এ যেন স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার দিন, এ যেন স্বপ্নের বীজ রোপণের দিন ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
🟢 আমার জীবনের গল্প 🟢
আমি সোনিয়া সারমিন, হাজির হয়েছি আমার সুখ- দুঃখ ,হাসি--কান্নার "গল্প" নিয়ে ।
শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি, সৃষ্টিকর্তার কাছে এই অসুস্থ পৃথিবীতে এখনো আমাদেরকে সুস্থতার সহিত লালন করার জন্য।
আমি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আমার মা বাবার প্রতি যাদের আদর ভালোবাসায় সুন্দর এ পৃথিবীতে আমার পদার্পণ।
আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, জীবন্ত কিংবদন্তী "ভালোবাসা" কে শক্তিতে রূপান্তরিত করার প্রবক্তা জনাব, মোঃ ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি, যার ইচ্ছা ও প্রচেষ্টায় এত সুন্দর একটি ভালোবাসার প্ল্যাটফর্ম উপহার হিসেবে পেয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ্
আশা করছি সবাই ভালো আছেন।
আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।
👇 আমার জীবনের গল্প শুরু 👇
প্রতিটি জীবনের গল্পই প্রায় একই রকম।
জন্ম - মৃত্যু, প্রেম, বিয়ে সংসার লেখাপড়া, স্বপ্ন ইত্যাদি বিষয়গুলো জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পার্ট বা অংশ বিশেষ।
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ পার্টগুলো আমাদের জীবনে অসাধারণ কিছু মুহূর্তের সৃষ্টি করে। সম্পর্ক তৈরি হয় কিছু সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনা, চরাই উতরাইয়ের সাথে।
জীবনের এই বিভিন্ন ধাপে ধাপে যারা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে , বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেও সামনে এগিয়ে যেতে পেরেছে তারা সুখী মানুষ। আর যারা কোন প্রকার চেষ্টা না করে থেমে গেছে তারা হয়তো দুঃখী মানুষের দলে।
আমি সুখী মানুষের দলে।
জীবনের আরো অনেক টা পথ পাড়ি দেওয়া বাকি।সে পথ যেমন ই হোক না কেন আমি প্রস্তুত সাদরে গ্রহণ করার জন্য।
👉 আমার জন্ম 👈
১৯৯৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর। নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলা অধীনস্থ হাটুভাঙ্গা গ্রামে।
আমার বাবা: মোঃ মিজানুর রহমান (৫৫)
আমার মা: রৌশনারা বেগম (৪৫)
আমি আমার বাবা মায়ের পাঁচ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। আমরা চার বোন এক ভাই।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আমরা চার বোন বা আমার বাবা মায়ের চার কন্যা সন্তান হওয়াতে আমার বাবা-মায়ের কোন দুঃখ না থাকলেও আত্মীয়স্বজন বা পাড়া-প্রতিবেশীদের যে এ নিয়ে দুঃখবোধের অন্ত ছিলোনা তাহা বড় হওয়ার সাথে সাথে উপলব্ধি করতে পেরেছি।
"মায়ের থেকে মাসির দরদ একটু বেশি", এ প্রবাদ এখানে প্রযোজ্য।
যদিওবা এক্ষেত্রে, আমার বিশেষ দুঃখ পাওয়ার মতো কিছুই ছিল না।
🌱 আমার শৈশব ও কৈশোর 🌱
আমার শৈশব মানে শীত ভোর, কুয়াশার চাদরে মোড়া। টিনের চালে সারা রাত শিশিরের টুপটাপ শব্দের আবরণ।
আমার কৈশোর মানে সকালের মিষ্টি রোদে মাদুর পেতে ক্লাসের পড়া শেষ করা ,দল বেঁধে ভাত খাওয়া।
আমার শৈশবে রয়েছে, কুমির ডাঙ্গা, লুকোচুরি, কানামাছি, বৌ দৌড়, এক্কাদোক্কা, চড়ুইভাতি, আরও নানা মজার খেলার স্মৃতি।
সে গল্প না হয় অন্য কোন দিন শুনাবো।
🎯ছোট বেলার আমার ইচ্ছে ছিলো উকিল হবো।
✒️ আমার শিক্ষা জীবন 🖊️
যদিও বা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার একটা অংশ এখনো বাকি রয়েছে আমার।
