শুধু ছেলেটার মুখের দিকে তাকিয়ে এখনো বেঁচে আছি
🍁বিসমিল্লাহি রাহমানির রাহিম 🍁
✍️আসছালামুআলাইকুম। ওরাহমাতুল্লাহি ওবারকাতু।
🎆🎆আমার জীবনের গল্প 🎆🎆
🌿🌿প্রথমে( আল্লাহ রাববুল আলামিন ) এর দরবারে লাখো কোটি শুকরীয়া পেশ করছি। কারন তিনি আমাদের এখনো ভালো ভাবে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এই করুনা মহামারীতেও।🌿🌿
(আলহামদুলিল্লাহ)
🌿🌿অনেক শুদ্ধা ও ভালবাসার সাথে সালাম জানাচ্ছি। আমার প্রান প্রিয় (বাবা মায়ের) প্রতি।
যাদের জন্য এই সুন্দর পৃথিবীর মুখ দেখেছি।🌿🌿
🌿🌿তার পর ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের সবার প্রিয় শিক্ষক (ইকবাল বাহার জাহিদ) স্যারের প্রতি। যার শেখানো প্রযুক্তির প্রসার ঘটিয়ে বাংলাদেশের অনেক ঘরে বেকার সমস্যা দূর হয়ে শান্তি ফিরে এসেছে। 🌿🌿
🎆আমার ছোট বেলা🎆
🌿🌿একটা মুসলিম পরিবারে আমার জন্ম। আমরা চার ভাই বোন। সুন্দর সুজলা - সুফলা সশ্য - শ্যামল গ্রামে। যার চারদিকে তাকালে সবুজের সমারহ। পুকুর ভরা মাছ। পাখিদের গূনজন। সে গ্রামে আমার জন্ম। আমি মধ্যবর্তী পরিবারের মেয়ে। আমি আমার বাবা মায়ের প্রথম সন্তান। তাই আমার প্রতি সবার ভালবাসাটা ও একটু বেসি ।❤️❤️
জয়েন্ট ফ্যামিলিতে খুব হাসি খুশিতে কাটছিল আমার দিন গুলি। যেখানে ছিল, বাবা, মা, কাকা কাকিমারা চাচাতো অনেক ভাই বোনেরা।
সকাল বেলা বাবার কুরআন তেলাওয়াত শূনে ঘুম ভাঙতো । তার পর বর চাচাতো ভাই বোনদের সাথে স্কুলে গিয়ে ওদের পাশে বসে থাকা। ক্লাসে পরা না করে যাওয়ার জন্য স্যার এবং ম্যাডামকে দেখতাম সবাইকে কান ধরে উটবস করাতে। তখন ফিক😁ফিক করে হেসে ওঠা এভাবেই কাটছিল হাসি খুশি দিন গুলি 🌿🌿
🎆শৈশব থেকে কৈশর। 🎆
🌿🌿হাটি, হাটি, পা, পা, করে, যখন আমি একটু বড় হচ্ছি। আমাকে তখন আমাদের গ্রামের একটা প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হয়। নিয়মিত স্কুলে যেতে ভালো বাসতাম। ছোটবেলা থেকে আমি ছিলাম একটু লাজুক, ভদ্র, ও শান্ত, প্রকৃতির। তাই ভালবেসে গ্রামের পারা প্রতিবেশীরা আমাকে মাটির মত নরম একটি মেয়ে বলত।
🎆 বাবা মায়ের নিখুঁত ভালবাসা। 🎆
🌿🌿জিবনে বাবা মায়ের ভালবাসা অপরিসীম। আমাদের গ্রামে তখন কারেন ছিল না। রাতে আমরা দুই বোন এক সাথে ঘূমাতাম। মাঝে মাঝে রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখতাম আব্বু পাশে বসে পাখা হাতে বাতাস করছে।যেহেতু জীবনের গল্প লীখছি। কিছু লেখা বাদ দিলে ও আমার প্রতি আব্বুর গভীর ভালবাসা আমার লেখার মাঝে বন্দি করতে চাই 🌿🌿
🌿🌿আমার বিয়ের পরের দিন সকালে আমি যখন রুম থেকে হইচই শব্দ শুনি। বের হই। দেখি আব্বু উঠানে বসে আছে। আমার শ্বশুর বাড়ি লোকেরা আশ্চর্য হয়ে যায়। সবাই বলে কি ব্যাপার। তখন আব্বু মৃদু কণ্ঠে বলে উঠে। আমি রাতে একটু আজে বাজে স্বপ্ন দেখেছি। তাই কারো কাছে বলিনি। স্বপ্নে দেখছি আমার মনি খুব কান্না কাটি করছে। তাই সব লজ্জা ফেলে রেখে সকালে কাউকে কিছু না বলে চলে এসেছি দেখতে🌿🌿
