আমি যখন কোটি টাকা হারিয়ে একেবারেই নিঃস্ব
===আসসালামু আলাইকূম ===
🚸🚸জীবনের কিছু গল্প থাকে যা সব সময় অজানা থেকে যায় তেমনি এক গল্পের অধ্যায় নিয়ে এলাম আপনাদের মাঝে 🚸🚸
🧧জীবনের বাস্তবতার এক অধ্যায়🧧
🎿 শুকরিয়া আদায় করছি মহান রবের কাছে যার অসিম দয়ায় এখনো সুস্থ সবল আছি আলহামদুলিল্লাহ্। 🎿
🎿 কৃতজ্ঞতা শতাব্দীর সেরা আবিস্কারক বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের সুপরিচিত প্রিয় মুখ ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। 🎿
খোলা চিঠি
🌐🌐🌐🌐
🎏 বন্ধু জানিনা, তুমি কেমন আছো! দিন গুলো কিভাবে কাটাও, শুধু একবার এসে বলে যাও।
কেমন আছো বন্ধু? আশা ও বিশ্বাস অনেক ভালো আছো।!!!!
তোমাকে অনেক মিস করছি বন্ধু!! তুমি কি আমাকে মনে করো আমার কথা কি মনে পড়েনা বন্ধু?? আমাকে মিস করনা বন্ধু? আমি তো তোমাকে কখনও ভুলিনি, তুমি আমাকে কিভাবে ভুলে গেলে বন্ধু ??
মনে আছে বন্ধু সেইদিনের কথা!!
সেই ছোট বেলায় গ্রাম ছেড়ে যখন শহরে চলে এলাম, তোমাদের স্কুলটিতে ভর্তি হলাম, তোমরা অনেকেই গ্রাম আলী বলে অনেক কথা বলতে!! যদিও তুমি ব্যতিক্রম ছিলে, তুমি কখনও আমাকে হার্ড করে কোনো কথা বলতে না কিন্তু মিটিমিটি করে হাসতে, তোমার সেই হাসির মাঝে অন্যরকম একটা মায়াবী ভাব ছিল। আমিও কেন যেন তোমাকে অনেক ফলো করতাম, ধিরে ধিরে তোমার প্রতি আমার ও এক রকম মায়াবী মনোভাব গড়ে ওঠে। কিছু দিন যাবার পরে তুমিই আমার প্রথম ভালো বন্ধু হতে শুরু করেছো। আমি ছোট বেলা থেকেই একটু চুপচাপ সভাবের ছিলাম, কথা অনেক কম বলতাম। তুমি আমাকে মাঝে মাঝে বলতে সবাই তোমার সাথে এতো ক্রিটিসাইজ করে আমি কেন কিচ্ছু বলিনা!!!! আমি তোমাকে বলেছিলাম একদিন তোমরা সবাই আমার খুব ভালো বন্ধু হয়ে যাবে সেই প্রত্যাশায় কিছু বলিনা। কারণ তুমি জেনে গিয়েছিলে আমি কাউকেই গালি দেয়া খারাপ আচরন করা কাউকে মারা আমি একেবারেই পছন্দ করতাম না। সেটা আজও করিনা। কিছু দিন পর তোমরা সবাই জেনে গেছো আমি তোমাদের স্কুলের হেড মাস্টারের আপনজন। মানে হেড মাস্টার সাহেব আমার দুলা ভাই হোন, আমার বড় বোনের হাজব্যান্ড হোন ওনি,, তখন থেকে তোমরা সবাই কিছু টা বদলে যেতে শুরু করলে। তোমরা সবাই আমাকে অন্য রকমভাবে দেখতে শুরু করলে। কিন্তু আমি সেটা চাইনি, আমি চেয়েছিলাম আমার আচার আচরন ভালোবাসা দিয়ে তোমাদের জয় করে নিবো এবং আমি এক সময় করতে পেরেছিলাম। ভিষন মনে পড়ে সেই দিন গুলোর কথা। তোমার কি একটু ও মনে পড়েনা বন্ধু?!!!!
🎏 ক্লাস থ্রি থেকে পরিক্ষা দিয়ে যখন ফোর ক্লাসে ওঠলাম, আমার রেজাল্ট অনেক ভালো হলো, শুনেছিলাম তুমি সব সময় ৫ তম রোল থাকতো কিন্তু ঐ বছর তোমার ৫ তম রোল নাম্বার টা আমার দখলে চলে এলো। তুমি চলে গেলে ৭ তম তে। তুমি মনে মনে কষ্ট পেয়েছিলে একটু। বিশ্বাস করো আমি এমনটি চাইনি। যদি জানতাম তুমি কষ্ট পাবে তাহলে আমি পরিক্ষা ইচ্ছে করে একটু খারাপ দিতাম, তুমি যাতে আমার উপরে থাকো। বিশ্বাস করো বন্ধু তোমাকে কষ্ট দিতে কখনও চাইনি আমি। পরে তুমি নরমাল হয়ে গেলে আলহামদুলিল্লাহ্। 🎏
🎏 মনে পরে বন্ধু স্কুল জীবন থেকে তোমরা সবাই আমাকে দুলা ভাই বলে ডাকতে। প্রথম প্রথম বিরক্ত হতাম পরে আর আর খারাপ লাখতো না। আজও আমার অনেক বন্ধু আমাকে দুলা ভাই বলে ডাকে। দেখতে দেখতে আমরা প্রাইমারি বৃত্তি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করলাম।
বৃওি পরিক্ষার ভালোই দিয়েছিলাম কিন্তু বৃওি তুমি আমি কেউ পাইনি। তুমি অনেক কষ্ট পেয়েছিলে কারন অনেক কষ্ট করেছিলে তুমি।যাক হারজিৎ আছেই তাই তো তুমি ও মেনে নিলে আলহামদুলিল্লাহ্। 🎏
প্রাইমারি ছেড়ে হাই স্কুলে পা রাখলাম আলহামদুলিল্লাহ্।
মনে পড়ে বন্ধু?
একটা সময় তোমার পড়াশুনা বন্ধ করার চিন্তা করছিলেন তোমার বাবা, কারন আর্থিক সমস্যা ছিল বলে, আমি কষ্ট পাচ্ছিলাম শুনে, তোমার মনটা ভিষন খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আমি তোমার বাবাকে বলেছিলাম তোমার পড়াশোনা বন্ধ হলে আমিও আর পড়াশোনা করবো না। তোমার বাবা আমাকে অনেক ভালোবাসত তাই তোমার পড়াশোনা বন্ধ করতে পারেনি আমার জন্য। তুমি অনেক খুশি হলে সাথে আমিও অনেক খুশি আলহামদুলিল্লাহ্।
তুমি অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করতে, মাঝে মাঝে অনেক কষ্ট পেতাম তোমার জন্য বন্ধু। তেমন কিছু করতে পারতাম না কিন্তু এক সময় সিদ্ধান্ত নিলাম তোমার জন্য কিছু করবো তোমার লেখাপড়া কিছুইতে বন্ধ করতে দিবনা। আমি আমার মা কে তোমার কথা বলতাম তাই মা আমাকে টিফিনের জন্য বেশি টাকা দিত তোমার জন্য যাতে একসঙ্গে টিফিন করতে পারি। তুমি নিতে চাইতে না আমি রাগ করতাম বলে নিতে। তুমি প্রাইভেট পড়তে পারতেনা অথচ জরুরি প্রাইভেট পড়া,, আমি বাবাকে মিথ্যা বলে তোমাকে প্রাইভেট পড়তে দিতাম। আমি ২ টা প্রাইভেট পড়তাম কিন্তু বাবাকে বলতাম ৩ টা তোমাকে পড়তে দেবার সুযোগ করে দিবার জন্য। দেখতে দেখতে অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরিক্ষার সময় চলে এলো। পরীক্ষা দেবার জন্য চাদঁপুর শহরে আসতে হলো আমাদের।অনেক কষ্ট হয়েছিল পরিক্ষা দিতে আমাদের। অজানা অচেনা জায়গায়, তার উপর তুমি অসুস্থ হয়ে পরেছিলে। কি করবো বুজতে পারছিলাম না। টিচার কে বলে কিছু মেডিসিন এনেছিলাম তোমার জন্য। অসুস্থ শরীর নিয়ে তুমি পরিক্ষা দিয়েছিলে। মনে কি পড়েনা সেই দিন গুলো বন্ধু???
♦ তুমি অসুস্থ শরীর নিয়ে পরীক্ষা দিয়েও আলহামদুলিল্লাহ্ বৃত্তি পেলে আমার ভিষন ভালো লেগেছে রেজাল্ট আশার পরে। আবারও এক সময় তোমার ফ্যামেলি থেকে বাধা আসলো পড়াশোনা বন্ধ করে তোমাকে কাজে লাগিয়ে দিবেন সিদ্ধান্ত হলো, আমি মেনে নিতে পারছিলাম না ব্যাপার টা। তোমার বাবা মাকে বললাম পড়াশোনা বন্ধ না করতে। তোমার মা সব বললেন যে পড়াশোনার খরচ দিতে পারবেনা আর তাছাড়া ফ্যামেলিতে কিছু টা আর্থিক সাপোর্ট করার জন্য তোমাকে কাজে লাগাতে চাচ্ছেন। আমি সব বুঝতে পারলাম কিন্তু মেনে নিতে পারছিলাম না কিছুইতেই। তোমাকে একটা মিষ্টির দোকানে কাজ দিল তুমি কাজ করছো স্কুলে আসতে পারছোনা অনেক কষ্ট পাচ্ছিলে আমি জানি। কিছু দিন যাবার পর তোমাকে আবার পড়াশোনা করতে আমি বললাম। তুমি বললে কিভাবে? আমি বলেছিলাম তোমাকে প্রতিদিন আমি কি ক্লাস হচ্ছে তোমাকে ফটোকপি করে দিব তুমি রাতে রাতে পড়বে। তুমি রাজি হলে। এভাবেই চলছিল তোমার পড়াশোনা। যখনই পরিক্ষার সময় হলো তোমার পরিক্ষার ফিস আমি দিয়েছিলাম। আমি স্যার কে রিকোয়েস্ট করি পরিক্ষা দিতে পারমিশন দেবার জন্য। তোমার সব সমস্যা স্যার শুনে রাজি হলেন আলহামদুলিল্লাহ্। পরিক্ষা অংশগ্রহণ করলে সবাই তো অবাক তোমাকে পরিক্ষা দিতে দেখে। পরিক্ষা শেষ হলো নবম শ্রেণিতে উঠে গেলে আমাদের সাথে আলহামদুলিল্লাহ্। তোমার ফ্যামেলি কেউ জানতো না,,,, মনে পড়েনা বন্ধু সেই দিন গুলো????
আমার প্রাইভেটের সকল আপডেট তোমাকে প্রতিদিন দিয়ে দিতাম,, তুমি সেইগুলো বাসায় পড়ে নিতে। মনে পড়ে সেই দিন গুলো বন্ধু??!!!!
দেখতে দেখতে এস এস সি পরীক্ষার সময় চলে এলো,, তুমি অনেক অনেক হতাশ ও টেনশন এ আছো প্রতিনিয়ত কারন,,, এস এস সি পরীক্ষার ফি কিভাবে কি করবে তাই নিয়ে অনেক ভাবনায় পড়ে ছিলে তুমি,, আমি তোমাকে বলেছিলাম ভেবোনা বন্ধু, কোন না কোনো ভাবে সব হয়ে যাবে। মনে পড়ে কি সেই দিন গুলো বন্ধু?? তুমি অনেক সময় বলে ফেলতে তোমাকে দয়া দেখাচ্ছি কিন্তু না বন্ধু ওটা কখনোই দয়া না কারন আমি মনে করতাম সব সময় একজন মেধাবী মানুষের পাশে সবার দাড়ানো উচিত। চোখের সামনে এক মেধাবী বন্ধুকে কি করে ঝড়ে যেতে দেখি বল?? তাই তো তোমার পড়াশোনা তে কোনো কারনে বাধা আসুক তা কখনও মেনে নিতে পারিনি বলে সব সময় তোমার পাশে থাকার চেষ্টা করেছিলাম। যাক শেষ পযর্ন্ত তোমার এস এস সি পরীক্ষা দেবার সব ব্যবস্থা করে ফেলেছি আলহামদুলিল্লাহ্।
মনে পড়ে বন্ধু?
ফ্যামিলির কাছে অনেক সময় ধরা খেতাম মিথ্যা বলে টাকা নেবার কারনে। কিন্তু মা সব সামলে নিতেন। SSC পরীক্ষা দেবার আগে সবাই নতুন নতুন জামা কাপড় উপহার পায় আমিও পেয়েছিলাম ৪ টা কিন্তু আমার বন্ধু একটাও পায়নি কারন তুমি যে পরীক্ষা দিবে এটা কেউ জানেন না এমন কি তোমার পরিবারের কেউ না। তুমি মনে মনে হয়তো কষ্ট পাচ্ছিলে কিন্তু সেটা আমি বুঝতে পেরেছি। তাই তো তোমাকে আমার কাছ থেকে একটা শার্ট দেবার জন্য নিয়ে গিয়েছিলাম তুমি নিতে চাও নি জোর করে দিয়েছিলাম। অবশেষে পরিক্ষার আগের দিন তোমার ফ্যামেলিকে সব জানিয়ে দিলাম আমি। সবাই তো ভিষন অবাক কিভাবে সম্ভব!!!! ওনারা সবাই ভিষন খুশি হলো।
পরীক্ষা দিয়েছি সব,, অনেক ভালো হয়েছিল কিন্তু আমার একাউন্টিং পরীক্ষা ভিষন খারাপ হলো। খুবই টেনশনে দিন যাচ্ছিল। রেজাল্টের সময় যতই কাছে আসতে থাকল ততই ভয় লাগছিল, তুমি আমাকে অভয় দিয়ে সব সময় বলতে সমস্যা হবেনা টেনশন করনা রেজাল্ট ভালো হবে।
মনে পড়ে সেই দিনের কথা বন্ধু,?,
রেজাল্টের দিন কেউ আমাকে খুজে পাচ্ছিল না কিন্তু তুমি ঠিকই জানতে আমি কোথায় থাকতে পারি খুজে বের করে নিয়েছিলে আমাকে। মনে কি পড়েনা বন্ধু সেই দিন গুলো??
আলহামদুলিল্লাহ্ রেজাল্ট পেয়ে আমরা সবাই অনেক খুশি কিন্তু তুমি খুশি হতে পারছিলে না কারন পড়াশোনা টা সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেনা এই ভেবে সারাক্ষণ ভিষন মন খারাপ থাকতো!! কিন্তু আমি তোমাকে বলেছিলাম তোমার পড়াশোনা আমি কিছুতেই বন্ধ হতে দিবনা মনে কি পড়েনা বন্ধু একবারও,,,,,?????
কলেজে তোমাকে ঠিকই ভর্তি করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ্। তোমার ফ্যামেলি চান না এভাবে তুমি পড়াশোনা করো। তোমার পরিবারের সবাই চাইতো তুমি চাকরি করবে আর ফ্যামেলির হাল ধরবে কারন তোমার বাবা তেমন কোন কাজ করতে পারেন না!! তাই তোমার উপর সব দায়িত্ব এসে পড়লো।
তারপরেও তোমাকে সব সময় উৎসাহ আর সাহস দিতাম যাতে কাজের ফাকে ফাকে পড়াশোনা কোনোভাবেই বন্ধ না হয়। বিশ্বাস করো বন্ধু তোমার পড়াশুনা যাতে বন্ধ না হয় সব সময় চাইতাম। এভাবেই চলতে লাগলো তোমার পড়াশোনা,,, দেখতে দেখতে এইচ এস সি পরীক্ষার সময় হয়ে গেল তোমার আমার দুজনের ফরমফিলাফ করে ফেললাম বাধা এসেছিল আবারও,, কিন্তু সমস্যা হতে দেইনি আমি তোমার Exam ফি জমা করে দিয়েছি আমি, বাবা কে বলে বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে । বন্ধুকে ছাড়া আমি কিভাবে পরীক্ষা দিবো বলো?
মনে পড়ে কি বন্ধু সেই দিনের কথা গুলো?
পরীক্ষা দিলাম আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো রেজাল্ট হলো দুজনের। এইচ এস সি রেজাল্টের পর আবার ও তোমার পড়াশোনা বাধার মুখে, কিন্তু আমি হতে দেইনি দিবনা বলে দিয়েছি কখনও। তুমি ঢাকা জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয় চান্স পেয়ে গেলে এবং তোমাকে ভর্তি করিয়ে দিলাম। আর আমি ভর্তি হলাম প্রাইভেট ভার্সিটি নর্থ সাউথ।
ইউনিভার্সিটি তে আমার পড়াশোনা শেষ করতে পারিনি অনেক গুলো অজানা কারনে। কখনও কাউকেই বলিনি বলতে পারবো না। দেখতে দেখতে তুমি অনার্স শেষ করে মাষ্টার্স এডমিশন নিলে। আমি বিকম শেষ করলাম। বিবিএ টা আর করা হয়নি।
তুমি মাষ্টার্স ভর্তি হলে একেবারেই শেষ দিনে।
অনেক কষ্ট করে তোমাকে ভর্তি করিয়েছিলাম। ভাবতে পারো বন্ধু যে তোমার পড়াশোনা ক্লাস ফাইভ থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল আলহামদুলিল্লাহ্ শেষ পযর্ন্ত তুমি মাষ্টার্স কমপ্লিট করেছো। আর আমার এক সময় কোন সমস্যা ছিলনা অথচ সেই আমি আমার পড়াশুনা শেষ করতে পারিনি। সব নসিব তাইনা বন্ধুরা?
পড়াশুনা শেষ করে তুমি ভালো জব পেয়েছো আর আমার ঠিকানা হলো প্রবাসে নিয়তির খেলা বড়ই নির্রমম তাইনা বন্ধুরা?
আমি অনেক খুশি তোমার পড়াশুনা শেষ করে ভালো জব করছো শুনে।
আমিও প্রবাসে ভালোই ছিলাম বন্ধু আল্লাহর রহমতে। প্রবাসে গড়ে তুলেছিলাম নিজের বিজনেস। কোটি টাকা কামিয়েও পারিবারিক অনেক কারনে আমি হয়ে গেলাম একেবারেই নিঃস্ব। অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম সব হারিয়ে কিন্তু তার থেকেও বড় কষ্ট দিয়েছো বন্ধু তুমি!!!!!
যার জন্য এতো গুলো বছর এতো কষ্ট করলাম, বিনা স্বার্থে কোনো চাওয়া ছিলনা বন্ধু তোমার কাছে সেই তুমি আমাকে এতো বড় কষ্ট দিতে পারলে বন্ধু???????
বিজি ব্যস্ততার কারনে তোমার সাথে যোগাযোগ একটু কম ছিল সেটাকে আমি সাভাবিকভাবেই নিয়েছিলাম বন্ধু। তোমার জন্য যা করেছি ভালোবাসার তাগিতেই করেছি তোমাকে মোটেও দয়া দেখানোর জন্য না বন্ধু। কিভাবে পারলে বন্ধু আমাকে এতো বড় কষ্ট দিতে?????!!!!
কষ্ট কষ্ট কষ্ট
🏟🏟🏟
🎏🎏🎏
আমি জানি কষ্টের কথা টা না বললে আমার সকল বন্ধুরা আমাকে অনেক প্রশ্ন করবেন।
এখানে বলার উদ্দেশ্য তোমাকে ছোট করার জন্য না বন্ধু!!! সবাইকে একটু সরন করিয়ে
দেবার জন্য যে মানুষের জন্য কাজ করলে রিজিকের জন্য কাজের সমস্যা হয়না চিরন্তন সত্যি সুন্দর কথা টা।
আমি যখন কোটি টাকা হারিয়ে একেবারেই নিঃস্ব তখনো এতো কষ্ট পাইনি যতটা কষ্ট পেয়েছি বন্ধু অন্যর মুখে তোমার বিয়ের কথাটা শুনে!!! ভালো জব করছো বিয়ে করবা অনেক বেশি খুশির কথা কিন্ত একবারও জানানোর প্রয়োজন মনে করনি বন্ধু!!!!!! তোমার বিয়ের খবরটা দুর দুরের কিছু মানুষের ফেসবুকে আপলোড দেয়া ছবি থেকে আমাকে জানতে হলো বন্ধু!!! এমনটা তো কখনও কল্পনা ও করিনি বন্ধু।।। এতো বড় ভুল করেও তুমি আমাকে একবার ফোন করার প্রয়োজন মনে করনি বন্ধু!!!! তুমি আমাকে মেসেজে সরি বলেছো এটাও কি মেনে নেয়া যায় বন্ধু??
যাক পরিশেষে একটা কথাই বলবো এতো কিছুর পরেও তোমাকে মাফ করে দিয়েছি বন্ধু। আর কেন মাফ করেছি জানো বন্ধু?? কারণ তুমি তো জাননা আমি শতাব্দীর সেরা আবিস্কারক নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের আদর্শ নিয়ে জীবন গড়ার পথে হেটে চলেছি। তাই তো অনেক বেশি মানবিকতা আর মানুষ কে ক্ষমা করতে শিখেছি।
আমার সকল দরজা আজও তোমার জন্য সব সময়ের জন্য খোলা বন্ধু। যেকোন প্রয়োজনে আজও তোমার বন্ধু তোমার সাথে ছিলাম,, আছি,, থাকবো।,,,,,,,,,,
🏟 ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা প্রিয় স্যার এতো সুন্দর প্লাটফর্ম না হলে আজ আমার জীবনের কিছু কষ্টের কথা সবার সাথে শেয়ার করতে পারতাম না। 🏟
🎈অনেক অনেক দোয়া ভালোবাসা সবার জন্য 🎈
,,,,,,,শুভেচ্ছা ভালোবাসা।,,,,
📌📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৭৮৬
তারিখ ১৬-০৪-২০২২
নাবীর হোসেন নবীন
কান্ট্রি এম্বাসেডর সৌদি আরব রিয়াদ।
কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার
টপ টুয়েন্টি ক্লাব মেম্বার
বেচ..১২
রেজিষ্টশন.. ৪৪২২৮
দক্ষিণ মতলব
জেলা.. চাদঁপুর
বতর্মান সৌদি আরব রিয়াদ
ফাউন্ডার.... ড্রিম ফ্যাশন কর্নার
ফেসবুক পেইজ.. PAYLESS Bazaar
💤💤💤💤💤💤💤💤💤💤