আমার মেয়েদের মতো কষ্ট যেনো কোন সন্তান কে পেতে না হয়।
,,,,বিছমিল্লাহ্ হির রাহমানির রাহীম,,,,
,,,,,,,আস্সালামুআলাইকুম,,,,,,,,,,,
ঈদের ছুটি সবার মতো আমার ও শেষ যদিও বা কোথাও যাওয়া হয়নি।
তো আমার প্রিয় প্লাটফর্মের সকল প্রিয় ভাইয়া ও আপুরা কেমন আছেন?
আশা করি আল্লার অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন আমি ও আলহামদুলিল্লাহ আল্লার রহমতে ভালো আছি।🥰
সর্ব প্রথম শ্রদ্ধার সাথে স্বরন করছি প্রিয় স্যার ও প্রিয় মেন্টর কে স্যারের প্রচেষ্টা আমরা পেয়েছি এক নতুন পরিবার।
আল্লাহ্ সব সময় আমার স্যার এবং স্যারের পরিবারকে তোমার রহমতের চাদরে ডেকে রেখো।
স্যার বলছিলো ঈদের গল্প লিখতে আসলে ঈদের কোন গল্প নাই গত ১৪ বছর থেকে।
যেদিন বাবার বাড়ি ছেড়ে স্বামীর বাড়ি আসলাম সেই দিন থেকে আমার শখ আনন্দ সব বিসর্জন দিয়েছি।
বিয়ের পর পরেই বাবা মারা যায় বাবার শোকে পাথর হয়ে গেছিলাম প্রায় এক বছর😭
মা ছিলো বলে বাবা হারানোর শোকটা হয়তো ভুলে গেছিলাম।
গত ২১ সালে মা ও চলে গেলো আমাকে এতিম করে, আমি হয়ে গেলাম এতিম ভাই বোন সব আছে তবে আমার কেউ নাই😭😭😭
সেই থেকে ঈদ নামের শব্দটা আমার কাছে আতংকের নাম।
কারন ঈদের চাঁদ দেখার সাথে সাথে আম্মু কল দিতো, জানান দিতো চাঁদ উঠেছে এখনো ও সেই কলের আশায় থাকি আমি😭কিন্তু মা তো কল করে না মায়ের নাম্বার থেকে কোন কল আসে না।তাই চাঁদ রাত থেকে আমার কান্না শুরু হয়😭
অনেকে আমাকে ইমোশনাল মেয়ে হিসাবে জানে আসলে আমি আগে এতো ইমোশনাল ছিলাম না।একে একে সব হারিয়ে কাঁধতে কাঁধতে আজকে আমি অল্প কষ্ট ও সহ্য করতে পারি না।
গত ১৪ বছর যাবৎ ঈদে গ্রামে যেতে পারিনি ঈদ করতে।
মা বেছে থাকতে যেহেতু যেতে পারিনি আগামীতে হয়তো আর যাওয়া সম্ভব হবে না।
ভাইয়ের বউয়েরা বা চাচা,চাচিরা যতই যেতে বলুক না কেনো মায়ের ডাকের মত আন্তরিকতা খুজে পাই না,তাই যাওয়া হয় না।
আর যদি বলেন শ্বশুর বাড়ি জান না কেনো তাহলে বলবো ঐ বাড়িতে আমাদের কখনো ঐভাবে ডাকা হয় না।
ওদের পরিবার টা সম্পূর্ন ব্যতিক্রম
আমার মেয়েরা হওয়ার পর থেকে আজ পযন্ত একটা ঈদে দাদার বাড়ি যেতে পারে নাই কারন তারা মেয়ে বাচ্চা তাদের কোন অধিকার দাদা বাড়িতে নাই।
আমার যখন বিয়ে হয় তার আগে আমার স্বামীর নিজের টাকায় বাড়ি করে বিয়ে করবে বলে সেই বাড়িতে আমাকে নতুন বউ হিসাবে তুলা হয়।
কিছুদিন পরে যখন আমার মেয়ে হয় তখন তারা আমার কাছ থেকে আমার স্বামীর শেষ সম্বল বাড়িটা ও কেড়ে নেয় বলে যার ছেলে নাই সেই কিছুই পাবে না।
পর পর আমার তিনটা মেয়ে হয় যা একটু অধিকার ছিলো সব কেড়ে নিলো
বাড়ি গেলে থাকার জায়গা হয় না আমার জন্য😭😭😭😭😭
আমি বউ হিসাবে তাদের খুব পছন্দর এবং ভালোবাসার কিন্তু মেয়ের মা হিসাবে আমি একদম নগন্য 😭😭
আমার মেয়ে হওয়ার পর থেকে ঐ বাড়ির কোন কিছুর উপরে আমার কোন অধিকার নাই।
আমার শ্বাশুড়ি এক সময় আমার হাজবেন কে বলে তুই ওরে ছেড়ে দে তোকে আবার বিয়ে দিবো গ্রামে তার পরে ছেলে হবে আমার হাজবেন সেই দিন রাজি হয়ছিলো না হ্যা বা না কিছু বলেনি বরং রাতে বিছানায় তাকে কান্না করতে দেখেছি।
এখন আমি যদি বলি মেয়ের হওয়ার অপরাধ কি শুধু আমার তাদের ছেলের নয়?
আসলে খুব বাজে এক পরিবারে আমার বিয়ে হয় যা বলার ভাষা নাই।
তবে লোক হিসাবে আমার হাজবেন মোটামুটি ওদের পরিবারে সব চেয়ে ভালো।
সেই মায়ের উপরে কথা বলতে পারে না কারন তার বাবা মারা যায় তাদের ছোট রেখে।
মা কে আগলে ধরে তাদের বেড়ে উঠা যার কারনে মা অন্যায় করতেছে যেনে ও প্রতিবাদ করে না বরং আমাকে শুধু বলে সয়ে যাও ধৈর্য ধরো।
আর কতো বাবা, মা পরিবার বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন সব হারিয়েছি ওর জন্য কিন্তু ওর পরিবার সেই সম্মন আমাকে দিলো না।
অনেকে অনেক সময় বলেছে তুই চলে যা ওকে ছেড়ে দে সত্যি বলতে কি আমি জুয়েল কে অনেক ভালোবাসি জুয়েল কে ছেড়ে দিবো সেটা আমি কোন দিন চিন্তা ও করিনি।
এখন তো আমার সংসার অনেক বড় তিনটা মেয়ে আমি আমার হাজবেন এখন তো বাড়ি যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
কারন তারা আমার মেয়েদের সহ্য করতে পারে না।
গত কয়েক বার যাবৎ বালিশ চাপা দিয়ে কান্না করি ঈদের দিন।
কোরবানি টাকা পাঠাতে হয় ঈদে টাকা দিতে হয় কাপড় দিতে হয় সবি ভালো লাগে শুধু আমার বাচ্চাদের ভালো লাগে না 😭😭😭একটা মা হয়ে এটা কি মানা যায়।
একদিন আমার শ্বাশুড়ি আসে পরে আমি বল্লাম মা আমি একটু বাহিরে যাবো, মা জিজ্ঞেস করলো কেনো আমি বল্লাম বড় মেয়ের জন্য একটা পড়ার টেবিল কিনতে সেই কথা শুনে মা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো বলছে মেয়ে মানুষের আবার টেবিল লাগে নাকি আমার ছেলে মেয়েদের টেবিল কিনে দিতে হয় নাই তারা কি কেউ অশিক্ষিত?
নানা কথা কাটাকাটি এক পর্যায় সেই আমার গায়ে হাত তুলে বিছানা ঝাড়ু দিয়ে, 😭😭😭😭 আমার বাবা, মা আমার শরীরের মশা মাছি আসতে দিতো না কোন দিন আর সেই মেয়ে শ্বাশুড়ির হাতে মার খাই।😭
এই যুগে এতো কষ্ট করে কেউ সংসার করে কিনা আমার জানা নাই সেই আমার মেয়ের জন্য টেবিল কিনতেই দিলো না অথচ টেবিল কিনার জন্য টাকা টা আমার মা দিছিলো।
আসলে স্যার কি লিখবো ঈদ মানে কান্না আর কান্না বড় মেয়ের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় আমাকে।
কি বলবো দুঃখো যদি কারো কপালে তাকে সুখ দেওয়ার কেউ তাকে না।
তারা একবার ও বুজার চেষ্টা করে না ছেলে মেয়ে দেওয়ার মালিক আল্লাহ্ আমি না😭
আমার তিনটা মেয়ে তাদের বয়সে তারা ঈদের আনন্দ কি তা জানে না।
বড় মেয়ে ১২ বছর
মেজ মেয়ে ৫ বছর
ছোট মেয়ে তিন বছর
তাদের ঈদ হলো চার দেওয়ালের মাঝে।
এখন নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয় অনেকে বলে আমাকে ঘরের কথা বাহিরে বলার দরকার কি?
আরে ভাই এখনের ছেলে মেয়েরা অল্পতেই সংসার ভাংগার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে তাদের জন্য আমি বড় শিক্ষা।
আর বাবা, মা ছাড়া নিজের পযন্দকে গুরুত্ব দিতে গেলে সারাজীবন কান্না করতে হয় সেটা আমি বুজে গেছি।
লিখতে গেলে কোনদিন লিখা শেষ হবে না।
ছোট বেলায় আমি যে আনন্দ করেছি তার এক % ও আমার সন্তানরা পাচ্ছে না।
শুধু আমার ভুন সিন্ধান্তের কারনে।
আমার মেয়েদের মতো কষ্ট যেনো কোন সন্তান কে পেতে না হয়।
আমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে আমার মেয়েদের জন্য দোয়া চাই তারা যেনো মানুষের মত মানুষ হয়ে সমাজে উচু মাথায় চলতে পারে।
সব শেষে বলবো বাবা, মায়ের পছন্দ কে গুরুত্ব দেন সবাই নিজের পছন্দ কে বিসর্জন দেন সুখ পাবেন।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৯৭
তারিখ ১০-০৫-২০২২
সুমী
ব্যাচ নং-১২
রেজিষ্ট্রেশন নং-৪২৭৭৭
এম্বাসাডর উত্তরা পশ্চিম থানা
কমিউনি ভলেন্টিয়ার নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন।