আপনাদের উছিলায় বিকশিত হবে। আর আমি হবো একজন সফল মানুষ।
জীবনের গল্প,,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো,,,,,,,,,,,,,,,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ
সকল প্রসংশা সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি যিনি আমাকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করেছেন ও সুস্থ রেখেছেন।
দুরুদ ও সালাম প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) প্রতি। যিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন সমস্ত মানবজাতির মুক্তি ও কল্যাণের দূত হিসেবে।
শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি প্রিয় বাবা-মাকে। যাদের উছিলায় সুন্দর এই পৃথিবীতে এসেছি। বড় হয়েছি তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায়। যাদের ঋণ কখনো শোধ হবার নয়।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা পেয়েছি এই ভালবাসার প্লাটফর্ম । যিনি আমাদের শিক্ষক, মোটিভেশনাল স্পিকার, লক্ষ তরুণ-তরণীর হৃদয়ের স্পন্দন, পথহারা বেকারদের পথের দিশারি।
আমাদের সবার অভিভাবক প্রিয় মেন্টর
জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। স্যার এর প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই,, যতই বলি শেষ হবে না কি অসাধারণ মেন্টালিটি আর ধৈর্য থাকলে একটা মানুষ এত গুলো মানুষের দায়িত্ব নিতে পারেন, তাদের ভবিষৎ জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দিকনির্দেশনা দিতে পারেন স্যার কে না দেখলে বুঝতামই না। শুধু মাএ দিকনির্দেশনা নয়, স্যার সার্বিক ভাবে আমাদেরকে দক্ষ করে তুলতে দিনরাত সার্বক্ষনিক কাজ করে যাচ্ছেন। আমি সত্যি খুব ভাগ্যবান এমন মহৎ এবং দয়ালু মানুষের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পেয়েছি বলে এবং পেয়েছি অগনিত ভাই ও বোন ।
আমার পরিচয়ঃ আমি ছায়েদুল হক লিটন, গ্রাম পূর্ব অম্বরনগর, উপজেলা সোনাইমুড়ী, জেলা নোয়াখালী, আমার বাবার নাম হাজী নুরুল হক সওদাগর, বাবা একজন হোটেল (রেস্টুরেন্ট) ব্যাবসায়ী ছিলেন চট্রগ্রামে, নিমতলা, বন্দর , ১ বছর আগে মারা গিয়েছেন। মা আছেন। আমি বাবা মায়ের খুব বক্ত, মা এখন ও আমার কাছে আছেন, ঢাকায়। আমরা ৭ ভাই বোন আমি ভাইদের মধ্যে বড়, আমরা ৪ ভাই ৩ বোন। ৩ ভাই ১ বোন পাশা পাশি থাকি।
আমার শিক্ষা জীবনঃ আমার শিক্ষা জীবন নোয়াখালীর, পূর্ব অম্বরনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হলে ও ২ শ্রেনীতে পাঠ শেষে বাবার ব্যাবসার জায়গায় চট্রগ্রাম বন্দর নিমতলা মুকবুলিয়া সরকারী বিদ্যালয় থেকে ৫ শ্রেনী প্রাথমিক বিদ্যালয় পাঠ শেষ করে আবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কাজিরহাট শহীদ আমান উল্যা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি হয়ে সেখানে ১৯৯৩ সালে এস এস সি পাশ করি। ৯৩ সালে সেনবাগ কলেজে ভতি হয়ে ৯৫ সালে পাশ আবার বেগমগঞ্জের চৌমুহনী সরকারী কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করি। পড়া শেষে বাবার কর্ম স্থলে চট্রগ্রামে চলে যাই। কলেজ জীবনে ছাত্র রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলাম কলেজ সংসদ নির্বাচন ও করেছি ৯৭ সালে, চৌমুহনী কলেজে। ৯৮ সাল থেকে কর্ম জীবন বাবার সাথে চট্রগ্রামে। ২০০০ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলাম বাবা মায়ের আদেশে। বিবাহ করার ৬ মাস পরেই আর চট্রগ্রামে থাকতে মন চাইলো না শশুর বাড়ী ঢাকায়, সব আত্নীয়রা ঢাকায় তাই ঢাকায় চলে আসলাম। বড় বোন কাজল আপার বাসায়। উনার বাসায় থেকে কম্পিউটার শিখলাম সাথে সাথেই একটা ডাটা এন্ট্রি ফার্মে কর্ম শুরু করে দিলাম। ২ মাস পরেই বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনসে বি এফ সি সিতে আমার চাকুরী হয়।
আমি ২০০০ সালে বাংলাদেশ বিমানে ক্রেজুয়েলি চাকুরী করতাম, তখন আমি নতুন বিয়ে করি ২০০০ সালে আমার স্ত্রী মায়ের কাছেই মানে পরিবারে সবার সাথেই থাকেন অনেক বড় পরিবার, আমি ভাইদের মধ্যে বড়, আমার বড় মেয়ের জন্ম হয় ২১ সালে। ঢাকায় চাকুরী মাসে ১বার বাড়ীতে যাই খুবই সুখি জীবন আমার । হটাৎ জ্বর আর পেট ব্যাতা তিব্র আকারে, পরে ঢাকায় সমরিতা হাসপাতালে নিয়ে গেলো ডাক্তার বললো নাড়ি বুড়ি ছিড়ে গেছে অপারেশান করতে হবে। আমার , বড় বোন জহুরা ইসলাম এর বাসায় থাকতাম। উনি আমাকে নিয়ে যায় সমরিতা হাসপাতালে ডাক্তার বললো এখন ই অপারেশান করা লাগবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা লাগবে, আমার বড় বোন টাকা জোগাড় করে ১ ঘন্টার মধ্যে সফল অপারেশান, ৩ ব্যাগ রক্ত লেগেছে ১ জন রক্ত দিয়েছে আমার বিমানের কলিক ডিপক রোজারিও। অপরেশান করায় আমি বেঁচে গেলাম কিন্তু চাকুরী আর করতে পারলাম না।
পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত হলো আমি বারি কাজ করতে পারবো না তাই আমি মেডিসিন এর ব্যাবসা শিখতে হবে, ফুফাত ভাই জাহাঙ্গীর ভাইয়ের মাধ্যেমে সোহরোয়াদ্যী ও হৃদরোগ হাসপাতালের সামনে সর্জিক্যাল সেন্টারে স্যালম্যান থেকে চাকুরী শুরু করি, পরে ওখানে ম্যানাজের ছিলাম।
আবার এক বন্ধুর মাধ্যমে একটা কম্পিউটার ডাটা এন্ট্র ফার্মে জয়েন্ট করি ভালো বেতন পাইতাম, তখনকার সময় ২৫ হাজার টাকার বেশী। সেখানে মোট ২৫০ জন অপারেটার জব করতেন পরে সাবই আমাকে অনেক ভালোবাসতে থাকলো। সেখানে একটা সমতি করে শেয়ার ব্যাবসা শুরু করি। কিছু দিন কানাডা যাওয়ার একটা কানেকশান পেয়েছি, পরে বাবা ১২ লাখ টাকা দেয় কানাডা যাওয়ার জন্য। পরে কানাডা বিসা রিপিউজ করাতে যাওয়া হয় নাই। সেই টাকা নিয়ে গেলাম শেয়ার বাজারে সেই ১২ লাখা ৫০ লাখের বেশী টাকা হয়ে যায়, এত লাভ হচ্ছে শেয়ার বাজারে আমি কী করলাম আমার বন্ধু ও আত্নীয় স্বজন থেকে আরো টাকা ধার নিযে ডুকালাম শেয়ার বাজারে।
একদিন শেয়ার বাজারে দস মানুষ মারা যাচ্ছে হার্ট এটাক করে সাবই ফকির। বিক্রী করলে বেশী লস হবে হবে চিন্তা করে আর সেই শেয়ার বিক্রী করি নাই। একসময় হাজার টাকার শেয়ার শত টাকা ও দাম নেই। সেই থেকে ৬ মাস অসুস্থ ছিলাম বাসায় যাই নাই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতাম। পরে পরিবারের সবার সহযোগীতায় আবার সব ঠিক ঠাক হয়। আবার কলেজ গেইট একটা চাকুরী নিয়ে বেশ ভালো ছিলাম কিছু দিন পরে একটা পজেক্ট দেখে ভালো লাগলো, সহযোগী বাংলাদেশ কয়েকজনে এই মালিকানায় এই নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু মত পার্থক্য এর কারনে এই প্রজেক্ট এর গতি কম।
আমি ব্যাক্তিগত জীবনে একজন স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ হওয়ার জন্য অনেক পড়া লেখা করি ও ভিডিও দেখি, আমার এক বড় ভাই রহমান ভাইয়ের উছিলায় আমি ডাঃ জাহাঙ্গির কবির স্যারের ভিডিও গুলো দেখি এবং অনেক কিছু শিখতেছি। আমি একটা লবন সুস্থ থাকার জন্য স্যারের পরামর্শে হিমালয়ান পিংক সল্ট। সেটাই অনেকের কাছে প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ত তাই অফিসের নিজ কক্ষ্যেই আমি আসল পন্য পেইজ থেকে স্বাস্থ্যকর অরগানিক খাওয়া্র গুলো সাপ্লাই দিবো এখন হিমালয়া পিংক সল্ট (লবন) বিক্রী শুরু করেছি এবং ভালো সেল হচ্ছে, আরো প্রোডাক্ত ও যুক্ত হচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যে।
বর্তমানে আমি তিন কন্যার জনক আমার বড় মেয়ে সেহেমিকা হক তিশা এবার এইচ এস সি পাশ করেছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে, গোল্ডেন এ+ পেয়েছে। এস এস সি ও তিশার গোল্ডেন এ+, ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয় ও বুয়েটে সহ ভর্তি পরীক্ষা দিচ্ছে ও দিবে , তিশার জন্য দোয়া করবেন। অন্য ২ মেয়ে ও ক্যান্টনমেন্ট শহীদ রমিজ উদ্দীন স্কুল এর পড়ে মেঝো মেয়ে ইউপিয়া হক তাপ্তী ৭ম শ্রেনীতে পরে আর ছোট মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পরে আর নজরুল ক্যাডেট কোচিং করছে। ওরা ও খুব মেধাবী। তার জন্য তাদের মা নাছিমা আক্তারই বেশী করেন, বাচ্ছারা মেধাবী হয় সেই স্বাস্যকর পুষ্টিকার খাওয়ার গুলো তাদের খাওয়ায়। আমার স্ত্রীর অনেক গুন বলে শেষ করতে পারবো না। অথ্যাৎ স্ত্রীর ধৈয্য আর সাহসেই আমি এতদূর এগিয়ে আছি। আমি একজন সুখি মানুষ।
ছাত্র জীবনে ছাত্র রাজনীতি ও সামাজিক সংগঠনি করতাম, চৌমুহনী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ থেকে নির্বাচন করেছি, ছাত্র জীবন সেনবাগ কলেজ ও চৌমুহনী কলেজে বহু স্লোগান দিয়েছি। তখন থেকেই আমি একজন ভালো বক্তা। এর পাশা পাশি সামাজক সংগঠন ও করতাম এখন ও করি আমাদের পূর্বঅম্বরনগর বিনোদন স্পোর্টিং ক্লাব সহ এলাকায় দুটো সামাজিক সংগঠনের আমি উপদেষ্ঠা একটা হলে পূর্ব অম্বরনগর বিনোদেন স্পোটিং ক্লাব আরেকটা কমরেড মেহেদী স্মৃতি সংসদ কমরেড মেহেদী স্মৃতি সংসদ । যখন যেখানে সুযোগ পাই সময় থাকে যেকোন মানবিক ও সামাজিক কাজে যুক্ত হতে পারলে প্রশান্তি পাই। এখন আর রাজনীতির চর্চা করি না। নিজেকে একজন সমাজ কর্মী ভাবতেই ভালো লাগে। আমি সব সময় মানবিক কাজ করতে ভালোবাসি কিন্তু এতবড় সংঘ এর সাথে যুক্ত হতে পারি নাই। এখন আমি যুক্ত হয়েছি জীবনের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশানে।
