চমৎকার সেশন দেওয়া পড়ে বেশ অনুপ্রাণিত
বিসমিল্লাহহির রহমানির রহিম
শুরুতেই সকল মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আমার সালাম, আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।সনাতন ও অন্য সকল ধর্মের ভাই ও বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিবাদন।
সকল প্রশংসা ও তারিফ একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালার জন্য।
আমি শুকরিয়া আদায় করি, মহান আল্লহর প্রতি যিনি আমাকে সহ সারা বিশ্বের সকল মানুষ কে সৃষ্টি করেছেন এতো সুন্দর কাঠামো দিয়ে।
আমি আরো শুকরিয়া আদায় করি মহান আল্লাহর জন্য যিনি, আমাকে সহ আপনারা যারা আমার এই লেখনি পড়তেছেন আমাদের সকলকে এখন পর্যন্ত সুস্হ রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ।
এবং আল্লাহর কাছে আরও শুকরিয়া আদায় করি, এজন্য যে পৃথিবীতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর নিকট মনোনীত একমাত্র ধর্ম ইসলাম। একজন মুসলমান এর ঘরে জন্ম দিয়েছেন এবং একজন মুসলমান হিসেবে দুনিয়াতে প্রেরণ করেছেন এবং মেহেরবানি করে পৃথিবীর সর্ব শেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে বাছায় করে সম্মনীত করেছেন।আলহামদুলিল্লাহ।
আমি বিশেষ ভাবে আরো শুকরিয়া আদায় করতেছি,মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এর দরবারে,যিনি আমাদের সকলের প্রিয় মানুষ,হাজারো ভালোমানুষ বানানোর কারিগর আমাদের মেন্টর জনাব@Iqbal Bahar Zahid স্যারকে একটা ব্যাতিক্রম ধর্মী উদ্যোগতা তৈরির কারখানা, "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন"। গড়ে তুলার তৌফিক দান করেছেন।
আমি কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের সকলের মেন্টর জনাব,@Iqbal Bahar Zahid স্যার কে। যিনি নিজের অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধা ও কর্ম এবং ভালো মন মানসিকতা দিয়ে স্হান করে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়ের ভালোবাসা।
এবং গড়ে তুলেছেন একটা অনন্য দৃষ্ঠান্ত" নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন"।যেখানে প্রতিনিয়ত রচিত হচ্ছে হার না মানা এক একটা গল্প সামনে আরোও এভাবেই তৈরি হবে ইন্নশাআল্লাহ নতুন নতুন হার না মানা এক গল্প। যার সাক্ষী হবার প্রত্যাশা নিয়ে নিজেকে আঁকড়ে রাখবো ভালোবাসার এই প্লাটফর্মে।
🌍 ছোট্ট এই জীবনে আমার জীবনের গল্প 🌏
আমার জন্ম,
বাংলাদেশের মানচিত্রের সবার উপরে উত্তরের জনপদ ঠাকুরগাঁও জেলার অর্ন্তরগত সবুজের সমারোহ ঘেরা সীমান্তবর্তী উপজেলা, হরিপুর এ ১৯৯৮ সালের ১০ অক্টোবর আমার মা বাবার কোল জুড়ে আমার জন্ম।
যৌথ পরিবারের প্রথম সন্তান হিসেবে সবার কৌতূহল সীমা ছিল না।
মায়ের মুখে শুনা শিশু অবস্থায় প্রায় আমার অসুস্থা লেগে থাকতো। আমার প্রাণ প্রিয় বাবা প্রাণপণে চেষ্টা চালাইতেন আমার চিকিৎসার কোন কমতি রাখতেন না।।আলহামদুলিল্লাহ পরবর্তীতে থেকে সম্পূর্ণ সুস্হতা আল্লাহ দান করেন।
পারিবারিক অবস্থা ঃ
