কর্মসংস্থান করতে হবে নিজে উদ্যোগ নিয়ে, হতেই হবে সফল মানুষ স্যারের শিক্ষা পেয়ে।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম🌺
🔷আমার জীবনের গল্প🔷
🕋আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু🕋
🌷সমস্ত প্রসংশা মহীয়ান গরীয়ান রাব্বুল আলামিনের প্রতি তার সকল সন্তুষ্টির জন্য যিনি আমাদেরকে আশরাফুল মাখলুকাত তথা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।
লাখো কোটি দুরুদ ও সালাম প্রেরণ করছি সেই মহামানবের প্রতি যাকে সৃষ্টি না করলে এই আকাশ বাতাস বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হতো না। আমরা সেই নবীর উম্মত আলহামদুলিল্লাহ। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর হাজারো কোটি দুরুদ পাঠ করছি।
🌷 কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার জীবনের সবচাইতে আপনজন আমার মা ও বাবাকে যাদের উছিলায় আমি সুন্দর পৃথিবীতে এসেছি এবং সুন্দর এই পৃথিবীতে বড় হয়েছি তাদের প্রতি রইল আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা ও দোয়া। তারা অনেক স্নেহ,আদর ও ভালোবাসা দিয়ে আমাকে লালন পালন করেছেন। যাদের ঋণ কখনো শোধ হবার নয়।
🌹অসংখ্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাদের লাখো লাখো মানুষের প্রাণ প্রিয় মেন্টর জনাব Iqbal Bahar Zahid স্যারের প্রতি। যিনি এই শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার ভাল মানুষ গড়ার কারিগর জীবন্ত কিংবদন্তী, সেরা শিক্ষক, মোটিভেশনাল স্পিকার, হাজারো পথহারা বেকারদের পথের দিশারী। যার সুন্দর পরিকল্পনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন। এত সুন্দর একটি প্লাটফর্ম আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য আবারও কৃতজ্ঞতা স্যারের প্রতি।
আশা করি আপনাদের নিজেদের মূল্যবান কিছুটা সময় ব্যয় করে কাছে ও দূরের,দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত যে যেখান থেকে আমার জীবনের গল্পটি পড়েবেন সবাই আপনাদের মনের অনুভূতি শেয়ার করবেন এবং লাইক কমেন্ট করে পাশে থাকবেন। আপনাদের সকলের প্রতি রইলো আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও মোবারকবাদ। নিজেকে অনেক বেশি ধন্য ও গর্বিত মনে করছি এই প্লাটফর্মের একজন গর্বিত ও আজীবন সদস্য হিসেবে যুক্ত হতে পেরে।
🌷আমার পরিচয়ঃ
আমি মোঃ রফিকুল ইসলাম
আমার জন্ম ১৯৮১সালে গাজীপুর জেলা,শ্রীপুর উপজেলার ২নং গাজীপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড এর স্বনামধন্য ধনুয়া গ্রামের ছোট্ট একটি বাড়িতে। বংশ পরিক্রমায় সৈয়দ বংশের মুসলিম পরিবারের একজন সদস্য।
আমাদের পরিবারে আমরা সাত ভাই ও তিন বোন।পরিবারের সদস্য হিসেবে ভাইদের মধ্যে আমি তৃতীয় । আর ভাই-বোনদের মধ্যে আমি চতুর্থ। আমার ছোট দুই বোন আর চার ভাই আছে। বড় দুই ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে আমি ভাইদের মধ্যে বড় হয়ে গেছি।এখন আমি বাড়ির বড় ছেলে।