🌿🌿আমাদের সংসারে অনেক কাজ ছিল। কিন্তু আব্বু কখনো আমাদের দিয়ে কাজ করাতে পছন্দ করতেন না। বাবার মুখে সব সময় বলতে শুনতাম মেয়েদের বাবার বাড়িতে কোনো কাজ নেই। এরা হচ্ছে বাবার সংসারে আল্লাহর দেওয়া শেষ্ট উপহার। আব্বু আম্মু কখনো কনো অভাব বুঝতে দেননী আমাকে। তবে আব্বুর অনেক বেশি জমি জমা থাকায় গ্রামের কিছু মহিলা আম্মুর কাজে সব সময় সাহজগীতা করত। ওখান থেকে দেখে দেখে আমার সকল কাজ সেখা। 🌿🌿
🎆আমার কিছু পজেটিভ দিক। এবং ভালো লাগা। ভালো বাসা 🎆
🌿🌿আমি অল্পতেই অনেক বেশি happy থাকি। কারও কান্না করা দেখলে, আমিও কান্না করে ফেলী।
মাঝে মাঝে ছোট বর কাউকে না কাউকে না জানিয়ে গিফট দিতে পছন্দ করি। আমার ভাল লাগার রং হচ্ছে( ping) গোলাপী। নবীদের জিবনী পরতে শুনতে ভালবাসি। অতি সহজেই সকলকে আপন করে ফেলী। সব সময় পরিপাটি থাকতে পছন্দ করি। আমার থেকে কেও কনো কষ্ট পাক সেটা আমি কল্পনায় আনতে পারি না। আমি রোমান্টিক ভাবে কথা বলতে ও শোনতে পছন্দ করি। 🌿🌿
🎆বাবা মায়ের সপ্ন 🎆
🌿🌿আব্বু আম্মুর সপ্ন ছিল। আমি যেহেতু গ্রামে বর হযেছি তাই লেখা পরা শেষ করিয়ে শহরে ভালো একটা পরিবারে বিয়ে দিবে। আমার বড় ভাই না থাকার কারণে আমাকে নিয়ে আব্বু একটু চিন্তিত ছিলো। কারন আব্বুর সম্পত্তি বেশী থাকার কারনে। সম্পত্তির উপর লোভ করে শত্রুর সূত্র ধরে আমাকে নিয়ে বিয়ের গূনজন চলে। নিজেদের আত্মিয়ের মধ্যে। আব্বু ওটা বুঝতে পেরে সপ্নকে পিছনে ফেলে। তাড়াহুড়া করে আমাকে বিয়ে দিয়ে দেয়। 🌿🌿
🌿🌿আমার এক ফূফাতো ভাই আব্বুর সপ্ন আশার কথা জানতো । সরলতার সুযোগ নিয়ে হঠাৎ করে একদিন এক ছেলে এবং ছেলের মাকে নিয়ে এসে বলে ছেলে বড় ব্যবসা করে শহরে বাড়ি। আমাকে দেখতে আসে। আমি খুবি নারবাচ ছিলাম। ছেলে দেখতে ভালো হ্যামসাম। সবাই পছন্দ করলো। আব্বু আমাকে পছন্দের কথা বলতে। হঠাৎ কিভাবে যেনো মূখ ফূসকে জী বলে ফেলি। আমি তখন ssc পরীক্ষার্থী। আর এই একটি কথা (জী) বলার কারণে সেই হাসি খুশি আনন্দ ভরা জিবনটা বাধা পরে বিয়ের পিরিতে। 🌿🌿
🎆বৈবাহিক জীবন🎆
🌿🌿পরীক্ষা চলাকালীন সময় আমার বিয়ে হয়ে যায়। একটা মিথ্যা কথার উপর।
আমাকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাবা আমাকে একটি কথা বলে,দেখো মা স্বামীর বাড়ি হচ্ছে মেয়েদের আসল ঘর ওখানে সবাই তোমার আপন জন। সকলের দোয়া নিয়ে আমি আমার শ্বশুর বাড়িতে গেলাম। আলহামদুলিল্লাহ সবাই আমাকে খুব পছন্দ করলো। আমিও বাবার কথা স্মরণ করে আমার মনের মধ্যে সবাইকে আপন করে নেই। 🌿🌿
🌿🌿বিয়ের পরে আমি জানতে পারি আমার শ্বশুর বড় ব্যবসা করতে গিয়ে ব্যবসায় লস হয়ে সব শেষ হয়ে গেছে। এদিকে আমার স্বামী বেকার। কনো কাজ করে না। শুধু নেশা আর ঘুম এ দুটো নিয়ে তার জীবন। এমন দিন গেছে প্রচুর পরিমাণে নেশা করে এসে এক ঘুমে 2 - 3 দিন কেটে গেছে। এক কথায় বলা যেতে পারে বড় লোকের অবাধ্য সন্তান। সবার ধারণা ছিল তাকে বিয়ে দিয়ে ঘরে একটা বউ আনলে নেশা ছেড়ে দিবে। কাজ করবে। অনেক চেষ্টার পরেও কনো লাভ হয়নি। এভাবে মাস বছর কাটতে থাকে। বাবা মা জানতে পেরে অনেক বার আমাকে নিয়ে যেতে চেয়েছেন। কিন্তু আমি কি করে যাই। এত দিনে সবাই তো আমার আত্মার সাথে মিশে গেছে। শ্বশুর শাশুড়ি ননদ দেবর সবাই আমাকে খুব ভালো বাসে। কিন্তু আমি আমার বাবার ওপর রাগ করে যায়নি। বলেছি মেয়েদের বিয়ে জীবনে একবারই হয়। আমি যাবো না। আমার ভাগ্যে যা আছে। সেটা নিয়ে থাকবো। 🌿🌿
গত 14 টি বছরের বিয়ে নামের,
সেই কষ্ট ভরা দিন গুলি আর মনে করতে চাই না। এটা যদি লিখতে থাকি। তাহলে( ইতি বা সমাপ্ত) লেখাটা আর হবে না।
আলহামদুলিল্লাহ
🌿🌿7/1/2011 আমার কোল আলকিত করে এল এক ছেলে সন্তান। ফ্যামিলির সবার সাথে মিলে আমিও সপ্ন দেখতাম। বাচ্চার মুখের দিকে তাকিয়ে হযত ভালো হযে যাবে।আমার চিন্তা যেন দিনে দিনে আরো বেশি বেড়ে যাচ্ছে। বাচ্চা টাকে ভালো খাবার দিতে হবে। ভালো একটা পরিবেশ দিতে হবে। কাজের কথা বললেই বলে উঠতো। আমি কাজ করলে আমার বন্ধুরা কি বলবে। এক সময় আমার বাবার বড় বাড়ি 2-3 টা ট্রাক ছিল। 🌿🌿
🎆আমার প্রবাস জীবন পারি দেওয়া 🎆
🌿🌿ছেলেটা পৃথিবীতে আসার পরে। ওকে ঘিরে যেন আমার পুরো পৃথিবী। আমার সংসার চালাতে কষ্ট হয়ে যায়। বাবা মায়ের কথা না শোনাতে ওনারা কোন যোগাযোগ রাখেন না। কিন্তু আমার মা আমার কষ্টের কথা কথা শূনে সবসময় সাহায্য করতেন। তাছারা সে 1 বছরে 6 মাস জেলে থাকে। তাই এক সময় প্রবাস জিবন বেছে নেই। 🌿🌿
🌿🌿আমার গারড়িতে চরতে খুব কষ্ট হত । মাথা ব্যাথা বমি করতে করতে এক সময় খুব অসহায় হয়ে পরেছী প্লেনের ভিতর। আমি ভেবেছিলাম যে আমি আর মনে হয় বাচবো না। তার পর আমি আমার অচেনা অজানা দেশে পাড়ি দিলাম। প্রথমত সেখানে গিয়ে কষ্ট হয়েছিল অনেক। যে ভাইবোনেরা প্রবাসে আছেন তারাই জানবেন। প্রবাসে প্রথম প্রথম যাবার পর কি অবস্থা হয়।🌿🌿
🌿🌿মনে হয় যেন বোবার রাষ্ট্রে এসেছি। না যায় কথা বোঝা। না যায় বলা। আমি একটানা প্রথমত তিন দিন তিন রাত না খেয়ে ছিলাম। শুধু পানি খেতাম। পানি যেনো ভালো লাগতো না। কেমন যেন মিষ্টি মিষ্টি।তারপর আস্তে আস্তে অভ্যাস করলাম কি করবো। কাজ করতাম এবং দিন গুনতাম কবে মাস হবে। বাড়িতে টাকা পাঠাতে হবে। ছেলে ফ্যামিলির জন্য। 🌿🌿
🌿🌿এভাবে যখন তিন বছর হয়ে গেল। তখন তো আমার দেশে যেতে হবে। দেশে যাওয়ার জন্য মনটা ছটফট করে। ছেলেটাকে দেখতে মন চায়। গ্রামের পাড়া-প্রতিবেশীরা বলে এখন তুমি চলে আসো ও ভালো হয়েছে। এখন তোমাকে খুব প্রয়োজন। তোমার তো এখন কিছু টাকা হয়েছে ওর হাতে এনে দাও। একটা কাজে লাগিয়ে দাও। ও বলে তুমি বাড়িতে আসো। আমি এখন কাজ করবো। আমি সব ভুল বুঝতে পেরেছি। সুন্দর মত সংসার করবো। প্লিজ চলে এসো। আমি তো ওর প্রতি অনেক দুর্বল ছিলাম। তাই এক পর্যায়ে ওর কথামত বাড়িতে ফিরে যাই। 🌿🌿
