পজিটিভলি বাঁচা এগুলো শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন
👉জীবন থেকে নেওয়া জীবনের গল্পঃ-
সকল-কে পড়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম শুরু করছি মহান রাব্বুল আলামিনের নামে যে আল্লাহ আমাকে আপনাকে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরি করেছেন এবং এখনো পর্যন্ত মহামারী করোনা থেকে বাঁচিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক রেখেছেন। সকলে শুকরিয়া আদায় করি আলহামদুলিল্লাহ।
যে মা-বাবা জন্ম দিয়ে এই পৃথীবির আলো দেখিয়েছেন তাদের ঋণ শোধ করার ক্ষমতা কারোর ই নেই।
যে মা-বাবা ছোট থেকে বড় করেছেন। এখনো সন্তানের একটু অসুখ হলে নিজের চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনা সেই মা যেন আল্লাহ নেক হায়াতের মাধ্যমে সুস্থ রাখেন সেই দোয়া করি রাব্বির হাম হুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগিরা।
অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার করি লক্ষ লক্ষ তরুন তরুনীর স্বপ্নদ্রষ্টা এশিয়া মহাদেশের উদ্যোক্তা তৈরির কারিগর Iqbal Bahar Zahid স্যার এর প্রতি। যিনি পরম স্নেহে তৈরি করে যাচ্ছেন অগনিত উদ্যোক্তা। যিনি তৈরি করে দিয়েছেন এত বিশাল একটা ফ্লাট ফর্ম যেখানে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মিলন মেলা। স্যার হাতে কলমে শিখিয়ে দিচ্ছেন আপনার আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের রূপরেখা।
বিশেষ ধন্যবাদ জানায় আমাদের নোয়াখালীর গর্ব সকলের প্রিয় Abdul Karim Munna ভাইয়াকে। ভাইয়া সাহস এবং ভরসা দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
👉আমার জন্ম ও পরিচয়ঃ আমি রোমানা মাসুদ। মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেছি।। ১৯৯২সালের ১লা আগস্ট। নোয়াখালী জেলার সুবর্ণ চর উপজেলা।হারিছ চৌধুরী বাজার,হারিছ চৌধুরী বাড়ীতে জম্ন আমার।মরহুম হারিছ চৌধুরী আমার দাদাজান।
আমার বাবার নামঃ মৃত আবুল কাশেম বাচ্চু মিয়া (স্বাধীনতার পূর্বে এইচ এস সি পাস)মাতাঃজোৎস্না আরা বেগম (স্বাধীনতার পর, এস এস সি পাস,,, গৃহিনী)।
স্বামী ঃমো আবদুল ওয়াহেদ মাসুদ।
শিক্ষাগত যোগ্যতা ঃডিগ্রি কমপ্লিট।
পেশাঃচাকুরিজীবী(মেডিকেল ইনফরমেশন অফিসার) Rangs pharmaceuticals Ltd...
আমরা ৫ বোন ৩ ভাই।
বড় ভাইয়া মো আলমগীর হোসেন
পেশায় ঃদলিল লেখক কক্সবাজার জর্জ কোর্ট। দীর্ঘ ১৮ বছর একি জায়গায় আলহামদুলিল্লাহ।
মেজো ভাইয়া মো নোমান ছিদ্দিক রুমন।
পেশায় ঃব্যবসায়ি।owner of ROJA FASHION
ছোট ভাইয়া মাহবুবুল আলম।
পেশায়ঃব্যবসায়ি Owner of MB Collection...
এই হলো আমার তিন ভাই।
আমার বড় আপা হাছিনা কামরুল।
পেশায়ঃগৃহিনী।
মেজো আপা রোকসানা আক্তার মুক্তা।
পেশায়ঃগৃহিনী
সেজো আপা তাহমিনা আক্তার রত্না
আমার আপু মেনেজম্যান্ট ডিপার্টমেন্ট এর ৩য় বর্ষের ছাএী ছিলেন।২০১১ সালে দুরারোগ্য ক্যান্সারের কাছে হার মেনে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে আমাদের ছেড়ে চলে যায় 😰
আমার ইমিডিয়েট বড় বোন বিবি রাবেয়া সুবর্ণা।।পেশায়ঃগৃহিনী
👉👉👉শিক্ষাজীবন ও আমার সংগ্রামী জীবনের গল্পঃ আমি ২০০০ সালে আমাদের বাড়ীরপাশের দক্ষিণ চরজব্বর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।আমার স্কুলে ভর্তি হওয়ার কিছু দিন পর বাবা মারা যায় 😰২২ বছর পরও মনে পড়ে বাবার সাথে করা কিছু খুনসুটি।আমার বাবা এমন একজন মানুষ ছিলেন ২২ বছর পর এসে কেউ যখন জিঙ্গেস করে তুমি কার মেয়ে আমি গর্বের সহিত বলি মরহুম বাচ্চু মিয়ার মেয়ে।তখন মাথায় হাত রেখে বলে মা তোমার বাবার খাবার আমাদের পেটে আছে।বলে রাখি হারিচ চৌধুরী বাজার ওরপে আটকপালিয়া বাজারে তৎকালীন আমার বাবার ৭ টা হোটেল ছিল।কিছু দিন আগে এলাকায় নির্বাচন এর সময় হাতিয়ার এমপি মোহাম্মদ আলী সাহেব আসেন।উনি আমাদের বাজারে সময় কাটানোর সময় হঠাৎ করে বলে ওঠেন যে, এখানে বাজারে অনেক গুলো হোটেল ছিল খুব নাম করা একজন লোক ছিলেন। উনি তো মারা গেছেন।উনার ছেলেমেয়ে রা কি করেন।আমার তিন টা ভাই এ কর্ম ক্ষেএে বাইরে থাকেন।উনার এই প্রশ্নে সবাই অবাক।এতো বছর পর ও মানুষ জিজ্ঞেস করে।তখন বাজারের লোকজন এই বলছে।বাচ্চু মিয়ার ছেলেরা ফ্যাক্টরী,গাড়ী,বাড়ির মালিক।উনি নাকি অনেক খুশি হয়েছেন।আসলে এটাই বড় প্রাপ্তি। কারণ বাবার অনুপস্থিতিতে বাবার ভালো কাজের কথা শুনা।সত্যি অন্য রকম অনুভূতি। যাই হোক বাবা মারা যাওয়ার আগে কোন এক অজানা ঝড়ে আমাদের বিজনেস এ ধস নামে।এটা মায়ের মুখে শোনা। পরিবার বড় এতো বড় বিজনেস হয়তো বাবার কাছে বিষয় টা সহনীয় ছিল না।বড় ভাই বাবা থাকা অবস্থায় বিয়ে করছে।তাও পড়াশুনা অবস্থায়।ভাবীও নবম শ্রেণির ছাএী ছিলেন।এরপর এইচ এস সি সম্পূর্ণ করছেন।বড় আপা আর মেজো আপাকে বাবা বিয়ে দিয়ে গেছেন।বাবার অনুপস্থিতে ৩ বোন ২ ভাই,, ভাবী সবার পড়াশুনা অনেক কঠিন হয়ে গেছে।আমিও আস্তে আস্তে বুঝতে শিখি।কষ্ট আর ভর ধরে না।তারপর ও মা আমার একজনের ও পড়াশুনা বন্ধ করতে দেই নাই।এর মাঝে স্কুল থেকে সবার জন্য শিক্ষা মিনার ৬ টা খাতা আর পেন্সিল দিতো।আমরা প্রাইমারিতে ২ বোন ছিলাম।অন্তত আমাদের জন্য এটা সোনার হরিণ ছিল।৩ ভাই বোন ছিল হাই স্কুলে। ভাবী ছিলেন কলেজে।যায় হোক আস্তে আস্তে শেষ হলো ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা ।এর মাঝে আপু ভাইয়া রা কলেজে ওঠে গেছে।