গ্রামের ঠিক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম। আমার বাবার পারিবারিক অসচ্ছল অবস্হা হলেও আমার প্রিয় বাবা আমাকে গড়ে তুলেন সচ্ছলতার সাথে। পরিবারের প্রথম সন্তান হওয়াতে বাবা আমার সকল ইচ্ছা পূরন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে সক্ষম হয়েছেন।
গ্রামের বিত্তশালী ব্যাক্তিদের সন্তানের মতোই আমার বাবা আমাকে ছোট থেকে গড়ে তুলেন।
মায়ের মুখে শুনা, শুরুতে আমাাদের আবস্হা ছিল একিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতোই।পরবর্তীতে আল্লাহ সহজ করেদেন। আলহামদুলিল্লাহ।
আমার পড়াশোনাঃ
মা-বাবার আদর - ভালোবাসা একটু বেশি পাওয়াতে পড়াশোনার তেমন কোন মনোযোগ ছিল না আমার, বেশ কইটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরেও আমি কখনো ক্লাস করা হতো না।পরর্তীতে আমার চাচাতো বড় ভাই এবং আমার দাদী ব্র্যাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে আসেন।
ব্র্যাক স্কুলে প্রথম যেদিন আমার দাদি আমাকে রেখে লুকিয়ে চলে যায়। ঠিক সেই দিন আমি হঠাৎ দাদি কে না দেখতে পাওয়াতে, আমি কান্না কাটি শুরু করে দেয় এবং জানালা ভেঙে পালানোর চেষ্টা করি। কিন্তুু যেতে পারি নাই।এই কথা বলে এখনো আমার বন্ধু মহল হাসির -তামাশা করে সুযোগ পেলে।
আলহামদুলিল্লাহ এভাবে পড়ালেখা চলতে থাকে আমার,হাতের লেখা ও পড়াশোনাতে একেবারে আমি ভালো ছিলাম না আমার স্কুল শিক্ষিকা সর্বাধিক চেষ্ঠা করেছেন কিন্তুু আমি ব্যার্থ হওয়াতে,আমার জীবনে ঘটে যায় একটা অঘটন,আমার ম্যাম আমার নাম,আমার বাবার নাম, আমার মায়ের নাম এক কথায় আমার সকল পরিচয় দিয়ে আমাদের থেকে বয়সে বড় হওয়াতে যে ছেলে স্কুলে ভর্তি হতে পারে নাই ঠিক সেই ছেলেকে পড়ানো শুরু করে দেয়।আমাদের ক্লাসে ছিলাম মোট ৩০ জন। এর বেশি ভর্তি নিবে না। সেখানে আমি ৩১ হয়ে শুধু নামে মাত্র থাকি আমাকে নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলতো,আমি স্কুলের আর কোন সুযোগ -সুবিধা পেতাম না, যেমন,রং পেনসিল, কলম,খাতা বোড,এসব কিছু আমি সবার মতো করে পেতাম না। ম্যাম আমাকে আংশিক কিছু দিত কিন্তুু আমার সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে সেই ছিল।স্কুলে আমি ক্লাস করতাম এভাবে যখন ম্যানেজার স্যার ভিজিটে আসতো তখন আমাকে স্কুল থেকে বের হয়ে যাওয়া লাগতো।এভাবে এখনে আমি চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত পাড়া-শুনা শেষ করার পরে পঞ্চম শ্রেণীতে ভার্তি হয় আমার গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পি,এস,সি পরিক্ষা দেওয়ার জন্য।
মজার ব্যাপার হচ্ছে,ব্র্যাকে যেখানে ছিলাম আমি সবথেকে অমনোযোগী ছাত্র এখানে হয়ে উঠি সকল স্যারদের প্রিয় পাত্র।এবং ক্লাসের প্রথম আলহামদুলিল্লাহ।
এভাবে আমার প্রথামিক শিক্ষা শেষ করার পরে,আমার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা শুরু হয় উপজেলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে এবং এখান থেকে শেষ হয় আমার JSC এবং, SSC। এর পরে সরকারি মোসলেম উদ্দীন কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে শেষ হয় আমার HSC.
