আমি এই ফাউন্ডেশন দিয়ে ববহুদূর এগিয়ে যেতে চাই।
#আসসালামু_আলাইকুম।
সবাই কেমন আছেন?? আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি।
আজকে আমি আমার জীবনের গল্প বলবো৷ সবার প্রতি অনুরোধ সবাই মনোযোগ দিয়ে আমার গল্পটা পড়ে যাবেন।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, #গল্প,,,,,৷,,,,,,,,,,,,,,,
🕋🕋 সর্বপ্রথম শুকরিয়া আদায় করছি মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে যিনি এই এখনো আমাকে সুস্থ এবং হায়াত দারাজ করে পৃথিবীতে, ত্রিভুবনে রেখেছেন। সেই মনিদের দরবারে লাখো কোটি শুকরিয়া #আলহামদুলিল্লাহ।
🥰🥰 তারপর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সবার প্রাণ প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি, যার অক্লান্ত পরিশ্রমে এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম পাওয়া আমাদের, এত এত ভাল মানুষ গুলো পাওয়া, সেই স্যারের প্রতি চির কৃতজ্ঞ প্রকাশ করছি।
এবং আমি স্যারের দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
চলুন শুরু করা যাক। 👇👇👇👇?
কারো ছেলে বেলাটা শুরু হয় আনন্দ উল্লাস আর হাসি খুশি তে
কিন্তু আমার টা ছিলো ভিন্ন এক
৪ বোন ২ ভাই'য়ের মধ্যে আমি ৫ম
বাবা ছিলেন পেশায় শিক্ষক মা গৃহিনী
খুব ভালো ই চলছিলো আমাদের জীবন চলা
বড় ছেলে কে ডাক্তার আর ছোট ছেলে কে কোরআনের হাফেজ বানাবেন বাবা'র স্বপ্ন
খুব আদর সোহাগ দিয়ে ই আগলে রাখতেন আমাদের কে. প্রতিদিন ১ মাইল পথ হেটে যেতো স্কুলে, কারন বাবা যে স্কুলে চাকরীরত ছিলেন সেখানে যেতে হতো ধান ক্ষেতের মাঝ পথ হয়ে রিক্সা কিংবা সাইকেল চলার মতো রাস্তা ছিলো না তাই হেটে ই যেতে হতো..ছেলে মেয়েদের নিয়ে স্বপ্ন ছিলো আকাশচুম্বী তার, কিন্তু বাবা তো জানতো না যে তার বড় ছেলেকে আল্লাহ খুব অল্প হায়াত দিয়ে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন....বয়স সবে ৮ ডেঙ্গু আক্রমণ বড় ভাই'য়ের উপর, জ্বড়ের ৩য় দিন আমাদের কে চিরবিদয় জানিয়ে সৃষ্টিকর্তার ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যান,
বড় ভাই/ ভাই নামক বটবৃক্ষ থেকে চিরবঞ্চিত হয়ে যাই, 😭😭😭বাড়ীর উঠানে ভাই'য়ের লাশের পাশে দাড়িয়ে দেখছিলাম, মৃত্যু কাকে বলে মৃত্যু কি জানতাম ই না, বাসায় কান্নার রুল, বাবা হারিয়েছেন তার স্বপ্ন দেখা ডাক্তার ছেলে কে...বাবার একটা কিডনি ড্যামেজ অনেক আগে ই ধরা পরেছিলো...বড় ছেলে হারিয়ে ভেঙ্গে পরেছেন একদম..ভাইয়ের মৃত্যু'র বছর না যেতে ই বাবার ২য় কিডনি ও ড্যামেজ হয়ে যায়..অসুস্থ হয়ে যায় আস্তে আস্তে এক সময় বিছানায় পরে যায় বাসায় বাবার চিকিৎসা চলতে থাকে .দীর্ঘ্য ২ মাস জীবনের সাথে যুদ্ধ করে আমাদের কে চিরবিদায় জানিয়ে না ফেরার দেশে পারি জমান😭😭😭 সেদিন ছিলো ২৬ ই রমজান ২৩ ই অক্টোবর ২০০৩ সাল, সেদিন ও কান্না করি নাই আমি কারন সেদিন ও ভাবতাম ভাই আর বাবা আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন...বাড়িতে কান্নার রুল আর আমার চোখে একটু ও পানি নাই..কারন আমি কাঁদতে পারি না...আমার কান্না কেউ দেখতে পায় না
ভাইয়ের মৃত্যুর ২ বছর হতে না হতেই পরিবারে আসে বাবা'র মৃত্যুর শোক....সবার বাড়িতে চলছে ঈদের আমেজ আর আমার বাড়িতে বাবা হারানোর শোক😭😭 সেদিন চোখে পানি ছিলো না চোখে,
কিন্তু দিন শেষে যখন একজন বাবা নামক বটবৃক্ষের ছায়ার কথা মনে পরে...যখন ই বাবা'র অপূর্ণতা অনূভব করি নিজের অজান্তে ই চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে..
