পারিবো না পারিবোনা এ কথাটি বলিও না আর একবার না পারিলে দেখো শতবার।
বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম।
🙋 আসসালামু আলাইকুম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
🤲 শুরুতে শুকরিয়া আদায় করছি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ 🌴🌴
🗣️ হাজার দরুদ ও সালাম প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ ( সঃ) এর প্রতি জিনি পৃথিবীতে এসে সমস্ত মানব জাতিকে মুক্তি ও কল্যাণের পথ দেখিয়ে গেছেন 🌾
🙏 শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমার জন্ম দাত্রী মা ও বাবা কে 🌼
🐣 তাদের উছিলায় আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে এসেছি
🧍 বড় হয়েছি তাদের ভালো বাসায়
👩🏫👨🏫 মা - বাবার ঋন কখনো শোধ করতে পারবো না।
🌱🥀 বাস্তব জীবনের গল্প শুরু করার আগে আমি আমার পরিচয় দিচ্ছি ।
👩🦳 আমি নার্গিস জামান, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের আমি ১৪ তম ব্যাচের একজন গর্বিত সদস্য, আমার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার হচ্ছে ৭৭২৬৩
নিজ জেলা বাগের হাট বর্তমান অবস্থান ঢাকা পূর্ব রামপুরা। আমার জন্ম বাগেরহাটের মুনগঞ্জে উপজেলায় । আমার বাবা একজন ব্যাবসায়ি আমি আমার বাবার দুই পবিবারের মধ্যে আমি প্রথম পরিবারের অনেক আদরের বড় মেয়ে আমি 💙 সংসারিক জীবনে আমার বাবার ছিলো যৌথ পরিবার
আমার বয়স যখন আমার তিন বছর তখন আমার ম্যাজো ভাইটা মায়ের কোল জোড়ে পৃথিবীতে আসে।
আর তখনি আমার বাবা দেশে চলে আসতে চায়, - মানে বরিশালে এটা আমার দাদা বাড়ি আছে সেখান আসতে চায়, কিন্তু আমার মামা ও নানা আমাকে কোন ভাবেই বাবার সাথে যেতে দিতে চায়নি তাই আমাকে তাদের কাছে রেখে দেয়।
👍 সেই থেকে শুরু হলো আমার নতুন জীবন,
মামা-মামি, নানা-নানি ও আমার দাদা এতোটাই ভালো বাসতো আমার কখনো বাবা মায়ের কথা মনে হয়নি।
🤩 কিন্তু যে দিন আমার মামা মামির কোল জুড়ে একটা ফুট ফুটে আমার মামাতো বোন পৃথিবীতে আসলো।
তখন থেকে শুরু হলো আমার বুকের মধ্যে শূন্যতা অবহেলা, আমার প্রতি তাদপর আচার ব্যবহার পুরাই পরিবর্তন হয়ে গেলো। কিন্তু এই বিষয়গুলো আমি নিরবে সহ্য করে নিয়েছি কখনও কাউকে বুজতে দেইনি। ... যাই হোক নচিবে যা আছে তাই তো হবে।
🌴 যখন আমার বয়স পাঁচ বছর তখন আমাকে স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হলো। আমার নানি আমকে স্কুলে নিয়ে যেতো - আবার স্কুলন ছুটি হলে নিয়ে আসতো।
এই ভাবেই চলতে লাগলো আমার স্কুল জীবনের শুরটা। নানা নানী আমার জন্য যথেষ্ট কষ্ট করেছে আমি তাদের ঋন কখনো শোধ করতে পারবো না। মোটামুটি ভালো লেখা পড়া চলছে। ক্লাস ওয়ান থেকে পঞ্চম শ্রেনী পরিক্ষা দিয়ে ভালো রেজাল্ট করে প্রাইমারী স্কুলের ইতি টানি।
