এই পৃথিবীতে মানুষের চাওয়া পাওয়ার কোন সীমা পরিসীমা নেই।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
🌿 আমার জীবনের গল্প 🌿
----------------------------
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।
নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন - উদ্যোক্তা তৈরী কেন্দ্র - এর প্রিয় ভাইয়া ও আপু।
আশা করি আপনারা সকলেই পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন।
আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ্।
আজ আমি আপনাদের সামনে আমার জীবনের গল্পটি শেয়ার করবো। আশা করি, ধৈর্য সহকারে গল্পের শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ যোগাবেন।
🌸 প্রারম্ভিকাঃ
সকল প্রশংসা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালারর জন্য যিনি আমাকে সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ্
লাখ কোটি দরুদ ও সালাম জানাই আমার প্রাণের চেয়েও প্রিয় আল্লাহর হাবিব দুজাহানের কান্ডারী নবী মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) এর প্রতি।
ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই আমার প্রিয় মা - বাবার প্রতি। যাদের উছিলায় সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখতে পেয়েছি। মা বাবার ঋণ কোনদিনও শোধ করার মতো নয়। আমার মা বাবা খুবই কষ্ট ও সাধনা করে আমাকে মাস্টার্স পর্যন্ত পড়াশোনা করিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর একজন নাগরিক হিসেবে বুক ফুলিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।
মা বাবা আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।
প্রচন্ড ভালোবাসি আমার মাকে।
মা ছাড়া আমার পৃথিবী অন্ধকার।
আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি -
আমার ওস্তাদ ও শিক্ষা গুরুজনদের যাদের দোয়া ও আশীর্বাদ আমার জীবনকে আলোকিত করেছে।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমার প্রিয় শিক্ষকগণকে উত্তম জাযা দান করুন। আমিন
আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি
আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার এর প্রতি। যিনি আমার পথ প্রদর্শক ও আইডল। তিনি আমাদেরকে ভালো মানুষের একটি বিশাল প্লাটফর্ম উপহার দিয়েছেন।
এটি আমার আরেকটি পরিবার।
এ পরিবারের প্রতিটি ভাইয়া ও আপু মানবিক ও প্রকৃত ভালো মানুষ। যতো দিন পৃথিবীতে বেঁচে থাকবো সুখে দুঃখে এ পরিবারের সাথেই থাকবো।
ইনশাআল্লাহ্।
প্রিয় স্যারের শিক্ষায় নিজেকে বিকশিত করতে চাই।
পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালা প্রিয় স্যারকে সুস্থতার সহিত দীর্ঘ হায়াতে জিন্দেগী দান করুন। আমিন
👉 নিন্মে আমার জীবনের গল্প থেকে কিছু কথা তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করছি।
আমার জীবন বৃত্তান্তঃ
আমি সেলিম আহমেদ
আমার জন্ম ১৯৮৯ সালের ১৫ জানুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার ছায়াঘেরা ও মায়া ভরা সবুজ শ্যামলে আচ্ছাদিত একটি গ্রামে। আমাদের গ্রামের নাম বারই গাঁও। ইউনিয়ন ও ডাকঘর দত্তের বাজার। আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। শৈশবে এ নদের জলে তৃষ্ণা মিটাতাম তাই এ নদের সাথে মিশে আছে অনেক শৈশব স্মৃতি।
আমরা চার ভাই বোনের মধ্যে আমি তৃতীয়। বোন সবার বড়। ভাইদের মধ্যে আমি দ্বিতীয়।
আমার বড় ও ছোট আরো দুই ভাই রয়েছে।
আমার জন্মের পূর্বে আমার মা জননীর আরও তিনটি ছেলে সন্তান দুই -আড়াই, তিন বছর বয়সে মায়ের কোল খালি করে দিয়ে মাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে চলে যায়। জনম দুঃখীনি মায়ের মায়ের মুখে হাসি ফুটাতে আল্লাহ তায়ালা আমাকে মায়ের কোলে পাঠালেও মায়ের কান্না থামেনি। সাত বছর বয়স পর্যন্ত নিজের উপর ও আমার প্রিয় মা-জননীর উপর দিয়ে বয়ে গেছে অনেক ঝড়।