তখন নিজেকে সবচেয়ে অসহায় পুড়া মানুষ মনে হয়...ভাই বাবা দু'জনের ভালবাসা থেকে ই বঞ্চিত আমি😭😭😭
শিক্ষা জীবনে পাড়ি
বাড়ীর পাশেই মাদরাসা ভর্তি চলছে
বাবা'র স্বপ্ন পূরনের লক্ষ্যে
মা আমাকে নিয়ে গেলো চাচ্চু'র বাসায়, চাচ্চু' নিয়ে গেলেন
মাদরাসায় ভর্তির জন্য অফিসে নিয়ে গেলেন চাচ্চু'র কাছে জানতে চাইলেন ভাতিজা কে হাফেজ নাকি মাওলানা বানাবেন চাচ্চু বলার আগেই আমার মুখ থেকে বের হয়ে আসলো হাফেজ,,
বাবা'র স্বপ্ন বলে কথা
কিন্তু আমি জানতাম না হাফেজ কী বা মাওলানা কি
শুরু হলো আমার শিক্ষা জীবন
আলহামদুলিল্লাহ ভালো ই চলছে পড়াশুনা, ৪র্থ শ্রেণী তে সমাপ্ত করে ই হেফজ বিভাগে ভর্তির সিদ্ধান্ত..
শুরু হলো ভর্তি কার্জকম তখন ই আসলো ছোট্ট একটু বাধা...
কাজিনের পক্ষ থেকে.... আসলে ভাই মারা যাওয়ার পর আদর সোহাগ টা আরো বেড়ে যায়..কোনো প্রকার কষ্ট ই আমাকে ছুতে পারেনি,
হেফজ বিভাগে কষ্ট পরিশ্রম টা অনেক বেশি ই করতে হয়।
যেটা আমার আয়েত্বের বাহিরে ছিলো ভেবেছিলেন কাজিন...সে তখন বছর কয়েক হলো হাফেজী সমাপ্তি করেছেন.. তার অভিজ্ঞা থেকে ই তিনি বারণ করেছিলেন হেফজ বিভাগে ভর্তি হতে...মা তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সাথে আমিও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ফেলি...ভর্তি হয়ে যাই কিতাব বিভাগে... আল্লাহ যদি তার বান্দা কে দেন সেটা কী আর অপূর্ণতা পায়..বন্ধু ও তার ভাগিনা হেফজ বিভাগে ভর্তি হবেন সাথে নিয়ে গেলো আমাকে, ইন্টারভিউ নিলেন তাদের..তখন আমাকে বললেন তুমি তো হেফজ বিভাগে ভর্তি হতে চেয়েছিলে শুনলাম এই বলে ই বললেন তেলাওয়াত করতে... তেলাওয়াত শুনে হুজুর আমাকে বললেন হেফজ বিভাগে চলে আসো মোহতামিম হুজুর কে জানিয়ে...আমিও হুজুরের সাথে তোমার বেপারে কথা বলবো..যেই কথা সেই কাজ
আমি বলার আগেই হুজুর মোহতামিম হুজুর কে জানান...
