মেয়েদের জীবনে এমন একজন মানুষ পাওয়া সত্যি খুব গর্বের বিষয়
আসসালামু আলাইকুম,
🕋পরম করুনাময় মহান আল্লাহর নামে শুরু করছি======
________বিসমিল্লাহির রহমানুর রাহিম_____
❤️❤️সকল প্রশংসা মহান রব্বুল আলামীনের যিনি আমাকে সৃষ্টি করছেন এবং
তারপর কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই আমার বাবা মা যারা আমাকে পৃথিবীর আলো দেখানোর সিন্ধান্ত নিয়েছিলেন।❤️❤️
🏅🏅আমি আরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের জন্য এতো সুন্দর একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন, যেখানে লক্ষ লক্ষ তরুণ তরুণী উদ্যোক্তা হয়ে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছে। যে প্লাটফর্মের মাধ্যমে আমি নিজেও ছোটবেলা থেকে বুকের ভেতর লালিত পালিত স্বপ্নটাকে বাস্তবে রুপ দেওয়ার সাহস পেয়ছি====
🖊️আমার পরিচয়ঃ-
==================
নামঃফাল্গুনী ইসলাম জুঁই
নামটা আমার বাবার দেওয়া😇
🌼🌼রমজান মাসের ৩০ টা রোজা রাখার পর ঈদের দিন ভোর বেলায় আমার জন্ম মাসটা ছিলো বাংলা মাসের ১৫ ফাল্গুন। সেখান থেকে ফাল্গুনী।
🌻🌻বলিউড নায়িকা জুহি চাওলা আমার বাবার ফেভারিট নায়িকা। সেখান থেকে ডাক নাম রাখা হলো জুঁই।
আমি বাবা মায়ের আদরের মেজো সন্তান। মেজো আবার আদরের হলো কি করে! এটা
আমি আস্তে আস্তে বলছি। আমরা তিন ভাই -বোন। বড় ভাই তারপর আমি তারপর আমার ছেট বোন।
🖊️আমার বাবাঃ
===================
🏅🥇আমার বাবা দেশের জন্য কাজ করতেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরতো ছিলেন দীর্ঘদিন।🏅🥇
আমি আমার বাবাকে নিয়ে গর্ব বোধ করি। বাবা আমাদের কে অনেক ভালোবাসেন।❤️❤️
🖊️আমার শিক্ষা জীবনঃ-
=====================
🌷🌷আমি পড়াশোনায় তেমন একটা ভালো ছিলাম না। বই দেখলেই গায়ে জ্বর উঠতো। কিন্তু আমি সবসময় চাইতাম আমার বাবার মতো আমি দেশের জন্য কাজ করবো।
🌷🌷নানু মারা যাবার পর তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে আমার মা যখন হিমসিম খাচ্ছিলেন, আমার বাবা তখন তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ সামনে রেখে আমাদের জন্য চাকরি ছেরে বাড়ি চলে আসলেন।১২ সন্তানের ছোট সন্তান ছিলেন আমার মা।
বাবা মা দুইজনেই অক্লান্ত পরিশ্রম করে নৈতিকতা ও আদর্শের শিক্ষা দিয়ে আমাদের মানুষ করতে লাগলেন।
🌷🌷 বাবা কাপরের ব্যাবসা শুরু করলেন। তখন থেকে আমার ও aim in life হয়ে গেলো ব্যাবসা। আম্মুর নতুন নতুন শাড়ি কেটে শুরু করে দিলাম পুতুলের নতুন নতুন ডিজাইনের ড্রেস তৈরি। স্কুলের ব্যাগে পুতুলের কাপড়ে ভর্তী হয়ে গেলে বই নামিয়ে রেখে পুতুলের সংসার নিয়েই স্কুলে চলে যেতাম।
🌷🌷সারাদিন যখন আম্মুর বকুনী খেয়ে বই নিয়ে বসে থাকতে হতো তখন আব্বু বাড়িতে আসার পরই শান্তির নিশ্বাস নিতাম। এভাবে পুতুল খেলতে খেলতে বাবার পাশে পাশে থাকা মেয়েটার ১৮ পেরোতেই বাবা বিয়ে ঠিক করে ফেল্লেন। বাবা ১০০ ছেলে দেখে তার মন মতো পাত্রের কাছে ধুমধাম করে আদরের মেয়টার বিয়ে দিলেন।
🖊️বিবাহিত জীবনঃ
===================
🌼আলহামদুলিল্লাহ🌼
🌷🌷বাবা তার সন্তানের জন্য সবসময় সেরাটায় বাছেন।বাবার আদরের মেয়েকে হাসবেন্ড
তেমনই যত্ন করে রাখলেন। আমার কোন ইচ্ছে আমার স্বামী কখনই অপূর্ণ রাখেননি।
🌼ছোট্ট এক সন্তানের জননী হলাম।
সংসারের হাতেখড়ি আমার হাসবেন্ডই আমাকে দিলেন। আমার জীবনে আমার বাবা আর স্বামীর ভুমিকা কখনও বলে প্রোকাশ করতে পারবো না। সংসারের পাশাপাশি হাতে কাজ গুলো শিখতে লাগলাম ঘরে বসে।হাতের কাজ দেখলে সব সময় শিখতে মন চাইতো।হাসবেন্ডের অনুপ্রেরনায় শিখেও নিলাম সেলাই মেশিনের কাজ, বিভিন্ন ধরনের স্টিস। কিন্তু কোন কাজে সফলতা আনতে পারিনি।বাবা সবসময় বলতো কাজ শিখলে তা কখনও বিফলে যায় না। একদিন না একদিন আমার হাতের কাজ গুলো কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ।
