বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

  আমার জীবনের  বাস্তবতার গল্প

প্রথমে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি আল্লাহ সুবাহান ওয়া তায়ালা র যিনি আমাকে মুসলিম হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং এই অসুস্থ পৃথিবীতে সুস্ত ও নিরাপদ রাখছেন 

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ভালোবাসার প্রাণ প্রিয় বাবা মায়ের যারা অনেক অনেক ভালোবেসে লালন পালন করেছেন আমি অদের অনেক ভালোবাসি 

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার স্যারের যিনি এতো সুন্দর একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন আমাদের জন্য স্যারের দুনিয়া আখেরাতের কল্যাণ কামনা করি

🧩আমার ভালোবাসার বাবার গল্প 🧩

🚸আমার বাবা জন্ম নেন অনেক বিত্তশালী পরিবারে আমার দাদির ও পার্সোনাল অনেক সম্পত ছিলো ।

বাবার একবছর বয়সে দাদি মারা যান 🚸 দাদা পাগলের মতো হয়ে যান বাবার দায়িত্বর কথা ভুলে যান। তারপর বাবাকে বাবার নানি নিয়ে আসেন  ওইখানেই বাবা বড় হচ্ছেন। ওই দিকে দাদা আরেকটি বিয়ে করে নেয় আর দাদার সম্পত দাদির সম্পত অনেক টাই খুব অল্প দামেই বিক্রি করে পেলে আর এই সুজুগে দাদার ভাইয়েরা বাকি টুকু তাদের নামে করে নেয় । এদিকে  বাবার  নানা বাবাকে বাড়ি দিসে জমি দিসে শুধু মোখে রেজিস্ট্রি করে দেয়নি আমার বাবা অনেক ভালো ও সরল মনের মানুষ ছিলেন তাই  বাবা ও বিশ্বাস করে আর বলেননি শুধু পরিবারে বড় ছেলের দায়িত্ব পালন করে গেছেন ।তারপর যখন বাবার নানা নানী মারা গেলেন বাবার মামা তারা বাবাকে আর কিছুই দেয়নি শুধু একটা বিয়ে করাইয়া  দিসে । বাবার বিয়ের পরে বাবার মামিতারা এতো ঝগড়া করে যে ওই খানে থাকার আর শুজগ নাই ।তখন বাবা মা চলে আসেন শুন্ন হাতে আমার নানার বাড়ি ।এইখানে তারা শুরু করেন নতুন জীবন দিরে দিরে বাড়ি কিনেন এভাবে ভালোই চলছিল তারপর আমার একটা ভাই জন্ম নেয়  । 

ভাইটা আবার মারা ও যায় 😥তখন বাবা মা অনেক কষ্ট পাইছিলো। এতোদিনে দাদা সবকিছু শেষ করে শুন্ন হয়ে গেছে তখন বাবার কাছে আসছে বাবাও ভালোবাসে কাছে  রাখছেন  কিছুদিন পর দাদা ও মারা গেছে ।তারপর একে একে আমরা পাঁচ ভাই পাঁচ বোন জন্ম নেই দুই ভাই মারা গেছে আমরা আট ভাই বোন আছি।।

       🎏 আমার জীবনের গল্প 🎏

♦আমাকে বাবা অনেক বেশি আদর করতো আমি তিন ভাই বোনের ছোট  বাবা আমাকে মা বলে ডাকতো  আমিও বাবাকে  অনেক অনেক ভালোবাসি  মা বলে আমি নাকি খুব  ছোট বেলায় বাবা কাজে গেলে আমি বাড়িতে যতোবার খাবার খাইতাম বাবার জন্য একটু করে রাখতাম খাবারটা সারাদিনে নষ্ট হয়ে যাইতো তবু ও বাবা ভালোবেসে খাইতেন 🚸আর যখনি বাবার দাদির কথা মনে পরতো তখনই বাবা আমাকে মা বলে  জোরে জোরে  ডাকতো আর বলতো আমি নাকি মা 😘😘😘 আমি প্রায় সময় বাবার মুখে শুনতাম যে আমাকে বিয়ে দিলে নাকি সারা জমিনের মাটি বাবার পিঠে উটে যাবে কান্না করতে করতে 💜বলতেন আমি আমার মেয়েকে বিয়ে দিয়ে থাকতে পারবো না। একটু  জ্বর হইলে আমার বাবা অস্থির হয়ে যাইত । আমি ছোট  থাকতে আমার বড় বোনের বিয়ে হয়ে যায় তো বোন অনেক ভালোবাসতো আমাকে আমি যখনই বোনের বাড়িতে  যাইতাম বাবা পরের দিন ফজর পরেই আমাকে নিয়ে আসার জন্য চলে যাইতো 😘মায়ের ভালোবাসটা ছিলো ছোট বেলায় সব ভাই বোনদের মতোই ।মাকে আমি অনেক ভালোবাসি  ।💚💚