🌹শৈশবকালঃ🌷
নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করা আমার শৈশবকাল ছিল খুবই মধুর ও সুখের জীবন। বুঝতে পারতাম না তেমন দুঃখ কষ্ট কি? বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে বেশ আনন্দের সাথে সময় কাটছিলো। আমার জন্মের আগেই পরলোক গমন করেন আমার দাদা ও নানা। যাদের মায়া থেকে বঞ্চিত আমার শৈশবকাল। পাড়ার আট-দশজনের মত আমার শৈশব মজার ছিল। গোল্লাছুট, বউছি, দাঁড়িয়া বাঁধা, ফুটবল, বিয়ারিং এর তিন চাকার গাড়ি চালানো ছিল আমার মজার শখ।
🌷আমার বাবা-মা ঃ-
আমার বাবা হাজী মোঃ লিয়াকত আলী, মাতা মোসাঃ রাশিদা খাতুন। আমার বাবা ছিলেন একজন আদর্শ কৃষক ও কাঠ মিস্ত্রি। মা ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিনী। বাবা ছিলেন খুবই সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ। যার প্রতিনিয়ত কাজ ছিল অপরের উপকার করা এবং নিজের কষ্টের চিন্তা না করে পরিবারকে কিভাবে ভালো রাখা যায় সেই চিন্তা করা। তেমনি মা ও ছিল একই রকম। সবসময় নিজে না খেয়ে, নিজে না পরে ছেলে-মেয়েদের সুখের জন্য এবং অপরের ভালোর জন্য সবসময় চিন্তায় থাকতেন। আমার দেখা মতে আমার বাবা-মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা-মা। যাদের তুলনা কারো সাথে হয়না। তাই বাবা মাকে নিয়ে আমার কবিতা ➡️➡️⤵️
আমার মা
মোঃ রফিকুল ইসলাম
আমার মা শ্রেষ্ঠ মা
এই পৃথিবীর বুকে,
তাহার মত দয়ার সাগর
দেখিনি দু চোখে।
সত কষ্ট বুকে চেপেও
হাসেন আমায় দেখে
একটি বেলাও খায়নি খাবার
আমায় দূরে রেখে।
একটি রাতও ঘুমায়নি সে
আমি দূরে গেলে,
পৃথিবীটাও তুচ্ছ করেন
আমায় কাছে পেলে।
একটু চোখের আড়াল হলেই
খুঁজেন হাজার বার,
আমি নাকি জীবন তাহার
বলেন বারং বার।
মায়া ভরা চোখে তাহার
আমিই নয়ন মনি,
আমিই নাকি সকল সম্পদ
আমিই সোনার খনি।
আমার একটু অসুখ হলেই
বলেন দু হাত তুলে,
খোকার শাস্তি আমাকে দাও
অপরাধ সব ভুলে।
মাগো তোমার আঁচল তলে
সুখের ছায়া পাই,
সুখে দুখে তাইতো মাগো
তোমায় কাছে চাই।
সকল শান্তির মমতা মাখা
মাগো তোমার মুখে,
জন্ম আমার স্বার্থক মাগো
জন্মে তোমার বুকে।।
আমার লিখা মাকে নিয়ে কবিতার মা এর জায়গায় বাবা বসিয়ে দিলে বাবাও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা হয়ে যাবেন। বাবার কাছ থেকেই শিখছি কিভাবে কথায়, কাজে মানুষের উপকার করা যায়।বাবাই আমার আদর্শ। বাবার ভালো সব গুণগুলো বুকে ধারণ করে চলছি অনবরত।
🌹পারিবারিক অবস্থাঃ
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার হিসেবে অভাব সবসময় লেগেই থাকতো। আমাদের পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো। অত্যন্ত নিন্মমানের খাবার খেয়ে জীবন চলত আমাদের। মাঝে মাঝে দু-এক বেলা না খেয়েও কাটাতে হয়েছে। ঈদের দিন নতুন জামার চাহিদা থাকা সত্যেও পুরাতন জামা গায়ে দিয়ে ঈদগা মাঠে যেতে হত আমাদের। এমনকি অন্য ৮-১০টা বন্ধুর বাবা মা স্কুলের টিফিন করার খরচ দিলেও আমার বাবা সেটা দিতে পারতেন না। এমনকি ঈদের দিনেও বন্ধুদের মত আমরা খরচ পেতামনা।
📖🖋️শিক্ষা ও কর্ম জীবনঃ-
শুরু করছি সেই ছোট বেলা থেকে যখন বড় বোনের হাত ধরে মকতবে যেতাম। মকতব থেকে ফিরে এসে বড় ভাইয়ের হাত ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেতাম। খুব বেশি মনে নেই, তবু যতটুকু মনে পড়ে বড় ভাই বিদ্যালয়ে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করিয়ে দিয়ে চলে আসতেছিল আর আমিও কাঁদতে কাঁদতে ভাইয়ার পিছন পিছন চলে আসছিলাম। তখন থেকে শুরু করে পদে পদে ভাইয়া আমাকে শিখিয়েছেন অ, আ, থেকে শুরু করে পড়ালেখা কি? পড়ালেখা কেন করতে হবে? ভাল ছাত্রের গুণাগুণ, ভাল ছাত্র হওয়ার উপায়। এক কথায় বলতে গেলে আমার শিক্ষা জীবনের আইডল আমার বড় ভাই। ঠিকঠাকই চলছিল আমাদের জীবন। হঠাৎ ১৯৯০ সালে বড় ভাই রোড এক্সিডেন্টে মারা যাওয়ায় এলোমেলো হতে থাকে আমাদের জীবন। ভাইয়ার মৃত দেহটা দেখে ব্রেইন শট হয়ে মা হয়ে যায় মেন্টাল রোগী। মা সংসারের প্রতি দায়িত্ব কমিয়ে ফেলায় বাবাও দ্বিতীয় বিয়ে করতে বাধ্য হন। আরও এলোমেলো হতে থাকে আমাদের জীবন। মা সুস্থ অবস্থায় থাকার সময় মা ছিল প্রচুর কর্মঠ তাই বাড়ির পাশে প্রায় সবধরনের শাকসবজি আবাদ করতেন কিন্তু মা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় শাকসবজি বাবাকে বাজার থেকে কিনে আনতে হতো। তাই সংসারের খরচটাও বেড়ে গেছে আর সেজন্য সারা বছরেই অভাব লেগে থাকত। অভাবের তাড়নায় বাবা কৃষি কাজটা বাড়িয়ে দিল আর সেখানে বাবার সাথে আমাদেরকেও কাজ করতে হতো। তাই শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি কর্ম জীবনের হাতেখড়ি কৃষি কাজ করার মাধ্যমেই এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়।প্রতিদিন সকালে কৃষি কাজ, স্কুলের সময় স্কুলে যাই, বিকালে খেলাধুলা করা আর রাতে স্কুলের পড়া শিখার সময় নির্ধারণ করা হয়। এই সিডিউল নিয়ে চলতে থাকে জীবন গাড়ির চাকা। স্কুলে পড়ার চাপ বেশি হলে রাতের বেলায় বেশি পড়তে হয় বা পড়া শেষ করার জন্য খেলার সময় থেকে নিতে হয় সময়, কাজের সময় থেকে নিতে চাইলেই পড়ালেখা বাদ দেওয়ার হুমকি আসে। ৫ম শ্রেণী শেষ করে হাই স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর থেকে শুরু হল বাবার ব্যবসায় সময় দেওয়া। বাবা বারবার ব্যবসা পাল্টিয়ে অবশেষে বেডিং ষ্টোর আর ক্লথ ষ্টোর দুটি দোকান পরিচালনা করতেন। সেই সুবাধে আমি ও দুটি ব্যবসা আয়ত্ব করে নেই। ইতিমধ্যে আমার দ্বিতীয় মায়ের বাবা মা মারা যাওয়ায় আমার মামা খালাদের আশ্রয় হয় আমাদের বাড়িতে। তাই বাবার সংসারের খরচটা আরও অনেক বেড়ে যায়। তাই বাবার ব্যবসায় আমাকে প্রচুর সময় দিতে হয়। এক সময় বাধ্য হয়ে পড়ালেখাটা বাদ দেই। এভাবে বাবার ব্যবসার পাশাপাশি নিজে টেইলারিং কাজটা শিখে নিই। বাবার ব্যাবসা চালানো আর টুকটাক দর্জি কাজ করে চার বছর পার হওয়ার পর একজন প্রতিবন্ধী মাস্টার্স পাস করা লোকের সাথে সাক্ষাৎ হল আমার। তার পড়ালেখার গল্প শোনে নতুন করে স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নেই এবং বাবার কিছু শর্ত মেনে বাবার ব্যবসায় সময় দেওয়ার পর পড়ালেখা করে ২০০২ সালে এস এস সি পাশ করি। কলেজে জীবন শুরু করলাম সেই শর্ত মেনেই।
🌷 বৈবাহিক ও কর্মজীবনঃ
কলেজ জীবন শুরু হওয়ার সাথে সাথে বাবার ব্যবসার মন্দা সময় আসে তাই বাবার ব্যবসা দিয়ে সংসারের খরচ চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ে তাই আমি অতি অল্প পুজি নিয়ে টেইলারিং ব্যবসা শুরু করি এবং বাবার সংসারের হাল ধরি। এভাবে কিছুদিন যেতে না যেতে পারিবারিকভাবে বিয়ে করানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে। কি আর করা নিজের পছন্দের কথা সবার সাথে শেয়ার করি।বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করার জন্য দুই পক্ষ বসে।আলোচনার এক পর্যায়ে দেনা পাওনার হিসাব সামনে আসে। মেয়ে পক্ষ যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় বিয়েটা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়।আমি আমার এক দাদার মাধ্যমে জানিয়ে দেই আমিও যৌতুক নিয়ে বিয়ে করবনা। কথাটা আমার বাবা ও চাচাদের কাছে বেয়াদবি মনে হয়। তবু বিষয়টা আমাকে বুঝতে না দিয়ে বিয়েতে রাজি হন এবং বিয়ের সমস্ত আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার পর থেকে আমার সাথে বাবা চাচাদের ব্যবহার অন্য রকম বদলে যেতে শুরু হয়।তাদের মতে যৌতুক নিলে আমিই আমার ব্যবসা ভালভাবে করতে পারতাম। এভাবে কিছু দিন যেতে না যেতেই বাবার সংসার থেকে আমাকে আলাদা করে দেওয়া হয়।আর আমার ব্যবসা আমার কাছ থেকে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে কেড়ে নেওয়া হয়। তার মাঝে একটি যুক্তি, বাবার সংসারে থেকে বাবার সংসারে খেয়ে যা কিছু করেছি সবই নাকি বাবার। এবার বললাম ব্যবসার জন্য আমি ১৭০০০ টাকা লোন করেছি সেটা কে দিবে? বাবা বললেন, আমি কি তোমাকে লোন করতে বলেছিলাম? বাবার যুক্তির কাছে হার মেনে আমার ব্যবসা বাবাকে বুঝিয়ে দিয়ে ১৭০০০ টাকা ঋন নিয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৫০০ টাকা বেতনে চাকুরী নিয়ে আমার কর্ম জীবন শুরু করলাম।
🌹আমার উদ্যোগঃ
ছোটবেলা থেকে প্রতিটি মানুষের কিছু স্বপ্ন থাকে, নিজস্ব চিন্তা থাকে ভালো কিছু করার। আমারও একটি স্বপ্ন ছিল একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার। তাই নবম শ্রেনীতে ব্যবসা শিক্ষা শাখায় পড়াশোনা করেছিলাম। আর অল্প বয়স থেকেই ব্যবসার সাথে জড়িত হয়েছিলাম। কিন্তু শুধু যৌতুক না নেওয়ার অপরাধে আমার জীবনটা এভাবে এলোমেলো হয়ে যাবে বুঝতেও পারিনি তবে ভাগ্য আমাকে নিয়ে যে খেলা খেলল সেটাকে আমার ভাগ্য বলেই মেনে নিয়ে জীবন যুদ্ধ শুরু