দোকান দারি ছারা আমি আর কোন কাজ জানতাম না,
☣বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম☣
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু,
🚸আমার জীবনের বাস্তবতার গল্প🚸
🌋আশা করি সবাই ভালোবেসে পড়বেন।🌋
🥇শুরু করছি পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার নামে,
শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি যিনি আমাদেরকে সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রেখেছেন এই দুর্যোগ পূর্ণ সময় করণা মহামারীর মাঝে আলহামদুলিল্লাহ,
আশা নয় বিশ্বাস করি প্রিয় প্ল্যাটফর্মের সকল ভালোবাসার প্রিয় ভাই বোনেরা ভালো আছেন আপনাদের দোয়ার বরকতে আমিও ভালো আছি, দরুদ ও সালাম পেশ করছি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি, যিনি এই পৃথিবীতে এসেছেন সমস্ত মানবজাতির মুক্তির ও কল্যাণের দূত হিসেবে,
অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞ তার সাথে স্মরণ করছি আমার প্রিয় মা ও বাবাকে যাদের ওসিলায় এই সুন্দর পৃথিবীর আলো-বাতাস দেখতে পেয়েছি বড় হয়েছি তাদের অফুরন্ত আদর স্নেহ ভালবাসায় মা-বাবার ঋণ কখনো শোধ হবার নয় ভালোবাসা সব সময় প্রিয় মা ও বাবার প্রতি,
🎏প্রথমে কৃতজ্ঞতা জানাই আপনার আমার সুপরিচিত এমন একজন মহামানব যিনি আমাদের মাঝে আলোকবর্তিকা হয়ে এসেছেন যার জন্ম না হলে আমরা পেতাম না এত সুন্দর একটা ভালো মানুষের প্ল্যাটফর্ম যিনি লক্ষ লক্ষ্য মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন হাজারো উদ্যোক্তার নয়নের মনি যার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া রুপসা থেকে পাতু রিয়া তিনি আর কেউ না তিনি আমাদের সবার অত্যান্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার, 🎏
✍️✍️আমার জন্ম কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলা মুক্তাঞ্চল নামে পরিচিত এক মুসলিম পরিবারে,
আমার বাবা ছিলেন একজন সিলভারের জিনিস বিক্রি করা ফেরিওয়ালা এলাকার সবাই তাকে হারি আলা নামে চিনতো মানে সিলভারের জিনিস বিক্রেতা এলাকায় তার অনেক সুনাম ছিল অনেক মানুষে চিনতেন, অনেক ধার্মিক ছিল এখনো আছে আমার দাদা ছিল এলাকার একজন দেওয়ানী ও মুন্সি যাকে বলে এলাকায় গ্রামে গ্রামে কোন সমস্যা হলে বিচার সালিশ করে সেটা মিটাতেন, তারও আমার বাবার মতো অনেক খ্যাতি ও সুনাম ছিল এখনো বয়স্ক লোকেরা তার অনেক প্রশংসা করে, আমার দাদার ছিল দুইটা সংসার মানে দুইটা স্ত্রী আমার বাবা ছিলেন ভাইদের মধ্যে সবার বড় সবাই সংসারের কাজ করলেও আমার বাবা অল্প কিছু লেখাপড়া করার পর ব্যবসার দিকে ঝুঁকে পড়েন, 🥊
🌐 আমার দাদার কথা কি আর বলবো আমার চাচিরা ফুফুরা আমার মা বলতো আমার দাদা নাকি আমাকে অনেক ভালবাসত এত ভালবাসত আমি সেটা আপনাদের বলতেও বোঝাতে পারছি না,
আমার বাবা ফেরি করা অবস্থায় চিন্তা করেন বিদেশে যাবে ব্যবসা আলহামদুলিল্লাহ ভালোই নাকি চলছিল একটা সময় আমাদের বাড়িটা চুরি হয়ে যায় আমার আব্বার মালপত্র গুলা সব চোরে নিয়ে যায় এবং কি যেটা দিয়ে মরিচ বাটতো শিলপাটা ও নাকি নিয়ে যায় বর্ষাকাল ছিল নৌকা নিয়ে এসে চুরি করে নিয়ে যায়।
আলহামদুলিল্লাহ
আমাদের জমা জমি ছিল সেখানে আবাদ হতো না একটু বালি বালি মাটি ছিল কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে মেশিন কিনেছিল মেশিনটা প্রতিদিন নাকি নষ্ট হতো মেকার আনা লাগতো যাকে এখন আমরা সবাই বলছি সার্ভিসিং করা লাগতো, কৃষি ব্যাংক থেকেই খারাপ মেশিনটা আমাদের কে দেওয়া হয় তখন নাকি আমাদের গ্রামের আশেপাশে কোন মেশিন ছিল না,
এরকম একটা সময় আমার বাবা সিদ্ধান্ত নেন বিদেশ যাবেন সৌদি আরব আমার দাদার সাথে থেকে আমার বাবাও দ্বীন সম্পর্কে অনেক কিছু শেখেন সেই জন্য তাকে মক্কা ও মদিনা শরীফ তাকে আকর্ষণ করে একটা পর্যায় আমাদের গ্রামের এমপি সাহেব আলহাজ্ব গোলাম হোসেন আমার দোষ সম্পর্কে নানা হন তাকে টাকা দেন এক টা বছর তার পিছে ঘুরে একটা সময় তিনি সৌদি আরবে আসেন কিছু ঋণপত্র ছিলেন একটা সময় তিনি আর বিদেশে আসার আগে বাড়িতে থাকতে পারতেন না মানুষে টাকার জন্য চাপ দিত,
আমি শুনেছি ঢাকার নাখালপাড়ায় এমপি হোস্টেলে মানুষকে পাকিয়ে খাওয়াতেন এই এক বছর এমপি হোস্টেলে অনেক কষ্ট করে ছিলেন তখন আমার জন্য আব্বা অনেকগুলা কাপড়চোপড় একজনের কাছে কিনে দিয়ে যান,
আমি কাপড় গুলো দেখে এত খুশি হয়েছিলাম যেটা এখন ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না,
বিশেষ করে একটা শার্ট এত ভাল ছিল শার্টের কালার টা চেকটা এখনও আমার মনে গেঁথে আছে আমার বাবাও নাকি আমার দাদার মতো সবার মত আমাকে অনেক ভালোবাসতেন সবার কাছে শুনেছি বাবা বিদেশে আসলেন 1989 সালে তখন ছয় মাসে একদিন টেলিফোন করতেন মার কাছে শুনেছে মূলত খোঁজখবর চিঠির মাধ্যমে আদান-প্রদান হত,
✍️✍️শিক্ষা জীবন।
এক বছর পর আমার বাড়িতে লেখাপড়া হবে না বিধায় আমার নানার বাড়িতে আমাকে রাখা হয় পড়াশোনার জন্য, আলহামদুলিল্লাহ সেই বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করছি, আলহামদুলিল্লাহ এভাবেই চলছিল, মূলত এখানে থাকার কারণ বাড়িতে আব্বা ছিলনা কারো কথা শুনবো না মামাদের কে ভয় করে লেখাপড়া করব এটাই ছিল মূল উদ্দেশ্য, এখন বুঝতে পারছি আমার বাবা সাড়ে চার বছর পর ছুটিতে যান ছয় মাসের তখন আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয় একেবারে আগে প্রতি সপ্তাহে একদিন করে এসে থেকে যেতাম এভাবেই চলছিল