প্রাথমিক শিক্ষা:(২০০১-২০০৫)
হাটুভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
মাধ্যমিক শিক্ষা:(২০০৬ -২০১১)
ইসলামপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা:(২০১১-২০১৩)
আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
গ্রেজুয়েশন: (২০১৩-২০১৭)
বি.এ পাস কোর্স
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
পোস্ট গ্রাজুয়েশন:( চলমান)
রাষ্ট্র বিজ্ঞান
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
🎯 জীবনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যঃ একজন ভালো ও সফল মানুষ হওয়া।
"নিজের বলার মত একটা গল্প" তৈরি করা।।
🌻শখঃ গান করা, লেখালেখি করা, ভ্রমণ করা।
❤️ ভালোলাগার কাজঃ সুন্দর করে কথা বলা,বই পড়া।
🤔অপছন্দের কাজঃ সকাল বেলা ঘুম থেকে ওঠা, মিথ্যা কথা বলা।
🖍️পছন্দের লেখকঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
কাজী নজরুল ইসলাম।
শামসুর রাহমান।
মোঃ জাফর ইকবাল।
প্রিয় লেখকঃ হুমায়ূন আহমেদ।
❤️ আমার ভালোবাসার মানুষ ❤️
আমার নিজের পরিবারের সবাই।
নিজের বলার মত একটা গল্প
ফাউন্ডেশনের সবাই।
🟢 প্রিয় ব্যক্তিত্বঃ আমার বাবা।
বাবার কর্মজীবন দীর্ঘ ১৩ বছরের প্রবাস জীবন থেকে মুক্ত হয়ে মাস তিনেক হলো দেশে অবস্থান করছেন।
🥲 আমার জীবনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনা যা এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, যে সময়টুকু আমাকে জীবন থেকে ছিটকে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে দিয়েছে👇
গল্পের শুরু ২০১৩ সাল,ঐ বছর আমি এইচ.এস.সি. পরীক্ষার্থী।
সম্ভাব্য মাস মে মাস আমার পরীক্ষার বেশ কয়েকটি অতিবাহিত করে ফেলেছি।
আমার পরীক্ষার কেন্দ্রটি আমাদের বাড়ি থেকে বেশ দূরে হওয়াতে আমরা চার বান্ধবী মিলে আমাদের এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করি ।
তাদের বাসায় দু-তলাতে চারটি রুম ফাঁকা থাকায় আমাদের সেখানে থাকতে কোন অসুবিধা হয়নি।
এমতাবস্থায় এক সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসে ।
আমার মা আমার মতামতের অপেক্ষা না করে তাদের আমাদের বাড়িতে আসতে বলে।
যেহেতু ,আমি পরিক্ষা দেওয়ার জন্য শহরে অবস্থান করছিলাম। বাড়িতে ছিলাম না আমার এক বান্ধবীর মাধ্যমে আমাকে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করে।
যথানিয়মে মায়ের সাথে এই বিষয়টা নিয়ে আমার তর্ক বিতর্ক হয়, রাগারাগি হয়। আমি বিয়ে করবো না বলে মাকে জানিয়ে দেই। আমার মা আমাকে বুঝানোর জন্য বিভিন্ন যুক্তি তর্ক দাঁড় করাতে থাকে।
যেমন কাউকে দেখতে আসছে মানেই বিয়ে হয়ে যাওয়া না। বাড়িতে বিয়ের উপযুক্ত কন্যা সন্তান থাকলে তার জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতেই পারে।
সেখানে বিয়ে দেবো না বলে, না করে দেওয়াটা অসম্মানজনক কাজ।
কি আর করা!
বাবা মায়ের সম্মান রক্ষা করার জন্য রাজি হয়ে গেলাম।
পরীক্ষার মাঝের বিরতিতে একদিন সেজেগুজে পাত্রপক্ষের সামনে বসলাম।
পরবর্তী পরীক্ষার জন্য আমি আবার শহরে চলে আসলাম।
তার মধ্যে দুই পক্ষের দেখাদেখিতে কথাবার্তায় আলাপচারিতায় বিয়ের পাকা দেখা অব্দি কথাবার্তা এগিয়েও গেল। তখন নিজের মধ্যে একটা অভিমান কাজ করলো। নিজের প্রতি এক প্রকার রাগ হতে শুরু করলো।
আমি নিজেকে মূল্যহীন ভাবতে শুরু করলাম। বাবা-মায়ের কাছে হয়তো আমার কথার কোন মূল্যও নেই, গুরুত্বও নেই যদি গুরুত্ব থাকতই তাহলে তারা আমার একটা পরীক্ষার মাঝখানে এমন কাজ কিভাবে শুরু করল?
এসব বিষয়ের জন্য যে আমার পরীক্ষায় কোনরকম ইফেক্ট পরতে পারে তা তারা জানেন। তারপরও কীভাবে আমার সাথে এমনটা করছে?
রাগে অভিমানে সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিলাম যে বিয়েটা করে নেব, এতে আমার বাবা-মায়ের দায়মুক্তির একটা জায়গা তৈরি হবে।
তারপর ২০/২৫ জন মানুষের উপস্থিতিতে এক মুরুব্বি দাদা আমার হাতে একটা সোনার আংটি পরিয়ে দিলো। বিয়ের তারিখ নির্ধারণ হয়ে গেলো ঐদিন থেকে কাছাকাছি এক শুক্রবারে।
বিয়ের আমেজে তৈরি হয়ে গেলো সারা বাড়িতে আত্নীয় স্বজনদের দাওয়াত দেওয়া হয়ে গেল । বিয়ের কেনাকাটা শুরু, হৈ হৈ রৈ রৈ অবস্থা যাকে বলে।
📌বিয়ের আর মাত্র একদিন বাকি।
বৃহস্পতিবার দিন প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল সেই দিন। ঘর থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ ছিলো না। তারপরও বাড়ির আদরের মেয়ের বিয়ে বলে কথা ,কেউ বসে নেই সবাই যার যার জায়গা থেকে কাজ করে যাচ্ছে।
হঠাৎ একটা কল আসলো আমার কাকার কাছে, কল টি ছিলো আমার ভগ্নি পতির (দুলা ভাইয়ের)। তিনি যা বলেছিলেন তাঁর জন্য কেউ প্রস্তুত ছিলোনা। বিশাল একটা ধাক্কা খেলো আমার পরিবার।
আমার যে ছেলেটির সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছিল । সে ছেলেটি পূর্বে বিবাহিত ছিলেন। বছর খানেক আগে তার বিয়ে হয়েছিল কিন্তু সে বিয়ে টির স্থায়িত্ব হয়েছিল মাত্র সপ্তাহ খানেক। কিন্তু ছেলে পক্ষ বিষয়টি আমাদের কাছে গোপন করে গিয়েছেন।
বিয়ে বাড়ি শোকের বাড়িতে পরিণত হয়ে গেল।
হৈ হৈ রৈ রৈ অবস্থা থমকে গেলো। অল্প কিছু সময়ের ব্যবধানে।
নিজ দায়িত্বে বিয়েটা ভেঙ্গে দিল আমার পরিবার।
ছেলের পক্ষ থেকে যদিওবা ক্ষমা চেয়ে অনেক কাকুতি-মিনতি করা হয়েছিল, বিয়েটা কনটিনিউ করার জন্য। কিন্তু আমার পরিবার তাদের কথা শুনতে নারাজ। বিয়েটা ভেঙ্গে দিলো।
তারপর মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ের বিয়ের সকল আয়োজন কমপ্লিট হওয়ার পরে বিয়ে ভেঙে গেলে কি কি প্রবলেম ফেস করতে হয় সেটা আপনাদের অনেকেরই জানা।
তবে আমি কিছুটা খুশিই হয়েছিলাম। বিয়েটা ভেঙ্গে গিয়েছিল বলে নয়, বিয়েটা করতে হয়নি বলে।
যদিওবা ঘটনাটি অনেক দিন আগের,
এখনো অবধি এ বিষয়ে আমি তিন ধরনের মন্তব্য পাই।
যারা আমার খুব কাছের মানুষ তারা জানেন কেন বিয়েটা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল।
আবার কেউ কেউ জানে বিয়েটা আমি ভেঙ্গে দিয়েছিলাম। আমার অন্য কারো সাথে সম্পর্ক ছিল। আবার এক দল জানে আমার বিয়েটা হয়ে গিয়েছে আর আমি শশুর বাড়িতেই থাকি।
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর পাড়া প্রতিবেশীর বিভিন্ন রকম কথা , বিভিন্ন সময়ে করা কটুক্তি গুলো আমাকে খুব কষ্ট দিত। একটা সময় পরিবারের উপর রাগ হতো কিন্তু প্রকাশ করতাম না।
পরবর্তীতে আমার পরিবার আমাকে বুঝিয়েছে যে আমার সাথে যেটা হয়েছে সেটা খুবই সামান্য ঘটনা। এতে আমার বা আমার পরিবারের কোনো হাত নেই। তারা সবসময় আমার পাশে থেকেছে ।
আমিও আমার পরিবারের উপর সরাসরি কোনো অভিযোগ করিনি। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম কিছু একটা করতে হবে আমাকে যাতে করে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে পারি। এ বিষয়গুলো যাতে ভুলে যেতে পারি। আর এই সকল বিষয় ভুলে যাওয়ার জন্যই আমি বেঁচে নিলাম কর্মজীবন।
🌿 আমার কর্ম জীবন 🌿
গাজীপুর আমার (কাজিন) বড় বোন। ওর পরিবার চাকরির সুবাদে এখানে থাকে ।
আপুর বাসায় বেড়াতে আসলাম এবং আমার ভগ্নিপতি (দুলাভাই ) একটি হাসপাতালে চাকরী করতো । একদিন বিকেলে তার হাসপাতাল ঘুরে দেখবো বলে আসলাম, দেখলাম, চলেও গেলাম।
তার কিছু দিন পর দুলাভাই একদিন কল দিয়ে জানতে চাইলো আমি চাকরি করতে আগ্রহী কি না। হসপিটাল এ তখন একজন রিসিপশনিস্ট প্রয়োজন ছিল। আর চাইলেই আমি সে জায়গাটাতে জয়েন্ট করতে পারি।
সোনায় সোহাগা আমি এ সুযোগটি লুফে নিলাম। মা কিছুটা দ্বিমত পোষণ করলেও বাবা প্রচুর সাপোর্ট করেছিল তখন।
মাত্র ৩৫০০/-টাকা বেতনের চাকরিটা নিয়ে নিলাম। প্রায় কয়েক মাস চলার জন্য বাড়ি থেকেও বেশ কিছু টাকা আনতে হয়।
কারণ ঐ টাকাটা আমার থাকা-খাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিলনা।
আমার কর্ম দক্ষতা দেখে দায়িত্বশীল গণ মাত্র চার মাসের মধ্যে আমার সেলারি ডাবল টাকা করে দেন। আর এখন বর্তমানে অনেক অভিজ্ঞতা ও কর্মদক্ষতা হয়েছে যে কারণে আলহামদুলিল্লাহ্ বেশ ভালই সেলারি পাচ্ছি ও খুবই স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করছি এবং এখন আমি আমার নিজের খরচসহ আমার নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট বোনের যাবতীয় খরচ আমি বহন করি ইনশা আল্লাহ্।
চাকরির পাশাপাশি আমি স্বপ্ন দেখি একজন উদ্যোক্তা হওয়ার
🔴 আমার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প 🔴
২০১৭ইং সালের মাঝামাঝি সময়ে গিয়ে মনে হলো ছোট বেলার সেই চার বোন, বাবার বড় কোনো ছেলে না থাকার জন্য প্রতিবেশীদের তিরস্কারের কথাগুলো।
আসলেই তো আমাদের বড় কোনো ভাই নেই ।
বাবা প্রবাস জীবন শেষ করে বৃদ্ধ বয়সে এসেও কোথায় দাঁড়াবে? কে দেখবে আমার বাবা মা কে? আমাকে তাদের জন্য কিছু করতেই হবে।
যাতে করে তাদের শেষ বয়সে এসে বড় ছেলে না থাকার দুঃখটা কোনদিন না করতে হয়।
একটা ব্যবসা করবো বলে আমি চিন্তা করেছি রেস্টুরেন্ট না হয় হসপিটাল।
যেমন কথা তেমন কাজ, বেশ কয়েক জনের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম যে, রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করবো ।
আমি যে হাসপাতালে জব করতাম সে হাসপাতালে দুই জন এমডি সহ তিনজন যৌথভাবে একটা রেস্টুরেন্ট ২০১৮ইং সালের ৫ নভেম্বর উদ্বোধন করে নিলাম।
শুরুর দিকে খুব ভাল ছিল ব্যবসা তার পর শুরু হলো মহামারী করোনা ২০২০ইং। থমকে গেল সব কিছু সাথে আমাদের রেস্টুরেন্ট। করোনা মহামারী কিছুটা কমে গেলে ২০২১ সালে আবার শুরু করলাম।
সমস্যা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবার দ্বিতীয়বার করোনার আবির্ভাব।
আর উঠে দাঁড়াতেই পারলোনা আমার প্রতিষ্ঠান।
আর এই ছোট ছোট সমস্যাগুলো আমাদের পার্টনারশিপ এর মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করতে থাকলো।
আমি বুঝতে পারলাম, আর আস্তে আস্তে সরে আসার প্ল্যান করলাম।
অনেক বেশি ক্ষতি হওয়ার আগেই অল্প ক্ষতি স্বীকার করে চলে আসলাম।
এখনো পুরোপুরি টাকাটা পাইনি তবে পেয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ্।
রেস্টুরেন্টে প্রায় আমি ইনভেস্ট করেছিলাম তিন দফায় ৯ লক্ষ+ টাকা। এখন রিটার্ন পেলাম কত সেটা অন্য কোনো গল্পে না হয় বলবো।
🌹আমাদের সকলের প্রিয় প্ল্যাটফর্ম
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়ার গল্প👇
২০২০ইং সালের অক্টোবর মাস ১১ তম ব্যাচে শেষের দিকে প্রায়।
ফেসবুক নিউজ ফিডে একটা পোস্ট দেখতে পেলাম। আমি আগ্রহ নিয়ে পড়তে শুরু করলাম।