আমিও জানাই
আসলে বাবা'র ভালাবাসা পাইনি
কিন্তু সব শিক্ষকের ভালবাসায় পরিপূর্ণ ছিলো আমার জীবন আলহামদুলিল্লাহ 🥰
মোহতামিম হুজুর আজ আর নেই😭😭
তবে তার দেওয়া ভালবাসা এখনো মিস করি খুব...আল্লাহ হুজুর কে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন আমিন🤲
যাইহোক মোহতামিম হুজুরের অনুমতিতে চলে গেলাম হেফজ বিভাগে,
সে বছরে ১২ জন নতুন ভর্তি হই আমরা হেফজ বিভাগে
শুরু হলো বাবা'র স্বপ্ন পূরণের যাত্রা প্রথম প্রথম ভালো ই লাগছিলো
হেফজ শুরু করি...মনে অনেক বিরাজ করছে...তখন আমার ডান হাতে দাউদ দেখা দেয়,,আস্তে আস্তে সেটা বড় হতে থাকে ৬ পারা হওয়ার পর পাশের বাসার এক মুরুব্বি দাদীর মা কে পরামর্শ দেন চুন, সডা, সাথে সরিষা তৈল মিক্সড করে দাউদে মেখে দিলে দাউদ চলে যাবে...আমার মা খুব সরল সহজ মানুষ, যেই পরামর্শ সেই কাজ
দিয়ে দিলেন হাতে মিনিটেই হাত পুড়ে ছাড়খাড়😭😭
পুড়া ঘা সুকাতে ২/২.৫ মাস লেগে যায়🙂
এখনো দাগ টা দূর থেকে বুঝা যায়...গর্ত হয়ে গিয়েছিলো😭
২/২.৫ মাস বাড়ীতে থেকে হেফজ বিভাগে বন্দী খানায় যেতে অপারগতা প্রকাশ করি
সেই ভোর রাত 3Am টা থেকে রাত 10 pm পর্যন্ত ক্লাস, 😭
মাঝে খাওয়ার সময় আর ১০ -১২ পর্যন্ত ঘুম আসর থেকে মাগরিব নামাজ পর্যন্ত ছুটি, বন্দী খানায় যেতে আর মন চাইলো না
বাবা'র স্বপ্ন কে ভুলে গেলাম নিজ শান্তি রক্ষার্থে ,
সিদ্ধান্ত নিলাম আলিয়া মাদরাসায় ভর্তি হবো নতুন বছরে
আপাতত বাড়িতে থাকা ই আমার কাজ, চলছে দিন বসে খেয়ে,,,পারাপ্রতিবেশির নানা ধরনের কথায় অবস্থা নাজেহাল, তবুও কারো কথায় কর্ণপাত নেই আমার,
একদিন হঠাৎ দুপুরে খুব বৃষ্টি হলো চাচাতো ভাইয়ের সাথে বৃষ্টি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভিজলাম,
ভেজা শেষে আমাদের পুকুরে যাই গোসল করতে..গোসল করতে ছিলেন বড় এক ভাই আমার শুভাকাঙ্ক্ষী 🥰
আমাকে নিয়ে টিস মেরে কথা বলতে শুরু করলো মাদরাসায় তো যাও না কয় পারা হয়েছে হাফেজ হয়ে গেছো নাকি🤔
আগামী ২ বছরে পারবা নাকি হাফেজ হতে🤔
আমি: হ্যা ইনশা-আল্লাহ
হাফেজ হওয়া এতো সহজ না তুমি আগামী ১০ বছরেও পারবে না,
তখন চুপ করে তার কথা গুলো শুনতে ছিলাম আর মনে মনে জীদ করলাম সবাই পারলে আমি কেনো পারবো না
আমি পারবো
আমাকে পারতেই হবে
আগামী ২ বছরের মধ্যে ই আমি হাফেজ হয়ে দেখাবো ইনশা-আল্লাহ
আবার ভর্তি হয়ে গেলাম হেফজ বিভাগে... যেহেতু লম্বা সময় অনুপস্থিত ছিলাম ঐ ৬ পারা ও ভুলে গেছি তাই শুরু করলাম আবার নতুন করে,
ততদিনে আমার সঙ্গী দের অনেক ই এ বছরে কিতাব বিভাগে ভর্তি হয়েছেন আর ২ জনের ১৩/১৪ পারা হয়ে গেছে,
প্রথম বছর ভালো ই হলো পূরানো ৬ পারাসহ ১৫ পারা শেষ হলো ২য় বছরে আবার একটু আলসেমি শুরু হলো আস্তে আস্তে বছর শেষ পর্যায় ২৫ পারা শেষ হলো
সময় মাত্র আছে ১ মাস এখনো ৫ পারা বাকি
১ পারা বাকি মানে আরেকটি বছর যোগ...না বছরে ই শেষ করতে হবে ১০০% দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে গেলাম আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ'র অশেষ রহমতে ২৯ ই জুন ৩০ পারা সম্পূর্ণ হয়🥰🥰
খতম শেষ করে ই মা কে কল দিয়ে জানাই,এর পর বড় আপু কে যার সাপোর্ট আমার জীবনে ভাষা লিখার মতো না
এর পর সেই ব্যাক্তি কে যিনি বলেছিলেন আমি এতো কষ্ট বা পরিশ্রম করতে পারবো না,
আর মাদরাসা মাহফিল থেকে হেফজ সমাপ্তি পাগড়ী টা পরে প্রথমে তার সাথে দেখা করি
যিনি বলেছিলেন আগামী ১০ বছরেও পারবো না
২ বছরে শেষ করে তাকে দেখিয়ে দিয়েছি
আমি পারি, আমি পেরেছি
আমি পারবো ইনশা-আল্লাহ
এর পর হেফজ শুনানীর মাঝে ৮ম শ্রেণি তে রেজিস্ট্রেশন করি জেডিসি পরীক্ষা দিবো
রোজার কিছুদিন আগে মাদরাসা থেকে চলে আসি জেডিসি পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে
যে স্যারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করি তার সাথে পরামর্শ করে
শুধু মাত্র অংক বিষয়ে প্রাইভেট পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
নতুন জগত অনেক টা কঠিন কওমি মাদরাসায় ৪র্থ শ্রেণি থেকে আলিয়া তে ৮ম শ্রেণি
আমার জন্য অনেক কঠিন বিষয় ছিলো।
নিয়মিত যাচ্ছি প্রাইভেটে
হঠাৎ মাদ্রাসা থেকে নোটিশ দিলো টেষ্ট পরীক্ষা নিবে রমজান এ, এখানেও নতুন এক চ্যালেঞ্জ আসলো আমার জন্য,
১ মাস পূর্ণ হলো না প্রাইভেট পড়তে শুরু করলাম
এর মধ্যে টেস্ট পরীক্ষা
এখনো তো ৮ম শ্রেণির বই গুলোর নাম বা কয়টা বিষয় আছে সেটাই ভালো জানা হলো না, পরীক্ষা সিদ্ধান্ত নিলাম,
স্যার কে বিষয় টি জানালাম কারন জানতে চাইলে বললাম পরীক্ষা দিলে ফেল করবো
শুধু শুধু অপমান হয়ে বোর্ড পরীক্ষা থেকে বাদ হওয়ার থেকে না দেওয়ায় ই ভালো, তখন স্যার আমাকে অন্যভাবে বুঝালেন, এই টা তেমন কিছু না ফেল করলে সমস্যা নাই পরীক্ষা দিলে তোমার অভিজ্ঞতা বাড়বে, রাজি হয়ে গেলাম পরীক্ষা দিতে,
নিজের সাথে প্রতিঙ্গা করলাম আমি পারবো আমাকে পারতে ই হবে
আগামী সপ্তাহ থেকে পরীক্ষা বাকী বই গুলো কালেক্ট করে শুরু করলাম পরীক্ষার প্রস্তুতি, প্রতিদিন ২ টা বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে,
পরীক্ষা আগে ৪ দিন আর পরীক্ষার আগের রাত্র টি পেলাম ছাত্র জীবনের নতুন অধ্যায়ের নতুন বই গুলোর সাথে পরিচিত হওয়ার, তখন মাথায় একটা কথায় আসছিলে ১ বিষয়ে যদি ফেল করি বলবে হাফেজ সাহেব ফেল করেছেন
মোনাজাতে আল্লাহ'র কাছে কান্না করছি আর বলছি
হে আল্লাহ আপনি ই তো আমাকে হাফেজ বানিয়ে সম্মানিত করেছেন।
এখানে আমাকে অপমানিত করবেন না
কেউ যেনো বলতে না পারে হাফেজ সাহেব ফেল করেছেন।
আল্লাহ যাকে সম্মান দেন
সবার উর্ধে দেন
আলহামদুলিল্লাহ।
নতুন এক চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হলাম পরীক্ষার হলে
প্রথম দিনের পরীক্ষা শেষ
দ্বিতীয় দিন তো আরেক সমস্যা'র সম্মুখীন
পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২০/২৫ পর আমাদের ক্লাসের আরবী শিক্ষক এসে
