ভাগ্য বদলাতে কাজ করতে পারি
শুরু করছি মহান সৃষ্টি কর্তা পরম করুনাময় আল্লাহর নামে যিনি মহান ও অত্যান্ত দয়ালু।
সু প্রিয় নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর ভাই ও বোনেরা....
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আশা ও বিশ্বাস সকলে ভালোই আছেন, আমি আলহামদুলিল্লাহ চমৎকার ভালো আছি,
সর্ব প্রথম শুকরিয়া আদায় করছি সেই মহান রবের প্রতি যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং আশরাফুল মাখলুকাত হিসাবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন ।
সালাম ও দরুদ প্রেরণ করছি প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি। যাকে সৃষ্টি না করলে মহান আল্লাহ তা'আলা কোন কিছুই সৃষ্টি করতেন না।
ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি আমার মা বাবার প্রতি যারা আমাকে জন্ম দিয়ে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছেন এবং অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে আমাকে লালন পালন করেছেন।
আন্তরিক শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি প্রিয় মেন্টর ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের প্রতি, যার নিরলস প্রচেষ্টায় সফল আজকের এই নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন যিনি নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন লাখো লাখো তরুন তরুণী ভাগ্য পরিবর্তনে।প্রিয়
ফাউন্ডেশন এর একজন সদস্য হতে পেরে নিজে কে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করছি, একটি পরিবার পেয়েছি ।যেখানে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন উদ্যোক্তা ভালো মানুষ দক্ষও সাহসী একটি সুশীল উদ্যোক্তা সমাজ যার অনুপ্রেরণায় আজ আমরা খুব সহজে নিজের পাশাপাশি অন্যদের অনুপ্রেরণা উচ্ছ্বাস উদ্যোক্তা হওয়ার জীবন কাহিনী আনন্দ বিনোদন লিপি বদ্ধ করার সহজ সাহস পেয়েছি পেয়েছি লক্ষ লক্ষ ভাই ও আপুদের দোয়া উৎসাহ অনুপ্রেরণা ও ভালোবাসা।
আজ আমি আমার বাস্তব জীবনের কিছু কথা শেয়ার করবো সবাইকে....
আশা করছি আপনাদের জীবনের ব্যস্ত সময় থেকে একটু সময় নিয়ে আমার গল্পটা পড়ার অনুরোধ করছি।
প্রতিটা মানুষের জীবনটাই একটা গল্প। প্রতিটা মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবনটা একটা গল্পের অধ্যায়।
গল্পের মাঝে থাকে হাসি কান্না সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা সবকিছু নিয়ে মানুষের বাস্তব জীবনের গল্প।
কারো জন্ম হয় অতি আদরের ধনি পরিবারের সোনার চামচ মুখে নিয়ে আবার কারো জন্ম হয় অনাদরে রাস্তায় ধারে কষ্টের মাঝে দুইটি জীবন।
এই যে আমি অল্প পরিসরে আপনাদের সামনে কিছু লিখতে পারছি এইটা সবটুকু অবদান এই ফাউন্ডেশনের। আমি আগে কাউকে চিনতাম না জানতাম না আমাকে কেউই চিনতো না, প্রিয় ফাউন্ডেশনে যুক্ত হয়ে আমি এখন অনেক ভাই বোনদের কে চিনি এবং আমাকে অনেকই চিনেন ,আমি আপনাদের সকলের দোয়া ও ভালোবাসা সহযোগিতা আশা করছি,আমি যেন নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর আমাদের প্রিয় মেন্টরের আদর্শ বুকে ধারণ করে একজন ভালো মানুষ হিসাবে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে সকলের সামনে বুক ফুলিয়ে পরিচয় প্রধান করতে পারি। ও দেশ ও সমাজের মানুষের জন্য কিছু করতে পারি
জীবন থেকে নেয়া জীবনের গল্প
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
আমি মাকসুদা বেগম
আমাদের পরিবার মোট লোক সংখ্যা ৭ জন আমার বাবা-মা তিন ভাই ও আমরা দুই বোন আমরা মধ্য বর্তী ফ্যামিলি পরিবার চাকরি করতো, আলহামদুলিল্লাহ আমাদের পাঁচ ভাই বোনের পড়ালেখা স্কুলের খরচ দিয়ে মোটামুটি আমাদের সংসার ভালোই চলত মা ছিল গৃহিণী আমি ষষ্ঠ ক্লাস পড়াশোনা করছি তারপরে আমার আব্বা আমাকে বিয়ে দিয়ে দেয় আমার বিয়ের তিন বছর পরে আমার আব্বা দুনিয়া ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যায় ।
আমি ভাই বোনের ভিতরে আমি চার নম্বর
বিয়ের পর খুব সুখে ছিলাম সুখেই ছিলাম আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন খুব ভালো ছিল আমার মেয়ের বাবা সবার ছোট তারা তিন বোন দুই ভাই পাঁচ ভাই বোন
মেয়ের বাবা সবার ছোট ছিল পরিবারটা খুব হাসি খুশি ছিল একটা পরিবারে সুখ দুঃখ মিলিয়ে একটা পরিবার পরিবারে খালি দুঃখ না সুখ আছে আমরা যদি সত্য কথা বেশি বেশি মনে করি দুঃখটা খুব কম মনে করলে কষ্ট কম হয় কারণ কি আমরা সুখ বেশি সুখ বেশি করি দুঃখটা সীমিত তাই দুঃখ সুখ মিলিয়ে মানুষের জীবন।
গল্পটা বেশি বড় করবো না আমি সীমিত করছি....
দুঃখ শুরু........
মেয়ের বাবা ট্রাক ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা করত ব্যবসায় অনেক লস হয় তখন আমাদের অনেক অভাব দেখা দেয় পরিবারে সংসারে এক এক করে আপনজন সবাই ছেড়ে চলে যায় দুই মেয়ে ও আমরা স্বামী-স্ত্রী অনেক কষ্ট তখন চিন্তা করি যে স্বামীর সুখের সাথী দুঃখের সময়ের সাথে এখন আমি একটা সেলাই মেশিন কিনি সেলাই করি টুকটাক সংসার চলতে থাকে আমার স্বামী একটা পুরনো অটো কিনে দি সে অটো চালায় কোনরকম দুইটা মেয়ে নিয়ে চলে আলহামদুলিল্লাহ পরে কিছুদিন পরে সেই অটো নষ্ট হয়ে গেল এখন কি করবে পরে ফ্রেশ কোম্পানিতে কাজ পায় অল্প বেতন যাক আলহামদুলিল্লাহ সে একটা ভালো মানুষ এখন দুই মেয়ের পড়াশোনা ঘর ভাড়া আর আমাদের খাওয়া দাওয়া খুব টানাটানি আমার সেলাই টাকা দিও টানাটানি চলছে তখন চিন্তা করলাম যে মেয়ে দুটো বিয়ে দিতে খরচ লাগবে খরচ পাব কোথায় এখন নাই টুকটাক করে চলে যাচ্ছে খাওয়া-দাওয়া তখন মেয়ে বিয়ে দেবো ভালো জায়গা মেয়ে তো দেওয়াই লাগবে মেয়েদের কলেজে পড়ানো লাগতেছে বড় মেয়েটা আল্লাহর রহমতে অনার্স কমপ্লিট করছে আর ছোট মেয়েটা কেলাস সেভেনে পড়ে তখন আমার স্বামীকে বলি বিদেশে আসার কথা সে বলে আমি এই বয়সে বিদেশে যাব না যা হয় দেশে বসেই করব এখন আমি চিন্তা করলাম যে না তাহলে আমি সাহস করি সাহস করলাম আমার আন্টি ছিল তাকে বললাম সেসব ব্যবস্থা করে দিল বিদেশে আসলাম আলহামদুলিল্লাহ এখন আমাদের পরিবার আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছে আমি যখন আমার সংসারে ছিলাম তখন ফেসবুকে সব সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়াই ছিল না তবে facebook খুলতে হয় তাও আমি জানিনা আমি ইউটিউবে স্যারের ভিডিও সেশন গুলো দেখি দেখে আমার জীবনের কিছু কিছু আমি মিল পাই খুবই ভালো লাগছে নিজের বলার মতন একটা গল্প ফাউন্ডেশন আমার অনেক খুব অনেক অনেক ভালো লাগছে যেরকম কখনো শুনি নাই যে এত ভালো একটা ফাউন্ডেশন নামটা অনেক সুন্দর আমি পিছে তাকাইনি যে কে কি বলবে তাই নিয়ে আমি ঘরে বসে থাকবো না ঘরে বসে থাকলে আমাকে কেউ ৫০০ টাকাও হেল্প করবে না আমি নিজে ইনকাম করতেছি আমার স্বামীর হেল্প হচ্ছে আমার পরিবার এখন ভালো আছে সব সময় দোয়া করবেন যেন আমি আমার পরিবারের কাছে ফিরে যেতে পারি।
আমার স্বামী খুব ভালো মানুষ মাটির মানুষ আমি চিন্তা করলাম যে আমি নিজে কিছু করি দেশে থাকতে নিজের বলার মত ফাউন্ডেশনের কথা জানতাম না
বিদেশে আসার দুই বছর পর ইউটিউবে স্যারের ভিডিও গুলো দেখি আমার খুব ভালো লাগছে আমি ১৮ নম্বর ব্যাচে রেজিস্ট্রি করি প্রতিনিয়তে সেশন চর্চায় ক্লাস করি।
আমার জীবনের স্বপ্ন আমি একজন উদ্যোক্তা হতে পারি, গরিব অসহায় কিছু মানুষের কর্মসহস্থান করতে পারি।আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, আপনাদের দোয়া ও ভালো বাসা এবং সাপোর্ট আমার ভীষণ প্রয়োজন,
আমার স্বপ্ন
≈≈≈≈≈≈≈≈≈≈
আগামী ৫ বছরের মধ্যে ১০০ জন অসহায় নারীর কর্ম সহস্থান করতে পারি দেশ ও সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে পারি।
জীবনে যে কয়টা দিন বেঁচে থাকি যেন ভালো কাজ করতে পারি কিছু মানুষের ভাগ্য বদলাতে কাজ করতে পারি এই দোয়া করবেন আমি যেন একজন সফল উদ্যোক্ত হতে পারি। সব সময় আমার স্বামীর সুখ-দুঃখের সাথী
হয়ে থাকতে পারি। সবাই কে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ভালোবেসে আমার গল্প টা পড়ার জন্য,পরিশেষে আপনাদের সবার সুন্দর ও সুখী জীবন কামনা করে আজকের মতো এখানে বিদায় নিচ্ছি,
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৮৫৫
তারিখ ১৮-০৮-২০২২ইং
মাকসুদা বেগম
খুলনা জেলা
ব্যাচঃ- 18
রেজি নংঃ- 97180
বর্তমান অবস্থান সৌদি আরব তাবুক।