তারপরে নিকটবর্তী আত্মীয় দের জটিল জটিল রোগ ভালো হতে লাগলো
নিজের জীবনের গল্প :
সাত বছর বয়সে বাবার মৃত্য। ছিলাম শুধু চারটা বোন। তখন বড় আপার বয়স দশ বছর। আর সবার ছোট বোনের বয়স দেড় বছর। অনেক ঘাত প্রতি ঘাতে বড় হই। সংসারে ইনকামের মানুষ দরকার তাই পড়াশোনাও ভালো করি। ক্লাসে সব সময় দ্বিতীয় বা তৃতীয় হতাম। চেষ্টা করেও প্রথম স্থানটা পেতাম না। যে প্রথম হতো সে ছিল ঐ স্কুলের কেরানির মেয়ে। তাই সবাই বলতো ওর স্থানটা না কি সব সময় প্রথমই থাকবে পড়াশুনায় ভালো হোক আর না হোক। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে অনার্সে পড়ার কথা ভাবতেও পারিনি।ডিগ্রী পাশের পরে কম্পিউটারের শিক্ষিকা হিসাবে চাকুরিও কনর্ফাম হয়। আমি যে হাইস্কুলে পড়তাম সেই হাইস্কুলে। ঠিক তখনই বিয়েও কনর্ফাম হয় ভার্সিটিতে এম বি এ পড়া রত ছাত্রের সঙ্গে। হাজব্যন্ড চাকুরিতে জয়েন করতে দিলেন না। আমি চাকুরি করি উনি এটা পছন্দ করতেন না। বন্ধ হয়ে গেল চাকরির আবেদন। হাজব্যান্ড সব ক্লাসেই ফাষ্টক্লাস পাওয়া এক জন ছাত্র। তাই অপেক্ষায় রইলাম উনিতো কমপক্ষে একজন প্রথম শ্রেনির কর্ম কর্তা হবেন। কিন্তু সেখানেও গুড়ে বালী। হঠাৎ করে শ্বশুরের মৃত্য। শ্বশুরের আয়ের উৎস ছিল উনি এক জন স্কুল শিক্ষক। উনার মৃত্যতে সেই আয়ের উৎস হয়ে যায় বন্ধ। তখন আমার দুই দেবর এবং এক ননদ পড়াশোনা অবস্থায়। শ্বাশড়ী এবং আমরা সহ বড় একটা পরিবার। আমার হাজব্যান্ড সংসারের বড় ছেলে। তাই উনাকে সংসারের হাল ধরতে হয়। প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তা হলে বেতন হবে বারো হাজার টাকা। যে টাকায় আমাদের সংসার চলবে না। তাই হাজব্যান্ড একটা কলেজে চাকরি করেন। এবংপ্রচুর প্রাইভেট পড়ান একাউন্টিং। এই ভাবে ভাই বোন দের পড়ালেখা চলতে লাগলো।2018 সাল পর্যন্ত ভাই বোনের পড়াশোনা এবং বিয়ে স্বাধীর খরচ চলে। আর আমি একবার অপরিণত বয়সে বাবার মৃত্য 2007 সালে শ্বশুরের মৃত্যতে বসে থাকা জীবনকে মানতে পারছিলাম না। কারণ চোখের সামনে দেখলাম বিপদ কি ভাবে আসে। তাই কিছু একটা করার জন্য হাজব্যান্ডের সঙ্গে ঝামেলা করি। সকাল আটটা হতে রাত দশটা পর্যন্ত পরিশ্রম করতে করতে হাজব্যান্ড এ্যাজমার রোগী হয়ে যান। চারটা ইনহেলার ব্যবহার করেন উনি। তার পরে ছেলের এ্যাজমা। ছেলেরও ইনহেলার ব্যবহার এবং ঘরেই নেবোলাইজারের মেশিন। তখন পারিবারিক চিকিৎসার জন্য হাজব্যান্ড আমাকে হোমিওপ্যাথিতে ভর্তি করিয়ে দেবেন সিদ্ধান্ত নিলেন। আমি তো ঘোর বিরুদ্ধে। কারণ আমি ছোট থেকেই হোমিও বিশ্বাস করতাম না। যাইহোক শত চেষ্টা করেও যখন আমাকে ভর্তি করাতে পারলেন না,তখন শেষ পর্যন্ত হাজব্যান্ডও একই সাথে হোমিওতে ভর্তি হন আমার সাথে। তখন ২০১১ সাল। সবার আগে ছেলে এবং স্বামীর এ্যাজমা ভালো হয়। তারপরে নিকটবর্তী আত্মীয় দের জটিল জটিল রোগ ভালো হতে লাগলো। ধীরে ধীরে আমি হোমিওপ্যাথির প্রেমে পড়ে যাই। বর্তমানে সব ধরনের জটিল জটিল রোগী দেখি। তার মধ্যে আমি মনে করি বেশি গুরুত্বপূর্ণ রোগী ঐ গুলো যাদের বাচ্চা হচ্ছে না,যাদের একটা বাচ্চা আছে আর হচ্ছে না, যাদের বাচ্চা পেটে এসে নষ্ট হয়ে যায়, যাদের বাচ্চা জন্ম গ্রহণ করেই মারা যায়। গত দের বছর হলো এই রোগী গুলো দেখি। আলহামদুলিল্লাহ্ সফলও হচ্ছি।বর্তমানে অবস্থান করছি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। কারণ হাজভব্যান্ড Exim ইউনিভার্সিটির বিজনেস ডিপার্টমেন্টের প্রধান। আর আমি ঐ ইউনিভার্সিটির এম. বি.এ.তৃতীয় সেমিষ্টারের ছাত্রী।
চিকিৎসা করার যোগ্যতা
গাজীপুর হোমিওপ্যাথিক কলেজ থেকে ডি. এইচ.এম.এস।
১০ বছরের অভিজ্ঞতা।
পেইজ :
Homeo Palace হোমিও প্যালেস
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮২৪
তারিখ ২৭-০৬-২০২২ইং
Mst Mina Akter
ব্যাচ : ১৭।
রেজিষ্ট্রেশন : ৮৬২৪৬।
মোবাইল নাম্বার :
01758029129
নিজ জেলা : সিরাজগঞ্জ।
অবস্থান : চাঁপাইনবাবগঞ্জ