মেজো ভাইয়া কে ঢাকা নিয়ে যায় আমার একমাএ মামা।মামার আর আমার নানুর অবদান কখনো ভুলবো না।আস্তে আস্তে পরিবর্তন আসছে পরিবার এ।তারপর ও টানা পোড়েন মনে হয় পিচু ছাড়ে না।যাক সকল বাঁধা বিপওি পেরিয়ে আমাদের প্রাইমারির পাশেই মাধ্যমিক বিদ্যালয় শহীদ জয়নাল আবেদীন উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে।এর মাঝে বড় ভাইয়া চলে গেছেন নতুন কাজে।মেজো ভাইয়া ঢাকা তে।সেজো আপুর বিয়ে হল।পরিবারে আছি আমি, ছোট ভাইয়া,,আমার ইমিডিয়েট বড় বোন,,,, আর মা,,,ছোট ভাইয়া কলেজে,,আমি আর বোন হাইস্কুলে পড়ি।বাবা থাকার সময় থেকেই লজিং টিচার রাখতো।মা ও আমাদের জন্য তাই করছে।একটা বছর ও বাদ দেয় নাই।এমনও দিন গেছে স্যার কে খাবার দিতে যায় আমরা উপাস ছিলাম😰কষ্ট যেনো শেষ হয় না। এমন ও দিন গেছে স্কুল থেকে আসার পর মা কে বলি মা ভাত খাবো।মা কিছু বলে না।পাতিল তুলে দেখি ভাত নাই।ভাই বোন একটা একটার মুখের দিকে চেয়ে বলি মা গো ভাত লাগবে না।গাছে গাব আছে না আমরা ওটা খাবো।আমি যখন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ি তখন ছোট ভাইয়া বলে বোন আমাদের বাড়ীর সামনে যে জায়গা আছে ওখানে মরিচের চারা করবো।আর একটু বড় হলে প্রতি হাটবার বাজারে বিক্রি করবো।আমিও রাজি হয়ে গেলাম। আমি মনে করি আমার তৎকালীন ছোট্ট মাথায় এটাই প্রথম বিজনেসের সূচনাশুরু করছি এবং অনেক টাকার বিক্রি ও করছি।আমি যখন অষ্টম শ্রেণিতে।হঠাৎ করে বাজারে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হলো।আমি আর ভাই ও সুযোগ পেলাম।বানানো শুরু করলাম কাগজের ঠোঙ্গা।বড় আপু ভাইয়াদের পুরান বই খাতা দিয়ে বানানো শুরু করলাম।রোদে দিয়ে বসে থাকতাম তাড়াতাড়ি শুকানোর জন্য।সেখান থেকেও আলহামদুলিল্লাহ ভালো টাকা আসছে।এর মাঝে আমার ইমিডিয়েট বড় বোন টা এইচএসসি পরীক্ষা দিলো।বোন টার বিয়ে হল।ছোট ভাইয়া বলে ওর আর টেনশন নেই।আমার উপর ভাইয়ার ভরসা আছে।আমি তখন নবম শ্রেণিতে উঠছি।ভাইয়া ঢাকা চলে গেল।ঘরে থেকে গেলাম আমি আর মা।আস্তে আস্তে ভাইয়াদের পরিবর্তন শুরু হলো।স্বপ্ন বুনতে শুরু করলাম নতুন করে।সকল দুঃখ কে গুছিয়ে সুখের দেখা পেলাম।আমি অকপটে আমার দুঃখের সময় গুলো মনে করি।আমি আমার অতীত টা ভুলতে চাই না কোন ভাবেই। এভাবেই হাসি কান্নার মাঝে বেঁচে থাকতে চাই। এরমাঝে হঠাৎ শুনি সেজো বোন রত্না আপু খুব অসুস্থ। শুরু হল বোন কে নিয়ে যুদ্ধ।বোনের ক্যান্সার ধরা পড়লো😰টিট্রমেন্ট শুরু হল।এরমাঝে বোনের ২জন কন্যাসন্তান আসলো দুনিয়া আলো করে।হায় আল্লাহ কি কঠিন সময়।এতোকিছুর মাঝে আমার এস এস সি পরীক্ষা চলে আসলো।আলহামদুলিল্লাহ কৃতিত্বের সাথে ২০০৯ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এস এস সি সম্পূর্ণ করি।শুরু হলো নতুন জীবন। ছুটলাম শহরে। এডমিশন নিলাম নোয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজ এ।কিন্তু ভাগ্য বড়ই কঠিন। মা চলে গেলো ঢাকা বোনের টিট্রমেন্ট এর জন্য।২০১১ এতো অসুস্থতার মাঝেও দুনিয়া আলো করে বোনের আরেক টা কন্যা সন্তান হয়।আল্লাহ আমি তখন বড় বোনের বাসায় থেকে পড়াশুনা করি।বোনের মেয়ে কে রাখার দায়িত্ব পড়লো আমার উপর।শুরু হল নতুন লড়াই।ওর ৬ মাস বয়সে আমার এইচ এস সি পরীক্ষা শুরু হলো।পরীক্ষার মাঝেই আপা ফোন করে বলতেছে ও আর বাঁচবে না ওর মেয়েকে ওর কাছে নিয়ে য়াইতাম।আল্লাহ কি করবো আমি। রুটিন এ দেখি বায়োলজি পরীক্ষার পর ১৭ দিন গ্যাপ।তারপর ফ্যাকক্টিক্যাল পরীক্ষা।পেলাম সুযোগ। চলে গেলাম ঢাকা;।আপা আমার উপর অনেক খুশি।৭দিন পর আবার ফিরে আসলাম।এর পর শুরু হল বাকী পরীক্ষা।আবারো একদিন দুপুরে কলেজ থেকে আসার পর কল আসলো আপা বলতেছে বোন আমি আর বাঁচবো না।এটা শুনার পর আমার দুনিয়া টা উলটে গেলো😰ডাক্তার বলছে বাড়িতে নিয়ে আসতে।মা কল দিয়ে বললো সবাইকে বাড়ীতে আসার জন্য।আমি আর বড় আপা পুতুল মানে আপুর মেয়ে কে নিয়ে রাত প্রায় ১০ টার দিকে সুবর্নচর আসি।ঘর ফাঁকা মা নেই।মা য়াওয়ার সময় আমাদের কে চাবি দিয়ে যায়।ভোর রাতে সব ভাই বোন চলে আসে।মা ছোট ভাইয়া মেজো ভাইয়া,, উনারা আপাকে নিয়ে চলে আসে।বড় ভাইয়া কক্সবাজার থেকে আসে।যাইহোক এমন কোন আত্নীয়স্বজন নাই যে আসে নাই।এভাবেই কেটে যায় ৩ দিন।৪ দিনের দিন সকালে আমাকে যায়তে হবে মাইজদী। আমার বায়োলজি ফ্যাকক্টিকেল পরীক্ষা।আমি বোনের মাথায় হাত দিয়ে বলি আপা পরীক্ষা আছে যায়তে হবে। আপার চোখ দিয়ে শুধু পানি পরতাছে।বিদায় নিয়ে বের হয়ে গেলাম।আমি মাঝপথে থাকতেই আমার বোন দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চলে গেছেন পরপারে।কেউ আমাকে জানালো না।আমার কেনো জানি মনে হচ্চে আমি কি হারায় ফেলছি।আমি যখন হলে বসে কান্না করছি ঠিক তখন পরিদর্শক বলেন মা তোমার কি হয়েছে।আমি চিৎকার করে বলি আমার বোন মারাগেছে তখন আমার খাতা নিয়ে বলে তুমি পাস করবা চলে যাও।এমন সময় বড় দুলাভাই কল করে।যেহেতু আমি জানি আমার বাড়ীতে বিপদ আমি ফোন টা সাথে নিয়েই গেছি।ভাইয়া বলে গাড়ী নিয়ে কলেজের সামনে আসছে।আমার আর বুঝার বাকী নাই কি হয়ছে।চলে আসলাম বাড়ীতে যা আমার সামনে ছিল তার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না😰😰😰চলে গেলো বোন আমাদের ছেড়ে😰কিছুদিন পর রেজাল্ট দিলো।২০১১ তে কৃতিত্বের সাথে শেষ করলাম এইচ এস সি।এর পর আরো লড়াইয়ের জীবন। ছোট্ট পুতুল টা কে নিয়ে গেল ওর বাবা😰আমাকে একবার দেখার সুযোগ ও দিলো না😰কারণ আমি ভার্সিটি কোচিং এর জন্য ঢাকা ছিলাম।পাহাড় সমান অভিমান নিয়ে কিছুতেই যেনো মন বসাতে পারছি না।পরিচয় হলো মাসুদ সাহেবের সাথে। তৈরি হলো সম্পর্ক।প্রস্তাব দেওয়া হল পারিবারিক ভাবে।আলহামদুলিল্লাহ ২০১১ সেপ্টেম্বর এর ৭ তারিখ আমার বিয়ে হল।সবি ঠিক আছে। কিন্তু এখানে ও শ্বশুর বাবা নেই 😰বাবার আদর আর আমার পাওয়া হলো না।এরপর নোয়াখালী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণিবিজ্ঞান এ অনার্স এ ভর্তি হলাম। ২০১২ সালের অক্টোবর এর ২০ তারিখ ঘর আলো করে আসলো আমার প্রথম কন্যা সন্তান।হুমায়রা তাজনীন মুনিয়া। এরমাঝে সেশনজট পড়াশোনার উপর অনিহা চলে আসছে।আমার সাহেব খোলা বইয়ের মতো পরিষ্কার একজন মানুষ। কিছু কিছু কারণে আমি তার পাশে দাঁড়ালাম।এগিয়ে চললাম কাঁধে কাঁধ রেখে।সার্পোট দিতে শুরু করলাম তার সবকিছুতেই।কারন আমার জীবনটাই লড়াইয়ের।তাই লড়াই নিয়ে আমার ভয় করে না।এর মাঝেই ভাইদের সাথে কথা বলে বিজনেস শুরু করলাম। এতো কিছুর মাঝে পড়াশোনা টা কঠিন লাগছে। সিদ্বান্ত নিলাম ছেড়ে দিবো।ওমা আমার সাহেব বলে পড়াশোনা না করলে ও আমার সাথে থাকবে না।কি বিপদ এ পড়লাম। যাক তারপর ও মনে মনে খুশি হলাম যে আমি সঠিক মানুষ কে ভালোবাসছি❤️অবশেষে ফাস্ট ক্লাস নিয়ে শেষ করলাম অনার্স।অনার্সে থাকাকালীন জয়েন করলাম বাবার এলাকার একটা হাইস্কুলে। ২০১৭ ভর্তি হলাম মাস্টার্স এ।২০১৮ তে ফাস্ট ক্লাস নিয়ে শেষ করলাম মাস্টার্স। ২০১৮ আমার জন্য সৌভাগ্যের ছিল। ভালো রেজাল্ট আর এপ্রিল এর ২৫ তারিখ ঘর আলো করে আসলো আমার পুএসন্তান।মো আবদুল্লাহ ওয়াসিফ সাফওয়ান।আলহামদুলিল্লাহ সবকিছুর জন্য ❤️অনার্সে থাকা অবস্থায় বাবার বাড়ির এলাকায় একটা হাই স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের টিচার হিসেবে নিয়োগ প্রাপ্ত হলাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালোই ছিল দিন গুলো।মাস্টার্স শেষ হওয়ার পর ২০১৯ এ বি সি এস কোচিং এ ভর্তি হলাম। চলছে পুরো দমে প্রস্তুতি। নিজেকে আরো একধাপ এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় যা করার করতাছি।সুবর্ণ চর থেকে স্কুল শেষ করে মাইজদী সদরে যায় কোচিং আবার সুবর্ন চর ব্যাক করা 😰যাই হোক এভাবেই যাচ্ছে। ২০১৯ এর শেষের দিকে আমার জীবনে নেমে আসলো অন্ধকার। ধরা পড়লো মায়ের ব্রেস্ট ক্যান্সার। কে থাকবে মার সাথে😰সব কিছু চিন্তা করে রিজাইন দিলাম চাকরি তে বাদ দিলাম কোচিং। টানা ২ বছর মা কে নিয়ে লড়াইয়ের শেষ ছিল না😰লাস্ট ৬ মাস নিউ মার্কেট থেকে উওরা আহসানিয়া ক্যান্সার হাসপাতালে যাওয়া লাগছে।ভোর ৬ টায় বের হতাম রাত ৮ টায় আসতাম। যখন করোনা চরম পর্যায়ে রাস্তায় একটা কাক পঙ্খি ও ছিল না তখনও আমি মা কে নিয়ে বের হতাম।মায়ের ট্রিটমেন্ট শেষ হয়ে আসছে আর সপ্তাহ খানেক লাগবে।