প্রতিটা স্বপ্ন দেখা ছাত্র বা ছাত্রীর জন্য পড়াশুনা টা তার জীবনের অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
🌼🌼 আসসালামু আলাইকুম 🌼🌼
শুরুতেই কৃতজ্ঞতা জানাই মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট। যিনি আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে সুস্থ রেখেছেন, ভালো রেখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ।
এরপর বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই প্রিয় মেন্টর, যাকে নিঃসন্দেহে বলা যায় এযুগের সেরা জীবন্ত কিংবদন্তী, আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষাগুরু @Iqbal Bahar Jahid স্যারের প্রতি। যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম ও ভালোবাসার সংমিশ্রণে আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন একটি ভালোবাসার পরিবার
"" নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন ""
জীবন কখনও #হাসায়, কখনও বা #কাদায়। হাসি-কান্নার এই পার্থিব জীবনে সুখ ও দুঃখও থাকবে একই সুতোয় গাথা।
আর সেই সব কিছু মিলিয়ে আজ আমার প্রিয় ভাই ও বোনদের মাঝে #নিজের_জীবনকে তুলে ধরলাম।
#সবাইকে_পড়বার_জন্য_বিনীত_আহবান_রইলো
শুরুটা শৈশব থেকেই হোক 🥰🥰🥰
🥰 #আমার_শৈশব 🥰
আমার ছেলে বেলা কেটেছে নরসিংদীর বাবুর হাটের পাশের গ্রাম ভগীরথ পুরে।
৫ ভাই বোনের মধ্যে আমি সবার বড়।
আমার বাবা,মা, দাদা, দাদী, নানা, নানু, খালা, মামুদের চোখের মনি ছিলাম আমি।
#সবাই_খুব_ভালোবাসতো_আমাকে
আমার দাদা ছিলেন মসজিদের ইমাম।
বাবা ও চাচা মিলে একটা দোকান করতেন স্ট্রেশনারী ও কনফেকশনারী। মূলত তখন থেকেই আমার খুব ভালো লাগে বিজনেস।
মনের ভিতর স্বপ্ন ছিলো বড় হয়ে বিজনেস করবো।
আজ এই স্বপ্ন কে বাস্তব জীবনে রুপ দিয়েছেন আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষক
"" ইকবাল বাহার জাহিদ " স্যার।
স্যারের এই প্লাটফর্ম এ যুক্ত হয়ে প্রতি দিন ই নতুন নতুন দিক নির্দেশনা শিখছি।
🥺 জীবনের স্ট্রাগল পূর্ণ সময়🥺
👇👇👇
বাবা ও চাচা মিলে যে দোকান করতেন সেটা ছিলো সি এন্ড বি রোডের উপর। আর সেখানেই একটা সময় দোকান ভাঙ্গার নিদের্শনা এলো।
সবার তো মাথায় হাত😰😰
যেহেতু দোকানই ছিলো আমাদের সবার একমাত্র উপার্জন উৎস। কিছু দিন বেকার থেকে আবার দোকান দিলেন বাবা।
এবার বাবা আর চাচা আলাদা দোকান দিলেন।
বাবার দোকান ছিলো ছোট আর একটু রাস্তা থেকে ভিতরে। ঠিক মতো সব খরচ বহন করা একটু কস্ট সাধ্যছিলো বাবার জন্য।
আমার মা তখন বাবার আর্থিক সাহায্য করার জন্য চাকুরী শুরু করলেন।
চাকুরীর পাশাপাশি গ্রামে তখন চাদর, শাল এসব সেলাই করতে দিতো। সেখান থেকে আমি ও আমার মা চাদর, শাল নিয়ে সেলাই করলাম।
🤩সেটা ছিলো আমার জীবনের প্রথম ইনকাম।🤩
পড়াশুনার পাশাপাশি আমি সেলাই কাজ শিখি এবং এই কাজে খুব দক্ষ হই। আস্তে আস্তে কাজের অর্ডার আসা শুরু করে। তাও সংসারে অভাব যেন লেগেই আছে। তখন আমি সবে মাত্র SSC পাশকরি।
ভালো ছাত্রী ছিলাম বিধায় আমার বাবার বন্ধু ওনার নিজের কিন্ডারগার্টেন স্কুলে আমাকে চাকরি করতে দেয়।আমার মা বলে নিয়েছিলেন চাচাকে যে আমাকে কলেজে ক্লাস করতে দিতে হবে। চাচা মায়ের শর্তে রাজি হয়েই আমাকে তার স্কুলে চাকুরী দিলেন।
🌈🌈🌈
স্কুলের চাকুরী, টিউশনি, কলেজে নিজের ক্লাস ও সপ্তাহে একদিন হোমিওপ্যাথি মেডিক্যাল এ ক্লাস করে সব মিলিয়ে আমি সবসময় খুব চেষ্টা করতাম বাবা মা কে যদি একটু সহযোগিতা করা যায়। আমার মা ও বাবা দুজনেই খুব পরিশ্রম করতো। সবার অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা আমাদের মত করে এগিয়েও যাচ্ছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ 🥰🥰🥰
😭 কথায় বলে সুখ বেশিদিন শয়না 😭
👇👇👇
হঠাৎ করেই আমাদের পরিবার নেমে এলো দুর্যোগের এক চরম নির্মম পরিস্থিতিতে 😰
আমাদের তিল তিল করে গড়া সঞ্চয় শেস করে দিল। এক বেইমান আমাদের সব টাকা পয়সা নিজের ক্ষমতার বলে হাতিয়ে নিলো।
সমীতি থেকে উঠানো টাকাও ছিলো সেখানে।
সে সময় আবার ও আমার বাবার দোকান ভেঙ্গে দেয়া হলো 😭😭😭
কিস্তি পরিশোধ করার জন্য আব্বা লুঙ্গি এনে দিতেন। আমি আর মা সেলাই করতাম। আমার বাবা আর আমার ছোট বোন সেগুলো ভাজ করতো। রাত দিন পরিশ্রম করে কিস্তি পরিশোধ করছিলাম আর তখনই আমার বিয়ের সম্মন্ধ আসে।
😔পরশুনার ইতি😔
👇👇👇
প্রতিটা স্বপ্ন দেখা ছাত্র বা ছাত্রীর জন্য পড়াশুনা টা তার জীবনের অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আগামীর জন্য স্বপ্ন বোনে। কিন্তু আমার জীবনের সেই স্বপ্ন বোনাটা খুব বেশী দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আমি যখন ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্রী ঠিক তখনই আমার বিয়ে ঠিক হয়। অনেক চেষ্টা করেও বিয়েটা আটকাতে পারি নি। বিয়ের পর আমি কন্যা সন্তানের মা হই। মা হবার এই সুখ কখনই কোন শব্দে বলে বুঝানো সম্ভব হবে না। কিন্তু আমার সন্তান জন্ম হবার আগে যেই কষ্ট আমি করেছি তা হয়তো কিছুটা শেয়ার করতে পারবো। সন্তান সম্ভবা হয়ে অনেক যুদ্ধ করে মেয়েকে পেটে নিয়ে অনেক কষ্টের মধ্য দিয়েও HSC পরীক্ষা দিয়েছি। পরে আর পড়াশুনা করা সম্ভব হয় নি।
এমন কি হোমিও তে ও পড়তে দেয় নি।
এখনো খুব ইচ্ছে করে আবার পড়াশুনা টা শুরু করি। আর কোন বাবা মা যেন এত কম বয়সে কোন মেয়েকে বিয়ে না দেয়😭😭😭😭
😍আমার বিবাহিত জীবন😍
👇👇👇
আমি সবে মাত্র ইন্টারে পরি তখন আমার বিয়ে হয়। আমার বিয়ের পর আমার বাবা মায়ের ঋনের বোঝা আরো বেড়ে যায়।
আমার মা বাবা অনেক কস্ট করেছেন।
আমি বাড়ির বড় বৌ।
শাশুড়ী মা অসুস্থ, সংসারের হাল ধরতে হবে আমার। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই প্রেগন্যান্ট হয়ে গেলাম। ছাত্রী থেকে হয়ে গেলাম পুরো দস্তর গৃহিনী।
🥰আমার স্বামী 🥰
👇👇👇
আমার জীবনে আমার স্বামী একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ। তার সাপোর্টেই আমি HSC টা শেষ করতে পেরেছিলাম।আমি আর আমার স্বামী একে অন্যের পরিপূরক।
😚 উদ্যোক্তা জীবন 😚
👇👇👇
যেহেতু ছেলেবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল বিজনেস করার, তাই অনেক কে ফলো করতাম কিভাবে বিজনেস করে শিখার জন্য। কিন্তু কোথাও সঠিক দিক নির্দেশনা পাইনি।
আর তখনই একদিন দেখলাম যে আমার ক্লাস ফ্রেন্ড রনি আক্তার ( বর্তমান নরসিংদী জেলার এম্বাসাডর) ও আমার এক পরিচিত ভাবী এই ফাউন্ডেশন এ বিভিন্ন পোস্ট দেয়। তখন আমি তাদের সাথে এই প্লাটফর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারলাম এবং রেজিষ্ট্রেশন করলাম।
এখন আমি প্রতি দিন-ই সেশনে যুক্ত হই এবং বিজনেসশুরু করা এবং সফল করার জন্য সব দিক নির্দেশনা শিখছি।
নিজেকে আমি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের গল্প #স্যারের_ইউ_টিভি _লাইভে তুলে ধরার উদ্দেশ্য এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প করেছি।
আমি এখন কাজ করছিঃ
👉 হোম মেইড ফুড ও মেয়েদের পোশাক নিয়ে
সকল পন্য দেখতে ঘুরে আসুন আমার পেইজ এ
👇👇👇👇
https://www.facebook.com/Zahin-creation-market-104316318866975/
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
আমার জীবনের গল্প ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্য
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
📌📌 স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৭৮৫
তারিখ ১৫-০৪-২০২২
তানিয়া ইসলাম ডালিয়া
ব্যাচ- ১৭, রেজিঃনাঃ- ৮৮৪৭৭
জোনঃ ওয়ারীজোন, ঢাকা
নিজ জেলাঃ নরসিংদী
মেম্বার অফ প্রমোশন টিম