আমার পড়াশোনা ও আমাদের সংসার, ছুটি শেষে বাবা আবার সৌদি আরবে আসলেন আমি তখন বাড়িতে থেকে ক্লাস ফোরে পড়ি, আব্বা দেড় বছর পরে সৌদি আরব থেকে একেবারে দেশে চলে আসেন, তখন বাবা একটা দোকান দেন সিলভার প্লাস্টিক মেলামাইন ক্রোকারিজ কাঁসা পিতল সব ধরনের জিনিসের তখন আমি ক্লাস সিক্সে হাইস্কুলে ভর্তি হলাম বাড়ি থেকে স্কুল দূরে হওয়ার কারণে দোকানে থেকে লেখাপড়া শুরু করলাম হাইস্কুলে, তখন আব্বার সাথে ব্যবসা একটু একটু করে শিখছি আস্তে আস্তে পড়াশুনা আর মাথায় ওইভাবে ঢোকে না, কারণটা হচ্ছে যখন দোকান বন্ধ করে স্কুলে যায় তখন চিন্তা করি দোকান বন্ধ কতগুলা কাস্টমার এসে ফেরত গেল যদি তাদের কাছে বিক্রি করতে পারতাম কত টাকা লাভ করতে পারতাম মূলত এই চিন্তায় আর লেখাপড়া ভালো হচ্ছে না,
যার কারণে ক্লাস সেভেন থেকে ক্রিয়া ফ্রী দিয়ে 35 টাকা জরিমানা দিয়ে ক্লাস এইটে উঠলাম এর পরবর্তীতে শুধু জরিমানা দিয়ে ক্লাস টেন পর্যন্ত লেখাপড়া করি তখন মেট্রিক পরীক্ষা দেওয়ার সাহস ছিল না আমি হানডেট পারসেন্ট নিশ্চিত ছিলাম পরীক্ষা দিলে আমি ফেল করব এই কারণে অনেক জোরাজুরির পরে আমি আর এস এস সি পরীক্ষা দেইনি এখানেই আমার শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি ঘটে,
একটা বিষয় আমি আপনারদের অনুরোধ করি সেটা হল অল্প বয়সে পোলাপানের হাতে টাকাপয়সা দেবেন না টাকা পয়সা দিলে তখন টাকা পয়সার প্রতি লোভ-লালসা তৈরি হবে, মূলত টাকাপয়সা নাড়াচাড়া করার কারণে আমার লেখাপড়া নষ্ট হল হাই স্কুলে এসে যখন প্রাইমারি স্কুলে ছিলাম মাঝে মাঝে স্যারেরা আমাকে দিয়ে ক্লাস নেওয়াতেন তখন ছাত্র অনেক ভালো ছিলাম রোল 1 অথবা 2 থাকতো।
✍️✍️প্রবাসে আসার চিন্তা
মেট্রিক পরীক্ষা দেইনি সমস্যাটা সেখান থেকেই শুরু হয় আব্বা-আম্মা হতাশ হয়ে যান,
তারা আমার লেখাপড়া নিয়ে অনেক চিন্তিত ছিল তখন আব্বার সাথে ব্যবসা অনেক ভালো চলছিল, একটা সময় আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমিও সৌদি আরবে চলে যাব সেই ভাবেই কাজ চলছিল পাসপোর্ট করা হলো আমার চাচার কাছ থেকে ভিসা নেওয়া হলো একটা সময় আমি সৌদি আরবে চলে আসলাম, বলে রাখা ভালো বাংলাদেশের দোকান দারি ছারা আমি আর কোন কাজ জানতাম না,
✍️✍️ প্রবাসী কষ্টের জীবন,
🎏🎏🎏🎏🎏🎏🎏🎏🎏
আমার দুঃখ কষ্ট শুরু হল সৌদি আরবে এসে এখানে এসে বিল্ডিং কন্সট্রাকশন এর কাজ করতে শুরু করলাম আগেই বলেছি এগুলা কাজের কোন অভিজ্ঞতা আমার ছিল না,
এত কষ্টের কাজ হঠাৎ একদিন বালু এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নেওয়ার সময় ছোট গাড়ি সৌদি আরবে যাকে আরাবী বলে এক চাকার এত লোক ছিল আমি কন্ট্রোল করতে না পারার কারণে আমার পায়ের উপর পড়ে যায় এবং অনেক ফুলে যায় হাতের মধ্যে ফোসকা পড়ে পা ফুলে এত মোটা হয়ে যায় আমি অনেক ভয় পেয়ে যাই হালকা কিছু ওষুধ খেয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়ে যায়,
মানুষের অনেক ঠাট্টা মশকারি করেন কারণ সবাই জানত আমাদের বাড়ির ও আমাদের অবস্থান,
কাজকর্মগুলো ছিল আমার ভালো না লাগার, আমার খুব কষ্ট হতো বাড়িতে থেকে অবশ্য আমার আব্বা-আম্মা শুনে আমাকে বাড়িতে যেতে বলেছিল, আমি তখন চিন্তা করেছি আড়াই লক্ষ টাকা খরচ করে বিদেশে আসলাম, এখন যদি চলে যায় মানুষ ও নানান কথা বলবে নানান চিন্তা ভাবনা করে সৌদি আরবের টিকে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম, যখন মনে মনে এরকম জিদ করলাম প্রতিজ্ঞা করলাম যে আমি রিটার্ন যাব না, তখন আর কাজকর্ম অত কষ্ট মনে হত না,
এই ভাবে কাজ করতে লাগলাম মালিকের কাজ করি 800 শো রিয়াল বেতনে মাসের শেষে মালিক মানে কফিল কোন মাসে দেয় 100 রিয়াল কোন মাসে 200 রিয়াল কোন মাসে 300 রিয়াল, আমি তখন বলতাম দোকানে বাকি খাইছি 300 রিয়াল তুমি আমাকে দিচ্ছো 200 রিয়াল কিভাবে কি হবে? শুক্রবারে ছুটি থাকতো শুক্রবারে বাহিরে কাজ করতাম এইভাবে দুইটা বছর করলাম,
তেমন কিছুই করতে পারলাম না, পরে আবার এক বছরের কাগজ মানে আকামা বানিয়ে এই মালিক কে ছেড়ে দেই,
মানে আমি অবৈধ হয়ে যাই কাগজ পত্র আমার কাছে নাই তখন কাগজপত্র না থাকার কারণে ভালো কোন কাজ আর সংগ্রহ করতে পারিনা, তখন কষ্টকর বিল্ডিং কন্সট্রাকশন এর কাজ করি এক পাকিস্তানের ঠিকাদারের সাথে নাম তার রাহাত আলী তার কথা কি আর বলব অনেক ভালো মানুষ, এখনো যখন আমার মাদ্রাসা বন্ধ থাকে তাকে ফোন করলেই আমাকে কাজ নিয়ে যায় দীর্ঘ 15 বছর তার সাথে পরিচয়, সেসব জায়গায় আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয় ছোট ভাই হিসাবে কাগজপত্র নাই, অবৈধ হইয়া তার সাথে কাজ শুরু করি তার সাথে দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর কাজ করি এই কাজ করা অবস্থায় টোটাল 8 বার চেকপোস্ট ও বিভিন্ন পুলিশি অভিযানে ধরা পরী আমার কাছে ডেট ছাড়া কাগজপত্র ছিল, পাঁচবার আমাকে পুলিশ ছেড়ে দেয় দুইবার তো বিল্ডিং এর ওয়াল ডিঙিয়ে সৌদিদের বাসার ভিতরে ঢুকে পড়ি তারা জানতে চায় আমি কেন এটা করেছি পরে যখন বলি জাওয়াজাত মানে পুলিশের কথা তখন কিছু বলে নাই ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি জুস দিয়েছে একবার তো পুলিশ এমনভাবে আমাকে ধরে দুই হাত দিয়ে কব্জির মধ্যে ধরে রাখে প্রায় 10 মিনিট পুলিশের গাড়িতে ওঠানোর চেষ্টা করে পুলিশ টা ভালো ছিল আমি তখন বলি বাড়িতে আমার সমস্যা আমি এখন বাংলাদেশে যাবো না এইভাবে ধাক্কাধাক্কির একটা পর্যায়ে গাড়ির মধ্যে তার ওয়ারলেসে তাকে ডাকতে থাকে আমি তাকে বলি আপনাকে ডাকছে তখন সে বলে তুই একটা মিনিট দাঁড়া আমি শুনে আসছি উনি গাড়িতে ঢোকামাত্রই আমি দৌড় দিয়ে পালিয়ে যাই আলহামদুলিল্লাহ, তখন বেঁচে যাই দেশে যাই নি তখন আমার মা একটু অসুস্থ ছিল ছোট্ট একটা অপারেশন ও বাজারে একটা দোকান নেওয়া হয় এই কারণে দেশে না যাওয়ার জন্য তাকে বলেছি বলে রাখা ভালো এইযে এতো বিল্ডিংয়ের কাজ করেছি কাজগুলো অনেক হার্ড ঠিকাদারি কাজ ছিল কোম্পানির নাম অনেক কষ্ট করছিল সৌদি সরকার একটা সময় বৈধ হওয়ার ঘোষণা দেয় আমিও তখন সাড়া দেই একটা অফিসে কথা হল বাংলাদেশের 60 হাজার টাকা লাগবে এক মাসের মধ্যে কাগজ হবে টাকা পয়সা দিলাম আজকাল করতে করতে এই সপ্তাহ ঐ মাস শেষে এইভাবে টাকাও নিতে নিতে বাংলাদেশের সারে চার লক্ষ টাকা নেয় সময় লাগে 13 মাস হঠাৎ একদিন কাজ করছি এমনতো অবস্থায় ফোন আসে আস কাগজ হয়েছে নিয়ে যাও মানে আকামা আমি গেলাম যাওয়ার পরে আমাকে আকামা দিয়ে দিল আমি আকামা টা দেখে মোবাইলে একটা ছবি মানে পিকচার উঠালাম তাকে বললাম আমি দেশে যাব বলে ছুটি লাগাতে আরো বাংলাদেশের সাত হাজার টাকা লাগবে আমি টাকা দিলাম আধা ঘন্টা পরে ছুটির কাগজ বানিয়া আমার হাতে দিলো এদিকে বাড়িতে যাওয়ার জন্য আমার সব প্রস্তুতি ছিল আমিও জানতাম যেকোনো সময় কাগজ পাতি হাতে পেয়ে যেতে পারি সেই ভাবে সব প্রস্তুতি নেওয়া ছিল ওইদিনই বিমানের টিকেট কাটলাম কুয়েত এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এ টাকা বেশি লাগে 10000 টাকা বাংলাদেশের সেভ করলাম বাংলাদেশে চলে গেলাম অনেকদিন পর সবকিছুই অচেনা অচেনা লাগছে অনেকদিন পর বাড়িতে গিয়েছি আত্মীয়-স্বজন সবাই খুশি হয়েছে বয়স হয়েছে বিয়ে করতে হবে বিয়ে ঠিক হলো যাকে বলে এরেঞ্জ ম্যারেজ হল, 27 শে জুন 2014 আমি প্রথম পুত্র সন্তানের বাবা হলাম 4 এপ্রিল 2017 সালে আলহামদুলিল্লাহ দ্বিতীয় পুত্র সন্তানের বাবা হলাম 18 ই ফেব্রুয়ারি 2022 সালে আলহামদুলিল্লাহ প্রথম সন্তান হওয়ার পর আমি এতটাই খুশি ছিলাম যে আপনাকে বলে বোঝাতে পারছিনা। সবার দোয়ায় এখন ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ।
✍️✍️প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়া।
🎏🎏🎏🎏🎏🎏🎏🎏🎏
এই ভালবাসার ফাউন্ডেশন যুক্ত হয়ে প্রবাস জীবন ত্যগ করে উদ্দোগ্যত্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছি, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
2011 সাল কিংবা 2012 সালে ইউটিউব দেখতে পেলাম একটা লোক মোটিভেশনাল অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলছেন, শেষে বলছেন আমি যখন বিজনেস শুরু করবো টাকা নাই ফান্ডের জন্য, বন্ধুবান্ধব আত্মীয়স্বজন অনেকের কাছেই গেছেন বারবার হতাশ হয়েছেন, কিন্তু হাল ছাড়েননি, একটা সময় ফান্ডের জোগাড় হয়ে যায় হাল না ছাড়ার কারণে বলছেন আমি লিখেছিলাম আমি বিজনেস করবো আমার কাছে টাকা নাই আর এখন আমি সকালে অফিসে যাব ঘুম থেকে উঠে আমাকে চিন্তা করতে হচ্ছে কোন গাড়িতে অফিসে যাব, মূলত এই কথায় আমি স্যারের প্রেমে পড়ে যাই সেদিন থেকেই স্যার এর কোন ভিডিও আমি মিস করি নাই যেখানে স্যারের যেটা পাইছি মোটিভেশনাল ভিডিও শুধু এগুলাই দেখতাম ইউটিউবে ফেসবুকের প্রতি তেমন আগ্রহ ছিল না আমার এই প্ল্যাটফর্মের যুক্ত হওয়ার জন্য ইউটিউব 100 জনের বেশি কে মেসেজ করেছি কিন্তু কেউ সেইভাবে রেসপন্স করেনি, একটা সময় ফেসবুক ওপেন করলাম একজন ভাইয়ের পোস্ট এ নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের নাম জানতে পারলাম, উনাকে মেসেজ করলাম ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালাম উনি কোন রেসপন্স করলো না তিন মাস হঠাৎ দেখতে পেলাম উনার ফেজবুক পেজে মোবাইল নাম্বার সাথে সাথে ফোন দিলাম কথা হল উনি ব্যস্ত থাকে 10 দিনের মত আমাকে ঘুরালো সকাল বিকাল একটা সময় সময় দিল তার সাথে দেখা করলাম তখন থেকেই সেশন শুরু করলাম উনি রেজিস্ট্রেশন করে দেবে আইজ কাইল আজ কাইল এইভাবে আরও দশ দিন ঘুরালো সে পারলো না, একটা সময় সৌদি আরব কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর রিস এমডি হাকিম ভাইয়ের সাথে কথা বলিয়ে দেয় পরে হাকিম ভাইয়া আমার ও আমার ওয়াইফের রেজিস্ট্রেশন করে দেয় আলহামদুলিল্লাহ, সেই থেকে এই গ্রুপের সাথে প্রতিদিন 18 থেকে 20 ঘণ্টা সময় দিচ্ছি সেশন পড়ছি বিভিন্ন মিটাপেযুক্ত হচ্ছি, গ্রুপে লাইক কমেন্ট করতেছি আমার সকাল দুপুর রাত এখানেই শুরু হচ্ছে এখানেই শেষ হচ্ছে আর একটা জিনিস হচ্ছে এই গ্রুপে যোগ দেওয়ার পর সৌদি আরব ও কুড়িগ্রাম মেসেঞ্জার গ্রুপে সেশন চর্চায় প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ, এখন পর্যন্ত এত কাজ ও ব্যস্ততা সত্ত্বেও একটি দিনের জন্য সেশন চর্চা মিস করিনি, সৌদি আরব ও কুড়িগ্রামে নিজ জেলায় সেশন চর্চাটা নিয়মিত ছিল না আমি যুক্ত হওয়ার পরে প্রতিদিন লিংক দিয়ে হোস্টিং করে প্রতিদিন প্রিয় স্যারের দেওয়া সেশনটা কে চালিয়ে যাচ্ছি, আলহামদুলিল্লাহ সৌদি আরবের দায়িত্বশীল আঙ্কেল ও ভাইয়েরা আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে লিংক দিয়ে হোস্টিং করার জন্য, অনেকদিন যাবত এই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি আলহামদুলিল্লাহ এতটাই প্রেমে পড়েছি প্রিয় স্যার ইকবাল বাহার জাহিদ প্রিয় প্ল্যাটফর্ম নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর যে কারণে একটি দিনের জন্য এখন