,আমি একজন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছি এবং নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছি ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম আমার প্রিয় গ্রুপের সকল ভাই বোনদের প্রতি।
💘"আমার জীবনের গল্প"💘
শুরু করছি মহান সৃষ্টিকর্তা পরম করুণাময় মহান আল্লাহ তায়ালার নামে, যিনি আমাদেকে তারর রহমত ও দয়ায় সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময় মহান আল্লাহ তাআলার জন্য শুকিরয়া জ্ঞাপন করছি, আলহামদুলিল্লাহ। লাখো কোটি দরুদ ও শান্তি বর্ষিত হোক প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর প্রতি ।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ আবিস্কারক, লাখো তরুণ তরুণীর আইডল, প্রিয় মেন্টর শিক্ষক জনাব "#ইকবাল_বাহার#জাহিদ" স্যারের প্রতি, যার অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগে গড়ে উঠেছে "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" যা আজ সুবিশাল একটা ভালো মানুষের প্লাটফর্ম যেখানে আজ ৫,৫০,০০০(পাচঁ লাখ পঞ্চাশ হাজার) সদস্য ও প্রায় ৩,৩৩,০০০ (তিন লাখ তেত্রিশ হাজার) আজীবন সদস্য।
🍒আজ একটা গল্প শোনাব। আশা করি সবাই ধৈর্য্য ধরে শুনবেন ও পড়বেন, এটা আমার প্রত্যাশা।🍒
🍒 ঠিক গল্প নয় আমার জীবনের বাস্তব সত্য ঘটনা অবলম্বনে🍒
আমার নামঃ মোঃ মামুনুর রশিদ, পিতাঃ মোঃ আব্দুল মজিদ, মাতাঃ মোছাঃ রেজিয়া বেগম জন্মঃ ০৩ মার্চ ১৯৮৯ ইং সাল।
👦 আমার শিশু কাল 👦
আমরা ৪ ভাই, ৩ বোন। আমি ছেলেদের মধ্যে সবার ছোট। সিরিয়াল অনুযায়ী ৬ নম্বর। আমার ছোট একটি বোন রয়েছে। আমাদের দাদাদের অনেক সম্পদ ছিল। আমার বাবারা ৩ ভাই ও ১ বোন। আমার বাবা ছিল সবার ছোট। আমার বাবাকে দাদা খুব ভালোবাসতো। আমার বড় কাকা আমার বাবাকে দেখতে পারতোনা। কারণ আমার বাবা হিসাব নিকাশ বুঝতো। বড় কাকা শুধু জমি বিক্রি করতো আর ডালা ভরে টাকা আনতো এবং সব ফুরিয়ে দিতো। বাবা কাকাকে জমি বিক্রি করতে বারবার নিষেধ করত কিন্তু বড় কাকা শুনতো না। বড় কাকার প্ল্যান ছিল যেকোনো মূল্যে আমার বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দেবে সেই মোতাবেক বড়কাকা নিজের মেয়েকে বটি দিয়ে আঘাত করে, তার মেয়েকে আমার বাবার নাম বলতে বলে যে, ছোট কাকা আমাকে বঠি দিয়ে কোপ দিয়েছে কিন্তু বড় কাকার মেয়ে আমার বাবার নাম বলেনি। এক কথায় আমার বাবাকে হয় মেরে ফেলবে না হয় জেলে পাঠাবে এমন পণ করেছিল আমার বড় কাকা।
