একটাই নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবো সবার মাঝে পরিচিতি লাভ করবো
_______🏝️আমার ছোট্ট জীবনের গল্প 🏝️________
🌋 লিখার শুরুতে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহর দরবারে যিনি আমাদের সৃষ্টি করে পৃথিবীর অপরুপ সৌন্দর্য দেখার তৌফিক করে দিয়েছেন।
তার সাথে সাথে লহ্ম কোটি দুরুদ ও সালাম পেশ করছি আমাদের মুসলিম উম্মার শ্রেষ্ঠ নবী আমাদের সকলের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর প্রতি যাকে মানবজাতির মুক্তি ও কল্যানের দূত হিসাবে আল্লাহ তায়লা দুনিয়ার পাঠিয়েছেন
তার পাশা পাশি আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমার জন্ম দাতা পিতা-মাতার প্রতি । যাদের উছিলায় এই পৃথিবীর আলো দেখেছি,,,
জন্মের পর থেকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাকে লালন পালন করে বড় করেছেন, সেই মমতাময়ী মা- বাবার প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
♥️🏝️ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্বরন করছি নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা,,, আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর, প্রিয় শিক্ষক, তরুণ প্রজন্মের আইডল,, উদ্যোক্তা গড়ার কারিগর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারকে।
যিনি ৪ বছর আগে আমাদের দেশের শিক্ষিত বেকার তরুন তরুণীদের বেকারত্ব দূরীকরণ লক্ষে সু-পরিকল্পিত ভাবে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন, যার নাম নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশন টি বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত একটি ফাউন্ডেশন।
এই ফাউন্ডেশনে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৬ লক্ষ প্লাস তার মধ্যে আমি একজন,, আমি লাকী পার্সন যে এই ফাউন্ডেশন যুক্ত হওয়ার সুযোগ হয়েছে। আর কিছু দিন পরই ১৭ তম ব্যাচের ৯০ দিনের কোর্স শেষ হবে ইনশাআল্লাহ, ইতি মধ্যে আমি ৯০ দিনের কোর্সের মধ্যে ৮০ তমো দিনের সেশন পর্যন্ত কমপ্লিট করার সৌভাগ্য হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।
🏝️🌋 উদ্যেশ্য একটাই নিজেকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবো সবার মাঝে পরিচিতি লাভ করবো যাকে বলে (নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধি করা) তার পর লেখা পড়ারার পাশি পাশি নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্ত হিসেবে গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় স্যার আমাদের জন্য এতো সুন্দর একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন। যার উসিলায় হাজার হাজার শিক্ষিত বেকার তরুন তরুণী আজ নিজের পায়ে নিজে দাড়ানোর স্বপ্ন দেখছে, আজকে একজন আপুর পোষ্ট দেখলাম তিনি একদিনে ৫০ হাজার টাকা সেল করেছেন মাশা-আল্লাহ।
এমনি করে এই ফাউন্ডেশনে অনেক প্রিয় ভাই বোন যারা হতাশা গ্রস্ত ছিলো বেকার ছিলো কি করবে বুঝতে পারছিলো না তারাও আজ অনলাইন অফলাইনে বিজনেস করে স্বাবলম্বী হচ্ছে, চাকরির পাশাপাশি স্বল্প পুজিতে বিজনেস করে পরিবারের মুখে হাসি ফুটাছে, আজ আমি ও তাদের মতো স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সকলের দোয়ায় আমি ও শুরু করবো।
🏖️ সন্মানিত প্রিয় বন্ধুগন,
কেমন আছেন সবাই?
আশা করছি আল্লাহর অশেষ মেহের বানিতে আপনারা যার যার অবস্থানে সকলেই খুবই ভালো আছেন, সুস্থ ও নিরাপদে আছেন। আমি ও আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে ভালো আছি। আলহামদুলিল্লাহ।
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়ার পর আমাদের প্লাটফর্মের অনেক ভাই বোনদেরকে দেখেছি নিজের বাস্তব জীবনের গল্প লিখে পোষ্ট করতে, তাদের গল্প পড়ে নিজের মনের ভিতর লেখার অনুপ্রেরণা জাগলো।
কিন্তু লেখার শুরুটা কোথায় থেকে করবো বুঝতে পারছি না। কারন জীবনে কখনো কল্পনা ও করিনি সোশ্যাল মিডিয়া নিজের বাস্তব জীবনের গল্পটা লিখবো। আজ সাহস করে লিখতে বসলাম। জানি সবার মতো ঘুছিয়ে সুন্দর করে লিখতে পারবো না,,, আমার অগোছালো গল্পটা পড়ে যদি কোন ভুল এ্রুটি হয় তাহলে সবাই আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমার পরিচয়
শুরুতে আমি আমার পরিচয় আপনাদের সবার মাঝে তুলে ধরছি আমি সুবর্ণা আক্তার ,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার , ছোট একটা গ্রামে আমার জন্ম । তার পরে ছোট বেলা বাবার সাথে শহরে চলে যাই, খুবই সাধারণ একটা পরিবারে আমি জন্মগ্রহন করি। আমরা তিন ভাই বোন, আমরা দুই বোন আর এক ভাই। আমি আমার মা-বাবার দুই নাম্বার সন্তান। আমার বাবা একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন মা হলেন গৃহিণী।
আমাদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছিল পাচ জন। আমার দাদা-৮ বছর আগে মারা গিয়েছে আর দাদী ১বছর আগে মারা গেছে । আমার জীবনে দাদা-দাদির ভালোবাসা কেমন সেটা আমি অনুভব করতে পারিনি, কারন আমরা শহরে থাকতাম। আমার ছয় জন চাচা দুই জন ফুফু,আমার চাচার বিদেশ থাকতেন আর ফুফু দের বিয়ে হয়ে গেছে এই হলো আমার পরিবারের সংক্ষিপ্ত পরিচয়।
🏖️ মানুষের জীবনে দুঃখ-কষ্ট, ব্যাথা-বেদনা, হাসি-কান্না এগুলো থাকবেই, এগুলো জীবনেরই একটা পার্ট। তবে কারো জীবনে কষ্ট একটু বেশি, সুখটা একটু কম,, বা সুখ একটু বেশি কষ্ট একটু কম, আল্লাহ কাউকেই পরিপূর্ণতা দেননি, যদি আল্লাহ তায়লা মানুষের জীবনে দুঃখ, কষ্ট, ব্যাথা, বেদনা, কান্না না থাকতো তাহলে মানুষ হয়তো আল্লাহকে ভূলে যেত। এটা আমার মনের ধারনা।
যাই হোক, আমি মানুষ - সবার মতো বাস্তব জীবনের গল্প আছে। কিন্তু আমি এমন একটা মেয়ে যার ভাগ্য আল্লাহ ৯৫%কষ্ট রেখেছেন । যানি না এই পৃথিবীতে নিজের সাথে, জীবনের সাথে যুদ্ধ করে কতদিন বেঁচে থাকবো ? আল্লাহর কাছে নামাজ পড়ে দোয়া করি আল্লাহ যেন আমাকে ধৈর্য্য ধারন করার তৌফিক দান করেন।
আমার শৈশব কাল,
প্রতিটি মানুষের জীবনে তার শৈশব কালটা অনেক আনন্দময় হয়ে থাকে, খেলা ধুলা, এদিক সেদিক বান্ধুবিদের সাথে সম বয়সিদের সাথে ছুটা ছুটি, হাসি খুশিতে সবার মাঝে মিলে মিশে একাকার হয়ে থাকার কথা ছিলো। কিন্তু আমার শৈশব ও কৈশোর কাল ছিলো শুধু শাশন আর শাশন।
কোনো দিন শৈশবে প্রান খুলে হাসতে ও খেলাধুলা করে কাটাইতে পারি নাই।
আমার বাবা ছিলেন একজন চাকুরীজীবি মা গৃহিণী। আমি মা বাবার খুব আদরের ছিলাম, কিন্তু আমার বাবা ছিলেন খুবই বদমেজাজি একজন মানুষ।
বাবা আমাদের কখনো কারো সাথে মিশতে দিতো না কারো সাথে খেলা-ধুলা করতে দিতো না।
বেশিরভাগ সমই আমাদেরকে শাসনের উপর রাখতো ভয় ভিতি দেখাতো, শুধু মারধর করতো। বাবার ভয়ে সব সময় আতঙ্কে থাকতাম। আমার মা ও বাবাকে প্রচুর ভয় পেতো, আমার মা বাবার মুখের উপর কোনো দিন ও কিছু বলতে পারতো না। বাবা - মাকে ও খুব নির্যাতন করতো, আর আমরা অসহায় এর মতো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম। আজ ও বাবার সেই বধমেজাজী, আমাদের সাথে খারাপ আচরন, শারীরিক নির্যাতন করা থেকে বিরত নেই। আল্লাহ উনাকে এখনো কোনো পরিবর্তন করেনি। বাবা আামাদের সাথে আমার মায়ের সাথে কেন এমন আচরন করতো আজও বুঝতে পারিনি ।
মাঝে মাঝে মনে হতো এই বাবার ঘরে জন্ম নেওয়াটাই মনে হয় আমাদের অপরাধ ছিলো ,😥😥😥অনেক কষ্ট হতো, যখন দেখতাম আমাদের আশে পাশে অন্যের বাবারা তার সন্তানের সাথে মধুর সুসম্পর্ক। সন্তানকে ভালোবেসে কাছে ডেকে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় তখন আমরা ও আমার বাবা থেকে তাই আশা করতাম।
জানিনা বাবা আমাদের সাথে কেন এমন বিহেভিয়ার করতো। সব নির্যাতন নিরবে সয়েছি। বাবাকে প্রচুর ভয় পাই। বাবার কাছে যেতে ইচ্ছে করে না। যদি ও তিনি আমার জন্মদাতা পিতা।
এই প্লাটফর্মে হয়তো অনেক বাবা আছেন, সকল বাবাদের প্রতি আমার রিকোয়েস্ট থাকবে। পৃথিবীতে কোন বাবা যেন তার সন্তানদের সাথে এমন বিহেভিয়ার, এমন আচরন, মারধর না করেন। কারন আমি নিজে আমার বাবার শাসনের নামে যে নির্যাতন সয়েছি, হয়তো অনেকেই ভাবতে পারেন আমি বাবার বিরুদ্ধে কেন লিখেছি,, আমার জীবনে যা ঘটেছে আমি তাই তুলে ধরেছি। বাস্তব জীনের গল্প ,,,,
ছোট বেলা থেকে আমি নিজে ভুক্তভোগী,,, মাএা অতিরিক্ত কোন কিছুই সুফল বয়ে আনে না, হিতে বিপরিত হয়। বাবার কারনে আমার ফুলের মতো জীবনটা তছনছ হয়ে গেছে।
😭 বাবা আমাদের সাথে করা
কিছু অত্যাচার ও নির্যাতনের অংশ বলি....😭😪
ছোট থেকেই শুরু প্রতি কাজ দোষ খুজা, একটু উনিশ থেকে বিশ হলেই বাবা আমাদের মারধর করতো। শুধু তাই নয় , ভাই বোন আমাদের সবাইকে একটা রুমে আটকে রাখে বাহির থেকে তালা দিয়ে দিতো,
৫-৬ ঘন্টা রুমে বন্ধি থাকতাম। কান্না করতাম তবু বাবা দরজা খুলতো না। রুমে কোনো টয়লেট ও ছিলো না। আর এমনটা আমাদের সাথে অনেক বার হইছে,
বাবা কিন্তু আমাকে খুব বেশি আদর করতো, শাশন টা বরাবর অনেক বেশি করতো।
আমি যখন স্কুলে ও প্রাইবভেট পড়তে যেতাম, তখন মনে হতো খুব ভালো আছি। বাসায় থাকলে শুধু পড়া আর ওয়াশরুম ছাড়া কোথাও বের হতে পারতাম না। এমনি করে লিখতে থাকলে অনেক লিখা যাবে তাই লেখাটা আর বড় করলাম না। একটু সংহ্মেপ বলি, বাবার মাএা অতিরিক্ত শাসনের মাঝেই আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলাম।
😟😟আমার বয়স যখন ১৩ + তখন আমাকে বিয়ে দিয়ে দেয়, যদি ও আমি বেড়ে ওঠি ছোট সংসারে, কিন্তু আমার বাবা বিয়ে দিলো আমাকে ৩০-৩৫ জনের একান্নবর্তী পরিবারে। তাও আবার গ্রামের বাড়িতে , যদি ও আমি বড় হয়েছি শহরে। শহরের বড় হওয়া একটা মেয়ে গ্রামের কালচারের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়াটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল।
আপনারা বলেন তো ১৩+একটা মেয়ে স্বামী সংসার কি বুঝে , সাবালক হওয়ার আগেই বিয়ে।
সেখানে আমার সবার মন মর্জি মতো চলতে হতো, যেখানে আমি আমাদের বাসায় কখনো ভাতের প্লেইট টা ধুয়ে খাবার খাইনি,,,শশুড় বাড়িতে গিয়ে সব কাজ আমার একাই করা লাগতো।
💃💃⛹️♀️⛹️♀️যেই বয়সে আমাকে বিয়ে দেওয়া হলো সেই বয়সে তো বান্ধবীদের সাথে দৌড়াদৌড়ি করার সময়, খেলাধুলা করার সময়। লেখা পড়া করার সময় নিজেকে নিজে চিনার সময়, হাসি খুশি মা বাবা ভাই বোনদের সাথে মেতে থাকার সময়।
তখনই আমার মাথায় একান্নবর্তী সংসারের বিরাট দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হলো। কি ভাবে কি করবো বুঝতে পারছিলাম না। দিন রাত কান্নাকাটি করতাম। আমার কিছুই ভালো লাগতো না। মা বাবার প্রতি অনেক রাগ হতো। কি আর করার - ধীরে ধীরে যতই দিন যেতে থাকলো মাস যেতে থাকলো বছর চলে গেলো , আস্তে আস্তে সব কিছু মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলাম ।
_______😴😴দুঃখে যার জীবন গেরা,
______________তাদের আবার দুঃখ কিসের 😢😢😢
😭😪 যাই হোক বিয়ের পর জানতে পারলাম আমার স্বামী বেকার,, সে কোন কাজ করে না, ঘুরে ফিয়া খায়।
স্বামী বেকার বলেই বাড়ির সব কাজ আমাকে একাই করতে হতো, স্বামীর ৮-৯ বছর প্রবাস জীবনের সব টাকা তার পরিবার খরচ করে এবং পুরো সংসারের হাল সে ধরে, কিন্তু সে এখন নিস্সো বেকার তাই তার ও তার বউয়ের এই সংসারে কোনো মুল্য নাই। টানা তিন বছরের মধ্যে একদিন ও শশুর বাড়িতে ফ্যানের নিচে ঘুমাতে পারি নাই।
তিন বছর পর আমাদের বাড়ি থেকে ফ্যান টিভি আরো অনেক কিছু দেয়, আমার বেকার স্বামীকে বিজনেস করার জন্য একটা মুদি দোকান দিয়ে দেয়,
বিয়ের ৯ মাস পরে আমি প্রেগন্যান্ট হই । তখন আমার বয়স ১৪ বছর শেষ ১৫ বছর শুরু । যখন আমার পুতুল খেলার সময় তখন আমার কোলে বাচ্চা, একটা বাচ্চা মেয়ের কোলে আরেকটা বাচ্চা। সব কিছু মিলিয়ে ভালোই চলছিলো,
😪🏝️😭 কিছু দিন পর থেকে শুরু হলো আমার জীবনের কাল বৈশাখী ঝড়, স্বামী শারিরিক অসুস্থ অনেক ডাক্তার, কবিরাজ, হোমিওপ্যাথি এমন কোন ডাক্তার বাদ নাই যে ওর চিকিৎসা করি নাই। তার কোন উন্নতি নেই, কি রোগ হয়েছে ডাক্তার ও ধরতে পারছে না। এমনি করে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা চলমান রেখে ৩-৪ বছর হয়ে গেলো তার কোন পরিবর্তন নেই । এই দিকে চিকিৎসা করাতে করাতে দোকানের পুঁজি প্রায় শেষ। পরে আমাদের বাড়ি থেকে ও অনেক টাকা নিয়ে উনাকে চিকিৎসা করিয়েছি ,এই ভাবেই চলতে থাকে ৬-৭বছর।
আর এইদিকে আমার ধৈর্য্যের বাদ বাঙ্গে গেছে , আর মেনে নিতে পারছিলাম না। মানুষিক কষ্ট আর্থিক কষ্ট, শারীরিক কষ্ট। একটা সময় তাকে আমি ডিভোর্স দেই, যদি ও আমার মা বাবা চায় নাই, তারপরে তাদের বিরুদ্ধে গিয়ে আমি তাকে ডিভোর্স দিয়ে , আমার মেয়ে সন্তানটাকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসি। জীবন জীবনের মতোই চলছে,,,
বাবার বাড়ি এসে, নতুন করে আবার পড়াশোনা শুরু করি এখন আমি ডিগ্রি ফাস্ট ইয়ার এ পড়ছি। কারন জীবনে যেইকোন কাজে পড়াশোনার গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান সমাজে শিক্ষাগতযোগ্যতা ছাড়া কোন মূল্য নেই, যে জাতি যত বেশি শিক্ষত সে জাতি ততো বেশি উন্নত।
ভাবলাম শুধু পড়া লেখা করলে হবে না, আমাকে পড়া লেখার পাশা পাশি কাজ ও করতে হবে। বর্তমানে আমি পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করছি টি-শার্ট ও পাঞ্জাবি নিয়ে। অফলাইনে সেলাই কাজ করছি ।যেই টাকা উপার্জন হয়, আমাদের মা মেয়ের সুন্দর চলে যায় , আমার ও আমার মেয়ের জন্য সবাই দোয়া করবেন। আমি যেন প্রিয় স্যারের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে নিজে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে পারি। আশা করছি প্লাটফর্মে সকল ভাই বোনেরা ভালোবেসে পাশে থেকে আমাকে সহযোগিতা করবেন।
আসলেই এই ছোট্ট জীবনের গল্প লিখে,
শেষ করা যাবে না। এর মাঝে ও কত গল্প কাহিনি আছে সব কিছু আসলে প্রকাশ করা যায় না।
🙋🧑🤝🧑 প্রিয় বন্ধুরা এতক্ষণ যাবত ধৈর্য্য সহকারে আমার বাস্তব জীবনের গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করছি আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত জানিয়ে আমাকে উৎসাহিত করবেন। যেন সামনের দিনগুলোতে আমি আমার লক্ষ্যে অতি সহজে পৌছাতে পাড়ি। আপনাদের সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো। আপনাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মতো আমার লেখা এখানেই শেষ করলাম। আল্লাহ হাফেজ।
💢💢কি যাতনা না যে বিষে,
______বুঝিবে সে কিসে,
_______কভু আসি বিষে,
___________ধংশে নি যারে💢💢
📌📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে - ৭৮৭
তারিখ ১৯-০৪-২০২২
সুবর্ণা আক্তার
ব্যাচ ঃ১৭
রেজিষ্ট্রেশন ঃ৯১১৯০
উপজেলাঃ নবীনাগর,গোলপুকুরিয়া
জেলা ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া