জীবনের গল্প আসলে গল্পই জীবনে থাকে সুখ দুঃখ হতাশা, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি, আদান প্রদান, শান্তি অশান্তীতে এক নিরব সংগ্রামের নাম জীবন।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমতুল্লাহ
আমার জীবনের গল্প
লিখলাম অল্প
শুরুতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আলীশান বারে গাহে অশেষ শোকরীয়া যে মহান আল্লাহ আমাদের কে সুন্দর সুস্হ ও সুখে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি লাখো দরুদ সালাম জানাচ্ছি যিনি না হলে কুল কায়েনাতের কোন সৃষ্টি আল্লাহ সৃষ্টি করতেন না।
আমাদের প্রিয় ""মা"" বাবা"" মুরুব্বিদের স্মরণ করছি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি জীবনে আজকের এই গল্প লিখার স্পৃহা যার যার মাধ্যমে আমার হৃদয়ে জাগ্রত হলো সে ঐ মহান ব্যাক্তি যাকে আমি বলি মানুষ গড়ার কারিগর বাংলার এক গর্বিত মায়ের কৃতি সন্তান বিনা পারিশ্রমিকে যিনি লাখো যুবক যুবতি তরুন তরুনী ও স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী দের শিখিয়ে যাচ্ছেন জীবনে ঘুরে দাড়ানোর মহা মন্ত্র অসহায় হতাশা গ্রস্হ মানুষের মাঝে করছে প্রান সঞ্চালন ও বেছে থাকার স্বপ্ন দৃঢতার প্রমান রেখেছে সেই প্রিয় মেন্টর জনাব মুহাম্মদ Iqbal Bahar Zahid স্যারের।
প্রিয় মেন্টর জনাব মুহাম্মদ Iqbal Bahar Zahid স্যার
এর প্রতিষ্ঠিত "নিজের মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" এর গর্বিত সদস্য হয়ে নিয়মিত সেশন চর্চা ক্লাসে উপস্থিত থেকে এবং প্রিয় স্যারের ইউটিউব চ্যানেল বিভিন্ন ভিডিও দেখে আমার জীবনের গল্প টা লিখতে সাহস পেয়েছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রিয় স্যার কে হায়াতে অসংখ্য বরকত দান করুক।
আমার জীবনের গল্প
জীবনের গল্প আসলে গল্পই জীবনে থাকে সুখ দুঃখ হতাশা, প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি, আদান প্রদান, শান্তি অশান্তীতে এক নিরব সংগ্রামের নাম জীবন।
আমার জীবনটা ও তাই কক্সবাজার জেলার ঈদগাও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে আমি জন্ম গ্রহন করি।
আব্বা ছিল পেশায় একজন কৃষক আম্মাজান ছিল গৃহিণী আমরা ছিলাম চার ভাই পাঁচ বোন আমি ছিলাম সবার বড়।
আমার আব্বার জায়গা জমি ছিল চাষাবাদ করে কোন রখমে পরিবারের খোরাগ চলত একটু সুন্দর আরাম আয়েশ ফুর্তি ও বাড়তি আনন্দ ছিলনা পরিবারে। এক সময় আব্বাও একটু সুখের আসায় পারি জমান সৌদি আরব প্রবাসী হয়ে যান।
এক সময় আব্বা দুর্বল হয়ে পড়েন তেমন প্রবাস জীবনে সফল হতে পারে নাই।
আব্বার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাকে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন কোন রখমে কষ্ট করে আমি প্রাইমারি শিক্ষা শেষ করি। পরিবারের দুঃখ দুর্দশা বরণ পোষণে পারিবারিক খরছে হিম সিম খেতে দেখে আমি নীজেকে সামলাতে পারতাম না। আমার মাঝে পরিবারের হাল ধরার উৎসাহ জাগে আব্বার কষ্ট আমাকে দারুণ ব্যাথা দিতে থাকে আমি ইচ্ছা করি আমাকে কিছু করতেই হবে।
অভাব অনটন আব্বার সংসার চালাতে অপারগতায় আমাকে চাড়তে হয় লিখা পড়া আমি ১৪/১৫ বছর বয়সে লিখা পড়া ছেড়ে বিভিন্ন কাজ কামে মনোযোগ দিলাম
গ্রামে যপ কোন কাজ পেলেই আমি করতাম। কোন কাজ কে আমি কখনো ছোট মনে করি নাই যখন যেই কাজ আমি সামনে পেয়েছি সেই কাজ আমি ভালবেসে করেছি। ৯টা ৫টা কখনো চিন্তা করি নাই এই অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমি কিছু টাকা সঞ্চয় করি পাশা পাশি আব্বা সৌদি প্রবাসী এক প্রতিবেশী থেকে কিছু টাকা দার নিয়ে আমার বিদেশের ভিসার টাকা জোগাড় হয়।