🌿🌿ওর মোবাইল থেকে শুরু করে যাবতীয় শখ আমি পূরণ করি। বাড়িতে আসার পরে কিছুদিন আমাদের সাথে ভালোমতোই থাকে। কিন্তু আমি যেটা ভেবেছিলাম সেটা আমার কল্পনা। আমি যেমনটা ওকে রেখে গিয়েছিলাম। এসে দেখি ওর শরীর আরো খারাপ অবস্থা। কাবু হয়ে গেছে। কালো হয়ে গেছে। সবকিছু শুধুমাত্র অতিরক্ত নেশা করার কারণে। আস্তে আস্তে মোটামুটি ভালই চলছে। তবে পাপ করলে তার শাস্তি হয়। ওর সাথে তেমনটাই হয়েছিল ও এবং ওরবন্ধুরা এই সব নেশা নিয়ে প্রশাসনের হাতেও ধরা খেয়েছিল। ও আমাকে এক সময় বলে আমি ভালো হতে চাই। আমি যে কোনো কাজ করতে চাই।
🌿🌿কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। ওর নামে আগে মামলা হয়েছিল। সেগুলো অরেন্ট থাকাতে পুলিশ মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসে। এবং ওকে প্রায়ই জেলে থাকতে হয়। আমি টাকা পয়সা যা নিয়ে ছিলাম ওর ধার দেনা পরিশোধ করি। কিছু মামলা থেকে নাম কাটাই। আবার হাত খালি হয়ে যায়। আমি খুব হতাশায় পড়ে যাই। জীবনকে আর ভালবাসতে ইচ্ছা করে না। মনে চায় একসময় জীবনটা শেষ করে দেই। কিন্তু কয়েক বার চেষ্টা করেছি।স্বামীর কারণে কারো কাছে কোন মূল্য নাই আমার। এ জীবন রেখে আর কি লাভ................?
শুধু ছেলেটার মুখের দিকে তাকিয়ে এখনো বেঁচে আছি🌿
আমার বিশ্বাস আমার স্বামী এক দিন ভালো হবে।
তাই আবারো চলে আসি সৌদি আরব পবিত্র মদিনাতে। এখন আমি আমার ছেলেটাকে ভালো একটা স্কুলে ভর্তি করিয়েছি। তাছারা আমার স্বামীর সাথে সব সময় যোগাযোগ রাখছি।আল্লাহ পাক রাববুল আলামিন ওকে হেদায়েত করেছে। বর্তমানে ছোট একটি জব করছে। 🌿🌿
🎆নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত🎆
🌿🌿আমি প্রথম সৌদি আরব আসার পর খুব টেনশন করতাম।। কী করলাম জীবনে। কি হলো। আমার কি কোন ভুল ছিল। আল্লাহর কাছে সব সময় নামাজ পড়ে দোয়া করতাম। সন্তানের জন্য। বাবা মায়ের জন্য। তাছাড়া গান মুভি নিয়ে কাটছিল সময়। তখন আমাকে একদিন এই নিজের বলার মত গল্প ফাউন্ডেশন এর কথা সোনায়l আমার এক ভাই। যে তুই সময় নষ্ট না করে এই স্যারের ভিডিও গুলো দেখ। ভালো লাগবে। হয়তোবা আল্লাহ যদি চায়। এখান থেকে তুই অনেক কিছু শিখতে পারবি। অবশেষে আমি 16 তম ব্যাচে রেজিস্ট্রেশন করি। স্যারের ভিডিও, সেশন দেখতাম এবং নিয়মিত সেশন চর্চায় ভাইয়া আপুদের সাথে জয়েন্ট হতাম। ভালো লাগতো।