করলাম। সবার জীবনেই স্বপ্ন থাকে, তাই আমি আমার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেওয়ার জন্য চাকুরির পাশাপাশি একটি ব্যবসা শুরু করি। ব্যবসা আর চাকুরী থেকে যা আসে তা দিয়ে সংসার চালিয়ে আমার প্রথম স্বপ্ন জমি কিনলাম এবং স্বপ্ন পূরন করলাম এবং দ্বিতীয় স্বপ্ন একটি বাড়ি করলাম। প্রিয় এই প্লাটফর্মে আসার পর থেকে মনে হচ্ছে বাড়ি করার আগে ব্যবসাটাকে আরও গতিশীল করে চাকুরীকে না বলে জীবনের পরিকল্পনা সাজানো উচিৎ ছিল। যাই হোক যা চলে গেছে তা নিয়ে আর না ভাবাই ভালো। স্যারের শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ঘুরে দাড়ানোর প্রত্যাশা করি। তাই ব্যবসায়ের নাম দিয়েছি (এ টু জেড) স্বপ্নের হাট। অতি অল্প সময়ের মধ্যেই স্বপ্নের হাটে উদ্বোধন করবো ইনশাআল্লাহ।
🌹প্রিয় ফাউন্ডেশনে আশার গল্পঃ-
আমার এক বন্ধু ইন্জিঃ জিয়াউর রহমানের সাথে ব্যবসায়ীক আলোচনা করতে গিয়ে তার কাছ থেকে কিছু শিখতে চেয়েছিলাম তখন তিনি আমাকে একটি লিংক শেয়ার করেন আর বলেন এই ভিডিওগুলো দেখলে সব পেয়ে যাবে। আমিও ভিডিও দেখা শুরু করলাম। যতই দেখছিলাম ততই ভিডিওগুলোর প্রেমে পড়ছিলাম। কারণ ভিডিওগুলো ছিল লাখো মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন এ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার, ভাল মানুষ গড়ার কারিগর, জীবন্ত কিংবদন্তী জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের। তারপর কিভাবে প্লাটফর্মে যুক্ত হলাম বলতে পারিনা। একদিন প্লাটফর্মের বিভিন্ন পোস্ট পড়তে থাকি আর ভাবি এটাইতো আমি খুজতেছিলাম। মনে মনে বন্ধুকে ধন্যবাদ জানাই।এবার লক্ষ্য করলাম সবাই কিসের ব্যাচ, রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার লিখে কিন্তু আমারতো এগুলো নেই। তাই আমি লিখি আমি রেজিষ্ট্রেশন করতে চাই। ওমর ফারুক সরদার নামে একজন আমার কাছে কিছু ডাটা চায় আমিও দিয়ে দেই। কিন্তু তার পরও বুঝতে পারিনা কি হচ্ছে আবারও লিখি আমি রেজিষ্ট্রেশন করতে চাই। এবার সিরাজগন্জের বন্যা পারভেজ আপু এবং মুন্সিগঞ্জের সাথী আক্তার আপু আমার ডাটা চায় আমি ওনাদেরকেও দেই এবার সাথী আক্তার আপু আমার ইনবক্স চেক করতে বলেন কিন্তু আমি বুঝিনা। বন্যা পারভেজ আপু বলেন আমার নাকি আগেই রেজিষ্ট্রেশন হয়ে গেছে তাই আপু সাথে সাথেই আমাকে ইনবক্সে মেসেজ করে আমার ব্যাচ,রেজিষ্ট্রেশন পাঠিয়ে দেন। অসংখ্য ধন্যবাদ ওমর ফারুক সরদার ভাইজান এবং সাথী আক্তার আপু ও বন্যা পারভেজ আপু দুজনকেই। এভাবে সাথী আক্তার আপু ও বন্যা পারভেজ আপুদের মাধ্যমে জানতে পারি সেশন চর্চা ক্লাসে যুক্ত হওয়া এবং কিভাবে সেশন চর্চা ক্লাস করতে হয়। আর তার ধারাবাহিকতায় বন্যা পারভেজ আপু আমাকে দুলাল আঙ্কেলের মাধ্যমে গাজীপুর মেসেঞ্জার গ্রুপে যুক্ত করিয়ে দেন।শুরু হল সেশন চর্চা ক্লাস। এখানে যুক্ত হয়েই ইউসুফ হোসেন তন্ময় ভাই, মমিন সরকার ভাই, মনির প্রধান ভাই সেলিম আহম্মেদ ভাইদের আলোচনা শুনি আর মনে মনে ভাবি ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার এত সুন্দর মনের মানুষ তৈরি করছেন। অপেক্ষায় থাকি কবে কোথায় মিট আপ হবে আর আমার স্বপ্নের মানুষগুলোকে দেখব। প্রিয় মানুষগুলোকে দেখার জন্য রাতে আমার ঘুম হয়না আমি এতটাই প্রেমে পড়ে গেছি তাই ইউসুফ হোসেন তন্ময় ভাইয়ার ইনবক্সে নক করি এবং ভাইজানের ট্রাস্ট পয়েন্টের সন্ধান পাই এবং ওখান গিয়ে ভাইজানকে দেখার সৌভাগ্য হয়। এবং বাকি ভাইয়াদেরকে শ্রীপুর উপজেলার মহাসম্মেলনের টিকেট বিতরণ মিটআপে কাঙ্ক্ষিত সকল ভাইয়াদের সাথে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়। ওখানে গিয়ে এফ এম মেহেদী ভাই, লিটন আহম্মেদ ভাই, আল আমিন শেখ ভাইদের সাথে দেখা ও কথা হয় এবং মমিন সরকার ভাইজানের মায়ের হাতের তৈরী সন্দেশ খাওয়ার সৌভাগ্য হয়। পরবর্তীতে গাজীপুর জেলার মিটআপে জায়েদ হাসান ইমরান ভাই, সাব্বির আহমেদ ভাই, খোরশেদ আলম ভাই, আসরাফুল আলম ভাই এবং মহাসম্মেলনে রহিমা আক্তার স্বপ্না আপু, হৃদয় হাসান ভাই, রাকিব সিককদার ভাই সহ অনেক ভাই আপুদের দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। আমার প্রাণের প্রিয় স্যারকে দেখার সৌভাগ্য হয় মহাসম্মেলনে। রাজশাহী আম মেলায় অনেক ভাইয়া আপুদের সাথে পরিচিত হই। বিশেষ করে জাহাঙ্গীর খান ভাই, ইসমত হাসান ভাই, মেজবাহ আহমেদ ভাই, সাগর বনিক দাদা, জহির জয় ভাই, এম আই হোসেন ভাই, আব্দুল আওয়াল ভাই, সোহানুর রহমান সোহান ভাই, মেঘলা সুলতানা আপু, সাগরিকা ইকবাল আপু, ইনিয়া ইসলাম বৃষ্টি আপু। এভাবেই এখন প্লাটফর্মের অনেকের সাথে দেখা ও কথা হচ্ছে এবং সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে। বিশেষ করে শহিদুল সিকদার,আসাদুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম, জাহিদ বাবু, মহসিন হানিফ,ওমর ফারুক সোহাগ, নিরব নোমান,আর জে আসাদুল,লোকমান মামুন, মাসুদ রানা,সোহেল পাটোয়ারী, সোহেল রানা,শাকিব শাহরিয়ার, হেলাল উদ্দিন মোল্লা, মোনাফ হোসেন, তাজুল ইসলাম, আনোয়ার পাসা, রিফাত, নাঈম, রফিকুল ইসলাম, আফ্রিদা কণা, জান্নাত আলী, সোনিয়া শারমিন, শিমলা আক্তার, বিপাশা জাহান বিপা, ফারজানা ইসলাম জেনী, ফারজানা আক্তার,নাঈমা আক্তার আখি, পপি আক্তার, ইফাত মলি, জিনিয়া আফরিন মলি, নাদিয়া আক্তার, ডেইজি খাতুন, ইজারা, সানজিদা সানজি,সায়মা সিদ্দিকা, ইয়াসমিন আক্তার পান্না, শরিফা আক্তার, সোদাদ শারমিন সবার নাম লিখতে পারছিনা তাই যাদের নাম বাদ পড়েছে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। বিশেষ করে মাহমুদ ভাই,আল মামুন ভাই, খান জুয়েল ভাই, দুলাল আঙ্কেল, মহসিন হানিফ ভাই এবং তাজরিন চৌধুরী চম্পা আপুদেরকে দেখার অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি। সিলেটের ফাহিম মুন্তাছির ভাইয়ার লাইফ প্রোগামগুলো আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দেয়। এখানে এসে যে ভাল মানুষের পরিবার পেয়েছি তা বলে বুঝানো যাবেনা।আবারও কৃতজ্ঞতা জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে এত সুন্দর ভাবে নিজের মেধা ও শ্রম দিয়ে আমাদেরকে এক পরিবারে নিয়ে আসার জন্য। স্যারের প্রতিটি সেশন অসাধারণ। একজন মানুষকে তার জীবন বদলানোর জন্য স্যারের দেওয়া একটি সেশনেই যথেষ্ট তারপরও ৯০টি সেশন দিয়েছেন সময় উপযোগী করে। স্যারের সেশনগুলো বুকে ধারন করলে একটি মানুষ ও একদিনও বেকার থাকবেনা এটা আমার বিশ্বাস। স্যারের সেশনের কিছু কথা একত্রিত করে আমি একটি কবিতা লিখার দুঃসাহস করেছি। কেউ কথাগুলো আমার মনে করে ভুল বুঝবেন না।আমার লিখা কবিতাঃ-
🌿🌺🌹স্যারের শিক্ষা 🌹🌺🌴
🌷🌷🌷মোঃ রফিকুল ইসলাম
ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারকে
প্রথমে সালাম দিয়ে,
লিখা আমার শুরু করলাম
স্যারের বানী নিয়ে।
সকল কাজের বাঁকে বাঁকে
বাঁধা হাজার বার,
শিখিয়েছেন স্যার সবাইকে
কেমনে হবেন পার।
বাবা মায়ের দোয়া ছাড়া
থাকবেনা কেউ সুখে,
সারা জীবন রাখতে হবে
তাদের হাসি মুখে
মানবতার কাজ করিলে
অভাব হয়না কাজ,
শিক্ষা মোদের জাহিদ স্যারের
নেইকো তাতে লাজ।
স্বপ্ন দেখে সাহস করে
করতে হবে শুরু,
আঠার মত লেগে থাকতে
বলে দিয়েছেন গুরু।
৯টা-৫টা ভুলে গিয়ে
লেগে থাকতে হবে,
সফলতার সোনার হরিণ
তবেই ধরা দিবে।
ভাল মানুষ হতে হবে
ভাল করে মন,
সততা আর কমিটমেন্টকে
করিবে মূলধন।
লিডারশীপ আর ভলান্টিয়ারিং
করবে সুযোগ পেলে,
হতেই হবে সেরা মানুষ
সবাইকে পিছনে ফেলে।
কর্মসংস্থান করতে হবে
নিজে উদ্যোগ নিয়ে,
হতেই হবে সফল মানুষ
স্যারের শিক্ষা পেয়ে।
সোনার বাংলা গড়তে একজন
সোনার মানুষ চাই,
ইকবাল বাহার স্যারের মত
দ্বিতীয় কেউ নাই।
☘️প্রিয় ফাউন্ডেশন থেকে প্রাপ্তি☘️
প্রিয় ফাউন্ডেশনে যুক্ত হওয়ার পর টানা ৯০টি সেশন চর্চা ক্লাশে উপস্থিত থেকে বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে এবং স্যারের ভিডিওগুলো দেখে নিজেকে যেভাবে বদলাচ্ছি তার বিবরণঃ-
১। প্রিয় স্যারের শিক্ষা পেয়ে প্রথমেই আমি আমার ফেজবুক আইডি নাম এবং প্রোফাইলের ছবি, নিজের নাম ও ছবি সংযুক্ত করেছি।
২। প্রিয় স্যারের শিক্ষা গ্রহণ করে নিজেকে ভাল মানুষ পরিচয় দেওয়ার জন্য নিজের মধ্যে থাকা খারাপ বিষয়গুলো পরিহার করার চেষ্টা করেছি।
৩। প্রিয় স্যারের শিক্ষা গ্রহণ করে নিজের বাবা মাকে ভালবাসতে শিখেছি।
৪। প্রিয় স্যারের শিক্ষা গ্রহণ করে সততা ও কমিটমেন্ট রক্ষা করার জন্য সদা সচেষ্ট থাকি।
৫। প্রিয় স্যারের শিক্ষা গ্রহণ করে একজন মানবিক মানুষ হিসাবে ভলাটিয়ারিং শিখছি এবং নিজেকে একজন মানবিক মানুষ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছি।
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৫২
তারিখ ১২-০৮-২০২২ইং
☘️মোঃ রফিকুল ইসলাম
❤️ব্যাচঃ ১৫
💜রেজিষ্ট্রেশনঃ ৭৪৮৪২
💚নিজ জেলাঃ গাজীপুর
🤍উপজেলাঃ শ্রীপুর
💛 একজন শিক্ষার্থী হিসেবে শিখছি