সুখ আর বিষাদ নিয়েই কিন্তু গল্পের সার্থকতা....
🌼🌼🌼প্রতিটি মানুষেরই নিজস্ব একটা গল্প আছে।কারো সুখের কিংবা কারোটা বিষাদের......
তবে সুখ আর বিষাদ নিয়েই কিন্তু গল্পের সার্থকতা....
➡️➡️➡️আমার জীবনের গল্প :
আসসালামু আলাইকুম।
"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
শুরু করছি পরম করুণাময় আল্লাহপাকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন আমাকে একবিন্দু রক্ত কণিকা থেকে ....
প্রিয় ফাউন্ডেশনের ভাই ও বোনেরা আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহ পাকের রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছি।
যেখানে আপনি মন থেকে বলবেন আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি সেখানে আপনি ভাল না থাকলেও আলহামদুলিল্লাহ এর উছিলায় ভাল হয়ে যাবে আপনার সব কিছু.....
অসীম শুকরিয়া প্রকাশ করছি মহান আল্লাহ পাকের প্রতি যিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, ভাল রেখেছেন এবং এখনো পর্যন্ত সুস্থ রেখেছেন। এবং আমাকে দিয়েছেন সবটুকু যা আমি চেয়েছি তার থেকে অনেক বেশি।❤️❤️❤️
পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অনুপ্রেরণা এবং সাপোর্টার আমার প্রিয় মা-বাবাকে যাদের কারণে আমি এই পৃথিবীর আলো দেখেছি এবং পরম মায়া মমতায়, যত্নে,স্নেহে লালনপালন করেছেন।
❤️🥀🥀 কৃতজ্ঞতা জানাই প্রিয় মেন্টর জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এর প্রতি,যার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে "নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন" এর মত প্লাটফর্ম পেয়েছি। যেখান থেকে হাজারো তরুণ - তরুনী হতাশা থেকে মুক্তি পেয়ে জীবনটাকে সুন্দর করে সাজাতে পেরেছেন এবং নিজের একটা পরিচয় গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। আমি সেই মহান মানুষটি অর্থাৎ আমাদের প্রিয় স্যারের প্রতি শ্রদ্ধা ভরে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
🌿🌿🌿🌿জীবনের শুরু 🌿🌿🌿🌿
🌻🌻🌻পরিচয় :
আমি হাবিবা সুলতানা। চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা থানার অন্তর্গত তৈলারদ্বীপ গ্রামে আমার জন্ম।শৈশব কেটেছে এই গ্রামেই।আমরা ২ ভাই ৩ বোন। ভাই বোনের মধ্যে আমি মেঝো।
শৈশব কালঃ
মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম। বেড়ে উঠেছি যৌথ পরিবারে।শৈশবটা কেটেছে গ্রামীণ পরিবেশে।খুব হৈ হুল্লোড় ময়।খুব কম সময়ের জন্যে হলেও দাদাকে পেয়েছিলাম কিন্তু দাদীকে পাই নি কারণ মৃত্যুর পরেই আম্মুকে বউ করে এনেছিলেন বাবা।
যেহেতু নানার মৃত্যুর পর মায়ের বিয়ে হয়েছিল, তাই নানাকেও পাই নি তবে নানীকে পেয়েছি বেশ কিছু সময়ের জন্য।নানীর সাথে অনেক অনেক মজার মজার স্মৃতি রয়েছে যা মনে পড়লে যতটা না আনন্দ পাই তার চেয়ে কষ্ট লাগে বেশি, এইভেবে যে কেন নানীকে আরো কিছুদিন পেলাম না।
