বেশি ভালো লাগলো স্যারের ঐ ভিডিও টা যেটায় স্যার বলেছিলো,,,,
🌹 হাসি কান্না দুঃখ কষ্ট জীবনের গল্প 🌹
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
সবার প্রতি আমার সালাম, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
🌹 প্রথমে শুকরিয়া জানাই মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে, যিনি আমাকে সৃষ্টির মধ্যে সেরা আশরাফুল মাকলুকাত হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। এবং এখনো আমাকে সুস্থ ও ভালো রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ।
🤲 আমি চির ঋনি ও চির কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি,আমার মা বাবার প্রতি। যারা আমাকে ভালোবাসা ও মায়া মমতা দিয়ে পৃথিবীতে এনেছেন, বড় করে তুলেছেন। আমি আরও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার মামাদের প্রতি যাদের ছায়ে তলে আমাকে বড় করে তুলেছেন।
🍀 আমি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি, আমাদের সবার প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে হিসেবে এতো সুন্দর একটা পরিবার পেয়েছি। পেয়েছি হাজারো ভালো মানুষ, অসংখ্য ভাই বোন। স্যারের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।
চলে যাচ্ছি গল্পের মূল পর্বে---
🌹আমার জীবনর সুখ দুঃখ মিশ্রিত গল্প 🌹
আমারও আর চারটা পরিবারের মত একটা মধ্যেবিত্ত পরিবারের জন্ম। তবে ওটা বাবার বাড়িতে নয়, আমার নানা বাড়িতে। জন্ম পর থেকে আমি আমার নানা বাড়িতে বড় হয়ে ওঠি।আমার মা খালারা দুই বোন আর দুই ভাই । আমার মা সবার বড় ভাই বোনদের মধ্যে। ছোট খালা বিয়ে হয়ে য়ায় অনেক দূরে। আমার নানু অনেক সময় অসুস্থ থাকতো। সংসারের কোনো কাজ করতে পারতো না। এমন কি ওঠে বসতে ও পারতো না অনেক সময়। এই জন্য আমাদের নানা বাড়িতে স্থায়ীভাবে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আমার বাবার বাড়ি নরসিংদী জেলায়, মনোহরদী থানায়।আমার নানা বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলা পাকুন্দীয়া থানা। সেখানে আমার দিন গুলো ভালো কাটছিলো । আমরা ৩বোন এক বোন অনেক ছোট বেলার মারা য়ায়। আমার জন্মের আগে। বাকি দুই জনের মধ্যে আমি ছোট্ট অনেক আদর দিয়ে বড় করেছেন, আমার নানা বাড়ির সবাই ।দুবোনের মধ্যে আমায় বেশি ভালোবাসতো আমার মামারা।বলতে শুনেছি, আমার নানু মারা যায় যখন আমি অনেক ছোট। তখন আমার মামারা আমায় মা ডাকতো।।
🥰মধুর স্মৃতি 🥰
আমার ছোট মামা বিদেশ যাবে যখন আমার বয়স ৭বছর আমি আমার মামাকে নাম লিখতে শিখাতাম। এখনো মনে আছে আমার।ঐ মামা যখন সৌদি আরব চলে গেলো, তখন আমি মামার জন্য অনেক কান্না করতাম, আর এক সময় খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়ে ছিলাম। পরে আমি অনেক অসুস্থ হয়ে পরি।কারণ মামারাই আমাকে বাবার স্নেহ দিয়ে বড় করছেন।
আমি আমার বাবার থেকে আমার আমার মামাদের অনেক মিস করি।