শুরু হয় হাইস্কুলের জীবন ভর্তি হলাম ক্লাস ষষ্ঠ শ্রেনীতে। তখন একটু বড় হয়ে যাই শিশু থেকে কিশুরে পদার্পণ। ধীরে ধীরে অনেক কিছু বুঝতে শিখি। আমি কখনো স্কুল মিস করতাম না। ছাএী হিসেবে অনেক ভালো ছিলাম। মা বাবার কাছ থেকে দূরে থাকলে ও কখনো মা বাবার অবাব টা বুঝতাম না। কখনো মামা মামীর আচরনে অনেক কষ্ট হতো তখন মা বাবাকে অনেক মিস করতাম।
অনেক সময় নিজের মনকে নিজেই সান্তনা দিতাম। এমনি করে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম পরিপূর্ণ ভাবে নানার বাড়ি থেকে শেষ করে ক্লাস নবম শ্রতিতে উওিন্ন হই।
👰 যখন আমি নবব শ্রেনীতে পড়ি তখন একটি সুসংবাদ শুনলাম, আমার ছোট ভাইটা মায়ের কোল আলোকিত করে পৃথিবীতে এসেছে। আমাকে বাড়িতে যাওয়ার জন্য খবর পাঠিয়েছে। আমাকে বড়িতে যেতে হবে। বিশ্বাস করে সেই দিন আমি যে কি খুশি হয়েছি তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
আমি তো মহা খুশি বাড়িতে যাবো কত দিন মা বাবাকে দেখিনা, আমার ছোট কিউট ভাইটাকে দেখবো, বাড়ির সবাইকে দেখবো মনের ভিতরে আনন্দের সীমা নেই, ২ দিন পর বাড়িতে চলে গেলাম। মাকে জড়িয়ে ধরে অনেক কেদেছি। ছোট ভাইটাকে কোলে নিয়ে অনেক আদর করেছি। তাদেরকে কাছে পেয়ে আমার মনটা বিশাল বড় হয়ে গেছে। এমনি করে কয়েকদিন কেটে গেলো। কেন জানি মন চাচ্ছে না আর নানার বাড়িতে ফিরি, হঠাৎ শুনতে পেলাম মা বাবা বলাবলি করছে আমাকে নাকি বাড়িতেই থাকতে হবে,, নানার বাড়ি যেতে দিবে না। এই কথা শুনে আমি তো আরো অনেক খুশি মা, বাবা, ছোট বাবুটার সাথে থাকতে পারবো।
🥰 আমি খুশি হলে ও কিন্তু আমার নানা নানি আমার জন্য অনেক কান্না করছিলো । সেই দিন আমার নানা নাী আমাকে কতটা ভালোবাসে , নানা নানীর কান্না দেখে আমার কষ্ট লাগেনি কারন আমি আর নানা নানীর বাড়িতে যেতে চাচ্ছিলাম না। আমি মা বাবার সাথে বাড়িতে থাকতে চাইছি , বাড়িতে থেকে লেখা পড়া করবো মা বাবার সাথে থাকবো -ছোট ভাইটাকে আদর যত্ন করতে পারবো তাতেই আমি অনেক খুশি।
বাড়িতে থাকা শুরু করলাম, দিনগুলো ভালই সুখে কাটছে। কিন্তু আমি জানতাম না আমার সুখের দিনগুলো এতো তারাতাড়ি শেষ হয়ে যাবে। সেই সুখ বেশি দিন ছিলো না। আমার নানি আমার জন্য বিয়ে ঠিক করলো 😥 আমি জানার পর নিজেকে অনেক অসহায় মনে হচ্ছিলো। আর মনে হচ্ছিলো পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে আসছে। যাই হোক বিধাতার নিয়ম মেয়ে হয়ে জন্ম নিয়েছি পড়ের ঘরে তো যেতেই হবে,,, নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করে মানিয়ে নিয়েছি। আমাকে আবার চলে আসতে হলো বাগেরহাটে নানার বাড়ি।
😎আমার জন্য যেই পাএ ঠিক করেছে, সেই পাএ সম্পর্কে আমার নানি মামা কেউই কিছুই জানে না। উনার সমন্ধে ভালো ভাবে কেউ খোজ খবর নেইনি ।
না যেনে না বুঝে কাকতালীয় ভাবে আমার বিয়েটা ঠিক করে ফেলে । আমি মনে হয় তাদের উপর বোঝা হয়ে গিয়ে ছিলাম তাই হয়তো তারা এই কাজটি করেছে।
জানার মধ্যে শুধু এইটুকু জেনেছে যে ছেলের বাড়ি বাগের হাটে এইটুকুতেই তারা আমাকে বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায় । তারা ভেবেছিলো এখানে বিয়ে হলে তাদের কাছাকাছি থাকতে পারবো, তাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হবে। সব কিছু ফাইনাল বিয়েটা হয়ে যায়। কথায় আছে না।
কষ্টে যাদের জীবন গড়া তাদের আবার কষ্ট কিশের । কপালে সুখ না থাকলে যা হয় আরকি।
আমার ও তাই হয়েছে।
👰 বিয়ের কয়েকদিন পরে জানতে পারি আমার শশুর দুই বিয়ে করেছেন এবং তাদের দেশের বাড়ি বরগুনা জেলায়। আর আমার যে শাশুড়ি আছে সে দেশে থাকে। সেই কথা শুনে আমি আর আমার মা বাবা অনেক কান্না করেছি। মনে হলো আমার জীবনটাই শেষ করে দিয়েছে নানা নানী আর মামা,
কষ্টে আমার বুক ফেটে যাচ্ছিলো । কাকে কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না, এখন কি করএখন কি করবো বিয়ে তো হয়েই গেছে কপালে যা ছিলো তাই হয়েই ।
প্রিয় বন্ধুরা একটা কথা না বললেই নয়, কিছু কিছু গার্ডিয়ানদের ভুলের কারনে তার আদরের সন্তানকে সারা জীবন তার খেসারত দিতে হয়।
😭 আমার কিছু করার ছিলো না, কারন আমি ক্লাস নবম শ্রেণিতে পড়োয়া একটা মেয়ে তখন তেমন বুঝ ঙ্গ্যান ছিলো না। এখন যতটুকু বুঝতে পারছি আগে যদি তার ৩ ভাগের ১ ভাগ বুঝতাম তাহলে আমার জীবনটা আরো অনেক ভালো কাটতো।
বিয়ে হওয়ার পর বিদায়ের পালা,,, প্রতিটি মেয়েকেই বিয়ের পরে তার আপনজনদের রেখে অচেনা একটা মানুষের হাত ধরে চলে যেতে হয়। যাকে বলে স্বামীর বাড়ি। নিজের বাবা মা, নানা নানী আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধবকে ছেড়ে চলে গেলাম অচেনা এক জায়গায় যেখানে কাউকে চিনি না জানি না।
নতুন জায়গার, অপরিচিত মানুষ, নতুন পরিবার আমার কাছে সবই নতুন।
কি ভাবে কি করবো ? কোথা থেকে শুরু করবো,,, কার সাথে কি ভাবে আমাকে চলতে হবে ? কেউ আবার দোষ ধরে কি না সে অনেক চিন্তা মনের ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছে। সময় যত অতিবাহিত হচ্ছে ততোই নতুন মানিষদের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। শুরু হলো আমার নতুন জীবন।
💞 স্বামীর বাড়িতে কয়েকদিন যাওয়ার পর বিভিন্ন মানুষের মুখে শুনি আমার স্বামী ও তার পরিবার নাকি আমাকে পছন্দ করে বিয়ে করেনি । আমার বাবার টাকা দেখে বিয়ে করেছে। সেই কথা শুনে আমি স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কি করবো ?
কাকে কি বলবো বুঝতে পারছিলাম না।
যত দিন যেতে লাগলো ততো তাদের অত্যাচার বেরে গেল। চলতে ফিরতে, উঠতে বসতে বউয়ের দোষ খুজতে লাগলো,,, শুধু তাই নয় গুমাতে গেলেও বলতো বাবার বাড়ি থেকে লাট সাহেবের বেটি কি নিয়ে আসছে বিছানা ও আনোনি? কিসের মধ্যে ঘুমাবে? খেতে গেলে বলতো থালা বাসন আনোনি কিসে খাবে? কেউ না জানলে ও আমার বড় কিন্তু জানতো, তাদেরকে কিছু দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমার বাবা -মায়ের নেই। তার পর ও সে কোন প্রতিবাদ করতো না। উল্টো তার ফ্যামিলির সাথে সাথে তাল মিলিয়ে আমাকে অনেক কথা শুনাতো ।
এই ভাবেই চলতে থাকলো দুটি বছর। তাদের এই মানুসিক নির্যাতন আমি নিরবে সয়ে গেছি, কখনো তাদের সাথে কোন প্রতিবাদ করিনি।
কারন আমি গরীব ঘরের মেয়ে, স্বাীর বাড়িতে কিছু দেওয়ার সামর্থ্য বাবা মায়ের নেই।
🥀 যাই হোক দুই বছর পর আমার কোল আলো করে আসলো আমার একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তান। আলহামদুলিল্লাহ।
আমার মা-মনির যখন এক বছর বয়স তখন আমার স্বামী আমাদেরকে ঢাকায় নিয়ে আসে। তখন আমি মনে মনে ভেবেছিলাম কাছে থাকলে হয়তো আমার দুঃখটা বুঝবে। বা আমি তাকে বুঝাতে পারবোব। কিন্তু আমার ধারনা ভূল ছিলো।
আবারও আমি তাকে বুঝাতে ব্যর্থ সে তার অত্যাচার আগের তুলনায় আরো বাড়িয়ে দিলো। তার অত্যাচার টিকতে না পেরে শেষ পযন্ত বাবা মায়ের কাছে বলে একটা সংসারে যা যা লাগে সব কিছু আনলাম শুধু মেয়ে টির মুখের দিকে তাকিয়ে।
আমি তো কোন দিন বাবা মায়ের আদর পাইনি আমার মেয়ে টাও কি পাবে না এই ভাবে শশুর বাড়ি সব অত্যাচার শুয়ে এসেছি।
এখনো কোন দিন পারিনি ভালো একটু আচরন বা ভালো একটু মুখের ভাষা। অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে আমার জীবন থেকে এভাবেই কেটে গেল চারটি বছর।
মেয়েকে যখন স্কুলে ভর্তি করলাম তখন কিছুটা শান্তি পেতাম মেয়ে কে নিয়ে আসা যাওয়া করতে পারছি। স্কুলে অন্য সব গার্জিয়ানদের সাথে কথা বলতে পারতাম।
💞 এরপরে একদিন একটা ভাবি আমাকে ডেকে তার কিছু কাজ দেখালো কিন্তু কিভাবে করতে হয় কিছুই বলল না তখন থেকেই আমার মাথায় কাজ করার ভূত চাপলো। বাসায় ফিরে আমার স্বামীকে কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত বললাম। সে শুনে কোন সারা দেয়নি। ইভেন তার কাছ থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতা পেলাম না।
আমিও এতো সহজে হাল ছেড়ে দেয়ার মেয়ে না।
কি করবো? কি ভাবে শুরু করবো বুঝতেছিনা ?
কারন আপনি যেই কেন কাশ শুরু করেন প্রথমে শুরুকতে কিছু পুজি তো অবশ্যই লাগবে।
ভাবতে ভাবতে একটা সময় -- বাবা মায়ের কাছে টাকা চাইলাম। বললাম আমি একটা বিজনেস করতে চাই আমার কিছু টাকা লাগবে। তারা ও নিষেধ করেননি। তাদের থেকে টাকা এনে কাজ করতে শুরু করে দিলাম । কিন্তু কাজ শুরু করে লেগে থাকতে পারিনি ।
এই রকম করে অনেক বার শুরু করেছি বন্ধ করেছি, শুরু করেছি বন্ধ করেছি।
এরই মাঝে আমার একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান আসে , আমি তো মহা খুশি। প্রথম আল্লাহ আমাকে একটি কন্যা সন্তান দিয়েছেন, এখন একটা ছেলে সন্তান দিয়েছেন। সন্তানের মুখ দেখে মনে হলো জীবনে আমার কোন কষ্টই নেই। আল্লাহর কাছে কোটি কোটি শুকরিয়া।