HSC পরিক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রচুর পরাশুনা করতে ছিলাম অনেক সময় ধরে বসে থাকার জন্য পরিক্ষা শেষে,শুরু হয় আমার কোমরের ব্যাথা ডাক্তার দেখায় ঢাকা গ্রীন লাইফ মেডিকেল এবং ইবনে সিনা থেকে।
ব্যবসার সফলতা অর্জনঃ
আল্লাহ সুস্হতা দান করেন,এই সময় আমার বাবা আমার হাতে তুলেদেন ব্যবসা করার জন্য ১৬০০০ টাকা এই টাকা দিয়ে আমি গ্রামে রাস্তার মোড়ে দান কেনা শুরু করি। এবং জমা রাখি সেই ১৬০০০ হাজার টাকা আমার পরিণত হয় আলহামদুলিল্লাহ ৩২০০০ হাজার টাকা।
এর পর আমার অনার্সে ভর্তি হওয়ার কার্যক্রম শুরু হয় দিনাজপুর কলেজে আসে আমার প্রিয় বিষয় zoology. কিন্তুু সেই কলেজে আর ভর্তি হয়ে উঠা আর আমার হলো না এতো টাকা খরচ আমার বাবার পক্ষে বহন করা অনেক কঠিন হয়ে যেত। হঠাৎ করে আমার বড় ভাইয়ের ফোন, যে কোন ভাবে ঢাকাতে এডমিশন নিতে হবে, পড়াশোনা পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করে পড়াশোনার খরচ চালিয়ে নিতে বলেন। ভাইয়া ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের, English ডিপার্টমেন্টের ছাত্র। ভাইয়া বলেন ঢাকার মধ্যে ৭ টা কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হবে। এখানে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য।
পরিবারিক অবস্থা অসচ্ছল ওয়ার কারণে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তি পরিক্ষা দেওয়া হয় নাই।
আমার স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার।
এজন্য আমি প্রায়ই একাটা গান গাইতাম,
অন্যেরা গাইতো,সেই সময়ের এক জনপ্রিয় গান
এই আকাশ-বাতাস কে আমি জানাবো
এই পাহাড় -সাগড় কে আমি জানাবো
তোমাকে তোমাকে বউ বানাবো।
আর আমি গাইতাম,
এই আকাশ-বাতাস কে আমি জানাবো
এই সাগড়-পাহাড় কে আমি জানাবো
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাব।
ভাইয়ার পরমর্শ আর আমার স্বপ্ন পূরণ করার প্রত্যয় নিয়ে মা-বাবা থেকে দূরে গ্রামের নির্মল আলো বাতাস থেকে থকে পাড়ি জমালাম ইট-পাথরের এই ঢাকা শহরে আলহামদুলিল্লাহ ভাইয়ার সুবাদে একটা পার্ট-টাইম জব শুরু করি এরপরে ৭ কলেজে ভর্তি পরিক্ষা দেয়।এবং আল্লাহর রহমতে উত্তীর্ণ হয়।ছোট থেকে ইসলামের দিকে ধাপিত হওয়ায় প্রথম চয়েস দিলাম ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্টে সরকারি তিতুমীর কলেজ । আলহামদুলিল্লাহ ২০১৭-১৮ সেশন থেকে ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট নিয়ে শুরু হয় আমার ৭ কলেজের সরকারি তিতুমীর কলেজ যাত্রা পার্ট-টাইম জব আর পড়াশুনা চলতো আমার সমান ভাবে এবং এখন অবধি চলমান...
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠাঃ
(কোভিড ১৯) এর থাবা ,বাংলাদেশ সরকার প্রথম দিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল ১৭ মার্চ ২০২০ হতে যা পরবর্তীতে ১ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল।
ঠিক সেই সময় ঘটে যায় আমার জীবনের অভাবনীয় পরিবর্তন।
সারাবিশ্ব যখন হয়েছিল মৃত্যুপুরি। সেই সময় ছুটিতে বাড়িতে গিয়ে দেখি,এলাকার মানুষের করণ অবস্থা বাসায় খাবার নেই,নাই কোন কাজ সেই সাথে সবার হৃদয়ে মৃত্যুর ভয় কখন কাকে corona গ্রাস করে ফেলে । ঘর বন্দী মানুষ, বাবা - মা তাদের অদরের সন্তান কে রাখে স্বযত্নে।
সকল মানুষ ব্যাস্ত নিজেকে নিয়ে,যেখানে মানুষ মারা গেলে কেউ জানাজা তে শরিখ হয় না। সমাজের এই করুণ অবস্থা দেখে গণমানুষের বিপদের কান্ডারি হওয়ার জন্য শুরু করলাম তাদের সাহায্য সহযোগিতা করা। আমার একার পক্ষে এভাবে কাজ করা কষ্টকর হয়ে দাড়ায় ঠিক সময় সিদ্ধান্ত নিলাম একটা সংগঠন প্রতিষ্ঠা করি শুরু করে দিলাম কাজ, কয়েকজন স্বপ্নবাজ ভালো মনের যুবকদের নিয়ে - যা কিছু করবো আল্লাহ কে রাজি খুশির জন্য করবো এই প্রধান লক্ষ নিয়ে ২০২০ সালের ৩১ শে মার্চ প্রতিষ্ঠা করলাম "মিনাপুর আলোর পথে" স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন
যার প্রতিষ্ঠাতা -সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেছি আমি।
শিশু বয়স থেকে,একার মানুষের হৃদয়ে ছিলাম ভালো মানুষ হিসেবে।সেই সুবাদে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমার সংগঠনের বিস্তার করতে লাগলো সারা উপজেলা পর্যায়ে।শুরু করলাম আমাদের স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম Corona কে অপেক্ষা করে।উপজেলা নির্বাহি অফিসার জনাব Abdul Karim Satter স্যার আমাদের সকল সদস্যদের ভলেন্টিয়ার কার্ড করে দিলেন এবং সরকারি সকল ত্রাণ আমার সকল সদস্য সকল মানুষের কাছে সমান ভাবে বন্টন করতে সক্ষম হয়। Corona পরবর্তীতে,@মিনাপুর আলোর পথে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ফ্রি রক্তদান কর্মসূচি,বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি,গৃহহীন দের গৃহ নির্মানে সহায়তা প্রদান,অসহায় রোগিদের চিকিৎসা খরচ,সহ অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ড সফলতার সাথে সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হয় আমরা।
এই সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা বিন্দু মাত্র সহজ ছিল না। ছোট বয়স থেকে আমার সমাজের জন্য কাজ করার জন্য ছিল তীব্র মনোবাসনা এজন্য আল্লাহর কাজে অসংখ্য দোয়া করা হয়েছিল সেই দোয়া আল্লাহ কবুল করেছেন।
সমাজের বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ভাবে কথা বলতো আমাকে এসে, কেউ বলতো কতো দেখলাম সংগঠন,কেউ বা বলতো দুই দিন পর সেষ হয়ে যাবে কিন্তুু আমি থেমে যায় নাই বিভিন্ন জন বিভিন্ন ভাবে আমাদের একতা ভাঙ্গতে বিভিন্ন কার্মকান্ড করতে থাকে তবে আমি একতাবদ্ধ, কোন সদস্য না থাকলে ও আমি একা এই সংগঠনের হয়ে কাজ করে যাবো ইন্নশাআল্লাহ যতদিন এই পৃথিবীর বুকে থাকি অসহায় মানুষের পাশে থাকবো।
যার ধারাবাহিকতায় আমাদের উপজেলা নির্বাহি অফিসা স্যার ২০২০-২০২১ সালের কর্মমূল্যায়নে।
উপজেলার ৫৭ টা সংগঠন নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সেই সম্মেলনে আলহামদুলিল্লাহ আমার প্রিয় সংগঠন কে হরিপুর উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্যার ২০২০-২০২১ সালের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ম মূল্যায়নে সেরা পঞ্চম সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেন।
আমার সংগঠন সেরা _পঞ্চম স্হান অর্জন করে ।মাত্র ৮ মাসের মাথায়।
এটা ছিল আমার জীবনের সব থেকে বড় অর্জন।
কারন আমি খুবি সাধারণ স্বভাবের একজন মানুষ। গ্রামের আট দশ জন মানুষের মতো আমাকে কেউ চিন্ত না জানতো না ।সবার সাথে সহজে মিশতে পারতাম না।দশ জন মানুষের সামনে কথা বলতে পারি না।অতি সল্প শিক্ষিত , নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবরের হয়েও এবং পূর্বে কোন সংগঠন বা ক্লাবে যুক্ত ছিলাম না, সংগঠন বা ক্লাব কি জানতাম না।এর পরেও নিজে থেকে উদ্যোগ নিয়ে সফল উদ্যোগতা সফলতার পুরস্কার আমার হাতে পিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ
জীবন ধারা পরিবর্তনঃ
Corona কালিন সরকারি ছুটি থাকা অবস্থায়, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে পরবর্তী চার পাঁচ মাস বাড়িতে থেকে হঠাৎ কিছু ভালো লাগে না কিছুতে মন বসে না। ঠিক সেই সময় আমাদের এলাকায় মসজিদে আসে রংপুর বেগম রোকিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তাবলীগ ছাত্র জামাত। class six এ অধ্যায়নরত অবস্থায় একবার গেছিলাম তিন দিনের তাবলীগ জামাতে।
সেই সময় সময় নিয়ত করেছিলাম তিন চিল্লাহ চার মাস আল্লাহর রাস্তায় তাবলীগ জামাতে সময় লাগাবো।এবং অনেক দোয়া করেছি আল্লাহর দরবারে যেন জীবনে একবার তিন চিল্লা পুরা করার তৌফিক দান করেন।
অবশেষে আল্লাহ আমার মনের বাসনা পূর্ণ করেন, ২০২০ সালের ২৬ শে অক্টোবর আল্লাহ আমাকে নিয়ে গেলেন ৩ চিল্লাহ সফরে।আলহামদুলিল্লাহ প্রথম চিল্লাহ ঢাকা আশুলিয়া থানা,দ্বিতীয় চিল্লাহ ভোলা তজিমুদ্দীন থানা এবং তৃতীয় চিল্লাহ মাগুরা জেলা এবং কুমিল্লা তে সম্পূর্ণ হয়।
সফর শেষে বাড়িতে যাওয়ার দিন আমার সংগঠনের সকল সদস্য ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়,আমার মুখে ছিল না রাসুল (স) এর সুন্নত দাড়ি,ছিল না পান্জাবি, টুপি,বাগরি আমি যে একজন মুসলমান তার কোন চিন্হ ছিল না কোন পরিচয় বহণ করতো আমার বাহ্যিক শরীল।আল্লাহ সফর থাকা অবস্থায় দাড়ি,টুপি,জুব্বা পাগড়ি পড়ালো।