দোয়া করবেন আমি আমি যেন ভালো কাজ করে হাসতে হাসতে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারি। এই খানে প্রিয় স্যার আমার শিক্ষা গুরু উনার দিক নের্দশনা নিয়ে এগিয়ে যাবো জয় করবো জীবন কে, বদলে দিবো সমাজকে। এমন গল্প রচনা করবো যেন আমার তিন মেয়ে সহ আপনার সবাই আমার জন্য এক ফোটা চোখের জল পেলে দেন। আমি একজন সুখি মানুষ আর ভালো মানুষ হতে চাই তাই আপনাদের মতো ভালো মানুষের গ্রুপে নিজের বলার মতো ফাইন্ডেশানের সাথে যুক্ত থাকতে চাই, সমাজ নিয়ে বলতে চাই, শুনতে চাই পড়তে চাই মানবিক চর্চা করে স্যারের পরামর্শ নিয়ে জয় করবো ইনশাআল্লাহ এই জীবন।
জীবন মানেই আমি মনে করি লড়াই বা প্রতিযোগীয় টিকে থাকা, এই গ্রুপে এড হয়ে যেটা আমি হেটে হেটে কিংবা সিড়ি দিয়ে আগাইতাম সেটা এখন স্যারের সেশান গুলোর কারনে লিফটে করে আগাইবো ইনশাআল্লাহ। আমি বিশ্বাসী আমি সাহসী আমি জয় করবো আমার জীবন আমি বদলে দিবো এই মানব জীবন ও নিজের জীবনকে।
১৪তম ব্যাচ থেকে আমি এই গ্রুপে যুক্ত আছি আমার এলাকার প্রিয় বড় ভাই Abdul Karim Munna ভাইয়ের উছিলায় আগ আমি একটিভ ছিলাম না এখন গ্রুপে নিয়মিত আসি এবং অনেক কিছু শিখতেচি। আমি স্যারের প্রতিটা কথা এখন মনযোগ দিয়ে শুনি এবং করার চেষ্টা করি। স্যারের এই ৯০ দিনের সেশানের এই বানী গুলো যদি আরো আগেই আমল করতাম হয়তো বদলে দিতাম বহু কিছু। কৃতজ্ঞতা Md Abul Khair আবুল খায়ের ভাইয়ে প্রতি, যাক আমি এগিয়ে যেতে চাই আপনাদের সাথে নিয়ে, স্যারের দোয়া নিয়ে। আমি বিশ্বাস করি আমার ভিতরের লুকিয়ে থাকা প্রতিভা ও স্যার এর প্রেরণায় এবং আপনাদের উছিলায় বিকশিত হবে। আর আমি হবো একজন সফল মানুষ। মরনে আমি হবো লাখো মানুষের ভরসার স্থল। সবাই ভালো থাকবেন দোয়া করবেন, আমার জীবনের গল্পে আরো অনেক কষ্টের কথা আছে, বাকী কথা গুলো ধীরে ধীরে বলবো। একক্ষন সময় নিয়ে এত বড় লেখাটা পড়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইলে, কোথায় ভূল হলে কমেন্ট করে বলতে পারেন বদলে যাওয়ার চেষ্টা করবো। নিজের বলার মতো গল্প ফাউন্ডেশানের প্রিয় স্যার ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার, সবার প্রতি রইলো অফুরন্ত ভালোবাসা। আস্সালামু আলাইকুম ।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮০৯
তারিখ ৩১-০৫-২০২২
ছায়েদুল হক লিটন
ব্যাচ নং - ১৪
রেজিস্ট্রেশান নং - ৯৩৩৯৫
উপজেলা - সোনাইমুড়ী
জেলা - নোয়াখালী
বর্তমান অবস্থান: ঢাকা মিরপুর ১০, শাহ আলী প্লাজা
আমার পেইজ - আসল পণ্য - Asol Ponno https://www.facebook.com/asolponnobd
ব্লাড গ্রুপ - বি পজেটিভ