🥀 আমার ছেলে বাবুর বয়স যখন পাঁচ বছর তখন দুঃখে কষ্টে সংসার জীবন পার হয়ে গেছে বিশ টি বছর। মানুষ জীবনে বিয়ে একবারই করে । কেউ চায় না তার সাজানো সংসার ভেঙে তছনছ হয়েম যাক। আমি চাইলে পারতাম স্বামীকে ছেড়ে বাবার বাড়িতে একাবারে চলে আসতে,, কিন্তু সেটা আমি করিনি।
শত কষ্টের মাঝে ও সব সময় স্বামীর সংসারে থাকার চেষ্টা করেছি এখনো আছি,,, সব কষ্ট হাসি মুখে সয়ে গেছি মরে যাইনি। আমি যতটুকু জানি আল্লাহ যদি আমার কপালে সুখ না রাখে তাহলে কেউ আমাকে সুখ দিতে পারবেনা ।
💞 শত প্রতিকূলতার মধ্যে ও আমি হাল ছাড়িনি লেগে আছি জীবন যুদ্ধে ময়দানে ।
হঠাৎ এক দিন ইউটিউবে আমি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন সন্ধান পাই । কিছু উদ্যেক্তা জীবনের ভিডিও ও পোস্ট দেখতে পাই । সেই ভিডিওতে ক্লিক করে প্রিস স্যারের কথা গুলো মন দিয়ে শুনি ভালো লাগা তৈরী হয়।
আর সেই দিন থেকেই আমি যুক্ত হলাম। নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশনে। আবার নতুন করে নিজের মনে স্বপ্ন ভুনতে শুরু করলাম, ভাবতে থাকলাম জীবনে কিছু একটা করা প্রয়োজন,,, সবাই পারলে আমি কেন পারবো না।
মনে মনে জেদ হলো,,
🥀 নিজের সাথে কথা বলতে শুরু করলাম, পারিবো না পারিবোনা এ কথাটি বলিও না আর একবার না পারিলে দেখো শতবার।
আমি নিজেকে অনেক সৌভাগ্য বান মনে করছি এই জন্য যে প্রিয় স্যারের মতো একজন ভালো মানুষের শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ হয়েছে।
স্যারের মতো একটা ভাল মানুষ পেয়ে আমার সাহস আরো দ্বিগুন বেড়ে গেছে ।
নিজের মধ্য থেকে হতাশা দুর হয়ে গেছে। স্যারের থেকে অনেক অনুপ্রেরনা পাই ।
সেই ১৪ ব্সেই ১৪ ব্যাচের প্রথম থেকে এখন পযর্ন্ত লেগে আছি প্রিয় প্লাটফর্মের ভালবাসর ভাই বোনদের সাথে।
আমি চাই প্রিয় স্যারের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রিয় ভাই বোন দের কাছ থেকে আরও শিক্ষা নেই আমি আমার উদ্যোক্তা জীবন সফল করতে। আশা ও বিশ্বাস আপনারা ভালোবেসে আমার পাশে থাকবেন ।
💞 অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রতি মেন্টর, প্রিয় শিক্ষক, তরুন প্রজন্মের আইডল, স্বপ্নদষ্টা, উদ্যোক্তাদের পথ উদ্যোক্তাদের পথপ্রদর্শক। জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি যারা সুচিন্তা চেতনায় তৈরী হয়েছে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন। একটি ভালোমানুষের ফাউন্ডেশন। যেখান থেকে প্রতিনিয়ত উদ্যোক্তা তৈরী হচ্ছে এবং ভালো মানুষির চর্চা হচ্ছে। এই প্লাটফর্মটি আমাদের মতো দিশাহারা বেকার মানুষদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
🥀 পরিশেষে, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সকল দায়িত্বশীল ও সদস্য ভাই বোনদের প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আশা করছি ভালোবেসে সব সময় পাশে থেকে আমাদেরকে উৎসাহ দিবেন।
এতক্ষণ সময় নিয়ে আমার বাস্তব জীবনের গল্পটা পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভালো থাকবেন সব সময় - আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
📌📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে - ৭৮১
তারিখ ৯-০৪-২০২২
নার্গিস জামান
ব্যাচ নং ১৪
রেজিষ্ট্রেশন নং ৭৭২৬৩
নিজ জেলা বাগের হাট
বর্তমান অবস্থান ঢাকা পূর্ব রামপুরা