একটা মানুষ ও ভালো একজন উদ্যোক্তা হবো
👉🏵️ জীবনের_গল্প 🏵️
👌 বিসমিল্লাহির_রাহমানির_রাহিম।
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি। যিনি আমাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।
💢আসসালামু_আলাইকুম
ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুল্লাহ 🔳
👉 আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া জানাই তিনি আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে এবং সোনার বাংলাদেশর মাটিতে
মুসলমানের ঘরে জন্ম দিয়েছেন সেই সাথে বিশ্বনবী_হযরত_মুহাম্মদ (সা:) এর
উম্মত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন 🧱
👌 আমি_কৃতজ্ঞতা_প্রকাশ_করছি
আমাদের প্রিয় মেন্টর শিক্ষক শতাব্দীর সেরা আবিষ্কার উদ্যোক্তা ও ভালো মানুষ গড়ার কারিগর জনাব_ইকবাল_বাহার_জাহিদ_স্যারের_প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে বিশাল এই পরিবার তৈরি করে দিয়েছেন যার দরুন ৫০ টি দেশ, ৬৪ টি জেলা এমনকি ৪৯২ টি থানার ভাই- বোনেরা দুরে থেকেও কাছাকাছি - পাশাপাশি আসার সুযোগ পেয়েছে।
👉নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প_ফাউন্ডেশন।
যার স্বপ্নে রিভোর হয়ে লাখো বেকার তরুণ-তরুণীদের হৃদয়ে সৃষ্টি হচ্ছে উদ্যোক্তা তৈরীর মানসিকতা।
দোয়া করি আল্লাহ পাকের কাছে
প্রিয় স্যার কে যেন নেক হায়াত দান করেন। -(আমিন)
🏵️ প্রিয়_স্যারের_শিক্ষাকে হৃদয়ে ধারন করে
আজ আমি আমার নিজের জীবনের গল্প
লেখার সাহস পেলাম এবং তার জন্য আমার মনের সুপ্ত কিছু না বলা কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার সামান্য প্রয়াস।
সবাই
আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আশা করি সাথেই থাকবেন।
🏵️ আমার_পরিবার 🏵️
আমি_এস এম লিটন
👉বাবা চাচা মিলে ছিলেন তিন ভাই
তার মধ্যে আমার বাবা ছিলেন সবার ছোট
আমার বাবা ছিলেন একজন কৃষক
আমাদের এলাকায় আমার বাবার অনেক সৎ গুনবলীর জন্য সবাই আমার বাবাকে
আমাদের গ্রামের সামাজিক ভাবে সবাই
অনেক সম্মান করে...✅ #আলহামদুলিল্লাহ
আমরা ৩( তিন)ভাই,মা-বাবাসহ ০৫ ( পাঁচ) জনের একটি পরিবার....
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ছোটবেলায় আমি আমার দাদাকে দেখিনি এমনকি আমার দাদা বাবার ছোট বেলাতেই মৃত্যু বরণ করেছেন।সেই সুবাদে আমার দাদী আমার বাবার সাথে একসাথে বসবাস করতো। বাবার জমি ও কিছু দাদীর জমি বাবাই চাষ করতো। আমার চাচাদের সাথে আমাদের তেমন সম্পর্ক ভালো ছিলো না সব সময় সাপ ও নেউলের মত আচরণ ছিলো, যেটা গ্রাম্য সমাজে এখনো বিদ্যবান।আমি তখন প্রাইমারিতে লেখাপড়া করছি।
🏵️আমার বেড়ে ওঠা🏵️
ভাইদের মধ্যে আমি হলাম সবার বড়
আমার বাবা অনেক পরিশ্রমি একজন মানুষ..
রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে বাবা মাঠে ঘাটে কাজ করতো। তখন আমি পড়া লেখা করে মাধ্যমিকে পদার্পণ করি।
কিন্তু যখন আমি দেখতাম আমার বাবার
অনেক কষ্ট হত তখন বাবাকে সহজোগিতা
করার জন্য ছুটে যেতাম কিন্তু বাবা আমাকে
কাজ করতে দিতোনা বলতো আমার নাকি
পড়া লেখা খরাপ হবে বাবা তুমি বাড়ী যাও পড়াশুনা করো। রোল নং কখনো ১ হয়নি আমার সর্বদাই ২-৪ এর মধ্যে উঠানামা করতো। মোটামুটি আল্লাহর রহমতে ভালোই ছিলাম। একবার কোন বিষয় পড়লেই আয়ত্ত্বে এসে যেত।
🏵️ বাবার কষ্ট সয্য করতে না পেরে একপর্যায়
আমার বাবার সাথে কাজে লেগে গেলাম এবং বাবার কষ্ট লাঘব করার জন্য এবং নিজের ইচ্ছার জন্যই আমি ষষ্ঠ শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় ষষ্ঠ শ্রেণী সহ নিচের ক্লাসের ছেলে- মেয়েদের টিউশনি করাতাম আমাদের বাড়ীতে একটি কাচারি ঘরে।
বাবা- মা এতে অনেক খুশি হতো।এমনকি গ্রামের সবাই আমাকে আদর ও ছোট ভাই বোনেরা সম্মান করতো।
🏵️ আমার কিছু নেশা🏵️
লেখাপড়ার পাশাপাশি আমি ছোটবেলা মানে প্রাইমারি থেকেই মাধ্যমিক শেষ অবধি প্রত্যেক বছর স্কুলের ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতাম এবং ৩/৫ পর্যন্ত পুরস্কার পেতাম। এলাকায় এবং স্কুলের অনুষ্ঠানে গান ও কবিতা এমনকি সামাজিক নাটকেও অভিনয় করা ছিলো আমার নেশার মত।
🏵️আমাদের পরিবার কৃষি নির্ভরশীল ছিলো।
তাই সব সময় বাবা প্রচুর পরিশ্রম করতো। দাদী যেহেতু আমার বাবার সাথেই থাকতো তাই জায়গার জন্য দুইটি ঘর দরকার হওয়াতে বাবা একটি টিনের ঘরের পাশাপাশি আরো একটি টিনের ঘর নির্মান করেছিলেন। আমি ছিলাম তখন প্রাইমারিতে। এমন সময় আমাদের জীবনে নেমে আসলো এক কালো অধ্যায় দাদী মারা গেলেন এবং তার কিছুদিন পর বাবার দুই ভাই মানে চাচারা গ্রামের বেশিরভাগ লোকজন দিয়ে আমাদের বসবাসের দুইটি ঘরই ভেঙে নিয়ে গেলেন আমরা দুইভাই তখনতো ছোট কিবা করার ছিলো। চাচাদের দাবী ছিলো যেহেতু দাদীর জমি বাবা চাষাবাদ করতো এবং সেই সময়ে ঘরগুলো তোলা হয়েছে তাই তারা এটার ভাগ পাবে।
🏵️ ঘর ছাড়া বাড়ীর ভিটাতে আমার বাবা একাই থাকতে শুরু করলো। কিছুদিন মা এবং আমাদের দু -ভাই কে নানু বাড়ীতে রেখে দিলেন মাস দুই পরে আমরা বাড়ীতে ফিরলাম এবং বাড়ীর চিত্র দেখে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল মনে হচ্ছিল এই পৃথিবীর বুকে আমাদের মত এত নিঃস্ব আর কেউ নেই। আশেপাশের লোকজন শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতো আর আমরা তখন একচালা টিনের ছাউনি তুলে তার মধ্যে তিনটি রুমে আমরা থাকতে শুরু করলাম।
আমার বাবা সব সময় বলতেন আমি জানি সব সময় সৎপথে চলি এবং সৎ উপার্জন করি এবং আমার মায়ের দোয়া সাথে আছে ইনশাআল্লাহ আমি একদিন সবই করতে পারবো.!আগে তোদেরকে মানুষের মত মানুষ হতে হবে।তোরা যতদিন মানুষ হতে পারবি এবং একটি কর্ম করতে পারছিস ততদিন আমি ঘর তুলবোনা। আমিও বাবার সাথে সায় দিলাম। আর তার থেকেই আমাদের সংসারের যুদ্ধ শুরু হলো বাবার পাশাপাশি আমার টিউশানি।
🏵️ তাই আমার বাবার আসা নয় বিশ্বাস ছিল আমার বাবার কস্টের দিন গুলো এক দিন শেষ হবেই #ইনশাআল্লাহ!
