মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জীবনের গল্প
>>>>মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জীবনের গল্প <<<<<
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
আসসালামুআলাইকুম,
* সর্বপ্রথম লাখকোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি মহান আল্লাহ পাকের নিকট যিনি আমাকে এতো সুন্দর করেপৃথিবীতে সৃষ্টি করছেন এবং এখনো সুস্থ রেখেছেন।
* সাথে সাথে লাখো-কোটি দুরুদ ও সালাম পেশ করছি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর রওজা মোবারকে যাকে সৃষ্টি না করলে এই পৃথিবীর কোন কিছুই সৃষ্টি করা হতো না।
এরপর পরম শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার জীবনের সবচাইতে আপনজন আমার মা ও বাবাকে যাদের উছিলায় আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে এসেছি এবং সুন্দর এই পৃথিবীতে বড় হয়েছি তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায়। তারা অনেক স্নেহ, আদর ও ভালোবাসা দিয়ে আমাকে লালন পালন করেছেন। যাদের ঋণ কখনো শোধ হবার নয়।
=>> অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের লাখো লাখো মানুষের প্রান প্রিয় মেন্টর ও শিক্ষক জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি।
যিনি এই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, মোটিভেশনাল স্পিকার,হাজারো পথহারা বেকারদের পথের দিশারী। যার সুন্দর পরিকল্পনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে মাধ্যমে আমরা এত সুন্দর একটা প্ল্যাটফম পেয়েছি ।
=>> ছোট্ট পরিসর আমি আমার জীবনে গল্প তুলে ধরলাম:
আশাকরি আপনাদের নিজেদের মূল্যবান কিছুটা সময় ব্যয় করে কাছে বা দুরের যে যেখান থেকে আমার লেখাটি পড়ছেন সবাই আমার জীবনের গল্প লেখাটি পড়বেন এবং পড়ে আপনাদের মনের অনুভূতি শেয়ার করবেন।
Ø আপনাদের সবার প্রতি রইল আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও মোবারকবাদ।
v নিজেকে অনেক বেশি ধন্য মনে করছি এই প্ল্যাটর্ফমের একজন কর্মী ও আজীবন সদস্য হিসেবে যুক্ত হতে পেরে।
=>> আমার পরিচয় : আমি কাজী মোহাম্মদ খাইরুচ্ছাফা।
জম্ম_ ১৯৭৫ সালের ২ মে চট্টগ্রাম জেলার,আনোয়ারা উপজেলার ১০ নং হাইলধর ইউনিয়নের স্বনামধন্য খাসখামা গ্রামের কাজী বাড়ীর(উত্তর)।
বংশ পরিক্রমায় কাজী বংশের একজন সদস্য হিসাবে মুসলিম পরিবারে জম্ম গ্রহণ করি।
আমাদের পরিবারে আমরা চার ভাই ও এক বোন। পরিবারের সদস্য হিসাবে ভাইদের মধ্যে আমি তৃতীয়। আমার বড় দুই ভাই ও একজন বোন এরপর আমি তারপর সবার ছোট ভাই।
+++++++++++
=>>> শৈশবকাল:
মধ্যবিত্ত পরিবারে জম্ম গ্রহণ করা আমার শৈশবকাল ছিল খুবই মধুর ও সুখের জীবন। বুঝতে পারতাম না,তেমন দুঃখ কষ্ট কি। বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে বেশ আনন্দঘন পরিবেশে দিন খেটে যেত। আমার জম্মের আগেই মারা যান আমার দাদা_দাদী,নানা-নানী।.ওদের মায়া মমতা থেকে বঞ্চিত আমার শৈশবকাল।
আমার বাবা ছিলেন একজন আর্দশ কৃষক,মা ছিলেন একজন আর্দশ গৃহিণী। বাবা ছিলেন সৎ ও খুবই কর্মঠ লোক যার প্রতিনিয়তা কাজ ছিল অপরের উপকার করা এবং নিজের কষ্টের কথা চিন্তা না করে পরিবারকে কিভাবে ভালো রাখা যায় সেই চিন্তায় থাকত। তেমনি মা ও ছিল একই রকম, সবসময় নিজে না খেয়ে ,নিজে না পরে ছেলে মেয়েদের সুখের জন্য এবংঅপরের ভালোর জন্য সবসময় চিন্তায় থাকত।
আমার দেখামতে আমার বাবা-মা পৃথিবীর শ্রেষ্ট বাবা-মা এর মধ্যে একজন, যাদের তুলনা কারো সাথে হয় না।
মধ্যবিত্ত পরিবারে হলেও ছোটবেলা থেকে সংসারের তেমন কোন অভাব ছিল না । ছিল গোলাভরা ধান,পুকুরভরা মাছ,গোয়াল ভরা গরু, বিভিন্ন ফল ও সবজিতে ভরা ছিল মাঠ। এই সবকিছু নিজেরা ব্যবহার করে এবং কিছু বিক্রি করে আমাদের সংসার খুবই সুন্দর ভাবে চলে যেত।
এক কথায় বলতে গেলে শৈশবকাল ছিল খুবই আনন্দময়।
==>> শিক্ষা জীবন:
>প্রাইমারি ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়: ১৯৮০ সাল আমার বয়স যখন ৬ তখন ভিংরোল সরকারি প্রাইমারি স্কুলে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি করে দেন আমাকে। আমার ছোট ভাই ও চাচাতো আমরা তিনজন একসাথে স্কুলে ভর্তি হই। তিনজন একসাথে স্কুলে আসা যাওয়া করতাম। বার্ষিক পরীক্ষায় স্যার আমাকে ২য় শ্রেণীত তুলে দেয় এবং ওদের দুইজনকে ওয়ান রেখে দেয়।
এই ভাবেই শুরু হল আমার শিক্ষা জীবন। প্রাইমারি স্কুল জীবন শেষ করে মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হই। মাহাতা পাঠনিকোটা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে একজন নিয়মিত ছাত্র হিসাবে ১৯৯০ সালে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান থেকে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হই।
পড়ালেখায় বেশি ভালো না হলেও তেমন খারাপ ছিলাম না _১ম হতে না পারলেও ২য় ,_৩য় মেধা তালিকায় থেকে ১৯৯০ সালে এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়ের ফলে ৩০% পাসের হার হওয়ার পরও নিজে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হই ।
জীবনের প্রথম বারই হোঁচট খেলাম। রেজাল্ট পেয়ে খুবই খারাপ লাগলো কিন্তু তারপরও নিরাশা না হয়ে আশায় বুক বেঁধে পড়া লেখা চালিয়ে গেলাম।
প্রাইমারি ও মাধ্যমিক স্কুলের স্যারেররা ছিল খুবই অমায়িক ও ভালো মানুষ ।উনাদের সঠিক দিক নির্দেশনা ও পরামর্শের মাধ্যমে আমি আজ পড়ালেখা শেষ করে একজন সৎ ও ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে এখনো বেঁচে আছি । তার জন্যে আমরা উনাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ ।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য হওয়ায় প্রাইমারি স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্কুলের পুরাটা সময় পড়ালেখার পাশাপাশি পরিবারে বাবা-মার বিভিন্ন কাজ কর্মে সহযোগিতা করা ছিল আমাদের নিয়মিত কাজ ।
সকাল _ বিকাল যখনই সময় পাওয়া যেত তখনই ছুটে যেতাম বাবা-মাকে সহযোগিতা করতে।
কিন্তু বাবা _মায়ের কড়া নির্দেশ ছিল _ স্কুলের সময় এবং রাতে পড়ার সময় যেন এক মিনিট ও নষ্ট না হয়। আর খাওয়া সময় যেন একসাথে সবাই খেতে বসা । আমরাও মা_বাবার কথার বাহিরে কোন কাজ করতাম না । এটাই ছিল সম্মান, ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ । এইভাবেই বাবা মা_ বড় ভাই ও বন্ধুদের সঠিক দিক নির্দেশনায় ও সহযোগিতার মাধ্যমে আমার প্রাইমারী ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুরাটা সময় অতি বাহিত হয় । তাই উনাদের প্রতি আমি চিরকালই কৃতজ্ঞ হয়ে থাকব।
==>> কলেজ জীবন: ১৯৯০ সালে এসএসসি পাশ করার পর বিশেষ করে মেঝ ভাইয়ের সঠিক পরামর্শ ও আর্থিক সহযোগিতায় আমি চট্টগ্রাম সরকারী সিটি কলেজে ভর্তি হই।
শুরু হয় আমাদের ব্যাচেলর জীবন- এতদিন মা বাবার কাছে আদর যত্নে ও মায়ের হাতের রান্নায় খেয়ে পুরাটাই জীবন যেভাবে আরাম আয়েশে ছিলাম শহরের কলেজে ভর্তি হয়ে তার টের পেলাম ।
বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ায় কলেজ চলাকালিন পুরাটা সময় চলে যেত কলেজে,রাতে এসে সবাই মিলে রান্নায়- বান্নায় অনেক সময় চলে যেত।.রাত ১০ টায় থেকে শুরু হত আমাদের পড়ালেখা।
বিভিন্ন সুবিধা –অসুবিধার মধ্যে দিয়ে এই ভাবে চলে যায় ২ বছর – আলহামদুলিল্লাহ এইচ এস সি পাশ করি ১৯৯২ সালে –তাও ২য় বিভাগে ।
==>> বিশ্ববিদ্যালয় জীবন: অনেক মানুষের স্বপ্ন থাকে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে.তাদের মত আমারও ছিল কিন্ত রেজাল্ট তেমন ভালো না হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য চেষ্টা করি. কিন্ত ১ম বছর চলে যায় ভালো বিষয় না পাওয়ায় কোথাও ভর্তির হতে পারি নাই ফলে জীবন থেকে একটি বছর চলে যায় ,স্বাভাবিক ভাবে মন মানসিকতা খারাপ হওয়ার কথা কিন্তু জীবনের ধৈর্য্য পরীক্ষা দিতে দিতে পরের বছর আবার পরিবার ,বন্ধুদের পরামর্শ ও সহযোগিতার মাধ্যমে ৯৩ -৯৪ সেশনে চট্টগ্রাম কলেজে অর্থনীতি বিভাগে অর্নাসে ভর্তি হই । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ বছরের সেশন জটের জটিলতা মধ্যে দিয়ে ১৯৯৮ সালে অনার্স ও ২০০১ সালে মাস্টার্সে ২য় শ্রেণীত উত্তীর্ণ হই। যদিও সেটা ৯৬ সালে অর্নাস ও ৯৭ সালে মাস্টার্স শেয হওয়ার কথা ছিল।
আলহামদুলিল্লাহ আমার পড়ালেখায় আমার পরিবারের সহযোগিতার পাশাপাশি পুরাটা সময় চলে যায় পার্ট_টাইম জব হিসাবে টিউশনিতে ছাত্র ছাত্রীদের পড়ানোর মাধ্যম । আমার জীবনের পড়ালেখার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সার্বিক ভাবে সহযোগিতা,পরামর্শ,সাহস ও আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা,মা-বাবা, বড় ভাই,মেঝ ভাই,ছোট ভাই, বন্ধু ও আত্বীয়-স্বজনদের প্রতি রইল আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। কারণ উনারা সবাই আমার জন্য যা করেছেন তার ঋণ কখনো পরিশোধ করতে পারবনা ।
$$$>>> চাকুরি জীবন:
মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করা ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা শেষ করে একমাত্র লক্ষ্য থাকে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারকে সহযোগিতা করে যাওয়া। জীবনের সবকটি পরীক্ষায় ২য় বিভাগে পাশ করা আমার জীবনেও তার কোন ব্যতিক্রম ঘটেনি । শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি টিউশন ও পার্ট টাইম কাজ করা ছিল আমার নিয়মিত অভ্যাস। আর সুযোগ পেলে মানুষের জন্য কাজ করা বা কারো কিঞ্চিত উপকার করা। কখনো কোন সময় নষ্ট করার পক্ষে আমি ছিলাম না তাই সময় পেলেই কিছু না কিছু করে যেতাম।
২০০১ সাল মাস্টার্স পরীক্ষা দেওয়ার পর কম্পিউটার শিখে চকবাজার একটা কম্পিউটারে ট্রেনিং সেন্টারে ১ম বারের মত ২০০০ টাকা বেতনের চাকরি করি ওখানে ৪ মাস চাকরি করে গ্রামে চলে যায় কিছুদিনের জন্য তখনও মাস্টার্সের রেজাল্ট বাহির হয়নি। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে একটা কোচিং সেন্টার দিই। নামমাত্র টিউশন ফি ছিল ১০০ -২০০ টাকা আর কেউ না পারলে পুরা ফ্রি । ওখানে প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন ছাত্র ছাত্রী পড়াতাম।
আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো লাগলো কাজ গুলো করতে পেরে। ২০০১ এর শেষের দিকে মাস্টার্স রেজাল্ট বাহির হয় পাশ করলাম ২য় শ্রেণীতে ।
শুরু হলো চাকুরি খোজার পালা। বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষা দেওয়ার জন্য দরখাস্ত জমা দিতে শুরু করলাম এবং বিভিন্ন ব্যাংক বা বেসরকারী প্রতিষ্টানে দরখাস্ত জমা দিতে দিতে ১ম বার আবুল খায়ের কোম্পানিতে ইন্টারভিউ দিলাম কিন্তু জব লোকেশন বাংলাদেশের শেষ প্রান্তে হওয়ায় তাই রাজি হলাম না। তখন চাকরি বিজ্ঞপ্তি ছিল খুবই কম তাই পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগও ছিল কম। এদিকে মেঝ ভাইও ব্যাংকের চাকরি জন্য অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস শত চেষ্টা করার পরও কোন সুযোগ আসে নাই ।
এর মধ্যেই চট্টগ্রাম CEPZ এ ফরেন কোম্পানি Youngone Group এর একটি বিজ্ঞপ্তি পেয়ে পরীক্ষা দিলাম এবং ২০০১ সালের ২২ শে ডিসেম্বর অফিসার পোষ্টে Youngone Group,CEPZ এ জয়েন করলাম ।
বাংলাদেশের জব ক্যাটাগরির মধ্যে বেসরকারী শিল্প প্রতিষ্টানের চাকরিই সবচাইতে কঠিন ও কষ্টকর। সেই ভোর ফজর নামাজের পর থেকে প্রস্তুতি শুরু করে ঠিক সময়ে গাড়ী ধরা,সকাল ৮ টার মধ্যে অফিসে হাজির হওয়া এবং বিকাল ৬ টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে বাসায় ফিরে আসা এই যেন কঠিন বাস্তবতা।
আলহামদুলিল্লাহ,কঠিন বাস্তবতাকে মোকাবেলা করে বিভিন্ন সুবিধা অসুবিধার মধ্যে দিয়ে আজ অবধি এখানেই চাকরি করে যাচ্ছি তার জন্য আল্লাহ পাকের নিকট লাখকোটি শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
==>> বিবাহিত ও সংসার জীবন : মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারকে সহযোগিতার কথা চিন্তা করতে করতে অনেক বেলা পেরিয়ে যায় তখন বিয়ের কথা মাথায় থাকেনা কিন্তু বাস্তবতার পরিপেক্ষিতে শত কষ্ট ও ব্যস্ততার মাঝেও কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এই হিসাবে ২০০৬ সালের ১০ ই নভেম্বর বিবাহ নামক কর্মটি সম্পন্ন করি।
আল্লাহর পাকের নিকট শুকরিয়া বিভিন্ন সুবিধা ও অসুবিধা মধ্যে দিয়ে আজ অবধি সংসার চালিয়ে যাচ্ছি । নিজের পকেটে বিবাহের খরচ না থাকলেও ভাইদের,বন্ধুদের ও আত্মীয় স্বজনের আর্থিক সহযোগিতার বিবাহের খরচের যোগান দিই। যার গ্লানি এখনও পর্যন্ত বহন করে যাচ্ছি । কম বেতনের চাকরি দিয়ে শুরু করা বিবাহিত সাংসারিক জীবন পরিচালনা করা কি কষ্ট তা একমাত্র আমার মত যারা তারাই শুধু বুঝতে পারে। তারপরও জীবনকে চালিয়ে নিয়ে যেতে হয় জীবনের নিয়মে।
সামাজিক ও পারিবারিক বিভিন্ন ফরমালিটি বজায় রেখে সৎ আয়ের মাধ্যমে জীবন চালিয়ে নেওয়ার মাঝে অনেক কষ্ট ও বাধা থাকলেও দিনশেষে আনন্দ টা ও কম না। কারন সৎভাবে বেচে থাকার আনন্দ ও শান্তি টাই বড় পাওনা । আল্লাহ পাকের নিকট শুকরিয়া সৎভাবে একজন ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরে ।
এর মধ্যে আল্লাহ পাকের রহমতে ২০১১ সালের ৮ ডিসেম্বর আল্লাহ পাক আমাকে দান করেন পৃথিবীর শ্রেষ্ট নেয়ামত আমার ছেলে কাজী মোহাম্মদ জাওয়াদ আহনাফকে। এই দিনটি ছিল আমার কাছে সবচাইতে খুশির দিন। আলহামদুলিল্লাহ সবকিছু ঠিকমত চলছিল কিন্ত ২০১৭ সালে আল্লাহ আমাকে আবার কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দিল।
২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে আমার ছেলের এমন একটি শারিরীক সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালে দীর্ঘ ২০ দিন চিকিৎসা নিয়ে প্রায় ২ বছর ভালো ছিল কিন্তু ২০১৯ সালে আবার সমস্যা দেখা দেয় । ফলে চট্টগ্রামের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ১০ দিন চিকিৎসা নিই । কিন্তু চট্টগ্রামের অনেক অভিজ্ঞ চিকিৎসক তাদের চিকিৎসায় রোগের মুল কারন উৎঘাটন করতে না পারায় ঢাকায় স্কয়ার ও ঢাকা শিশু হাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা Apollo Hospital এ একটি টেষ্ট করালাম ২২ শে জুলাই ২০১৯ সালে।
আলহামদুলিল্লাহ ঐ টেষ্ট এর মাধ্যমে রোগের মুল কারন উৎঘাটন করা হয় (Meckel's Diverticulum) ক্ষুদ্রান্তে সমস্যা যা সাধারনত ২% মানুষের দেখা দেয়। যার কারনে হঠাৎ ব্লিডিং দেখা দেয় ফলে হিমোগ্লোবিন খুব কমে যায়।
ঢাকা শিশুহাসপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ হানিফ ও ডাঃ আমিনুল ইসলামের ফাইনাল পরামর্শে ও উনাদের অধিনে_১৮ই September ২০১৯ সাল সকাল ৯ টায় ঢাকা শিশু হাসপাতালে অপারেশন করা হয় এবং দীর্ঘ ১৫ দিন হাসপাতালে অবস্থান করতে হয়। আলহামদুলিল্লাহ অপারেশন সফল হয়। এই অপারেশনের মাধ্যমে এই রোগের চিকিৎসা শেষ করা হয় । আর আল্লাহর অশেষ রহমতে ও সবার দোয়াই আমার ছেলে ইনশাল্লাহ ভালো আছে।
আল্লাহ পাকের নিকট লাখকোটি শুকরিয়া জানাই অনেক বড় বিপদ থেকে আল্লাহ আমার ছেলেকে রক্ষা করেছেন।
আর সাথে সাথে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই সকল অভিজ্ঞ চিকিৎসক,পরিবার,আত্বীয়স্বজন,বন্ধু-বান্ধব যারা আমার ছেলেকে রক্ত দিয়ে আর আমাকে বিভিন্ন পরামর্শ ও আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে সাহায্য করেছেন তাদের সবাইকে।
বিশেষ করে গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই আমার মেঝ ভাইয়ের প্রতি যার অনুপ্রেরনা,সঠিক পরামর্শ ও আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমার পুরা শিক্ষা জীবন,চাকরি জীবন ও আজ অবধি আমার সাংসারিক জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাপোর্ট দিয়ে আসছেন।
সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে শারিরীকভাবে সুস্থ রেখে নেক হায়াত দান করে ।
এইভাবে বিভিন্ন প্রতিকুলতার মধ্যে দিয়ে আল্লাহর উপর ভরসা রেখে,ধৈর্য্য ও সততার মধ্যে দিয়ে আমার জীবনের প্রতিটি মুহুর্ত অতিবাহিত হচ্ছে। তারপর ও শুকরিয়া আল্লাহ পাক আমাকে এখনো সুস্থ রেখে জীবিত রেখেছেন _আলহামদুলিল্লাহ।
**** প্রিয়জন হারানোর কষ্ট :++++
Ø পৃথিবীতে সবার মত আমারও সবচাইতে আপনজন হল আমার মা-বাবা। কিন্তু যদি আপনজন হঠাৎ করে আমাদের ছেড়ে চলে যায় তাহলে তারচেয়ে সবচাইতে কষ্টের পৃথিবীতে আর কিছু হতে পারে না । আমার ক্ষেত্রেও তাই।
v মা_ মা ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ নেয়ামত এবং সবকিছু । একজন মা বাবার স্বপ্ন থাকে ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা শিখিয়ে মানুষ করে বৃদ্ধ বয়সে একটু সুখ -শান্তি পায়। এই প্রত্যাশাই আমাদেরকে অনেক কষ্ট করে লালন পালন করে পড়ালেখা শেষ করার পর ফল পাওয়ার আগেই যদি আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায় তার মত কষ্ট আর কি হতে পারে ।
২০০৩ সাল ১০ ডিসেম্বর রোজ বুধবার সকাল ৮ টায় মা হঠাৎ করে স্টোক করে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে আমাদেরকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যায়। তখন মাত্র আমার পড়ালেখা শেষ করে চাকরির বয়স ২ বছর। ঐ মুহূর্ত ছিল আমার জীবনের অন্ধকারময় অধ্যায়। কারণ মা ছিল আমার সবচেয়ে কাছের মানুষ যার কাছে প্রতিটি মুহূর্তে শেয়ার করতে পারতাম আমার সুখ দুঃখ,ভালো মন্দ। এখনও প্রতিটি সেকেন্ড মায়ের চেহারা চোখের সামনে ভেসে ওঠে মন হয় মা আমাকে ডাকছে ।
মা এত কষ্ট করে জম্ম দিয়ে লালন পালন করে পড়ালেখা শিখিয়ে সুখের সময় চলে যাওয়া কতটা কষ্টের বা বেদনাদায়ক তা আমার মত যারা শুধু তারাই বুঝতে পারে।
==>> বাবা- পৃথিবীতে বাবা হল একটা বটবৃক্ষ, যার ছায়ার তলে ছেলে মেয়েদের আগলে রাখে সারাক্ষণ। রোদ- বৃষ্টি উপেক্ষা করে নিজের সুখের কথা চিন্তা না করে সারাক্ষণ ছেলে মেয়েদের ও পরিবারের সুখের জন্য চিন্তা করে সারা জীবন কাটিয়ে দেয়।
২০০৭ সাল ২০ শে জানুয়ারি শনিবার রাত ১১ টায় স্বাভাবিক ভাবেই আমার হাতে মাথা রেখে নিজের মুখে কলেমা শরীফ পড়তে পড়তে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে আমাদের ভাই বোন ও আত্মীয়-স্বজন সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে আল্লাহ পাকের নিকট চলে যায়।
আমার বিবাহের মাত্র ৭০ দিনের মাথায় বাবা মাত্র ১ সপ্তাহ অসুস্থ থাকার পর বাবা আমাদেরকে ছেড়ে চলে যায়। বিবাহের পর খুবই অল্প সময় বাবাকে সেবা করতে পেরে নিজেকে খুবই অপরাধী মনে হচ্ছে । কিন্তু আল্লাহর ডাকে কেউ সারা না দিয়ে থাকতে পারবে না । এইভাবে মনকে সান্তনা দিয়ে আজ অবধি প্রতিটি মুহূর্ত বাবার অনুপস্থিতে কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন কেটে যায়।
==>>বড় ভাই : আমরা ৪ ভাই ১ বোনের মধ্যে বড় ভাই ছিল কাজী মোহাম্মদ আলী । যিনি ছিলেন আমাদের সবার অনুপ্রেরণার উৎস । যার অবদান আমরা কখনো ভুলতে পারবনা। ছোট বেলা পারিবারিক বিভিন্ন সুবিধা-অসুবিধা কারণে পড়ালেখা বন্ধ করে পরিবারে বাবাকে সহযোগিতা করতে গিয়ে নিজেই দীর্ঘ ১০ বছর প্রবাসে অবস্থান করেন। কিন্তু প্রবাসে অবস্থান করলেও সারাক্ষণ চিন্তায় থাকত পরিবার ও আমাদের পড়ালেখা নিয়ে যা কখনো বলে শেষ করা যাবেনা।
৯০ সালে দেশে এসে সংসার শুরু করেন এবং দেশে এসে বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য করে কষ্ট করে সংসার চালিয়ে যান।
কিন্তু পরিবারের বাড়তি চাহিদা মেটাতে গিয়ে পরিবারের আর একটু সুখের জন্য নিজের
অসুস্থ শরীর নিয়ে ২০০৭ শেষের দিকে আবার ডুবাই চলে যান।
==>> কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ডায়াবেটিস জনিত কারণে ২০১০ সালের ১৫ ই জুলাই ডুবাই শহরে নিজ কর্মস্থলে ইন্তেকাল করেন । ২৯ জুলাই দেশে এনে দাফন করি। উনার পরিবারের ছোট্ট ২ ছেলে ও ২ মেয়ে ও আমাদের সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য খুবই বেদনাদায়ক। কারণ উনার তদারকি ও আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা আজ পড়ালেখা শেষ করে একজন ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি । দোয়া করি আল্লাহ যেন উনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন ।
** প্রিয়জন হারানোর কষ্ট কত যে বেদনাদায়ক তা কখনো বলে শেষ করা যাবে না।
আল্লাহর কাছে সার্বক্ষনিক দোয়া করি আল্লাহ যেন আমার মা বাবা ও বড় ভাইকে সমস্ত
গোনা মাফ করে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন _আমিন।
==>>> উদ্যোগতা হয়ে উঠার গল্প :
ছোট বেলা থেকে পড়ালেখার পাশাপাশি আব্বাকে বিভিন্ন কাজ কর্মে ও ব্যবসায় সহযোগিতা করতাম। গ্রামের বাজারে বাবার সাথে বিভিন্ন মৌসুমে ব্যবসার কাজে বাবাকে সহযোগিতা করার মাধ্যমে ব্যবসার বিভিন্ন দিক গুলো রপ্ত করা হয়েছিল যা এখনও মনে পড়ে যায়।
এই সুবাদে সবসময় নিজের ভেতর একটা স্বপ্ন কাজ করত আমি যদি কোন কাজ শুরু করি তাতে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে পারি তাহলে নিজের ভিতর একটু হলেও আত্মতৃপ্তি পেতাম।
তাই সার্বক্ষনিক এই স্বপ্নটা নিজের মধ্যে তাড়া করে বেড়ায়। এর মধ্যে নিজে অনলাইন জগতে জড়িত আছি ২০১০ সাল থেকে _ ফ্রিল্যন্সিং ও ইউটিউব মার্কেটিং নিয়ে যা এখনো চলমান।
==>> নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়া:
প্রতিনিয়ত অনলাইন জগতে বিচরণের মাঝে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ৬৪ জেলা থেকে ১৬৪ জনকে নিয়ে শুরু হওয়া সম্মেলনের স্যার সহ বিভিন্ন গুণীজনের অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও গুলো অনলাইনে বেশ কয়েকবার দেখার সুযোগ হয়েছে ।
ভিডিওতে স্যারের কথা শুনতে লাগলাম এবং শুনে এতটাই মুগ্ধ হলাম তা বলার অপেক্ষা রাখে না । কিন্তু নিজের কাছে প্রশ্ন জাগে নিজের জীবনের বেচে থাকতে গিয়ে কতইনা গল্প এটা আবার কোন ধরনের গল্প প্লাটফর্ম?
