সবার সবকিছু মেনে নিয়ে নিজের পছন্দ-অপছন্দকে কবর দিয়ে দিলাম
بسم الله الرحمن الرحيم 💮
السلام عليكم ورحمة الله 💮
♥️(আসসালামু আলাইকুম)♥️
🤲গল্পে গল্পে না বলা নিজের কিছু কথা,, নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনে,, আমার জীবনের গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি,, ভালোবেসে ধৈর্য ধরে গল্পটি পড়ার অনুরোধ রইল..!♥️🤲♥️
👉সর্বপ্রথম আমি শুকরিয়া আদায় করছি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি, যিনি আমাদেরকে এই সুন্দর পৃথিবীতে সকল প্রকার বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে এখনো পর্যন্ত সুস্থ ও নিরাপদ রেখেছেন..!🤲
🥀শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সাথে স্মরণ করতে চাই, আমার মমতাময়ী মাতা পিতার প্রতি, যাদের জন্য আমি এই সুন্দর পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখেছি এবং মহান সৃষ্টিকর্তার সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে পারছি। তাই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার প্রিয় পিতা-মাতার প্রতি। আমার জীবন গল্প লেখার মাধ্য দিয়ে,, আমার মা-বাবাকে প্রাণ খুলে বলতে চাই বাবা-মা আমি তোমাদেরকে সত্যি,,🌹
♥️"অনেক বেশি ভালোবাসি,, "অনেক বেশি ভালোবাসি,, "অনেক বেশি ভালোবাসি,,♥️
🌹এরপর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমাদের সকলেরই প্রিয় মেন্টর ও শিক্ষক এবং তরুণ প্রজন্মের আইডল-আইকন, লক্ষ লক্ষ তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির কারিগর,, যিনি স্বপ্ন হারা মানুষদের স্বপ্ন দেখান,, ♥️🌹♥️জনাব IKBAL BAHAR ZAHID স্যার,, যার সুন্দর স্বপ্ন ও পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা মনমুগ্ধকর একটা প্ল্যাটফর্ম উপহার হিসেবে পেয়েছি,, পেয়েছি লক্ষ লক্ষ ভাই বোন নিয়ে বিশাল একটা পরিবার। লক্ষ প্রাণের স্পন্দন, আলোর মশাল হাতে নিয়ে ছুটে চলা এক নক্ষত্র। যার শিক্ষা বুকে ধারণ করে,, লক্ষ লক্ষ বেকার শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর বাস্তব জীবনে নিজের একটা গল্প তৈরি করতেছেন। যে গল্পে থাকছে সফলতা-ব্যর্থতা দুঃখ-কষ্ট গেরা মহা সংগ্রামী একটা জীবন কাহিনী। যিনি আমাদেরকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে বিনা স্বার্থে নিরলসভাবে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যার লক্ষ্য ও স্বপ্ন হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে বেকারত্ব দূর করার মাধ্যমে সৎ ও নিষ্ঠার সাথে নিজেকে তৈরি করা। এই মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, তাই প্রিয় স্যারের প্রতি আমার পক্ষ থেকে লাখো স্যালুট। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার প্রাণপ্রিয় রয়েল ডিস্ট্রিক নোয়াখালী জেলার কৃতি সন্তান আমাদের সকলেরই পছন্দের একজন প্রিয় মানুষ,, যিনি আমাদের নোয়াখালী জেলার গর্ব এবং পথপ্রদর্শক, সকালের স্নেহভাজন ও শ্রদ্ধাভাজন জনাব Abdul Karim Munna ভাইকে, সেইসাথে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি, আমার খুব পছন্দের একজন প্রিয় মানুষ M A Karim ভাইকে এবং আমার প্রাণপ্রিয় রয়েল ডিস্ট্রিক নোয়াখালী জেলার সকল আজীবন সদস্য ও দায়িত্বশীলদের প্রতি এবং প্রিয় স্যারের ফাউন্ডেশনে বাংলাদেশ থেকে 64 জেলার ও বিভিন্ন দেশের 50 টিরও বেশি সকল আজীবন সদস্য ও দায়িত্বশীলদের প্রতি। আমাদের দেশের অক্সিজেন ও রেমিটেন্স যোদ্ধা সকল প্রিয় প্রবাসী ভাইদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা প্রকাশ করছি।
♥️আমার পরিচয়টা দিচ্ছি♥️
🥀আমি মোঃ রেজাউর রহমান (রিয়াজ)
♥️বাবা: মাওলানা মোঃ আনিছুর রহমান (খতিব ও ধর্মীয় শিক্ষক)
♥️মা: জোহুরা খাতুন (গৃহিণী)
আমরা তিন ভাই এক বোন, আমার ভাই ♥️মোঃ আশরাফুর রহমান (সৌদি প্রবাসী) ছোট ভাই ♥️মোঃ রাকিবুর রহমান (বিমান বাহিনী) আমার বড় বোন ♥️রহিমা ইয়াসমিন (ডিগ্রি) আলহামদুলিল্লাহ তার একটা সুখী পরিবার আছে, আমার বোনকে আমরা সবাই অনেক বেশি শ্রদ্ধা ও সম্মান করি,, আমি আমার বাবা মায়ের বড় ছেলে, আমারও একটা ছোট পরিবার আছে আমার স্ত্রী ♥️🌹ফাতেমা আক্তার (রিমি) আমার একটা পুত্র সন্তান আছে, ♥️🌹মোঃ রাফিদুর রহমান (সোহার্দ্য) যাইহোক এই হলো আমার ছোট পরিচয়।
♥️🌹আমার জন্ম ও শৈশব🌹♥️
🥀নোয়াখালী জেলার, সুবর্ণচর উপজেলায় 04/08/1989 ইং সালে রোজ শুক্রবার আমি জন্মগ্রহণ করি। আমার বড় বোনের জন্মের ঠিক দুই বছর পর আমার জন্ম হয়, এবং আমার ২বছর পর আমার দ্বিতীয় ভাইয়ের জন্ম হয়, এরপর প্রায় ৬/৭ বছর পর আমার আরো একটা ভাইয়ের জন্ম হয়।♥️ আমরা সব ভাইবোন বাবা-মায়ের খুব আদরের সন্তান ছিলাম, আমার মায়ের কাছ থেকে শোনা কথা,, ছোটবেলায় আমি মোটামুটি শান্ত স্বভাবের ছিলাম, তবে আমি প্রায়ই অসুস্থ থাকতাম,, 🤲আল্লাহর রহমত ও আমার বাবা মায়ের ভালোবাসা ও কষ্টের বিনিময়ে আমি এখনো বেঁচে আছি। একবার নাকি আমি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় মৃত্যু শয্যায় ছিলাম,, আমার মা কান্নাকাটি করতেছে অনেক চেষ্টা করেও কোনো পরিবর্তন দেখতেছে না,, কিন্তু আমার বাবা তখন চাকরীর খাতিরে এলাকার বাইরে ছিলেন। বাবা যখন বাড়িতে আসছেন,, আমাকে এই অবস্থায় দেখে দুই হাতে কোলে নিয়ে, পায়ে হেঁটে অনেক দূর গিয়ে একটা হোমিও ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ খাওয়ানোর পর আমি মোটামুটি সুস্থ হই। কারণ তখন গ্রামে যোগাযোগ বা যাতায়াতের সুব্যবস্থা ছিলো না,, এমনকি ভালো কোনো ডাক্তারও ছিলনা। আমার বাবাও আমার দাদুর পরিবারের বড় ছেলে, সে ক্ষেত্রে আমার বাবাকেও দাদুর পরিবারের হাল ধরতে হয়েছে। আমার দাদি অনেক রাগী স্বভাবের ছিলেন এবং দাদুর পরিবারের সকল কাজকর্ম চাষাবাদ থেকে শুরু করে সবকিছু আমার মা-বাবা দেখাশোনা করতেন। আমার দাদুর পরিবারে কৃষি কাজ হতো অনেক বেশি, কৃষি কাজের পাশাপাশি আমার দাদু চাকরি করতো আমার বাবাও তখন চাকরি করতো। আমার দাদী সংসারের বিভিন্ন কাজ নিয়ে মায়ের প্রতি অনেক অত্যাচার করতো, অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হতো আমার মা কে😢 পরবর্তীতে এই কথাগুলো আমরা সবাই শুনি, তখন বাকরুদ্ধ হয়ে যেতাম, আমাদের পরিবারে সবাই কান্নায় অশ্রুসিক্ত হয়ে যেতো। তখন আমার মায়ের প্রতি অনেক বেশি আফসোস হয়,😔 মনে হয় আমার মা আমাদের জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। আমার মাকে দেখে আশেপাশের মানুষ মায়ের জন্য অনেক আফসোস করতো, কিন্তু আমার দাদুর ভয়ে কিছু বলতে পারতেন না। আর একটা বিষয় বলতে হয়, আমার মায়ের খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয়, আমার মায়ের মাত্র 12 বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল। আমার বাবা চাকরির খাতিরে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেতো কিন্তু আমার মা সংসারের সকল কষ্ট সহ্য করেও অনেক পরিশ্রম করার পরেও আমাদেরকে অনেক যত্ন নিতো।♥️ হয়তো সারাদিন কাজের জন্য আমাদের দেখাশুনা করতে না পারলেও দিনশেষে ঠিকই আমার মা আমাদেরকে বুকে টেনে নিতো,, আমাদের গায়ের নোংরা জামা কাপড় পরিবর্তন করে গোসল করিয়ে দিতো, কিছু খাওয়ানোর মতো থাকলে খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতো। সংসার জীবন কতটা কষ্টের, কতটা কঠিন সেটা আমার মায়ের মুখ থেকে শুনলেই বুঝা যায়। যাইহোক এভাবেই আমাদের জীবন অতিবাহিত হতে লাগলো, আমরা বড় হচ্ছি অনেক কিছু বুঝতে শিখেছি জানতে শিখেছি।♥️
তবে আমার বাবার কথা না বললেই নয়, নিজের পড়ালেখার খরচ নিজেই জোগাড় করতেন, দাদুর পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে সংসারের দায়িত্ব আমার বাবার কাঁদেই ছিলো, গরু ছাগল থেকে শুরু করে সকল প্রকার কৃষিকাজ ও হাল চাষ করতেন এবং আমার দাদুর একটা ব্যবসা ছিলো, যেটা হচ্ছে আমাদের এলাকায় যতগুলো হাটবার ছিলো প্রত্যেকটা হাটে লুঙ্গি-গামছা এগুলো বিক্রি করতো আর এগুলোর সাথে আমার বাবাও থাকতেন, পড়াশোনার পাশাপাশি এভাবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আমার বাবা অনেক কষ্টের পরেও পড়ালেখা ছেড়ে দেয়নি, পড়ালেখা চালিয়ে গেছেন। আমার বাবা কামিল পাশ করে, নিজেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। আমাদের পড়াশোনার পাশাপাশি আমার বাবাও নিজের পড়াশুনা চালিয়ে গেছেন। আমার বাবা আমাদেরকে অনেক বেশি ভালোবাসেন, বাবা যখন বিভিন্ন জায়গা থেকে বাড়িতে আসতেন আমাদের জন্য ফল ফ্রুট নিয়ে আসতেন, তখন এমন হইতো যে আমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছি, কিন্তু বাবা আমাদেরকে আদর করে ডেকে ঘুম থেকে তুলে সবাইকে খাওয়াতেন তারপর আবার ঘুম পাড়িয়ে দিতেন। বাবার তখন আর্থিক অবস্থা অতটা ভালো ছিলনা,তাই আমাদেরকে হয়তোবা দুই ঈদে নতুন জামা কাপড় কিনে দিতেন, কিন্তু আমাদের প্রতি বাবার মধ্যে আলাদা একটা ভালোবাসা দেখতাম♥️ যেটা হচ্ছে নতুন জামা-কাপড় আনার পরে, যখন দেখতো যে আমরা ঘুমিয়ে পড়েছি, বাবা তখন আমাদেরকে ঘুম থেকে তুলে নতুন জামাকাপড় পরিয়ে আমাদের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকতেন এবং বড় বড় নিশ্বাস নিতেন,,তখন বাবাকে দেখে মনে হতো কেনো জানি বাবা আফসোস করতেছেন, কিন্তু সেটা তখন বুঝতে না পারলেও এখন বুঝতে পারি আমার বাবার হয়তো অনেক স্বপ্ন ছিলো,, কিন্তু আর্থিক অভাব অনটনের কারণে সেটা বাবার হয়ে উঠত না..! তাইতো বলি বাবা-মায়ের ঋণ কখনো শোধ করার মতো নয়,♥️বাবা তোমাকে অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি তোমাকে লক্ষ কোটি স্যালুট জানাই আমি♥️ এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে সব সময় দোয়া প্রার্থনা করি,, তিনি যেনো তোমাদেরকে সুস্থতার সাথে নেক হায়াত দান করেন।🤲♥️🤲
🥀📖📚শিক্ষা জীবন📚📖🥀
📝 যখন আমার বয়স প্রায় 5 থেকে 6 বছর তখন আমার বাবা আমাকে আমাদের বাড়ির পাশে একটা প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি করে দেন। আমি ঐখানে আসা-যাওয়ার মাধ্যমে পড়াশোনা করতেছি, ছোটবেলায় পড়াশোনায় মোটামুটি আগ্রহী ছিলাম, আমার মনে আছে, আমি স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে বার্ষিক পরীক্ষা শেষে আমি রোল দুই নাম্বারে পাশ করি, তখন আমাদের ওইখানে বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে আমাকে 100 টাকার একটা প্রাইজমানি পুরস্কার দেন💝 যেটা ব্যাংকের মাধ্যমে ভাঙানো হয়েছিলো,, এভাবে কিছুদিন যায়,, তখন বাবা আলাদা হয়ে যায়, অনেক দুর অবস্থা আমাদেরকে নিয়ে কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা, হঠাৎ আমরা জানতে পারি, বাবার নোয়াখালী চৌমুহনী বেগমগঞ্জ এলাকায় একটা মাদ্রাসায় শিক্ষক হিসেবে চাকরি হয়,, তখন বাবা-মা আমাদের সবাইকে নিয়ে বেগমগঞ্জ এলাকায় একটা বাসা ভাড়া নিয়ে উঠেন,, ওইখানে আমাদের দুই ভাই-বোনকে বাবার মাদ্রাসায় ভর্তি করে দেন,, ঐখানে আমার বড় বোন ও আমি আমরা দুইজন পড়াশোনা করতাম, আমার বোন পড়াশোনায় অনেক ভালো ছিলো,, আমার একটা কথা মনে পড়ে, ঐ মাদ্রাসায় আমার বোন এবং আমি একটা বার্ষিক অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করে পুরস্কার অর্জন করি,, এভাবে পড়াশোনা করতেছি অনেক কিছু শিখতেছি আস্তে আস্তে বড় হচ্ছি,, প্রায় ৩/৪ বছর পার হয়ে গেলো,, মোটামুটি আমাদের ফ্যামিলি ঐলাকার সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে গেছে, সবাই আমাদেরকে অনেক আদর করতো সবরকম সহযোগিতা করতো নিজের আত্মীয়-স্বজনদের চাইতেও অনেক বেশি কেয়ার করতেন ভালোবাসতেন,, এর মধ্যে আমাদের এলাকায় আমার দাদুর ভাই দাদু একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন, তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অর্থ সচিব এ টি এম আতাউর রহমান, যিনি আমাদের এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের পাশাপাশি, পূর্ব চরবাটা স্কুল এন্ড কলেজ নামে একটা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন,, এবং সেখানে আমার বাবার যোগ্যতা অনুযায়ী ধর্ম শিক্ষক হিসেবে চাকরি করার জন্য