আপনারাই বলুন অবনী পারবে তো?
#আসসালামু আলাইকুম
আশা রাখছি পরিবারের সকলে ভালো আছেন।
আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি।
.
#আজকের_প্রসঙ্গ- একটি সাধারণ মেয়ের গল্প।
.
#অবনী একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কনিষ্ট মেয়ে।
স্কুলে ভীষণ ব্রিলিয়ান্টদের একজন ছিলেন।
অংকে ১০০তে ১০০ পাওয়া ছাত্রী
বাবা,মা,ভাই,বোন,দীদার সাথে বেশ ভালোই যাচ্ছিলো দিন, সুখী পরিবার বলে কথা।
যেখানে সুখ ও একেঅপরের প্রতি ভালোবাসার কমতি ছিলো না কোনদিন।
.
অবনী যখন প্রথম শ্রেনীতে পড়েন তখন হঠাৎ একদিন স্কুলে খবর এলো অবনীর দীদা ইন্তেকাল করেছেন।
প্রিয় মানুষ,খেলার সাথীকে হারানোর বেদনা হয়তো সেদিনই প্রথম উপলব্ধি করতে পেরেছিলো অবনী।
.
অবনীর মা খুবই গুণবতী একজন নারী।
অবনী তার মাকে ভীষণ রকম ভালোবাসতেন।
অবনীর তার মায়ের বুকে অথবা পায়ের কাছে মাথা রেখে ঘুমাতে খুব ভালোবাসতেন। যেনো অবনীর মা-ই অবনীর পুরো পৃথিবী।
.
ধীরে ধীরে অবনী বড়ো হতে লাগলো ও তখন পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে। মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভীষণ অসুস্থ।অবনী ও তার অন্যন্য ভাই বোনকে রেখে প্রায়ই তাকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হতো। মাকে ছাড়া অবনীর পৃথিবীর মলীন,ফিকে, ধুধু মরুভূমি।
ক্যান্সারের সাথে পাঞ্জা লড়তে লড়তে একদিন মা ও মৃত্যু বরণ করলেন। ভেঙ্গে গেলো অবনীর সুখের পৃথিবী।
অবনী খুবই সাহসী একজন কিশোরী ছিলেন।
অবনীর মা অবনীকে কখনো হার মানতে শেখায়নি।
হলো ও তাই। পরিবারের অন্য সদস্যদের সহোযোগিতা ও বাবার ছত্রছায়ায় এসএসসি,এইচএসসি দিব্বি পাশ করে ফেললো ও।
.
স্বপ্নবাজদের যদি মানুষরুপী দেখতে হয় অবনী তাদের মধ্যে একজন। বাবার আদুরে, সম্ভবনাময় একজন মেয়ে।
যাকে নিয়ে বাবার অনেক অনেক স্বপ্ন, অনেক আশা।
.
মেয়েটি সবসময়ই নতুনত্ব ও ইউনিক কিছু করার কথা ভাবতেন,আর এ নিয়ে দিনরাত চলতো তার ইয়া বড়ো রিসার্চ ।
২০১৯ সালের পহেলা মে,
ফেইসবুক স্ক্রোল করতে করতে হঠাৎ করেই শ্রদ্ধেয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের ❝নিজের বলার মতো একটা গল্প❞ নামক গ্রুপের অনুসন্ধান পেলো।
অবনী ভীষণ জ্ঞান পিপাসিতা মানুষ, টানা ২দিন চুলচেরা বিশ্লেষণ, গবেষণার পর সে আবিষ্কার করলো তার এই সংগঠনের সাথে যুক্ত হওয়া উচিৎ,
যেমন ভাবনা তেমন কাজ সে দ্রুত রেজিষ্ট্রেশন করে ফেললো।
সেদিন থেকে শুরু হলো, #ষষ্ঠ ব্যাচের ❝ইকবাল❞ স্যারের অনুগত ব্যাক বেঞ্চার ছাত্রী অবনীর স্বপ্নের পথের যাত্রা। স্যারের সবগুলো সেশন সিলেবাস ধরে ধরে মুখস্থ, ঠুটস্ত করার পর অবনী সিদ্ধান্ত নিলো সে স্ক্রীনপ্রিন্ট নিয়ে কাজ করবে।
৩মে এই বিষয়ে গ্রুপে সর্বপ্রথম পোষ্ট দিয়ে গ্রুপের অন্যান্য
সদস্যদের অনেক সাপোর্ট ও সাড়া পান।
.
