মাটির ব্যাংক ভেঙ্গে ১২৫০ টাকা দিয়ে শুরু উদ্যোক্তা জীবন - বছর না পেরুতেই লাখ টাকা সেল
মাটির ব্যাংক ভেঙ্গে ১২৫০ টাকা দিয়ে শুরু উদ্যোক্তা জীবন - বছর না পেরুতেই লাখ টাকা সেল
"""""""'''""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
"আসসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতু"
শ্রদ্ধেয় প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার সহ নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সকল দায়িত্বশীল ও সদস্য ভাই ও বোনেরা শুরুতে আমার সালাম গ্রহণ করুন।
প্রথমে লাখ কোটি শুকরিয়া জানাই মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে যিনি আমাদেরকে ১৮ হাজার মাখলুকাতের মধ্যে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হিসাবে দুনিয়াতে প্রেরন করেছেন এবং আখেরি নবীর উম্মত হিসাবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন এবং সাথে দিয়েছেন অনেক মেধা, যোগ্যতা ও ধৈর্য্য শক্তি এবং "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" এ যুক্ত হওয়ার তৌফিক দান করেছেন।
আখেরী নবী মোহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি দুরুদ পাঠ করছি ও আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (স:) এর রওজা মোবারকের প্রতি সালাম পেশ করছি আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।
আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমার জন্মদাতা পিতা মাতার প্রতি যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাকে লালন পালন করে বড় করেছেন এবং চির কৃতজ্ঞতা আল্লাহর কাছে যিনি আমাকে এত সুন্দর একটা পরিবারে জন্মগ্রহনের সুযোগ করে দিয়েছেন।
কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর প্রিয় শিক্ষক "তরুন প্রজন্মের আইডল" জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ" স্যারকে। যিনি আমাদের জন্য এতো সুন্দর একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরী করে দিয়েছেন এবং প্রতিনিয়ত নিঃস্বার্থ ভাবে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন।
যার জন্য লক্ষ লক্ষ অসহায় পরিবারের মুখে হাসি ফুটেছে। যারা কখনো কোন দিনও কল্পনা ও করেনি, কিন্তু আজ তারা নিজের পায়ে নিজে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখে, শুধু স্বপ্ন দেখার মধ্যে সীমাবধ্য নয়, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের প্রতিটি দায়িত্বশীল ও সদস্য ভাই ও বোনেরা প্রিয় স্যারের ৯০ দিনের সেশন থেকে শিক্ষা গ্রহন করে এক একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের দিকে হাটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে।
ভালো মানুষ তৈরির একটি কারখানা আমাদের "নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন "যেখানে ভালো মানুষের পাশাপাশি ১০০% পজিটিভিটির চর্চা করানো হয়। সকল দায়িত্বশীল ও সদস্য ভাই বোনদেরকে দক্ষ্য করে তুলতে বিনা মূল্যে ১৪ টি স্কেলস শিখানো হয়। একজন সফল উদ্যোক্তা কিংবা ব্যবসায়িক হওয়ার জন্য ৯০ দিনের কোর্সের মাধ্যমে শেখানো হয় যা আমাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।
