গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর আমার যে পরিবর্তন ভালো একটা মানুষ ও ভালো একজন উদ্যোক্তা হবো
👉🏵️ জীবনের_গল্প 🏵️
👌 বিসমিল্লাহির_রাহমানির_রাহিম।
পরম করুণাময় আল্লাহর নামে শুরু করছি। যিনি আমাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছেন।
💢আসসালামু_আলাইকুম
ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুল্লাহ 🔳
👉 আল্লাহর দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া জানাই তিনি আমাদের সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে এবং সোনার বাংলাদেশর মাটিতে
মুসলমানের ঘরে জন্ম দিয়েছেন সেই সাথে বিশ্বনবী_হযরত_মুহাম্মদ (সা:) এর
উম্মত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন 🧱
👌 আমি_কৃতজ্ঞতা_প্রকাশ_করছি
আমাদের প্রিয় মেন্টর শিক্ষক শতাব্দীর সেরা আবিষ্কার উদ্যোক্তা ও ভালো মানুষ গড়ার কারিগর জনাব_ইকবাল_বাহার_জাহিদ_স্যারের_প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধা দিয়ে বিশাল এই পরিবার তৈরি করে দিয়েছেন যার দরুন ৫০ টি দেশ, ৬৪ টি জেলা এমনকি ৪৯২ টি থানার ভাই- বোনেরা দুরে থেকেও কাছাকাছি - পাশাপাশি আসার সুযোগ পেয়েছে।
👉নিজের_বলার_মতো_একটা_গল্প_ফাউন্ডেশন।
যার স্বপ্নে বিভোর হয়ে লাখো বেকার তরুণ-তরুণীদের হৃদয়ে সৃষ্টি হচ্ছে উদ্যোক্তা তৈরীর মানসিকতা।
দোয়া করি আল্লাহ পাকের কাছে
প্রিয় স্যার কে যেন নেক হায়াত দান করেন। -(আমিন)
🏵️ প্রিয়_স্যারের_শিক্ষাকে হৃদয়ে ধারন করে
আজ আমি আমার নিজের জীবনের গল্প
লেখার সাহস পেলাম এবং তার জন্য আমার মনের সুপ্ত কিছু না বলা কথা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার সামান্য প্রয়াস।
সবাই
আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আশা করি সাথেই থাকবেন।
🏵️ আমার_পরিবার 🏵️
আমি_সাব্বির
👉বাবা চাচা মিলে ছিলেন
দুই ভাই
তার মধ্যে আমার বাবা ছিলেন বড়
আমার বাবা ছিলেন একজন কৃষক
আমাদের এলাকায় আমার বাবার অনেক সৎ গুনবলীর জন্য সবাই আমার বাবাকে
আমাদের গ্রামের সামাজিক ভাবে সবাই
অনেক সম্মান করে...✅ #আলহামদুলিল্লাহ
আমরা ৩( তিন)ভাই বোন,মা-বাবাসহ ০৫ ( পাঁচ) জনের একটি পরিবার....
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ছোটবেলায় আমার দাদা মৃত্যু বরণ করেছেন।সেই সুবাদে আমার দাদী আমার বাবার সাথে একসাথে বসবাস করতো চাচা ও ছিলেন পরিবারের একজন
যেহেতু বাবার ছোট ভাই
আমার চাচা লন্ডন বসবাস করতেন
দাদার জমি ও দাদীর নামে কাবিনের কিছু জমি বাবাই চাষ করতো। আমার চাচার সাথে আমাদের তেমন সম্পর্ক ভালো ছিলো না সব সময় সাপ ও নেউলের মত আচরণ ছিলো, যেটা গ্রাম্য সমাজে এখনো বিদ্যবান।আমি তখন প্রাইমারিতে লেখাপড়া করছি।
🏵️আমার বেড়ে ওঠা🏵️
ভাই বোনদের মধ্যে আমি হলাম সবার বড়
আমার বাবা অনেক পরিশ্রমি একজন মানুষ..
রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে বাবা মাঠে ঘাটে কাজ করতো। তখন আমি পড়া লেখা করে মাধ্যমিকে পদার্পণ করি।
কিন্তু যখন আমি দেখতাম আমার বাবার
অনেক কষ্ট হত তখন বাবাকে সহজোগিতা
করার জন্য ছুটে যেতাম কিন্তু বাবা আমাকে
কাজ করতে দিতোনা বলতো আমার নাকি
পড়া লেখা খরাপ হবে বাবা তুমি বাড়ী যাও পড়াশুনা করো। রোল নং কখনো ১ হয়নি আমার সর্বদাই ২-৪ এর মধ্যে উঠানামা করতো। মোটামুটি আল্লাহর রহমতে ভালোই ছিলাম। একবার কোন বিষয় পড়লেই আয়ত্ত্বে এসে যেত।
🏵️ বাবার কষ্ট সয্য করতে না পেরে একপর্যায়
আমার বাবার সাথে কাজে লেগে গেলাম এবং বাবার কষ্ট লাঘব করার জন্য এবং নিজের ইচ্ছার জন্যই আমি ষষ্ঠ শ্রেণীতে থাকা অবস্থায় ষষ্ঠ শ্রেণী সহ নিচের ক্লাসের ছেলে- মেয়েদের টিউশনি করাতাম বাড়ি বাড়ি গিয়ে
বাবা- মা এতে অনেক খুশি হতো। এমনকি গ্রামের সবাই আমাকে আদর ও ছোট ভাই বোনেরা সম্মান করতো।
🏵️ আমার কিছু নেশা🏵️
লেখাপড়ার পাশাপাশি আমি ছোটবেলা মানে প্রাইমারি থেকেই মাধ্যমিক শেষ অবধি প্রত্যেক বছর স্কুলের ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে
পরিচালনা করতাম
এবং ৩/৫ পর্যন্ত পুরস্কার পেতাম। এলাকায় এবং স্কুলের অনুষ্ঠানে গান ও কবিতা এমনকি সামাজিক অনুস্টানে পরিচালনা করা ছিলো আমার নেশার মত।
🏵️আমাদের পরিবার কৃষি নির্ভরশীল ছিলো।
তাই সব সময় বাবা প্রচুর পরিশ্রম করতো। দাদী যেহেতু আমার বাবার সাথেই থাকতো তাই জায়গার জন্য দুইটি ঘর দরকার হওয়াতে বাবা একটি টিনের ঘরের পাশাপাশি আরো একটি টিনের ঘর নির্মান করেছিলেন। আমি ছিলাম তখন প্রাইমারিতে। এমন সময় আমাদের জীবনে নেমে আসলো এক কালো অধ্যায় দাদী মারা গেলেন
দাদি মারা যাওয়ার পূর্বে
দাদা দাদির সকল সম্পত্তি
চাচার নামে করে দিয়ে যান
এবং তার কিছুদিন পর বাবার ভাই মানে আমার চাচা
লন্ডন থেকে চলে আসেন
আন লিগেল থাকার কারণে
তারপর
গ্রামের বেশিরভাগ লোকজন দিয়ে আমাদের বসবাসের দুইটি ঘরটি ভেঙে নিয়ে গেলেন
আমরা দুইভাই তখনতো ছোট কিবা করার ছিলো। চাচাদের দাবী ছিলো যেহেতু দাদীর জমি বাবা চাষাবাদ করতো এবং সেই সময়ে ঘরগুলো তোলা হয়েছে তাই তারা এটার ভাগ পাবে।
🏵️ ঘর ছাড়া বাড়ীর ভিটাতে আমার বাবা একাই থাকতে শুরু করলো। কিছুদিন মা এবং আমাদের দু -ভাই আমার বোনকে
নানু বাড়ীতে রেখে দিলেন
মাস দুই পরে আমরা বাড়ীতে ফিরলাম এবং বাড়ীর চিত্র দেখে বুকটা ফেটে যাচ্ছিল মনে হচ্ছিল এই পৃথিবীর বুকে আমাদের মত এত নিঃস্ব আর কেউ নেই। আশেপাশের লোকজন শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতো আর আমরা তখন একচালা টিনের ছাউনি তুলে তার মধ্যে দুইটি রুমে আমরা থাকতে শুরু করলাম।
আমার বাবা সব সময় বলতেন আমি জানি সব সময় সৎপথে চলি এবং সৎ উপার্জন করি এবং আমার মায়ের দোয়া সাথে আছে ইনশাআল্লাহ আমি একদিন সবই করতে পারবো.!আগে তোদেরকে মানুষের মত মানুষ হতে হবে।তোরা যতদিন মানুষ হতে পারবি এবং একটি কর্ম করতে পারছিস ততদিন আমি ঘর তুলবোনা। আমিও বাবার সাথে সায় দিলাম। আর তার থেকেই আমাদের সংসারের যুদ্ধ শুরু হলো বাবার পাশাপাশি আমার টিউশানি।
🏵️ তাই আমার বাবার আসা নয় বিশ্বাস ছিল আমার বাবার কস্টের দিন গুলো এক দিন শেষ হবেই #ইনশাআল্লাহ!
আমার বাবা ছিলেন অত্যন্ত সহজ সরল এবং ভালো মনের একজন মানুষ,তিনি ছিলেন পরোউপকারী , তিনি যেকোন বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সেই বাবাই তার দূরদিনে কাউকেই পাশে পায়নি এমনকি গ্রামের বড়বড় জনেরও।
🏵️এভাবেই কাটতে লাগলো আমার স্কুল জীবন
দেখতে দেখতে আমি SSC পাশ করলাম
#আলহামদুলিল্লাহ
আমার পাশ করার আনন্দে আমার
মা বাবা অনেক আনন্দিত হলো তা ভাষায় বুঝনো যাবেনা।
🏵️কলেজ জীবন🏵️
বাবা মায়ের ভালোবাসা নিয়ে তাই ভর্তি হলাম পাশের বাজারের একটি কলেজে । শত টাকা পয়সার অভাব হলেও আমাকে বাবা কোনদিন একটি টাকার অভাব কখনও বুঝতেও দেয়নি বাবা বলতো আমি যে ভাবেই চলি না কেন তোকে তো কষ্ট দেয়া যাবেনা।
কথাগুলো বলতে এখন সত্যি সত্যিই আমার বুকটা ধুকধুক করে কেঁদে উঠছে সেই সাথে বাবার অমলিন সেই মুখচ্ছবি টি ভেসে উঠছে বারবার।
🏵️ কোন_রকমে_চলতেছে আমাদের পরিবার
কিন্তু এভাবেই কতদিন চলবে একা বাবার পক্ষে সম্ভব নয় তাই আমি ভাবলাম
একটা কিছু করা দকার।
তবে কি করবো এইটা নিয়ে ভাবতেছি
আমাদের দেশে ভালো একটা চাকরি
মানে সোনার হরিণ...!আর কি চাকরিই বা করবো লেখপড়াতো এখনও শেষ হয়নি।
সেই সোনার হরিনটা পেতে হলে মামা খালুর
পরিচয় বহন করা লাগে কিন্তু আমার নসিবে তো
সেই পরিচয়টাও নেই।
দিনরাত ভাবছি কি করে মা বাবাকে একটু
শান্তি সুখের মুখ দেখাবো
কিন্তু আমার নসিবে আশা আর পুরন হল না
একটি মোবাইলের দুখানে চাকরি নিলাম প্রতিদিন ২০ টাকা পেতাম আর ১ বছর বছর এটি ও চলে যায়
এটি থাকলে হয়তো আরো সামনে এগিয়ে যাওয়া যেত, যাহোক আল্লাহর রহমতে তখন HSC কমপ্লিট করলাম।
🏵️ব্যবসার স্বপ্ন 🏵️
বাবার সংসারের টানা -পোরেন এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এডমিশন দেবার জন্য আবেদন করলাম হয়ে গেল কিন্তু বাবা ভর্তি টাকা দিতে ব্যার্থ হওয়ায়
আর হলোনা।
ভাগ্যের উপর থাকিয়ে থাকলাম
স্বপ্ন বাজ হবার কারনে নিজের প্রিয় স্বপ্ন দেখতে শুর করলাম ব্যবসা করার আমার ছোট বেলা থেকে স্বপ্ন
কিন্তু সেই স্বপ্ন মায়ের অসুস্থতা পিচিয়ে দিল
পৃথিবীতে আসলেও মা বাবা আমাদের সব
একদিন মা হঠাং
করে অসুস্থ হয়ে পড়েন নিজের পার্শ্ববর্তী
ক্লিনিক এ ভর্তি করি
তখন শুধু প্যাকেট এ ২ হাজার টাকা ছিল
মায়ের জন্য ১ ব্যাগ রক্ত দিতে হলো আমার ছোট ভাইকে
ভাই মনে তখন বলল মায়ের ঋণ হয়তো জীবনে পুরন করা কারোও জন্যও সম্ভব নয় তবু মাকে রক্ত দিতে পেরে অনেক শান্তি লাগছিলো। মা সুস্থ হয়ে ফিরে আসলেন আর আমাদের জন্য আরো বেশি করে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে লাগলেন।
এখন ও আম্মু অসুস্থ আছেন ডাইবেটিক্স ও কিডনি জনিত সমস্যা উনার জীবনকে তছনছ করে দিচ্ছে
সবাই দুয়া করবেন আমার
গর্ভধারনী মায়ের জন্য
🏵️চাকরির জার্নি🏵️
চাকরি খুজতে খুজতে এক
অসহায় হয়ে পড়লাম
ঠিক তখনি এক
