ছোট বেলা শিখে আসা কাজ গুলো আমার প্রবাসি জীবনে শক্ত পুঁজি হিসাবে দাডায়
🧩বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম🧩
🎀আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমতুল্লাহ ওয়াবা রাকাআত
🕹আমার জীবনের গল্প🕹
🎏সর্ব প্রথম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি অশেষ শুকরীয়া যে মহান আল্লাহ আমাদের কে সুন্দর সুস্হ ও সুখে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
🌐 আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি লাখো দরুদ সালাম জানাচ্ছি যিনি না হলে কুল কায়েনাতের কোন সৃষ্টি আল্লাহ সৃষ্টি করতেন না। 🌐
এবং চিরকাল কৃতজ্ঞ,,
🚸🚸🚸🚸🚸🚸
🏆 আমার প্রিয় ""মা"" বাবা"" প্রতি,,
রাব্বি হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি ছাগিরা, মুরুব্বিদের স্মরণ করছি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি🏆
🧧জীবনে আজকের এই গল্প লিখার স্পৃহা যার যার মাধ্যমে আমার হৃদয়ে জাগ্রত হলো সে ঐ মহান ব্যাক্তি যাকে আমি বলি মানুষ গড়ার কারিগর বাংলার এক গর্বিত মায়ের কৃতি সন্তান বিনা পারিশ্রমিকে যিনি লাখো যুবক যুবতি তরুন তরুনী ও স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী দের শিখিয়ে যাচ্ছেন জীবনে ঘুরে দাড়ানোর মহা মন্ত্র অসহায় হতাশা গ্রস্হ মানুষের মাঝে করছে প্রান সঞ্চালন ও বেছে থাকার স্বপ্ন দৃঢতার প্রমান রেখেছে সেই প্রিয় মেন্টর জনাব মুহাম্মদ Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি,, 🧧
♦♦প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতিষ্ঠিত "নিজের মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" এর গর্বিত সদস্য আমি হয়ে নিয়মিত সেশন চর্চা ক্লাসে উপস্থিত থেকে সঞ্চালনা করে যাচ্ছি ,১১ তম ব্যাচ থেকে ৯০ দিনের সেশন গুলো নিয়মিত পডে আসছি, এবং প্রিয় স্যারের শপথ নামাটি বুকে ধারন করে রেখেছি, কথা বলার জডতা কাটানোর ভিডিও সেশনে ৫০ টি ভিডিও সেশন পোস্ট করেছি অপ লাইন ও দেশের যে কোন অঞ্চলের অন লাইন মিটাব ও সেশন চর্চা ক্লাসে যুক্ত থাকার চেষ্টা করি,গুরুপে প্রিয় ভাই বোনদের নিজের জীবনের গল্প গুলো পডে নিজের কমেন্ট করে থাকি, এবং প্রিয় স্যারের ইউটিউব চ্যানেল বিভিন্ন ভিডিও দেখে আমার জীবনের গল্প টা লিখতে সাহস পেয়েছি। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রিয় স্যার কে হায়াতে তাইয়েবা দান করুক স্যারের প্রতি টি কাজে আল্লাহ বরকত দান করুক। আমিন,,
🙏আমার জীবনের গল্প🙏
আমি -আলী মর্তুজা
পিতা- আলহাজ্ব আবদুল মান্নান
মাতা- হোসনেহারা বেগম
র্জম্মস্থান - পশ্চিম ডাক্তার পাডা
ইমাম বক্স হাজি বাডি উত্তর রামপুর ফেনী।
🌐 আমি আমাদের পরিবারের ছোট সন্তান, অথাৎ ১ বোন ৮ ভাইয়ের ভিতরে সবার ছোট ছিলাম আমি, তাই আমার আদরের শেষ ছিল না,
এতই আদর সোহাগ ছিল যে.. মতির সঙ্গে তুলনা করে আমাকে আদর করে ডাকতো মতি, আদরের সিমাটা এতই বেশী ছিলো যে,
যার প্রবাব আমার র্বতমান জিবনে পডেছে,
সব কিছুতেই প্রধান্য দেওয়া হয়েছে আমকে এবং আমার ছেলে মানুষিগুলোকে, কারন আমি ছিলাম আমাদের পরিবারের ছোট সন্তান,
পডা লেখায় ও আমাকে কোন প্রেশার দেওয়া হয়নি এবং বাঁধা দেওয়ার হয়নি দুষ্টামিতেও, পড়া লেখার চেয়ে
দুষ্টামি করাটাই আমার ভালো লাগতো, ছিলো না কোন বাধা, ছিলোনা টাকা পয়সার অভাব, মা ছিলো আমার ওপেন ব্যাংক, কোখনো কখনো অতিরিক্ত কিছু টাকার দরকার পডে যেতো যা মায়ের কাছে বলে নেওয়ার মত ছিলো না, সে টাকা গুলো যোগাড় করতাম ঘরের চাউল, ডিম, সবজি সহ অন্নান্য জিনিস বিক্রি করে, কোন বাধা ছিলো না, এই টাকা গুলো খরচ করা হতো বাইরে স্পেশাল কিছু খাওয়া,নতুন পোশাক, ও সিনেমা দেখা। বন্দু বান্দব নিয়ে আড্ডা মারা, খেলা দুলা ও বিভিন্ন সংগঠন ও সাংস্কৃতিক গুরুপের সাথে জডিত থাকা, নামাজ পড়াটা বাধ্যতা মুলক ছিল পারিবারিক ভাবে, আলহামদুলিল্লাহ্।
সকল সয়তানির মাফ ছিল কিন্তু, নামাজের জন্য ছাড ছিল না,
কৃষি ফসলের জমি গুলো ছিল বাথানিয়া ও ছাডি পুর এলাকায়, ফসল উত্তোলনের সুবিধায় বাথানিয়া তে আমাদের আর একটি বাড়ি করে,
আমি মধ্য বৃত্ত পরিবারের সন্তান কৃষি ফসল ছিল আমাদের পরিবার চলার মুল উৎস, পডালেখার সাথে কৃষি কাজে ও জডিত ও সহযোগিতা করতে হতো আমাকে,আমি সবজি চাষে উৎসাহী ছিলাম তাই হাল চাষ সহ সৃজনশীল সব ধরনের সবজির চাষ করতাম, পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশীদের কেও বিনা পয়সায় খেতে দিতাম,
মানুষকে দেওয়ার উৎসাহ পেয়েছি আমার বাবা মায়ের কাছ থেকে, গোল আলু সহ যে সব সবজি একটু বেশি পরিমান চাষ করতাম তা নিজের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে খরচ টা পুষিয়ে নিতাম, এই কাজে সব ধরনের সহযোগিতা আমার মা বাবা করতো, ফসল ভালো হোক বা মন্দ হোক আমার মা বাবা আমাকে কখনো নিরুৎসাহিত করে নাই,
পাশাপাশি আমার আব্বা আমাকে এগ্রিকালসার ট্রেনিং ও করিয়েছে দুই বার এতে আমি আরো উৎসাহিত হই, গোলাভরা ধান পকুর ভরা মাছ খেত ভরা সবজি ছিল আমাদের , আমাকে এই কাজে শ্রম দিয়ে সহযোগিতায় ছিলো আমার ভাতিজারা, ষষ্ঠ শ্রেনী থেকে দশমশ্রেনী পযর্ন্ত মহা শুখে দিন গুলো অতি বাহিত হয়, নিজের পকেট খরচে টাকা গুলো কিছুটা এখান থেকে এসে যেতো বাকিটা যোগান দিত আমার ওপেন ব্যাংক মা জননী,
ভালো খাবার খেয়ে সবাই ভালো শাস্তের অধিকারী ছিল পরিবারের সবাই,
আমার মা ছিল আমার ওপেন ব্যাংক,যেহেতু সংসারের ছোট ছিলাম তাই আমার মায়ের কাছে আমার আবদারের গ্রহনযোগ্যতা ছিল অপরিসীম , বাবা ও হাত খরচের টাকা দিতো তা চাহিদা মুলক নয়, বিশাল পরিবারের খরছ বহন করতে বাবা অনেক সময় হিমশিম খেয়ে যেতো, এর ভিতর আমার মা অসুস্থ হয়ে পডে, এবং মায়ের জানা হয়ে গেছে যে তিনি আর মনেহয় সুস্থ হওয়া সম্ভবনা নেই, তাই মা আমাকে ডেকে বল্লেন যে, আলী তুমি যে ভাবে টাকা পয়সা খরচ করছ তার একটা লিমিটেশন প্রয়োজন, আমি রাগ করে বল্লাম খরচের টাকাই তো নিতেছি দিতে পারলে দিবা, না হয় দিবানা, তখন মা আমায় আদর করে বল্লো বাবা এখন যা দিতেছি আরো একটু বাডিয়ে দিব, তুমি একটু খরচ কম কর, এখান থেকে কিছু টাকা বাচিয়ে রিক্সা সমিতিতে নাম লিখাও যখন তোমার নামে একটা রিক্সা হয়ে যাবে তা বাড়া দিয়ে তোমার পকেট খরচ চালাবে বাডতি টাকা ব্যাংকে জমা করবে, মা বল্লো এই উপদেশ এই জন্য দিচ্চি যে, আমি মনে হয় আর বেশি দিন বাচবো না, মায়ের কথা মত তাই করলাম, সমিতে নাম লিখিয়ে নিলাম, এইভাবে দিন অতিবাহিত হতে হতে প্রায় ৮০% টাকা জমা হয়ে গেছে, এক দিকে আমার S S C পরীক্ষার পডার চাপ,ঐ দিকে মায়ের অবস্থা দিন দিন খারাপের পথে, অবশেষে মা বিছানায় শুয়ে গেলেন, নিজের শরির টা নিজে নডা চডা করার ক্ষমতা হারিয়ে পেলেন, একদিকে আমার পরীক্ষার পডা অন্য দিকে মায়ের সেবা, মায়ের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে যে, পডায় সময় আর পাওয়া যাচ্চে না, আর পডাতে মন বসাতে পারছি না, পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল আর মায়ের অবস্থা শেষ পর্যায়, পাশ করার মত পরীক্ষা দিতে পারিনি, তার ভিতর মা চলে গেলেন না ফেরার দেশে, আমার জীবনে নেমে এলো ঘোর অন্ধকার, তখন পযর্ন্ত সমিতিতে ৯০% টাকা জমা হয়ে গেছে, বাকি সপ্তাহ গুলো পরিশোধ করার মত টাকা যোগাড় করা সম্ভব হচ্ছে না, বড ভাই বাবার কাছেও চাইতেও পারছি না, তারা যদি জানতে পারে সমিতি মূলধন নিয়ে যাবে,এদিকে হাত খরচের টাকা বাবা যা দিচ্ছেন তা দিয়ে সমিতির ডিপেজিটের ৫ % হয় না, সমিতি তে ডিপেজিট গ্যাপ পডে যাচ্ছে , দিনে কোথাও কাজ করে টাকা যোগাড় করবো পারিবারিক ভাবে সেই ধরনের পরিবেশ ছিল না, তাই বিকল্প ব্যাবস্থা হিসাবে রাতে ট্রাক আনলো ডিং এর কাজে সহযোগিতায় যোগ দিলাম , যাতে কেউ চিন্তে না পারে, অনেক কষ্ট করে একটি রিক্সার টাকা পরিপূর্ণ করলাম, কিন্তু মা মারা যাওয়ার পর সমিতির নিয়মিত ডিপোজিট জমা না দেওয়ার কারনে সমিতির পরিচালক আমার বড ভাইদের বিষয় টি অবগত করে , তারা জানতে পারলো যে এই টাকা গুলো জমা হচ্ছে , অপেক্ষায় ছিল কখন সমিতি পরিপূর্ণ হবে, অবশেষে তাই হলো যার ভয় ছিল, আমার ভাইয়েরা আমার মুলধন গুলো নিয়ে গেল,
আর আমি প্রথম বারেই হেরে গেলাম, এবার
কষ্টে ভরা কঠিন চ্যালেঞ্জের দিন এসে গেল
মায়ের মৃত্যুতে সাংসারিক সকল কাজ র্কম অচল হয়ে যায়
বড ভাইয়েরা যার যার পরিবার নিয়ে আলাদা হয়ে জায়,
আমি বাবার সাথে মেজো ভাইয়ের পরিবারের সাথে রয়েছি, তারও নুন আনতে পানতা পুরায়,
বাবা সম্পুর্ন ভেঙ্গে পডেন,
শুধু মসজিদ আর বাসা ছাডা কোন কিছু করার মন মনাষিকতা বাবার নেই,
দুনিয়াতে কি হচ্ছে সেই সমর্পক্ষে বাবার কোন খেয়াল নেই,
মাঝে মাঝে আমার মায়ের কথা মনে করে বিলাপ করে কেঁদে উঠত,
কারন বাবা আমার মাকে সিমাহিন ভালো বাসতো,
বাডিতে মায়ের সৃতি আমাকে খুব কাঁদাতো তাই
আমিও মায়ের সৃতি ভুলতে সারাদিন মসজিদে কাটাতে লাগলাম,
খিদা লাগলে বাডিতে যেতাম খাবার মুখে দেওয়ার আগে মনে হতো যেন কেউ বলছে যে রোজগার করে খাও,
হল তাই সিদা না বল্লেও বুজানোর চেষ্টা চলছে এই খাবারে আমার কোন অধিকার নেই,
চলা ফেরা খুবই কষ্ট হচ্ছে , পরনের লুংগিটা বিভিন্ন জায়গায় ছেদ হয়ে গেছে,
আর একটি লুংগি কার কাছে চাইব তা ভেবে পাচ্চি না,
ছিন্তা করলাম কিছু একটা করতে হবে,
কিন্তু কি করবো,
এমন সময় দেখি পাশ র্ভতি বাডির এক বাগিনা তার মটর ওয়াকশপে যাচ্চে,
আমার সাথে দেখা হয়, সে আমাকে বল্লো মামা কি করেন,
আমি উত্তর দিলাম বাবছি তোমার ওয়াকশপে গিয়ে কাজ সিখব, সুযোগ দিবে তো,
সে হেসে বল্লো কি বলেন মামা ইয়ারকি করেন,
আপনার মত লোক আমার ওয়াকশপে কাজ শিখবে, তখন তাকে আমার সমস্যা গুলো জানালাম,
তখন সে আমাকে বুদ্ধি দিল যে, এই কাজ সিখতে অনেক লম্বা সময়ের ব্যাপার,
আপনাকে ওয়াকশপে কাজ দেওয়া সম্ভব নয়,
কারন ওয়াকশপে যারা কাজ করে, তারা নিজেরা কাজ জোগাড় করে আমার ওয়াকশপের জায়গা যন্ত্র পাতি ব্যাবহার করে,
এবং আমাকে পারসেন্টিস দেয়,
আপনি বিদেশে চলে যান, তখন মাথায় বুদ্ধি এল সত্যি তো, তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে বল্লাম, আরে বিদেশ যাওয়ার জন্যইতো কাজ শিখতে হবে,
সে বল্লো ঠিক আছে মামা যারা কাজ করে তাদের সাথে শিখবেন কিন্তু কোন পয়সা পাবেন না,
কিছু না ভেবেই তার সাথে কাজ শিখতে চলে গেলাম, এখান থেকেই শুরু করলাম,
যখন ওয়াকশপে যাই লোক জন আমাকে দেখে হাসা হাসি করে,
আমি নাকি বুডা বয়সে কাজ শিখতে গিয়েছি,
এক মাস কাজ করলাম কিছু টাকাও পেতে লাগলাম মোটামুটি অনেকের চেয়ে ভাল কাজ করতে লাগলাম, হঠাৎ দোকান ঘরের মালিক ওয়াকশপে জায়গায় বিল্লিং করার জন্য ওয়াকশপ সহ সব দোকান বন্ধ করে দিল, তার পর আর এই কাজ শিখা হল না,
আমার এক ভাইয়ের একটি সাইকেল ছিল, আব্বা কে বলে কিছু টাকা নিয়ে সাইকেল টি মেরামত করিয়ে ফেনী টাউনে গ্রীল ওয়াকশপে কাজ শিখার জন্য যেতে থাকি,
সেখানেও নতুন অবস্থায় কোন টাকা পাইনাই, কিন্তু যারা ওভার টাইম কাজ করে,তাদের সাথে
ওভার টাইমের কাজ করলে তারা মোটামুটি কিছু টাকা দেয়,
তখন কাজ শিখার জন্য ওয়াকশপে ৮ ঘন্টা কাজ করি, আর পকেট খরচ চালানোর জন্য ওভারটাইম শুরু করলাম,
মোটামুটি চলতে লাগলো, হঠাৎ করে আমার ভাই তার সাইকেল টি নিয়ে গেল।
এইবার ওয়াকশপে জাওয়াও বন্দ হয়ে গেল।
তার পর এক ভাইয়ের হোটেল ছিল,
হোটেলে কাজ করতে লাগলাম,ঐখানে শুধু খাওয়া চলতো, কোন টাকা দিতোনা,
এর ভিতর ঈদ এল ভেবেছি ভাই বেতনতো দেয়না, ভাই ঈদের জামা কাপড়তো কিনে দিতে পারে,
কিন্তু তাওহয় নি, রাগ করে ঐখান থেকে বেরিয়ে গেলাম,
এবং বিসিক হাইওয়ের মোডে বসে বন্দুদের সাথে আড্ডা দিতেলাগলাম,
তখন একজন লোক এসে জিজ্ঞেস করলো বিসিকে কুঠির শিল্প টা কোথায়,
আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন,
সে বল্লো পেপারে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সরকার বিনা পয়সায় ইলেকট্রিক হাউস ওয়াইরিং কাজ শিখাবে এবং সাটিফিকেট দিবে,
অষ্টম শ্রেনী হইতে উপরে নেওয়া হবে, তখন ঐ লোক টাকে আমি কুঠির শিল্পে নিয়ে যাই এবং বিষয় টি জেনে নিজেও প্রয়োজনিয় কাগজ জমা দিয়ে তিন মাসের একটি কোর্স করে সাটিফিকেট পাই, আলহামদুলিল্লাহ্।
এবং বন্ধু বানদব দের ঘরে ফ্রি কাজ করি, আর সবাই কে বলি একটা চাকরির খোজ করার জন্য,
বন্দু কালাম ও ইসমাইল এরা চাকরির জন্য খুব চেষ্টা করে, কিন্তু চাকরির জন্য S S C পাস হতে হবে। তখন বন্দু কালাম ও ইসমাইল বলল এবং সহযোগিতা করে আবার S S C পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন করার জন্য সকল সহযোগিতা করল,বাবা থেকে টাকা রেজিষ্ট্রেশনের কাজটি করি,এবং নিজে ঘরে পডে S S C পরীক্ষা দিলাম এবং পাশ করলাম, আলহামদুলিল্লাহ্
🥊জীবন আবার নতুন মোড় নিল,
কলেজে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়ে গেলাম,
এদিকে বাবাও আমার প্রতি একটু খেয়াল করতে লাগলো, পকেট মানি দিতে লাগলো,
HSC পাইনাল পরীক্ষার সময় গনিয়ে এলো।
♦🧧 হঠাৎ করে বাবা অসুস্থ হয়ে পডেন,
ফেনীর বড ডাক্তার বল্লো ঢাকা বারডেম হাসপাতাল নিয়ে জাবার জন্য,
বাবা কে নিয়ে চিকিৎসার জন্য বারডেমে নিয়ে গেলাম, অনেক দিন চিকিৎসা করতে হল, এবং ঢাকাতেই থাকতে হল,
আর HSC পরীক্ষা দেওয়া হল না, আবার থেমে গেলাম, প্রায় তিন মাস পর ডাক্তার বল্লো বাবাকে বাসায় নিয়ে জাওয়ার জন্য,
এবং আমারা ছোট দুই ভাইকে ট্রেনিং দিয়ে দিল, কি ভাবে বাবার নার্সরিং ড্রেসিং করতে হবে। অবশেষে ঢাকা থেকে মেজো ভাইয়ের পরিবারে ফিরা হলো না,
বাবার চিকিৎসার সুবিধার জন্য সেজো ভাই বাসায় এলাম, সেখানে সেজো ভাইসহ তিন ভাই একএে থাকতো,
বাবার সেবা করার শুবাধে আমিও তাদের পরিবারের সাথে জডিত য়ে চার ভাইয়ের যৌথ ফ্যামেলী জড়িত হলাম,
এক দিকে বাবার সেবা চলিতেছে অন্য দিকে খরচের পরিমাণ বেড়ে গেছে, তখন চিন্তা করলাম নগদ সহজে কোন কাজ শিখে নগদ ইনকাম করতে হবে,
তাই মেজো ভাইয়ের একটা গাডি আছে তাতে পেট্রোল খরছ দিয়ে গাডিটা চালানো শিখতে লাগলাম, বাবাও মোটামুটি সুস্থ হতে লাগলো, আলহামদুলিল্লাহ্।
এক পর্যায় বাবা হজ্জ পালন করার জন্য মন ছুটলো, এবং বাবার বন্দু ফেনী আলীয়া মাদ্রাসার প্রিনসিপেল এর সাথে বাবা হজে যাওয়ার বিষয়টি শেয়ার করল, তিনি বাবাকে মাসোয়ারা দিলেন যে ঘরে বিয়ের উপযুক্ত মেয়ে অথবা ছেলে থাকলে আগে তাদের বিয়ে দিতে হবে, অথবা বিয়ে করার খরচ দিতে হবে,
যাতে তারা বিয়ের খরচের অভাবে বিয়ে করতে না পেরে কোন পাপ কাজে জডিয়ে না যায়,
তখন আমরা যে চা র ভাই বিয়ে করিনি, বাবা তার সম্পত্তির কিছু অংশ বিয়ের জন্য আমাদের লিখে দেয়,
এখান থেকে জিবন নতুন ভাবে মোডনেয়,
এবং বাবা কিছু অংশ জমি বিক্রি করে হজে চলে যায়, তখন আমরা যে চার ভাই একসাথে আছি তাদের ভিতর দুই জনের টাউনে ব্যবসা আছে, তারা প্রতিষ্ঠিত আর আমরা ছোট দুই জন বেকার শুধু বাবার দেওয়া বিয়ের জমিন টুকু আমাদের মুলধন,
এর ভিতর টাউনে যে দুই জনমিলে ব্যবসা করতো তাদের একজন বিদেশে ছলে যায়,আর জিনি ব্যবসা করেন তিনি প্রস্তাব করলেন যে, বাবা আমাদের যে জমিন টুকু বিয়ের জন্য দিয়ে ছিল তা বিক্রি করে বিদেশ ছলে যাবার জন্য, তখন তার কথায় জমিন টি বিক্রি করতে রাজি হই, এবং বিদেশে গিয়ে সর্বপ্রথম কাজ হল, ঐ জমি টি রিটান নিব এই ছুক্তিতেই, জমিন টি তিনি তার এক আত্তিয়ের নাম ও অনার নামে নিয়ে নেয়, আর সে খান থেকেই এই প্রবাসী জিবন শুরু, যদিও ঐ জমিন টি পিরে আসনি কিন্তু প্রবাস থেকে এখনো পিরে জাইনি, (আমি আমার প্রবাসের গল্প নিয়ে আর একটি গল্প লিখব)
যে বাবা মা র্জম্ম দিয়ে ছিল, এবং আমার সুখে সুখি ছিল, আজ আমার সুখের ফল ভোগ করার জন্য তারা এই দুনিয়াতে নেই, তার না থাকলেও আমি আমার বড বোন ও ভাইদের এবং মায়ের আত্তিয় বাবার আত্তিয় পাডা প্রতিবেশী ও সামাজিক মানবিক মসজিদ মাদ্রাসা এতিমখানা সবাী অভাবে দুখে সবসময় আমার তৌফিক অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাডিয়ে দিই,
দীর্ঘ দিন আমরা চার ভাই যৌথ ফ্যা মেলীতে ছিলাম প্রবাস আসার পর চার ভাই মিলে থাকার জন্য একটি চারতালা ভবন নির্মাণ করি, এবং ২০০২ সালে ৫ ফেব্রুয়ারী আমার সহর্ধমিনি লুৎফন নাহারকে এরেঞ্জ মেরিজ করি এবং সেই ভবনের ২য় তালায় আমি আমার আব্বাকে নিয়ে থাকি, যদিও আমার আব্বা বেশি দিন বেছে ছিলেন না,
র্বতমানে আমি দুই কন্যা সন্তান ও এক পুত্র সন্তানে বাবা প্রানের শহর ফেনীতেই বসবাস করছি,
🚸🚸যেভাবে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে আশা,,,,,,,,
যখনি আমি মোবাইল হাতে নিতাম প্রিয় স্যারে সেশন গুলো দেখতাম আর মনে মনে ভাবতাম যে নিশ্চয়ই অনেক টাকা লাগে এই গুরুপে শিক্ষা বা কোচিং করতে হলে, টাকা লাগলে-ও সমস্যা নেই, কিন্তু যুক্ত হওয়ার লিংক টা খুঁজে পাচ্চিনা, হঠাৎ একদিন একটি চমৎকার দেখি আমাদের দুলাল কাকা যার সাথে আমি ছয় বছর এক সাথে কাজ করে আসি সে জড়তা বিহিন ভিডিও সেশন পোস্ট করেছে, আমি অবাক হয়ে যা-ই, কি ভাবে এই চমৎকার হল, আমি সাথে সাথে কাকাকে ফোন করি, এবং গুরুপে ১১ তম ব্যাচে রেজিষ্ট্রেশন করে যুক্ত হই, এবং
নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারে ৯০ টি সেশন আমি পরিপূর্ণ করেছি,এখনো প্রতি দিন যে সেশন গুলো দেওয়া হয় তা দৈনিক ২/৩ বার পডি, এবং এই সেশন থেকে যে শিক্ষা আমি পেয়েছি তাতে আমার চাকরি জীবনের গতি বিধিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে, আমি নিজকে একজন দক্ষ হিসেবে ঘোষনা দেওয়ার সাহস পেয়েছি,
আমার অতিতের কষ্টে দিন গুলো আমায় প্রতি নিয়ত জালায়, ছোট বেলা শিখে আসা কাজ গুলো আমার প্রবাসি জীবনে শক্ত পুঁজি হিসাবে দাডায় যে কোন জায়গায় আমার গ্রহন যোগ্যতা পাওয়া যায়, পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে যে সঞ্চয় গুলো ছিল তা দিয়ে একটি বাসা বাড়ি তৈরী করি বাড়া দেওয়ার জন্য, তার কাজ এখনো শেষ হয় নাই, করুনা মহামারী এসে জিবন টা কে আরো তছনছ করে দেয়, চারি দিকে অভাব শুধু অভাব আর অভাব, নিকট আত্তিয়রা মনে করে আমার কাছে প্রচুর টাকা পয়সা, তাই যে কোন সমস্যায় আমার কাছে ছুটে আসে, আমি কাউকে ফিরিয়ে দিইনি, লোন নিয়ে হোক বা দার নিয়ে হোক বাসার বাকি কাজটা শেষ করতে পারলে, লিখতে শুরু করব উদ্দৌক্তার গল্প, এর আগে আমি প্রবাসী জীবন নিয়ে একটি গল্প লিখব যা পডলে সবার কাজে লাগবে,
এত সময় ব্যায় করে যারা আমার নিজের বলার মত গল্পটি পড়েছেন সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কি, এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি, তিনি না থাকলে এই গল্প লিখার কথা কখনোই মাথায় আসতো না, আমি সবার জন্য দোয়া করি, আপনারও আমার জন্য দোয়া করবেন,,,,
পরিশেষে প্রিয় স্যারের সেরা উক্তিটি বলে বিদায় নিলাম,
🎏স্বপ্ন দেখুন
🎏 সাহস করুন
🎏 শুরু করুন
🎏লেগে থাকূন
ইনশাআল্লাহ,,,,
লেগে থাকবো, কোন অবস্থাতেই হার মানবো না।
সবাই কে অনেক ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা
পরিশেষে আবারও প্রিয় স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা দোয়া আর ভালোবাসা এতো সুন্দর একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দেবার জন্য।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৭৬
তারিখ-৩১/০৩/২০২২
আলী মর্তুজা
ব্যাচ নং--১১
রেজিষ্ট্রেশন নং-২৫৫৯৫
নিজ সেলা - ফেনী সদর
বর্তমান অবস্থান - সৌদি আরব রিয়াদ
ব্লাড গুরুপ - A+