স্বপ্ন বুনছি, সাহস নিচ্ছি স্যারের সেশন গুলি থেকে। নিজেকে তৈরি করছি নতুন ভাবে!
বিসমিল্লাহির রাহমানুর রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম
🖋️🖋️আমার জীবন থেকে নেওয়া কিছুজীবনের গল্প🖋️🖋️
জীবনের গল্প লেখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়, কারণ জীবনের প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো টুকরো করে লিখতে গেলে ও এক একটা গল্প বা উপন্যাস হয়ে যায়। গোটা জীবনের গল্পটা সংক্ষিপ্তভাবে লেখা কোনভাবেই সম্ভব নয় তাই আমি আমার জীবন থেকে নেয়া কিছু টুকরো গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। সবাইকে পড়ার জন্য আন্তরিক অনুরোধ করছি।
জীবন মানেই যুদ্ধ। আর তাই তো একে বলা হয় জীবনযুদ্ধ। প্রত্যেকের জীবনেই বিভিন্ন রূপে আসে এই যুদ্ধ তেমনি আমার বেলাতেও ব্যতিক্রম নয়।
❤️আমার সকল প্রশংসা মহান রব্বুল আলামীনের জন্য তিনি আমাদেরকে মানুষ রূপে সৃষ্টি করেছেন এবং প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (স) এর উম্মত হওয়ার সৌভাগ্য দান করেছেন। হাজার বিপদ বালা মুসিবত থেকে হেফাজতে রেখেছেন শুকরিয়া জানাই তার দরবারে আলহামদুলিল্লাহ।শান্তি বর্ষিত হোক মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এর উপর। ❤️
তারপর কৃতজ্ঞতা জ্ঞ্যাপন করছি আমার শ্রদ্ধা ভাজন প্রিয় বাবা মায়ের প্রতি।এর পর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি সকল আত্মীয় স্বজনদের যারা বিপদে পাশে ছিলেন এবং যারা ছিলেন না বলেই সাহস করে বিপদের মোকাবিলা করতে পেরেছি।
কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি নিজের বলার মত একটি গল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক জনাব মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি,যিনি আমাদের এত সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম উপহার দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই নিজের বলার মতোএকটি গল্প পরিবারের সকল সদস্যদের।যারা অক্লান্ত শ্রম মেধা ত্যাগ ভালোবাসা দিয়ে সাজিয়েছেন এ প্ল্যাটফর্ম কে। এবং কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
🖋️গল্প শুরু🖋️
❤️আমার জন্ম এবং শৈশব♥️
🌺আমি আমার মা-বাবার ১ম সন্তান, মা-বাবার অনেক অপেক্ষার পর আমার আগমন হয় তাদের ঘরে। আমার জন্ম হয় খুলনার ফুলতলা থানার একটি গ্রামে আমার নানার বাড়িতে । ছোট বেলা থেকে ই আমি সকলের ভীষণ আদর ভালো বাসাতে বড় হয়েছি।জন্মের প্রায় ৫ বছর পর আমি স্থায়ী ভাবে আমার পিতৃভুমি ফুলপুর এ বসবাস শুরু করি। ভীষণ চঞ্চল এবং ডানপিটে মেয়ে ছিলাম আমি। আমার দাদা দাদী তার ২২ জন নাতি নাত্নীর মাঝে আমাকে সব থেকে বেশি ভালোবাসতেন আলহামদুলিল্লাহ। এবং উনারা এইটা সবার কাছে বলতেন। আমি আমার দাদার থেকে জীবনে অনেক কিছু শিখার সুযোগ পেয়েছি। আমার দাদা বলতেন
তোর ভিতর একটা সরল ভালো মানুষ আছে নিজেকে সুখী করার জন্য এই মানুষ কে হত্যা করিস না।আমি সবসময় এই কথা মেনে চলতে চেষ্টা করছি। ছোট থেকে ই সেক্রিফাইজ কম্প্রোমাইজ এবং স্বার্থহীন ভালো বাস তে শিখে ছিলাম আমি। যদিও তখন এই গুলোর মিনিং বুঝতাম না।আমি পুরো প্রাইমারি স্কুল পিরিয়ড অল্প সময় গ্রামে কাটিয়েছি।তারপর থেকে শহরে কাটিয়েছি।গ্রামে থাকলেও আমি কখনো খেলার সুযোগ পাই নি। আম্মা খুব কড়া ছিলো। বাড়ির বাহিরে কখনো ই খেলতে দিতেন না।আম্মার থেকেই নাচ শিখেছি কবিতা আবৃত্তি এবং আরো অনেক সৃজনশীল শিক্ষার হাতে খড়ি হয়েছিল। ২০১১ সাল পর্যন্ত সবকিছু মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক সুখী আর শান্তির পরিবার ছিলো আমার।
🖋️🖋️"আমার শিক্ষা জীবন"🖋️🖋️
আমি যেহেতু পরিবার এর বড় মেয়ে তাই হাসি মুখে সেক্রিফাইজ করাটা ছোট বেলায় ই শিখে নিয়েছিলাম। আমি ২০০৯ সালে এসএসসি পাস করি। ২০১৩ সালে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করি. আমার স্বপ্ন ছিল আইনজীবী হবার জার্নালিজম ও খুব টানতো আমায়।কিন্তু পারিনি। কারণ আমার বাবার উপরে কথা বলার সাহস ছিলো না।
❤️❤️ আমার প্রাকৃতিক শিক্ষা জীবনের সূচনা ❤️❤️
জীবনের নানা দুর্যোগের মুহূর্তেই আমরা প্রকৃতির থেকে সত্যিকার অর্থে শিক্ষা লাভ করে থাকি।আমি মনে করি দুঃসময়ের পাওয়ার শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। 2011 সালের আগ পর্যন্ত সুখ দুঃখ পাওয়া না পাওয়া সব মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালোভাবেই সুখে-শান্তিতে কাটছিল আমার জীবন। কিন্তু 2011 সালের অপ্রত্যাশিত একটা ঝড় আমার পুরো পরিবার টাকে নিঃশেষ করে দেয়। একটা সময় যে বিষয়গুলো কে নিয়ে খুব ভাবতাম এটা কেন পেলাম না ওটা কেন হল না এই ঝড়ের পর উপলব্ধি করলাম কত তুচ্ছ বিষয় ছিল তা। ন্যাকাবোকা আবেগি মেয়ে থেকে রূপান্তরিত হলাম এক কঠিন বাস্তব বাদী মেয়েতে। যে বাবা আমার শুধু গরীব দের জন্য একটা গরু কোরবানি দিত সেই আমরাই এমনও কোরবানি ঈদ গিয়েছে শুধুমাত্র যাও ভাত খেয়ে ঈদ কাটিয়ে ছি। আমার বাবার ইগো প্রবলেম ছিল প্রকট। আমার যখন নিমিওতে চাকরি হয় তখন আমার বাবার কঠিন নির্দেশে মাত্র ৪ দিনের মাথায় চাকরি ছেড়ে চলে আসতে বাধ্য হই। যখন আত্মীয়-স্বজন পরিবারের আপনজনেরা সবাই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তখন আমার পরম বন্ধু আমার স্বামী পাশে এসে দাড়িয়ে ছিলো। সে তখন সাহস দিয়েছিল।আমার স্বামী আমাকে প্রাইভেট এ বি এস সি তে ভর্তি করতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছিল আমার ছোট ভাই বোন দের পড়া লেখা করাটা আমার উচ্চ শিক্ষার থেকে বেশি জরুরী। তাই তাকে বুঝিয়ে বলেছিলাম।