যেই মানুষটি নিঃস্বার্থভাবে আমাদের জন্য এতো কিছু করছেন, আমরা সেই মানুষটির জন্য বিধাতার নিকট দুই হাত তুলে স্যার সহ তার পরিবারের সকলের জন্য দোয়া করি। আল্লাহ যেন সবাইকে সুস্থতা ও নেক হায়াত দান করেন।- আমিন "।
আমরা প্রিয় স্যারের শিক্ষা বুকে ধারন করে আমাদের অধুরা স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেওয়ার জন্য শত ভাগ চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ, আপনাদের সকলের দোয়া ও সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
আমার বাস্তব জীবনের গল্প
"""''''''''''''"""""""""""""""""""""""""""""""""""""
জীবনের গল্প শুরু আছে,
কিন্তু শেষ নেই, প্রতি দিনই মানুষের জীবনে নতুন নতুন গল্পের টপিক যুক্ত হয়।
আজ আমি আমার এই ছোট্ট জীবনের ঘটে যাওয়া কিছু কথা আপনাদের সবার সাথে শেয়ার করবো। একটু সময় নিয়ে ধৈর্য্য সহকারে আমার জীবনের গল্পটি পড়ার জন্য বিনীত অনুরুধ রইলো ।
প্রত্যেকটা মানুষের জীবনে কোন না কোন গল্প থাকে।
সেটা হতে পারে কষ্টের, হতে পারে ব্যর্থতার, হতে পারে সফলতার।
প্রতিটি গল্পের মধ্যেই থাকে দূঃখ-কষ্ট, হাসি-কান্না,ব্যাথা -বেদনা, পাওয়া না পাওয়া বিষয় গুলো ।
জন্ম পরিচয় ও পরিবার
""""""""""""""""""""""""""""""""''''''''''''''''""""
আমি লতিফা হেলেন লতা
১৯৯০ ইং সালের ২০শে জুলাই আমার জন্ম।
আমরা তিন বোন আর এক ভাই। আমি আমার বাবা মার দ্বিতীয় সন্তান।
দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার বকুল তলা মোড়ে আমার বাড়ি। আমার মা একজন সাধারন গৃহিণী আর বাবা একজন ইলেকট্রনিকস টেকনিশিয়ান। আমার বাবা ভারতে একটা ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকুরী করতেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে এসে নিজেই বিরামপুরে দোকান দেন।
শৈশব ও কৈশোরকাল
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
প্রতিটি মানুষের শৈশব কাল থাকে অনেক আনন্দময় ঠিক তেমনি আমার জীবনের শৈশব কাল ছিল অনেক আনন্দময়, দূরন্তপনা, আকা বাকা পথে হেটে চলা, এদিক সেদিক ছোটাছুটি করা। বন্ধুদের সাথে দূষ্টামী, বৌছি খেলা, কানা মাছি খেলা, সব মিলিয়ে আনন্দ উল্লাসে মুখরিত ছিলাম।
আলহামদুলিল্লাহ সুখে ,আনন্দে কেটেছে আমার জীবন , আমার জীবনে কখনও কোন অভাব বুঝতে পারিনি বা বুঝতে দেয়নি আমার বাবা মা।
হাসি আনন্দে বেড়ে ওঠা। আমার ভাই বোন আমাকে অনেক ভালবাসত। দুষ্টু মিষ্টি ভালোবাসায় আমার সুন্দর জীবন কেটেছে। আল্লাহ তায়ালার নিকট লাখ কোটি শুকরিয়া।
আমি যখন বুঝতে শিখেছি তখন সবেমাত্র শহরের ছিটেফোঁটা আলো এসে পড়তে শুরু করল আমাদের গ্রামে। আমাদের স্বপ্নের পৃথিবীতে মা বাবা আমরা তিন বোন ও ছোট ভাই। দাদা ভাইকে ঠিক মনে পড়ে না।
বিরামপুর থানায় আমার বাবা ছিল সবচেয়ে ভাল টেকনিশিয়ান। বাবা দু' হাতে টাকা উপার্জন করত। মাকে বলতে শুনেছি ১০/২০ টাকার নোটগুলো না গুনেই তোষকের নিচে রেখে দিতেন। শুধু বড় নোটগুলো গুনে রাখতেন।
আমার বাবার সবচেয়ে যে গুনটা আমার ভাল লাগত সেটা হচ্ছে বাবা হাটতে হাটতে হাত ধরত আর মৃদু মৃদু ঝাকুনি দিত। আমার বাবা বাজার করতে গেলে বাজারের সেরা জিনিসটা কিনত। দোকানীরাও আমার বাবার জন্য বাজারের বড় মাছ, ভাল গোসত বা সবজী দোকানে পাঠিয়ে দিত।আমার বাবার খরচ দেখে মানুষ হা করে তাকিয়ে থাকত। শুনেছি সব মেয়ের কাছে তার বাবা সুপার হিরো। আমার বেলায়ও তার ব্যতিক্রম নয়।
শিক্ষা জীবন
"""""""""""""""""""""""""""""""""""
আমি ২০০৪ সালে জিপিএ ৪.০০ পয়েন্ট পেয়ে ভোকেশনাল থেকে এস.এস.সি পাস করি।
কলেজে ভর্তি হলেও শেষ পর্যন্ত এইচ.এস.সি টা শেষ করা হয়নি।
বিয়ে ও দাম্পত্য জীবন
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
২০০৭ সালের ২৬ মার্চ এইচ.এস.সি দ্বিতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনা করা অবস্থায় আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পড়ে অবশ্য আবারও কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম কিন্তু আমার ছেলের আগমনের কারণে এবারও শেষ করা হয় নি।
শশুর বাড়িতে প্রথম দিন এসেই বুঝতে বাকী রইল না এটা সম্পুর্ন একটা ভিন্ন পরিবেশ। প্রথম প্রথম নরসিংদীর আঞ্চলিক ভাষা ততটা বুঝতে পারতাম না।
আমার শশুর বাড়িতে আমার স্বামীরা চার ভাই, শশুর, সৎ শাশুড়ী আর ভাসুরের বউ। আমার শশুর ঘোড়াশালে অবস্থিত বাংলাদেশ জুট মিলের ম্যানেজার লেবার এন্ড ওয়েলফেয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই পরিবারটিতে আমার শশুর স্বামীর পর আমাকে নিজের মেয়ের মতো ভালবাসতেন। আমার শশুর বাড়ির জীবনটা ছিল জটিল,কষ্টদায়ক ও বৈচিত্র্যময়। আমার আপন শাশুড়ী ১৯৯৬ সালেই মারা যান। লোক মুখে শুনেছি এবং এখনও শুনি আমার আপন শাশুড়ী যেমন অসম্ভব রকম সুন্দরী এবং অসম্ভব রকম ভাল মানুষ ছিলেন। মহান আল্লাহ তায়ালা ওনাকে বেহেশত নসিব করুক। আমিন।
তাদের মানষিক অত্যাচারে আমার স্বপ্নের জগতটা ক্ষিন হতে লাগল। আমি আমার মা বাবাকে প্রচন্ড রকমভাবে মিস করতে লাগলাম।
কেন আমরা অন্যের মেয়েকে মেয়ে হিসেবে ভালবাসতে পারি না??? এখনো আমার মতো শত শত নারী তার শশুর বাড়ির নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অনেকেই স্বামী সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে সহ্য করে যাচ্ছে অথবা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। আমি চাই না কোন শত্রুর মেয়ের সাথেও যেন এমন না হয়। আমি দোয়া করি মহান আল্লাহ তায়ালা যেন এদেরকে হেদায়েত দান করেন। আমিন।
এই সংসারের সবচেয়ে নিরীহ প্রানী ছিল আমার স্বামী।
যিনি প্রাণ আর.এফ.এল গ্রুপে সহকারী ম্যানেজার হিসেবে চাকুরী করতেন। এই মানুষটাই সবসময় আমার পাশে ছিল এবং আছে। আমি ও আমার স্বামী কারো উপকার করতে না পারলেও কারো কখনো ক্ষতি করার কথা মাথায়ও আনি না।
প্রথম সন্তানের আনন্দ ও কষ্টময় স্মৃতি
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
২০০৯ সালে ১৬ অক্টোবর আমাদের কোল জুড়ে বিরামপুরের রায়হান ক্লিনিকে প্রথম ছেলে সন্তান আসে। তার জন্মের পরের দিন খিচুনী দেখা দেয়। বিরামপুরের ডাক্তাররা ঢাকায় অথবা রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাজেস্ট করল।রংপুরে নিয়ে যাওয়ার পর আমার বাবার বন্ধুর সাহায্য সহযোগিতায় ছেলেকে ভর্তি করানো হয়। ১২ দিন ইনকিউবেটর মেশিনে রাখার পর সুস্থ হলে বাড়ি নিয়ে আসি।
১১ দিন আমি আমার স্বামী ও আমার মা এক প্রকার পথ মানব বা পশুর মতো জীবন যাপন করেছি।
ঐ সময় রংপুর কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ প্রতিদিন দুই বার এসে দেখে যেতেন। হাসপাতালের কাছেই হোটেল বুকিং করা থাকলেও আমার স্বামী শীতের রাতে তার জুতা মাথায় দিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে রাত কাটাত। এই ক দিনে কত মায়ের বুক যে খালি হতে দেখেছি।
১২ দিন পর ছেলেকে নিয়ে বাড়ী ফিরে আসি। এখানে বলে রাখা ভাল আমার ছেলেটা একজন বিশেষ শিশু।আত্মীয় স্বজনের কাছে এজন্য অনেক কটুকথা শুনতে হয়েছে। প্রতিবন্ধী সন্তানের বাবা মা হওয়া যে কত কষ্টের তা শুধু আমরাই জানি। আমাদের সমাজে প্রতিবন্ধী মানেই অভিশাপ মনে করে। সমাজের মানুষের কাছ থেকে অনেক কটুকথা এখনও শুনেই যাচ্ছি। আমাদের ঐকান্তিক চেষ্টা ও চিকিৎসায় আমার ছেলে আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে এখন অনেকটা সুস্থ এবং ক্লাস ফাইভে পড়ে। আলহামদুলিল্লাহ।
ছেলের চার বছর বয়সে আমার মেয়ের জন্ম হয়।
আমার প্রিয় দুই বাবার বিদায়
"""""""""""""""'''''''''''''''''"''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
জীবনের অনেকটা সময় হার্টের সমস্যা নিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকা চিকিৎসা বাবদ খরচ করে ২০১৭ সালে আমার বাবা মারা যান। তবে আমার সৌভাগ্য যে বাবার মৃত্যুর আগে থেকেই আমি আমার বাবার পাশে সেবা করার সুযোগ পেয়েছি।
২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের ০২ তারিখে এ সংসারে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ আমার শ্বশুর বাবাকেও হারাই। কিন্তু সারাজীবন একটা দুঃখ আমাকে কাদাবে আমার শশুর মারা যাওয়ার সময় আমি দিনাজপুর থাকার কারণে শেষ দেখার সুযোগ আমার আর হয়ে উঠেনি।
বাবা মারা যাওয়ার পর আমি আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করতাম যেন আল্লাহ তায়ালা এই নরক পুরী থেকে যেন দুরে কোথাও নিয়ে যায়।
মহান আল্লাহ তায়ালার ইশারায় আমার স্বামী বদলী হল হবিগঞ্জ।
আমরা গল্পের রাজ-রাণীর মতো সুখে দিন কাটাতে লাগলাম। এখানে এসে আমার স্বামীর প্রমোশন হয়।আমার সন্তানরা শুক্রবার দিনের আশায় থাকত। আমার স্বামী এমনিতেই ভ্রমণ পিপাসু মানুষ। প্রতি শুক্রবার বা ছুটির দিনগুলোতে আমার স্বামী সিলেটের দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরতে নিয়ে যেত অথবা নরসিংদী নিয়ে আসত।
উদ্যোক্তা জীবনের সূচনা
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
হবিগঞ্জে আমরা যে বাসায় থাকতাম (৩য় তলায়) ঐ বাড়িতে বসবাসরত প্রায় সব মহিলারা কেন জানি আমাদের খুব ভাল বাসত। আমার স্বামী অফিসে যাওয়ার পর আশেপাশের ভাবীরা চলে আসত হাতের কাজ শিখার জন্য সাথে গল্প করার জন্য। সেই থেকে শুরু আমার উদ্দোক্তা জীবন।
উদ্যোক্তা জীবনে ৩৬৫দিন, প্রেম-ভালবাসা-অনুভূতি ও স্মৃতিচারন।
""""""""""""""""""""""""""''""""""""""""""""""""""""""""""
কোথায় যেন শুনেছিলাম জীবনে প্রেমে পড়া বারন।
কিন্তু আমার কিছুই করার ছিল না যদি থাকে প্রেমে পড়ার মতো এমন যুক্তি যুক্ত কারণ।
০১-০৪-২০২১ইং উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে- নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে আমার লাইফ পার্টনার, বর্তমানে বিজনেস পার্টনার এর সহযোগীতায় রেজিষ্ট্রেশন করেছি।
পার্টনার ১১তম ব্যাচ থেকে যুক্ত থাকলেও ততটা একটিভ ছিল না। আমি মাঝে মধ্যে মোবাইলে একটু আধটু ফেইসবুক চালাতাম। মার্চের দিকে পার্টনার বলল তোমাকে নতুন একটা স্মার্ট মোবাইল কিনে দেয়। আমি বললাম কি দরকার আমারতো এই মোবাইলেই চলে। তাছাড়া সময়তো খুবই খারাপ যাচ্ছে। পার্টনার বলল আমরা অনলাইন বিজনেস করব।
যেই কথা সেই কাজ জীবনের চরম দুর্দিনে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কিস্তিতে মোবাইল কিনে দিল। দুর্দিন বলছি এই জন্য ২০২১ সালে করোনা কালীন সময়ে জানুয়ারী মাসেই আমার পার্টনার স্মার্ট বেতনের চাকুরী হারায়। ততদিনে করোনার ভয়াল থাবা আবারও গোটা বিশ্বসহ আমাদের দেশকেও গ্রাস করা শুরু করেছে। পার্টনারও তার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরীর ব্যবস্হা করতে পারছেনা। তাই এক বন্ধুর সাথে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু শুরুতেই আমার স্বামী তার ছোট ভাইকে ৯০০০০ টাকা, এক বন্ধুকে ৯৭০০০ টাকা আর একজনের সংসার চালানোর জন্য ৩০০০০ টাকা ধার দেয়। যা পরবর্তীতে অল্প অল্প করে প্রায় এক বছরে তারা পরিশোধ করে ততদিনে পুজির অভাবে ব্যবসা প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যায়।
উদ্দোক্তা এবং ব্যবসার নানা বিষয় নিয়ে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এখানে এই ছিল আমার ঝুলিতে প্লাটফর্ম এর জ্ঞান। এখানে যুক্ত হওয়ার আগেই পার্টনারের চাকুরীর সুবাদে হবিগঞ্জ থাকাকালীন সময়ে নরসিংদীর সেকেরচর (বাবুরহাট) থেকে কিছু থ্রিপিস নিয়ে বাসায় বিক্রি করা শুরু করেছিলাম। টুকটাক বিক্রিও হতো। চাকুরী হারানোর পর হবিগঞ্জ থেকে ঘোড়াশালে চলে আসলাম ফেব্রুয়ারীর শেষ দিকে। ঘোড়াশালে চলে আসার পর আবারও বাসায় থ্রি-পিস বিক্রির চেষ্টা করলাম। এখানেও টুকটাক বিক্রি হতো।
মোবাইল কিনার পর কিভাবে ফেইসবুকে পোস্ট করতে হয় তাও তো জানি না।
এখন আবার পরিচিতি পোস্ট ও নাকি দেয়া লাগবে, কি ঝামেলা!
পার্টনারের সহযোগীতায় দিলাম পরিচিতি পোস্ট।
খটকাটা এখানেই শুরু জীবনের প্রথম পোষ্টে ওমা এত লোকের উইশ অভর্থ্যনার কি হল????
আবার স্বাগতম।
আমি কি মন্ত্রী নাকি এম.পি বা বিশেষ কেউ নাকি।
তবে প্রথম বার ফেসবুক পোস্ট এ সবচেয়ে বেশি কমেন্ট এ অভিনন্দন বার্তা পেলাম। বেশ আনন্দ লাগল।
আনন্দে জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে নতুন করে সাহস পেলাম। প্রথম পোস্টেই যখন এত মানুষের ভালবাসা পেলাম তাহলে অবশ্যই আমার পন্য কেউ কিনবে।
এপ্রিলের ১৩ তারিখে সাহস করে আমার তৈরি হাতের কাজের পাপোষের ছবি দিয়ে নিজেই পোস্ট করলাম।
হঠাৎ শ্রদ্ধেয় বড় ভাই মোস্তাক আহমেদ মৃধা মডারেটর ভাই গ্রুপে পোস্ট দিল নরসিংদীর ম্যাসেন্জার গ্রুপে কেউ রেজিষ্ট্রেশন করতে চায় কিনা। আমার পার্টনারও ম্যাসেন্জার গ্রুপ সম্পর্কে কিছুই জানত না। আমি আগেই বলেছি আমার পার্টনার গ্রুপে ততটা একটিভ ছিল না। সাহস করে পার্টনারের সহযোগীতায় শ্রদ্ধেয় মোস্তাক ভাইকে ম্যাসেন্জারে ফোন দেই।
প্রথম আলাপচারীতায় ভাইয়ার ব্যবহারে আমি এতটাই মুগ্ধ হই যে ফাউন্ডেশনের প্রতি ভালবাসাটা সেখান থেকেই শুরু।
এখানে বলে রাখা ভাল পার্টনার আমাকে ম্যাসেন্জারে ফোন দেয়া শিখালেও আমি জীবনের প্রথম অনলাইনে মোস্তাক আহমেদ মৃধা ( অপরিচিত) ভাইয়ার সাথেই কথা বলি যা আমার জীবনে আশীর্বাদ স্বরুপ। ভাইয়ার সার্বিক সহযোগিতায় জাগো নরসিংদী টিমে আমরা দুজনেই যুক্ত হই।
একদিন সাহস করে অনলাইন মিটআপে যুক্ত হই।
পরিচিত পোস্টে অনেক লাইক কমেন্টস পেয়ে আর শ্রদ্ধার বড় ভাই মডারেটর মোস্তাক আহমেদ ভাইয়ের উৎসাহ পেয়ে যখন আকাশে বাতাসে উড়ছি,, প্রায় সূর্যের কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম সেই মুহূর্তে, আমাকে টেনে ধরে নিচে নামানো হল। কেন????? জাগো নরসিংদী টিম কর্তৃক ১০০তম দিনে অফলাইন মিট আছে।
অংশগ্রহন করে কিছু ভালো মানুষের কথা শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল। আলোচনা শুনে এবং গ্রুপের সার্বিক কার্যক্রম শুনে প্রেমটা আরো একটু গেল বেড়ে।
মিটআপে কাউকে চিনি না কিন্তু আপু ভাইয়াদের আচার আচরণে মনে হয়েছে আমি তাদের কতদিনের পরিচিত।
মিট আপে আবারও সেশন ক্লাসে অংশগ্রহণের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করা হল। মিট আপ থেকে ফিরে আসার সময়ই ডিসিশন নিলাম প্রতিদিনের অনলাইন মিটআপে যে ভাবেই হোক অংশগ্রহণ করা লাগবে।
সেশন চর্চায় জয়েন্ট শুরু করলাম।
কিন্তু,,,,,,,,,,,,,,,,,
মনে লাড্ডু ফুটিয়ে সূর্য ভ্রমণে ব্যাঘাত ঘটল যখন আমাকে পরিচয় দিতে বলা হল। আমি কি বলব? কিভাবে বলব? সবাই কি ভাব্বে? এত মানুষের সামনে কেমনে কথা বলে? একবার,,,,,,, দুবার,,,,,, তিন বার ডাকা হল আমি শুনতে পাচ্ছি মাইক্রোফোন খুলিনা। লজ্জায় ভয়ে এর থেকে তো ছুটন্ত ষাড়ের গলায় ফুটন্ত গোলাপের মালা পড়ানো সহজ।
ইনবক্সে মেসেজ এর পর ১ মিনিটের জন্য মাইক্রোফোন খুলে যা বলেছিলাম তাতে কথার থেকে নিশ্বাসের কালবৈশাখী ঝড় বেশি ছিল এবং এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পানের ও প্রয়োজন হয়েছিল।
আমার অগোছালো কথা শুনেও কতিপয় ভালোমানুষ প্রসংশা এবং অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন এবার সস্তি লাগলো। নাহ ভুল হলেও তো কেউ হাসেনি, কেউ হাসবেনা, কেউ মাইন্ড করেনি বা করবে না। সবাই খুবই আন্তরিক। ভাইয়া আপু ছাড়া কেউ কথা বলে না। শেখার সুযোগ আছে অনেক কিছু। সেই থেকে শুরু,,,,,
তিনদিন শিখে সাহস করে জাতীয় সংগীত গাওয়া,সাহস করে শপথ পাঠ করা , সেশন পাঠ করা অবশেষে শ্রদ্ধেয় তাজরীন আপুর সার্বিক সহযোগিতায় সেশনে উপস্থাপনা করা.....
প্রতি দিন সেশন পড়া, পোস্ট পড়া এবং হিংসে করা এত ভালো কি ভাবে করে সবাই, আমাকেও ভাল কিছু করতে হবে।
"জাগো নরসিংদী" টিম কর্তৃক আয়োজিত ১০০ তম মিট আপ শেষ হওয়ার পরই ঘোষনা আসল দুই বছর পর মহা সম্মেলন হবে জানুয়ারীর -১৫ তারিখ। মনে মনে ঈদের আনন্দ অনুভব করছিলাম।
হঠাৎ লিডারদের কাছে শুনলাম মহাসম্মেলন হবে না। তাই মোস্তাক ভাইয়া দুবাই চলে যাওয়ার সময় আরও একটা অফলাইন মিটআপ হবে সেখানে আমরা বুড়া-বুড়ি অংশগ্রহণ করি। বলতে পারেন সেদিন উপস্থিত নরসিংদীর বড় ভাই মোস্তাক ভাই, সাব্বির ভাই, রায়হানুর রহমান ভাই, সাইফুল ভাই, রনি আপু, সবাই আমাকে এতটাই ভালবাসা দিয়েছেন যে গ্রুপের সাথে ফাইনাল ভালবাসাটা সেদিন থেকে শুরু হয়েছে।
মহাসম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সুশৃঙ্খল অনুষ্ঠান দেখে, সামনা সামনি স্যারকে দেখে, আল্লাহর রহমতে স্যারের সাথে কথা বলার সুযোগ হওয়ায় সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি।
আমার লাখ টাকা সেল হওয়ার আনন্দের সাথে স্যারের
অভিনন্দন
কমেন্ট পেয়ে যারপরনাই খুশি হওয়ার প্রাপ্তি আমাকে নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
মোস্তাক আহমেদ মৃধা ভাই, লোকমান ভাইয়া,তাজরীন আপু সব সময় পরামর্শ দিতেন কিভাবে পোস্ট লিখতে হয়। মোস্তাক ভাইয়া সব সময় আমাকে বেশী বেশী পোষ্ট করার জন্য বলতেন। চারপাশে যা দেখবেন তাই লিখবেন। অদ্ভুত! চারপাশে তাকিয়ে তো আমার মাথায় কিছুই আসেনা।
এর মধ্যে একটা সেশন পেলাম।
স্যার প্রশ্ন করছেন, চারপাশে জিনিস দেখে কার কার মাথায় আইডিয়া কিলবিল করে?
যারই করুক আমার করেনা! এরপর পেলাম সেই বানীটি,
স্বপ্ন দেখুন,
সাহস করুন,
লেগে থাকুন,
শুরু করুন, সফলতা আসবেই।
-"ইকবাল বাহার জাহিদ"
একদিন পার্টনার বলল কারো কাছ থেকে কিছু খাদি পাঞ্জাবির ছবি নাও। এক আপুর কাছে অনুমতি নিয়ে ব্যক্তিগত ফেইসবুকে ও গ্রুপে পোস্ট দেই। তার আগে আমি শুধু আমার হাতের তৈরি পাপোশের পোস্ট দিতাম। এক আপু নক করল তার পাঞ্জাবী লাগবে।
আমি আমার মাটির ব্যাংক ভেঙে পার্টনারের হাতে ১২৫০ টাকা দেই। আমার পার্টনার বাকী টাকা ম্যানেজ করে শুরু হয় আমার উদ্দোক্তা জীবনের দ্বিতীয় ধাপ অনলাইন, অফলাইন প্রথম ধাপ।
দিনে দিনে প্লাটফর্ম এর সাথে থেকে থেকে ভালোবাসা বাড়তে থাকল। নিয়মিত পোস্ট করছি। অসংখ্য ভাইবোনের সাথে পরিচিত হচ্ছি। বিভিন্ন জেলার মিট আপ গুলোতে অংশ নিচ্ছি। লিখতে ভালো লাগছে, শিখতে ভালো লাগছে। একসময় বেশ প্রসংসা পেতে শুরু করলাম। বিশেষ করে মোস্তাক ভাইয়া বিভিন্ন উদাহরণে আমার নাম বলত। ভাই বললেন, আপনি প্লাটফর্মের প্রেমে পড়ে গেছেন।
মনে আছে প্রথম দিকে কি বলেছিলাম? এই গ্রুপে জয়েন্ট করার উদ্দেশ্য ছিল অনলাইনে বিজনেস করা।
কিন্তু এই গ্রুপে আমি এখন উদ্দোক্তা হবার পাশাপাশি প্লাটফর্ম এর ভালমানুষী শিক্ষা বুকে নিয়ে সাহস করে শুরু করেছি
হাতের কাজের পাপোষে,
সুই সুতোর কাষ্টমাইজ পান্জাবী,
শাড়ী, থ্রিপিস,
বিভিন্ন রকম পাঞ্জাবি,
উলের শাল,
কম্ফোর্টার,
জুতা,
নরসিংদীর ঐতিহ্যবাহী ফুল পিঠা,
রসুনের আচার
টমেটোর আচার
নিজের জন্য একটা স্বপ্ন দেখা শুরু করেছি স্বপ্নের জগতের নাম দিয়েছি Lamimlamia boutique house
পেইজ লিংক - https://www.facebook.com/Lamim-lamia-100516952080179
আপনি কি ভাবছেন???
আমি দিন রাত খেয়ে না খেয়ে, আদা জল খেয়ে জিরা জল খেয়ে মোবাইলে লেগে ছিলাম ???
নাহ।
সংসারের সকল কাজ কর্ম স্বাভাবিক রেখে ফাউন্ডেশনের সাথে প্রেম করেছি।
ফাউন্ডেশন থেকে আমার শিক্ষা
"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
আমরা"দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ"করতে পারব।
প্রতি দিন আমি ফাউন্ডেশন থেকে স্যারের শিক্ষা নিচ্ছি।
আমি স্বপ্ন দেখতে শিখে গেছি।
আমি ভালো মানুষ এর চর্চা করতে শিখেছি।
আমি প্রতি দিন সেশন চর্চায় থেকে কথা বলার জড়তা কাটাতে শিখে গেছি।
আমি ৩০ টা ভিডিও সেশন করার সুযোগ পেয়েছি।
আমি মানুষের সাথে মিশতে শিখেছি।
কীভাবে একজন ভালো উদ্যোক্তা হওয়া যায়।
কীভাবে অন্যের বিশ্বাস অর্জন করা যায়।
ফাউন্ডেশনে এসে শিখেছি টিম ওয়ার্ক।
রাগ না করা।
শিখেছি বিনয়।
শিখেছি ধৈর্য্য ধারন করা
দায়িত্বের কথা আসলে আমাকে দিন/ আমি করতে চাই বলতে পারি
এসব কিছু আমি আমার প্রিয় স্যারের কাছ থেকে শিখেছি এবং প্রতি দিন শিখছি।
আমি ফাউন্ডেশন থেকে প্রতি দিন সেশন পড়ি।
অনেক কিছু শিখতেছি। নিজের বিজনেসে এপ্লাই করতেছি।
বিভিন্ন স্কিল শিখছি প্রতিনিয়ত। প্ল্যাটফর্মের আজীবন সদস্য হিসেবে সবাই সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে চাই ।
সত্যি বলতে আমার চলার পথে হাজারো সমস্যা আসুক কিন্তু স্বপ্ন পূরণের যে প্ল্যাটফর্ম আমি পেয়েছি সেটা আমার চলার পথে শক্তি জোগাবে, অনুপ্রেরণা দিবে। স্যারের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
কৃতজ্ঞতা
"""""""""""""""""""""""
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, জাগো নরসিংদী টিমের সকল ভাই বোনদের প্রতি। বিশেষ করে আমাদের প্রিয় রিডার @ সাব্বির ভুইয়া ভাইয়া @ রায়হানুর রহমান ভাইয়া @সুমন ভূইয়া ভাইয়া @ফেরদৌস খন্দকার@ফেরদৌস আহমেদ ভূইয়া @ মোস্তাক আহমেদ মৃধা ভাইয়া @ এম কে ইসমাইল ভাইয়া @রাসেল আহমেদ ভাই@ ইউনুস চৌধুরী ভাইয়া @তাজরিন চৌধুরি আপু @ রনি আক্তার আপুসহ নরসিংদী জেলার নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশনের সকল ভাই ও আপুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা৷
প্রিয় শিক্ষাগুরু ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি, যত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি না কেন কম হবে। এই প্লাটফর্ম যুক্ত না হতে পারলে জীবনের মানে খুঁজে পেতাম না। গত এক বছরে যে টুকু জানতেও শিখতে পেরেছি তা বলে বুঝানো সম্ভব নয়। প্রিয় স্যারের কথা শুনে আমি অনুপ্রানিত হয়েছি, নতুন করে আরো স্বপ্ন দেখতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৭৫
তারিখ-৭৭৫/০৩/২০২২
লতিফা হেলেন লতা
ব্যাচ - ১৩ / রেজিষ্ট্রেশন নং - ৬১৬২০
দিনাজপুর বিরামপুরের মেয়ে
বর্তমান অবস্থান - ঘোড়াশাল পলাশ নরসিংদী।