চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রতিবেদন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত এই জেলাটিকে কখনাে নবাবগঞ্জ এবং চাঁপাই নামেও ডাকা হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের রাজধানী নামেও বিখ্যাত।
নবাবগঞ্জের ৫টি থানা শিবগঞ্জ নাচোল, ভােলাহাটু গােমস্তাপুর ও নবাবগঞ্জ সদর থানা উপজেলায় উন্নীত হয়। ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ নবাবগঞ্জ মহকুমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে জেলা ঘােষণা করা হয়।
নামকরণ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামটি সাম্প্রতিকালের। জেলাবাসীর দাবির মুখে ২০০১ সালের ১লা আগস্ট সরকারিভাবে
নবাবগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ রাখা হয়। পুর্বে এই এলাকা নবাবগঞ্জ নামে পরিচিত ছিল।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ নামকরণ সম্পর্কে জানা যায়, নবাবরা তাঁদের পাত্র-মিত্র ও পরিষদ নিয়ে এখানে শিকার করতে আসতেন বলে এ স্থানের নাম হয় নবাবগঞ্জ।
ভৌগলিক অবস্থান: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অবস্থান বাংলাদেশের মানচিত্রে সর্ব পশ্চিমে।
পূর্বেঃ রাজশাহী জেলার গােদাগাড়ী উপজেলা ও নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর এবং পােরশা উপজেলা।
পশ্চিমেঃ ভারতের মালদহ জেলা ও পদ্মা নদী
উত্তরেঃ ভারতের মালদহ জেলা
দক্ষিণেঃ পদ্মা নদী ও ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলা।
একনজরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাঃ
আয়তন: মােট ১,৭88 বর্গ কিলােমিটার
চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলার মােট
শিক্ষার হার: ৬৭%
উপজেলা: ০৫ টি (চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট)
পৌরসভা: ০৪ টি (চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জ, রহনপুর ওনাচোল পৌরসভা)
ইউনিয়ন: ৪৫ টি
মৌজা: ৭৮৭ টিচাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার।
একনজরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাঃ
আয়তন: মােট ১,৭88 বর্গ কিলােমিটার
চাঁপাই নবাবগঞ্জ
শিক্ষার হার: ৬৭%
উপজেলা: ০৫ টি (চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট)
পৌরসভা: ০৪ টি (চাঁপাইনবাবগঞ্জ, শিবগঞ্জ, রহনপুর ওনাচোল পৌরসভা)
ইউনিয়ন: ৪৫ টি
মৌজা: ৭৮৭ টি
গ্রাম: ১,২৯৪ টি
নদী: ০৪ টি (পদ্মা, মহানন্দা, পুনর্ভবা ও পাগলা নদী)
মসজিদ: ৪,৬৮০ টি
ব্যাংক: ২৩ টি (মোট শাখা ৭২ টি)
ডাকঘর: ৮৫ টি (বড় ১৩টি এবং ছোট ৭২ টি)
বিশ্ববিদ্যালয়: ০১ টি (এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)
মহাবিদ্যালয়: ৪৯ টি (সরকারি ৩ টি, বেসরকারি ৪৬ টি)
স্কুল এণ্ড কলেজ: ০৯ টি
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: ০৬ টি
পিটিআই: ০২ টি (নবাবগঞ্জ ও দাদনচক ফজলুল হক, শিবগঞ্জ)
পর্যটন কেন্দ্র/দর্শনীয় স্থান: ছোট সোনা মসজিদ, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের সমাধি, ছোট সোনা মসজিদ পার্ক, তোহাখানা, শাহ নেয়ামতুল্লাহ এর মাজার, চামচিকা মসজিদ, দারাসবাড়ি মসজিদ, দারাসবাড়ি মাদ্রাসা, খঞ্জনদীঘির মসজিদ,ধানিয়াচক মসজিদ, ষাঁড়বুরুজ, সোনা মসজিদ স্থল বন্দর, কানসাটের জমিদার বাড়ি, কানসাট আম বাজার (বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ও দক্ষিণ এশিয়ায় ৩য়) , লাইভ ম্যাংগো মিউজিয়াম, শতবর্ষী রাজার আম বাগান , স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এর গন কবর, স্বপ্নপল্লী, আল্পনা গ্রাম নাচোল, নাচোল রাজবাড়ী, বাবুডাইং (প্রাকৃতিক পার্ক), রহনপুর নওদা বুরুজ, গোয়াইন বাধ ৭ টি*, নীলকুঠি, মহানন্দা নদী, শুড়লার তেঁতুল গাছ, স্বপ্ন পল্লী পার্ক, টাংঘন পিকনিক পার্ক,
একগাছে ২০০ প্রজাতির আম
আবাদী জমির: ১,২৯,৭৫১.০০ হেক্টর
উপজেলা ভূমি অফিস: ০৫ টি (চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট)
রেলওয়ে স্টেশন: ০৬ টি।
ঢাকার সাথে যোগাযোগ: বাস
ঢাকা – চাঁপাইনবাবগঞ্জ দুরত্ব ৩১৬ কি.ম ৭২ টি)
বিশ্ববিদ্যালয়: ০১ টি (এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়)
মহাবিদ্যালয়: ৪৯ টি (সরকারি ৩ টি, বেসরকারি ৪৬ টি)
স্কুল এণ্ড কলেজ: ০৯ টি
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট: ০৬ টি
পিটিআই: ০২ টি (নবাবগঞ্জ ও দাদনচক ফজলুল হক, শিবগঞ্জ)
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রতিবেদনঃ ২য় অংশ
জেলার গ্রন্থাগারঃ
আমাদের এই জেলার আয়তন অনুসারে এমন অর্ধেক পাঠাগারের সংখ্যা অন্য কোন জেলায় নেই। এখানে নবাবগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার সহ মোট 39 টি তালিকাভুক্ত পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে।
কৃষিপণ্যঃ
এই জেলায় ধান, গম, ইক্ষু, মাসকলাই, পান, সরিষা, লাক্ষা ও রেশম সহ আরো অনেক কৃষি পণ্য উৎপাদিত হয়।
ফলমূলঃ
এই জেলায় বিখ্যাত আম, কাঁঠাল, লিচু সহ আরোও অন্যান্য বারোমাসি ও মৌসুমী ফল পাওয়া যায়।
আমঃ
আম হচ্ছে এই জেলার প্রধানতম বাণিজ্যিক ফল ও অর্থকারী ফসল। এই জেলার আম জগদ্বিখ্যাত।
সারা বাংলাদেশের মোট তিনটি জিআই পণ্য রয়েছে তারমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম অন্যতম।
এখানকার ক্ষিরসাপাত ও ল্যাংড়া সহ বেশ কিছু আম আছে যা, যেমন সুমিষ্ট তেমনি রসাল ও সুস্বাদু।
নবাবগঞ্জ জেলার বহুল প্রচলিত প্রবাদ হলো "আমের আনার মাছের পাই
যদি টেকে কে খাই "
জেলার মোট আমবাগানের পরিমাণ প্রায় 25 হাজার হেক্টর। আম গাছের সংখ্যা 20 লাখেরও অধিক। এই জেলার মানুষের বাড়ির পাশে বাগান থাকেনা, বাগানের মধ্যে বাড়ি হয়। বার্ষিক মোট আমের উৎপাদন প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার লাখ টন আনুমানিক। সব চেয়ে বড় কথা আমের মৌসুমে সারাদেশের মানুষ চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমের দিকে চেয়ে থাকেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার উৎপাদিত আমের মধ্যে বিক্রয় যোগ্য উৎপাদন তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টন।
পচন ধরা আম 10%
স্থানীয় জনগণ প্রতিদিন আম খান 10 লাখ কেজি।
ঝরে পড়া কাঁচা আম 6 লাখ টন।
আমের আমচুর উৎপাদন হয় ৮০ টন।
আম থেকে আমসত্ত্ব উৎপাদন হয় 12 টন।
আম গাছের চারা তৈরি হয় 350 টির অধিক নার্সারিতে।
লাইভ ম্যাংগো মিউজিয়াম এর অন্যতম কাজ হল নতুন জাত খুঁজে বের করা। এই জেলায় গুটি নামে পরিচিত আমের বাজার মূল্য খুবই কম। তাই এই গুটি আম গুলোতে বেশ কিছু সুন্দর নাম সংযোজন করা হয়। এরও অধিক প্রজাতির আমের জাত রয়েছে। নতুন পুরাতন মিলে কিছু আমের নামের তালিকা এখানে দেওয়া হলোঃ
ফজলি, আশ্বিনা, ক্ষিরসাপাত, ল্যাংড়া, হিমসাগর, গৌর মতি, গোপালভোগ, আম্রপালি, বারি 1 থেকে 11, রাণী পছন্দ, লখনা, ক্ষীরমন, বৃন্দাবনি, তোতাপুরি, বোম্বাই, খুদে ক্ষিরসা, সুরমা ফজলি, সুন্দরী, বাতাসা, সেন্দুরা গুটি, বোগলা গুটি তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য।
বিখ্যাত জিনিসঃ
আম, শিবগঞ্জের আদি চমচম, রেশম, কাঁসা, পিতল, কলাই এর রুটি এবং ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান সমূহ।
পাঁচপদের খাবারঃ
কলায়র রুটি, কলায়র ডাল, খেজুরের লালির পায়েস, ছোট মাছে আমচুর ও কুমড়ো বড়ি ইলিশ।
বিখ্যাত ব্যাক্তিদের নামঃ
প্রফেসর ডঃ এমাজউদ্দীন আহমদ।
প্রফেসর কার্টুনিস্ট রফিকুন-নবী (রঃনবী)
বিচারপতি ও বিশিষ্ট লেখক মোঃ হাবিবুর রহমান
প্রফেসর ডঃ মোঃ মিজান উদ্দিন সাবেক ভিসি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
বিশিষ্ট লেখক ও নাট্যকার প্রফেসর মমতাজউদদীন আহমদ
মনিরুজ্জামান মিয়া সাবেক ভিসি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সাহিত্যিক আব্দুল হক
জাতীয় বীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল কালাম আজাদ
রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর আবুল ফজল হক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রফেসর আব্দুল করিম ডন (গণিত বিশারদ)
গম্ভীরা শিল্পী কুতুবুল আল। স্বর্ণপদক জয়ী মরিয়ম খাতুন বিপাশা।
জেলা প্রতিনিধি - ৩ জন
হাফিজুর রহমান
সালাউদ্দিন বিশ্বাস
সাব্বির হোসাইন
উপজেলা প্রতিনিধি -৪জন
আব্দুর রহমান
আসিকুর রহমান
মেহেদী হাসান
কানিজ ফাতিমা
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার- ৩ জন
মেহেদী হাসান।
ফেরদৌস আলম।
মাহফুজা আক্তার।
ক্যাম্পাস এম্বাসেডর ৩ জন
সাব্বির হোসাইন
আব্দুল্লাহ বিন আরফান
আব্দুর রাজ্জাক