🌿🌿হঠাৎ একদিন শুনি স্যার এবং ম্যাডাম ওমরার পালনের জন্য সৌদি আরবে আসবে। স্যার ও ম্যাম এর সৌদি আরব আসার কথা শুনে আমি স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। স্যার এবং ম্যাম এর সাথে দেখা করবো।আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরীয়া। আল্লাহ আমার স্বপ্ন পূরণ করেছে। আসলে মন থেকে কিছু চাইলে সেটা আল্লাহ ব্যবস্থা করে দেন। অবশেষে স্যার জেদ্দা থেকে মদিনায় আসেন। অনেক ভয়ে ভয়ে গিয়েছিলাম স্যার ও ম্যামের সাথে দেখা করতে। বাসা থেকে ভেবেছিলাম মনে হয় 100 গজ দূরে থাকতে হবে। ওখানে যাওয়ার পর দেখলাম 100 গজ দূরে নয়। এক ই টেবিলে বসে ম্যাডাম এবং স্যারের সাথে খাবার খাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এটা আমার জীবনের একটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। এতো ভালো ভালো দুজন মনের মানুষ সামনা সামনি না দেখলে বুঝতাম না। সুন্দর সুন্দর পরামর্শ সকল ভাইদের ভালো ভালো কথা। আমাকে আরো মুগ্ধ করেছে। আসলে এটা ভালো মানুষের গ্রুপ। তাই এ গ্রুপে লেগে থাকতে চাই। ভালোবেসে কিছু না করতে পারি। ভাল একজন মানুষ হতে চাই। 🌿🌿
🎆এই প্ল্যাটফর্ম থেকে যা পেয়েছি 🎆
☘️নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশনে আছে প্রবাসীদের জন্য অনেক ভালবাসা। স্যার বলেন প্রবাসীরা হলো বাংলাদেশের অক্সিজেন।
তাই আমি প্রবাসী হয়ে নিজেকে গর্ববোধ করি।
🍀নিজেকে নিজে ভালবাসতে পেরেছি ।
☘️মনে সাহস আনতে পেরেছি।
🍀অনেক ভাই বোনদের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি। 🍀
🤲🤲অবশেষে আমি আমার বাবা-মার কাছে দোয়া চাচ্ছি। তোমরা আমাকে আমার ভুল ক্ষমা করে দিও। তোমাদের মন থেকে আমাকে মেনে নাও। এবং দোয়া করো।
🍀 তাছাড়া এই প্ল্যাটফর্মের ভালো মানুষের গ্রুপের সকল ভাই বোনদের জন্য আমার মনের গভীর থেকে দোয়া করি আল্লাহ রাববুল আলামিন যেন সবাইকে সহি সালামতে রাখেন।
☘️ এবং আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি যেন এইবার দেশে যাওয়ার পর। আমার স্বপ্ন পূরণ করতে পারি।এই 13 বছর বিয়ের বয়সেস্বামীর রোজগার আমার চোখে দেখিনি। এইবার দেশে ফিরে যেন ওর রোজগারের টাকা স্পর্শ করে আমার নারী জীবন সার্থক করতে পারি।
🍀এবং স্যারের শিক্ষা অনুসরন করে যেন একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারি। সকল কলিজার ভাই বোনদের কাছ থেকে আর বেশী ভালো মানুষের চর্চা করে, এখন হতে চাই একজন আদর্শ মা। যেটা আমার ছেলেটাকে মানুষের মত মানুষ হতে সাহায্য করবে।
☘️ আমি আমার স্বামী সন্তান শাশুড়ি ননদ দেবর সবাইকে নিয়ে একটু সুখের সংসার করতে চাই ।আমিন।।
🌸সময় নিন।
🌸সময় দিন।
🌸সময় সব ঠিক করে দিবে।
ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার
ধন্যবাদ সবাইকে, আমার এলোমেলো অগোছালো জীবনের গল্পটা ধৈর্য ধরে সবাই পড়ার জন্য। ❤
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৭৭৬
তারিখ ০১-০৪-২০২২
☘️নারগীছ আকতার
☘️ব্যাচ =16
☘️রেজিষ্ট্রেশন=79956
☘️জেলা =ফরিদপুর
☘️থানা=কতোয়ালী
☘️আমি থাকি বর্তমানে সৌদিআরব মদিনাতে।