স্যারের শিক্ষা নিয়ে প্রবাস জীবন ত্যাগ করে দেশে গিয়ে একটি কোম্পানি
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
🥇আমার জীবনের বাস্তবতার গল্প🥇
🧩 সর্বপ্রথম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রতি অশেষ শুকরিয়া যে মহান আল্লাহ আমাদেরকে সুন্দর সুস্থ্য ও সুখে রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ।🧩
✨আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ)এর প্রতি লাখো দুরুদ ও সালাম জানাচ্ছি যিনি সারা বিশ্বের মানবজাতির কল্যাণের দূত হিসেবে পৃথিবীতে এসেছিলেন।✨
🎀 এবং চির কৃতজ্ঞ......
আমার প্রিয় মা বাবার প্রতি, রাব্বি হামহুমা কামা রাব্বায়ানি ছাগিরা মুরুব্বিদের স্মরণ করছি অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। জীবনে আজকের এই গল্প লিখার স্পৃহ যার মাধ্যমে আমার হৃদয়ে জাগ্রত হলো সে ঐ মহান ব্যাক্তি শ্রেষ্ঠ মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান যাকে আমি বলি মানুষ গড়ার কারিগর যিনি বিনা পারিশ্রমিকে লাখো যুবক-যুবতী তরুণ-তরুণী ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের শিখিয়েছেন জীবনে ঘুরে দাঁড়ানোর মহা মন্ত্র অসহায় হতাশা গ্রস্ত মানুষের মাঝে করেছে প্রাণ সঞ্চালন ও বেঁচে থাকার স্বপ্ন দৃঢতা প্রমাণ রেখেছে সেই প্রিয় নেতা জনাব মোহাম্মদ @ Iqbal Bahar Zahid @ স্যারের প্রতি। প্রিয় স্যারের জন্য অন্তরের অন্তস্থল থেকে অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো প্রিয় স্যারের অনুপ্রেরণায় আমি যেন নিজের জীবনে নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরি করতে পারি।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আজ হয়তো আমার জীবনের কষ্টের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করছি একদিন আপনাদের সামনে সফলতার গল্প নিয়ে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।
☣শৈশবকাল ঃ ☣
আমার জন্ম বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রাচীনতম জেলা কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানার বলাখাল গ্রামে একটি মুসলিম পরিবারে। আমি গ্রামের ছেলে ২১শে অক্টোবর ১৯৮৫ ইংরেজিতে আমার জন্ম। পাঁচ ভাই তিন বোন ভাই বোনদের মাঝে আমার অবস্থান দ্বিতীয় নাম্বার আমার বাবা একজন খাঁটি কৃষক ছিলেন।কৃষি কাজ করতেন এবং স্ক্রিম চালাইতেন স্ক্রিম হল ডিজেল চালিত সেলু মেশিন দিয়ে পানি উঠে জমিতে সেচ দিয়ে যে ফসল করে সেই সময়টাকে স্ক্রীম বলে কারণ তখন কোন বৃষ্টি থাকে না।
🎊আমার শিক্ষা জীবনঃ🎊
আমার পাশের গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে লেখাপড়া করতাম ছোটবেলায় আমি লেখাপড়ায় খুব ভালো ছিলাম আমার ভাইবোনেরা সবাই লেখাপড়া করত প্রাইমারিতে আমার রোল নাম্বার ছিল এক । গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে হেঁটে পড়ন্ত বিকেলে খেলাধুলা করতাম আর বাবার সাথে কৃষিকাজ ও স্ক্রীম চালাইতাম এভাবে প্রাইমারি শেষ হয়।
প্রাইমারি পাশ করে হাইস্কুলে ভর্তি হলাম হাই স্কুলে যেতে এক ঘন্টা সময় লাগতো পায়ে হেঁটে যেতাম কাঁচা রাস্তা দিয়ে কোন গাড়ি চলতো না বৃষ্টির মৌসুম হলে খুবই কষ্টকর হতো স্কুলে যেতে। টিফিনের সময় না খেয়ে ক্লাস করতাম টিফিনের টাকা ছিলনা আমরা পাঁচ ভাই তিন বোন পরিবারের সদস্য সংখ্যা ছিল ১০ জন একজন কৃষক বাবার পক্ষে সংসার চালানো অনেক কষ্ট হতো, আমরা দুই ভাই এক বোন এক সাথে লেখাপড়া করতাম। হিমশিম খেতে হতো আর্থিক সংকটের কারণে প্রাইভেট পড়তে পারেনি আবার তখন কার সময় আমাদের কষ্টের দিন ছিলো আমাদের পুরো এলাকা বন্যা প্লাবিত হয়ে সোনালী ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল,দেখা দিয়েছিল সংসারে অভাব-অনটন আমরা তিনজন একসাথে লেখাপড়া করতাম যেহেতু আমাদের সংসারটা পুরোটাই ছিল কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে বাবা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন সংসারের খরচ এদিকে আমাদের লেখাপড়ার খরচ শুধুমাত্র কৃষিকাজের উপর ডিপেন্ড করে। আমাদের পুরো সংসারের খরচ বহন করে একজন কৃষক বাবার পক্ষে খুবই কষ্ট হত যাই হোক এত কষ্টের মাঝেও লেখাপড়া চালিয়ে নিয়েছে, কষ্ট হলে তা বাবাকে বুঝতে দিতাম না। লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবার কাজে সহযোগিতা করতাম এমনি করে ২০০১ সালে S S C পাস করি।
🕹আবার মনের মধ্যে নতুন স্বপ্ন জাগলো কলেজে ভর্তি হবার কলেজে যাওয়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম কোন কলেজে এডমিশন নিব সেটা নিয়ে ও টেনশন ছিল। কারণ ভালো কলেজে এডমিশন নিলে মোটা মোটামুটি টাকার প্রয়োজন, পরে চিন্তা করে উপজেলার মধ্যে এক কলেজে ভর্তি হলাম।প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে বাড়ি থেকে আর্থিক সংকটের কারণে H S C ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়া হয়নি,পরে বাবার সাথে কৃষি কাজ শুরু করলাম। আমাদের বাজারের ঔষধের ফার্মেসিতে চাকরি নিলাম ৫০০ টাকা বেতন এভাবেই চলতে থাকে জীবন।🕹
এক বছর পর, ''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
বাবা আমাদেরকে সবাইকে কাঁদিয়ে আল্লাহর ডাকে সারা দিয়ে চলে গেলেন। সূর্য ডুবে গেলে পৃথিবী অন্ধকার বাবা না থাকলে জীবন অন্ধকার, হারিয়ে ফেলেছি বাবা নামের প্রিয় মানুষটাকে যে সব সময় আমাদেরকে আগলে রাখত বাবাকে অনেক মিস করি। এখন ইচ্ছে করে ও বাবাকে বাবা বলে জড়িয়ে ধরতে পারবোনা, বাবা হারানোর কষ্ট অনেক যন্ত্রণার, বাবা তোমার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। আল্লাহ যেন বাবাকে জান্নাত নসিব করেন আমিন ছুম্মা আমীন। প্রিয় বন্ধুরা আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। বাবার মৃত্যুর এক বছর পর আমি চাকরি ছেড়ে দেই। চাকরি ছেড়ে দিয়ে বেকার হয়ে যাই।
♦৬ মাস পর,,,,;;;;;,,,;;;;;;
পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেয় আমাকে বিয়ে করাতে তাদের কথা রাখতে গিয়ে আমাকে বিবাহ করতে হয়।কারণ আমি বেকার ছেলে এই মুহূর্তে বিয়ে করাটা মোটেও ঠিক ছিল না। ভেবেছিলাম আগে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে তারপর বিয়ে করবো।কিন্তু পরিবারের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নেই এবং বিয়ে করি।বিয়ের সাত-আট মাস ভালোই ছিল আমার মনের দিক থেকে ভালো ছিলনা বিয়ের পর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করতাম। বিয়ের
🌋এক বছর পর শুরু হয় জীবনের সাথে যুদ্ধ।শুরু হয় অশান্তি কারন আমি বেকার, ইনকাম নেই সংসারের সাপোর্ট করতে পারিনা। আমার এলাকায় মাটি কাটা কাজ ছিল আমি এগুলো করতে পারতাম না, এইদিকে বাজার করার টাকা নাই মা বকাবকি করত।আমি দুই দিন যাবত শুধু পানি খেয়ে ছিলাম। ক্ষুধার যন্ত্রণা ছটফট করতো, আমি দুই দিন বাড়িতে আসেনি আমার আম্মা আমার জন্য শুধু ভাত রান্না করে রাখত তরকারি ছাড়া কারন আমার ইনকাম নেই,খাইবা কি শুধু ভাত খেতে পারো আপনারা বলুন তো তরকারি ছাড়া ভাত খাওয়া যায়। যারা ইনকাম করে তরকারি এনেছে তারাই শুধু খাবে আমার মা বলে দেয়, তখন আমার স্ত্রী রাগ করে না খেয়ে বিছানায় শুয়ে থাকে, তখন আমার অনেক কষ্ট লাগতো। তখন মনে হতো কেন বিয়ে করলাম বেকার জীবনে এটা আমার বড় শিক্ষা।
👉( প্রিয় বন্ধুরা আপনারা দয়া করে কেউ বেকার থাকতে বিয়ে করবেন না জীবনে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তারপর বিয়ে করবেন।)
আমার স্ত্রী পেগনেট ডেলিভারি ২০ দিন আগে আমার মা বলে দেয় আমাকে ওর দেখাশোনা করতে পারবে না। আমি টেনশনে পড়ে গেলাম বাধ্য হয়ে ওর বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেই। ডেলিভারি ব্যথার ১০ ঘণ্টা পর শ্বশুরবাড়ি থেকে আমাকে ফোন দিয়ে বলে যাওয়ার জন্য, তখন রমজান মাসের ২৭ তারিখ, মাগরিবের পর আমাদের বাজারের পল্লী ডাক্তার নিয়ে যাই আমার সাথে করে।আমার কাছে মাত্র ৪০০ টাকা ছিল ডাক্তার দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা করে চলে যায়, ২০ মিনিট পর ডেলিভারি হয় ফুটফুটে ছেলে সন্তান। একটু শব্দ করে আর নড়াচড়া করে না পরে আমার স্ত্রী বড় ভাই বাবুটা কে সিএনজি করে হাসপাতালে নিয়ে যায় ইমারজেন্সি ডাক্তার দেখে মৃত ঘোষণা করে। শোনার পর আকাশ-বাতাস ভারী হয়েছিল, আমি চিৎকার করে কান্না করেছিলাম।আর বলেছিলাম আমার টাকা থাকলে ডেলিভারি ব্যথা ওঠার সাথে সাথে হসপিটালে নিয়ে যাইতাম। এই দিনটা আমার দেখতে হতো না বাবার কাঁধে ছেলের লাশ একজন বাবার জন্য এর চেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে বলতে পারেন। হায়রে দুনিয়া হায়রে টাকা পয়সা যদি থাকতো তাহলে হসপিটালে ডেলিভারি করালে আমার ফুটফুটে নিষ্পাপ শিশুটা বেঁচে যেত।
পরম ভালোবাসায় অশ্রুসিক্ত অবস্থায় নিজের বুকের ধন আমার ছেলেটাকে ঐ জায়গায় দাফন করে বুকের ভিতরের কষ্ট টাকে বিশাল আকারে পাথর চাপা দিয়ে, এই দিনই আমি আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে রেখে চলে আসি আমার বাড়িতে। দুই মাস পর স্ত্রীকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। আসার এক সপ্তাহ পরে আমার ফ্যামিলিকে বললাম আমি তো একেবারে নিশ্ব্য, আমার একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে দিলে তো আমার মৃত্যু ছাড়া কোনো রাস্তা নেই। তোমরা আমাকে একটা সিএনজি কিনে দাও নতুবা বিদেশে পাঠিয়ে দাও। ফ্যামিলির কঠিন মানুষগুলো কোনটাতে রাজি হলো না কয়েকজন মানুষ এনে আমাকে ১০ কেজি চাউল, দুই মণ ধান দিয়ে ভিন্ন করে দিল। তখনো কান্না করে বলেছিলাম আমাকে ভিন্ন করে দিও না। আমি তোমাদের সাথে থাকতে চাই, কেউ আমার কথা শুনল না আমি আমার স্ত্রী তাদের উপর বোঝা হয়ে গিয়েছিলাম, বুঝাই তো বেকার মানুষ সবার উপরেই বুঝা, সাগরের মাঝখানে পড়ে গিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছি কেউ একজন যে হাতটা বাড়িয়ে আমাকে সাগরের মাঝখানে থেকে উদ্ধার করবে তেমন কাউকে পাশে পাইনি।তখন অনেক চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম কিভাবে চলবো? কিভাবে কোথায় থেকে শুরু করবো?
শুরু হলো আমার জীবন সংগ্রাম,
বেঁচে থাকতে হলে কর্ম করতে হবে, আমি একা না আমার সাথে আরও একটা জীবন জড়িত তাকেও ভালো রাখার দায়িত্ব আমার।শুরু করে দিলাম টাকার বিনিময়ে শ্রম বিক্রি করার কাজ করতে লাগলাম অন্যদের জমিতে কৃষিকাজ ও অন্যান্য কাজ তার পাশাপাশি ভাগে পাওয়া ২২ শতক জমিতে ধান রোপন করি।এভাবে এক বছর খেয়ে দেয়ে সমান সমান, চিন্তা করলাম এই ভাবে আমি কখনো ভবিষ্যৎ উন্নতি করতে পারব না আমাকে অন্য কিছু ভাবতে হবে।একটি বছর বাড়িতে থাকার পর আমার এক ক্লাসমিট কে বললাম আমার একটা চাকরি খুবই প্রয়োজন, প্রাণ কোম্পানিতে চাকরি করতো সে বলল ঠিক আছে আমি চাকরি দিতে পারবো তুমি আসো আমি গিয়ে প্রাণ কোম্পানিতে জয়েন করি ৩০০০ টাকা বেতন। তিন মাস চাকরি করার পর একা একা মেসে রান্না করে খেতে ভালো লাগেনা আর আমি রান্না করতে জানিনা, আমার স্ত্রীর জন্য আমার মন খারাপ থাকতো তার জন্য মায়া লাগতো।পরে একটা বাসা ভাড়া করে আমার স্ত্রীকে নিয়ে আসি আমার কাছে। আমার স্ত্রী খুবই ভালো সে দুঃখের দিনেও পাশে ছিল কোন আবদার করেনি, তার কোন চাওয়া পাওয়া ছিল না। আমাকে সব সময় সাপোর্ট করতো আমার জন্য সে অনেক দুঃখ কষ্ট সহ্য করেছে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে আমি তার মত স্ত্রী পেয়েছি।
এক বছর পর আমার দুটি মেয়ে পৃথিবীতে আসলো তাদেরকে নিয়ে চলতে খুবই কষ্ট হতো, তাদেরকে দুধ কিনে খাওয়াতে পারতাম না বাড়তি কোনো খাবার খাওয়াতে পারতাম না টাকার অভাবে। আমার দুই মেয়ে যখন বয়স তিন বছর তাদেরকে নিয়ে ঘোড়াশাল বাজারে যাই, ডাক্তার দেখাতে আমার স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর পর আসার পথে একটি জুতার দোকান পরে তখন আমার মেয়ে বলে আম্মু ওই দেখো খুব সুন্দর জুতা কিনে দাও, আমার পকেটে টাকা নাই। তখন আমার মনের মধ্যে কষ্ট লেেগছে, বাবা হয়ে মেয়ের জন্য জুতা কিনতে পারিনা। মেয়ে কে বললাম আম্মু পরে কিনে দিবো, তখন আমার মেয়ে মন খারাপ করে আমরা বাসায় চলে আসি। প্রাণ কোম্পানিতে ৬ বছর চাকরি করি বাসা ভাড়া খাওয়া-দাওয়া সমান-সমান, আমি যে টাকা বেতন পাই। চিন্তা করলাম এভাবে কতদিন চলবে?
সিদ্ধান্ত নিলাম বিদেশে যাব পাসপোর্ট করে ফেললাম, বাড়ির পাশে দালাল আছে বিদেশে লোক পাঠায় তাকে বললাম আমি বিদেশে যেতে চাই তিনি আমাকে আশ্বাস দিলেন।পাসপোর্ট দিলাম সাথে কিছু টাকা দিলাম সে কনফার্ম বলল ১৫ দিনের মধ্যে ফ্লাইট হবে তখন আমি চাকরি ছেড়ে চলে আসি বাড়িতে।আমার বড় ভাই মালয়েশিয়ায় থাকে সে আগে বলছিলো বিদেশে গেলে আমাকে দু লক্ষ টাকা দিবে, বাড়িতে এসে ফ্যামিলির সবার কাছে বললাম বড় ভাইকে ফোন দিয়ে বললাম আমি বিদেশে যেতে চাই। আমাকে কিছু টাকা দিতে হবে সবাই আমার কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, সরাসরি বলে দিয়েছে টাকা দিতে পারব না। কি আর করার সব দিক ভেবে চিন্তে আমার ভাগের ১২ শতাংশ জমি বিক্রি করি। ৪ লক্ষ টাকা ভাইকে বললাম জমি ক্রয় করতে সে বলল আমার কাছে টাকা নেই, জমিটা বোনের নাম দিয়ে আমার থেকে ক্রয় করে আমার বড় ভাই তারপরেও টাকার শর্ট আছে।আরো ২ লক্ষ টাকা ঋণ মাথায় নিয়ে বিদেশে চলে আসি। সৌদি আরবে আসছি পাঁচ বছর কেটে গেল কিন্তু আমি আমার যে ১২ শতক জমি বিক্রি করেছি সেই সমপরিমাণ জমি আমি এখনো ক্রয় করতে পারিনি।
সবাই হয়তো মনে করে বিদেশ মানে টাকার পাহাড় আসলে এই ধারণাটা মানুষের ভুল।প্রবাস জীবন অনেক কষ্টের ভাই, এর মত বালিশটা সাক্ষী কত কত লক্ষ ফোটা চোখের পানি সে শোষণ করেছে।যাই হোক জীবনে শত কষ্ট মেনে নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন মনের ভিতর লালন করছি। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমিও আপনাদের সকলের জন্য দোয়া করছি আল্লাহ যেন আপনাদের সকলের মনের আশা পূরণ করে বলুন আমিন ছুম্মা আমিন।
নিজের বলার মত প্ল্যাটফর্মের সন্ধান ঃ
ফেসবুকে ঘোরাঘুরি করা অবস্থায় হঠাৎ একদিন Utv লাইভে কামরুল হাসান রুবেল ভাইয়ের, জীবনের গল্প বলতেছে আমি গল্পটা সম্পূর্ণ দেখলাম শুনলাম। পরে স্যারের Utv লাইভ থেকে একদিনে পনেরো টি ভিডিও দেখি, দেখে অনেক উৎসাহিত হই পরে এক সপ্তাহ চেষ্টা করার পর রফিকুল ভাই এর পেজ থেকে নাম্বার নিয়ে আমি ফোন দিয়ে বলি ভাই আমি নিজের বলার মত প্লাটফর্মে রেজিস্ট্রেশন করতে চাই।পরে আমাকে লিংক দিয়ে বলে এগুলো পূরণ করে দেন। ১৭ নাম্বার ব্যাচে যুক্ত হতে পেরে আমি আনন্দিত। আলহামদুলিল্লাহ ভালো মানুষ হওয়ার আশায় এসেছি, দোয়া করবেন ভালো মানুষ যেন হতে পারি।
আমার ভবিষ্যতে পরিকল্পনা '''''''''''''''',,,,,,,,,,,
♦♦♦♦♦♦♦♦♦♦
বর্তমানে আমার দুই মেয়ে ও এক ছেলে আছে। আমি আমার ছেলেটাকে কোরআনের হাফেজ পড়াতে চাই দুই মেয়েকে শিক্ষিত করতে চাই ইনশাআল্লাহ। আপনারা সবাই দোয়া করবেন আমার জন্য আমার পরিবারের জন্য সবাই ভাল থাকবেন। আপনাদের সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশন থেকে শিখতে পেরেছি প্রথমে একজন ভালো মানুষ হতে হবে স্যারের শিক্ষা নিয়ে প্রবাস জীবন ত্যাগ করে দেশে গিয়ে একটি কোম্পানি তৈরি করে সমাজ এবং দেশের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান করতে পারি।আমার জন্য দোয়া করবেন এতক্ষণ ধৈর্য ধরে আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে আমার বাস্তব জীবনের গল্পটা কষ্ট করে পড়ার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার লেখায় যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ছোট ভাই হিসাবে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাই কে আপনাদের মূল্যবান সময় নিয়ে আমার গল্পটি পড়ার জন্য।
আবারও কৃতজ্ঞতা প্রিয় স্যারের প্রতি আমাদের কে ভালোবেসে বিনাস্বার্থে চমৎকার প্লাটফর্ম তৈরি করে দেবার জন্য।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৭৯৮
তারিখ - ১৩-০৫-২০২২
✅ নামঃ মোঃ দেলোয়ার হোসেন
✅ ব্যাচঃ নাম্বারঃ ১৭
✅ রেজিস্ট্রেশনঃ ৮৫৩৫৫
✅ উপজেলাঃ ব্রাহ্মণপাড়া
✅ জেলাঃ কুমিল্লা
✅ বর্তমানেঃ সৌদি প্রবাসী
✅সৌদি আরব একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা
✅এসো কোরআন শিখি কাফেলা ছাত্র
✅এগ্রো ফোরাম সদস্য
✅ব্লাড গ্রুপঃ A+
✅ ফেইজবুকঃ https://www.facebook.com/profile.php?id=100022341378198
_______________