আমার রবের উপর বিশ্বাস রেখে, চাকরিটা ছেড়ে দিতে বাধ্য হই।
🍁নিজের জীবনের গল্প🍁
💕 স্বপ্নবাজ উদ্যমী আত্মবিশ্বাসী এক সংগ্রামী নারী আমি। নিজের মেধা প্রজ্ঞা এবং পরিশ্রম দিয়ে বদলে দিতে চাই এই সমাজকে। প্রতিষ্ঠিত হতে চাই নিজের শক্তিতে নিজেই বিকশিত হয়ে। ভালোবাসার স্ফুলিঙ্গ থেকে সমাজের সকল পরিবর্তনের সাথে নিজেকে জড়িয়ে, ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে চাই সবার হৃদয়ে।
🔺ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতাঃ
শ্রদ্ধা এবং সম্মানের সাথে স্মরণ করছি, ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার রিয়েল হিরো, আমাদের সংগ্রামী এবং উদ্যমী ও উদ্যোক্তাদের, সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, বটবৃক্ষ অনুপ্রেরণার বাতিঘর, প্রিয় স্যার প্রিয় মেন্টর নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর জনক, শতাব্দীর সেরা আবিষ্কার জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি..
মহান, আল্লাহ আপনাকে আরো বেশি সম্মানিত করুক দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে।
💕 প্রিয় ফাউন্ডেশনে অন্তভূক্তিঃ
আমি সব সময় মোটিভেশান স্পিস শুনতাম, স্যারের প্রায় ভিডিও আমার দেখা, ভালোমানুষীর চর্চা, পজিটিভিটি, বিনয় এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে, লেগে থেকে কিভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, এমন লেসন এবং শিক্ষা নেয়ার জন্য। আমার প্রবল আগ্রহ জন্মালো, সেখান থেকে ই আমি ফাউন্ডেশন কে ভালোবেসে রেজিষ্ট্রেশন করে নিলাম, পরম মমতায়। নিয়মিত সেশন চর্চা করা ও ফাউন্ডেশনের
নানাবিধ কাজ আমাকে এখন মুগ্ধ করেছে।পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সহমর্মিতার
এমন ফাউন্ডেশন আমার জানা মতে, পৃথিবীতে আর একটিও নেই।
❤️ 💙 পারিবারিক অবস্থানঃ
আমি বাবা - মার প্রথম সন্তান ও বড় কন্যা, আমরা তিন বোন। বাবা সরকারি চাকুরীজিবি ও মা গৃহিণী। বাবার চাকরির সুবাদে আমার জন্ম স্থান রাংামাটি, সেখানে আমার ছোটবেলা ও আমার বেড়ে উঠা, ছোট ছোট ক্ষুদ্র স্মৃতি মনে পড়ে যায় । এখন ও স্মৃতি হাতরায় সে সব দিন গুলো তে ফিরে যাই, আমার জীবনের প্রথম পৃথিবী দেখা প্রকৃতির মাঝে, আব্বুকে দেখতাম গান করতো প্রোগ্রাম এ, আমি মুগ্ধ হয়ে শুনতাম আম্মুর মজার মজার খাবার রান্না করা। মানুষের জন্য কিছু করা এবং কাউকে কিছু দেওয়া, মানুষের সাথে চলাফেরা আত্নীয়তায় সম্পর্ক বজায় রাখা ছিল আমার আম্মুর অন্যতম গুন।
💞 আমার স্কুল জীবনঃ
স্কুল জীবনের শুরুটা হয় রাংঙামাটি স্কুল থেকে আমি আব্বুর হাত ধরে স্কুলে ভর্তি হই, তারপর খুব কম সময়ের ভিতর সেখান থেকে ঢাকা ব্যাটালিয়ন এ বদলি আব্বুর, ঢাকা ব্যাটালিয়ন স্কুলে আমি ভর্তি হলাম চাচ্চুর সাথে গিয়ে। আর আমার দুই বছর কেটেছে সেখানে।
🍂 স্যারদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতাম আর মনে মনে অনেকটা কল্পনার জগতে নিজেকে বড় হয়ে কি করবো তা আবিষ্কার করতাম, খেলাধুলায় মাতোয়ারা হয়ে যেতাম। বড় বড় গাছের গুড়ি,পার্ক আর স্কুলের আশে পাশে খুব আনন্দ করতাম, পাতা নিয়ে টাকা বানাতাম, দিন গুলো আজো চোখে ভাসে, আহা সেই নানান রঙের দিনগুলি..
একটা পিকনিক পেয়েছিলাম, খুব আনন্দ নিয়ে সারাটা দিন কাটিয়ে ছিলাম, এখন ও মনে আছে শুধু ২০ টাকায় পিক নিক আর তাতে খাবারের অভাব নাই, সব ছিলো আনন্দ আর বিনোদন।
তারপর চলে আসলাম বগুড়া।
আবার ও আব্বুর বদলি, আর আমাদের স্কুল বদল, আমার সারাটা স্কুল লাইফ কেটেছে ব্যাটালিয়ন স্কুলে, আর্মড পুলিশ দের ডিসিপ্লিন দেখে দেখে।
বগুড়া স্কুলের প্রথম দিন চাচ্চু আর আম্মু ছিলো আমার সাথে। তারপর এক ক্লাস দুই ক্লাস করে দিন মাস বছর যাচ্ছে। ছুটির ঘন্টা আর স্যারদের ক্লাসের লেকচার গুলো আমার মনে আলাদা জগত তৈরি করতে শুরু করলো। নিজেকে শীর্ষ এ দেখবো, এমন করে ভাবতে থাকলাম, পড়া লেখা খুবই কড়াকড়ি ছিলো, না পারলেই ডাইরি লিখা হতো, গার্ডিয়ান ডাকা হতো, তাই পড়ালেখা ফাকি দেওয়ার কোন অপশন ছিলো না।
রোজ ক্লাসে যেতাম তাই স্যার ভালোবেসে বলতো দেবী করে৷ আমি ক্লাস মিস করার মেয়েই ছিলাম না।আগে থেকে কেনো জানি সবার চেয়ে আলাদা ভাবতাম, আলাদা চিন্তা করতাম, ক্লাস এইট এ সবাই কৃষি নিবে এই জন্য যে এস এস সি তে A + আসবে, আর কম্পিউটার নিলে খুব কঠিন, তখন ভাবলাম বাসায় আমার একটা কম্পিউটার চাই তাই কম্পিউটার সাবজেক্ট নিবো।
🍁বাসা থেকে খুব কষ্ট রাজি করে ছিলাম আব্বু- আম্মুকে ক্লাস ৮ এ পিকনিক এ গিয়েছি নাটরের রাজবাড়ি তে, কি দারুণ সময় কাটিয়েছি। উচ্ছাস প্রাণবন্ত ছিলাম, তবে প্রতিটা পিকনিকে মানুষ আমাকে চিনেছে অন্য রকম করে, আমি খুব শান্ত থাকা মেয়েটা ও যে চরম আনন্দ করতে জানি আর মানুষ কে হাসাতে পারি তা তারা বুঝেছে। ভালো লাগার আরেক টা মুহূর্ত ছিলো।
পড়াশোনা কে কখনো ভয় করতাম না।এই ভাবে এস এস সি চলে আসলো, মানবিক বিভাগ থেকে এস এস সি এ A+ পেলাম। আমার মনে আছে বিজ্ঞান আর অংকে আমার ১০০ উত্তর ছিলো, MCQ 50 তে 50 টা ঠিক। ভাগ্যক্রমে আমি পেয়ে গেলাম স্কলারর্শিপ (বোর্ড বৃত্তি) ও উপবৃত্তিটাও ।
আর আমার এমন রেজাল্ট এ সবাই খুশি। এতো ভালো রেজাল্ট হয়েছে।
তারপর ভর্তি হলাম সনামধন্য সরকারি আজিজুল হক কলেজ এ, যেখানে মেরিট লিস্ট এ আমার নাম আসলো।
তারপর অনেক রঙিন স্বপ্ন বুনতে লাগলাম। স্যারদের শাসন, শিক্ষা আর ভবিষ্যৎ নিয়ে আগাম বার্তা আমাকে আরো বেশি স্বপ্ন প্রবণ করে তুললো। সব স্যার আমাকে আমার ইচ্ছা আর আগ্রহ দেখে আমাকে উৎসাহ দিতো আরো বেশি, স্যারদের কাছ থেকে অনেক হেল্প পেতাম। স্যার রা আমাকে খুব স্নেহ করতেন, এবং আমাকে বলতেন আমি যেনো কোন অবস্থাতে থেমে না যাই, আমাকে জীবনে অনেক বড় হতে হবে, তৈরি করতে হবে নিজের বলার মতো একটা গল্প...