এবং আলহামদুলিল্লাহ সে মেনে নিয়েছিলো এবং কিছু টাকা দিয়ে নতুন করে ব্যবসা শুরু করতে সাহায্য করে ছিল। আমার স্বামী র থেকে প্রাপ্ত টাকা দিয়ে আমি আমার মায়ের নামে নতুন করে ট্রেড লাইসেন্স এবং সমস্ত কাগজপত্র রেডি করে নতুন ভাবে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। শুধু মাত্র মার্কেটিং এর কাজ শিখতে আমি নিউজিল্যান্ডের ডেইরি ফার্মের আন্ডারে মার্কেটিং এর জব করেছি।যেহেতু আমার পারিবারিক অবস্থা তখন শোচনীয় তাই আমি সাপোর্ট দেওয়ার জন্য আমার পরিবারের সাথেই থাকি। তারপর ব্র্যাকে একটা জব অফার পাই যদিও অস্থায়ী ছিল কিন্তু আমার বাবা করতে দেন নি কারন ব্র্যাক এর লোক উনার পরিচিত ছিল। ব্যবসা আলহামদুলিল্লাহ শুরু হবার পর আমি জব পাই আদ্ব দ্বিন হাস্পাতালের রেডিওলোজী ডিপার্টমেন্টে এবং আমি জয়েন করি।আমার হাজবেন্ড আমার ফ্যামিলিকে ভীষণভাবে সাপোর্ট করে ।তার পর আলহামদুলিল্লাহ আমার বাবাও অন্য বিজনেস শুরু করেন। তখন আমার আম্মা বিজনেস বন্ধ করে দেন।
আমার শশুড় বাড়িতে পদার্পণঃ আমি চাকরি রত অবস্থায় আমার শশুড় শাশুড়ী প্রতিবাদ জানান আমি চাকরি করতে পারবো না চাকরি করলে আমি উনাদের বাসায় থাকতে পারবো না।বাধ্য হয়ে চাকরি ছাড়লাম। শ্বশুরবাড়িতে সকলকে নিয়ে ভালো থাকার জন্য নিজেকে বিলীন করে দিলাম।যে আমি এত কথা বলতাম এত হাসতাম সে আমিকথা বলা ভুলে গেলাম। আমার কোন যোগ্যতা নেই আমি গুড ফর নাথিং এই অপবাদ প্রতিনিয়ত শুন তে হতো। অথচ সংসারের সব কাজই হাসি মুখে ভালোবেসে করতাম। জীবনে কতটা নির্মম অত্যাচার নির্যাতন সইতে হয়েছে একমাত্র আমার রব তা ভালো জানেন।টেবিল ভর্তি সাজানো খাবার থাকা স্বত্তেও কত দিন না খেয়ে কাটিয়েছি এবং কত রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি তা আমার রব এবং আমার স্বামী ছাড়া কেউ জানেন না। যে বা যারা আমার উপর এই অমানুষিক নির্যাতন করেছে তাদের কথা আমি বলতে চাই না কারণ তারা ভালো না বাসলেও আমি তাদের ভালো বাসি। শুধু এই টুকু বলবো হাতের মার কম খেলেও ভাতের মার ঠোঁটের মার শতশতবার খেয়েছি। অশান্তির ভয়ে অনেক নির্যাতনের কথা স্বামী কেও বলতে পারি নি।
আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ পাক এতো কষ্টের মাঝে আমাকে উত্তম নেয়ামত দান করেছেন। আমি যখন সন্তান সম্ভবা তখনও আমার অনাগত স্বন্তানকে খুনের পরিকল্পনা করছিল আমার আপন জনেরা। আমার স্বামী আলহামদুলিল্লাহ আমাকে আমার বাবার বাড়ি দিয়ে যান যেন আমি সুস্থ সন্তানের মা হতে পারি। খুব ইচ্ছে ছিল এই সময় স্বামী পাশে থাকবেন কিন্তু তিনি কর্মব্যস্ততার জন্য আসতে পারতেন না। তবে নিয়ম করে মাসে ২ দিনের জন্য আসতেন।এই পুরো প্রেগন্যান্সির সময় আমার মা বাবা ভাই বোন দাদা দাদী আমার স্বামী আমার অনেক আত্নীয় আমাকে ভীষণ ভালো বেসে ছিল।
আলহামদুলিল্লাহ ছেলের মা হয়েছি। ছেলের বয়স যখন ১৪ মাস তখনও আমি বাবার বাড়ি। তারপর শশুড় বাড়িতে যাই ছোট বাচ্চা বাসার ডিসিপ্লিন নষ্ট হচ্ছিল তাই শাশুড়ী আলাদা বাসা নিতে বল্লেন। আলহামদুলিল্লাহ ভালো ছিলাম নিয়ম করে সপ্তাহে একদিন শশুর বাসায় যেতাম।
কিন্তু বিধিবাম করোনাতে আমার হাজবেন্ড এর জব চলে যায়।
তখন আমি আবার বাবার বাড়ি আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কিন্তু শাশুড়ী জোর করলেন উনাদের সাথে থাকার জন্য। তাই আবার এক সাথে থাকতে লাগলাম। উফফ আমি কি নিদারুণ যন্রণায় ছিলাম তা লিখতে আমার চোখ ঝাপসা হয়ে উঠছে এই অবর্ণনীয় কষ্ট লিখতে পারছি না। ভাত কাপড়ের কষ্টের থেকে ও জঘন্য তম কষ্ট আছে তা সেই বোঝে যে ভোগ করে। আল্লাহ পাক এর কাছে দোয়া করছিলাম যেন হাজবেন্ড এর জব হয়। আলহামদুলিল্লাহ ত্রিশাল জব হয়। আমি মময়মনসিংহ শিফট হই।
কিছু একটা করার খুব তাগিদ অনুভব করছিলাম। কি করবো ভাবতে ভাবতে আমি খুব অসুস্থ হয়ে পরি। আমার আম্মা তখন আমাকে বলেন বিজনেসটা শুরু করতে। বলেন এই তোর অভিজ্ঞতা আছে তুই ওটাই কর।হাজবেন্ড ও সাপোর্ট করে। কিন্তু যেহেতু দীর্ঘ দিন হাজবেন্ড এর জব ছিলো না তাই অর্থনৈতিক সংকট এ ছিলাম। স্বপ্নের ব্যবসা টা শুরু করতে পারছিলাম না। তখন হাজবেন্ড এর পরামর্শে টাকা জমানোর উদ্দেশ্যে প্রথমে রোজাতে খেজুর এবং হোমমেইড মিষ্টি আচার নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ এখন আমি আমার স্বপ্নের পণ্য নিয়ে কাজ করছি। সবাই প্লিজ আমার জন্য অনেক অনেক দোয়া করবেন।
🍀"আমি কিভাবে এই ফাউন্ডেশন এ যুক্ত হলাম"🍀
নিজের সাথে যখন আমার নিজের ই ভীষণ যুদ্ধ চলছে এবং নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করার প্রচেষ্টাতে যখন আমি ব্যস্ত তখন হঠাৎ একদিন স্যার এর একটা ভিডিও তে আমার চোখ আটকে যায়। এবং আমি খোঁজাখোঁজি করে প্রিয় ফাউন্ডেশনের সন্ধান পাই এবং আলহামদুলিল্লাহ রেজিষ্ট্রেশন করি। এই ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়ার প্রথম এবং প্রধান কারণ ছিল এইখানে ভালো মানুষী চর্চা হয়। আলহামদুলিল্লাহ আমি একজন ভালো মানুষ এবং আমি আমার ভালো মানুষীর চর্চা প্রতিনিয়ত করতে চাই ইনশাআল্লাহ। এছাড়া যেহেতু এই ফাউন্ডেশন উদ্দোক্তা তৈরির কেন্দ্র তাই আমার জন্য এই ফাউন্ডেশন আলহামদুলিল্লাহ সোনায় সোহাগা।
এই ফাউন্ডেশন থেকে আমি কি পেয়েছি এই অল্প দিনের মধ্যে? তা হলো এই অল্প দিনে যেই ভালোবাসা ও আন্তরিকতা পেয়েছি তার জন্য ফাউন্ডেশন এর সবার কাছে অনেক কৃতজ্ঞএবং অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি
প্রিয় মেন্টর Iqbal Bahar Zahid স্যার এর প্রতি। আল্লাহ যেন স্যার কে সবসময় সুস্থ ও ভালো রাখে। প্রিয় মেন্টর এর এই স্লোগান টি আমার খুবই ভালো লেগেছে যে, স্বপ্ন দেখুন, সাহস করুন, ও শুরু করুন এবং ধৈর্য্য নিয়ে লেগে থাকুন আর সেই অনুপ্রেরণা থেকেই আমি একজন ভালো মানুষ হয়ে ভালো এবং সফল উদ্দোক্তা হতে চাই ইনশাআল্লাহ।
আমি স্যার এর শিক্ষা বুকে ধারন করে আগামি ১/২ বছরের মধ্যে আমার স্বপ্নের ঠিকানায় পৌছাতে চাই ইনশাআল্লাহ! আল্লাহ পাক এর রহমত এবং আপনাদের সহযোগীতা পেলে আমি আমার স্বপ্নের ঠিকানায় পৌছাতে পারবো ইনশাআল্লাহ!
🔶এই প্লাটফর্ম থেকে আমি যা শিখলাম🔶
🍁ভালো মানুষ হওয়ার মূল মন্ত্র।
🍁হতাশ হওয়া যাবেনা।
🍁প্রত্যেকটা কাজ ধৈর্য্য নিয়ে করতে হবে।
🍁উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখা
🍁অনেক গুলো ভালো মানুষের সন্ধান পেলাম!
🍁এই পরিবারের প্রত্যেকটা ভাই বোন খুব আন্তরিক।
🍁মা বাবার দোয়া ছাড়া কেউ সফল হতে পারেনা।
🍁অন্যের জন্যে কিছু করা
🍁ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করা। আরো অনেক অনেক কিছু................
আসলে এ পরিবারের থেকে পাওয়া লিখে শেষ করা যাবেনা। প্রতি দিন শিখছি নতুন করে। স্বপ্ন বুনছি, সাহস নিচ্ছি স্যারের সেশন গুলি থেকে। নিজেকে তৈরি করছি নতুন ভাবে!
স্যারকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদেরকে এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম উপহার দেয়ার জন্যে। স্যারের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের মত লক্ষ লক্ষ তরুন তরুণী নিজের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হাটতে শিখছে।
এছাড়াও আমাদের প্রিয় স্যারের উপহার প্রতিদিনের সেশন থেকে আরও অনেক কিছু প্রতিনিয়ত শিখছি এবং শিখে যাবো ইনশাআল্লাহ। নিয়মিত বিভিন্ন মিটআপে উপস্থিত হয়েও অনেক কিছু শিখছি।
সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
পরিশেষে আবারও আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার স্যারকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাই। স্যার যেন আমাদের মাঝে এভাবেই অভিভাবক হয়ে শিক্ষা দিয়ে যেতে পারেন।
আল্লাহপাক স্যারের নেক হায়াত দান করুন। স্যারকে হেফাজতে রাখুন এবং অনেক ভালো এবং সুখী রাখুন প্রিয় স্যারকে,আমিন।
অনেক কিছু লিখেছি ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।
সকলের কাছে আমার এবং আমার পরিবারের জন্য দোয়া চাই। ইনশাআল্লাহ সকলেই আমার পাশে থেকে সহযোগিতা করবেন আশাকরি।
কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা সকলের কাছে।
স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৩৫
তারিখ ২০-০৭-২০২২ইং
মারিয়া সিদ্দিকা লায়লা
✅ব্যাচ: ১৮
✅রেজি নং: ৯৫৯০৭
✅জেলা ময়মনসিংহ