বাবা,প্রিয় মিত্র,ইকবাল স্যারের আদর্শ,লালবাগ জোন ও প্রিয় গ্রুপের সকল ভাই বোনদের এতোটা সাপোর্ট পেয়ে অবনীকে আর কে দমিয়ে রাখতে পারে..😊💪
শুরু হয়ে গেলো উদ্যোক্তা হবার রোলার কোস্টার রাইড। অবনী বেশ কয়েকটা প্রজেক্ট এ সাফল্যের সাথে কাজ ও শুরু করে দেন। সফলভাবেই কাস্টমারদের অর্ডার কমপ্লিট করতে থাকেন।
.
স্বপ্নের এ যাত্রায় অবনীর প্রিয় মিত্র শিশির অবনীকে যথেষ্ট সাপোর্ট করেছেন।
মিত্র পরিচিত থেকে পরিণয়ে উপন্নীত হোন।
শিশির নামক ব্যক্তিটি অবনীর জীবনে চলার পথে সবটুকু উৎসাহ ও অনুপ্রেরণায় অন্য রকম ভূমিকা পালন করেন।
.
পেইজ ক্রিয়েট,লগো ডিজাইন,গ্রাফিক্স ডিজাইন,কন্টেন্ট ক্রিয়েট সবকিছুতেই যেনো অন্যরকম ছাপ রেখে গেছেন শিশির।
সুখ,দুঃখ পাওয়া না পাওয়া সব মিলিয়ে ভীষণ সুখেই ছিলেন তারা।
অবনী, শিশির দুজনেরই চোখেমুখেই ছিলো নব উদ্যমে নতুন কিছু করার চেতনা।
.
দাম্পত্য জীবনে একসাথে পথচলার চার বছর।
একদিন হঠাৎ করেই শিশির অবনীকে ফেলে না ফেরার দেশে চলে যান .........
.
নিমিষেই এক যুগের চেয়েও বেশি সময়ের বন্ধুত্বের, ভালোবাসা ও দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
.
এই তো দুদিন আগেও অবনী,শিশির বাইকে করে সারা শহর ঘুরছিলেন।
সম্ভবনার নতুন রবি জ্বলজ্বল করছিলো তাদের চোখেমুখে,
দুজনেরই চাওয়া ছিলো
তাদের ব্রান্ডটিও অন্য সকল নামিদামি ব্রান্ডদের সাথে টেক্কা দিয়ে টপে এসে দাঁড়াবেন। "সদাইওয়ালী" হবেন দেশের অন্যতম ব্রান্ডগুলোর মধ্যে একটি ।
.
অবনী নাছোড়বান্দা। কিছুতেই হার না মানা মেয়ে ও।
তার থমকে যাওয়া পৃথিবীতে বেঁচে থাকার একমাত্র উদ্যেশ্যই হচ্ছে শিশিরের রেখে যাওয়া স্বপ্নগুলো সত্যিকার রূপে ফুটিয়ে তোলা।
অন্যন্য নামিদামি ব্রান্ডদের মধ্যে অবনীও পারবে তার ও শিশিরের কাঙ্খিত সেই ব্রান্ডটিকে তুলে ধরতে।
#শ্রদ্ধেয়_ইকবাল_বাহার_জাহিদ স্যারের দিকনির্দেশনায় ,উৎসাহ,অনুপ্রেরণা স্বপ্নবাজ অবনীর চলার পথকে পাথেয় করবে,
কোন এক বিধ্বস্ত শহর আবারো সবুজের সমারোহে নেচে উঠবে।
.
আপনারাই বলুন অবনী পারবে তো?
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৪২
তারিখ ১-০৮-২০২২ইং
আইরিন আক্তার
পুরান ঢাকার মেয়ে।
রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার-৭৮২০
লালবাগ জোনের সাথে যুক্ত আছি ষষ্ঠ ব্যাচ থেকে।
সত্ত্বাধিকারী - " সদাইওয়ালী অনলাইন শপ"
https://www.facebook.com/sodaiwali