বললেন,, তখন আমার বাবা আবার চলে সিদ্ধান্ত নিলেন, যেহেতু নিজের এলাকায় চাকুরি, তাই আবার সবকিছু ছেড়ে দাদুর প্রতিষ্ঠানে চাকুরি শুরু করেন,, এরপর আমার বাবা নতুন করে জায়গা কিনে একটা বাড়ি তৈরি করেন আমার দাদুর বাড়ি থেকে একটু দূরে অনেক সুন্দর একটা বাড়ি ছিলো আমাদের,, আমরা ভাই বোন সবাই অনেক দূর থেকে পায়ে হেঁটে এসে পড়াশোনা করতাম,, কিন্তু যেখানে বাবা বাড়ি তৈরি করেছেন, ঐ এলাকার পরিবেশ এতোটা ভালো ছিলো না, অনেক গ্রাম্য পরিবেশ ছিলো, বেশিরভাগ মানুষ কৃষি কাজ করতো রাখালের কাজ করতো গরু ছাগল লালন পালন করতো, তখন বাবার মনে হচ্ছে যে আমরা ভালো কোন পরিবেশ পাচ্ছি না,, আমরা পড়াশোনা থেকে একটু দূরে সরে যাচ্ছি,, এবং বাবার আর্থিক অবস্থাও অনেক খারাপ ছিলো, কারণ যেখানে বাবা চাকরি করতেন সেখানে বাবার প্রতি মাসে বেতন ছিল মাত্র 2000 টাকা, কারণ ঐ স্কুল এন্ড কলেজ তখনও এমপিওভুক্ত হয়নি,,😔 আমার বাবা তখনও কামিল পাশ করেনি,, যখন এমপিওভুক্ত হওয়ার কথা তখন সবাই বলতেছেন, কামিল পাস না করলে বাবাকে এমপিওভুক্তের আওতায় নেওয়া যাবে না, বাবার তখন মাথায় হাত কি করবে বুঝতে পারতেছেনা, এই অবস্থায় বাবা আবার কামিল পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ভর্তি হয় এবং পরীক্ষা দিয়ে আমার বাবা সেকেন্ডি ডিভিশনে পাস করেন,🎓 কিন্তু সত্যি কথা বলতে তখন আমাদের আর্থিক অবস্থা অনেক খারাপ ছিলো, বাবা অনেক টাকা ঋণী হয়ে গেছে বিভিন্ন কারণে,, এরপর আমি আমাদের হাবিবিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণী পাস করি,, এবং আমাদের ঐখানে হাই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হই,, কিন্তু পরিবেশ এবং নানান পারিপার্শ্বিকতার কারণে হয়তো আমার পড়াশোনার প্রতি একটু মনোযোগ হারিয়ে ফেলছি,, এগুলো দেখে বাবা চিন্তা করলেন পরিবেশের কারণে আমাদের পড়াশোনা হচ্ছে না, তখন আমার বাবা আবার সিদ্ধান্ত নিলেন ঐ বাড়ি বিক্রি করে দিবেন,😢 একটা ভালো পরিবেশে আবার নতুন করে বাড়ি তৈরি করবেন,, যেই ভাবনা সেই কাজ শুরু করলেন আমাদের আগের বাড়িটা বিক্রি করে নতুন করে, আমার দাদুর বাড়ির পাশে একটা জায়গা কিনে নতুনভাবে বাড়ি তৈরি করেন তখন 2001 সাল ছিলো, এভাবেই কিছু দিন যায়,, যখন আমি সপ্তম শ্রেণী পাস করি,, কিন্তু বাবা আমার পড়াশোনার প্রতি অমনোযোগী দেখে সিদ্ধান্ত নিলেন আমাকে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করাবেন,, এরপর আমাদের থেকে অনেক দূর একটা এলাকায় চরবাটা ইসমাইলিয়া আলিম মাদ্রাসা নামে একটা প্রতিষ্ঠান ছিলো,, ঐ মাদ্রাসায় বাবা আমাকে আবার ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করিয়ে দেন,😱 এভাবে মাদ্রাসা আর স্কুল করতে করতে কয়েক বছর পার হয়ে যাই,, আমার পড়াশোনার প্রতি অনীহা তৈরি হয়। কিন্তু এরপর আমি 2007 সালে মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিলাম,, তবে একটা কথা বলা হয়নি আমার বাবা অনেক রাগী একজন মানুষ ছিলেন, কিন্তু আমার বাবার মন-মানষিকতা অনেক ভালো,, আমরা সবাই আমার বাবাকে ভয় পেতাম, তাই সব কিছু আমার মায়ের সাথে শেয়ার করতাম। কিন্তু সবকিছুতে বাবা-মা কে জবাবদিহি করতে হইতো 🥺 এটা আমার পছন্দ হতো না,, তাই নিজে নিজে ভাবলাম আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে যাব, কারন ছোটবেলা থেকেই আমি স্বাধীন ভাবে চলা পছন্দ করতাম, কাউকে জবাবদিহি করার বিষয়টা মেনে নিতে পারিনা,, তাই দাখিল পরীক্ষা শেষ করে আমার এক আত্মীয়ের সাথে চট্টগ্রাম চলে আসি,, সেটাও বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়ে,, কারণ বাবা-মা ভাবতেন যে নিজের এলাকা ছেড়ে বাহিরে গেলে অনেক কিছু শিখতে পারবো, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবো, এই ভেবে আমাকে অনুমতি দিলেন,, তখন আমি চট্টগ্রামে ফটিকছড়ি জেলায় চলে আসি,, সেখানে নানুপুর মাদ্রাসায় আলিমে ভর্তি হই,, কিন্তু ঐ মাদ্রাসায় আরবি ভাষার পাশাপাশি ফার্সি ও উর্দু পড়া থাকাই আমার কাছে সবকিছু আরো অনেক কঠিন হয়ে যায়।