          ♦আমার  পরাশুনা ।♦

🚸🚸আমি  অনেক ভালো  ছাত্রী ছিলাম আমার প্রথম শিক্ষক আমার বাবা বাড়িতে আমায় ক্লাস ওয়ানের সব পরা শেখাইছে আমি যখন ক্লাস টু তে পরি সব কিছুই পরতে পারি বাংলা  আর  যখন ক্লাস থ্রি তে পরি তখন ইংরেজিতে সব পরতে পারি স্যার মেডাম আমাকে দেখি য়ে অন্যদের বলতো যেনো আমাকে শেখে । কিন্তু ভাগ্যের কারনে সেভেনে উটার পর পরাশুনা বন্ধ হয়ে যায় ।

         🎀আমার ভালো গুন🎀

আমি ছোট বেলা থেকেই কাজ করতে ভালোবাসি মায়ের সব কাজে সাহায্য করতাম ছোট ভাই বোনদের দেখাশোনা করা আবার বাবার অনেক কাজে ও সাহায্য করতাম ছোট বড় সবার সাথে ভালো ব্যবহার করতে ভালো লাগে ।মানুষের বিপদে সাহায্য সহযোগিতা করতে ভালো লাগে ।গুছিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে ইসলামিক জীবন যাপন ভালো লাগে খুব ভদ্র নম্রভাবে চলতে ভালো লাগে কেউ আমার দারা একটু কষ্ট পাইলে আমার ও অনেক কষ্ট লাগে ।

আমার  খারাপ দিক অল্পতেই ডিপ্রেশনে চলে যাই অনেক আবেগি মানুষকে যাচাই না করেই বিশ্বাস করে ফেলি উপস্থিত বুদ্ধি একদম নাই  এই গুলি আমার কাছে অনেক বিরক্তিকর ।

         🎀আমি কেমন মিশুক ছিলাম।🎀

ছোট বেলা থেকেই আমি সবার সাথেই সহজেই মিশতে ভালো লাগে আমার ।।আমার বান্ধবীর মা ও আমার ফ্রেন্ডের মতো বান্ধবীর চাচি ফুফু সবার সাথে ফেন্ডের  সম্পর্ক এক কথায় সিনিয়র  জুনিয়র সবার সাথে সহজেই মিশে যাইতাম সবাই আমায় অনেক ভালোবাসতো। আর বিশ্বাস করে।এখন ও এমনি সারাজীবন এমন থাকবো ইনশাহ আল্লা হ ।

🚸ছোট বেলা থেকেই অনেক রোমান্টিক আর অনেক পরিপাটি ভাবে চলতে ভালো লাগে

খেলা দুলা করতে অনেক পছন্দ করতাম দরি খেলা  দৌর খেলা  পাখিদের মতো উরতে ভালো লাগতো শুধু ডানার অভাবে উরতে পারতাম না😔😔😔 মন খুব চঞ্চল ছিলো ছোট  বেলায় আর বর্তমানে অনেক শান্ত ।

      🥊আমার জীবনের দুঃখ গুলি।🥊

2007 এ আমি ক্লাস সেভেনে উটি তখনই বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন কয়েক দিন পরেই বাবা আমাদের ছেড়ে চলে যায় 😥😥😥😥আমার বাবার জন্য সবাই দুয়া করবেন 🙏🤲🤲তারপর সবকিছু এলোমেলো শুধু মেঝো ভাই ছাড়া সংসারের হাল ধরার মতো কেউ নেই বড়ো ভাই বাবা থাকতেই বিয়ে করে আলাদা হয়ে যায় ।

🕹🕹2008এ আমার জন্য একটা বিয়ের প্রস্তাব আসে জামাই সৌদি আরব থাকে ওরা। অনেক বড় লোক এমনিতেই তারপর কথা বার্তা বলে বিয়ে হয়ে যায় যেদিন বর যাত্রী আসবে আমাদের বাড়ি ওই আমার ভাই যানতে পারে জামাইর মাথায় সমস্যা তখন আর ওদের বাড়ি যাওয়া হয় নি তারপর কিছু দিন পরে বিয়েটা ভেঙে ফেলা হয় ।

তখন আমি অনেকটা কেমন হয়ে গেছি একে ছোট মানুষ আবার এতো বড় একটা ধাক্কা ।অনেকেই অনেক কথা বলে  কেমন পাগল হয়ে যাচ্ছি ।

