই ভাই দুই বোন বড় বোন বিবাহিত আর আমি মেজো আর ছোট ভাই দের বছরের ছোট আমি জখন ক্লাস ফাইভে পড়ি ফোরে পড়ে পাশাপাশি আব্বু কে জিজ্ঞেস করলাম তুমি না বল্লা আমাদের পড়াশুনা করাবা না ত এখন ভর্তি করালাই কেন আব্বু উত্তর দিয়েছেন আমি তোমাকে আলাদা ভাবতাম তাই দেখলাম কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেকে দার করাতে পার নাকি ভেজ্ঞে পরো আমি অভাক এই কথা টা আমার জীবন বহুবার শুনেছি স্যার মেমদের পাড়াপ্রতিবেশি থেকে আমার ভিতর কি আছে একদিন অনেক বড় হব সবাই বলত তবে কথাটার মানে বুঝতে পারিনি
ফ্যামিলি চলছে তাদের মতো বাট আমার নেশা সেই ৯/ ১০ বছরের বয়সে কাজ করা আর কি কাজ করবো খুজতে থাকি কারণ বড়ো হতে হবে অয় বাড়ি কিনবো চাচার দম্ব ভাঙবো সেলাই মেশিনের কাজ শিখবো বাসায় বলি আব্বু রাজি হয়নি এই ভাবে নাইনে উঠি
একদিন হাত খরচের টাকা নিয়ে ছোট ভাই আর আমার মাঝে জগরা হয় আমি মেয়ে আমাকে এতো টাকা দিতে হবে কেন ছেলেদের টাকা লাগে বেশি মেয়েদের লাগে না টাকা আমাদের প্রতি মাসে পাচ হাজার করে টাকা দিত আব্বু কিন্তু আমি এই টাকা সব খরচ করতাম না মাটির ব্যাংক জমা করতাম ত ভাইয়ের সাথে রাগ করে চাকরি নেই গার্মেন্টস হেল্পার হিসাবে এক আপুর মাধ্যমে কাজ যানিনা বুজি না কিন্তু অনেক মানুষ দেখে ভালো লাগছিল আর সবাই খুব হেল্প করছিল আমি কাজের ফাকে কাটিন সেকশন থেকে শুরু করে ফিনিশিং লেভেল বায়ার ইত্যাদি কাজ শিখা শুরু করি ৩ মাস চাকরি করি
তারপর বের হয়ে নিজে একটা ফেক্টরি দেই টি-শার্ট পলো শার্ট ডিনিম প্যান্ট তেরি করি আল্লাহ রহমতে বায়ার পাই ২ বছর ভালো চলছিল ফেইসবুক ইউস করতে শুরু করলাম এক ব্যবাসায়ির সাথে পরিচয় হয় রনিমল্লিক ফ্যাশন হাউস বুটিস্কের কাজ কাজ করে আমি তার কাজ দেখে শিখার আগ্রহ করি আমার আগ্রহ দেখে বল্লেন আসেন আমি জখন গেলাম দেখে রীতিমতো অভাক এই ছোট মেয়ে বিজনেস করে আবার বুটিস্কের কাজ শিখতে চাই জাই হউক কাজ শিখলাম ৯ মাস কাজ করলাম আমার ফ্যাক্টোরিতে সয়ময় দেওয়ার পরেও আমি সেইখানে এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা ইনকাম করি বুটিস্কের কাজ কিন্তু যারা করে তাদের কারিগর বলে আর কন্টাকে করে এম পিস কামিজ সেলাই করলে ১২০ টাকা দিতো বা আমি এখনো দেই কারিগর কে
তাই আগের বিজনেস সাথে এটাও এড করি খুব ভালো চলছিল এই বিজনেস করা নিয়ে ফ্যামিলি সাথে মনমালিন্ন্য চলছিল তারা চাই না আমি আন সিকিউর লাইফের যাই৷ তারা চেয়েছেন পড়াশুনা শেষ করে চাকরি করি সরকারি বা প্রাইভেট ভালো একটা জব বাট আমি চলেগেছি ভিন্ন কাজে এই নিয়ে একি ছাদের নিচে থেকে আলাদা কস্ট ছিল এইটা অনেক
বাবার কাছ থেকে বিজনেস জন্য ৫ লাখ টাকা নিয়েছিলাম সেটা প্রফিট ১ বছরের মধ্যে ফেরত দেই বাবাকে তাই আর বেশি কিছু বলতনা
অয় খানে কাজ করে যে টাকা পেয়েছিলাম আর ব্যবাসা লাভ দিয়ে বুটিস্ক এড করলাম ৪৬০ জন কারিগর ছিলো ফ্যাক্টরি ছিল ভালো চলছিল
আমার পড়াশোনা চলছিল এইসসি শেষ করলাম ব্যবাসা বয়স চার বছর জিএম ছিল খুব বিশ্বাস করতাম আমার ১২ লাখ টাকার মতো কেশ হল
একদিন জি এম বল্লো আমরা যে ফ্যাব্রিক্স কিনি চাইনা থেকে আনি ত ভালো হয় দাম কম পরবে তাই ভেবে চিন্তা করে বল্লাম ঠিক আছে তাকে টাকা দিলাম ৮ লাখের মতো সে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়
খুজার পর পেলাম জি এম ওয়াইফ অসুস্থ লিভার ট্রান্সলেশন করাতে টাকা লাগবে তাই এই টাকা দিয়ে সে চিকিৎসা করার জন্য ইন্ডিয়া চলেগেছে
কি আর করার আমার মাথায় হাত অনেক কস্টে নিজেকে বুজিয়েছি যে এইটাকা অনার ভাজ্ঞে ছিলো তাই চলেগেছে কিন্তু আমার ২ টা বিজনেস পরিচালনা করতে হিম শিম খেতে হয়েছে আর না পেরে বন্ধ করতে হয় বিজনেস মানুষিক ভাবে ভেজ্ঞে পড়েছিলাম
২ বছর সময় নিলাম নিজেকে গুছিয়ে নিলাম শক্তি সাহস আর সিদ্ধান্ত আমি সবসময় অটুট ছিলাম আমার লাইফের প্রতি টা সিদ্ধান্ত আমি নিজে নেই বাবার ইচ্চা ছিল চাকরি করার সরকারি সেটা করলাম ছয়মাস তারপর ছেড়ে দিলাম বিজনেস আবার শুরু করছি ফ্যাক্টরি নিবো কথা চলছে শোরোম দেওয়ার চিন্তা করছি ঈদ টা শেষ হলে নিবো জদি বেচে থাকি
অবশেষে বুঝতে পারছি আমার ভুল টা কোথায় ছিল আমার চনচলতা আমার আরও গম্ভির হওয়া উচিত ছিলো তবে আমি হ্যাপি স্যার আমার লাইফের আফসোস নেই আমি জা চেয়েছি তা করেছি আমি খুসি আমার লাইফে সবকিছু নিয়ে
তবে এই প্লাটফর্ম টা আগে পেলে এতো কিছু হতো না এখন যে গাইড লাইন পাচ্ছি তা পেলে আরও অনেক এগিয়ে যেতে পারতাম
আমার প্রতিজ্ঞা ছিল যে আমার অই বাড়ি কিনবো সেটার কিনার মতো খমতা আছে এখন কিন্তু তা করিনি আব্বু র কথায় ক্ষমা করে দিয়েছি
জীবনে হার জিত থাকবে লড়াই টা জদি সমান সমান ব্যাক্তি সাথে হয় হারলেও অনেক কিছু শিখা যাই জিতলেও অভিজ্ঞতা টেকনিক জানা জাই
তাই লড়াই করার আগে জেনে নিয়ো কার সাথে নামছো বোকার সাথে সময় নস্ট করে লাভ নেই জিতেলই লস
সেলুট জানাই স্যার আপনাকে আপনি হাজারো মানুষের জীবন পাল্টে দিয়েছেন আপনার এই মহত উদ্যোগ জন্য মানুষের বিবেক বুদ্ধি বদলাচ্চে যা চলতি সমাজের জন্য প্রোয়জন
🌻🌻🌻🌻🌻ধন্যবাদ জানাচ্ছি অন্তর থেকে সুকরিয়া আল্লাহ আপনার সুস্থতা সার্বিকভাবে দান করোক সস্মান অটুট থাকুক পৃথীবির বুকে চিরদিন উজ্জ্বল হয়ে থাকবে সেই সাথে আমাদের বুকে প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার 🌻🌻🌻
আমি আমার পরিবারকে ফিরে পেয়েছি আপনার ভিডিও দেখে একটা ভিডিও তে ছিলো এমন যে নিজের ফ্যামিলি কে কনভিন্স না করতে পারলে কাস্টমার কে কিভাবে করবে তারপর শুরু হয়ে গেলো এখন আমার পরিবার সাথে আছে
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৬৭
তারিখ - ২০/০৩/২০২২
Asma Islam Mou
ফ্যাশন ডিজাইনার
উদ্যোগতা
স্টুডেন্ট
ব্যাচ ১৬
রেজিষ্ট্রেশন ৮২০০১
জেলা ময়মনসিংহ
লিভ ইন ঢাকা মিরপুর
কাজ করছি
গাউন
লেহেঙ্গা
কুটি বিয়ের ড্রেস নিয়ে
প্লাজু হোলসেল করে থাকি
আমার পেইজ
Blossom dream