প্রায় সময়ই আমি অসুস্থ থাকতাম। সামান্য কারণেই জ্বর আসতো আর খিচুনী শুরু হতো।
মায়ের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে যেত।
আল্লাহ পাকের অশেষ দয়া ও মা বাবার দোয়ায় আজও বেঁচে আছি। মহান আল্লাহ তায়ালা এখন আমাকে সুস্থ রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ্।
মায়ের ঋণ কোনদিনও আমি শোধ করতে পারবো না। খুব ভালোবাসি প্রিয় মাকে, মায়ের দোয়ায় বেঁচে আছি।
সবার আদরের ছিলাম। বাড়ির বাইরে কোথাও যেতে দিত না। এক মুহূর্তের জন্যও মায়ের চোখের আড়াল হতে পারতাম না। আমার শৈশব কেটেছে মায়ের আদরের দুধে - ভাতে।
🌿 শৈশব ও কৈশোরঃ
আমার দুরন্ত শৈশব ও কৈশোর কেটেছে পাড়ার সব ছেলে মেয়েদের সাথে গোল্লাছুট ও ঘুড়ি উড়িয়ে। চৈতালী দুপুরে গ্রামের পুকুরে দল বেঁধে পানিতে ঝাঁপ দিতে মিস করিনি। জোৎস্না রাতে
কলা গাছের বোরকা ভাসিয়ে জাল দিয়ে মাছ ধরার স্মৃতি এখনো প্রায় মনে পড়ে। শীতের সকালে খেজুরের রস পান করা এখন কেবলই স্মৃতি।
সাত বছর বয়সে বাবার হাত ধরে গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। সবার আগে স্কুলে যাওয়া এবং প্রথম বেঞ্চে শিক্ষকের সামনে বসা ছিলো আমার অভ্যাস। বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে সবার আগে সব সময় স্কুলে উপস্থিত থাকতাম।
আমার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে খুব আনন্দে।
কৃষি প্রধান পরিবারের সদস্য হিসেবে পড়া লেখার ফাঁকে মা বাবার গৃহস্থলী কাজে সহযোগিতা করতে হয়েছে এবং তা করেছি আনন্দ চিত্তে। খুব সকালে মক্তবে যেতাম কুরআন মাজিদ শিখতে। তারপর বাসায় ফিরে আবার বিদ্যালয়ে। বিকেলে খেলা-ধূলা নয়তো বাবার কাজে সহযোগিতা। আরো অনেক অসংখ্য স্মৃতি আছে যা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না। এভাবেই কেটেছে আমার শৈশব ও কৈশোর।
✒️শিক্ষা জীবনঃ
ছোটকাল থেকেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভক্তি ছিলো আমার । আল্লাহ্ আমার সঙ্গে আছেন এ বিশ্বাস সব সময় ছিলো। এটি আমি সবসময় অনুভব করি।
গ্রামের মক্তবে কুরআন মাজিদ শিক্ষা লাভ করি। ইসলামের মৌলিক শিক্ষা মক্তব থেকেই লাভ করি।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা লাভ করি আনন্দের সাথে। আমার শিক্ষকগণ আমাকে খুব আদর করতেন।
ইন্টারমিডিয়েট পড়ি সরকারি গফরগাঁও কলেজে।
অতঃপর অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করি সরকারি আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ হতে।
শিক্ষকগণের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।
তাঁরা আমায় সুশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন।
ছাত্রজীবনে অনেক জ্ঞানী ও গুণী শিক্ষকগণের
সামনে বসে শিক্ষা লাভের সুযোগ হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ্
শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় আজীবন আমার শিক্ষকগণের অবদান মনে রাখবো।
🌱পারিবারিক জীবনঃ
আমরা ঐতিহাসিকভাবে কৃষিজীবী পরিবার। আমার পূর্ব পুরুষগণ তালুকদার ছিলেন।
আমার বাবা একজন কৃষক। একজন কৃষকের সন্তান হিসেবে আমি গর্বিত। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাটির বুক চিরে যে ফসল উৎপন্ন হয় তা খেয়ে আমরা বড় হয়েছি। আমাদের খাদ্যে কোন ভেজাল ছিলো না। আমার রক্তে কৃষি ও কৃষক মিশে আছে। শরীরে আছে মাটির গন্ধ।
🍁 আমার কর্ম জীবনঃ
পরিবারের সবার ইচ্ছা ছিলো লেখা পড়া শেষ করে চাকরি করবো। আমারও স্বপ্ন ছিলো তাই। বড় একজন কর্মকর্তা হবো।
আমি ছোট বেলা থেকেই স্বাধীন চেতা ও শান্ত স্বভাবের ছিলাম। এখনো তাই আছি । একটু ভাবুক টাইপের বটে!
লেখাপড়া শেষ করে দেখলাম আমার জন্য কোন চাকরি নেই কারণ আমার কোনো কোটা নেই।
কোটা না থাকলে ঘুষ লেনদেন ছাড়া সবার কপালে সরকারি চাকরি জুটে না।
আমার কপাল কিছুটা ভালো ছিলো অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় পার্টনারশিপে একটি বিজনেস শুরু করেছিলাম। তাই বেকারত্বের অভিশাপ আমাকে খুব একটা ঘায়েল করতে পারেনি।
ব্যবসার লাভের টাকায় আমার পড়ালেখার খরচ চলতো। বিজনেসটাকে খুব ভালোবাসতাম।
ব্যবসার প্রতি এই ভালোবাসা দিন দিন বাড়তে থাকে আর অন্যের অধীনে চাকুরীর প্রতি অনিহা তৈরী হতে থাকে। একটা সময় সিদ্ধান্ত নিলাম চাকরি করবো না। কাউকে ঘুষ দিয়ে চাকরি করার চেয়ে আমার ব্যবসাই ভালো।
ব্যবসায় গভীর মনোযোগ দিলাম।
থেকে গেলাম ব্যবসার মধ্যেই। ব্যবসায়িক জীবন শুরু করেছিলাম পার্টনারশিপে তিনজন মিলে ঢাকার মিরপুর -২ এ। মিরপুর ন্যাশনাল বাংলা স্কুল মার্কেটের ০৭ নাম্বার দোকানটি ভাড়ায় নিয়ে কসমেটিক্স ও গিফট আইটেমের শো রুম করেছিলাম।
দোকানের নাম ছিলো ফ্রেন্ডস গিফট সপ। খুব ভালোই চলছিলো আমাদের বিজনেস।
হঠাৎ একজন পার্টনারের অতি লোভের কারণে শেষ পর্যন্ত বিজনেসটি আর চালানো সম্ভব হয়নি।
আমাকে আমার মূলধন হিসেব করে নিয়ে চলে আসতে হয়।
ব্যবসার মূলধন তখন ইনভেস্ট করি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এর ক্যাপিটাল মার্কেটে।
প্রথম দিকে কিছু লাভ হলেও পরবর্তীতে ব্যাপক দর পতনের ফলে অনেক লোকসান গুণতে হয়েছে। যার গ্লানি আমি এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি।
ঢাকা থেকে একরকম সব হারিয়ে বাড়িতে চলে আসি বেকার অবস্থায়। বাড়িতে এসে কিছু একটা করতে হবে এমন চিন্তা মাথায় নিয়ে ঘুরতে থাকলাম।
প্রায় ছয় মাস খোঁজার পর শিল্প ও বাণিজ্যিক নগরী গাজীপুর এর মাওনা চৌরাস্তায় মার্কেটে একটি দোকানের সন্ধান পাই। মার্কেটের নাম হাজী মালেক মাস্টার কমপ্লেক্স।
প্রথম দেখাতেই দোকানটি আমার পছন্দ হয় এবং দোকান মালিককে কনফার্ম করি যে দোকানটি আমি নিলাম। কসমেটিক্সের ব্যবসার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তৈরী পোষাকের বিজনেস শুরু করি ২০১৪ সালের মাঝামাঝি থেকে। আজ অবধি কাপড়ের ব্যবসার সাথেই লেগে আছি। ব্যবসার মূলধন নিয়েছি আমার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে। নতুন ব্যবসায়ী হিসেবে অনেক লস করতে হয়েছে, তবুও হতাশ হয়নি। লেগে ছিলাম আছি এবং থাকবো ইনশা-আল্লাহ্।
গত আট বছরে ব্যবসার অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি আলহামদুলিল্লাহ্। বিজনেস ডেভেলপ করার জন্য ব্যাংক লোনের জন্য আবেদন করি, অনেক কাঠ-খড়ি পোড়ানোর পর ব্যাংক আমাকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী হয় আলহামদুলিল্লাহ্।
আমি স্বপ্ন দেখি -
চাকরি করবো না চাকরি দেবো।
আমার পড়াশোনার অর্জিত জ্ঞান বৃথা যেতে দেবো না। সমস্ত জ্ঞান বুদ্ধি বিজনেসে বিনিয়োগ করে
বিজনেসটাকে দাঁড় করাবো ও নিজের বলার মতো একটি গল্প তৈরী করবো ইনশা-আল্লাহ্।
🍃 নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়ার গল্পঃ
নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন - উদ্যোক্তা তৈরী কেন্দ্র, একটি আবেগ ও অনুভূতির নাম।
প্রিয় ফাউন্ডেশনের প্রেমে পরেছিলাম বহু আগেই। তখনও এটি ফাউন্ডেশন হয়নি। ছিলো নিজের বলার মতো একটি গল্প গ্রুপ।
প্রিয় স্যারের সেশনগুলো পড়তাম এবং ভিডিও সেশনগুলো নিয়মিত দেখতাম। ভালো লাগা থেকেই ভালোবাসা! একটি সময় এই গ্রুপের খুব প্রেমে পরে যাই। তখন আমি নিজে থেকেই রেজিস্ট্রেশন করে ফেলি।
আমার ব্যাচ নং- ১৩ তম
রেজিস্ট্রেশন নং- ৫৫১৭৫
নিজ জেলা ময়মনসিংহ (গফরগাঁও)
বর্তমান অবস্থানঃ মাওনা চৌরাস্তা, শ্রীপুর, গাজীপুর -১৭৪০
আজীবন সদস্য হওয়ার পর অল্প কিছু দিনের মধ্যেই শ্রীপুর উপজেলা ও গাজীপুর জেলার অনেক প্রিয় ভাইয়া ও আপুর সাথে চমৎকার সম্পর্ক গড়ে উঠে।
বর্তমানে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ও বিশ্বের পঞ্চাশটি দেশের অনেক (NRB) রেমিটেন্স যোদ্ধা ভাই- বোনদের সাথে মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, আলহামদুলিল্লাহ্।
🟢 ব্যক্তিগত জীবনঃ
ব্যক্তিগত জীবনে আমি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। আল্লাহ্ তায়ালা ভালোবেসে দয়া করে এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান দান করেছেন। সবাইকে নিয়ে আমি অনেক সুখী, আলহামদুলিল্লাহ্।
আল্লাহ তায়ালার দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া আমার মা বাবা দুজনকেই আল্লাহ তায়ালা সুস্থ ভাবে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ্
আমি কায়মনোবাক্যে আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করি তিঁনি আমার মা বাবার নেক হায়াত বাড়িয়ে দিন। আমার অন্তর শীতল রাখুন - আমিন।
আমার জীবনে প্রিয় প্লাটফর্মের অবদানঃ
নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হই ২০২০ইং সালে। আমি ১৩ তম ব্যাচের একজন শিক্ষার্থী। করোনা প্যান্ডামিক সিচ্যুয়েশনের সময় আমরা সবাই প্রায় গৃহবন্দি ছিলাম। দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম বন্ধ ছিলো।
হতাশায় সম্পূর্ণ মনোবল হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছিল আমার। ঐ সময় প্রিয় স্যারের শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা আমাকে ব্যবসায় টিকে থাকতে ও ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতা করেছে।
প্রিয় স্যারের অমিয় বাণী, " স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন, লেগে থাকুন, সফলতা আসবেই। "
একটু একটু করে সফলতার পথে হাটছি আলহামদুলিল্লাহ্।
আপনাদের সহযোগিতা থাকলে একদিন সফল হবোই ইনশা-আল্লাহ্।
🎯 আমার জীবনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ
আমাদের প্রিয় মেন্টর বলেন, সফলতার চার" স"।
সুশিক্ষা, সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সম্পদ।
আমার জীবনটি এই চার স' এর মিল বন্ধনে সাজাতে চাই।পরিবার,সমাজ ও রাষ্ট্রের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার স্বপ্ন দেখি। আমার স্বপ্ন অন্তঃত কিছু মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো। "চাকুরী করবো না, চাকুরী দেবো।" এটি বাস্তবায়ন করবো ইনশা-আল্লাহ্।
আমার তৈরী পোষাকের একটি আউটলেট আছে আরো বেশ কয়েকটি আউটলেট করার পরিকল্পনা করছি।
গত রমজান মাসের শুরুতে অর্থাৎ ২০২১ইং সালের মাঝামাঝি সরকারি কর্তৃপক্ষ যখন লকডাউন দিল তখন অফিস দোকানপাট সব কিছু বন্ধ হয়ে গেল তখন তৈরী পোষাকের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে জীবনের সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতি স্বীকার হয়েছিলাম।
ব্যবসার ক্যাপিটাল সব শেষ হয়ে গিয়েছিলো। দোকানপাট বন্ধ রেখেও দোকান ভাড়া ও বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। এমন কঠিন পরিস্থিতি কারো জীবনে যেন না আসে।
নিজের দোকান পরিষ্কার করতে গিয়েও জরিমানা দিয়েছি মোবাইল কোর্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে।
মাথা ঠিক মতো কাজ করছিলো না। কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। এমন সময় প্রিয় মেন্টর ও শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতিদিনের সেশনগুলো আমাকে নতুনভাবে বাঁচতে শিখিয়েছে।
প্রিয় স্যারের উক্তি, "যে জিতবে সে বার বার পড়বে, আবার উঠে দাঁড়াবে – বলবে, আমি খেলবো 🙂
করোনা পরিস্থিতি যখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলো তখন সরকার লকডাউন কিছুটা শিথিল করে দেয়, ওই মুহূর্তে একজন ব্যবসায়ী ভাই আমাকে তার দোকান থেকে একটি আইটেমের প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকার প্রোডাক্ট দেন। সত্যি কথা বলতে এই কয়টা প্রোডাক্ট ই ছিলো আমার ঘুরে দাড়ানোর একমাত্র সম্বল। এগুলো বিক্রি করে নতুন করে একটি ক্যাশ তৈরী করি এবং আল্লাহর রহমতে এখনো টিকে আছি।
আগামী দিনগুলোতে বিশ্ব পরিস্থিতি ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো থাকলে ক্ষতি পুষিয়ে লাভের দেখা পাবো আশা করি।
একজন মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম হলো খাদ্য। ব্যবসা করছি বস্ত্র নিয়ে।
স্বপ্ন দেখি খাদ্য সামগ্রী নিয়ে কাজ শুরু করবো শীঘ্রই। দেশের মানুষের কেমিক্যাল ও বিষমুক্ত ন্যাচারাল প্রোডাক্ট তুলে দিবো ইনশা-আল্লাহ্।
স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার লক্ষে কাজ শুরু করছি।
ইতোমধ্যে একটি পেইজ তৈরী করেছি। আমার পেইজের নামঃ
#কৃষকের_ঘর
https://www.facebook.com/krishoker.ghor22/
"কৃষকের ঘর" একটি সুপার শপ হবে যেখানে সরাসরি মাঠ পর্যায়ে একদম কৃষকের হাতে তৈরী বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী সূলভ মূল্যে পাওয়া যাবে।শুরু করবো গাজীপুর জেলার অন্যতম ব্যস্ত উপশহর মাওনা চৌরাস্তা থেকে।
পর্যায়ক্রমে গাজীপুর জেলায় এর আউটলেট বৃদ্ধি করবো ইনশাআল্লাহ্।
প্রিয় ফাউন্ডেশনের প্রায় ছয় লক্ষ লোকের এক বিশাল বড় পরিবার। আমি মনে করি নিজ পরিবারের মতোই এটি দ্বিতীয় আরো একটি পরিবার।
সবার সহযোগিতা একান্ত কামনা করি।