এর মাঝে ০৭/১০/২০২১ ধরা পড়লো আমার সাহেবের ডেঙ্গু😰এমন পর্যায়ে আছে প্লাটিলেট না বাড়ায়তে পারলে ওদের করার কিছুই নাই। আল্লাহ কি করবো আমি। ইবনে সিনা হাসপাতাল। কেটে গেলো সাত টা দিন।আল্লাহর দরবারে হাজারো শুকরিয়া আমার ছেলেমেয়েদের দিকে তাকিয়ে ফিরিয়ে দিলেন আমার স্বামী কে। সব কিছুর পর মা আর সাহেব কে নিয়ে ব্যাক করলাম নোয়াখালী।এর মাঝে ডেট পড়লো ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষার।আবার গেলাম ঢাকা। ২৬/১০/২০২১ অনুষ্ঠিত হলো পরীক্ষা। জানি আমার প্রিপারেশন ভালো না তারপর ও মায়ের রিকুয়েষ্ট দিলাম পরীক্ষা। এই এতো লং জার্নির মাঝে আমি কিন্তু আমার বিজনেস টা ছাড়ি নাই।
👉👉👉ব্যবসায়ী হয়ে উঠার পেছনের গল্পঃ-আমি আগেও বলছি আমার চরম বিপদের সময় বিজনেস আইডিয়া কাজে লাগিয়ে আমাদের পরিবার এ আলোর মুখ দেখছে।সেথেকেই বিজনেসের প্রতি একটা ভালো লাগা কাজ করে।এর মাঝে ভাইয়া রাও বিজনেসে সফলতা লাভ করে।ভাইদের দেখে আরো বেশি অনুপ্রাণিত হলাম।আমার বিজনেস চলছে ২০১৩ সাল থেকে। উথান পতন সব কিছু মিলিয়ে লেগে আছি।
👉👉পেশা হিসেবে বিজনেস কেনঃআমি আগেও বলছি বিজনেস টা আমাকে কেন জানি টানে।অন্যরকম একটা অনুভূতি। যেহেতু আমার বিজনেস পরিবারেই বেড়ে ওঠা। তাই আমার কাছে ভালো লাগার মতো একটা পেশা।আমার এতো দোটানার জীবনে যখন বিজনেস নিয়ে প্রবলেম হচ্ছে ঠিক তখনি বট বৃক্ষের মতো আমার ভাইয়ারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।খুলতে বললেন বিজনেস পেইজ। নাম দিলাম আমার রাজকন্যার নামে Munia Boutiques. আলহামদুলিল্লাহ সব কিছু মিলিয়ে ভালোই আছি।
👉👉এই গ্রুপ থেকে অর্জনঃ
আমার ভাই Nur Islam হঠাৎ করে বলে আপু আপনার বিজনেস আরো বেশি প্রসার লাভ করবে আমি আপনাকে একটা গ্রুপ এ এড করে দিচ্ছি।আমিও রাজি হলাম।তারপর নিজের বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের সদস্য হলাম।এরপর আমাদের শ্রদ্ধেয় স্যার ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের অনেক গুলো ভিডিও দেখি। যেগুলো সত্যি আমাকে মুগ্ধ করছে।আমি যদি আরো আগে এই ভালো মানুষের পরিবারে আসতে পারতাম হয়তো আরো ভালো কিছু করতে পারতাম।স্যারের এক একটা সেশন আমাদের কে নতুন করে বিজনেস আইডিয়া,, ভালো মানুষ হওয়া,,,,পজিটিভলি বাঁচা এগুলো শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। আমি আশা করি এই গ্রুপ এ থেকে সব ভালো মানুষের হাতে হাত রেখে এগিয়ে যেতে পারবো বহুদূর।ইনশাআল্লাহ 🥰
📌স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে ৭৫৬
তারিখ ১৯-০৮-২০২২ইং
রোমানা মাসুদ।
ব্যাচঃ১৮
রেজিঃ১০০৫৯৯
নিজ জেলাঃনোয়াখালী।
উপজেলাঃসুবর্নচর।
পেইজঃ Munia Boutiques..