পর্যন্ত অনলাইন মিটআপে সেশন চর্চা শত ব্যস্ততার মাঝেও মিস করিনি আলহামদুলিল্লাহ, ধন্যবাদ জানাচ্ছি প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার প্রিয় স্যার যখন হসপিটালে ছিলেন করোনায় কাতরাচ্ছিলেন আমি আমার রুমে একা একা অনেক কেঁদেছি এবং স্যারের কথা যখন বলি যখন ভাবি আমি অশ্রুসিক্ত হয়ে যাই এখন যখন লিখছি আমার দুচোখ বেয়ে অঝোরে গাল অশ্রুসিক্ত হচ্ছে, বলতে ও লিখতে পারছিনা পবিত্র মক্কা শরীফে ওমরা হজ করতে গিয়ে স্যারের জন্য অনেক দোয়া করেছি সুস্থ হয়ে সৌদি আরবে ওমরা করতে আসেন সেই সুবাদে প্রিয় স্যারের সাথে দেখা হয় পরিচয় হয়, স্যারের সাথে দেখা হওয়ার অনুভুতি পরে আমি স্যারকে জানাই, আমি কম করে হলেও পঞ্চাশটা দেশের লোকের সাথে কথা বলেছি কিন্তু আপনার মত এত ভালো মানুষ আমি জীবনে কোথাও দেখিনি এবং দেখব বেঁচে থাকতে সে আশা ও আমি করিনা, স্যার আমার কাছে ফেরেশতার মতো স্যার বলছিলেন স্যার জীবনে কাউকে কোনদিন গালি দেন নাই এত ভাল মানুষ এত বিজনেস করছেন এত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে তারপরও লক্ষ লক্ষ মানুষকে ভালোবেসে আমাদেরকে নিঃস্বার্থ হীন ভাবে সময় দিয়ে যাচ্ছেন শুধু সময়ই না সাথে সাথে যার যা প্রয়োজন সহযোগিতা করছেন টাকা পয়সা দিয়ে আমরা তো শুধু মুখে মুখে ভালোবাসার কথা বলি টাকা পয়সা খরচ করার সময় হলে আমরা পিছু টান দেই, আমাদের মহাসম্মেলনে আমাদের প্রিয় স্যার যারা বিদেশে থাকেন প্রবাসী তাদের টিকিট ফ্রি করেছেন আমি না যেতে পারলেও তিনটা টিকিট কিনে আমি তিন জনকে গিফট হিসেবে উপহার দিয়েছি এরমধ্যে একজন সনাতনী দাদা মানে ভাইয়া আছেন ইনশাআল্লাহ যতদিন বেঁচে থাকব নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই ভালবাসার প্ল্যাটফর্ম থেকেই মৃত্যুবরণ করবো আমার স্ত্রী সন্তানকে সেটা জানিয়েছি তারাও এই গ্রুপের সদস্য নেক্সট টাইম আরো লিখব ইনশাআল্লাহ, স্যারের একটা স্লোগান স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন লেগে থাকুন সফলতা আসবেই ইনশাআল্লাহ আমরা স্যারের দেওয়া স্লোগান ও শপথ পড়ে জীবন শুরু করবো ইনশাআল্লাহ প্রিয় স্যার এর ফ্যামিলির জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইলো।
যারা কষ্ট করে পড়েছেন সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
সবার দোয়া ও ভালবাসা প্রত্যাশী,
📌📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৮১
তারিখ-০৮-০৪-২০২২
🎿আমি রাশেদ আলী
🎿কুড়িগ্রাম জেলা
🎿রৌমারী উপজেলা
🎿ব্যাচ নং 16
🎿রেজিস্ট্রেশন নং 79679
🎿বর্তমান অবস্থান করছি সৌদি আরব জেদ্দা একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের আজীবন অমৃত গর্বিত সদস্য।