কিছু দিন যাওয়ার পর সবাই এইসব কথা ভুলে গেছে আমিও ভুলে গেছি তারপর আমি ট্রেইলারি কাজ শিখি পরে ট্রেইলারি করি পরিবারে অনেক সাহায্য করি এভাবে অনেক ভালোই চলতেছি সংসারের প্রতি আমার ভালোবাসা দেখে অনেক খুশি ।মা যেনো ভরসা করার মতো কাউকে পাইছে ।আমার প্রতি মায়ের ভালোবাসা অনেক বেড়ে গেলো ।একদিন মা অসুস্থ হইছে আমি বাড়িতে নাই সবাই মাকে নিয়ে অনেক কান্নাকাটি করছে এমন অবস্থা আমকে কল দিয়ে বলছে আমি পরের দিন সন্ধায় বাড়ি আসলাম ।সকালে মা হাটাহাটি করতে পারে বাড়ির  সবাই অবাক কি করে সম্ভব ।সবাই বলে মেয়েকে পাইয়া অসুখ কমে গেছে  মা বলে আমার মেয়ে আমার অনেক বড় ওষুধ সেদিন নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে হইছিলো আমি যখন ট্রেইলারি করে সন্ধ্যায় ঘরে আসতাম আমি শুয়ে শুয়ে মোবাইল টিপতাম  মা আমাকে মুখে তুলে ভাত খাইয়ে দিতো প্রায়দিন এমন করতো এখন সেইদিন গুলি অনেক মিস করি।এভাবে পাঁচ বছর চলে গেছে এর ভেতরে আমার ছোট দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে আর আমার আর বিয়ে করতে ইচ্ছে হয় না মোড চলে গেছে মা ভাই অনেক বুঝাইছে কিন্তু আমার অনেক ভয় করে।

তারপর 2014সালে মেঝো ভাই এতো চাপ দিসে বিয়ে করার জন্য শুধু শুধু ঝগড়া করে  আমাকে অতিষ্ঠ করে ফেলছে।এতো ঝগড়া করার একটাই কারণ আমি যেনো বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাই। পরে  আমার অনেক রাগ উটে গেছে ভাবলাম এই সপ্তাহে যে বিয়ের প্রস্তাব আসবে  তাকেই বিয়ে করে ফেলবো  যেই কথা সেই কাজ একটা আসলো ।ছেলে আসছে আমদের বাড়িতে এতো মিষ্টি করে বলে গুছিয়ে কথা বলে সবার মন কেরে নিছে আড়াল থেকে আমার ও শুনে ভালোই লাগলো তারপর দুই দিনের ভেতরে বিয়ে হয়ে গেলো।এটা যেনো আমার বিয়ে হয়নি মনে আগুনে ঝাঁপ দিসি দুই দিন না যাইতেই কতো কাহিনী শুনলাম শুনে মনে মনে ভাবি পৃথিবীতে এতো খারাপ মানুষ ও আছে?আমার স্বামী পৃথিবীর এমন কোনো নেসা নাই যে উনি করে না এমন কোনো খারাপ কাজ নাই যে উনি করেনি আর সত্য কথা ওর মুখ দিয়ে যেনো বের হয় না এসব কিছু শুনে আমি নিরব হয়ে গেলাম কিছু বলতেই ইচ্ছে করে না  তখন ও আমারে বুঝ দেয় যে আমারে পাইছে এখন ভালো হয়ে যাবে আমিও বিশ্বাস করে পেলি । কিন্তু ভালো হয় নি যখন তখন নেসা করে সংসারের দায়িত্ব পালন করেনা শুধু মিথ্যা আর মিথ্যা কয়দিন পর পর আমারে চাপ আমি টাকা নিয়ে দেবো ও এটা করবে ওটা করবে তখন টাকা না নিলে  ও নিজেকে নিজেই শেষ করে দেয় আমার আত্ম সম্মান অনেক বেশি কাউকে কিছু বলতেও পারিনা।ভাইদের এসব বল্লে  বলে চলে আয় বাট আমি যাবো না । এভাবেই অনেক কষ্টে চলতে থাকে এখানে খাবার না থাকলে মায়ের কাছ থেকে নিয়ে আসি ।তারপর 2015সাল 26আগস্ট আমার একটা বেবি হয় ভাবলাম বেবি হইলে হয়তো ভালো হয়ে যাবে বাট সেখানে ও আমি বের্থ । তারপর ওরে 40দিনের জন্য তাবলিকে দিলাম হয়তো এখন ভালো হয়ে যাবে তাও হলো না যেমন তেমনি রয়ে গেলো  পরে  ভাবলাম হাজার ও চেষ্টায় যখন হচ্ছে না ডিভোর্স দিয়ে দেই ।কিন্তু সে উলটা মারলো বলে ডিভোর্স দিলে আমাকে মেরে ফেলবে তখন ভয় পেয়ে গেলাম কারন ওর দারা সব সম্ভব ।তারপর চলে গেলাম ঢাকায় ভাবলাম নিজে কিছু একটা করে বেবিটাকে যদি একটু ভালো রাখতে পারি তাও হলো না আমি যা ইনকাম করি ও সব নিয়ে যায় আর আরও বেশি নেসা করে রাতে বাসায় ফিরে না আরো  কঠিন হয়ে গেলো জীবন টা এখন ইচ্ছে করে বেবিকে নিয়ে আত্মহত্যা করি বাট পারিনা অনেক দিন চেষ্টা করছি  বাবুর জন্য অনেক মায়া হয় । তারপর ওর কাছে হাত জোড় করে বিক্কা চাইলাম যে একটু ভালো থাকতে দাও আমার বাবুটাকে নিয়ে ।(ঐ কথাটা সারা জীবন ইতিহাস হয়ে থাকবে)তোমার বেশি কাজ করতে হবেনা আমি তোমাকে কাজ করে খাওয়াবো ।সেদিনের পর সে আরও বেরে যায় এখন সে দুধের সাথে মিশিয়ে আমাকে নেসার টেবলেট খাওয়াতে চায় ঘরে বসে সে কতো ধরনের নেসা খায় আমার ছেলে তা দেখে তখন ভাবলাম আর না এখন আমাকে কঠিন হইতে হবে তারপর বুদ্ধি করে  অনেক কষ্টের পরে চলে আসি সাউদি ।এখানে এসে অনেক কষ্টে র পর ওকে ডিভোর্স দেই আলহামদু লিল্লাহ ।♦

🎓হাজার ও সুখ দুঃখের মাজে আমার প্রাপ্তি গুলি 💎

আমার মায়ের বিশ্বাস সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারছি  ।আর আল্লাহ আমাকে একটা মিষ্টি ভালোবাসার বাবু দিছেন যাকে নিয়ে আমার হাজারো সপ্ন ।

কয়েকদিন আগে আমি আর মা বোনেরা মিলে গ্রুপ কলে কথা বলতেছিলাম তখন এক খালার কথা উঠছে যে উনার সন্তানেরা উনাকে একটু ও কেয়ার করেনা ।তখন মা সবার মাঝে বলে উঠছে যে আমার মেয়ে যদি অসহায় হয়ে ও পরে তবুও আমার হাত ছাড়বেনা  কথাটা এমন ভাবে বলছেন হঠাত্ কেউ শুনলে মনে করবে যেনো আমি মায়ের এক মাত্র  সন্তান আর কেউ  নাই  যদিও আরও অনেক ভাই বোন পাসেই ছিলো  এই কথাটা আমার কাছে অনেক বড় একটা পাওয়া ।

যেভাবে আমার ভালোবাসার প্লাটফর্মে আসা 🥊🥊🥊🥊🥊

বিদেশে আসার পর দুই বছরের টাকা দিয়ে মাকে একটা ঘর করে দিলাম ছোট ভাই কে একটা গাড়ি কিনে দিলাম  ভাবলাম আমার  জন্য আরও দুই বছর করবো ।যখন প্রবাসের তিন বছর হয়ে গেলো তখন আবার হতাশা যে দেশে গিয়ে কি করবো বাবুটাকে ভালো একটা মাদ্রাসায় পরাইতে চাই কীভাবে কি করবো তখনই আমার এক বড়ো আপু স্যারের বিডিও দেখে আমাকে জানায় । পরে আমিও বিডিও দেখতে দেখতে অনেক সাহস পাইলাম ভাবলাম এখানে গেলে হয়তো কিছু একটা  করতে পারবো।চেষ্টায় আছি আপনাদের সহযোগিতা পেলে হয়তো অনেক কিছু করতে পারবো।

সবাই আমার ছেলের জন্য দুয়া করবেন সে যেনো আমার স্বপ্নের চাইতেও অনেক বরো আলেম হয় 

আর আপনাদের জন্য ও অনেক দোয়া রইলো।

জাযাকুমুল্লাহ খাইরান আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ💜

         ♦সবাই কে অনেক ধন্যবাদ ♦

📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭৬৪

Date:- ২৭/০৩/২০২২ইং

রাহিমা আক্তার রাহী 

নিজ জেলা সুনামগঞ্জ 

বর্তমানে আছি মক্কাতুল মোকাররমে 

ব্যচ 17

রেজিস্ট্রিসন 82828,,