এলাকায় ছোট থেকে বড় হওয়া এই আমাকে এখন চিনতে, তাদের কষ্ট হয়ে। হঠাৎ স্বাভিকের তুলনায় অনেক বড় দাড়ি হওয়াতে কেউ কেউ কাছের জন চিনতে পারে বাকিরা অনেকক্ষণ দেখার পরে চেনত পারে।
সেই দিন আমার বাবাকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় দুই চোখ বেয়ে বয়ে যায় কান্না অনেক ক্ষণ কান্না করি।
জীবনের ভূল বুঝতে পারি।
আল্লাহ দুনিয়ায় আমাদের কে কিজন্য পাঠিয়েছেন আর আমারা এসে কি করি।।আল্লাহ সবাই কে মাফ করেন।
আমার বন্ধু মহলে বয়ে যায় সুখের ঘ্রাণ।
আগে নামাজ ঠিক মতো হতো আলহামদুলিল্লাহ এখন জামাত মিস হয়,না।
পান্জাবি পড়া লজ্জা লাগতো এখন জুব্বা ছাড়া নামাজ পড়তে লজ্জা লাগে।আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ মুখে কতো সুন্দর দাঁড়ি দিয়েছেন।
সকালের কাছে দোয়া চায় আমি যেন মৃত্য অবদি আল্লাহর এই পথে থাকতে পারি।
পরবর্তীতে আমার অনার্স তৃতীয় বর্ষ পরিক্ষা শুরু হয় ঢাকাতে আসি, এসেই@Radio aamar 88.4 fm আল্লাহ জবের ব্যবস্থা করে দেন আলহামদুলিল্লাহ।
প্রিয় প্লাটফর্মে যোগদানঃ
ফেসবুকে হঠাৎ একদিন ভেসে আসে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন নামে একটা গ্রুপ,, সেখান খুবি চমৎকার সেশন দেওয়া পড়ে বেশ অনুপ্রাণিত হয় হয় তখন আমি ১১ তম ব্যাচে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করি।বেশ কিছু দিন সময় দিয়েছিলাম এই গ্রুপে অনেক কিছু শিখেছি হঠাৎ ফেসবুক থেকে অনএকটিভ হয়ে যায়।পরবর্তীতে প্রিয় দ্বীনি ভাই কমিউনিটি ভলেন্টিয়াররা, ব্লাড ডোনেশন ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্য Abdullah Al Robi এর প্রিয় প্লাটফর্মের প্রতি এতোটা ভালোবাসা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে আবার সময় দেওয়া শুরু করি।আর গুলশান জোন এম্বাসেডর Md Salauddin Jibon ভাই এর মতো একজন সত্যিকারের স্বেচ্ছাসেবী ভাইয়ের সাথে পরিচিত হয়ে তার সাথে স্বেচ্ছাসেবী কাজ করতে পারাই নিজেকে ধন্য মনে করতেছি।
আল্লাহর কাছে দোয়া করি এই প্রিয় প্লাটফর্মের সবাইকে হেদায়েতের নুর দান করেন (আমিন)
এবং সবাই কে বলবো জীবনে কমপক্ষে ৩ টা দিন তাবলীগ জামাতে লাগাবেন এবং ৩ চিল্লাহ পুরা করবেন।
আল্লাহ দুনিয়ায় ও অখিরাতে শান্তি সফলতা এবং কামিয়াবি দান করবেন ইন্নশাআল্লাহ।
সকালের কাছে দোয়া চায়, সামনে একটা মডেল ফার্মেসি দেওয়ার পরিকল্পনা করতেছি ভালেবেসে পাশে থাকবেন। আপনার মূল্যবান সময় ব্যায় করে আমার জীবনের গল্পটা পড়ার জন্য সবাই কে জানাই আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৭৭৭
তারিখ ০৪-০৪-২০২২
✅মোঃসোহান আলী সাদ
🩸ব্লাড ডোনেশন ম্যানেজমেন্ট টিমের সদস্য
💉🩸ব্লাড গ্রুপঃ O+ (ও পজিটিভ)
➡️ অধ্যায়নরতঃসরকারি তিতুমীর কলেজ ঢাকা
✅ব্যাচ নাম্বার- ১১
✅রেজিস্টেশনঃ ৩০২৯০
✅ নিজ জেলাঃ ঠাকুরগাঁও
✅বর্তমান অবস্থানঃ উত্তর বাড্ডা, শাহজাদপুর (গুলশান জোন)
🤝আশাকরি সকলেই ভালোবেসে পাশে থাকবেন সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।