প্রিয় ভাইয়া ও আপুদের সহযোগিতা থাকলে আমি বহুদূর এগিয়ে যেতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আমি বিশ্বাস করি ভালোবাসার প্রিয় পরিবার আমার সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে থাকবে। আমিও আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো ইনশা-আল্লাহ্।
যে কোন কাজে আমাকে স্মরণ করলে আমার জায়গা থেকে সবসময় আপনাদের পাশে পাবেন ইনশাআল্লাহ্।
❤️ প্রিয় মেন্টর ও শিক্ষক জনাব, ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের সাথে সাক্ষাত লাভের অনুভূতিঃ
এই পৃথিবীতে মানুষের চাওয়া পাওয়ার কোন সীমা পরিসীমা নেই। এক জীবনে মানুষের সব আশা পূরণ হয়না। প্রিয় ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য হওয়ার পর আমার তীব্র আকাঙ্খা ছিলো ভালো মানুষ গড়ার কারিগর এ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মানব ও লাখ লাখ তরুণ তরুণীর আইডল জনাব, ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের সাক্ষাত লাভ করা। খুব যত্নে লালন করছিলাম সেই স্বপ্ন। একদিন না একদিন স্যারের সাথে দেখা করবোই।
সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছিলো আমাদের গাজীপুর জেলার সুপার এক্টিভ প্রতিনিধি জনাব ইউসুফ হোসেন তন্ময় ভাইয়ার সাথে ইউটিভি লাইভ প্রোগ্রামে গিয়ে।
প্রিয় স্যারকে দেখার পর তাঁর সাথে কথা বলার আগ্রহ বহুগুণ বেড়ে গেল আমার। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্যার সেদিন একটু অসুস্থ ছিলেন ফলে অনুষ্ঠান শেষ করে দ্রুত আমাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যান।
মনের কথাগুলো মনেই রয়ে গেল। বলা হলো না!
অতি সম্প্রতি হয়ে গেল আমাদের অতন্দ্র গাজীপুর জেলা কর্তৃক আয়োজিত বার্ষিক বনভোজন ও ফ্যামিলি গেট টুগেদার ২০২২ ইং।
এই অনুষ্ঠানে সামান্য ভলান্টিয়ারিং করার সৌভাগ্য হয়েছিলো আমার।
কাজের এক ফাঁকে প্রবেশ করি প্রিয় স্যারের বিশ্রাম কক্ষে। অনেক দিনের জমানো মনের কথা, স্বপ্ন ও সাধনার কথাগুলো স্যারের সাথে বিনিময় করি।
সিক্ত হলাম প্রিয় স্যারের আদর ও স্নেহে। এই আদর ও ভালোবাসা কখনো ভুলার মতো নয়।
🌻শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যারা অনেক ধৈর্য্য ধরে ও আপনাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করে আমার জীবনের গল্পটি পড়েছেন, আপনাদের সকলের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি।
আপনাদের সকলের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো, আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৭৬
তারিখ- ০১/০৪/২০২২
সেলিম আহমেদ
ব্লাড গ্রুপঃ O+ (ve)
ব্যাচঃ ১৩ তম
রেজিস্ট্রেশন নং- ৫৫১৭৫
নিজে জেলা : ময়মনসিংহ (গফরগাঁও)
বর্তমান অবস্থানঃ মাওনা চৌরাস্তা, শ্রীপুর,গাজীপুর -১৭৪০
কাজ করছি ছোট্ট সোনামণিদের তৈরী পোষাক নিয়ে।
আমার একটি তৈরী পোষাকের শো- রুম আছে।
শো রুমের ঠিকানাঃ
হাজী মালেক মাস্টার কমপ্লেক্স।
নিচ তলা, পূর্ব গলি,
দোকান নং- ৩১
মাওনা চৌরাস্তা,শ্রীপুর, গাজীপুর।
মোবাইল নং ০১৭৩৬ ৫৫ ৪৮ ৫০
ইমেইলঃ kidsfashionbd@gmail.com