🌺🌺🌺শিক্ষাজীবন :
বাবা ব্যবসার সুবাদে শহরে থাকতেন আর মা ছিলেন যৌথ পরিবারের বড় বউ।১৫/১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে একা হাতে সামলাতেন পুরো পরিবার।তবে ছেলে মেয়েদের প্রতিও যত্নের ত্রুটি রাখেন নি কখনো।
মায়ের হাতে শিক্ষার হাতে খড়ি হয়েছে আমাদের ৫ ভাই বোনের।মেঝ চাচার হাত ধরে প্রথম স্কুল জীবনে পা রেখেছিলাম।সেই থেকে শিক্ষাজীবনের শুরু।
শিক্ষাজীবনের কথা মনে হলে মনে পড়ে ছোট চাচার কথা।বাবা যেহেতু ব্যবসার কাজে শহরে থাকতেন সপ্তাহে, ১৫ দিনে কিংবা মাসে যেতেন ২/৩ দিনের বেশি থাকতে পারতেন না তাই আমাদের পড়াশোনার তদারকিটা সেভাবে করতে পারতেন না আর সেই দায়িত্বটা ছিল ছোট চাচার কাছে।চাচা নিজেও একজন শিক্ষক ছিলেন আর চাচা সেই দায়িত্বটা এমন ভাবে পালন করতেন তা ভাবতেই অবাক লাগে এখনো। একটু স্মৃতিচারণ করে বলি আমি যখন প্রাইমারি স্কুলে ফোর/ফাইভে আমার রেজাল্ট কিংবা আমার সাব্জেক্ট ওয়াইজ নাম্বার আমি হাতে পাওয়ার আগেই চাচার হাতে এসে যেত।আমাদের সময় গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে রেজাল্ট কার্ড ছিল না, তখনকার সময় পরীক্ষা শেষে কয়েকদিন পরে করে সেই খাতা গুলো দেখানো হতো ক্লাসে। যথারীতি যখন যেই খাতা দেখাতো তখন সেটা ঘরে এসে বলতাম কিন্তু মাঝে মাঝে দেখা যেত দু/একটা সাব্জেক্ট এর খাতা দেখানো বাকি কিন্তু চাচার হাতে সব সাব্জেক্ট এর নাম্বার পৌঁছে গেছে, ঘরে এসে যখন বলত আমি এই সাব্জেক্ট এ এই নাম্বার পেয়েছি আমি নিজেই অবাক হতাম বলতাম খাতা এখনো দেখাই নি পরে দেখি আসলেই তো চাচার কথায় ঠিক আমি ঐ সাব্জক্টে ঐ নাম্বারি পেয়েছি।পরে রহস্যটা বের করলাম সব সাব্জেক্টের স্যারদের সাথে চাচার একটা ভাল সম্পর্ক ছিল বলেই চাচাকে বলে দিত। আচাচা সবসময় পড়াশোনার ক্ষেত্রে খুবই কঠিন এবং কঠোর সবসময় বলত আরো ভাল করতে হবে।কোন সাব্জেক্ট এ ১০০ তে ৯৮ পেলেও বলত তোমার আরো ভাল করতে হবে ৯৯ পেতে হবে তখনকার সময়ে ১০০ তে ১০০ দিত না তাই ৯৯ টাই শেষ ভরসা। আমাদের ভাইবোনদের পড়াশোনার প্রতি এতটাই কেয়ারিং ছিলেন বলেই আজকে আমরা সব ভাইবোন এত দূর আসতে পেরেছি।
পড়াশুনায় খারাপ ছিলাম না।গ্রামের স্কুল থেকে ২০০৫ সালে এস এস সি পাশ করে শহরের কলেজে ভর্তি হই।খুব ইচ্ছে ছিল ডাক্তার হবার তবে সেটা যখন হয়ে উঠে নি, ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্ট সাব্জেক্ট নিয়ে অনার্স-মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। সাথে ৪ বছরের হোমিও ডিপ্লোমাটাও কমপ্লিট করেছি।