তখন আমি পড়াশোনার পাশাপাশি নানুপুর এলাকায় লজিং হিসেবে একটা ফ্যামিলিতে থাকতাম। তাদের ছোট ছোট দুইটা বাচ্চা ছিল ওদেরকে পড়াশোনা করানো ছিলো আমার কাজ। বিনিময় দুই বেলা থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা ছিলো। এর পাশাপাশি আমি ছোট ছোট টিউশনি করতাম, এক একটা টিউশনি থেকে 300 থেকে 500 টাকা করে পেতাম। যাইহোক এভাবেই আমার দিন যাচ্ছিল। প্রায় 3 থেকে 4 বছর ঐ এলাকায় ছিলাম। কিন্তু আমার মনের মধ্যে সবসময় একটা বিষয় কাজ করতো যে আমাকে কিছু একটা করতে হবে। আমাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে, যেহেতু আমি জানি তখন আমার বাবার আর্থিক অবস্থা অনেক খারাপ ছিলো। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম ঐ এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসবো। যেই ভাবনা সেই কাজ চলে এলাম চট্টগ্রাম শহরে।😱
🌹👉শুরু হলো কর্ম জীবন👈🌹
👉যখন আমি চট্টগ্রাম শহরে চলে আসছি, তখনি আমার জীবনে কঠিন থেকে কঠিনতম দিন শুরু হলো,, মনে হচ্ছে কালো অন্ধকার নেমে আসছে, কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা, কিছুই খুঁজে পাচ্ছিনা, তখন মনে হয় জীবনটা অনেক কষ্টের এবং অনেক কঠিন, শহরের সব মানুষগুলো আমার কাছে অপরিচিত মনে হচ্ছিলো, খেয়ে না খেয়ে জীবন পার করতেছি,🥺, আর সব সময় চেষ্টা করতেছি কিছু একটা করার জন্য, নিজের পায়ে কিভাবে দাঁড়াবো এটা নিয়ে প্রতিনিয়ত ভাবতেছি,, কিন্তু কোন সুযোগের সন্ধান পাচ্ছিনা,, ভাবলাম আবার টিউশনি শুরু করি,, তখন আবার ছোট ছোট টিউশনি শুরু করলাম,,পাশাপাশি একটা নুরানী কিন্ডারগার্ডেনে অংক ইংরেজি শিক্ষক হিসেবে আবার কাজ শুরু করলাম,, যদিও বেতন খুবই নগণ্য ছিলো,, তবে মাথায় সবসময় এটা কাজ করতো যে, অন্তত কিছু টাকা হলেও বাড়িতে পাঠাইতে পারবো বাবা-মার হাতে দিতে পারবো,🙂, এবং নিজের একটা অভিজ্ঞতা তৈরি হবে,, এভাবে অনেক দিন যাচ্ছে, কিন্তু যে টাকা বাড়িতে পাঠাচ্ছি সেটা আমাদের ফ্যামিলির জন্য কিছুই না, আমার বাবার বেতন তখনও অনেক কম ছিলো,, আমার বোনের বিয়ে দেওয়ার সময় বাবা অনেক শখ করে বড় করে অনুষ্ঠান করে বিয়ে দিলো,🤯👰, কিন্তু সম্পূর্ণ ঋণ করে তাই বাবা আবারও অনেক টাকা ঋণী হয়ে গেলো,, এ সবকিছু সবসময় আমাকে মনের মধ্যে তাড়া দিতো কিন্তু আমি নিরুপায় ছিলাম, ফ্যামিলির জন্য কিছুই করতে পারতেছিনা, এগুলোর জন্য সবসময় আফসোস করতাম,, তবে আমি প্রতিনিয়ত একটা চাকুরি খুঁজে বেড়াচ্ছি,, বিভিন্ন পেপার-পত্রিকায় চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি খুঁজতেছি,,
হঠাৎ চট্টগ্রাম আজাদী পত্রিকায় একটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পেলাম সেটা হচ্ছে বাইং হাউজের ট্রেনিং করানোর পরে চাকরি দেওয়া হবে,, তবে ট্রেনিং ফ্রি হচ্ছে ২৫০০ টাকা কিন্তু তখন এই টাকা গুলোও আমার জন্য অনেক বেশি ছিলো। তবে আমার মাথায় সবসময় এটা ছিল, যেকোনো উপায়ে আমাকে টাকাগুলো জোগাড় করতে হবে। এই টাকাটা আমি অনেক কষ্ট করে ধার করে জোগাড় করি,, অনেক সময় এরকম হয়েছিল যে আমি দুপুরে লাঞ্চ করতে পারিনি, চা দিয়ে একটা পরোটা খেয়ে সারাদিন পার করে দিয়েছি,, তারপর চাকরির জন্য টাকা দিয়ে ট্রেনিং শুরু করি,, প্রায় তিন মাস পর আমার ট্রেনিং শেষ হয়, এবং তাদের সহযোগিতায় সামান্য বেতনে একটা বাইং হাউজ কাজ শুরু করি,, তখন 2010 কিংবা 11 সাল ছিলো,, তখনকার বেতন স্কেল অনুযায়ী আমার বেতন ৩ হাজার টাকা এবং অ্যালাউন্স বাসা ভাড়াসহ সবকিছু মিলে প্রতি মাসে বেতন পেতাম ৫৫০০ টাকা,, আলহামদুলিল্লাহ এতেও আমি অনেক খুশি ছিলাম আমি প্রতি মাসে আমার বাবা-মাকে প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা বাড়িতে পাঠাইতাম । এভাবে অনেক দিন যাচ্ছে, কিন্তু আমার স্বপ্ন যে আমাকে আরও বড় হতে হবে নিজে কিছু একটা করতে হবে, সবসময় চিন্তা করতাম কি করবো। হঠাৎ দেখি বাংলাদেশে ডেসটিনির মতো অনেকগুলো এমএলএম কোম্পানি বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে বিজনেসের কথা বলে মানুষকে