১৭ বছর বয়সে ১৯৯২ সালে আমি আম্মা আব্বার দোয়া নিয়ে জীবনের তাগিদে "মা" বাবা" ভাই বোনদের বাড়তি একটু সুখের আসায় সৌদি আরব চলে আসি।
সৌদি আরব এসে বিদেশের জমিনে ও নীজেকে একটা মিনিট অলসতায় কাটাতে দি নাই নিজের মাঝে দৃঢ সংকল্প ছিল আমাকে মানুষের মতো মানুষ হতেই হবে। আমার চোখের সামনে আমার আব্বা কাজ করাটা আমার সহ্য হতোনা আব্বার পরিশ্রম আমার হৃদয়ে জন্ত্রনা বাড়াতো অধিক তাই আমি কঠোরতম থেকে কঠোর পরিশ্রমী হয়ে উটি।
যে কোন কাজ ছিল আমার কাছে প্রিয় আল্লাহর অষিম রহমতে আমার "মা" বাবার" দেয়ায় আমি দিন দিন উপার্জনে এগিয়ে যাচ্ছি এভাবে দেড় বছর পর আমার আব্বা কে আমি দেশে পাটিয়ে দিই।
এবং আমার কাজে আমি আরো মনযোগি হয়ে রোজগার করতেছি প্রচুর এভাবে কষ্টে অর্জিত আয় দিয়ে পরিবার এর মা বাবা ভাই বোন সকলের বরণ পোষণ করে কিছু কিছু ঋন শোধ করতেছি এভাবে আট বছর শেষ করে দিলাম জীবনের গল্প থেকে কিন্তু ঋন থেকে মুক্তি পেলাম না আমি ঋন থেকে দীর্ঘ আট বছর প্রবাসে থাকার পর ও মুক্ত হতে না পেরে আবার হতাশায় পড়ে গেলাম মনে এমন এক দুঃচিন্তা এসে গেল যে এভাবে আর কত বছর কাঠাবো এই হতাশা গ্রস্হ হয়ে সব কাজ কাম ছেড়ে দীর্ঘ তিন মাস ঘুমিয়েছি কোন কাজ কামে মন বসে নি।
আল্লাহর ঘর কাবা শরিফে নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে কাঁদি হঠাৎ আল্লাহর রহমতে আবার আমার মাঝে জ্ঞান ফিরে আসে আবার কাজে মনোযোগ দিলাম।
আল্লাহর রহমতে এইবার আমাকে আল্লাহ ফিরে চেয়েছেন আমি এখন ভালো উপার্জন করছি সব ঋন শোধ করতে পারলাম বাড়ি ঘরে টাকা পাটালাম সবাই খুশি আব্বা আম্মার দু চিন্তা কেঠে গেলো আলহামদুলিল্লাহ এক সময় আমার এহেন উন্নতি হয় যে আমার আন্ডারে ২০/৩০ জন মানুষ কাজ করেন এখনো আল্লাহ আমাকে অপুরন্ত দান করেছেন।
আলহামদুলিল্লাহ আমি এখন একজন সুখি মানুষ পরিবারের ভাই বোন সকল কে আজ আমি মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলেছি।
বর্তমান প্রবাসে আমার ৩১ বছর অতিবাহিত হচ্ছে আল্লাহর রহমতে কোন অভাব নেই আছে আমার অনেক আলহামদুলিল্লাহ। ইতি মধ্যে দেশে গিয়ে কি করবো ভাবতে ভাবতে খুঁজে পেয়েছি "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" পেয়েছি জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার এর অসাধারণ জ্ঞানের ভান্ডার যার প্রেরণায় উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি রিতিমতো শিখছি প্রতিদিনের সেশনে যুক্ত থেকে স্কিল্স গুলো শিখছি আশা নয় বিশ্বাস আমিও হয়ে উঠবো একজন অসাধারণ উদ্যোক্তা পাশা পাশি আমার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে আমার দেশের বেকার যুবক সমাজের অনেকে ইনশা আল্লাহ।
সর্বোপরি স্যারের শিক্ষা কাজের প্রতি প্রেম সৃষ্টি করতে পারলে কাজকে ভালোবাসতে পারলে কোন কাজ কে ছোট মনে না করলে কাজ আপনাকে অনন্য ভালবাসা প্রদান করবেন আপনি হয়ে উঠবেন জীবনের অসাধারণ গল্প উপহার দেওয়ার মতো একজন অসাধারণ মানুষ।
আল্লাহ হাফেজ সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন
ভালবেসে পাশে থাকবেন।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৬৮
Date:- ২১/০৩/২০২২ইং
মো: জাহাঙ্গীর আলম
ব্যাচ: 17
রেজিস্ট্রেশন:84186
জেলা: কক্সবাজার
উপজেলা: ঈদগাও
সদস্য-নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন।
বর্তমান: মক্কা শরিফ সৌদি আরব।