দাদা বুঝতে পারে আজ হোক আর কাল হোক আমার বাবাকে বড় কাকা মেরে ফেলবে, তাই আমার দাদা আমার বাবাকে বলে তুমি বাড়ি থেকে পালিয়ে যাও তুমি থাকলে তোমাকে মেরে ফেলবে। সেই মোতাবেক মাকে নানা বাড়ি রেখে আমার বাবা শুধুমাত্র বারো আনা নিয়ে বাড়ি হতে পালিয়ে যায় তাও সেই টাকাটা রাস্তায় হারিয়ে ফেলে । পালিয়ে নাটোর জেলার গোপালপুর আসেন। উল্লেখ্য তখন আমার দাদার বাড়ি টাঙ্গাইলেে ছিল। বাবা এসে দিনমজুরের কাজ করেছেন, ভবানীপুর ফার্মে কাজ করেছেন , শেষে গোপালপুর সুগার মিলে একজনের সহায়তায় চাকুরি নেন। অন্যদিকে আমার বড় কাকা জাল দলিল করে আমার বাবার ভাগের সম্পত্তি জাল দলিল করে নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে বাবা মামলা করলে কাকার জেল হয়, কিন্তু বাবা মামলা উঠিয়ে নেয়। বাবার সামান্য কিছু জমি বাদে বড় কাকা সব জমি জমা বিক্রি করে ফেলে। একসময় তার সব শেষ হয়ে যায়। বাবা আবার গোপালপুর মিলের চাকুরি ছেড়ে বড় কাকাকে দিয়ে দেয়, তাও যেন ভালো হয়। নিজের চাকুরি কাকাকে দেয়ার পরও বাবার জমি বাবাকে দিতে অনেক তালবাহানা করে, আবার মামলা করে বাবার নামে, বাবা আবারো জিতে যায়। বাবা কাকাদের ভালো রাখার জন্য নিজের অনেক জমিই দিয়ে দেয়। এর মধ্যে আমার বাবার একটা ছোট চাকুরি হয়, মাকে নিয়ে আসেন। নাটোরের দয়ারামপুরে।
আমার বয়স যখন আনুমানিক ৩-৫ বছর, তখন কলেরা হয়েছিল, প্রায় মারাই যাচ্ছিলাম। সবাই বলেছিল আমি বাঁচবোনা। আল্লাহর কৃপায় বেঁচে গেছি। আমার জন্মের ২ বছর পরেই ছোট বোনটা হয়। এই গল্পগুলো রাতে বসে বাবা, মা শোনাতেন, আমি একটু বড় হয়ে সব জেনেছি। বাবা মা অনেক কষ্ট করেছেন। বড় কাকা মারা গেছেন। শেষ বয়সে এসে কাকা অনেক ভালো হয়ে গিয়েছিল। আল্লাহ উনাকে বেহেস্ত নসীব করুক। আমিন
🌺 শিক্ষা জীবন🌺
বাবার ছোট চাকুরি, ঘরে আমরা ৭ ভাইবোনসহ মোট ০৯ জন সদস্য। আমি সবার ছোট। মেজো ভাই ক্লাস হাই স্কুল হতে টিউশনি করা শুরু করে, বড় ভাই এইচএসসি পাশ করে চাকুরি পায় ছোট একটা। সবাই মিলে কোন রকম দিনকাল চলে যাচ্ছিল। বড় বোনটার বিয়ে হয়ে যায়, মেজোটার বিয়ে হয়। মেজো ভাইয়েরও এইচএসসি পাস করে চাকুরি হয়।
ইনকাম কম থাকায় সখের তেমন কিছুই পূরণ হয়নি, ভাইদের হতে টাকা চাইতাম, মাঝে দিতো আবার দিতোনা। তবে আমার লেখাপড়ার খরচ মেজো ভাই চালাতো। বড়ভাই, মেজো ভাই মিলে সংসারটা ভালই চলছিল। দুই ভাই বিয়ে করে ফেলে। আমাদের টাকা পয়সা নেই, বাবা মন চাইলেই নতুন জামা দিতে পারতোনা, পরীক্ষার ফি দিতেও অনেক কষ্ট হচ্ছিল। যখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি তখন বড় ভাই কম্পিউটারের দোকান দেয়। এরপর মেজো ভাই কম্পিউটারের দোকান দেয়। সেই দোকানে ভাই কম্পিউটার শিখতে বলে। আমি কম্পিউটার অফিস প্রোগ্রামগুলো ভালো করে শিখে নেই। নাইন হতে ইন্টার পর্যন্ত কম্পিউটার দোকানে কাজ করতাম। এমন রাত গেছে কাজ করতে করতে রাত পার হয়ে গেছে। তবুও কাজ শেষ করেছি, কিন্তু উঠিনি। আমি দোকান হতে কোন টাকা পয়সা নিতাম না কারণ ভাই পড়া লেখার খরচ চালাতো।
🍒 কর্মজীবন শুরু🍒
যখন ইন্টার পরীক্ষা দেব তখন আমি বুঝি বাবা, ভাইরা লেখাপড়া, সংসার এর খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। উল্লেখ্য যে, আমার সেজো ভাইটা তখন চট্টগ্রাম ভার্সিটিতে পড়ে। তাই অভাবটা বেশি উবলব্ধি হয়। জানতাম আমাকে পড়াতে পারবেনা। তাই সিদ্ধান্ত নেই চাকুরি করবো। ইন্টার পাশ করার আগেই চাকুরি শুরু করি, সংসারের হাল ধরি। চাকুরিরত অবস্থায় ইন্টার পাশ করি। দীর্ঘ ৩ বছর আর পড়তে পারিনি। কারণ চাকুরি আর পড়া একসাথে হয় না অর্থ্যাৎ তেমন সুযোগ হয়নি। টানা ৩ বছর পর ডিগ্রিতে ভর্তি হই। চাকুরি করে বেশিরভাগ টাকাই বাড়িতে দিতাম। বাবা মা অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছেন। তাই টাকা পয়সা রাখতাম না। কারণ তখন ছিল ২০০৫ সাল, বেতন পেতাম মাত্র ২৮০০/-। এভাবে ভালই চলছিল।
☘️ পরিবারে ঘোর অন্ধকার ☘️
আমার চাকুরি যখন ৫-৬ বছর তখন মেজো ভাই মানুষের চক্রান্তে অনেক টাকা ঋনে পড়ে যায়। এমনি বেতন কম, ভাইকে বাঁচাতে আমরা ব্যাংক লোন করে টাকা দেই। মাস প্রায় অর্ধেক বেতনের টাকা নেই, বুকটা ফেটে যায়। তাও ভাই বাঁচুক। কিন্তু কিছুই হয়না। শেষে বাবার কেনা ভিটে বাড়ির জমি যা আমাদের ৭ ভাই বোনের পাবার কথা সেখান হতে ভাইয়ের জন্য ৪ শতক জমি ছোট বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় বাবা। বাবার পেনসনের টাকাও ভাইকে দিয়েছে, আমরা কিছুই পায়নি। এখন আমাদের বাড়ী আছে ৮-৯ শতক জমিতে। তাও কিছু করার পরও ঋণ শোধ হয়না। ভাই চলে যায় ঢাকায়, আস্তে আস্তে ভাই ঋণ শোধ করতে থাকে। আমিও দিশে হারা। দীর্ঘ ৪ বছর লোন টেনেছি। উঠে দাঁড়াতে পারিনি।
☘️ সংসার জীবন ☘️
চাকুরি ৬-৭ বছরে ১০০০/- করে কিছু টাকা জমিয়ে বিয়ে করেছিলাম, লোন শেষে কিছুটা শান্তি ঘরে ফিরে আসে আলহামদুলিল্লাহ। আমার মেয়েটা হয় ২০১২ সালে। ভালই চলছিল।
☘️ আল্লাহ পরীক্ষা নিচ্ছেন-☘️
কিন্তু আল্লাহ আমাদের পরীক্ষা নেন, আমাদের আরেকটি ছেলে হয়, আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু কে জানেন আল্লাহ এত বড় পরীক্ষা নিবেন। ছেলেটার যখন ১ হতে দেড় বছর তখন ছেলেটা আমার কোন কথা বলতে পারেনা। আমার সেজো ভাই বললো ডাক্তার দেখাতে, ডাক্তার দেখালাম। ডাক্তার বললো ছেলে জন্ম হতে কানে শোনেনা। শ্রবণ প্রতিবন্ধী। ওর ককলিয়ার সার্জারি করাতে হবে, ১১-১২ লাখ টাকা লাগবে। আল্লাহর রহমতে ককলিয়ার সার্জারি হলো, কিন্তু থেরাপি না দিলে কথা শুনবেনা। তাই থেরাপির জন্য ঢাকায় বউ বাচ্চাকে রাখা। কিন্তু অনেক খরচ। এদিকে করোনার হানা শুরু করে দিলো। ঢাকায় একা কিভাবে থাকবে? এদিকে চাকুরির সুবাদে আমি দেশের বাহিরে চলে এসেছি তাই থেরাপি বাদ দিয়ে বাসায় গিন্নীকে চলে আসতে বললাম। চলে আসলো, থেরাপি অফ। মাঝে মধ্যেই ছেলের হিয়ারিং ক্যাবল নস্ট হয়, প্রায় ৪৫০০/- লাগে, ফ্রেম নস্ট হয় ২৫০০০/- লাগে,, কিছুই করার নেই। কিন্তু আল্লাহর রহমতে আল্লাহ আমাকে কুয়েত নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল, তাই চলতে পারছিলাম। এখন কিন্তু ছেলের বয়স ছয়, আজও কথা ঠিকমত বলতে পারেনা। আল্লাহ পরীক্ষা নিচ্ছেন বলে ধৈর্য্য ধরে আছি। আল্লাহ ভরসা। আল্লাহ রহমত দিবেন ইংশাআল্লাহ।
✳️ বিজনেস করার চিন্তা এবং লস ✳️
নিজেকে বড় করতে হলে চাকুরি দিয়ে হবেনা, ছেলেও কথা বলতে পারেনা, কিছু একটা করতে হবে। চিন্তা শুরু করলাম, কি করা যায়। করোনা শুরু হবার আগে একটি দোকান নিলাম, স্টেশনারি বিজনেস শুরু করলাম। ভালো সেল শুরু হতে না হতেই করোনার হানা। দোকান বন্ধ। দোকানে থাকে খালাতো ভাই, তার বেতন দেয়া শুরু, প্রতি মাসে ৮-১০ হাজার টাকা দিতে হয়, এখোনো দিচ্ছি, তেমন সেল নেই। অনেক টাকা লস। শ্যালকের কথায় চাচতো সুমন্ধীকে খামারের শেয়ারে ১২৫০০০/- দেই। সেটাও পুরো লস। একটা গ্রুপে অনলাইনে যোগ দেই, গুঁড় সেল শুরু করি কিছুটা লাভ হয়। হঠাৎ ঐ গ্রুপটার ঝামেলার কারণে গ্রো বন্ধ হয়ে যায়। গুঁড় বিক্রিও তেমন হয়না। তাও করতে থাকি। চার ভাইবোন মিলে ছাগলের খামার দিলাম তাও লস। এদিকে নিজের বলার মত গ্রুপের সন্ধ্যান পাই, সেখানে এক ভাই হতে কিছু কাপড় কিনে বাসায় নেই, সেগুলো সাইজ ভালো না হওয়ায় সেখানেও লস।
আমার নিজের বান্ধবীকে মেলাতে কাপড়চোপড় কিনে দিলাম, সেও কিছু কাপড়চোপড় রেখে দিছে টাকা দেয়নি, তাও লস। খেজুরের বিজনেস শুরু করছিলাম, করোনার ঢেউ ২য় বার আসায় অনেক খেজুর নস্ট হয়ে যায়, সেখানেও লস। এভাবে এদিক ঐ দিক দিয়ে শুধু লস আর লস। দিক বিদিক লস হচ্ছে, বাড়িওয়ালির কথা, শ্বশুড় বাড়ীর কথা, পুরো পরিবারের কথা শুনেই যাচ্ছি, কিছু করতে পারবোনা ইত্যাদি। ধৈর্য়্য ধরে আছি। কেউ বিজনেসে সাপোর্ট করেনা। তাই ভয়ে ভয়ে আগাতেও পারিনা, কারো ঠিকঠাক পরামর্শ পাইনা। শুধু নেগেটিভ আর নেগেটিভ। এভাবে লস খেতে খেতে ৩ বছর কেটে গেছে। আমি সহজ সরল বিধায় সবাইকে সহজে বিশ্বাস করতাম কারণ আমি নিজেই কাউকে ঠকায়নি, প্রয়োজনে নিজে ঠকেছি। বাহিরে থাকার কারণে আল্লাহর রহমতে এখনো টিকে আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
☘️ #নিজের_বলার#মতো_একটা#গল্প ফাউন্ডেশনের প্রেমে পড়া ☘️
লস খেতে খেতে যখন ২ বছর কেটে গেলো তখন এক বড়ভাই আমাদের ফাউন্ডেশনের কথা বলে, তখন রেজিস্ট্রেশন করি, কিন্তু তখন সময় দেয়নি, তেমন বুঝিনি।
শেষে নাটোর জেলা টিমের কান্ট্রি এ্যাম্বাসেডর #আব্বাস উদ্দিন ভাই এবং কুয়েত কান্ট্রি এ্যাম্বাসেডর Roni Gomez ভাই এর মাধ্যমে ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে জয়েন হই। NRB কুয়েত টিমের কান্ট্রি এ্যাম্বাসেডর ও মডারেটর #mahmud ভাই ও অন্যান্য বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় এবং নাটোর জেলা টিমের সকল ভাই-বোনদের সহযোগিতায় নতুন করে প্রতিজ্ঞা নিয়ে আমাদের সবার প্রিয় স্যার প্রিয় মুখ #জনাব#ইকবাল#বাহার#জাহিদ স্যারের প্রতিনিয়ত অনলাইন সেশন চর্চার মাধ্যমে নিজেকে সফল সফল উদ্যোক্তা তৈরি করার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছি। ইংশাআল্লাহ আমাকে পারতেই হবে। পারবোই। কারণ উত্তর দেয়া লাগবে।
স্যারের অনুপ্রেরণা নিয়ে আমি এগিয়ে যাচ্ছি এবং প্রতিনিয়ত অনলাইন সেশন চর্চা করছি এবং শিখছি, জানছি। আমাকে জিততেই হবে। বারবার হোঁচট খেয়ে আবার উঠে দাঁড়ানোর জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। স্যারের যে কথাগুলো আমাকে সব সময় নাড়া দেয়।
(১৭ তম ব্যাচ হতে নেয়া)
** রাগ করে নেয়া বেশীর ভাগ সিদ্ধান্ত ভুল হয় কিন্তু জিদ করে নেয়া সিদ্ধান্ত সফল হয় বেশী। (সেশন ৫৫)
** পারবো না, আমাকে দিয়ে হবে না বলে কিছু নেই (সেশন ৪৫)
** যে ক্রাইসিসের সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে গড়ে তোলেন সেই ট্রু লিডার। (সেশন ৫৩)
**চাকুরী কেনা বলার আগে ব্যবসা নিশ্চিত করা। (সেশন ৩৭)
** সমস্যা থাকবে এবং মানতে হবে সমাধানও আছে। শুধু সময়ের ব্যাপার। (সেশন ৩৩)
** সহজ এবং সোজা ভাবনা প্রতিদিন। (সেশন ২৯)
** ছোট ছোট সম্পর্কগুলো জীবনে একসময় অনেক বড় পরিবর্তন এনে দেয়, যা হয়তো আপনি কোনদিনও কল্পনা করতে পারেননি। (সেশন ২২)
** জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ভালো মানুষ হওয়া। ( সেশন ২১)
** স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন এবং লেগে থাকুন, সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ। (সেশন ২০) স্যার মত আমার প্রিয় স্লোগানের একটি।
** সফলতা হচ্ছে চারটি "স", সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সম্পদ। (সেশন ১৪)
** কোন কিছু না বললে একবার দুইবার ব্যর্থ হলে পুনরায় ভুলগুলো খুঁজে বের করে পুনরায় আবারো শুরু করুন। (নিজের সাথে কথা বল)
** চাকুরি করব না চাকরি দেবো। (সেশন ৪)
✓✓আমার প্রিয় স্লোগান (নিজের সাথে কথা বলা)
** ** হয় জিতবেন অথবা শিখবেন হারবেন না কখনো সুতরাং কখনো থেমে যাওয়া যাবে না।
∆∆ সবার কাছে দোয়া চাই আল্লাহ যেন আমাকে সফলতা দান করেন আমিন।∆∆
প্রিয় মেন্টর শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার যে ভাবে অনুপ্রেরনা দিয়ে যাচ্ছেন। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে শেষ করা যাবেনা। আল্লাহ স্যারকে নেক হায়াত দান করুন আমিন।
স্যারের এই বাণীগুলো শুনার পর থেকে ,আমি একজন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছি এবং নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছি ।
আজকের মতো আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিতে চাচ্ছি । বিদায় নেওয়ার আগে , আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এবং আমাদের ফাউন্ডেশনের সম্মানিত মডারেটর কোর ভলেন্টিয়ার এবং বিভিন্ন কাজে দায়িত্বে আছেন সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে লেখাটি শেষ করলাম। আল্লাহ হাফেজ । আল্লাহ আমাদের সহায় হোন আমীন।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৭৪
তারিখ-২৮/০৩/২০২২
ধন্যবাদান্তে ,
আমি মোঃ মামুনুর রশিদ
ব্যাচ নং ঃ ১২
রেজিঃ নং ঃ ৩৮১৪৩
ফোন। ঃ ৯৮৫৯৬৯৫৪
জেলা। ঃ নাটোর