পোস্টটি পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে, যে কারনে আমার মাঝে কৌতুহলের সৃষ্টি হয় এবং আমি তখন পোষ্টের কমেন্ট বক্স চেক করলাম একজন ভাইয়ার কমেন্ট আমার অনেক ভালো লাগলো তাই আমি উনাকে নক করলাম।
তিনি আমাদের সবার প্রিয় গাজীপুর জেলার গর্ব ও এন আর বি কুয়েত কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর:- Roni Gomes দাদা।
ভাইয়া আমাকে রিপ্লাই করেন ও এই গ্রুপ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে অবগত করেন ।
এবং গ্রুপে রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কিত সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করেন।
এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের সমস্যা হলে ভাইয়াকে নক করলে তার সাধ্যমতো চেষ্টা করেন।
ভাইয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
প্রিয় প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার পর অনেক ভালো মনের অধিকারী ভাই ও বোনদের সাথে পরিচিত হই ,দিনে দিনে প্ল্যাটফর্মের প্রতি আমার ভালোবাসা বাড়তে থাকে, এবং আমাদের নিজের বলার মত একটা গল্প প্ল্যাটফর্মের প্রেমে পড়ে যাই, স্যারের দেওয়া সেশন গুলি প্রতিদিন মনোযোগ সহকারে পড়ি ও অতন্দ্র গাজীপুর জেলার সেশন চর্চা ক্লাসে যুক্ত হয়ে সেশন গুলি চর্চা করি।
গ্রুপের সকল প্রিয় ভাইয়া-আপুদের কাছে চির কৃতজ্ঞ, যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমাকে অনুপ্রেরণা যোগানোর চেষ্টা করছেন।
🌏১২ই মার্চ চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও মহাসম্মেলনের অসাধারণ কিছু অনুভূতি যা আমার জীবনের গল্পের সাথে যুক্ত না করলে মনে হচ্ছে গল্পটা অপরিপূর্ণ থেকে যাবে তাই একটু শেয়ার করছি।
এ যেন স্বপ্ন ছুঁয়ে দেখার দিন,
এ যেন স্বপ্নের বীজ রোপণের দিন ।
"একজন স্বপ্নবাজের দিকনির্দেশনায়"
একঝাঁক উদীয়মান নক্ষত্র এর উপস্থিতিতে মুখরিত ছিল মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়াম। দেখা হয়ে গেল কল্পনার কিছু সফল তারকাদের সাথে। যারা বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য দিয়ে উৎসাহিত করে তোলে আমাদের মতো তরুণ উদ্যোক্তাদের।
উক্ত মহাসম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আপনারা না থাকলে হয়তোবা এত সুন্দর প্রোগ্রাম দেখার সৌভাগ্য আমাদের হতোই না এবং প্রোগ্রামটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো না।
উক্ত প্রোগ্রাম থেকে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই অভিজ্ঞতা আমার পরবর্তী জীবনে অনেক কাজে লাগবে বলে আমি আশাবাদী।
আশা করছি ভবিষ্যতে আরও সফল ভাবে এগিয়ে যাবে আমাদের নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন।
👉সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমার বাবা মায়ের জন্য দোয়া করবেন।
আমার জীবনের গল্পটি পড়ে আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।
আমার লেখার ভুল ত্রুটিগুলো ক্ষমা ও সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ।
আপনাদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা
রইলো।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৬৭
তারিখ- ২০-০৩-২০২২
************
আমি সোনিয়া সারমিন
ব্যাচ: ১২ তম
রেজিস্ট্রেশন: ৩৬৪২৪
নিজ জেলা: নরসিংদী।
বর্তমান অবস্থান:গাজীপুর সদর।
২৪/৭ লাইভ সাপোর্ট টিম মেম্বার।
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন।