ইফতার মাহফিল ইফতার মাহফিল আসুন,,,,, ভালোবাসা বঞ্চিত দের সবাই পাশে বসে ভালোবাসা বিলাই।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ।
ইফতার মাহফিল
ইফতার মাহফিল
আসুন,,,,,
ভালোবাসা বঞ্চিত দের সবাই
পাশে বসে ভালোবাসা বিলাই।
জ্বী হ্যাঁ, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের ব্যানারে , প্রিয় স্যারের অনুপ্রেরণায়, মানবিক বগুড়া জেলা টিমের উদ্যোগে ২৭ শে রমজানের মহিমান্বিত
দিনে, নিজ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন, আপনজনের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত,সন্মানিত অগ্ৰজদের সাথে ই
আজ আমরা বগুড়া জেলা টিম ইফতার করতে এসেছি।
পুরো প্রোগ্ৰামটি, সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ,
সব জেলায় তো ইফতার ও দোয়া হচ্ছে আমাদের বগুড়া জেলা কেন পিছিয়ে থাকবে, আমাদের ও ইফতার মাহফিল করতে হবে,এ ভাবনা থেকে সামিউল সাদিক ভাই বললেন আপু, কি করা যায়,, আমি বললাম ভাই, ইউনিক কিছু করতে চাই, এতিম খানা
বা বৃদ্ধ আশ্রমে কিছু করতে পারলে ভালো লাগতো, উনার ও সেইম ভাবনা,, তারপর খুঁজে বের করতে সক্ষম হলাম বৃদ্ধাশ্রম, ওখানকার পরিচালক সহ মোবাইলে সব খবরাখবর বিস্তারিত জানতে পারলাম, কতজন বয়স্ক মা, বাবা আছেন সব তথ্য।
পুরুষ কতজন, মহিলা কতজন, তাদের কে দেখাশোনা করেন কতজন,সব কিছু মিলিয়ে তাদের জন্য খাবার কি আইটেম হবে, তাদের কে ঈদ উপহার কি কি দিবো
সে সবকিছু প্রতিদিন আমাদের সেশন চর্চা ক্লাসের পরবর্তী তে সবার সাথে শেয়ার করতে থাকি।
আলহামদুলিল্লাহ, সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে
বেশ ,সাড়া পাই এবং যেহেতু সামিউল সাদিক ভাই পুরো রান্নার দায়িত্ব নিয়ে ছিলেন, সাথে আমি ও ছিলাম। সামিউল সাদিক ভাই এর সাথে এনামুল হক ভাই শেরপুরে গিয়ে আগের দিন ই বাজার সেরে ফেলেন, আমি ও এদিকে ব্যানার করা
থেকে শুরু করে সকলের সহযোগিতায় গিফট কেনা,, শাড়ি, লুঙ্গি, ফতুয়া,ওড়না,নামাজী হেজাব, টুপি,তজবি ইত্যাদি সামগ্ৰী ছিল ভালোবাসায় মোড়ানো ব্যাগে।
২৭ শে রমজানের দিন সকাল বেলা বগুড়া শহর থেকে, এশিয়া সুইট মিটের মিষ্টি নিয়ে সোজা চলে তাই, শেরপুরে সামিউল সাদিক ভাই এর বাড়ি, ওখানে গিয়ে সবার সাথে রান্না বান্না করে (সামিউল সাদিক ভাই এর বাড়ির সবাই এতো টাই আন্তরিক যে, মনে ই হয়নি আমি প্রথম ঐ বাড়িতে গিয়েছি,
সবাই অনেক পজিটিভ ও ভালো মনের মানুষ, খালাম্মা,,সারমিন, চাচী, নুসরাত ও সাদিকা।)
বিকেল বেলা চলে আসি 🌹সোনাভান বয়স্ক ও পূর্নবাসন কেন্দ্রে🌹
এসে তাদের সাথে দেখা করে গাঁয়ে হাত বুলিয়ে
ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করলাম,আর আবেগে
আপ্লুত হয়ে যাই, কি যে এক অদ্ভুত অনুভূতি তা লিখে জানাতে পারবো না বোধহয়,,,,,,,,
শেষে প্রিয় স্যার ও প্রিয় ফাউন্ডেশনের সবার এবং আমাদের সকলের জন্য মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে দোয়া চেয়ে মোনাজাতের মধ্যদিয়ে পবিত্র আযানের ধ্বনি তে ইফতার করে,
অসহায় মানুষগুলোর মুখে যখন তৃপ্তির হাসি দেখতে পেলাম, তখন আমার ও সারমিনের (সামিউল সাদিক ভাই এর সহধর্মিণী) সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে গেল।অন্য রকম এক সুখানুভূতি হচ্ছিলো।খাবার খেতে খেতে তাদের কে জিজ্ঞেস করলাম, বাবা, মা, খাবার ভালো হয়েছে তো, তখন তারা বলছিলেন,ও মা তুমি কি দোয়া চাও বলো,,,
তোমরা আমাদের আত্মা শান্তি করে দিয়েছো,,,,
সত্যিই নিজ হাতে রান্না করে খাওয়ানোর মজাই আলাদা, তা-ও যদি হয় সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য,,,,
যে অভাগা সন্তানেরা জান্নাত কে এভাবে দুরে ঠেলে দেয়
তারা যেন তাদের মনুষ্যত্বের বিসর্জন দিলেন,,,,,
আমার অনেক ভালো লেগেছে ওখানকার দায়িত্ব শীল পর্যায়ের প্রত্যেকের অমায়িক বন্ধুবৎসল আচরণে,তাদের সাথে ছবি তোলা,প্রত্যেক বয়জোষ্ঠের রুমে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে, পরিবেশ টি অত্যন্ত ভালো লাগলো।
আমাদের এই মহৎ কাজে যারা অংশগ্রহণ করে অফুরন্ত দোয়া ও সওয়াবের ভাগিদার হয়েছেন,
আমি পর্যায় ক্রমে তাদের নাম গুলো লিপিবদ্ধ করতে চাই,,,,,
মানুষ মানুষের জন্য ও
একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু