তেমন সমস্যা হবে না ঠিক তখনি দেশে চলে আসুন।
🌻🌻🌻🌻🌻জীবনের গল্প 🌻🌻🌻🌻🌻
গল্পটা পড়ার অনুরোধ রইলো,,,,,,,,,,,,,,,
🙏সবাই আমার আদাব / নমস্কার গ্রহন করবেন ❤️
🤲সকল প্রশংসা মহান সৃষ্টিকর্তার যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন ও সুস্থ রেখেছেন।
🤲শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি প্রিয় বাবা-মাকে। যাদের কারনে এসেছি এই পৃথিবীতে। বড় হয়েছি তাদের অকৃত্রিম ভালোবাসায়। যাদের ঋণ কখনো শোধ হবার নয়।
👉 ❤️❤️কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমরা পেয়েছি এই ভালবাসার প্লাটফর্ম । নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন। ভালো মানুষ গড়ার কারিগর। পথহারা বেকারদের পথের দিশারি।
আমাদের সবার অভিভাবক প্রিয় মেন্টর
জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। স্যার এর প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নেই, স্যারের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
➡️ চলে যাচ্ছি মূল পর্বেঃ
🔶 আমার পরিচয়-
আমার নাম সন্জীত কুমার দেব নাথ। ফেনী জেলার, দেবীপুর গ্রামের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। চার বোন আর আমি। বোন বড় তার পর আমি বাকী তিন বোন আমার ছোট। বাবা সেলুনের দোকান করে আর মা একটা NGO সংস্থায় চাকরি করতো। অনেক কষ্টে আমাদের দিন অতিবাহিত হতো। বোনের পড়ালেখার খরচ এবং আমার পড়ালেখার খরচ এবং পরিবারের খরচ মিলিয়ে আমাদের পরিবার চালাতে অনেক কষ্ট করতে হতো মা এবং বাবাকে। তখন আমি অনেক ছোট ছিলাম তবে তাদের কষ্ট কিছুটা বুঝতে পারতাম।
🔶 আমার শিক্ষা জীবন -
পড়াশোনায় তেমন খারাপ ছিলাম না। প্রাইমারি স্কুল শেষ করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গেলাম। পড়ালেখার অনেক চাপ। স্যারদের দেওয়া প্রতিদিনের পড়া হোম ওয়ার্ক দিতে পারতাম না। অনেক মার খেতে হতো। স্যার বলতো প্রাইভেট পড়তে পারো না। পরিবারের অভাব অনটন থাকায় প্রাইভেট মাষ্টার দিয়ে পড়াতে পারতো না। কারণ আমরা মোট ৫ ভাই বোন। এ বিষয়ে মা, বাবা জানতে পেরে অবশেষে আমার জন্য প্রাইভেট মাষ্টার রাখলো। তারা চিন্তা করেছে আমাদের একটা ছেলে। একটু কষ্ট হলেও তাকে একটু ভালো করে পড়াই। আমার পড়ালেখার খরচ চালাতে গিয়ে বোনের পড়ালেখা বন্ধ করে দেয়। সংসারে অভাব থাকলে যা হয়। যাই হোক মোটামুটি একটা রেজাল্ট করে ২০০৫ সালে মাধ্যমিক বিদ্যালয় শেষ করে কলেজে ভর্তি হলাম। জয়নাল হাজারী কলেজ, ফেনী। তবে ওখানে পড়ালেখা ভালো হয়। তাই মা, বাবা ওখানে ভর্তি করায়। অনেক কষ্ট করে তারা আমার খরচ চালায়। ২০০৭ সালে HSC পাস করি। তাঁর পর ডিগ্রিতে ভর্তি হতে হবে। বাবা বলে আর পড়তে হবে না, মা বলে আমার একটা ছেলে তাকে আমি পড়াবো আমার যত কষ্ট হোকনা কেন। যাই হোক অবশেষে ফেনী সরকারি কলেজে ডিগ্রিতে ভর্তি হলাম। পাশাপাশি টিউশনি করি যা পাই বাকী টা মা দিতো। এমনি করে ৬ মাস যায়। এই দিকে বড় বোনের বিয়েতে অনেক টাকা খরচ হয় তার পুরোটাই লোন করা। আমার পড়ার খরচ এবং লোনের টাকা এবং পরিবারের খরচ চালাতে তাদের অনেক হিমশিম খেতে হয়। আবার ছোট তিন বোনের পড়ালেখার