আমার জীবন থেকে নেওয়া,, জীবনের গল্প
🍁🍁আমার জীবন থেকে নেওয়া,, জীবনের গল্প🍁🍁
🥀🥀🥀স্টুডেন্ট থেকে উদ্দোক্তা হওয়ার গল্প। 🥀🥀🥀
একজন মেয়ে হিসেবে কত যে বাধা আসে উদ্দোক্তা হতে গেলে তা আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
আমি একজন মেয়ে কতটা প্রতিবন্ধকতা মাঝে ও উদ্দোক্তা হলাম,, আমার এই গল্পটা পড়ার জন্য সকলের প্রতি সবিনয় বিনিত অনুরোধ করছি। আমার প্রানপ্রিয় ভাইবোন দের প্রতি।
প্রথমেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি এর পরে আমার পিতা মাতার প্রতি,, যাদের কারণে আমি এই দুনিয়া আলো বাতাস দেখতে পেরেছি।
সেই সাথেই আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের সকলের প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি। যার প্রচেষ্ঠায় আমারা এমন একটা প্লাটর্ফম পেয়েছি, যেখানে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা, ভালো মানুষ, একটি সুশীল উদ্যোক্তা সমাজ ও পরিবেশ। যার অনুপ্রেরনায় আজ আমি আমার জীবনি লেখার সাহস পেয়েছি। পেয়েছি লক্ষ মানুষের উৎসাহ ও অনুপ্রেরনা।
গল্পের শুরু
**আমার স্বপ্ন........
বিশাল এই পৃথিবীতে সকল মানুষই স্বপ্ন দেখে, আর স্বপ্ন দেখতে কে না পছন্দ করে! সেই তালিকায় তো আমিও আছি।
স্বপ্ন!!!! সে তো অনেক,
বলা যায় মনের ভিতরে অনেক সুপ্ত ইচ্ছা।
কিন্তু সেই সকল স্বপ্ন পূরণ করার জন্য যে সাহসের প্রোয়জন ছিল, কোথায় না কোথাও যেন তার কমতি ছিল।
কিন্তু ওই প্লাটফর্মে যুক্ত হবার পড় থেকে স্যারের দেখানো পথে চলতে গিয়ে, স্যারের সকল কথা শুনার পড় কোথায় যেন একটা সাহস অর্জন করতে পেরেছি এবং লেগে আছি সেই স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্য।
একটা কথা বুঝতে পেরেছি যে, আসলেই স্বপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, ঘুমতে দেয় না। জীবন টাকে আরো ভালো ভাবে কাটাতে অনুপ্রেরণা জাগায়।যার জীবনে কোন স্বপ্ন নেই তার জীবনের কোনো মূল্য নেই। কোথাও না কোথাও গিয়ে একদিন তার জীবন থমকে যাবে।
___________________শৈশব কাল আমার।
আমার ছোট বেলা থেকেই অনেক স্বপ্ন।
যাকে বলে একজন স্বপ্ন বাজ মানুষ। কিন্তু অনেক সময় মনে হতো আমার স্বপ্ন গুলা আঁকাশ ছোঁয়া। আমি হয়তো পারবো না স্বপ্ন গুলো পূরণ করতে, অনেকেই শুনে আমাকে নিয়ে হাসা হাসি করতো। ওরা ভাবতো আমার পড়াশোনা + বয়স + পরিবেশ পরিস্থিতি চাইতে স্বপ্ন অনেক বড়। কিন্তু, আমি তাঁদেরকে নিয়ে ভাবতাম না । আমি আমার স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে ছুটে চলেছি, আর এখন মন থেকে বিশ্বাস করি একদিন নিশ্চয়ই আমার স্বপ্ন গুলো পূরণ করতে পারবো।
আমার প্রথম স্বপ্নই ছিল নিজে কিছু একটা করব।
_____________আমার পড়াশোনার পাশাপাশি 🥰🥰
আমি কিছু হলেও করবো প্রথমে ভাবতাম টিউশনি করব। তাতে তো নিজের হাত খরচটা অন্তত্য চালাতে পারবো। কিন্তু এই কাজটা এখনো করা হয়ে ওঠে নি, যাই হোক, কিন্তু আমি আগে কখনো ভাবিনি যে আমি একজন উদ্যেক্তা হবো।বলা যায় সবটাই হঠাৎ করেই শুরু করা। যখন পুরো বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি শুরু হল আমি তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী। করোনার কারেন পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেল। প্রস্থুতি নিতে শুরু করলাম পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয়ের জন্য। বাইরে জাবার সুযোগ নেই। তখন এলাকার কিছু ভাইয়েরা মানবিকতা থেকে আমাদের সাহায্য করতে শুরু করলেন। তাদের অবদান অনেক। তখন আমাকে সবথেকে বেশি সাহায্য ও উৎসাহ দিয়েছেন " Maruf Khan Shahin " ভাইয়া আমিও ভাইয়ার দেখানো পথ অনুশীলন করতে লাগলাম। ভাইয়া অনেক পরিশ্রম করেছেন আমার এবং আমাদের ব্যাচের সকলের জন্য। পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ফরম ও পূরন করলাম, কিন্তু করোনার জন্য পরীক্ষা পিছাতে লাগলো আর সাথে শুরু হল নানা সমস্যা। শেষ পর্যন্ত নানা কারনে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাই দেওয়া হল না। সেখান থেকে আফসোস হতে লাগলো কারণ অনেক ইচ্ছে ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কিন্তু তখন আর কোন সুযোগ ছিলনা, হতাশায় ভুগতাম, আর পড়াশোনা করবো না, বা করলেও ভালো ভাবে করবো এই মনোভাব টা হারিয়ে ফেলেছিলাম। ঠিক তখন আমার জীবনের সেরা শিক্ষক " Anik Chanda " তিনি আমার পাশে দাড়ান। যদিও স্যারের সাথে পরিচয় একাদশ শ্রেনি থেকে। কিন্তু এতো কম সময়ের মধ্যেও স্যার হয়ে উঠলেন আমার জীবনে সেরা স্যারেদের মধ্যে একজন। ওই দিন তিনি বলেছিলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে কিছু হয় না। তুমি কতটা পড়বে তা নির্ভর করবে তোমার পড়ার উপর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপড় তোমার পড়া নির্ভর করে না, স্যারের কথাতে ভর্তি হলাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু তাও যেন কোথাও পড়াশোনার সকল ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছিলাম।
____________কিছু শেখার চেষ্টা আকুল হয়ে ছিলাম😔😔
তখন মনে হল কোন একটা কাজ শিখি। তখন খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম বাসার পাশে একটা সেলাই প্রশিক্ষন কেন্দ্র আছে।ঠিক করলাম প্রশিক্ষনটা নিব। বাসায় প্রথমে কেউ রাজি হন নি, কারণ তখন বাহিরের পরিস্থিতি অনেক খারাপ ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভর্তি হলাম সেলাই প্রশিক্ষন নিতে। কয়েক মাস প্রশিক্ষনও নেই কিন্তু প্রশিক্ষন শেষ হবার আগেই আবারো সব বন্ধ হয়ে যায় করোনার কারণে। তখনই শখের বসে শুরু করলাম হ্যান্ড পেইন্টর কাজ। তখন অনেকে আমাকে সাহায্য করেছে এবং উৎসাহ দিয়েছেন, যেমন-আমার পরিবারের সবাই, ভাই, বোন, স্যার, বন্ধু-বান্ধব সকলে।
আমার উদ্দোক্তার জীবনের পথচলা।
যখন কাজ টা শুরু করতে চাই মা, বাবার অমোত ছিল কারণ তারা মনে করতেন পড়াশোনার পাশাপাশি তো কাজ করার কোনো প্রয়োজন নেই আমার, শুধু শুধু কেন করবো। যাই হোক আমি একটু জেদী মেয়ে তাই সেই জেদ থেকেই শুরু করে ফেলি কাজটা, কিন্তু তখন কোন পুঁজি ছিল না আমার। আমার ছোট ভাই তার জমানো টাকা দিয়েই প্রথমে প্রোয়জনীয় জিনিস কিনি।
প্রথমেই রং তুলি নিয়ে এসে দুইটা ড্রেস পেইন্ট করি। যখন ছবি গুলো FaceBook , What'sapp, এ দেই সাথে সাথে সেইম তিনটি ড্রেসের অর্ডার আসে। সেই আনন্দটা বলে বুঝানোর মতো নয়। পরের দিন থেকে জোড় কদমে লেগে পড়লাম কাজে। এই ভাবে একটা, দুটা করে অর্ডার আসতে লাগলো। তখন থেকে শখ টা যেন পরিবর্তন হতে লাগলো, হয়ে উঠলাম একজন ক্ষুদ্র উদ্যাক্তা। এখন এই শখ টাকে ই নিজের একটা জীবনের একটা অংশ হিসেবে ভেবে নিয়েছি এবং এগিয়ে চলেছি আমার এই ছোট উদ্যেগ নিয়ে। আপনারা সবাই পাশে থাকলে নিশ্চই একদিন অনেক দূর এগিয়ে যাবো। এই সমাজের মানুষের উপকারে আসতে পারবো। আর আমাদের প্রিয় মেন্টর বলেন অন্যের জন্য কর্মস্থান তৈরি করে দেওয়াটা সমাজের জন্য করা সবচেয়ে বড় উপকার। এখন থেকেই সেই কথা টা আমি আমার মাথায় বসিয়ে নিয়েছি এই ছোট্ট উদ্যেগ কে একদিন অনেক বড় করবো এবং সাধ্য মতো কয়েক জন এর হলে কর্মস্থান তৈরি করে দিব।
নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন থেকে কি পেলাম....
এই পল্টফর্মে এসে অনেক টা সাহস অর্জন করেছি। প্লাটফর্মমে যুক্ত হবার পড় ৯০ দিনের সেশন চর্চা ক্লাস পাল্টে দিয়েছে অনেক কিছু। এই প্লাটফর্মে যুক্তহই প্রিয় Anjaratus Saleha Binte Rashid আপুর মাধ্যমে। তার পড় রেজিষ্ট্রেশন করে দেন প্রিয় Mohammed Motaleb ভাইয়া।
সেই প্রথম দিন থেকে আজ পর্যন্ত মোতালেব ভাইয়া অনেক সাহায্য করেছেন। অনেক উৎসাহ দিয়েছেন এবং দিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। তার জন্য আমি চির কৃতজ্ঞ প্রিয় ভাইয়ার প্রতি।
তাছাড়া এই প্লটর্ফমের প্রিয় সকল ভাইয়া, আপুরা এতো আন্তরিক এবং ভালো মানুষ যা এই প্লাটর্ফমে যুক্ত না হলে জানতেই পারতাম না। প্রতিটা মানুষ প্রতিনিয়ত সবাইকে যার যার জায়গা থেকে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন এগিয়ে যাওয়ার জন্য। এই প্লাটর্ফমে একে অপরের সহযোগী। প্রতিনিয়ত স্যার আমাদের কে শিখাচ্ছেন মানবিকতার চর্চা, ভালো মানুষ হতে। স্বপ্ন অনুযায়ী নিজের পথে হাঁটার সাহস যোগাচ্ছেন । কারণ স্যার বলেন উদ্যেক্তা হতে গেলে প্রিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। হতে হবে সাহসী, ধৈর্যশীল, সহযোগীতাপূর্ন,,,,,,,
স্যারের সকল কথা মনে রেখে নিজের কাজের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে এগিয়ে চলেছি। কাজ করছি হ্যান্ড পেইন্ট এর সকল পন্য নিয়ে। এভাবেই পরিবর্তন করছি নিজেকে। নিশ্চয়ই একদিন পূরণ হবে আমার স্বপ্ন সেই আশাতে।
গল্প লিখব একদিন নিজের এবং তৈরি করবো নিজের বলার মতো একটা গল্প। যেটা গর্ব করে বলতে পারবো সবার সামনে।
আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রানপ্রিয় শিক্ষক জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর প্রতি এত সুন্দর একটি পরিবার আমাদের কে উপহার দেওয়ার জন্য।
আমি যেন আমার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।
বি.দ্র. আমার কথায় বা লিখায় যদি কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -৮৪০
তারিখ ২৯-০৭-২০২২ইং
একা দে
ভালোবাসার প্লাটফর্মে যুক্ত আছি ১৬ তম ব্যাচ
রেজিষ্ট্রেশন নং ৮১৬৬২
নিজ জেলা ঃ মৌলভীবাজার
উপজেলা ঃ জুড়ী
বিভাগ ঃ সিলেট
আমার ছোট্ট একটি পেইজ আছে।
নাম ঃ রংবেরঙ
👇https://www.facebook.com/101459412164740/posts/356414616669217/?substory_index=0&app=fbl