২০২০ সাল মার্চ মাস করোনা প্রথম ধাক্কায় নিজে এফেক্ট হলাম এবং জ্বর নিয়ে ১৫ দিন বাসায় অবস্থান করা কালিন সময় কাটানোর জন্য স্যারের ভিডিও গুলো বার দেখা শুরু করলাম যতই দেখি ততই শুনার ও দেখার ইচ্ছা জাগে । এরমধ্যে দেখলাম আমার এক আত্বীয় আপু গ্রুপে ৯ম ব্যাচে যুক্ত হয়েছে তা দেখে নিজের কাছে কনফিডেন্স বেড়ে গেল।
জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের কথা গুলো শুনতে শুনতে নিজের আত্ব বিশ্বাস বেড়ে গেল। তাই স্যারের ভিডিও ও সেশন গুলো দেখতে থাকলাম, দেখতে দেখতে ভালো লাগা শুরু হল। আর এই ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা হয়ে গেল। সেই ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে Group এ জয়েন করলাম তখন ১০ ব্যাচ শেষের দিকে । তাই ১১তম ব্যাচে এসে গ্রুপের আজীবন সদস্যের জন্য রেজিষ্ট্রেশন করে নিলাম _ ২১-০৭-২০২০ তারিখে ।
ব্যাচ ১১, রেজিষ্ট্রেশন নং ২৪৫৫৪,
১১তম ব্যাচের ৯০ টি সেশন শেষ করলাম । অনেক কিছু শিখলাম,দেখলাম তবে শিখার কোন শেষ নাই জানার কোন শেষ নাই তাই ১২ তম ব্যাচ থেকে সবসময়ই এখনো লেগে আছি। প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু নুতন শিখতেছি।
নিজের উদ্যোগ কি দিয়ে শুরু করব তা চিন্তা করতে করতে বেশ কিছু দিন চলে গেল । স্যারের সেই জনপ্রিয় স্লোগান _ স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন,শুরু করুন এবং লেগে থাকুন _ সাফল্য আসবেই । এর উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রোডাক্ট চয়েস করা শুরু করলাম । দেখলাম সবাই সবকটি নিয়ে কাজ করছে।
স্যারের দেওয়া একটি সেশনের বলেছেন এমন কিছু নিয়ে কাজ করতে যাতে মানুষের বর্তমান সম্যসার সমাধান করা যায়। যেমন _কাউকে
১,ভালো খাওয়াবেন
২• ভালো পরাবেন
৩- ভালো কোন কিছু ব্যাবহার করাবেন
এর থেকে সিদ্ধান্ত নিলাম ১ নং আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করি যাতে মানুষকে কিছু ভালো খাওয়ানো যায়।
কারণ বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ভেজালযুক্ত খাবার । যার ফলে প্রতিটি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন তার প্রমাণ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল গুলোতে রোগীর ভীড় দিন দিন বেড়েই চলেছে যা অদুর ভবিষ্যতে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করবে বলে মনে হয়। এরই পরিপেক্ষিতে মানুষের রান্নার মুল উপাদান মরিচ, মসলা ও তেল নিয়ে কাজ শুরু করি।
প্রথমে ১১৮০ টাকার হাটহাজারীর মরিচ,হলুদ ও ধনিয়া দিয়ে কাজ শুরু করি । ২৭-১১-২০২০ সালে KJA Food Products নামে একটি পেইজ Create করি। ০২-০২-২০২১ তারিখে প্রথমেই গ্রুপের একটি পোষ্ট দিই KJA Food Products নামে পেইজ সহ। । দেওয়ার সাথে সাথে প্রথমদিনেই অর্ডার আসে এই গ্রুপের আমার পরিচিত একজন সম্মানিত আজীবন সদস্যের কাছ থেকে । প্রথম ডেলিভারি দিলাম ৪৫০ টাকার।
এর পর থেকে সাহস পেলাম ভালো জিনিসের চাহিদা সব সময়ই থাকে । স্যারে স্লোগানকে সামনে রেখে সাহস করে শুরু করে দিলাম । পরের মাসে যুক্ত হল খাঁটি অর্গানিক পন্য_
Ø গাওয়া ঘি,
Ø সুন্দরবনের খাঁটি মধু, ও
Ø ঘানিভাঙ্গা সরিষার তেল ।