বন্ধু-বান্ধবের সাথে আড্ডা পড়াশোনা সবকিছু মিলিয়ে আমার কলেজ জীবনটা খুব আনন্দে কাটিয়েছি আমি।
কলেজ লাইফে শেষে আমি চেষ্টা করছিলাম বাহিরে পড়াশোনা করার জন্য। আগ্রহ ছিল দেশের বাইরে পড়ালেখা করার, এবং জীবনে অনেক বড় কিছু হয়ে, মা বাবার মুখ উজ্জ্বল করবো, আর্ত মর্যাদায় নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবো অনন্য উচ্চতায়।
আমি ফ্যামিলির বড় মেয়ে তাই বাসার কেউ রাজি হয়নি, মানুষ কি বলবে সমাজ কি বলবে এমন প্রতিবন্ধকতায় আমার স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়, মনে মনে অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম, এবং মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম, জীবনে প্রয়োজন এমন সব স্কিলস আমি আয়ত্ত করবো , এবং দেখিয়ে দেবো, মেয়ে মানুষ হলেও আমি কোন অংশে কম না, আমার মেধা আছে প্রজ্ঞা আছে এবং আমি জয়ী হতে পৃথিবীতে এসেছি ইনশাল্লাহ ......
আমার নিজ জেলায় ভর্তি হলাম সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া হতে অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে ( ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং) সাবজেক্ট নিয়ে।
যদিও ভালো সাবজেক্ট তবুও মনটা খারাপ ছিল সবাই অন্যান্য জেলায় ভর্তি হয়েছে, আমি প্রতিবন্ধকতার জন্য নিজ জেলায় ভর্তি হতে হলো। অনিচ্ছা থাকা শর্তেও পড়াশোনা ছাড়ি নি কখনো, আমার ভালো লাগার জায়গা ছিলো জ্ঞান আহরণ।
অনার্স থার্ড ইয়ারের এসে একটা পিকনিক পাই, সেখানে ও আনন্দ কুড়িয়েছি, দারুণ মজা করেছি। যারা আমাকে বোরিং আর অহংকারী বলে দাবী তারা বুঝেছে আমি আসলে কেমন। ত প্রতিবার মজার অনুষ্ঠানে বা পিকনিক এ আমি যেনো প্রান ফিরে পেতাম, উচ্ছ্বাসের জোয়াড়ে নিজেকে ও আসে পাশের মানুষকে ভাসিয়ে দিতাম ।
লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়ে আমি প্রত্যেকটা ইয়ারে ফাস্ট ক্লাস নিয়ে বিবিএ কমপ্লিট করলাম আলহামদুলিল্লাহ।
এরপর এমবিএ করলাম ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং সাবজেক্ট থেকে সরকারি আজিজুল হক কলেজ এবং সেখানে ও ফার্স্ট ক্লাস ধরে রাখি।বরং অনার্সের চেয়ে বেশি পয়েন্ট এ ফাস্ট ক্লাস পাই।
তবে ছোট বেলা থেকে খুব ইচ্ছা করতো আমি দেশের বাহিরে পড়াশোনা করতে যাবো, একটা অন্তত ডিগ্রী দেশের বাইরে থেকে নিবো। পরিবার ও সমাজের প্রতিবন্ধকতায় আর বাড়ির বড় মেয়ে হওয়ায় তা হয়ে ওঠেনি আমার। তবে এখনো চাই,একটা অন্তত দেশের বাহিরে থেকে ডিগ্রি লাভ করতে। তাই পড়াশোনা টা ছাড়ি নি কখনো। জীবনে এটাই আমার শক্তি।
বর্তমানে আমি এল,এল,বি করছি বগুড়া ল' কলেজ থেকে। ইচ্ছা আছে পিএইচডি করার, আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি যেন আমার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি, তৈরি করতে পারি নিজের বলার মতো একটা সুন্দর গল্প।
🍂পড়াশোনার পাশাপাশি সফট স্কিল শেখাঃ
১.আমার কম্পিউটার শিখার পর থেকেই কম্পিউটার এর উপর অফিশিয়াল ১/৩/৬ মাস এবং ১বছরের ডিপ্লোমা ড্রিগ্রি করে ফেলি।
বেসিক, গ্রাফিক্স, মার্কেটিং, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপ টা শিখে ফেললাম, বাংলাদেশ ব্যাংক এর ও আইসিটির কোর্স গুলো থেকে।
২. আমার গ্রাফিক্স এর লেভেল -১ কমপ্লিট করেছি,যার পরবর্তী দেশে ও দেশের বাহিরে থেকে লেভেল ২/৩ করতে হয়।সামনে বাকি গুলো করবো ইনশাআল্লাহ।
৩.প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়া
৪.ফটোগ্রাফি ও লেখালেখি করতাম।
৫.সরকারের নানা কর্মশালায় ভিতর নারীদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর প্রোগাম গুলোতে আমি যুক্ত হলাম, একে একে শিখলাম....
👇
💕মোমের শোপিস,পুথি দিয়ে ব্যাগ ও ঘরের শো-পিস (ফল-ফুল) বানানো।
💕 মেশিনের ও হাতের সেলাই এর কাজ
যেমন.......
🥀 এমব্রয়ডারি কাজ,
🥀 ব্লক& বাটিক এর কাজ
🥀 বিউটিফিকেশন এর কাজ।
ড্রাইভিং শিখেছি নিজের প্রবল ইচ্ছা এবং আত্মবিশ্বাস থেকে, সবাই পারলে আমি কেন পারব না, নারী বলে আমি পিছু হঠে যাব, এমন বিশ্বাসে আমি বিশ্বাসী নই আমাকে আমি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি এগুলো করতে আমাকে নানাবিদ প্রতিবন্ধকতার বেগ পেতে হয়েছে, তবুও দমে যায়নি, হার মানবো না, হার মানবো না কোন কিছুতেই।
সামাজিক সংগঠন এর সাথে যুক্ত হওয়াঃ
সমাজ এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার জন্য, আমার অনেক ভালোলাগা অন্তর্ভুক্তি হওয়া
🌷প্রথম আলো
🌷বন্ধু সভা
🌷রেড ক্রিসেন্ট,
🌷বাধন ( রক্ত দানকারী)
🌷British Council
🌷গুগলের লোকাল গাইড
🌷কোয়ান্টাম মেথড (কোয়ান্টিয়ার)
🌷UNYSAB ইত্যাদি।
🍂 শিখেছি কিভাবে কাজ করতে হয়, লিডারশীপ, ভলেন্টিয়ারিং, কোন সমস্যায় পড়লে মুহূর্তেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা, অর্জন, মানুষের প্রতি মানুষের ভাতৃত্ব, একতা ও সহমর্মিতার সেতুবন্ধন তৈরি করা।
সাথে সাথে নিজের ইংলিশ এর স্কিল বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে গেছি,
💕 বিবিসি জানালা.কম
💕 সাইফুর্স স্যারের বই
💕 এফএলটিসি।
আমার বিশেষ ভালো লাগার কাজঃ
🍁পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করেছি, কোচিং এ, নিজেকে স্বাবলম্বী করতে
🍁আর কম্পিউটার স্কিল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করেছি দীর্ঘদিন যাবত।
পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে এই চিন্তা থেকে আমি ফ্রিল্যান্সিং ছেড়ে দেই । কারন আমার সাবজেক্ট এর পড়াশোনা করতে হতো অনেক বেশি...!শুক্রবারে বন্ধুসভার সাথে যুক্ত হতাম, ভালো লাগতো পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে খুজে খুজে বই পড়তে। সবার সাথে মতামত শেয়ার ও লেখালেখি, কবিতা আবৃত্তি, গান, প্রোগামে অংশগ্রহণ।
🍁সংগঠন ও নিজ উদ্যোগে শীতার্তদের বস্ত্র বিতরণ,পথ শিশুদের স্কুলে যাওয়া এবং পথ শিশুদের সাথে সময় কাটানো, তাদের জন্য কিছু করা, আমার অনেক ভালোবাসার কাজ।
🍁বন্ধু-বান্ধব মিলে নিজের উদ্যোগে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঈদের কাপড় দিতাম। কারন শহর বা এর আশে পাশে সবাই পেয়ে থাকে, তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরা থাকে সুবিধাবঞ্চিত।
🍁প্রয়োজনে বাঁধন এ ব্লাড ডোনেট করেছি, ফ্রি ব্লাড টেস্ট।
🍁প্রায় প্রতি বছরই সারিয়াকান্দিতে বন্যা কবলিত মানুষের সাহায্য করা। সংগঠন এবং নিজেদের মতো করে যা পারতাম সাহায্য করতাম। কখনো খাবার,কাপড়, টাকা বা শ্রম দিয়ে।
♦️কর্মজীবন এবং সামাজিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হওয়াঃ
পড়াশোনা শেষ করেই করোনার জন্য ব্যাপক সমস্যায় ছিলাম ভবিষ্যৎ চিন্তা নিয়ে। চাকরীর পড়াশোনা আর মন বসছিলো না। আর সব কিছুই থেমে আছে। একটা ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানিতে এইচআর এ জয়েন করি, প্রথমে তারা সংকোচে ছিল আমার এত ভালো রেজাল্ট আর স্কিল নিয়ে আমি এই জব করব কিনা!
তবু্ও এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে কাজ এ জয়েন করি।
তবে পারিপার্শ্বিক অবস্থা, আমার জন্য অনুকূলে ছিল না। ছিল না ভাল পরিবেশ, উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অসামাজিক আচরণ, আমাকে খুব কষ্ট দিতে থাকে, তাদের বৈরী আচরণ, এবং নোংরা মন-মানসিকতার সাথে, আমি পেরে উঠতে পারি নাই, মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি আমি। মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধা আর মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরন, আমাকে ভীষণভাবে কষ্ট দেয়। যদিও আমার জব টা একান্ত দরকার ছিলো। তথাপি আমি নিজের মান সম্মান কে বজায় রেখে, আমার রবের উপর বিশ্বাস রেখে, চাকরিটা ছেড়ে দিতে বাধ্য হই।
💞 আমার প্রবল ইচ্ছা মানসিক শক্তি এবং এবং আমার লেখাপড়ার যে যোগ্যতা আছে, তাতে আমি অনেক হ্যাপি, আমি নারী, আমি আমাকে নিয়ে গর্ববোধ করি, আমার আছে ভালোমানুষির চর্চা, পজিটিভিটি, বিনয়, এবং পরিশ্রম করে, নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি অবিরাম, দমে যাই নি, দমে যাবনা, নিজেকে শীর্ষে দেখতে চাই, আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন, ভালো একটা চাকরির পাশাপাশি, আমি আমার নিজের বিজনেস টাকে সফল করতে চাই, আমি পারবো, আমাকে পারতেই হবে এবং আত্ম মানবতার কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিব ইনশাআল্লাহ এ আমার দৃঢ় প্রত্যয়।
আমি তৈরি করব নিজের বলার মতো একটা সুন্দর গল্প।
📌📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৭৮১
তারিখ ৮-০৪-২০২২
☪️ আরেফীন নাহার জুথী
☑️ ব্যাচ-১৬
✍️ রেজিষ্ট্রেশন নং-৮১৬১৭
🥬 এগ্রো ফোরাম ভলেন্টিয়ার
💉 ব্লাড গ্রুপ- o+