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সহজ সরল এবং ভালো মনের একজন মানুষ,তিনি ছিলেন পরোউপকারী , তিনি যেকোন বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেই বাবাই তার দূরদিনে কাউকেই পাশে পায়নি এমনকি গ্রামের বড়বড় জনেরও।
🏵️এভাবেই কাটতে লাগলো আমার স্কুল জীবন
দেখতে দেখতে আমি SSC পাশ করলাম
#আলহামদুলিল্লাহ
আমার পাশ করার আনন্দে আমার
মা বাবা অনেক আনন্দিত হলো তা ভাষায় বুঝনো যাবেনা।
🏵️কলেজ জীবন🏵️
বাবা মায়ের ভালোবাসা নিয়ে তাই ভর্তি হলাম পাশের জেলার একটি কলেজে মেসে থাকার ব্যবস্থা করেদিলেন বাবা। শত টাকা পয়সার অভাব হলেও আমাকে বাবা কোনদিন একটি টাকার অভাব কখনও বুঝতেও দেয়নি বাবা বলতো আমি যে ভাবেই চলি না কেন তোকে তো কষ্ট দেয়া যাবেনা।
কথাগুলো বলতে এখন সত্যি সত্যিই আমার বুকটা ধুকধুক করে কেঁদে উঠছে সেই সাথে বাবার অমলিন সেই মুখচ্ছবি টি ভেসে উঠছে বারবার।
🏵️ কোন_রকমে_চলতেছে আমাদের পরিবার
কিন্তু এভাবেই কতদিন চলবে একা বাবার পক্ষে সম্ভব নয় তাই আমি ভাবলাম
একটা কিছু করা দকার।
তবে কি করবো এইটা নিয়ে ভাবতেছি
আমাদের দেশে ভালো একটা চাকরি
মানে সোনার হরিণ...!আর কি চাকরিই বা করবো লেখপড়াতো এখনও শেষ হয়নি।
সেই সোনার হরিনটা পেতে হলে মামা খালুর
পরিচয় বহন করা লাগে কিন্তু আমার নসিবে তো
সেই পরিচয়টাও নেই।
দিনরাত ভাবছি কি করে মা বাবাকে একটু
শান্তি সুখের মুখ দেখাবো
কিন্তু আমার নসিবে আশা আর পুরন করা হলো না..😢আর্মিতে কমিশন্ড অফিসার এ পরিক্ষা দিয়ে দুদিন যশোর ক্যান্টনমেন্ট এ থাকলাম শুধু একটি প্রত্যয়ন পত্র দেখাতে পারলামনা যার দরুন খালি হাতে ফেরত আসতে হলো এটি থাকলে হয়তো আরো সামনে এগিয়ে যাওয়া যেত, যাহোক আল্লাহর রহমতে তখন HSC কমপ্লিট করলাম।
🏵️বিশ্ববিদ্যালের স্বপ্ন 🏵️
বাবার সংসারের টানা -পোরেন এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন দেবার জন্য কোন কোচিং করা হলোনা। শুধু মাত্র কিছু শিট পড়লাম এবং দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন দিলাম তখন ইসলামি ইউনিভার্সিটিতে ওয়েটিং থাকলাম কিন্তু চান্স হলোনা স্বপ্ন বাজ হবার কারনে নিজের প্রিয় সাবজেক্ট রসায়নে ভর্তি হলাম সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ফরিদপুরে। আবার সেই মেসের জীবন। সেই সাথে আল্লাহর পাকের ইচ্ছার দরুন আমার মায়ের কোলজুড়ে আমার আদরের ছোট ভাই টি পৃথিবীতে আগমন ঘটে এবং আমার মা মৃত্যু সজ্জায় উপনিত হয়, রাত দশটাতে ছোট ভাই পৃথিবীতে আসলেও মা ছিলো একটি ক্লিনিক এ ভর্তি মায়ের জন্য ১ ব্যাগ রক্ত দিতে হলো মনে হলো মায়ের ঋণ হয়তো জীবনে পুরন করা কারোও জন্যও সম্ভব নয় তবু মাকে রক্ত দিতে পেরে অনেক শান্তি লাগছিলো। মা সুস্থ হয়ে ফিরে আসলেন আর আমার জন্য আরো বেশি করে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে লাগলেন।
🏵️আমার লক্ষ্য অর্জন🏵️
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি একটা টিউশানি হলো ঔখানে।
চলছে পড়াশোনা এবং টিউশানি সেই সাথে মাথার মধ্যে কিছু একটা করার পোকা সবসময় কামড় দিতে লাগলো। তাই নিজের উদ্যোগেই বিভিন্ন বাহিনিতে চেষ্টা করতে থাকলাম যেটা কেউ জানেনা। প্রায় বছর খানেক অতিবাহিত হবার পর সিনিয়র এক ভাইয়ের কাছ থেকে ৫০০ টাকা ধার নিয়ে ফর্ম উঠালাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এবং অপরিচিত জেলা মাদারীপুর স্টেডিয়ামে গিয়ে দাঁড়ালাম, তত্তাবধায়ক সরকারের সময়ে আল্লাহর রহমতে রাজবাড়ী জেলার শতশত ছেলেদের মধ্যে আমি পরিক্ষাতে সপ্তম হলাম। যেহেতু ৬ জন লোক নেবার কথা যথারিতি মেডিক্যাল এ ৩ টা ছেলে বাদ পরার জন্য নিয়মঅনুযায়ী আমি টিকে গেলাম। আলহামদুলিল্লাহ। আমার মনে হলো ছোট্ট ভাইটি আমার জীবনে আশির্বাদ বয়ে আনছে আমার জীবনে সেই সাথে আমার বাবা- মায়ের দোয়া যেটা টাকার বিনিময়ে পাওয়া যায়না।
🏵️চাকরির জার্নি🏵️
চাকরিতো পেয়ে গেলাম এবং মুল এফারমেন্ট কার্ডটি পেলাম না কারন আমাকে বলা হলো আপনার মূল সনদ দিতে হবে আমি দিতে পারলাম না কারন তখন কাগজগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলো। আমাকে বলা হলো আগামিকাল কাগজ জমা দিলে এখান থেকেই পাবেন না হয় ঢাকা থেকে যেয়ে আনতে হবে। পরদিন কলেজে গেলাম আর কলেজ বন্ধ থাকার দরুন কাগজটা পেতে অনেক বেগ পেতে হলো এমনকি কাগজ দিতে না চাওয়ার ফলে আমাকে কিছুটা মিথ্যা কথা বলা লাগলো। যাহোক পেলাম এবং কাগজটি নিয়ে সোজা বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম আশা আজ বাড়ী যেয়ে পরদিন সকালের গাড়ীতে ঢাকা ক্যান্ট যাব, পথিমধ্যে ফরিদপুর থেকে রাজবাড়ী যাবার সময় বাসটি এক্সিডেন্ট করে পাশের একটি খাদে পরে যায় আল্লাহর রহমতে কোন লোক মারা না গেলেও অনেকে আহত হয়। আমাকে আল্লাহ রক্ষা করেন। কিছু জায়গাতে বাসের গ্লাসের টুকরো গেঁথে ছিলো। সেই দিন মনে হয়েছিল আমার বাবা- মায়ের দোয়া আর আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে বেঁচে ফিরেছিলাম এবং ঔ অবস্থায় বাড়ী আসি এবং তখন বাবা- মাকে জানাই চাকরি ও এক্সিডেন্ট এর খবর। চাকরির কথা শুনে বাবা মা যে পরিমান আনন্দ পেয়েছিল সাথে সাথে আমাকে বুকে ধরে কাঁদতে লাগলো বললো আল্লাহ তোকে বাচিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন এতেই শুকরিয়া। তারপরদিন যথারিতি কোন উপায় না থাকায় অসুস্থ শরীরেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা আর কাগজ পাওয়া এবং আমি আজ প্রায় ১৪ টি বছর অতিবাহিত করলাম আমার চাকরির জীবন।
🏵️ বাবার স্বপ্ন🏵️
বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টার দরুন সেই টিনের চালা ভেঙ্গে আল্লাহ পাকের রহমতে ২ ভাইয়ের চিন্তা করে অনেক বড় করে সেই কান্না ভেজা ভিটাতেই ওয়াল করে ঘর দিয়েছি। আর কিছু করতে পারি আর নাই পারি আমার বাবার কষ্ট কে বৃথা যেতে দেইনি কিছুটা কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা করেছি এটিই আমার অনেক পাওয়া। আজ বাবা-মা কে অনেক হাসিখুশি মুখটি যখন দেখি তখন আনন্দে চোখে পানি চলে আসে।
🏵️ চাকরি _ জীবন _পাশাপাশি লেখাপড়ার _ জীবনঃ🏵️
চাকরিতে ঢোকার পর আর সেই স্বপ্বের সাবজেক্ট রসায়নে অধ্যায়ন করা হলোনা। কয়েকবছর পর ভর্তি হলাম নিজের উপজেলায় সরকারি কলেজে ডিগ্রিতে এবং চাকরির পাশাপাশি অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ২০১৪ তে কমপ্লিট করলাম গ্রাজুয়েশান।কতজনের বিয়ে, মৃত্যু যে যেতে পারিনি শুধু সুযোগটা নিয়েছি পরিক্ষা দেবার জন্য যথা সময়ে ছুটি যাবার জন্য। মনে হয়েছিল আমি দেশের মধ্যে থাকতেও প্রবাস জীবন যাপন করছি। যাহোক বদলি আমাদের জীবনে একটি নিয়মতান্ত্রিক ব্যাপার তাই চট্টগ্রামে একটি কলেজে মাস্টার্স ভর্তি হয়েও পড়াশোনা করা হলোনা। আবার বদলি ঢাকাতে সময় ও সুযোগের অভাবে মনে হলো আমার পড়াশোনাটা হয়তো আর হবেনা। অনেকের পরামর্শে নতুন উদ্যোমে নিজের ইচ্ছা শক্তির জোড়ে তাই ভর্তি হলাম ঢাকাতে একটি ' ল' কলেজে চলছে চাকরি চলছে পড়াশোনা। আর তাই তো সবার কাছে দোয়া ও ভালোবাসা চাই যেন মনের ইচ্ছাটা যেন আল্লাহ পুরন করেন।
🏵️ বিবাহিত_ জীবন 🏵️
চাকরি পাবার পরেও অন্য সবার মত চাকরি ৮ বছর হবার পরেও বিবাহ করার ইচ্ছা করতে পারিনি যদিও বয়স বিয়ের হয়েছিল। কারন সেই বাবার ইচ্ছা পুরন মানে খালি ভিটাতে চাচাদের সামনে একটি স্বপ্ন কুঠির নির্মাণ করা আর নিজেকে একজন গ্রাজুয়েশান বানানো। সেই সাথে চেষ্টা করেছি দুভাইকে পথ দেখনো এবং সেই সাথে ছোট্ট ভাইটিকে হাফেজ বানানোর। আর তার দরুন ৮ বছর পর বিয়ের পিড়িতে বসা। বর্তমান আমি একজন রাজকন্যার বাবা এবং সেই সাথে বন্ধুর মতো মেশা আমার গর্বিত পিতার এক সন্তান।
🏵️ নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে
যোগ_দান....
🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠
👉চাকরি মোটামুটি ভালই চলছিলো
এরই মাঝে নিজের ভালোলাগার কারনে নিয়মিত বিভিন্ন উদ্যোক্তা ভিডিও দেখতাম কিছু দিন জেতে না জেতেই একদিন নিজের বলার মত একটি গল্প প্লাটফর্ম এর একটি ভিডিও চোখে পরে। অনেক ভালোভালো কিছু ভিডিও দেখি এবং আস্তে আস্তে এই গ্রুপের প্রেমে পড়ে যাই এবং ভাবি কিভাবে এই প্লাটফর্ম এ যুক্ত হওয়া যায় এবং স্যারের কিছু সেশন পড়তে থাকি আর অনুপ্রেরণা পেতে থাকি বিশেষ করে স্যারের একটি সেশনে স্যার বলেছেন যে একটি চাকরি বা একটি ব্যবসা করার জন্য কারো জন্ম হয়নি এই কথাটিই আমাকে বেশি অনুপ্রেরণা দেয়।
🏵️ এভাবে কয়েকমাস অতিবাহিত হবার পর সিদ্ধান্ত নিলাম প্রিয় স্যারের ফাউন্ডেশনে যুক্ত হবো,ফাউন্ডেশনের এক ভাইয়ের সহযোগিতায় রেজিষ্ট্রেশন করে ফেললাম ১৩ তম ব্যাচে।
🏵️ শুরু_হলো নতুন করে এই ভালো মানুষ তৈরির কারিগর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের সৃষ্ট প্লাটফর্মে পথ চলা এবং চলছি ইনশাআল্লাহ চলতে থাকবো। কারন একটি বিষয় খেয়াল করলাম স্যারের সেশন গুলোর যতই সামনের দিকে এগুচ্ছে ততই আরো গভীরে জেতে মন চাচ্ছে । সেই থেকে এখন পর্যন্ত লেগে আছি প্রিয় এই ফাউন্ডেশনের সাথে। প্রিয় স্যারের শিক্ষায় নিজেকে খুব তাড়াতাড় পরিবর্তন করে ফেলার চেষ্টা করেছি এবং প্রতিজ্ঞা করেছি যে জীবনে যতো দিন বেচে থাকি সততা ও ভালো মানুষ হয়ে বেচে থাকার চেষ্টা করবো।
🏵️ আলহামদুলিল্লাহ
আমাদের প্রিয় শিক্ষক মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের অনুপ্রেরনায় অনুপ্রানিত হয়ে আরো ভালো কিছু করতে পারবো চাকরিতে বা কোন একদিন একজন ভালো উদ্যোক্তার কাতারে যেয়ে সেই চেষ্টাই অব্যহত থাকবে --------ইনশাআল্লাহ।
🏵️ আপনাদের সবার নিকট আমার বিনিত অনুরোধ সবাই আমার জন্য ও আমার ফ্যমিলির জন্য দোয়া করবেন আমার ফ্যমিলিকে আল্লাহ পাক হেফাজত করেন এবং যতদিন বেঁচে আছি আমার বাবা-মা কে নিয়ে পরিবার নিয়ে সুস্থ ও সুখে থাকতে পারি - ----আমীন। 🤲🤲
🏵️ আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় একদিন ইনশাল্লাহ সফল হব।
আমাদের প্রিয় স্যার বলেছেন:-
স্বপ্ন দেখুন
সাহস করুন,
শুরু করুন
লেগে থাকুন,
সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ।.....✅
🏵️ আমি সব সময় বিভিন্ন সামাজিক কাজ গুলো দেখি এটা আমার খুব ভালো লাগে!
গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর আমার যে পরিবর্তন ভালো একটা মানুষ ও ভালো একজন উদ্যোক্তা হবো
সকলের কাছে দোয়া চাই।
🤲আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি প্রিয় স্যার কে এবং স্যারের পরিবারকে আর সেই সাথে এত বড় একটা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাওয়া সকল ভাই ও বোনেরা যেন আল্লাহ সুস্থতা দান করেন ও হেফাজতে রাখেন
-----------------আমীন.... 🤲
🙋♂️ আমার লেখায় যদি কোন ভুল হয়ে থাকে নিজ গুনে ক্ষমা করবেন প্লিজ
💖🙋♂️ আশা করছি ভালোবেসে সবাই আমার পাসেই থাকবে ইনশাআল্লাহ!!
📌 স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৭৮৬
তারিখ ১৬-০৪-২০২২
✅ এস এম লিটন
✅ব্যাচ নং- ১৩
✅রেজিস্টেশন নাম্বার- ৫৬২৩১
✅জেলা- রাজবাড়ী
✅ একজন আজীবন গর্বিত সদস্য
✅এগ্রো_ফোরাম সদস্য
✅বর্তমান অবস্থান--চট্টগ্রাম
✅নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশন এর একজন আজীবন সদস্য