অতি উৎসাহিত করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেখাচ্ছিলো। তারা বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে মানুষদেরকে মোটিভেট করে অনেক পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বুদ্ধ করছে। ওদের কথা গুলো মনে হচ্ছিলো প্রায় আমার স্বপ্নের সাথে মিলে যাচ্ছে, আসলে আমি তো এরকম কিছু চাচ্ছিলাম তাই অনেক ভেবে চিন্তে তাদের সাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। এভাবে তাদের সাথে কাজ করে অনেক দিন পার করলাম, কিন্তু আমার কোনো পরিবর্তন আসেনি,, কিছুদিন পর সরকার এই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়। তবে যেহেতু এই কাজগুলো জবের পাশাপাশি করা যেতো তাই আমি কখনো জব ছাড়িনি,, তবে এটা সত্য যে আমার অন্যের আন্ডারে কাজ করা বা অন্যকে জবাবদিহি করা এটা একদমই পছন্দ ছিলো না। তাই সব সময় ভিন্ন কিছু খোঁজার চেষ্টা করতাম। আমার একটা বিষয় নিজেকে খুব কষ্ট দেয় সেটা হচ্ছে, যখন আমার বাবাকে কেউ জিজ্ঞেস করে, আপনার ছেলে শহরে কি করে, তখন আমার বাবা ভালো কোন উত্তর দিতে পারে না, এটা আমি সবসময় ফিল করি, এটা আমাকে অনেক বেশি কষ্ট দেই, আমি জানি আমার বাবাকেও অনেক বেশি কষ্ট দেই এই বিষয়টা, কারণ আমি কি করি বলার মতো ভালো কোনো কিছু বা কোনো পরিচয় আমার ছিলোনা। তাই সবসময় চিন্তা করতাম দ্রুত আমাকে কিছু একটা করতে হবে। তখন উচ্চাকাঙ্ক্ষা তৈরি করা অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ভাবে মানুষদেরকে ব্যবসায়িক মনোভাব দিয়ে ব্যবসায়িক উদ্দীপনা তৈরী করত, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো, এরকম স্বপ্ন এবং প্রত্যাশা দিয়ে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান আমার জীবনেও আসে, আমি সবগুলো প্রতিষ্ঠানেই ট্রাই করি, শুধু নিজের একটা পরিচয় তৈরি করার জন্য এবং নিজেকে সফল মানুষ হিসেবে তৈরি করার জন্য। কিন্তু বিভিন্ন কারণে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান একসময় বন্ধ হয়ে যায়। এতে আর্থিকভাবে আমি অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আমার জীবন থেকে অনেকগুলো সময় পার হয়ে যাই, কিন্তু আমার জীবনের মোড় ঘুরেনি এখনো পর্যন্ত নিজেকে পরিবর্তন করতে পারেনি। আমি এখন বিশ্বাস করি উপলব্ধি করি, তখন যদি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের মতো একজন ভালো মানুষের শরণাপন্ন হতে পারতাম, তাহলে নিশ্চয়ই আমি নিজেকে একজন সফল মানুষ হিসেবে পরিবর্তন ও তৈরি করতে পারতাম।
👍🛑কাজের প্রতি আগ্রহ🛑👍
👉আমি সব সময় যেকোনো কাজ করতে আগ্রহী ছিলাম। আমি যখন জব শুরু করি তখন টানা তিন বছর আমার কোন লিভ ছিল না এবং আমি অফিসে কখনো অনুপস্থিত ছিলাম না, সব সময় উপস্থিত থাকতাম, এজন্য আমাকে অফিস থেকে টানা তিন বছর জিরো ডে অনুপস্থিত থাকার জন্য সার্টিফিকেট প্রদান করেছিলো🎁 তাই অফিসের সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। এরপরও আমি জবের পাশাপাশি বাড়তি কিছু করার চেষ্টা করতাম। কারন আমার সবসময় মাথায় থাকতো আমাকে অবশ্যই কিছু একটা করতে হবে। জবের পাশাপাশি আমি মোবাইল সার্ভিসিং এর কাজ শিখেছি, বিভিন্ন জায়গায় আমি ডেইলি বেসিসে কাজ করেছি। আমি জবের পাশাপাশি আমার বাবার কাছ থেকে ঋণ করে কিছু টাকা এনে একটা বিজনেস শুরু করেছিলাম🤝 ছেলেদের সব পোশাক আইটেম নিয়ে ব্যবসা শুরু করি। প্রথম অবস্থায় আমার ব্যবসাটা অনেক ভালো ছিলো। কিন্তু বছর খানেক পরে বিভিন্ন কারণে আমার ব্যবসাতে অনেক ক্ষতি হয়। কিন্তু কোনো উপায় না পেয়ে তখন আমি আমার টোটাল ব্যবসাটা বিক্রি করে দিই, তবে আমি যার কাছে বিক্রি করি সে আমার সব মালামাল নিয়ে পালিয়ে যাই। আমি এক টাকাও পায়নি তার কাছ থেকে, ঐ ব্যবসাতেও আমি অনেক বড় ধরনের ক্ষতি গ্রস্থ হই,, এরপরেও আমি আমার জবের স্যালারি স্টেটমেন্ট দিয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে লোনের ব্যবস্থা করি। তারপর চট্টগ্রামের পরিচিত একজন মানুষের সাথে যৌথভাবে একটা ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করি। এবং আমার শেয়ার পার্টনার হিসেবে তাকে মালামাল কেনার জন্য তার হাতে টাকা দিলাম। কিন্তু সেও আমার সাথে চিটিং করে পালিয়ে যাই। এখানেও আমি অনেকগুলো টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হই। কারণ যে আমার শেয়ার পার্টনার ছিল সে ব্যবসা শুরু করার আগেই টোটাল টাকাগুলো নিয়ে উধাও হয়ে যাই। এখন বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইনে অ্যাপসের মাধ্যমে অ্যাড শো করে ইনকাম করা যায় এ ধরনের কিছু কোম্পানি আসছে। এগুলোতেও আমি ট্রাই করি নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য। তবে এখানেও আমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই। কিন্তু আমি এখন বুঝতে পারছি, যে আমার অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়া ভুল ছিলো, যেগুলো আমাকে আরো অনেক বেশি ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিলো। তবে এখন আমি বুঝতে পারছি প্রিয় স্যারের টানা 90 দিনের প্রশিক্ষণ গুলো নিয়ে নিজেই উপলব্ধি করতেছি, যেকোনো কাজে বা বিজনেসে ইনভেস্ট করলে ভালো ইনকাম হবে এটা ঠিক না। তবে প্রথমে আমাকে বিজনেস সম্পর্কে জানতে হবে শিখতে হবে, বিজনেস রুলস গুলো ফলো করতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক জায়গায় সঠিক ভাবে ইনভেস্ট করা জানতে হবে, তাহলেই ইনশাআল্লাহ নিজেকে সফলভাবে তৈরি করতে পারবো। গত করোনার সময় আমি বাড়িতে ছিলাম প্রায় দুই মাস, তখন আমার মাথায় একটা প্ল্যান আসছে, যে আমি আমার বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন করবো, এটা নিয়ে একটা সোনালি মুরগির খামার তৈরি করি। যেহেতু আমি এই বিষয়গুলো ইউটিউবে সব সময় দেখি, ঐখান থেকে এই ভাবনা নিয়ে, আমি একটা ঘর তৈরি করি। আমার বাড়িতে আমার মায়ের সহযোগিতায় আমি খামারে মাংসের জন্য সোনালী মুরগির বাচ্চা দিয়ে কাজ শুরু করি, ঐখান থেকে মোটামুটি ভালো একটা লাভ হয়। এই থেকেই আমার পরিকল্পনা আমি এগ্রো নিয়ে কাজ করবো। তবে আমি এখনো জব ছাড়িনি, জবের পাশাপাশি ছোট করে আমার খামার চালু রেখেছি, ইনশাআল্লাহ আমার এটা নিয়ে অনেক বড় পরিকল্পনা রয়েছে।
♥️🌹♥️বিয়ে ও জীবন সঙ্গিনী♥️🌹♥️
🌹🌹প্রত্যেকটা মানুষের জীবনসঙ্গিনী নিয়ে একটা স্বপ্ন থাকে, নিজের পছন্দ-অপছন্দের একটা বিষয় থাকে, যে তার সহধর্মিণী কেমন হবে। আমি এটা বিশ্বাস করি, যে মানুষ সৌন্দর্যের পুজারী সুন্দরের প্রতি সবার একটু লোভ থাকে, ভালোবাসা থাকে আকর্ষণ থাকে এটাই স্বাভাবিক। আমিও তার ব্যতিক্রম না, জীবনে চলার পথে কাউকে না কাউকে ভালো লাগতেই পারে এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যাকে আমি ভালোবাসছি তাকে বিয়ে করবো এটা কখনো তাকে বলতে পারেনি বা বলার সুযোগ হয়নি। তবে আমি আমার মা-বাবাকে পছন্দের কথা জানিয়েছি, যে আমার কেমন মেয়ে পছন্দ বা কেমন মেয়ে বিয়ে করতে চাই। তখন ফ্যামিলির সবাই বলছে, যে আমার পছন্দের কেউ থাকলে জানানোর জন্য, কিন্তু আমি যার কথা বলবো তাকেই কখনো বলা হয়নি যে তোমাকে আমার পছন্দ হয়েছে, সেজন্য এই বিষয়টা আমি আমার ফ্যামিলিকেও বলতে পারিনি। তবে আমার ফ্যামিলি ভাবছিলো যেহেতু আমি শহরে থাকতাম নিশ্চয়ই কাউকে না কাউকে আমার পছন্দ থাকবে, পছন্দ হতেই পারে, কিন্তু আমি বিয়ে করার মতো এমন কাউকে নির্দিষ্ট করিনি সেজন্য এই বিষয়টা আমি আমার ফ্যামিলির কাছেও বলতে পারিনি। যাই হোক যেহেতু এ বিষয়টা আমার ফ্যামিলি দায়িত্ব নিয়েছে, এবং আমি আমার ফ্যামিলিকে আমার পছন্দের বিষয়টাও জানিয়েছি, যে আমার কেমন মেয়ে পছন্দ,, কিন্তু আমি আশা নয় বিশ্বাস করেছিলাম, যে আমার ফ্যামিলী আমার পছন্দের সর্বোচ্চ মর্যাদা দিবে এবং সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তবে আমি মনে করি, এই ব্যাপারে তারা ব্যর্থ হয়েছে। তারা আমার মনের অবস্থা বুঝার চেষ্টা করেনি। এক কথায় তাদের পছন্দ মতো জায়গায় আমার মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে, ♥️🌹♥️উপরওয়ালার ইচ্ছায় 08/09/2017ইং সালে আমার বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। আমি বিবাহিত জীবনে আবদ্ধ হই ।