❤️❤ এখন আমি লিখবো আমার প্রিয় মানুষদের নিয়ে ❤️❤️
যাদের দোয়া ছাড়া আমার জীবনে সফলতা কোন দিন আসবে না।
যাদের ভালোবাসা আমার জীবনকে করেছে সুন্দর। তারা হলেন আমার বাবা-মা
❤️মা❤️
💞আমার দেখা পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা হলেন আমার মা।স্বামীর সংসার থাকার পরও প্রতিদিন রান্না করে আমার মা খাবার নিয়ে গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকেন। আজ পর্যন্ত তাকে কষ্ট ছাড়া কিছুই দিতে পারিনি😭😭😭 মায়ের কাছে আমি চিরঋণী।
❤️❤️মা কখনো আমাকে কাজ করতে দেয়নি। সবসময় বলতো শশুর বাড়ি গেলে তো কাজ করতেই হবে।মাকে অনেক ভালোবাসি।আমার মা অনেক বুদ্ধিমতী ও জ্ঞানী এবং সুন্দর মনের মানুষ। ভোর ৫ টায় নামাজ পরে কাজ শুরু করতেন আবার রাতে আমরা পড়াশোনা করতাম আমাদের পাশে বসে থাকতেন।আমরা মা একজন ম্যাজিশিয়ন , কখন কি খেতে ইচ্ছে করতো,কখন কি দরকার, কি করে যেনো আমার মা সব বুঝে ফেলতেন।
❤️বাবা❤️
❤আমার দেখা পৃথিবীর সবচেয়ে পরিশ্রমি পুরুষ হলেন আমার বাবা। ব্যাবসার কাজ শেষ করে রাতে বাবা আমাদেরকে সময় দিতেন।দুই বোনকে বাবা নিজ হাতে খাইয়ে দিতেন।আমাদেরকে না খায়িয়ে বাবা কখনও খেতেন না। বিয়ে হয়ে যাবার পর এখন বাবা তিন বেলা খাওয়ার আগে ফোন দিয়ে শুনবেন আমরা খেয়েছি কিনা। তারপর বাবা খেতে বসবেন। কখনও কোন ইচ্ছে বাবা অপূর্ণ রাখেননি। বাবাকে দেখেছি মায়ের সংসারের কাজে হাত লাগাতেন।শুক্রবার গুলোতে মা কে ছুটি দিয়ে বাবা নিজে হাতে রান্না করতেন।বাবাকে আমি কখনও দেখিনি কারো সাথে তর্কে যেতে। আমার বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা।❤️❤️
আমার স্বামীঃ
================
💖💖বাবা মায়ের পরে যার স্থান। আমার দেখা পৃথিবীর শেষ্ঠ মানুষ।💖💖
সংসার কি তার হাতেখড়ি আমি সেই মানুষটার মাধ্যমে পেয়েছি। বিয়ের পর রান্না করা থেকে শুরু করে সংসারের যাবতীয় কাজ নিজ হাতে আমকে শিখিয়েছে। আমার কখনও কোন কাজে তিনি বাধা প্রদান করেনি। সব সময় সাহস যুগিয়েছেন পাশে থেকেছেন। ভুল করলেও ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে চলার জন্য অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।
গরমে রান্না করতে যেয়ে ঘেমে গেলে তিনি পেছন থেকে টেবিল ফ্যান সেট করে দিয়ে যান। আমি অসুস্থ হলে উনি রান্না করে ঘরের সমস্ত কাজ গুছিয়ে রেখে অফিসে যান। বারবার ফোন করে আমার খোজ নেন। রাতে বাসায় ফিরে রাতের রান্না আমার সেবযত্ন সবই নিজ হাতে করেন। মেয়েদের জীবনে এমন একজন মানুষ পাওয়া সত্যি খুব গর্বের বিষয়।💖💖
🖊️প্রিয় স্যারের শিক্ষা ও স্বামীর অনুপ্রেরণায় আমার বিজনেস জীবনে পদার্পন করেছি।সবটাই অবদান এই মানুষ গুলোর।যাদের দোয়া ও ভালোবাসা ছাড়া জীবনে সফল হওয়া কোন ভাবেই সম্ভব না।
🔰🔰সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। ভালো থাকবেন। নিজের আপনজন বাবা মায়ের খেয়াল রাখবেন। বাবা মা যারা এক সময় আমাদের জন্য জীবনের সর্বোচ্চটা দিয়ে করেছেন এখন সময় এসেছে আমাদের কিছু করা তাদের জন্য।
💐💐 ধন্যবাদ সবাইকে সবার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার লেখা টা পড়েছেন।❤️❤️
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৮২৩
২২-০৬-২০২২ইং
ফাল্গুনী ইসলাম জুঁই
ব্যাচ নং ১৬
রেজিষ্ট্রেশন নং ৮১০৭০
স্থায়ী ঠিকানা বাগেরহাট