খরচ। সব মিলিয়ে অনেক কষ্ট হচ্ছে তাদের। তখন আমিও পরিবার নিয়ে চিন্তা করতে লাগলাম। এই চিন্তা থেকে এক পযায় আমি পড়ালেখা ছেড়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিলাম। চাকরি খোঁজা শুরু করলাম। মা, বাবাকে না জানিয়ে। কারণ এই সময় পরিবারের হাল ধরতে হবে আমাকে। মা বাবার ও অনেক বয়স হয়েছে। প্রতিদিন খবরের কাগজে চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুজতে থাকি। একদিন একটা চাকরির খবর পেলাম। HSC পাশে লোক নিচ্ছে। বুরো বাংলাদেশ নামে NGO তে। মাঠ কর্মী। ওখানে ইন্টারভিউ দিলাম।
🔷 কর্ম জীবন -
২০০৮ সালে প্রথম কর্ম জীবনে পা রাখি। পরিবারকে না জানিয়ে বুরো বাংলাদেশ এ জয়েন করি। জয়েন করার ২ দিন পর পরিবারকে জানাই। মা অনেক রাগারাগি করেছে। তোকে কে বলেছে চাকরি করতে। যাইহোক পরিবারকে বুঝালাম। সেই থেকে কর্ম জীবন শুরু। বুরো বাংলাদেশে ১ বছর চাকরি করার পর এই চাকরি আর ভালো লাগে না। মানুষের বাড়িতে গিয়ে কিস্তির টাকা উঠাতে হয়। টাকা আদায় করে না আনতে পারলে অফিসে এসে Boss এর বকা শুনতে হয়। এক পযার্য় এই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে এর মাঝে আরেকটা ঠিক করেছি। আকিজ কোম্পানিতে ব্র্যান্ড প্রমোটর হিসাবে। এখানে ৬ মাস কাজ করার পর প্রান কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার আমাকে চাকরির অফার করে। তার সাথে দেখা করতে বলে। একদিন সময় করে তার সাথে দেখা করলাম। সে আমাকে বলে আপানার প্রেজেন্টেশন অনেক সুন্দর। কাস্টমারের সাথে খুব সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারেন এবং কাস্টমার তৈরী করতে পারেন। আমি হেঁসে উত্তর দিলাম, স্যার তেমন কিছু না আমি একটু বেশি কথা বলতে পছন্দ করি তাই। এবং সেই সাথে বল্লাম স্যার প্রান কোম্পানিতে চাকরি করতে হলেতো মিনিমাম ২/৩ বছরের অভিজ্ঞতা লাগে। আমারতো তা নাই। স্যার আমাকে বলে আপনার অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। আমি আপনাকে রেপার করবো। আপনার চাকরি হয়ে যাবে। আপনি করবেন কি না বলেন। আমি বল্লাম অবশ্যই স্যার এতো বড় কোম্পানিতে কাজের সুযোগ পাইলে কেন করবো না।
➡️ এখানে প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের একটা কথা অনেক কাজে এসেছে, স্যার বলেছেন মার্কেটে আপনার পরিচিতি বাড়ান দেখবেন আপনার কাজের অভাব হবে না❤️
যাই হোক অবশেষে প্রান কোম্পানির চাকরি হয়ে গেলো। চোদ্দগ্রামে আমাকে কাজ করতে দিলো। খুব ভালোই কাজ করতেছি। স্যার আমার কাজ দেখে অনেক খুশি। আমি নতুন তাই যা বলে তাই করি। অনেক রাত পযন্ত স্যার আমাকে নিয়ে মার্কেটিং করতো। অনেক রাত করে রুমে আসতাম। এমনি করে কয়েক মাস চলে গেলো। কষ্ট দেখে মাথায় আসলো বিদেশে যাবো। বড় বোনের জামাই বিদেশে থাকে বল্লাম আমাকে বিদেশে নিয়ে যান। উনি বল্লো এতো ভালো চাকরি ছেড়ে বিদেশে কেন। আমি বল্লাম না আমি বিদেশে যাবো। বিদেশে গেলে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবো। বড় বোনের জামাই বল্লো আচ্ছা ঠিক আছে তা হলে একটা পাসপোর্ট বানিয়েনে। যেই কথা সেই কাজ। চাকরির মাঝেই আমি পাসপোর্ট বানিয়ে ওনাকে পাঠালাম। ২ মাস পর আমার ভিসা চলে আসলো।