এমন অনেক গল্পই আছে আমার মামার বাড়ির সবার সাথে।
আল্লাহ তায়ালা তাদের সুস্থ ও ভালো রাখুক দূর থেকে এই দোয়া করি।🤲
👩🏫পড়াশোনা👩🏫
আমার নানা বাড়ির পাশে একটা প্রাইমারী স্কুলে ছিলো। ওখান থেকেই প্রাথমিক পর্যায় পাড় করি। আমি ছাএী হিসেবে তেমন ভালো ছিলাম না, ছোট বেলা থেকেই। মনোযোগ কম ছিল লেখাপড়ায়,তবে রোল নম্বর ১০এর ভিতরে থাকতো, এর বাহিরে না। এই ভাবে প্রইমারী স্কুলের ধাপ শেষ হলো।আমি যখন ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাএী, তখন আমাদের এলাকায় সেলাই শিখানোর একটা প্রশিক্ষণ শুরু হয়। আমি তার মধ্যে নাম রেজিষ্ট্রেশন করি। মা দিতে চায় নাই। একসময় আমি জোর করে কাজ শিখে ফেলি। মা মানা করার পরও, আমি নাছোড়বান্দা ছিলাম।এই দিকে লেখা পড়াও চলত।হাতের কাজের প্রতি আমার অনেক বেশি আগ্রহ ছিলো। এই ভাবে চলছে নবম শ্রেণির পর্যন্ত। অবশেষে,আমার কাজ শিখার আগ্রহ দেখে আমার মা ও তেমন কিচ্ছু বলতো না। এমব্রয়টারি,কুশি কাজ এই শিখি। এভাবে এগিয়ে যায় সামনের দিকে।
👰বিবাহিত জীবন --------
আমার জীবনে এমন অনেক কষ্ট আছে, যে কষ্টের কথা আগে কোনো দিন কারো সাথে বলতে পারিনি । একটা মেয়ে বাবার কাছে রাজকন্যা, আর আমি আমার বাবার আদর কি জিনিস তা কখনো পাইনি ।আমার বাবা আমার মার অবর্তমানে আর একটা সংসার করে। ওনি নিজ বাড়িতেই থাকতো। নানী বাড়ির সবার আদরে থাকার মধ্যেও মনের দিক দিয়ে শান্তি পেতাম না।
খেলতে গেলে ছেলে মেয়েরা বলতো, তুই নানী বাড়িতে থাকিস।তোদের এটা বাড়ি না। এত কথা বলবি না। বিভিন্নভাবে ঝগড়া করতো,আমাকে ছোট করতো,হেয় করার কোনো রাস্তাই ছাড় দিতনা। এত কষ্টের মাঝে এলো বুঝি রাজপুত্র। মনে হলো সব কষ্টের এখানেই অবসান।২০০৮ সালে পরিবারের মতে বিয়ে হয় আমার।ভালোই চলছিলো সংসার জীবন।
বিয়ের পর SSC ২০০৯ সালে।তখন আমি প্রেগনেট ছিলাম।অল্প বয়সেই মাতৃত্বের কারনে,পড়ালেখায় মন বসাতে পারিনি, সংসারের দিকে মনোযোগী হয়ে গেলাম।যার ফল,পরীক্ষায় তেমন ভালো করতে পারিনি। পরীক্ষার শেষের দিকে কোল আলো করে আসে আমার সাত রাজার ধন,কলিজার টুকরা মেয়ে। কিন্তু,পরীক্ষা ভালো হয় নাই বলে মন খারাপ ছিলো সবসময়। আবারও পরীক্ষা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। বাড়ীতে জানালাম, আমি আবারও পরীক্ষা দিতে চাই। আমার স্বামী কোনোমতেই রজি হয়না। তখন আমি আমার নিজের ইচ্ছে গুলো জলাঞ্জলি দিলাম।সংসার, সন্তান নিয়ে নিজেকে ব্যস্ত করে তুললাম।
🥺সংসার ত্যাগ🥺
✈️✈️প্রবাস জীবন✈️✈️
আমার নিজের ইচ্ছে গুলো কবর দিতে দিতে আমি নিরাশ হয়ে পড়ি।মানসিকভাবে অসুস্থও হয়ে পড়ি।
আমার ছোট মামা সৌদি থেকে আমার মার নামে সমস্তা টাকা দিতো। এগুলো মা চেক লিখে দিলে আমি ব্যাংক থেকে ওঠাতাম।এই কথা আমার স্বামী জানতো না।যখন জানতে পারে তখন থেকে বিভিন্ন অজুহাতে কাজ করতে যেতো না,তাল বাহানা শুরু করল।
আমার স্বামী অন্যের গাড়ি চালাতো।। বেশ ভালো ভাবে চলতো আমাদের সংসার।মামার টাকার বিষয়টা জানার পর থেকে শুরু করল , নিজে গাড়ি কিনবে। মাকে যেন জানাই। মা শুনে বলল, তোমার মামার সাথে কথা বলব দেশে আসলে। আমার ভাই সম্মতি দিলে কিনে দিবো।এই টাকা গুলো আমাদের না,ওর আমানত।
বেশ কিছুদিন পর, মামা দেশে আসে ১২বছর পর। আমার বড় মামা বিয়ে করে নাই করবে না। ছোট মামাকে বিয়ে করাবে। বিভিন্ন জায়গায় মেয়ে দেখতেছে বিয়ের জন্য । আর এইদিকে আমার স্বামী গাড়ি কিনবে বলে অস্থির করে ফেলছে। মা শুনে কিন্ত কিছু বলে না,কারণ টাকা তো মামার।মা বেশ কিছু দিন যাওয়ার পর,বুষয় টা মামাম
কে জানাল।মামা বলছে, এখন কোনো গাড়ী কিনে দিবো না। ও আমাদের মেয়ে কেমন রাখে। ওটা আগে দেখো তোমরা। নিজে উপার্জন করে প্রতিষ্ঠিত হোক।আমরা আছি,পরে দেখা যাবে।
মামা বিয়ে করলো , নতুন মামী এই বিষয় শুনে,মামা বিয়ে করলো , নতুন মামী এই বিষয় শুনে, মামাকে টাকা দিতে মানা করে।মার ব্যাংকে কিছু টাকা ছিলো, ওখান থেকে মামাকে না জানিয়ে, আমার স্বামীকে গোপনে টাকা দেয়।
মামা পরবর্তী সময়ে বিষয়টা জেনে যায়।
শুরু হলো সমস্যা মারজীবনে। এক সময় মামা মাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলল। মামীর প্ররোচনায় পরে মামা এমন সিদ্ধান্ত মাকে জানাল।একবারের জন্য ভাবে নাই,এই বড় বোন সারা জীবন তাদের পিছনে সময় দিলো,তাদের আদর স্নেহে বড় করলো। সংসারটাও করেনাই।
সব সময় মা বাবার ছায়া হয়ে থাকতো।ঐ বোন কেই বলল বাড়ি ছাড়তে।
অপমানিত হয়ে মা ওখান থেকে চলে যায়
এক সময় মা আমার এক পরিচিত বাসায় ঢাকা চলে যায়।আর এইদিকে,মার করুণ অবস্থা দেখে আমি সংসারে মন দিতে পারিনা।
মা আমার সংসারে সুখ আনতে আজ পরগাছার মত জীবন পাড় করতেছে।এসব নিয়ে স্বামীর সাথে শুরু হলো ঝগড়া । গাড়ি চালাতেও যায়না, সংসারে অশান্তি।মা নেই কাছে কোথায় যাবো? মামারা তো আমাকে দেখলে ১০ হাত দুর দিয়ে হাটে। এই ভাবে চলতেছে আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি।
সুস্থ হয়ে দেখি মা আমার পাশে। মাকে দেখ মন ভরে গেলো।দুই দিন পর মা চলে গেলে আবার ঢাকা ও একটা বৃদ্ধ মহিলা সেবা করতো। একদিন আমার মার অনেক জ্বর। আমি যেতে চাইলাম আমায় দিলোনা,, আমি আর থাকতে পারলাম না। চলে গেলাম ঢাকা এই প্রথম আমি ঢাকায় গেলাম, জীবনে যাই নাই ঢাকা। সকাল বেলা আমি ঢাকা পৌছলাম আমি আর মেয়ে। ৷
জীবনের প্রথম বার এত সাহস করেছি শুধু মায়ের জন্য। মার কাছে গেলাম, দেখলাম মন ভরে গেলো।আমার এই অনুভুতি প্রকাশ করার ভাষা নাই।ঐ দিন বুঝতে পারলাম আমার মা কতটা অসহায় হয়ে ছিলো।আমার বাবা এখনো আছে, ওনি ওনার ঐ পরিবার নিয়ে ভালো দিন কাটাচ্ছে।আমাদের কখনোই খোঁজ খবর নেয়নি। আমি ঐদিনই চলে আসলাম ঢাকা থেকে,কেন গেলাম, শুরু হলো নতুন অশান্তি মারা মারি গালাগালি অসহ্য যন্ত্রণাআর সইতে পারছিলাম না। মায়ের সাথে কথা বলতে মানা করে আামার স্বামী। আমি এটা আর মানতে পারিনাই।মা বাবার দুজনের স্নেহ মায়া দিয়ে মা আমাকে বড় করেছে। কত কষ্ট করেছে।
একটার পর একটা অশান্তি। মেয়ের বাবা অন্য নারীর সাথে কথা বলে ফোনে আমি দেখেছি। এটা নিয়েও ঝগড়া, গাড়ি চালাতো না ঠিকমত। সংসারে অভাব শুরু হয়। পর পরিবারকে বললেও কোনো সমাধান করতে পারেনা।ওরা ওকে ভয় পায় ঝগড়া করবে বলে কিছু বলে না। এই সময় নিজে সিদ্ধান্ত নিজেই নিলাম। আমি আর ঐ সংসার করবো না।
🎀রেমিট্যান্স যোদ্ধার জীবন বাছাই🎀
মার সাথে কথা বলি লুকিয়ে মানুষের ফোন দিয়ে।বোনের সাথে ও কথা বলি । ওরা ও সহমত দেয়। বাড়ি থেকে চলে আসলাম ঢাকা মা যেখানে আছে ওখানে। মেয়েকে রাখলাম ওর দাদির বাড়ি। এখান থেকে আমার পরিচিত এক ভাবির সাথে কথা বলি বিদেশে কাজ করতে বলি। পরে ঐ ভাবি আমাকে ওনার ম্যাডাম কে বলে ভিসা দেয়। ভীষণ কাছে থেকে দেখেছি মা তখন কত কষ্ট করে। রাতের পর রাত ঘুমাতে পারেনা, বৃদ্ধ মহিলা সারা রাত ঘুমাতে দেয়না। ৩মাস অপেক্ষার পর ভিসা আসলো। পাড়ি দিলাম সুদূর প্রবাস। আর মাকে একটা কথা দিয়েছিলাম, তোমার সব কষ্টের অবসান দিবো। তোমার ছেলে হলে তাই করতো, কোনো চিন্তা করবানা। নামাজ পরে দোয়া করবা আমার জন্য। মাকে আবারও পাঠিয়ে দিলাম নানা বাড়িতে আলাদা ঘর ছিলো ওখানে থাকতে।
প্রবাসে যাওয়ার কিছুদিন পর,আমি খরচ দিতে শুরু করলাম। মা পরে আমার মেয়ে কে নিয়ে আসলো ওনার কাছে। এনে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করে দেয়। মেয়ের বাবা পরবর্তী সংসার নিয়ে ভালো আছে। সন্তানের কোনো খোঁজ খবর নেয় না। লেবাননে আসার পর আমাকে একটা বাসা দেওয়া হয়। ভালো ছিলো সবাই কাজ ও ভালো লাগে একটা বাচ্চা মেয়ে আছে, আমার মেয়ের বয়সী।অনেক সময় ঐ মেয়েকে দেখে কান্না করতাম রাতে যখন মেয়ের কথা মনে পরতো। শুরুতে আমাকে বেতন দিতো মাএ ১২৫ ডলার, টাকা হিসেবে তেমন ভালো না। চলে গেছে এই ভাবে ১বছর ৬মাস। পরে তাদের সংসারের সমস্যার কারনে বলতেছে আমাকে দেশে চলে যেতে। কি করবো বুঝতে পরছিলাম না।,এত টাকা খরচ করে দেশ ছাড়লাম। আমি বলাম আমি বাহিরে কাজ করবো, এই বাসায় থাকবো। তাদের কোনো টাকা দিতে হবেনা। তারা মেনে নিলো। দেশে য়াওয়ার সময় হইছে প্রায় ৪ বছর হয়ে গেছে।দেশে যাওয়ার আগে মা মেয়েকে নিয়ে আসলাম আমার বাবার এলাকায়। ওখানে বাসা ভাড়া নিলাম।এটার কারন আছে, বাচ্চার বাবা বলে আমাকে বাঁচতে দিবেনা, ভয় দেখায়। আর মামারা তো কথা বলে না কি করবো চলে আসলাম ঐখানে। দেশে চলে গেলাম কিন্তু কোনো শান্তি নাই। অন্যের বাসায় ভাড়া থাকি। মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলাম আর একবার যদি দেশে যাই, তো নিজের জায়গায় যাবো। যদি আল্লাহ তৌফিক দেন। সবাই দোয়া করবেন এখনআমি কষ্ট করে নিজের একটা জায়গা কিনেছি। আমার স্বপ্ন সত্যি করতে পেরেছি। মার কষ্ট কিছু টা হলেও কমাতে পেরেছি।এখন আমি বুঝতে পেরেছি যে সব সময় পর নির্ভর থাকা ঠিক না। ভয় কে জয় করতে হবে সাহস করতে হবে।
আমার সাহস আমার বদলে য়াওয়া সব আমার মায়ের কাছ থেকে পাওয়া।আল্লাহ তায়ালা আমার মাকে নেক হায়াত দান করুন। সবাই আমার মার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেনো আমার মাকে শেষ দিন পর্যন্ত সেবা করতে পারি। আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন যেনো ভালো মনের মানুষ হয়ে গড়ে তুলতে পারি।
🍀নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন যুক্ত হওয়া🍀
আমি সব সময় কাজের ফাঁকে ফাঁকে ইউটিউবে বিভিন্ন গান গজল কবিতা শুনতাম একদিন হঠাৎ করে স্যারের ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারলাম। আমি অনেক গুলো ভিডিও দেখলাম আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো স্যারের ঐ ভিডিও টা যেটায় স্যার বলেছিলো। সপ্ন দেখুন,
সাহস করুন, লেগে থাকুন,
সফল্য আসবে ইনশাআল্লাহ।
এর পর থেকে অনেক ভিডিও দেখেচি। আমি যে ভিডিও টা দেখে মনে হলো আমিও কি করতে চাই সেইটা হলো আমাদের নরসিংদী জেলার আপু তাজরীন চৌধুরী চম্পা আপুর ভিডিও। আমার মনে দুরসাহস ভাসা বাদলো যেভাবে হোক না কেনো আমায় এড হতে হবে।আমি ভিডিওতে কমেন্ট করলাম কিভাবে জয়েন্ট হতে পারি। আমারে ঐ খান থেকে রিপ্লে আসলো আপনে নিজের বলার মতো একটি গল্প লিখে চার্জ দেন ফেসবুকে আমি তাই করলাম। এড হলাম মেন গুরুপে। একটা পোষ্ট কমেন্ট করলাম কিভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে তখনি একটা ভাইয়া বললো আমি আপনাকে সাহায্য করচি।ভাইয়া টা হলো Mohammad Hanif ভাইয়া।ওনি আমাকে নেবালন ও নরসিংদী জেলা মেচেনজার গুরুপে যুক্ত করে দিয়েচেন।ভাইয়াকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার মধ্যে একটা সাহস কাজ করে আগে কিছু একটা করতে অনেক ভয় পেতাম এখন আর হয় না।আমার ভিতর লুকিয়ে থাকা আমিটা কে আমি খোঁজ পেয়েচি।এই সব কিছু এক মাএ অবদান আমার নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন। আমার পরিবার। আমি সাহস পেয়েচি নিজের গল্প লিখতে।সাহস পেয়েচি নিজের জন্য ওকাচের মানুষের জন্য কিছু করতে।পরের জন্য কিছু করলে জীবিকার অভাব হয়না। প্রবাস জীবন ত্যাগ করে ছোট উদ্দ্যোকতা হতে চাই।
❣️কৃতজ্ঞতা প্রকাশ❣️
আমি চির কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাদের আইডল সবার প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে।
নরসিংদী জেলার কোর ভলান্টিয়ার সাব্বির ভূইয়া, সুমন ভূইয়া, ফেরদৌস আহমেদ খন্দকার, ফেরদৌস আহমেদ, সবার প্রিয় মডারেটর মোস্তাক আহমেদ মৃধা ভাইয়াসহ সকল আজীবন সদস্য ভাইবোনদের প্রতি।
যার কারনে আমি আজকে আমি আমার জীবনের গল্প লেখতে সাহস পেরেছি।আপনাদের অনুপ্রেরণা আমার শক্তি।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার জীবনের গল্পটা টা আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে পড়ার জন্য। সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮০৭
তারিখ ২৮-০৫-২০২২
🌹জিনিয়া আক্তার জুমা
🌹ব্যাচ----১৭
🌹 রেজিষ্ট্রেশন ---৮২৬২২
🌹 নিজ জেলা নরসিংদী
🌹 বর্তমানে আচি N. R.B.নেবালন
🌹এসো কোরআন শিক্ষা কাফেলা সদস্য