গুলো শুনতে শুনতে নিজের অজান্তে চোখে পানি এসে গেছে।
🌷🌷গল্পে গল্পে সেল পোস্ট🌷🌷
😭😭আজ শুনাবো দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধিতে অসহায় মানুষ😭😭
💗💗আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই। আশা নয় বিশ্বাস ইনশাআল্লাহ আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন।
🌺🌺অনলাইনে সেল পোস্টের গতানুগতিক ধারার পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যার।স্যারের পরামর্শ গল্পে গল্পে সেল পোস্ট করার।এরই ধারাবাহিকতায় হাটবারে চলে এসেছি গল্পে গল্পে সেল পোস্ট দিতে
আজ শুনাবো দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের দুঃখ।
🌺🌺মূল গল্প🌺🌺
আমি মোঃ সজিব হাসান, আমি একজন চাল ব্যাবসায়ী,নওগাঁ জেলা চালের জন্য বিখ্যাত, আর আমি চাল নিয়ে ব্যাবসা করি বলে ভালো লাগে।
বাজারে চালের দোকান হওয়ার জন্য ও খুচরা চাল বিক্রয় করা জন্য, সকল প্রকার মানুষের সাথে আমার পরিচয়। নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সব রকম কেতা রয়েছে।
সব কেতার সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলার চেষ্টা করি কারন কেতা ব্যাবসার চালিকা শক্তি।
কিছু দিন আগে কথা, আমার এক কাস্টোমার আমার সাথে ভালো সম্পর্ক, তাকে দেখি মন খারাপ করে বাজারে ব্যাগ নিয়ে বাড়ি দিকে যাচ্ছে।আমিও যাওয়ার পথে দেখা হলো, আমি তার কাছে দিয়ে বললাম কি হয়েছে ভাই মন খারাপ কেনো। সে আমার দিকে তাকিয়ে একটু চমকে উঠে বললো ভাই আপনি, আমি ব্যাপারটা বুঝার জন্য তাকে বললাম চলেন ভাই একটু ঐই চায়ের দোকানে বসি, ভাই প্রথমে রাজি হলো না পরে আমি বারবার বলাতে চায়ের দোকানে গিয়ে বসলো।আমি চায়ের দোকানের ভাইকে দু কাপ চা দিতে বললাম, চা হাতে নিয়ে বললাম ভাই একটা কথা কিছু মনে করবেন না আপনার মন খারাপের কারন কি?
আমার কথা শুনে সে আমাকে ধরে কান্না করতে লাগে বলে ভাই আমি কি করবো,আমি আর পারছি না, আমি মাসে আয় করি ১৬০০০ টাকার মতো, বাসা ভাড়া ৪৫০০টাকা,দুই ছেলে স্কুল ও পাইভেটের জন্য খরচ ৫০০০টাকা,ঔষধের জন্য ১৫০০টাকা,কারেন্ট ও পানির বিল ১২০০ টাকা, খাবার জন্য থাকে ৫০০০টাকা মাত্র। এটা দিয়ে টানাটানি করে চলিয়ে যেতাম কিন্তু ২মাস ধরে চাল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি হওয়ার কারনে আর সংসার চালাতে পারছি না, সে বলে ভাই আমি আপনাকে গত মাসের চালের দাম দিতে পারিনি, তাই আপনার কাছে গিয়ে চাল চাইতেও পারছি না, আমার বাড়িতে কোন চাল নাই, বাজার নাই, এক পরিচিত ভাইয়ের কাছ থেকে ধার নিয়ে ২২ তারিখ পর্যন্ত বাজার করেছি সংসারের জন্য বাকি কয়দিন কি ভাবে চলবে বুঝতে পারছি না, আজ বাজার করে না নিয়ে গেলে আমার দুই ছেলে ও স্ত্রী নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে।
আমি ছেলেদের মুখের দিকে তাকাতে পারবো না।
আমার মরনই ভালো। কথা গুলো শুনতে শুনতে নিজের অজান্তে চোখে পানি এসে গেছে।
আমি তাকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে লাগি এবং তাকে নিয়ে আমার দোকানে আসি।
তাকে ২০ কেজি চাল ও কিছু বাজার করে দিয়ে বলি ভাই আপনার হাতে টাকা এলে দিয়েন।
কোন সমস্যা হলে বলেন আমি চেষ্টা করবো পাশে তাকার জন্য,
সে আমাকে জরিরে ধরে বলে আমি আজ বাজারে ব্যাস্তা না হয়ে মরন ছাড়া কোন পথ ছিলোনা।
ভাই আল্লাহ আপনার ভালো করুন। তার পর আমাকে বুকে জরিয়ে ধরে কান্না করতে থাকে।
তাকে বুঝিয়ে রিস্কা ভাড়া দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেই।
আল্লাহর আমাদের সকলকে হেফাজত করুন।
নিত্য পূন্যের দাম কমে যায়, এই দোয়া করি।
সকলে কম মুনাফা করি।
সকলে জন্য দোয়া ও ভালোবাসা সব সময়।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৭৭৯
তারিখ ০৬-০৪-২০২২
মোঃ সজিব হাসান,
১৭ তম ব্যাচ,
রেজিষ্ট্রেশন নং,৮৬৭৩০,
প্রিয় ফাউন্ডেশনের
ভালোবেসে যুক্ত আছি "এগ্রো ফোরামে"।
ভালোবাসার টানে পাশে আনে,
@আসাদ ষ্টোর
সবার পাশে সব সময়,
উদ্যােগঃ চালের ব্যাবসা।
কাটারী,বাসমতি, জিরাশাইল,নাজিরশাইল,আটাশ ঊনত্রিশ,চিনিগুড়া ইত্যাদি সহ সকল প্রকার চাল পাওয়া যায়।
সকল প্রকার চাল খুচরা ও পাইকারি বিক্রয় করা হয়।
পেজ লিংক
https://www.facebook.com/asadstore7days/
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের আজীবন গর্বিত একজন সদস্য।