আমাকে বিয়ে করার জন্য আমার ফ্যামিলি হয়তো বিভিন্ন জায়গায় অনেকগুলো মেয়ে দেখেছে, হয়তো সেগুলো তাদের পছন্দ হয়নি, কোনো না কোনো সমস্যা ছিল। ফাইনালি আমি এখন যাকে বিয়ে করি তাকে হয়তো সবদিক থেকে আমার ফ্যামিলির পছন্দ হয়েছে। তারপরও আমি রাজি ছিলাম না, কিন্তু কিছু কথার কারণে আমি বিয়েতে রাজী হইতে বাধ্য হই, যেমন আমার বাবা বলতো এই ফ্যামিলিতে আমার ছেলের বিয়ে হলে আমার বাবা অনেক খুশি, এটার জন্য আমার বাবা নাকি দোয়া করতেন যেন এই ফ্যামিলিতে ছেলের বিয়ে হয়। আমার মা বলতেন অনেক জায়গায় মেয়ে দেখেছি কোন দিক থেকে মিলাইতে পারতেছিনা। তাই এটাই আমাদের জন্য ঠিক আছে। তার পরেও এগুলো আমার সমস্যা ছিল না কিন্তু আমি আমার বোন এবং বোনের হাজবেন্ডের কথা চিন্তা করে রাজী হয়ে গেলাম। তবে আমার বোন একটা কথা বলেছিল আমি যেরকম মেয়ে চাচ্ছি। ঐরকম মেয়েকে কেনো মেয়ের বাবা তোমার কাছে বিয়ে দিবে, যাইহোক আরো কিছু কথা ছিল। সবার সবকিছু মেনে নিয়ে নিজের পছন্দ-অপছন্দকে কবর দিয়ে দিলাম। ঐখানে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত হল এবং আলহামদুলিল্লাহ বিয়ে করলাম। তবে সবকিছু মেনে নেয়ার পরও চেষ্টা করেছি আমার স্ত্রীকে নিজের মতো করে তৈরি করে নিতে এবং মানিয়ে নিতে,,জানিনা কতটুকু পারসি। তবে আমার স্ত্রী খারাপ এটা বলতেছি না, তবে বাকিটা আল্লাহ মাবুদ বলতে পারেন, আসলে আমার জীবনে সামনের দিনগুলো কেমন হতে পারে। ♥️আমাদের ভালোবাসার ফসল হিসাবে 23/06/2018ইং সালে ফুটফুটে একটা পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
🌹প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে কি পেয়েছি🌹
🥀 এই ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়েছি ইউটিউবে একটা ভিডিও দেখে, যেখানে আমাদের রয়েল ডিস্ট্রিক নোয়াখালী জেলার মোরশেদ আলম ভাইয়াকে অভ্যর্থনা ও নিজে কিভাবে উদ্যোক্তা হয়েছেন এই গল্প নিয়ে কথা বলার একটা ভিডিও দেখে তারপর মোরশেদ ভাইকে মেসেঞ্জারে নক করি এবং আমি এই প্লাটফর্মে কিভাবে শুরু করতে পারি। তখন মোরশেদ ভাই ফাউন্ডেশনে রেজিস্ট্রেশন করে নোয়াখালী জেলা মেসেঞ্জার গ্রুপে যুক্ত করে দেন। তাই প্রিয় মোরশেদ ভাইয়ের প্রতি অনেক বেশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি,🌹 প্রিয় স্যারের শিক্ষা পেয়েছি,, এবং স্যারের কাছ থেকে অনেক প্রতিকূল অবস্থা থেকেও কিভাবে আবার নিজেকে ঘুরে দাঁড়ানো যায়, সেই শিক্ষা অর্জন করেছি,,এবং আমি একজন ভালো মানুষ এটা বলার জন্য সৎ সাহস পেয়েছি। 🌹মানুষের সাথে রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও আত্মার সম্পর্ক তৈরি করার সুযোগ পাচ্ছি। দেশ এবং বিদেশ থেকে হাজারো লক্ষ ভাই-বোন পেয়েছি,, যারা নিঃস্বার্থভাবে পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। 🥀
♥️পরিশেষে♥️
🥀ধন্যবাদ জানাই এই প্ল্যাটফর্মের সকল প্রিয় ভাই বোনদের প্রতি, যারা অনেক ধৈর্য্য সহকারে আমার জীবনের গল্প টুকু নিজের মতো করে ভালোবেসে পাঠ করেছেন,,আপনাদের প্রতি আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার লেখায় বা গল্পে যদি কোনো ভুল ত্রুটি হয়, তাহলে দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন,, সাহস পেয়েছে আমার শ্রদ্ধেয় প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের কাছ থেকে। যিনি প্রতিনিয়ত সাহস দিয়ে যাচ্ছেন, প্রিয় স্যারের দেখানো সাহসী মনোভাব নিয়ে সাহসের সাথে এগিয়ে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮২১
তারিখ ১৭-০৬-২০২২ইং
🌹আমি মোঃ রেজাউর রহমান (রিয়াজ)
🌹ব্যাচ নং 16
🌹রেজিস্ট্রেশন নং 82101
🌹উপজেলা: সুবর্ণচর
🌹জেলা: নোয়াখালী
🌹বর্তমান অবস্থান: পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম
🌹পেইজ লিংক:
https://www.facebook.com/offerplustrade/
🌹ফেইসবুক লিংক:
https://www.facebook.com/