আলহামদুলিল্লাহ গত একবছর যাবত প্রতি মাসে গড়ে ১৫০০০ টাকা - ২৫০০০ টাকা সেল হয়ে আসছে। ইনশাল্লাহ আশাকরি ভবিষ্যতে সেল অনেক বেড়ে যাবে । স্যারের সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী আমি আমার লাভের অংশটা খরচ না করে পুরাটাই মুলধন বাড়ানোর কাজে লাগিয়ে আসছি। আলহামদুলিল্লাহ যার ফলে প্রাথমিক মুলধন ১১৮০ টাকা দিয়ে শুরু করা বর্তমানে আমার মুলধন দাড়িয়েছে ৩৫০০০ টাকায় । যারা আমার কাছ থেকে একবার পন্য ব্যবহার করেছে তারা বরাবরই আমার পন্যের রিপিট কাস্টমার হয়ে গেছে কারণ একটাই পন্যের কোয়ালিটি, ঘ্রাণ, স্বাদ, গুনমান ও পুষ্টিতে অসাধারণ । ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতেও প্রোডাক্ট কোয়ালিটি ঠিক রেখে কাস্টমার চাহিদা পূরণ করে মানুষের সেবা করে যেতে পারি এই প্রত্যাশা রাখি ।
"স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, শুরু করুন এবং লেগে থাকুন _সাফল্য আসবেই "
স্যারের এই অনুপ্রেরণামূলক স্লোগানকে বুকে ধারণ করে স্বপ্নটাকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সাহস করে শুরু করে দিলাম এখন শুধু লেগে থাকার পালা। আশাকরি আল্লাহর রহমতে লেগে থাকতে চেষ্টা করে যাব।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন সামাজিক বিভিন্ন সেবামুলক কাজ-কর্মে ও মানুষের বিপদ -আপদে নিজেকে সম্পৃক্ত করে আজীবন মানুষের মনে বেঁচে থাকতে পারি।
==>> ভবিষ্যতের পরিকল্পনা :
আশাকরি অর্গানিক পন্য নিয়ে শুরু করা KJA Food Products টিতে আরো নুতন ও মানুষের প্রয়োজনীয় আইটেম যুক্ত হয়ে একদিন একটি আউটলেট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বড় একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপ নেবে এই প্রত্যাশা রাখি এবং কিছু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি আল্লাহপাকের নিকট এই প্রার্থনাই করি।
*** প্রিয় ভাই ও বোনেরা ছোটবেলা থেকে আমি স্বপ্ন দেখি আমার আশে পাশের মানুষ গুলোকে নিয়ে, আমি স্বপ্ন দেখি আমার আশেপাশে কিছু বেকার ও অসহায় মানুষকে নিয়ে যারা পরিবরাকে নিয়ে জীবন জীবিকা তাগিদে সারাক্ষন কষ্ট করে যাচ্ছে ও সবসময় আমাদের আশেপাশে আছেন তাদের জন্য যেন কিছু করে যেতে পারি ।
>> পরিশেষে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা,ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনারা যারা এতক্ষণ পর্যন্ত ধৈর্য্য ধরে আমার লেখাটা মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য।
Ø আমার জীবন চলার পথে আপনাদের দোয়া, ভালোবাসা এবং সহযোগিতা আমার ভীষণ প্রয়োজন, আশা করছি ভালোবেসে সবাই পাশে থাকবেন সবসময়।
Ø আমার লেখার মধ্যে কোন প্রকার ভুল ত্রুটি হলে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।
=> সবশেষে আপনাদের সবার শারীরিক সুস্থতা, সুন্দর জীবন ও নেক হায়াত কামনা করি।
সুন্দর হোক আপনাদের সবার আগামী জীবনের প্রতিটি দিনের প্রতিটি ক্ষণ।
শুভ কামনায় আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি,_ সবাই সবার জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন সমস্ত বিপদ আপদ থেকে হেফাজত করে সবাইকে নেক হায়াত দান করে_
আল্লাহ হাফেজ।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮১২
তারিখ ০৩-০৬-২০২২
কাজী মোহাম্মদ খাইরুচ্ছাফা
>ব্যাচ#১১
>রেজি#২৪৫৫৪
>উপজেলা: আনোয়ারা
> বর্তমান অবস্থান : আন্দরকিল্লা এরিয়ায় ।
> কর্ণফুলী জোন
> জেলা:চট্টগ্রাম ।
* +++++++=========
*** কাজ করছি : অর্গানিক পন্য_খাঁটি গাওয়া ঘি, ঘানিভাঙ্গা সরিষার তেল,সুন্দরবনের খাঁটি মধু, মৌসুমী বিভিন্ন ফুলের মধু_কালোজিরা ফুলের মধু,লিচু ফুলের মধু সরিষা ফুলের মধু, এক্সট্টা ভার্জিন নারকেল তেল,মৌসুমী ফল_আম,লিচু,খেুজর রসের খাঁটি পাটালি গুড়,কালোজিরার তেল ও যাবতীয় গুড়ো মসলা নিয়ে যা সম্পুর্ন খাঁটি ও ভেজালমুক্ত ।***
Ø আমার ফেইচবুক পেইজ লিংক:-
https://www.facebook.com/KJAFoodProducts