আমি যখন ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে অনার্সের ভর্তি প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম হঠাৎ মা এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, সংসারের কোন কাজই করতে পারতেন না।যেহেতু আমি বড় মেয়ে তাই সংসারের কাজের ভারটা আমি নিলাম। কাজ কর্ম সেরে যেটুকু সময় পেতাম ঐটুকু সময় পড়াশোনা করতাম।তারপর অনার্সে এডমিশন নিলাম কিন্তু ক্লাস করতে পারছিলাম না। কারণ ঘরে মা অসুস্থ, আবার ছোট ভাই বোন আছে,সংসারের কাজ কর্ম আছে।তখন অনেক চেষ্টা করেও সংসারের কাজ কর্ম করে, ভাইবোনদের স্কুল কলেজে পাঠিয়ে নিজে ক্লাস করতে হিমশিম খাচ্ছিলাম তখন হঠাৎ মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম, না আমি এভাবে পারবো না বরং ডিগ্রিতে যেহেতু ক্লাস করতে হয় না সেহেতু অনার্সের ভর্তি ক্যান্সেল করে ডিগ্রিতে এডমিশন নিব। বিষয়টা আমার এক মামার সাথে আলোচনা করি কিন্তু তিনি আমায় এই ভুলটা না করার পরামর্শ দিলেন।বললেন কষ্ট করে হলেও যেন অনার্সটা কমপ্লিট করতে।তারপর আম্মু একটু সুস্থ হলো। কিন্তু এবার বাধা হতে শুরু করল আত্মীয় স্বজন। মেয়ে বড় হয়েছে বিয়ে দিয়ে দেন।
🌷🌷🌷আমার বাবা-মা:
আমার বাবা মা আমাদের ৫ ভাইবোনের সবচেয়ে বড় সাপোর্টার। বাবা-মা এর সাপোর্ট, উৎসাহ, অনুপ্রেরণা না পেলে আমাদের এত সুন্দর লাইফস্টাইল হত না।মধ্যবিত্ত পরিবার হলেও বাবা কোনোদিন আমাদের কোনো অভাব বুঝতে দেন নি।যখন যা চেয়েছি তখনি তাই দিয়েছেন তবে হ্যাঁ আমাদের চাহিদাটা সীমিত ছিল সবসময়। আর সেটা শিখেছি মায়ের কাছ থেকে।কখনো মাকে দেখি নি মুখ ফোটে কোন কিছু চাইতে এখনো পযর্ন্ত আম্মু এরকম।আমাদের যখন কোন ভাল রেজাল্ট এর নিউজ পেত বাবাকে দেখেছি খুশিতে কান্না করতে আর সবাইকে ফোনে বলত জানো আমার মেয়ে /ছেলে অমুক পরীক্ষায় খুব ভাল রেজাল্ট করেছে।এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ছিল।আমার অনার্স পড়া অবস্থায় যখন বিয়ের প্রস্তাব আসা শুরু হলো বাবা মায়ের মাধ্যমে জানতে চাইল আমার মতামত কি? আমি বললাম আমি আগে পড়াশোনা শেষ করতে চাই তখন কোন প্রস্তাব আসলেই, বাবা না করে দিতেন বলতেন আমার মেয়ে আরো পড়বে এখন বিয়ে দিব না।এটা নিয়ে নানান জনে নানান কথা বলত কিন্তু বাবা সেই কথাগুলোকে পাত্তাই দিতেন না। এই যে একটা সাপোর্ট করা এটা কিন্তু ভাগ্য করে পেয়েছি।যেকোন কাজে আব্বু আম্মু খুব উৎসাহিত করেন।যেমন আমি যখন উদ্যোক্তা জীবন শুরু করার প্ল্যান করছিলাম বাসায় যখন আব্বু আম্মুকে বলছিলাম আব্বুতো খুব আগ্রহ নিয়ে বললেন ঠিক আছে আম্মু শুরু কর যেকোন সহযোগিতা আমি করব।আর আম্মু হয়েছিলেন আমার উদ্যোগের প্রথম কাস্টমার।আর এভাবেই পাশে আছেন।
💐💐💐বিবাহিত জীবন :
অনার্স ফাইনাল ইয়ারে আমার একাকিত্ব জীবনের অবসান ঘটে।যেহেতু পরিবারের পছন্দে বিয়ের পিড়িতে বসেছিলাম তাই মনের মধ্যে একটা অজানা ভয় ছিল যে আমার লাইফ পার্টনারটা কেমন হবে?
কিংবা সবার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবো তো??
কিংবা আমার কারণে পরিবারের সম্পর্ক গুলো নষ্ট হবে নাতো???
আলহামদুলিল্লাহ
হয়তো জীবনে কোন না কোন ভাল কাজ করেছিলাম যার মারফতে আল্লাহ আমায় এত সুন্দর একটা জীবন উপহার দিয়েছেন এবং আমার মা-বাবার দোয়ার বরকতে আমি এত সুন্দর এবং ভাল মনের মানুষকে লাইফ পার্টনার হিসেবে পেয়েছি। আমার বাবার পরে আর কেউ যদি সাপোর্টার হয় সে হচ্ছে আমার লাইফ পার্টনার। এত সাদা মনের একজন মানুষ যার সততা,সময়নিষ্ঠতা এবং যত্নশীলতা আমাকে প্রতি নিয়ত মুগ্ধ করে। তার জন্য আল্লাহর কাছে অসীম শুকরিয়া এবং একটাই চাওয়া যতদিন দেহে নিশ্বাস থাকবে ততদিন যেন এই মানুষটাকে পাশে পাই.....
🌷🌷🌷উদ্যোক্তা জীবন :
খুব ইচ্ছে ছিল ডাক্তার হবার তবে সেটা যখন হয়ে উঠে নি,তারপর ভাবতাম ব্যাংকার হব অনার্সে সাবজেক্টও নিয়েছিলাম "ম্যানেজমেন্ট " কিন্তু অনার্স ফাইনাল ইয়ারে বিয়ে হয়ে যায়....তারপর শশুড় বাড়ির লোকজন বাড়ির বউ জব করবে সেটা তেমন একটা পছন্দ করেন না আবার ব্যাংক সেক্টর এর জব আমার হাসবেন্ড পছন্দ করেন না এর মধ্যেই কোল জুড়ে আসলো পরপর দুই দুই সন্তান আলহামদুলিল্লাহ। তারপর আরকি বাচ্চা, স্বামী, সংসার নিয়েই অনার্স, মাস্টার্স শেষ করলাম।শেষ করলাম চার বছরের হোমিও ডিপ্লোমাটা। আমার আবার হ্যান্ডিক্রেফটের অভ্যাস আছে। সময় পেলেই তাই করি,ঘর সাজাই সেসব জিনিস দিয়ে আর তা দেখে হাসবেন্ড এবং ঘরের অন্যান্যরা বলে এসব তুমি বানিয়ে বিক্রি করতে পার, ঘরে বসে আয় করতে পার। তারপর থেকে কি করতে পারি, কি করতে পারি মাথায় শুধু সেটাই ঘুরপাক খায়.....
আর সেই শুভক্ষণটা দরজায় কড়া নাড়ে করোনা কালীন সময়ে।
হয়ত এ সময়ে হারিয়েছি অনেক কিছু আবার উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে খুজেঁ পেয়েছি এই সময়েই.....
জীবনে অনেক কিছু শিখেছি এই উদ্যোক্তা জীবনে এসে। অনেক ভাল মানুষের আড়ালে খারাপ মানুষের কুৎসিত চেহারাও দেখেছি।আত্মীয় স্বজনদের চিনেছি।চলার পথ যে সহজ নয় সেটা বুঝেছি।অনেকে থামিয়ে দিতে চেয়েছে তখন খুব মন খারাপ করেছি, অনেক হতাশ হয়েছি কিন্তু হাল ছাড়ি নি এবং শেষটা দেখতে চাই বলে নিজের সাথে নিজে জেদ করেছি অনেক চড়াও উতরাও মাধ্যমে আজ আমার উদ্যোগের ২ বছরেরও বেশি সময় পর্যন্ত চলছে।
৫০০০ টাকা দিয়ে আমার উদ্যোক্তা জীবন শুরু করেছি।শুরুতে আমার উদ্যোগে থ্রিপিছ ছিল আর এখন আস্তে আস্তে একটা একটা সংযোজন হচ্ছে।
আমার সেই উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে সোস্যাল মিডিয়ায় আমার একটা পেইজ আছে। আমার পেইজ এর নাম Baitul Libas BD।
আমার পেইজে যা যা পাবেন শাড়ি, থ্রিপিছ, বেডশিট, নকশিকাথাঁ, বেবিড্রেস, পাঞ্জাবী,লুঙ্গি এবং গামছা পণ্য।
🌺🌺🌺☘️প্রিয় প্লাটফর্ম :
নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনে আমি নতুন একজন সদস্য ১৮ নম্বর ব্যাচের। স্যারের দেওয়া প্রত্যেকটি সেশন আমি খুব ভালো ভাবে পাঠ করি। এবং সেগুলো মেনে চলার চেষ্টা করি। চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার সেশন ক্লাস এবং বায়জিদ জোনে প্রতিদিন সেশনচর্চা হয় এবং আমি সেখানে সব সময় উপস্থিত থাকি। এবং মাঝে মাঝে ফ্রি সময় থাকলে অন্যান্য জোনের সেশন চর্চা ক্লাসেও যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করি কারণ এখান থেকে আমার অনেক কিছু শেখার আছে। আর একটা কারণ হচ্ছে সেশন চর্চায় আমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হই।
কিছুদিন আগেও যাদেরকে আমি চিনতামই না। কিন্তু আজ তাদের সাথে কথা না বললে ভালো লাগে না। সারাদিন অপেক্ষা করে থাকি কখন সেশন এর সময়টা আসবে। এবং কখন সবার সাথে কথা হবে। আপনাদের সবার জীবনের গল্প হয়তো আমি পড়তে পারিনি। তবে কিছু কিছু গল্প আমি পড়েছি। এবং সবার জীবন থেকে আমি কিছু না কিছু শিক্ষা গ্রহণ করেছি।
এই ফাউন্ডেশনের প্রতিটি মানুষ এতটা আন্তরিক ভাবতেই খুব ভাল লাগে এবং গ্রুপটি দিন দিন প্রিয় থেকে প্রিয়তর হচ্ছে।
❤️❤️❤️প্রিয় Iqbal Bahar Zahid স্যার :
গুণী মানুষের সানিধ্য পেলে নাকি নিজের গুণেরও বিকাশ ঘটে। তাই সেই সুযোগ হাত ছাড়া করতে নাই......
প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার আপনাকে জানাই অন্তরের অন্তস্তল থেকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং চির কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি.....আপনার মত এত গুনী মানুষ জন্মে ছিলেন বলেই "নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন" এর জন্ম হয়েছে। আপনি জন্মে ছিলেন বলে লাখো লাখো তরুণ তরুণী হতাশাকে ডিঙিয়ে আশার আলো খুঁজে পেয়েছে। আপনি জন্মে ছিলেন বলেই আমার মত লাখো লাখো জন উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছে এবং স্বপ্ন সফল করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করছে....
তাই আপনাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা....
আল্লাহ যেন আপনাকে দীর্ঘ থেকে আরো দীর্ঘতর হায়াত দান করে সেই দোয়াই একমাত্র কাম্য.....
🥀🥀🥀শেষ কথা:
জীবনের গল্পে এই অল্প কথায় ৩০টা বছরের পার করে দেওয়ার প্রতিটি মুহুর্ত তুলে ধরা আসলেই অসম্ভব.....
তবুও চেষ্টা করেছি নিজের ভাল - খারাপ মুহুর্ত গুলোকে তুলে ধরার জন্য।
অবশেষে বলতে চাই যিনি বা যারা আমার জীবনের গল্পটি শেষ পযর্ন্ত পড়েছেন সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি আপনারা সবাই আমার উদ্যোগের পাশে থেকে উৎসাহিত করবেন কেননা আপনাদের উৎসাহই আমার পথ চলার অনুপ্রেরণা.......
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৪৬
তারিখ ০৫-০৮-২০২২ইং
হাবিবা সুলতানা
ব্যাচ নংঃ ১৮
রেজিষ্ট্রেশন নংঃ ১০১০৩৯
জেলাঃ চট্টগ্রাম
থানাঃ আনোয়ারা
বর্তমান অবস্থানঃ অক্সিজেন
পেইজঃ Baitul Libas BD
কাজ করছি শাড়ি, থ্রিপিস, বেডশিট, নকশিকাথাঁ,বেবি ড্রেস,হ্যান্ডপেইন্টিং আইটেম, পাঞ্জাবী এবং গামছা পণ্য নিয়ে।
পেইজের লিংক https://www.facebook.com/baitullibasbd/