সময় আব্বার চাচাতো ভাইয়ের মাধ্যমে একটা মোবাইলের দুকানে চাকরি পেয়ে গেলাম তখন কোনো রকম সংসার ভালো চলছিল
টিক তখন করুনা এসে সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দেয়
আমাদের সুখের সংসারকে
আমাদের সবার জীবনকে
🏵️ বাবার স্বপ্ন🏵️
বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নের চেষ্টার দরুন সেই টিনের চালা ভেঙ্গে আল্লাহ পাকের রহমতে ২ ভাইয়ের চিন্তা করে অনেক বড় করে সেই কান্না ভেজা ভিটাতেই ওয়াল করে ঘর দিতেছি কাজ প্রায় শেষের দিকে,, আর কিছু করতে পারি আর নাই পারি আমার বাবার কষ্ট কে বৃথা যেতে দেইনি কিছুটা কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা করেছি এটিই আমার অনেক পাওয়া।
আর এটি আমার আব্বার বোন আমার ফুফুর মাধ্যমে সাহস পেয়েছি
আজ বাবা-মা কে অনেক হাসিখুশি মুখটি যখন দেখি তখন আনন্দে চোখে পানি চলে আসে।
🏵️ লেখাপড়ার _ জীবনঃ🏵️
ইন্টারে পড়ালেখা শেষ করে
রেজাল্ট যদি ও ভালো ছিল
বাবার সম্পদ ক্যাশ টাকা না থাকার কারনে
তখন বাবা আমাকে অনার্স এ ভর্তি করার সামর্থ হয় নাই
বাবা চোখের পানি ফেলে বলে ছিলেন বাবা তুমি ভর্তি হউ আমি দ্বার করে টাকা দিব
তুমার ভর্তির জন্য আমি তখন রাজি হইনি বাবা তখন আগের দ্বারকিত টাকা এখন ও পরিশোধ করেন নি
আমি রাজি হই নি কারণ দাদি থাকতে বাবার আগের অনেক টাকা ঋণ ছিল যার কারণে রাজি হই নি
বাবার সামর্থ নাই তাই লেখা পড়া ছেড়ে দেই
🏵️ করুনা কালীন_ জীবন🏵️
যখন সারা দেশব্যাপি করুনা চলে আসল চাকরি চলে গেল
পাশাপাশি বিদেশ থেকে ফুফু টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন করুনা সব কিছু লকডাউন তাই তারাই তাদের ফ্যামেলিকে নিয়ে চলা বাহুল্য
তখন বাবা যখন পারতেন তখন চাল ডাল আনতেন
বাড়ির পাশে একটা দুকান ছিল বাবাকে বিশ্বাস করে বাকি দিত
অনেক টাকা জমিয়ে থাকা ও পাশাপাশি
করুনার জন্য বাকি দেওয়া বন্ধ করে দিল 😰😰
অনেক দিন যেত আমরা দিনে খেলে রাত্রে খেতাম না রাত্রে খেলে আমরা দিনে খেতাম না
বুকফেটে ঘরে বসে কান্না করতাম কাউকে বলতাম না
মানুষ সরলতার সুযোগ নিতে ভালোবাসে তাই কাউকে বুঝতে দিতাম দিতাম না আমরা না খেয়ে আছি
অনেক সময় বাড়ির পাশের দুখান থেকে ১০ টাকার
পিয়াজ কিনে এনে একমাত্র বোনটি চোখে ঝল ফেলতে ফেলতে
মুরি মাখাতো আর আমরা সেই মুরি খেয়ে দিন রাত পার করে দিতাম
একদিনের ঘটনা আপনাদের সাথে শেয়ার করি
সারাদিন তরকারি রান্না হয় নি বোন বলে রান্নার তৈল নাই 😰😰
এক চাচার কাছ থেকে
৫০ টাকা ধার নেই তখন
আদা লিটার তৈল ছিল ৫৫ টাকা ৫ টাকা বাকী রাখার কথা বলতেই দুখানওয়ালা
তৈল ফিরিয়ে নেয় তখন অসহায় হয়ে চোখের ঝল মুছিয়ে মুছিয়ে বাড়িতে চলে
আসি আর সেই দিন আর তৈল না থাকার কারণে তরকারী রান্না হয় নি না খেয়ে কাঠাতে হত এভাবে অনেক দিন 😰😰
তবু ও কাউকে কিছু বলতাম না কারণ মানুষ যে বড় নিস্টুর সুখের সময় সবাই পাশে থাকে কিন্তু দুঃখের সময় সবাই দূরে চলে যায় তার ফলে
এভাবে আমরা করুনা কালিন
সময়ে জীবন অতিক্রম করতে থাকলাম
তখন বুজতে পারলাম ঠিক এক মুঠো ভাতের মুল্য দুনিয়াতে কত কঠিন
হায়রে নিস্টুর দুনিয়া 😭
এই দিনগুলো ছিল খুব ভয়ানক
যখন মনে হয় তখন অনাহাসে কান্না চলে আসে আর বাবার মুখে দিকে অনাহাসে থাকিয়ে থাকি
🏵️ নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে
যোগ_দান....
🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠🦠
👉
নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন এর মেন্টর প্রিয় স্যার জনাব
মোঃ ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।যার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ আমরা পেয়েছি ভালোবাসার এক পরিবার।
সারা বাংলাদেশের একযুগে কাজ করে যাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণী।
সিলেট জেলা নেই যে পিছিয়ে।উপজেলা পর্যায়েও সদস্যদের অনেক উপস্থিতি সেটারই প্রমাণ দেয়।
আমি যখন
আমার চাচাতো ভাই
আব্দুর রহিমের মুখ থেকে শুনী
নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন এর কথা তখনই
সাথে সাথে গ্রুপে জয়েন্ট হলাম রেজিস্ট্রেশন করে নিলাম
ও শুরু করলাম গ্রুপের সকল পোস্ট পড়া।আস্তে আস্তে নিজে কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যেতে শুরু করলাম
এই প্লাটফর্ম এ যুক্ত হওয়ার পর থেকে
বিশেষ করে স্যারের একটি সেশনে স্যার বলেছেন যে একটি চাকরি বা একটি ব্যবসা করার জন্য কারো জন্ম হয়নি এই কথাটিই আমাকে বেশি অনুপ্রেরণা দেয়।
একটা সময় নিজেই তৈরি করে ফেললাম
Madina Mart
নামের ফেইসবুক পেইজ সেটাতে ছেলেদের পোশাক ও মেয়েদের থ্রি-পিস ও রাজশাহীর বিখ্যাত আম নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম
অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ভালো সাড়া পেলাম আর গত ১৯/০৬/২০২১ ইংরেজি
আমাদের
সিলেট বিভাগের মেগা মিটআপ প্রগ্রামে
স্যারের সাথে দেখা হওয়া আমার জীবনের মোড় ঘুরাতে আরো বেশি সাহায্য করছে।
স্যারের আরেকটি সেশনে
আমাদের প্রিয় স্যার বলেছেন:-
স্বপ্ন দেখুন
সাহস করুন,
শুরু করুন
লেগে থাকুন,
সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ।.....✅
এই স্লোগানকে বুকে ধারণ করে স্বপ্ন দেখা শুরু করি
এর কিছু দিন পর
অনেক কস্ট করে অনেকের
সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে
স্বপ্নের প্রতিস্টান
০৫/১১/২০২১
হালিমা জান্নাত ভেরাটিজ স্টোর নামে
একটি দুখান শুরু করি
সেই দুখান থেকে এখন আমার পরিবার এখন ভালোই চলতেছে,,,
সমাজের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি
দুকানেই আমার এখন সবকিছু,,
আলহামদুলিল্লাহ
একদিন আমি অনেক বড় ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা হতে চাই
আমার কাছে আপনারা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পাবেন ও
আমের সিজনে আম পাবেন।।
সবাই আমার জন্য ও আমার প্রতিষ্ঠান জন্য দোয়া করবেন ও মদিনা মার্ট
এ লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন।
আমার পেইজ লিংকঃ
https://www.facebook.com/Madina-Mart-105890148366511/
🏵️ শুরু_হলো নতুন করে এই ভালো মানুষ তৈরির কারিগর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের সৃষ্ট প্লাটফর্মে পথ চলা এবং চলছি ইনশাআল্লাহ চলতে থাকবো। কারন একটি বিষয় খেয়াল করলাম স্যারের সেশন গুলোর যতই সামনের দিকে এগুচ্ছে ততই আরো গভীরে জেতে মন চাচ্ছে । সেই থেকে এখন পর্যন্ত লেগে আছি প্রিয় এই ফাউন্ডেশনের সাথে। প্রিয় স্যারের শিক্ষায় নিজেকে খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তন করে ফেলার চেষ্টা করেছি এবং প্রতিজ্ঞা করেছি যে জীবনে যতো দিন বেচে থাকি সততা ও ভালো মানুষ হয়ে বেচে থাকার চেষ্টা করবো।
🏵️ আলহামদুলিল্লাহ
আমাদের প্রিয় শিক্ষক মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের অনুপ্রেরনায় অনুপ্রানিত হয়ে আরো ভালো কিছু করতে পারবো
স্যারের আরেকটা
স্লোগান অনেক
অনুপ্রেরণা যোগায়।
"চাকরি করব না
চাকরি দেব""
কোন একদিন একজন ভালো উদ্যোক্তার কাতারে যেয়ে সেই চেষ্টাই অব্যহত থাকবে --------ইনশাআল্লাহ।
🏵️ আপনাদের সবার নিকট আমার বিনিত অনুরোধ সবাই আমার জন্য ও আমার ফ্যমিলির জন্য দোয়া করবেন আমার ফ্যমিলিকে আল্লাহ পাক হেফাজত করেন এবং যতদিন বেঁচে আছি আমার বাবা-মা কে নিয়ে পরিবার নিয়ে সুস্থ ও সুখে থাকতে পারি - ----আমিন। 🤲🤲
🏵️ আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় একদিন ইনশাল্লাহ সফল হব।
আমাদের প্রিয় স্যার বলেছেন:-
স্বপ্ন দেখুন
সাহস করুন,
শুরু করুন
লেগে থাকুন,
সফলতা আসবেই ইনশাল্লাহ।.....✅
🏵️ আমি সব সময় বিভিন্ন সামাজিক কাজ গুলো দেখি এটা আমার খুব ভালো লাগে!
গ্রুপে যুক্ত হওয়ার পর আমার যে পরিবর্তন ভালো একটা মানুষ ও ভালো একজন উদ্যোক্তা হবো
সকলের কাছে দোয়া চাই।
🤲আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করি প্রিয় স্যার কে এবং স্যারের পরিবারকে আর সেই সাথে এত বড় একটা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাওয়া সকল ভাই ও বোনেরা যেন আল্লাহ সুস্থতা দান করেন ও হেফাজতে রাখেন
-----------------আমিন.... 🤲
🙋♂️ আমার লেখায় যদি কোন ভুল হয়ে থাকে নিজ গুনে ক্ষমা করবেন প্লিজ
💖🙋♂️ আশা করছি ভালোবেসে সবাই আমার পাশেই থাকবে ইনশাআল্লাহ!!
📌📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৮৭
তারিখ ১৯-০৪-২০২২
মোঃ সাব্বির আহমদ
উপজেলা এম্বাসেডর
প্রমোটিং টিম মেম্বার
ব্যাচ ১২,রেজি,৪৭৯৮৭
উপজেলাঃ নির্ভীক
ওসমানী নগর
জেলাঃ সিলেট।
আমার পেজঃ Madina Mart
প্রতিষ্ঠতাঃ হালিমা জান্নাত ভেরাইটিজ স্টোর