আমাকে দাড় করালেন বের করে দিবে হল থেকে,
তার অভিযোগ আমি অন্য কারো পরীক্ষা দিয়ে দিচ্ছি
আমাকে আগে কখনো ই এই মাদরাসায় দেখিনি
দায়ীত্বরত হল পরিদর্শকে তো নাজেহাল করে ফেলেছেন
অপরিচিত এক ছেলে কিভাবে হলে প্রবেশ করে অন্য কারো পরীক্ষা দিচ্ছে
কোনোভাবে ই বুঝানো যাচ্ছিলো না আমিও একজন পরীক্ষার্থী
আরো ২/৩ জন শিক্ষক কে ডাকালেন
তাদের মধ্যে একজন কিছুটা সন্দেহান হয়ে বলেছিলেন
সে পরীক্ষার্থী প্রথম পরীক্ষা দিতে দেখেছেন
সন্দেহান হয়ে বলার কারন, তিনিও আমাকে চিনতেন বা জানতেন না,
এরপর সেই স্যার এসে বিষয় টি তাকে নিশ্চিত করলে
আমাকে লিখার সুযোগ দেন,
আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো ভাবেই পরীক্ষা শেষ হলো
৮০+ ছাত্র /ছাত্রীর মাঝে নাকি মাত্র একজন সব বিষয়ে পাশ করেছেন
বাকী সবাই ২/১ বিষয়ে ফেল
খবর টা শুনে লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গেলো
এটা ভেবে যে
জীবেনর প্রথমবার ফেলের খাতায় নাম পরলো🙂
ভাবতেও পারি নাই
শুধু মাত্র ১ জন সব বিষয়ে পাশ করেছিলেন টেস্ট পরীক্ষায়
আর সেই নামের জায়গা টা আল্লাহ আমাকে দিয়েছিলেন,
আমার ভাবনা কিংবা কল্পনার বাহিরের এক গল্প সৃষ্টি হলো
আলহামদুলিল্লাহ🥰🥰।
তবে ক্লাস বা কোচিং করার সময় সুযোগ কোনো টা ই পাইনি😔😥
টেষ্ট পরীক্ষার পর প্রতি শুক্রবারে নিজে যতটুকু পেরেছি পড়েছি
যার ফল স্বরুপ জেডিসি বোর্ড পরীক্ষায় রেজাল্ট খারাপ😭
তবে সেরা শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব টা আমাকে ই দিয়েছিলেন
আলহামদুলিল্লাহ্ 🥰🥰🥰
কিন্তু নিরাশা হইনি। নতুন জীবন শুরু করলাম নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন পেয়ে৷ আমি এখান থেকে অনেক বড় হতে চাই৷ অনেক কিছু শিখেছি এই ফাউন্ডেশনে।
আলহামদুলিল্লাহ। আমি এই ফাউন্ডেশন দিয়ে ববহুদূর এগিয়ে যেতে চাই।
এবং একজন সফল উদ্যোক্তা হতে চাই৷ সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
💝✌️অবশেষে এই প্লাটফর্ম এর সাথে যুক্ত পেরে নিজেকে আর ও শক্তিবান মনে করছি,এবং এই প্লাটফর্ম থেকে নিজেকে অনেক বড় জায়গায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছি।আলহামদুলিল্লাহ আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন, এবং পাশে থাকবেন।
😊যারা এত সময় নিয়ে আমার গল্পটা পড়েছেন আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি,এভাবেই সবাই পাশে থাকবেন। আমি অনেক দূর যেতে চাই এই ফাউন্ডেশন কে ভালোবেসে ফাউন্ডেশন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৩১
তারিখ ৭-০৭-২০২২ইং
🌷 মোহাম্মদ মারুফ হোসাইন
🌵ব্যাচ নাম্বার ১৮
🌳রেজিস্ট্রেশন নং ৯৭৮৫৩
🍀থানাঃ শ্রীনগর
🌴জেলা মুন্সিগঞ্জ
🍁ব্লাড ম্যানেজমেন্ট টিম (মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রধান)
🌿একজন নতুন উদ্যোক্তা
🍀 পেইজঃ গ্রাম্য মার্ট
🌺 একজন ভালো মানুষ এবং সফল উদ্দোক্তা হতে চাই।