✈️ প্রবাসী জীবনের গল্প-
২০১০ সালের ২৬ আগষ্টে প্রবাস জীবনে পা রাখি।
মনের মাঝে অনেক স্বপ্ন নিয়ে প্রবাসে পাড়ি জমাই।
বড় বোনের জামাই কিছু টাকা দিয়েছে এবং বাকি টাকা লোন করে প্রবাসে আসি। বুকে অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা নিয়ে প্রবাস জীবন শুরু করি। আসার পরদিন থেকেই ডিউটি শুরু। বেতন খুব কম ধরা হলো। পরে মালিকের সাথে কথা বলে নিলাম। মালিক বলে এই টাকায় কাম করলে করতে পারো নয়তো দেশে চলে যেতে পারো। তার এই কথা শুনে কিছুটা স্তব্ধ হয়ে গেলাম। কারণ অনেকগুলো টাকা খরচ করে প্রবাসে এসেছি। যাইহোক কম বেতন হলেও কাজ করতে থাকি। দুই বছর পর বেতন বাড়ালো। এভাবে আস্তে আস্তে আমার কাজের অভিজ্ঞতা দেখে বেতন আরো বৃদ্ধি হতে থাকলো। আর তখন মাকে বললাম তোমার আর কাজ করতে হবে না। আমি যে টাকা পাবো সেই টাকা দিয়ে ছোট বোনদের বিয়ে দিব। আর বাবার টাকা দিয়ে সংসার চলবে। এই বলে মাকে আর কাজ করতে দিলাম না। বাবার টাকা দিয়ে সংসার চলতে থাকে। আমার খাওয়ার খরচ পকেট খরচ এইসব বাদ দিয়ে যে টাকা অবশিষ্ট থাকে সেটা আমি জমিয়ে রাখতাম। প্রবাসে আসার ঠিক দুই বছর পর ছোটবোন আরেকটার বিয়ে হল। আমার জমানো টাকা এবং কিছু টাকা লোন করে ছোট বোনটার বিয়ে দিলাম। এভাবে প্রবাসে কাজ করতে থাকি। সেই লোনের টাকা শেষ হতে না হতেই আরেকটি বোনের বিয়ের জন্য প্রস্তাব আসে। মা-বাবা সেটা আমাকে জানালো। আমি বললাম এখনো লোনের টাকা শোধ হয় নাই। তখন মা-বাবা বলে বোন বড় হয়ে গেছে বিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেই সময় আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। নিরুপায় হয়ে মালিকের কাছে এডভান্স টাকা চাইতে গেলাম। মালিক আমাকে না করে দিল। তখন আমার সামনে আর কোনো রাস্তা খোলা নাই কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। রাতে ঠিকমত ঘুম হত না। অনেক চিন্তা করে দেখলাম বোনটার বিয়ে দেওয়াটাও অনেক জরুরি কারণ আরও একটা বোন আছে। এভাবে একটা সপ্তাহ চলে যায়। বাড়ি থেকে বার বার কল করে টাকা জোগাড় হয়েছে কিনা। আমি তাদের কী উত্তর দেবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। তখন নিরুপায় হয়ে আমার কোম্পানির অনেকের কাছে টাকা ধার চাইলাম। কিন্তু কেউ দিতে রাজি হলো না। অবশেষে আমাদের কোম্পানির একটা সমিতি থেকে 2 লক্ষ টাকা লোন নিলাম। প্রতি মাসে মাসে এই লোনের টাকা পরিশোধ করতে হবে। যাইহোক এভাবে করে টাকা ম্যানেজ হয়ে গেল। বোনটার বিয়ে হয়ে গেল। কিন্তু এইদিকে কোম্পানির কাজের চাপ, লোনের টাকার চিন্তায় রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারতাম না। প্রবাসে থাকতে আর ভালো লাগত না। কিন্তু এই কষ্টের কথা কাউকে বলতে পারতাম না নিরবে কান্না করতাম। তার কয়েক বছর পর ছোট আরেকটি বোনেরও বিয়ে হল। বাবাকে বল্লাম এখন আর আপনাকে কাজ করতে হবে না। সব কিছু আমি দেখবো। আপনার অনেক বয়স হয়ে গেছে। আমি যাই টাকা ইনকাম করি এই টাকা দিয়ে কোনমতে চলতে পারবো। তখন দশ বছরে আমি দুইবার বাড়িতে গেলাম। ২০১৫ সালে যখন বাড়িতে যাই। তখন সবাই বলে এখন ঘরের কাজ ধরা দরকার। আগের পুরোনো ঘরটা অনেক ভেঙ্গে গেছে ওখানে থাকার মত অবস্থা ছিল না। তাই কিছু জমি বিক্রি করে এবং কিছুটা টাকা লোন নিয়ে ঘর দিলাম। লোনের বোঝা আমার ঘাড় থেকে নামছে না। মাঝে মাঝে চিন্তা করতাম এভাবে কি আমার জীবন চলবে। আমি কি কখনো লোন মুক্ত হতে পারব না। তার কয়েক বছর পর বাড়ি থেকে বলে বয়স অনেক হয়েছে বিয়ে করতে হবে। আমি হেসে বললাম এখনও লোন শেষ করতে পারিনি আবার বিয়ে। এখন বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ২০১৯ সালে যখন বাড়িতে গেলাম তখন পরিবার বিয়ে করিয়ে দিল। আবারো লোন এর অ্যামাউন্ট বাড়তে থাকলো। বিয়ে করে ৪ মাস পর আবারও প্রবাসে আসলাম। প্রবাসে এসে চিন্তা করলাম যে বাড়তি কিছু একটা করতে হবে। বাহিরে রোদের মধ্যে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না তাই বাহিরে কাজ করতে পারতাম না। যদি বাহিরে কাজ করতে পারতাম তাহলে ছুটির দিনে প্রতিদিন ১০০ দিরহাম করে ইনকাম করতে পারতাম। কিন্তু মনে মনে চিন্তা করতে লাগলাম কিভাবে বাড়তি টাকা উপার্জন করা যায়। এইদিকে কোম্পানি ও বেতন বাড়াচ্ছে না, কোম্পানি ছাড়তেও পারতেছি না যদি আরেকটা কাজ না পাই। কারণ লোনের বোঝা যে আমার মাথার উপর আছে। মূলত এই লোনের জন্য কোন একটা রিক্স নিতে পারি না। এটাই মধ্যবিত্ত সন্তানদের বড় সমস্যা। মনে অনেক স্বপ্ন থাকা সত্ত্বেও টাকা পরিশোধ না করা পর্যন্ত কিছু করা সম্ভব হবে না। মূলত এ জন্যই অনেক পিছিয়ে আছি। প্রতিমাসে বাড়ির খরচ নিজের খরচ, পরিবার চালাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। আর ভাবতে থাকি আমার কিছু একটা করতে হবেই। কি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। আমার কাছে তেমন কোন টাকা পয়সা নাই যে বাড়তি একটা ইনকাম চালু করবো। তখন মনে মনে ভাবতে থাকলাম টাকা ছাড়া কিভাবে বাড়তি টাকা উপার্জন করা যায়।
আর সেই চিন্তা থেকে ইউটিউবে সার্চ করতে থাকলাম how to earn money online. আর তখনই অনেক গুলো ভিডিও আমার সামনে আসে। আর সেখান থেকে আমি বেছে নিলাম কিভাবে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা যায়। এটা নিয়ে ইউটিউবে ঘাটাঘাটি শুরু করলাম অনেকগুলো ভিডিও দেখতে থাকলাম। এভাবে কয়েক মাস এই সব ধরনের ভিডিও দেখতে থাকি।
একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিলাম আমি ইউটিউব ভিডিও বানাবো। আর এই বিষয়টা আমার এক বন্ধুর সাথে আলোচনা করলাম। সে আমাকে বলে ইউটিউবে ভিডিও বানাতে অনেক কিছু প্রয়োজন হয়। দামি ক্যামেরা লাগবে, একটা কম্পিউটার লাগবে ইত্যাদি আরো অনেক কিছু। তার এসব কথা শুনে আমি কিছুটা হতাশ হয়ে গেলাম। তখন আমি ইউটিউবে আরো কিছু ভিডিও দেখা শুরু করি। কিভাবে মোবাইল দিয়ে ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে মোবাইল দিয়ে ইউটিউবে আপলোড করা যায়। অবশেষে সেগুলো আমি শিখে নিলাম । আর আমার সিদ্ধান্ত আমি অটুক থাকলাম। কারণ আমি দেখেছি ইউটিউব এর মাধ্যমে অনেকে তাদের নিজের ক্যারিয়ার গড়েছে। আর আমারো স্বপ্ন ছিল সেটাই।
ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের একটা বাণী 👉
🌼 স্বপ্ন দেখুন সাহস করুন শুরু করুন ও লেগে থাকুন - সফলতা আসবেই !
আর আমি স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। সাহস করে একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিলাম। আমার ইউটিউব চ্যানেলের নাম Happy Sk Vlog. শুরু করেদিলাম ভিডিও বানানো। প্রথমে আমার ভিডিওগুলো তেমন একটা ভাল ছিলনা। ভিডিও বানানোর জন্য ভালো কোন জায়গা ছিলো না। কারণ প্রবাসে এক রুমে ৬ জন করে থাকে। তাই রুমে ভিডিও বানাতে পারতাম না। অনেক গরমের মধ্যে পায়ে হেটে বহু দুরে গিয়ে ভিডিও বানাতাম। ঘামে জামা ভিজে যেতো। তেমন কেউ দেখতো না আমার ভিডিওতে ভিউ আসতে না। আমার কোম্পানির অনেকেই আমার ভিডিও দেখে হাসাহাসি শুরু করল। অনেকেই বলে সন্জীত পাগল হইছে। এতো গরমের মধ্যে গিয়ে ভিডিও বানায় কে দেখবে তোমার ভিডিও। অনেকেই বলে এটা তোমার দ্বারা সম্ভব হবে না। তুমি এসব পারবেনা। তাদের কথা শুনে কিছুটা থেমে গেলাম।
❤️ আর তখনই স্যারের সেই কথাটি আমার মনে পড়ে গেল "লেগে থাকুন"
তখন কিছুদিন থেমে যাওয়ার পর আবারও ভিডিও বানাতে শুরু করলাম। আমি চিন্তা করতে থাকলাম কি নিয়ে ভিডিও বানালে মানুষ অনেক বেশি পছন্দ করবে। আর সেই চিন্তা করতে করতে আমার মাথায় আসলো সংযুক্ত আরব আমিরাত অর্থাৎ দুবাই ভিসা সম্পর্কে ভিডিও বানানো যায় তাহলে হয়তো মানুষের অনেক উপকারে আসবে। কারণ বর্তমানে ভিজিট ভিসায় মানুষ দুবাই এসে প্রতারিত হচ্ছে। দালালরা মানুষের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমার মাধ্যমে মানুষ যদি সঠিক ইনফরমেশন টা পায় তা হলে মানুষের অনেক উপকার হবে। মানুষ প্রতারণা থেকে বাঁচতে পারবে। শুরু করলাম দুবাই ভিসা নিয়ে ভিডিও বানানো। একটা ভিডিও বানানোর পর মানুষ অনেক বেশি পছন্দ করতে লাগলো। এবং অনেক গুলো ভালো ভালো কমেন্ট আসতে লাগলো। মানুষ আরো অনেক কিছু জানতে চাচ্ছে। এই একটা ভিডিও দিয়ে আমার চ্যানেলে অনেক গুলো সাবস্ক্রাইবার আসে। এবং আমার ইউটিউব চ্যানেলটা মনিটাইজেশন হয়। তবে এর মাঝে অনেক বাধা এসেছিলো সময় নিয়ে সব কিছু ধিরে ধিরে বুঝে ঠিক করতে লাগলাম। আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা ইনকাম শুরু হয়। তখন আমার কাছে অনেক আনন্দ লাগলো ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
👉 স্যার একটা কথা বলেছিলেন কাস্টমারের পছন্দ কি এবং কাস্টমার কি চাইতেছে সেটা আপনাকে বুঝতে হবে। মার্কেট এনালাইসিস করতে হবে । কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করলে আপনার বিক্রি বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি ব্যবসায়ে সফল হতে পারবেন।
পরিশেষে ঠিক আমি সেই কাজটাই করি। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তাদের কমেন্টের প্রশ্ন গুলো নিয়ে ভিডিও বানাতে লাগলাম। অনেক সাড়া পাচ্ছি। আমার ভিডিও দেখে মানুষ অনেক উপকৃত হচ্ছে। এবং অনেকে WhatsApp এ মেসেজ করে দোয়া করতেছে। সকলের ভালোবাসায় আজ আমার ইউটিউব চ্যানেলে ৩২ হাজারের ও বেশি সাবস্ক্রাইবার। কৃতজ্ঞতা সবার প্রতি যাদের ভালোবাসায় আজ আমি এতো দুর।
একসময় যারা আমার ভিডিও দেখে পাগল বলতো। যারা বলেছিলো তোমাকে দিয়ে এটা হবে না। আজ তারা আমাকে বলে কতো টাকা পাও ইউটিউব থেকে। টাকা কিভাবে আসে। যাই টাকা ইনকাম করিনা কেন। তাদের কথা গুলো শুনতে অনেক ভালো লাগে।
👉 স্যার আরো একটা কথা বলেছিলেন। মানুষ যখন আপনাকে নিয়ে সমালোচনা করবে পাগল বলবে তখন মনে করবেন আপনি ভালো কিছু করতে যাচ্ছেন। আপনি সফলতার অনেক কাছাকাছি আছেন।
কে কি বল্লো সেই দিকে কান না দিয়ে নিজের লক্ষ ঠিক করে কাজ করতে থাকুন। দেখবেন সফল আপনিই হবেন।
ইউটিউব একটা সময় যেটা আমার কাছে অনেক কঠিন মনে হতো। সেটা এখন আমার কাছে অনেক সোজা মনে হয়।
👉 স্যার বলেছিলেন যেটা আপনার কাছে অনেক কঠিন মনে হচ্ছে, আপনি পারবেন কি না ভাবছেন। সাহস করে শুরু করে দেন দেখবেন একটা সময় সেটা আপনার কাছে সোজা মনে হবে। সত্যি তাই।
ইউটিউব নিয়ে যে একটা স্বপ্ন ছিলো তা কিছুটা কাছাকাছি আসতে পেরেছি মনে হচ্ছে। আর সেটা সম্ভব হয়েছে হয়তো ইউটিউবকে ভালোবাসি বলে। তখন কষ্ট গুলো আমার কাছে কষ্ট বলে মনে হয়নি।
👉 স্যার আরো একটা কথা বলেছিলেন। কাজকে ভালবাসুন, কাজের সাথে প্রেম করুন তখন কাজ করতে আপনি অনেক আনন্দ পাবেন।
🔷 আমার স্বপ্ন -
যাই হোক আমার আর একটা স্বপ্ন আছে। সেটা হচ্ছে নিজের একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হবে। সেই ছোট বেলা থেকে এই স্বপ্ন। নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরি করবো। আমি সব সময় স্বপ্ন দেখি একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার৷ নিজের ফ্যামিলির পাশাপাশি আরো অনেক হতদরিদ্র মানুষের সাহায্য করবো। গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবো। বেকার ভাই-বোনদেরকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। নিজে ভালো থাকার পাশাপাশি অন্যদেরকেও যেন ভালো রাখতে পারি অন্তত একজন মানুষের জীবন হলেও যেন বদলে দিতে পারি।
আর সেই স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করার জন্য ২০১৯ সালে নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সাথে যুক্ত হলাম। স্যারের দেওয়া সেশন গুলো ফলো করতে থাকলাম। আমার ইউটিউব করার ক্ষেত্রে আমি স্যারের সব গুলো কথা ফলো করি এবং সেই মোতাবেক কাজ করেছি। সেই ২০১৯ সালে যুক্ত হলেও রেজিষ্ট্রেশন অনেক পরে করি। ১৬ নাম্বার ব্যাচ এ রেজিষ্ট্রেশন করেছি। রেজিষ্ট্রেশন করতে সহায়তা করে আমার প্রিয় বন্ধু, সুজন শর্মা দুবাই প্রবাসী। ধন্যবাদ প্রিয় বন্ধু। ভালোবাসা রইলো তোর জন্য।
আমার স্বপ্ন যেহেতু ব্যবসা করা, তবে ব্যবসা না বুঝে করা যাবে না। তাই আমার স্বপ্নের ব্যবসা টা বাস্তবে রুপান্তরিত করার জন্য এই প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিনিয়ত শেখার চেষ্টা করতেছি। তাই সব সময় প্রতিটা সেশন চর্চায় যুক্ত থাকার চেষ্টা করি। স্যারের দেওয়া সেশন এবং সেশন চর্চার মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারতেছি।
স্যারের দেওয়া শিক্ষা নিয়ে একটা সময় নিজের একটা ব্যবসা তৈরি করবো। সত্যি বলতে প্রবাস জীবন আর ভালো লাগে না। দেখতে দেখতে ১২ বছর চলে গেলো। ইচ্ছে করে এখনি চলে যাই। মন চাইলে তো আর যাওয়া যাবে না। নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করতে হবে।
👉 স্যার বলেছেন প্রবাসে থেকেই তার পাশাপাশি বাংলাদেশে নিজের একটা ব্যবসা দাঁড় করান। আর যখনি মনে হবে আপনি এখন দেশে গেলে তেমন সমস্যা হবে না ঠিক তখনি দেশে চলে আসুন।
স্যারের সেই কথাটা চিন্তা করেই এখনো যাওয়া হয়নি। স্যারের সেশন থেকে শিক্ষা নিয়ে যেন নিজের স্বপ্নের ব্যবসা দাড় করাতে পারি এবং নিজের বলার মতো একটা গল্প তৈরি করতে পারি। আর সেই দিন হয়তো প্রবাস জীবনের অবসান ঘটিয়ে নিজ দেশে চলে যাবো।
আপনাদের সকলের সহযোগিতা এবং দোয়া একান্তই কাম্য। যেন সাহস করে স্বপ্নের ব্যবসাটা শুরু করে দিতে পারি।
❤️ প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি রইলো অফুরন্ত ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা এবং দোয়া। সৃষ্টিকর্তা যেন স্যারকে সুস্থ রাখেন। যেন আমাদের মাঝে হাজার বছর বেঁচে থাকেন।
🙏 আরো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ফেনী জেলার সকল ভাই ও বোনদের প্রতি এবং দুবাই টিমের সকল ভাইদের প্রতি। যাদের অনুপ্রেরণায় আজ এতদুর আসতে পেরেছি। স্বপ্ন দেখতে অনেক সাহস পেয়েছি। সকলের প্রতি আমার অন্তরের অন্তস্তল থেকে অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা এবং ভালোবাসা রইল❤️❤️
বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি -
✅ Naimul Hasan Sohel ভাই
✅ J M Faruk ভাই
✅ Mostak Mridha ভাই
✅ Bulbul Ahmed ভাই
✅ Hashem Khondokar ভাই
✅ Manik Laal দাদা
✅ Mohammed Forkan ভাই
✅ Sagar Banik দাদা
সবাই আমার ও আমার পরিবারের জন্য আশীর্বাদ করবেন।
🙏পরিশেষে আমি সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আপনাদের মহা মূল্যবান সময় ব্যায় করে আমার জীবনের গল্প পড়ার জন্য।
এই গল্পটা আমার বাস্তব জীবন নিয়েই লেখা। যদি আমার গল্প পড়ে আপনাদের ভালো লাগে অথবা এই গল্পটা থেকে কিছু শিখতে পেরেছেন তাহলে সুন্দর এবং গঠনমূলক একটা কমেন্ট করে পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে 🌻
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮১৮
তারিখ ১০-০৬-২০২২ইং
✅নামঃ সন্জীত কুমার দেব নাথ
✅ব্যাচ নং - ১৬
✅রেজিষ্ট্রেশন নং- ৮০৪৫০
✅জেলা ফেনী সদর
✅বর্তমান ঠিকানা - দুবাই, আরব আমিরাত
ফেসবুক পেইজ লিংক - https://www.facebook.com/Happyskvlog/