সংসারের পাশাপাশি কিছু মানবিক কাজ করতে পারব এটাই আমার স্বপ্ন।
-------------------------জীবনের গল্প------------------
🌹সকল ভাই ও বোন দের কে পড়ার অনুরোধ রইল🌹
----------🇧🇩বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম🇧🇩-----------
❇️আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ❇️
🌻প্রথমে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে আমাকে মুসলিম হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। এবং এই পৃথিবীতে সুস্ত ও নিরাপদ রেখেছেন এবং অফুরন্ত নিয়ামত আমাদের কে দান করেছেন। 🌻
🌻আমি অগনিত দরুদ ও সালাম প্রেরণ করছি সেই। সর্বকালের সেরা মানব এর প্রতি জাকে সৃষ্টি না করলে এই আসমান জমিন কুল-কাইনাত কিছুই সৃষ্টি হতো না। মানবতার প্রতিক মানবতার শিক্ষক দয়ার নবী মায়ার নবী।হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর প্রতি
🌹আমি চিররিনি ও কৃতজ্ঞ আমার মা বাবার প্রতি যারা আমাকে ভালোবাসা ও মায়া মমতা দিয়ে বড় করে তুলেছেন৷ যাদের ছায়া তলে কাটিয়ে দিয়েছি জীবনের অনেক গুলো বছর 🌹
❇️এবং আমি আরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় মেন্টর আমাদের সকলের প্রিয় শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি যিনি এতো সুন্দর একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন আমাদের জন্য স্যারের দুনিয়া আখেরাতের কল্যাণ কামনা করছি। সেই সাথে অনেক অনেক দোয়া ও ভালবাসা স্যারের জন্য❇️
☘️আজকে আমি আমার জীবনের কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। জার অনুপ্রেরণা এবং সাহস পেয়েছি আমি আমাদের সবার প্রিয় স্যার জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর কাছথেকে ☘️
☘️☘️☘️☘️☘️আমার জীবনের গল্প ☘️☘️☘️☘️☘️
🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩
আমার জন্মস্থান চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা
থানায়,একটা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের আমার জন্ম, আমার ছোট বেলা গ্রামেই কেটেছে। আমরা দুই ভাই আর এক বোন আর বাবা মা মোট পাচ জনের সংসার আমার ছেলে বেলা খুব একটা ভালো ছিলো না মুটামুটি কষ্টে কেটেছে।বাবার রোজগারেই সংসার চলত, আর টুকটাক চাশ আবাদ করত পাশাপাশি।কিন্তু চাশে বেশির ভাগ সময় লস হতো, সেজন্যে বাবার একলা রোজগারে সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হতো, আমি অনেক ছোট ছিলাম তাই কিছুই করতে পারতাম না
🌹🌹🌹🌹আমার ছোট বেলা 🌹🌹🌹🌹
অনেক ছোট বেলা থেকে আমি আমার দাদির কাছে থাকতাম,আমি আমার দাদাকে দেখিনি আমার জন্মের আগে আমার দাদা মারা যায়। আর তাই দাদি একা থাকতো বলে আমি দাদির কাছে থাকতাম।দাদির কাছেই বড় হয়েছি।দাদির কাছে শুনেছি আমি নাকি একদম ছোট্ট বেলায় দেয়াল চাপা পড়ে ছিলাম, আল্লাহর রহমতে আমার কোন ক্ষতি হয়নি তখন।
ছোট বেলায় আমি খুবই লাজুক নম্র ভদ্র সহজ সরল ছিলাম। যে যা বলতো তাই শুনতাম যে হুকুম করতো সেটাই শুনতাম। সে জন্য সবাই আমাকে পছন্দ করতো। আমি সব সময় খুব কম কথা বলতাম এখনো কথা কম বলি। এবং সব সময় সব মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করতাম। আর সবার সাথে মিশতাম এবং সেটা এখনো করি। আমার মনে হয় না যে আমি কোন দিন কারো সাথে মারা মারি করেছি।।আর খেলা ধুলা খুবই পছন্দ করতাম, ক্রিকেট আমার প্রিয় খেলা,
☘️☘️☘️☘️আমার লেখা পড়া☘️☘️☘️☘️
ভাগ্যদোশে আমার লেখা পড়া হয় নি। সংসারের অভাব অনটনের জন্য আমি আর লেখা পড়া করতে পারিনি লেখা পড়ায় আমি খুব একটা ভালো ছিলাম না। আর সংসারের অভাবের কারণে প্রাইভেট পড়তে পারিনি কোন দিন।পড়া না করে স্কুলে গেলে ম্যাডাম মারতো। আর ম্যাডামের হাতে মার খাওয়ার ভয়ে স্কুলে না গেলে বাবা মারতো। এক দিন আমি স্কুলে জাইনি। বাবার মারির ভয়ে বাড়িতেও জাইনি সারা দিন। সন্ধ্যার সময় দোকানে দাড়িয়ে ছিলাম। আমার বাবা আমাকে পিছন থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে অনেক মারছিলো আমি অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম।সেই দিনের কথা আমি এখনো ভুলিনি কোনো দিন ভুলবোও না। সেদিন আমি ভেবেছিলাম মরে যাবো জ্ঞান ফিরার পরে উঠে দৌড় দিয়েছিলাম মাঠের দিকে আমি জানতাম বেগুনের খেতে গেলে বিষ পাওয়া যাবে আজকে আমি মরে যাবো। কিন্তু আমার দাদি আমাকে সেখান থেকে ফিরিয়ে এনেছিলো। আমি বাবার হাতে খুব মার খেয়েছি জীবনে।
( আমি আপনাদের সবার উদ্দেশ্যে বলছি, আপনারা জমিতে বা খেতে যে সব বিষ ব্যাবহার করেন সেগুলো সব সময় মাটির নিচে পুতে রাখবেন যাতে অন্য কেউ খুঁজে না পায়।)(এবং আরও কিছু কথা বলি, আপনাদের ছেলে মেয়ে দের সাথে সব সময় ভালো ব্যবহার করবেন বন্ধু সুলভ আচরন করবেন। তাদের সুবিধা অসুবিধা গুলো জিজ্ঞেস করবেন। অকারণে মার ধোর করবেন না, তাহলে হয়তো আমার মতো অবস্থা হতে পারে) এই কথা গুলো এজন্য বললাম সেদিন আমি যদি মরে যেতাম তাহলে আজ আমি আপনাদের মাঝে থাকতাম না আপনারা কেউ আমাকে চিনতেন না আর আজ এই গল্প লেখা হতো না।আসলে প্রতিটা বাবা মা চাই তার ছেলে মেয়ে লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হোক।তবে সেটা মেরে বা গালি দিয়ে নাই, ভালোবেসে। এবং তার সাধারনত যে জিনিস গুলো প্রয়োজন একটু কষ্ট করে হলেও দেওয়ার জন্য চেষ্টা করবেন। যাইহোক
এভাবে কিছু দিন চলতে থাকলো। তার পর আমার আর স্কুলে যাওয়া হয় নি। আমাদের গ্রামের মানুষ সচর আচার যা করে থাকে। স্কুলে জাবি না কাজে লাগিয়ে দেয়।প্রাইমারির গোন্ডি না পেরোতেই শুরু হয়ে গেলো আমার কর্ম জীবন, সংসারের হাল ধরা।
🍀🍀🍀🍀আমার কর্ম জীবন ☘️☘️☘️☘️
⚒️⚒️আমি অনেক ধরনের কাজ করেছি জীবনে। তার ভেতর বেশির ভাগ করেছি রাজমিস্ত্রী কাজ। রডের কাজ কার্বেন্ডার এর কাজ। মানুষের খেতেও কাজ কিরেছি আমি। তখন অনেক ছোট ছিলাম আর ছোট দেখে আমাকে কেউ সাথে নিতে চাইত না। এক দিন নিলে আর একদিন নিতো না। এ জন্য অনেক বকা ঝকা গালি গালাজ করতো। সব কিছু মাথা নিচু করে চোখ বুঝে সহ্য করেছি। কখনো কোনো প্রতি বাদ করিনি বাবা মা যেভাবে বলেছে সেভাবে চলেছি যা করতে বলেছে তাই করেছি। এমন কথা শুনতে হয়েছে যে কাজ না করলে ভাত পাবিনা।একটা সময় আমার আর বাড়িতে থাকতে ভালো লাগে না, সবসময় বকাবকি করে, তখন আমি বিভিন্ন জাগায় গিয়ে, মানুষের বাড়িতে থেকে কাজ করতাম, কারণ বকাবকি শুনতে আর ভালো লাগতো না আমার,অনেক অবহেলিত একজন মানুষ আমি সংসারে।অনেক কষ্ট করেছি জীবনে এখনো কষ্ট করছি কিন্তু ভাগ্য ফেরাতে পারিনি। বারবার হেরে যেতে হয়েছে ভাগ্যের কাছে ।আমার এই ছোট্ট জীবনে যা করেছি সব বাবা মায়ের জন্য করেছি নিজের বলতে কিচ্ছু নেই।আল্লাহর দেওয়া হাত আর পা ছাড়া,জীবন যুদ্ধের আমি একটা পরাজিত সৈনিক।আমাকে কেউ কোন দিন মাথায় হাত রেখে বলেনি যে তুই এই কাজটা কর তুই পারবি তোর উপর আমার বিশ্বাস আছে। এই ভালোবাসা টা আমাকে কোনদিন দেয়নি কেউ।এই ভালবাসা টা এই বিশ্বাস টা একটা মানুষের জীবনে খুব দরকার তার সফলতার জন্য,যাইহোক, আলহামদুলিল্লাহ এতো কষ্টের মাঝেও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি আমি,
তবে আমি কখনো হাল ছেড়ে দেয়নি। অনেক লাঞ্চনা গঞ্জনা সজ্য করেছি জীবনে তাতে কি হয়েছে মনটাকে সক্ত করেছি, আমার গন্তব্য আমার স্বপ্ন ঠিক রেখে কাজ করছি।আমাকে পারতেই হবে এই কথা টা মনের ভেতর গেথে রেখেছি। আর চেষ্টা করছি ভাগ্য ফেরানোর এমন আরও অনেক কষ্টের কথা আছে আমার জীবনে যা লিখে শেষ করা যাবে না ⚒️⚒️
🌹🌹🌹🌹🌹আমার প্রবাস জীবন 🌹🌹🌹🌹🌹
👉আমার কখনো ইচ্ছা ছিল না যে আমি বিদেশে যাবো
কিন্তু বাবা মায়ের সপ্ন পুরন করতে সংসার টাকে একটু গুছানোর জন্য একটু স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য আমাকে দেশ ছেড়ে বিদেশ যেতে হয়।2013সালে আমি ওমানে চলে আসি।বিদেশ আসার আগে আমার একটা মেয়ের সঙ্গে রিলেশন ছিল।তার সাথে আমি বিয়ে পড়িয়ে রেখেছিলাম সেটা সবার সম্মতিতেই হয়।এবার শুরু হয় আমার প্রবাস জীবন। সেখানে একটা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি তে আমাকে কাজ দেয়।মাসে বিষ হাজার টাকা বেতনের চুক্তি করে। যেহেতু ওমানের বেতন অনেক কম ছিল। সেই হিসেবে আমার কাছে এটাই বেশি। কিন্তু থাকার জাগার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল ফাঁকা মরুভূমিতে ব্লকের ঘর বানিয়ে উপরে ফ্লাইবোর্ড দিয়ে সেখানে থাকতে হতো মশার কামড়ে ঘুমাতে পারতাম না ঠিকমতো।যায় হোক তার পরে কাজ শুরু করি কিন্তু বেতন পাইনা এক মাস দুই মাস চার মাস পার হয়ে যায় কিন্তু বেতন পাইনা।এদিকে বাড়ি থেকে তো শুরু হয়ে গেছে নানান রকম কথা আমি টাকা পাঠাই না বাড়ি তে সব টাকা নষ্ট করি আর বৌকে দিই।কোনকিছু বিশ্বাস করতে চাই না জাকে বলে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা অবশেষে চার মাস পর আমাকে কিছু টাকা দেয়। আমি বাড়িতে টাকা পাঠাই। এতো দিন পরে অল্প কিছু টাকা দিয়েছি। রিঅ্যাকশন ছিল অন্যরকম ।আসলে আমরা প্রবাসীরা পরিবারের জন্য যতই কষ্ট করি কোন নাম নেই, পরবর্তীতে বলে তুই তো কিছুই করিসনি আমাদের জন্য, যাইহোক
সেখান থেকে কাজ ছেড়ে অন্য আর একটা কোম্পানি তে কাজে লাগিয়ে দেয় আমার স্পনসার। কারণ আমি নতুন গেছি কাউকেই চিনিনা ভাষাও জানিনা। তো এখানে কিছু দিন কাজ করি এখানেও একই অবস্থা টাকা দেয় না।প্রায় এক থেকে দেড় বছর বিনা বেতনে কাজ করছি অনেক টাকা মেরে খেয়েছে মানুষ আমার।ভাবলাম এভাবে আর কতো দিন বাড়িতে ফিরে আসার জন্য চেষ্টা করেছি কিন্তু পারিনি। বিদেশ যাওয়া যত কঠিন বাড়ি ফিরে আসা তার চেয়েও বেশি কঠিন। কি আর করব অস্তে আস্তে মানুষের সাথে পরিচিত হতে থাকলাম কিছু বন্ধু ও হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। এখান থেকে একজন একটা দুকানে ডেলিভারি বয়ের কাজ করতো। এবং একটা ড্রাইভার ছিল জনি ভাই জার গাড়ি তে আমরা বাজার করতে যেতাম। তাদের কে বললাম আমার জন্য একটা দোকানের কাজ দেখার জন্য। অনেক খুজা খুজি করে কিছু দিন পরে একটা সুপার সপে সেলস ম্যানের কাজ পেলাম। চেষ্টা করলে সব কিছু সম্ভব।কিছু মানুষ আছে তাদেরকে ভুলা যাইনা কখনো,তার মধ্যে জনি ভাই অন্যতম। আসলে মানুষ তার ভালো কাজের মধ্যে বেচে থাকে সারাজীবন, যাইহোক,এই সপে আমি তিন বছর কাজ করেছি।এর ভেতর আরও অনেক দুঃখ কষ্ট তো ছিলোই।এমনও দিন গেছে খাবার টাকা নাই না খেয়েই কাজ করতে হয়েছে। যাহোক 2017সালে আমি একবার বাড়িতে আসি। তিন মাস থেকে আবার ফিরে আসি সেই সপে। কিছু দিন পরে একটা বন্ধুর কাছে শুনি ইউরোপ জাওয়া কথা মাথায় চাপলো ইউরোপের ভুত শেষ হলো আমার ওমানের জীবন। 👈
👉শুরু হলো নতুন মিশন ইউরোপ যাত্রা।আর এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল সিদ্ধান্ত, জেটা আমার জীবন কে ছন্নছাড়া করে দিয়েছে,জীবনে,একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার যেটা আমি কোন দিন ভুলতে পারবনা,যে এই রোডে না এসেছে সে কখনো বুঝবেনা আমি শটকার্ট করে বলছি স্প্রিট বোডে ওমান থেকে সাগর পথে প্রথমে ইরান। ইরান থেকে পাহাড় পাড়ি দিয়ে তুর্কী। আর রাস্তার কষ্টের কথা লিখে বোঝানো সম্ভব না রাস্তায় দশ দিন পনেরো দিন খেয়ে না খেয়ে কেটেছে কখনো ২টা বিস্কুট একটু পানি খেয়ে কেটেছে দিন, আগে যদি জানতাম তাহলে কোন দিন আসতাম না এই রাস্তায়,অনেকে আছে অবৈধ পথে ইউরোপ যেতে চাই অনুরোধ করে বলছি এই পথে কখনো আসবেন না অনেক মানুষ সাগরে ডুবে পাহাড় থেকে পড়ে বরফে আটকে মার যায়,তাদের দেহ যাইহোক।
এই পথে এসে অনেক কিছু হারিয়েছি আমি ।ইউরোপ তো যেতে পারিনি তুর্কী এসে আটকে গেছি। এখানে এসে অনেক কষ্ট করেছি মানুষের অনেক কথা শুনতে হয়েছে আমাকে, বাবা মা,পাড়া প্রতিবেশী সহ আরও অনেকের,কিছু দিনাই জড়িয়ে গেছিলাম,চারিদিকের টেনশনে একটা সময় পাগলের মতো হয়ে গেছিলাম,না পেরে সুইসাইড করতে গেছি কয়েক বার কিন্তু পারিনি, কারণ মরতে হলেও সাহস লাগে আর সেটাও আমার ছিল না।যায়হোক নিজেকে একটু শক্ত করলাম। মনটাকে বললাম আমাকে কিছু একটা করতে হবে,এর মধ্যে 2018সালের জানুয়ারি মাসে আমাদের ছেলে সন্তান হয়,আলহামদুলিল্লাহ আমার এমন সময় গেছে ছেলের জন্য এক কোটা দুধও কিনে দিতে পারিনি,যাইহোক।আমার ছেলের বয়স এখন চার বছর চার মাস । এখনো পর্যন্ত আমি আমার ছেলেকে একটু কোলে নিয়ে আদর করতে পারিনি শুধু ফোনে দেখেছি আর কথা বলেছি, আপনারা আমার ছেলের জন্য দুয়া করবেন।
আমি আবার সবকিছু নতুন করে শুরু করলাম। একটা বেল্টের দোকানে কাজ শুরু করি প্রথমে, বেতন একটু কম ছিল। সেখান থেকে, অন্য আর একটা দোকানে চলে যায়, সেখানে এক বছর কাজ করার পর, চলে আসে করোনা বন্ধ হয়ে যায় কাজ। লকডাউন চলছে চারিদিকে, সে কথা আপনারা সবাই জানেন৪-৫মাস বসে থাকার পরে হাতে যা টাকা ছিলো সব শেষ আবার সমস্যাই পড়ে যায়,আগে যেখানে কাজ করতাম করোনার জন্য সেখানে আর কাজ নেই, কি করব বুঝতে পারছি না,আবার কাজ খুজলাম অন্য আর একটা দোকানে কাজ ঠিক করলাম।আলহামদুলিল্লাহ এখন সেখানেই কাজ করছি, আল্লাহর রহমতে ভালো আছি,। আমার জন্য দুয়া করবেন
🌹🌹🌹🌹🌹আমার মন্দ দিক🌹🌹🌹🌹🌹
👉প্রথমে আমি খুবই রাগী অল্পতেই রেগে যায় খুব সহজে মানুষ কে বিশ্বাস করে ফেলি।সেজন্য অনেক ধোকাও খাই মানুষের কাছে থেকে,খুব আবেগি একজন মানুষ আমি 👈
👉আর আমি সবার সাথে ভালো ব্যবহার করি সবাইকে সম্মান করি ছোট দেরকে স্নেহ করি সবার সাথে সহজেই মিসে যায় সিগারেট খায়না মিথ্যা কথা একদম পছন্দ করি না কথা দিয়ে কথা রাখি যে কোনো মুল্যে এবং মানুষের উপগার করতে খুবই ভালো লাগে আমার।
👉প্রিয় প্লাটফর্ম এ যে ভাবে যুক্ত হলাম 👈
👉কাজ শেষে ফ্রী সময় যখন বসে থাকি তখন ইউটিউব দেখি আমি সব সময় মোটিভেশনাল ভিডিও গুলো দেখি। এভাবে utv live এর একটা ভিডিও সেশন আমার সামনে পড়ে, স্যার এর কথা গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে এরপর অনেক ভিডিও দেখেছি আমি স্যার এর।ফেজবুক গ্রুপ সম্পর্কে আমার তেমন ধারণা ছিল না। স্যার এর একটা ভিডিও তে বলতে শুনি যে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের ফেজবুকে সার্চ দিলেই আসবে। এবং আমি খুবই আগ্রহী হই আমার ফেজবুক আইডি ছিলো না আমি একটা নতুন আইডি খুলি এবং সার্চ দেই এবং ফলো করি। রেজিষ্ট্রেশন সম্পর্কে কিছুই জানতাম না একটা পোস্ট দেখলাম জারা এখনো রেজিষ্ট্রেশন করেননি রেজিষ্ট্রেশন করেনিন। রেজিষ্ট্রেশন কিভাবে করতে হয় জানতাম না। ইউটিউবে গেলাম সার্চ করলাম একটা ভিডিও পেলাম সেখানে একটা ওয়েবসাইট পেলাম সেখানে ঢুকলাম এবং। অনেক ধন্যবাদ sujon kar ভাইয়া কে উনার সহযোগিতায় আমি রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করি।👈
☘️☘️☘️☘️গ্রুপ থেকে আমার পাওয়া ☘️☘️☘️☘️
☘️আমার জীবনে সফলতা বলে কিছু নেই। যেখানে গেছি শুধু ঠকেছি অনেক জাগায় অনেক মানুষের সাথে চলেছি আমি। অনেক ভালো মানুষের সাথে দেখা হয়েছে আমার,আবার দেখেছি অনেক খারাপ মানুষেও
এই গ্রুপে আমি পেয়েছি একজন অভিভাবক একজন শিক্ষক। জিনি কোনরকম স্বার্থ ছাড়া আমাদের জন্য আমাদের দেশের মানুষের জন্য তার অতি মুল্যবান সময় দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।বেকার সমস্যা দূর করার জন্য।আরও পেয়েছি লাখো ভাই বোন জারা সবাই ভালো মানুষ এবং পজিটিভ চিন্তা করে সব সময়। এবং প্রতি দিন সেশন চর্চা ক্লাস ও কথা বলার জড়তা কাটানোর ভিডিও এর মাধ্যমে, কথা বলার জড়তা কাটানোর সুযোগ,এখন আমি সবার সাথে অনায়াসে কথা বলতে পারি। ভালবাসার প্লাটফর্ম এ এবং সকল ভালো মানুষ দের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। 🌹
আমার স্বপ্ন বিদেশ থেকে দেশে ফিরে একটা ব্যবসা করার যেটা দিয়ে সংসারের পাশাপাশি কিছু মানবিক কাজ করতে পারব এটাই আমার স্বপ্ন।
ইতিমধ্যে আমি একটা ফেজবুক পেজ খুলেছি, এবং কাজ শুরু করেছি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
👉আমার লেখার মধ্যে হয়তো অনেক ভুল ভ্রান্তি হয়েছে সবাই ক্ষমা সুন্দর দিষ্টি তে দেখবেন👈
🌹পরিশেষে আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আপনাদের সবার প্রতি এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে আপনার মুল্যবান সময় দিয়ে আমার এই অগোছালো লেখা গুলো পড়ার জন্য। অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল সবার প্রতি সবাই ভালো থাকবেন
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮০৮
তারিখ ২৯-০৫-২০২২ ইং
নাম ঃ রিপন হোসাইন
ব্যাচ নাংঃ ১৭
রেজিষ্ট্রেশন নাং ঃ ৮৯৬৬৬
জেলাঃ চুয়াডাঙ্গা
থানা ঃ দামুড়হুদা
বর্তমান অবস্থান তুর্কী ইস্তানবুল
❤নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের আমি একজন গর্ভিত আজীবন সদস্য
আমি কাজ করছি পাঞ্জাবী থ্রি পিচ ৪পিচ, শাড়ি নিয়ে
আমার পেজ লিংক
https://www.facebook.com/ichchhapuronbd/