কিভাবে কাজ করতে হয় কিভাবে কথা বলতে হয় কিভাবে মার্কেটিং করতে হয়
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
🎀সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার জন্য,যিনি আমাকে এ পর্যন্ত আসার তৌফিক দিয়েছেন
🎀 আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার কে। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ধারা হাজারো মানুষের একটা কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে, যেখান থেকে হাজার হাজার তরুণ তরুণী ও বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের যোগ্যতা দিয়ে নিজের জীবনকে বদলাতে পেরেছে। তাদের মধ্যে আমিও একজন।
🎀 আমি মোঃ শাফায়েত হোসেন।স্যারের লাইভ, ট্রেইনিং , সেশন চর্চা ইত্যাদি দেখে ভালোবেসে যুক্ত হয়েছি এই ফাউন্ডেশনে ১৭ নাম্বার ব্যাচে।
আজ আমি আমার জীবনের গল্প শেয়ার করব আপনাদের সাথে।
🎀 আমার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিল ২০১৩ সালে আমি যখন তাবলীগে গিয়েছে চার মাসের জন্য ঠিক তখনই আমার বাবা অসুস্থ হয়ে যায় তার অসুখ ছিল লিভার ক্যান্সার আমি কোন ভাবেই জানতে পারিনি ,আমার ভাই ছিল তারা বাবার চিকিৎসা করিয়েছে আমি যখন বাসায় আসলাম তখন বাবার চেহারার সাথে আগের চেহারার কোন মিল পাইনি তার চেহারাটা খুব শুকিয়ে গিয়েছে যখন আমি ডাক্তারের কাছে গিয়েছি তখন জানতে পেরেছি তার লিভার ক্যানসার ধরা পড়েছে কিন্তু এতদিন পর্যন্ত আমার ফ্যামিলি চিকিৎসা করিয়েছে তারা রোগ ধরতে পারেনি যখন আমি ডাক্তারের কাছে গিয়েছি ডাক্তার তখন বলেছে যে এখন তার কোনো চিকিৎসা নেই আল্লাহ তাকে যে কয়দিন বাঁচিয়ে রাখে সে কয়দিন তারপাশে আপনারা থাকেন, এদিকে পরিবারের সবাই আমার ওপর চাপ সৃষ্টি করতেছিল যে আমার জন্যে সবকিছু হয়েছে অথচ আমি তাদের সাথে ছিলাম না আমার ওপর মানসিকভাবে বিভিন্ন চাপ সৃষ্টি করেছেন যাহোক আল্লাহতালা আমাকে ধৈর্য ধারণের তথ্য দিয়েছেন, আমার সবচেয়ে কষ্ট লাগছে আমার বাবা আমাকে বলতেন আমি বেঁচে থাকা অবস্থায় তোমার রোজগারের কোন জিনিস খেতে পারেনি খুব কষ্ট লাগছে। যাহোক ঠিক এর দুই মাস পর বাবা মারা যায় এরপর শুরু হয় আমার জীবনের সবচাইতে কষ্ট কর মুহূর্ত।
🎀 বাবা যখন মারা যান তখন আমার পকেট এ ১ টাকা ছিল না অথচ আমার পরিবারের সবাই মনে করছে বাবার সমস্ত টাকা আমার কাছে অথচ আমি ছিলামই না তারা ছিল তারা বাবার খরচ চালাইছে ।
🎀🎀 আমার অনেক বড় একটা স্বপ্ন ছিল আমি মার্চেন্ডাইজার হব কিন্তু যখন আমি বাসায় আসি বাবার এই অবস্থা দেখি তখন আমার সমস্ত স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে যাবে যা হোক তাকদীর যেটা হবার সেটা হয়েছে আমার কোন আফসোস নাই।
যখন মারা গিয়েছেন তখন আমি বেকার ছিলাম কোনো চাকরি ছিল না যখন বাবাকে বাড়িতে মাটি দিয়ে ঢাকা এসেছি তখন ঘর ভাড়া মায়ের খরচ নিজের ব্যক্তিগত খরচ কোন টাকা আমার ছিলনা আল্লাহপাকের কি এক রহমত বাবা মারা গেছেন ২৬/০২/২০১৪ তারিখে ঠিক পরের মাসের ০৯/০৩/২০১৪ তারিখে আমার একটি চাকরি হয় যার বেতন ছিল একেবারেই কম যা বলার ভাষা আমার নেই মাত্র 5000 টাকা এই অবস্থায় ঢাকা শহরে থাকা খুবই কষ্টকর ছিল যাহোক চাকরি করতে ছিলাম চাকরির মধ্যেও আমাকে একটি অতিরিক্ত পরিশ্রম করানো হত কারণ হলো তারা মনে করতো যে ছেলেটা চাকরি ছাড়বে না তার টাকার দরকার আমার ডিউটি ছিল সকাল ৯ টা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এরপর তারা আমাকে আবার কাজ করা তো রাতে ২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত গাড়ির সাথে তারা আমাকে গাজীপুর ফ্যাক্টরি তে পাঠাতো অথচ তারা আমাকে রাত্রে কোন খরচ দিত না কিন্তু তারা আমাকে সকাল নয়টার মধ্যে অফিসে আসতে বলতো এইভাবে আমি পরিশ্রম করতে করতে আসতে ছিলাম, তারা আমাকে বিভিন্ন জায়গায় পাঠা তো কোন খরচ দিত না,
অফিসে আমার যে প্রমোশন হয়েছে তার ভিতরে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল আমার ডিপার্টমেন্ট হেড তিনি আমাকে বিভিন্ন সহযোগিতা করছে আমাকে আমাদের যে অফিসের সফটওয়্যার এর মাধ্যমে অফিসে যে কাজ গুলো তা শেখানোর জন্য আমাকে বলছেন আমি উনার কথা অনুযায়ী ওই কাজগুলোই শিখেছি যারা আমাকে একসময় পছন্দ করত না আজ তারাই আমার কাছে আসে ওই সফটওয়্যার এর কোন কাজ করতে তারা যেটা পারেনা সেটা আমার কাছে আসে সমাধানের জন্য সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় একসময় যারা আমাকে দেখতে পারত না আজ তারাই আমাকে ছাড়া চলতে পারে না এটাই হলো আল্লাহপাকের এক বিধান যে তুমি কোন কিছু চেষ্টা করবা আমি তোমাকে সেখানে পৌঁছাইয়া দিবো আর দুনিয়ার কোন মানুষ যদি তোমাকে দেখতে না পারে আমি আল্লাহ যদি তোমাকে দেখতে পারি পছন্দ করি তো কোন মানুষ তোমার ক্ষতি করতে পারবে না তারই প্রমাণ হয়েছে।
আল্লাহ পাকের অসীম দয়া আল্লাহপাক আমাকে উপরে ওঠার যোগ্যতা নিয়েছে তারা আমার কাজ দেখে আমাকেও প্রমোশন দিয়েছে আমাকে অফিসের বিভিন্ন কাজ করাতো এইজন্য আমার সামান্য বেতন বাড়িয়ে দিয়েছে এইভাবে চলতে ছিল আলহামদুলিল্লাহ এরইমধ্যে আমার পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হয়েছে, তারা আমাকে অতিরিক্ত খাটাতো আমিও নিয়ত করেছি আমিও খাটবো পরিশ্রম আমাকে একদিন উপরে উঠিয়ে নিবে পরের বছর আবার আমাকে প্রমোশন দিয়েছে এইভাবে আমি আস্তে আস্তে উপরে উঠতে শুরু করেছি। আমার সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো আপনারা শুনলে অবাক হবেন যে আমি একজন সামান্য কর্মচারী থেকে আজ অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার পদে ওই অফিসে অবস্থান করতেছি।
আল্লাহ তায়ালা আমাকে একটা সম্মানের স্থান পর্যন্ত পৌঁছায় দিয়েছেন,
চাকরির পাশাপাশি একটা কিছু করার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল কি করবো কি করবো এটা নিয়ে ভাবতেছিলাম শেষমেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছি কাপড়ের ব্যবসা করব কিন্তু কিভাবে করব উঠতে পারতেছি না
এর মধ্যে আমার এক দোস্ত সে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করছে আমি তার সাথে লেগে ছিলাম প্রথমে সে আমাকে বলছে তার ওখানে বেতনভুক্ত কাজ করার জন্য আমি প্রথমে রাজি হয়েছি এরপরে আমি চিন্তা করলাম আমি নিজে করতে পারব তার ওখান থেকে আমি প্রডাক্ট কিনে আমি নিজেই বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতিদিন এক পিস কোন দিন 2 পিস এভাবেই চলে আসছে কিন্তু আমি যে প্রোডাক্ট বিক্রি করছি আমার হয়েছে তা আমি খরচ করে নি এগুলি আমি জমা করে রেখেছি কিছু টাকা হওয়ার পর আমি আমার ওই দোস্ত থেকেই প্রোডাক্ট কিনে শুরু করলাম এর মধ্যেই "নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের "একজন সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন ভাই সাথে আমার পরিচয় ওনার সাথে আমার আগের থেকেই পরিচয় তখন উনি আমাকে বলছেন যে শাফায়েত তুমি এই গ্রুপে যুক্ত এখানে তোমার সেল হবে আমি ওনার কথামতো ১৭ নাম্বার ব্যাচ এড হয়েছে উনি আমাকে বিভিন্ন সহযোগিতা করছেন কিভাবে কাজ করতে হয় কিভাবে কথা বলতে হয় কিভাবে মার্কেটিং করতে হয় বিভিন্ন দিকনির্দেশনা আমাকে দিয়েছেন আজ আমি নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যবসা শুরু করেছি আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন ।
যে ছেলের একদিন ঢাকা শহরে থাকার মতো এক বেলা খাবার তার ছিল না আজ আল্লাহতালা তাকে একটা প্রতিষ্ঠান চালানোর যোগ্যতা দিয়েছেন ।আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন সৎভাবে নিষ্ঠার সাথে আমার এই ব্যবসা পরিচালনা করতে পারি পাশাপাশি আমার দ্বারা আরো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এর জন্য দোয়া করবেন
দোয়া করি ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের জন্য যার নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে আমি আজ নিজের যোগ্যতা উঠতে পেরেছি সবাই স্যারের জন্য দোয়া করবেন
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৯৭
তারিখ- ১১-০৫-২০২২
👉 মো: সাফায়েত হোসেন
👉ব্যাচঃ ১৭
👉রেজিঃ ৮৮০৬৬
👉 জেলাঃ ঢাকা
👉 নিজ জেলা: লক্ষীপুর (নোয়াখালী)
👉বর্তমান অবস্থানঃ শাহজাদপুর (গুলশান জোন)
👉 রক্তের গ্রুপ: এ পজেটিভ
📱📞☎️মোবাইল নং- ০১৭৫৬১৮২৫৬৬
🏅পেজের নামঃ Desh exclusive collection
🏅পেইজ লিংক:https://www.facebook.com/deshcollection4/
🏅ফেসবুক লিংকঃhttps://www.facebook.com/profile.php?id=100010425421467